মশারির গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি হয়তো নুহাশ দিতে চেয়েছেন প্রথমেই। যেখানে স্পিকারে কথা বলা একটি কণ্ঠের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে, ‘সন্ধ্যা হচ্ছে, আপনারা যে যার ঘরে ফেরত চলে যান। কোনো অবস্থাতেই বাইরে থাকবেন না। যার যার ধর্ম, ধার্মিক বই বা চিহ্ন কাছে রাখতে পারেন। কিন্তু ধার্মিক কোনো কিছুই আপনাকে নিরাপদ রাখবে না। তারা শুধুই রক্তের জন্য মানুষের কাছে আসে।
‘ইউরোপ, আমেরিকা পুরোপুরি এই রোগে ভেঙে পড়েছে। যে পশ্চিমা দেশ আমাদের গরিব দেশ বলে ডাকত, যুগ যুগ ধরে আমাদের রক্ত চুষত, তারা আজ নেই, কিন্তু আমরা টিকে আছি। মশারির নিচে আমরা আছি, আর তাদের রক্ত এখন শেষ।’
স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা মশারিতে নানাভাবে নানারকম ইস্যু নিয়ে কথা বলতে চেয়েছেন নুহাশ। শনিবার রাতে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ভিমিওতে শর্টফিল্মটি মুক্তি পাওয়ার পর তেমনটাই বলছেন দর্শকরা।
দেশের দর্শকরা একদম ফ্রিতে দেখতে পারছেন নুহাশের শর্টফিল্মটি। নুহাশের ভাষ্যে, ‘আমি এভাবেই অর্থাৎ ফ্রিতেই কনটেন্টটি দেখাতে চেয়েছিলাম দেশের দর্শকদের। আগে থেকেই এটা আমার প্ল্যান ছিল। অনেক দেশের দর্শকরা এটি দেখেছে, কিন্তু দেশের দর্শকদের দেখাতে পারাটা অন্যরকম আনন্দের।’
মশারি দেখতে ক্লিক করুন: https://vimeo.com/nuhashh/moshari
বাংলাদেশি কনটেন্টের প্রসার ও প্রচারে কাজ করা ‘রিমন্যান্ট গ্লিম্পস’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম বলছে, ‘মশারি যেমন একটি দুর্দান্ত হরর সিনেমা বলে মনে হবে, তেমনি এর অন্তর্নিহিত বার্তাটি বুঝতে পারলে বর্তমান সমাজের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতাও খুঁজে পাবেন। যা কনটেন্টটিকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে।’
নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূনও তেমনটা জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে। তিনি বলেন, ‘মশারিতে বিভিন্ন কনটেক্সট আছে। আমার মনে হয়, কেউ যদি সেগুলো না খুঁজেও দেখতে চায়, তাহলেও একটা হরর গল্প পাবে। আমি মূলত হরর গল্পের মধ্যেই কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি।’
ভবিষ্যতের ইঙ্গিতপূর্ণ ঘটনা নিয়ে হলিউডে অনেক কাজ হলেও বাংলাদেশে তেমন কনটেন্ট দেখা যায় না। মশারির গল্প লেখার সময় নুহাশ সেই দেয়ালটাই ভাঙতে চাওয়ার প্রবণতা রাখতে চেয়েছেন বলে জানান।
মশারি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটি নিয়ে এশিয়ান মুভি পাল্স ডট কমে প্যানোস কোটজাথানাসিস একটি রিভিউ লেখেন এ বছরের ২৪ জুলাই। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘নুহাশ হুমায়ূন তার ২২ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অধিকাংশই প্রকাশ করেছেন রূপকের মাধ্যমে। যেখানে পরিবেশগত ব্যাপার রয়েছে।’
প্যানোস মনে করছেন, ‘মনে হয় যে পানির সমস্যা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন, যার প্রভাব বাংলাদেশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতেও প্রভাব ফেলবে।
‘পরিচালক এটিও মনে করেন বলে ধারণা হয় যে, ধনী দেশগুলোতে যারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করে অভ্যস্ত, তাদের চেয়ে কম সুবিধা পাওয়া মানুষেরা বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে।’
মশাকে রূপক অর্থেই পরিচালক ব্যবহার করেছেন বলে মনে করছেন প্যানোস। গল্পে প্রোটাগনিস্ট দুজনেই নারী। একজনের বয়স বেশি, আরেকজনের বয়স কম।
বিষয়টি নিয়ে নুহাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার তিন বোন, এটা সবাই জানে। আমি যখন কাজ করতে গিয়ে পরিবার দেখাতে চাইলাম, তখন বোনদের দেখাতেই ইচ্ছা করল।’
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে যেভাবে দেখা হয় তারও একটি ধারণা রয়েছে গল্পে। প্যানোস একটি সংলাপের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যেখানে বড় বোন ছোট বোনকে বলছে, ‘আমার আগে তোমাকেই ধরবে। ওড়াও (ভ্যাম্পায়ার) বুড়াদের মতো, ইয়াংগুলাকে বেশি পছন্দ করে।’
ছোট মেয়েটির কণ্ঠে একটি সংলাপ অনেকবার শোনা যায়। যেটিও গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন প্যানোস। সংলাপটি হলো, ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না’। এ সংলাপকে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের স্লোগান বলে উল্লেখ করেছেন প্যানোস। এ আন্দোলনটি ২০১৩ সালে আমেরিকাতে রেসিজমের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল।
মশারি প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা, যা এসএক্সএসডব্লিউ শর্টস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্রোগ্রামে প্রিমিয়ার হয়েছে, যেখানে এটি সেরা মিডনাইট শর্ট জিতেছে। আটলান্টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ন্যারেটিভ শর্টের জন্য পুরস্কারও ঘরে তুলেছে এটি।
ফিল্ম বিজনেস ডটকম মশারি সিনেমাটিকে ২০২২ সালের অস্কারের মনোনয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগী বলে উল্লেখ করেছে।
মশারি মূলত ভ্যাম্পায়ার ঘরানার স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা, যা বলা হয়েছে নতুন পদ্ধতি। পৌরাণিক রক্ত চোষা দানবদের বসবাসের জন্য একটি অনন্য ল্যান্ডস্কেপ নতুন করে উদ্ভাবন করেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যটি। এতে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, পরিচালকের ভাগনি নাইরা অনোরা সাইফ, ময়েদ ভুইঞাসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী সঞ্জয় কাপুর। ২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরের সঙ্গে এ প্রয়াত শিল্পপতির বিয়ে হয়েছিল। কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের ঘরে দুই সন্তানের জন্মও জন্মও হয়েছিল। তবে তাদের বিয়ে স্থায়ী হয়নি।
বিবাহবিচ্ছেদের পরে শুধুই সন্তান ও কাজে মন দিয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল কিনা তা এ অভিনেত্রীর, সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।
কারিশমা কাপুর সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি। এমনকি কখনো কারও সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জনও শোনা যায়নি। সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে ২০০২ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন কারিশমা কাপুর। তবে বিয়ের আগেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর এক বছর যেতে না যেতে সঞ্জয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কারিশমা। সঞ্জয় ও অভিষেক ছাড়া আর কোনো পুরুষের সঙ্গে কখনো সম্পর্কে জড়াননি এ অভিনেত্রী। শুধু তা-ই নয় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনো তিনি খুব একটা কথাও বলেননি। কারিশমাকে ২০২২ সালে ইনস্টাগ্রামে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক অনুরাগী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি কি দ্বিতীয় বিয়ে করতে ইচ্ছুক?’ তিনি জবাবে কিছুই বলেননি। শুধু একটি ইমোজি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।’ সেই ইমোজি ও মন্তব্য দেখে তার ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে নিশ্চয়ই সিদ্ধান্তহীনতা ভুগছেন কারিশমা। মানে কোথাও গিয়ে তার মনে এখনো বিয়ের ইচ্ছে রয়েছে কিনা। যদিও এরপরে বিয়ে নিয়ে আর কখনো তিনি মুখ খোলেননি।
এক মাসের নীরবতা ভেঙে অবশেষে কাজে ফিরলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ফেসবুকে একগুচ্ছ প্রাণবন্ত ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘১ মাস পর…।’ ক্যাপশন ছোট হলেও তার প্রত্যাবর্তন ছিল বড়সড় চমক।
ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলোতে খোলা চুল, ঠোঁটে মিষ্টি হাসি- যেন ঝলমলে আলোয় ফিরে এসেছেন ফারিয়া। অনেক ভক্ত-অনুরাগী যেন খুঁজে পেয়েছেন সেই পুরোনো নায়িকাকে নতুন রূপে।
বলা দরকার, গত মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারিয়া কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া। অভিযোগ ছিল- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর বিষয়। ঘটনার পর মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। তবে ২০ মে জামিনে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হন এই চিত্রনায়িকা।
ভারতের হিন্দি সিনেমার দুই তারকা শাহরুখ খান ও সালমান খানকে একসঙ্গে নিয়ে ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ নামের যে সিনেমাটি নির্মাণের কথা শোনা গিয়েছিল বছর খানেক আগে, সেই সিনেমার কাজ আগাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় সিনেমা বন্ধের যে গুঞ্জন উঠেছে সেটি ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। এনডিটিভি লিখেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ সিনেমার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তবে সময় লাগবে।
চলতি বছরের শুরুতে সালমান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এই সিনেমাটি হয়ত হচ্ছে না’। এরপর থেকেই নানা গুঞ্জন ছড়াতে থাকে যে সিনেমাটি আর আলোর মুখ দেখবে না।
‘পিপিং মুন’ নামের যে অনলাইন পত্রিকাটি ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ বন্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিল, তারাও পরে সেই প্রতিবেদন সরিয়ে নেয়। ‘টাইগার বনাম পাঠান’ সিনেমাটি যশরাজ চলচ্চিত্রের স্পাই ইউনিভার্সের অংশ।
এই ফ্রাঞ্জাইজির শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘এক থা টাইগার’ সিনেমা দিয়ে। সেখানে সালমানের চরিত্র ছিল রাষ্ট্রীয় গুপ্তচর সংস্থার কর্মকর্তা।
তারপর ২০১৭ সালে এর সিক্যুয়েল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ মুক্তি পায়। এরপর ২০২৩ সালে আসে ‘টাইগার থ্রি’।
এই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে শাহরুখ খান যুক্ত হন ২০২৩ সালে, তার অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমে। ওই সিনেমায় সালমান খান হাজির হন ক্যামিও চরিত্রে।
এই ধারাবাহিকের আরও সিনেমার মধ্যে আছে হৃতিক রোশন ও টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘ওয়ার’। যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। এর সিক্যুয়েল ‘ওয়ার ২’ সিনেমার কাজ চলছে। যেখানে দেখা মিলবে হৃতিক রোশান ও দক্ষিণের তারকা জুনিয়র এনটিআরের। যা পরিচালনা করছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়।
এছাড়া ‘আলফা’ নামের নতুন সিনেমারও পরিকল্পনা রয়েছে , যেখানে অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট ও শরভারি ওয়াঘ।
শাহরুখ খান ও সালমান খানের আগেও একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘করন অর্জুন’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হাম তুমহারে হ্যায় সানাম’সহ আরো কয়েকটি।
সালমান খানকে সর্বশেষ দেখা গেছে এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত ‘সিকান্দার’ সিনেমায়। চলতি বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে শাহরুখ খান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল রাজকুমার হিরানির ‘ডাঙ্কি’। সামনে তাকে দেখা যাবে ‘কিং’ সিনেমায়।
প্রায় এক যুগ পর একসঙ্গে পর্দায় পাওয়া যাবে জয়া আহসান ও শাকিব খানকে। ঈদুল আজহায় মুক্তির প্রস্তুতি চলছে নতুন সেই সিনেমা ‘তাণ্ডব’। এরই মধ্যে সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে সত্যিই এটি ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে কি না তা এখনো নিশ্চিত করেননি নির্মাতা রায়হান রাফী। তবে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া জানান, এই ছবিতে এক বদলে যাওয়া শাকিবকে পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ নামে একটি সিনেমায় একত্রে দেখা গিয়েছিল শাকিব খান ও জয়া আহসানকে। এরপর আর একসঙ্গে কাজ করেননি তারা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও পর্দা ভাগাভাগি করছেন এ দুই তারকা। এতদিন পর শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লাগছে? কতটা পরিবর্তন এসেছে অভিনেতার? জানতে চাইলে জয়া আহসান বলেন, ‘তার ডেডিকেশন লেভেলটা অনেক বেড়েছে। খুব মন দিয়ে কাজ করেন। নিজের চরিত্রের জন্য সর্বোচ্চটা তিনি দেন, যেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করার মতো।’
‘তাণ্ডব’ ছবিতে জয়া আহসান অভিনয় করলেও শাকিবের নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে না এই তারকাকে। বরং শাকিবের নায়িকা হিসেবে ছবিতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হামলাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাবে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার গল্প। সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে কাজ করছেন জয়া আহসান। এরই মধ্যে ‘তাণ্ডব’-এর শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ছবির অভিনয়শিল্পীরা। এই ছবিতে কাজ করছে একঝাঁক তারকা।
একসঙ্গে কাজ না করলেও জয়া আহসান ও শাকিব খান দুজনেই এককভাবে ব্যস্ত ছিলেন কাজ নিয়ে। একই সঙ্গে ঢাকা ও কলকাতায় কাজ করেছেন দুই তারকাই। বিশেষ করে কলকাতার সিনেমায় জয়ার সম্পৃক্ততা ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। অন্যদিকে শাকিব খানও আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছেন। গত বছর শাকিব অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়।
সিনেমাগুলো নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি প্রচুর সমালোচনাও সইতে হয়েছে অভিনেতাকে। গত বছর উৎসবের বাইরে শাকিবের ‘দরদ’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেলেও সেটি সাফল্য পায়নি। সম্প্রতি ঈদুল ফিতরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত দুটি সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘বরবাদ’। সিনেমা দুটি নিয়ে নিজের সঙ্গেই নিজেকে লড়াই করতে হয়েছে অভিনেতাকে। দুটি সিনেমাতেই তিনি সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিদেশি নায়িকা, যা গত কয়েক বছর ধরেই তার সিনেমায় দেখা যাচ্ছে।
বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি অভিনব গল্প ও আধুনিক চিত্রনাট্যে সমৃদ্ধ সিনেমা সাদরে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে এখনও সিনেমা হলগুলোতে থাকে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরেও নানান উদ্দীপনার খোরাক যোগাচ্ছে নতুন কিছু ছবি। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন ঈদে ২০২৫ ঈদুল ফিতরে ঢালিউডে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চলচ্চিত্রগুলো।
২০২৫ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
বরবাদ
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও কলকাতার ইধিকা পল জুটির এই দ্বিতীয় কাজটি নিয়ে ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ হৈচৈ চলছে। এর আগে প্রিয়তমা (২০২৩)-তে বেশ সাড়া ফেলেছিলো এই জুটি। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভারতের যীশু সেনগুপ্তের যুক্ত হওয়া ছবিটির প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি আইটেম গানে ক্যামিও চরিত্রে থাকবেন কলকাতার আরেক তারকা নুসরাত জাহান-কে।
রোমান্টিক অ্যাকশন থ্রিলারটি পরিচালনার মধ্য সিনেমা নির্মাণে পদার্পণ করেন মেহেদী হাসান হৃদয়। প্রযোজনায় রয়েছেন শাহরিন আক্তার সুমি (রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন) এবং আজিম হারুন (রিধি সিধি এন্টারটেইনমেন্ট)।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ, এবং ইন্তেখাব দিনার।
সংগীত আয়োজনে আছেন প্রীতম হাসান। ২০২৪ সালের তুফান চলচ্চিত্রে তার ‘লাগে উড়া ধুরা’ গানটি বিভিন্ন মহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার কাজ করছেন শাকিব খানের সঙ্গে। প্রীতমসহ ছবির বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলিউডের কয়েকজন গায়ক।
অ্যাকশন দৃশ্য পরিচালনা করেছেন বলিউড ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। নাচের কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ।
জংলি
বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র জংলি। এম রাহিম পরিচালিত রোমাঞ্চকর নাট্য চলচ্চিত্রটির প্রধান ভূমিকায় আছেন এ সময়কার দর্শকনন্দিত তারকা সিয়াম আহমেদ। তার প্রধান সহশিল্পীরা হলেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান। মেহেদী হাসান ও সুকৃতি সাহা যৌথভাবে গল্পটিকে চিত্রনাট্যে রূপ দিয়েছেন।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এবং এরফান মৃধা শিবলু।
প্রিন্স মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় একটি বিশেষ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে এমআইবি স্টুডিও এবং টাইগার মিডিয়া।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ২৫ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত হবে।
দাগি
২০২৩ সালে শাকিব অভিনীত প্রিয়তমার সাথে প্রতিযোগিতা করেছিলো আফরান নিশোর সুড়ঙ্গ। এবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদে। প্রথম ছবি সুড়ঙ্গ-এর পর প্রায় দেড় বছরের বিরতিতে ছিলেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তারপর ভক্তদের হতবাক করে দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দাগি’র সংবাদ। তার বিপরীতে নায়িকার অবস্থানও থাকছে অপরিবর্তিত। দেড় বছর সিনেমা থেকে দূরে থাকার পর দ্বিতীয়বারের মতো নিশোর সাথে জুটি বদ্ধ হয়েছেন তমা মির্জা।
একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে। সিনেমায় আরও রয়েছেন মনোজ কুমার প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, রাশেদ মামুন অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, এবং মিলি বাশার।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য গড়েছেন শিহাব শাহীন। এখানে বলা হয়েছে একজন সাধারণ মানুষের অপরাধজগতে জড়ানোর গল্প। এই পটভূমিকে উপজীব্য করেই কাহিনী এগিয়ে গেছে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির দিকে।
২০১৫ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর পর ‘দাগি’ নির্মাতার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এটি এসভিএফ আলফা-আই এবং দেশীয় ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) চরকির একটি যৌথ প্রযোজনা।
চক্কর ৩০২
মোশাররফ করিম ভক্তদের জন্য এবারের ঈদে রয়েছে দারুণ চমক। শরাফ আহমেদ জীবনের গল্প, পরিচালনা এবং সহ-প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘চক্কর ৩০২’। সহ-প্রযোজনায় আরও ছিলেন আবুল ফজল মোহাম্মদ রিতু, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, সরদার সানিয়াত হোসেন, এবং আদনান আল রাজীব।
সিনেমাতে মোশাররফ করিম একটি মার্ডার কেসের তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।
সংলাপ লিখেছেন নাহিদ হাসনাত, যিনি সৈয়দ গাউসুল আলম শাওনের সাথে যৌথভাবে ভূমিকা রেখেছেন চিত্রনাট্যে।
বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়ে ছিলেন তারিন জাহান, ইন্তেখাব দিনার, মৌসুমী নাগ, রওনক হাসান, শাশ্বত দত্ত্ব, সুমন আনোয়ার, সারা আলম, ফারজানা বুশরা, আহমেদ গোলাম দস্তগীর শান, এবং ডিকন নূর।
সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছেন ইমন চৌধুরী, জাহিদ নিরব, অমিত চ্যাটার্জি।
বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্রের অনুদানে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পাবে কারখানা প্রোডাকশন এবং গামাফ্লিক্স-এর ব্যানারে।
জ্বীন ৩
জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় আরও এক কিস্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে ভৌতিক চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি জ্বীন। এর পূর্বে ২০২৩ থেকে প্রতি বছর জ্বীন-এর একটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
দ্বিতীয় কিস্তিতে অনুপস্থিত থেকে এবার প্রধান চরিত্রে ফিরেছেন সজল নূর। তার বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে পুরো মুভি সিরিজে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। এটি বড় পর্দায় সজলের সাথে তার প্রথম কাজ।
জাজের অধীনে প্রযোজনার পাশাপাশি ছবির গল্প, সংলাপ, ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ। কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ময়মনসিংহের একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন তানিয়া আহমেদ এবং আহসানুল হক মিনু। এছাড়াও দেখা যাবে অভিনেতা নাদের চৌধুরীকে, যিনি জ্বীন ১-এর পরিচালক ছিলেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ছবির কন্যা শিরোনামের গানটি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা।
পিনিক
শবনম বুবলী ও আদর আজাদ জুটির এই চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে অনেক দিন ধরে শোরগোল চলছে দর্শকদের মাঝে। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত থ্রিলার, অ্যাকশন, ও সাসপেন্সের সংমিশ্রণে গড়া ছবিটি অবশেষে এই ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘তালাশ’ (২০২২) এবং ‘লোকাল’ (২০২৩)-এর পর তৃতীয়বারের মত বড় পর্দায় আসছেন বুবলী-আদর জুটি।
সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো খলনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বুবলী। প্রতিশোধ ও পাল্টা প্রতিশোধের গল্প নির্ভর মুভির চিত্রনাট্য লিখেছেন আখিউজ্জামান মেনন।
চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, আলী রাজ, আজাদ আবুল কালাম, জয়িতা মহলানবীশ, মাসুম বাশার, মোমেনা চৌধুরী, সমু চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, নাফিস আহমেদ বিন্দু, এবং শরীফ সিরাজ।
ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছেন অভিনেতা শিমুল খান।
হাউ সুইট
বিয়ে থেকে পালানোর জন্য আঁটঘাট বেধে নেমেছে সুইটি। অপরদিকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে নাছোড়বান্দা আদনান। এমনি দুটো চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রম্য নাট্য-চলচ্চিত্র ‘হাউ সুইট’। ওয়েব ফিল্মটির গল্প, চিত্রনাট্য, ও পরিচালনায় রয়েছেন এ সময়ের দর্শকনন্দিত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।
আদনান চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আর সুইটি চরিত্রে দেখা যাবে তাসনিয়া ফারিণকে।
তাদের সহশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সাইদুর রহমান পাভেল, সুষমা সরকার, আবদুল্লাহ রানা, আরফান ম্রিধা শিবলু, এবং নাইমা আলম মাহাসহ আরও অনেকে।
নাচে, গানে ভরপুর বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমাটির সুর ও সঙ্গীতে দায়িত্ব পালন করেছেন আকাশ সেন।
গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বালাম ও ন্যান্সি।
প্রযোজক হিসেবে ছিলেন মুশফিকুর রহমান মঞ্জু। বুম ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ছবিটি সম্প্রচারিত হবে ওটিটি বঙ্গতে।
শেষাংশ
২০২৫-এর ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বাংলাদেশি সিনেমাপ্রেমিদের উদ্দীপনার কেন্দ্রে রয়েছে বরবাদ, দাগি, ও জংলি। ঈদের আনন্দকে নতুন মাত্রা দিতে এবার থাকছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ আর অমি ভক্তদের জন্য ‘হাউ সুইট’। বুবলিকে খলনায়িকা রূপে দেখার আগ্রহ আলাদা ভাবে দর্শক টানবে ‘পিনিক’। জ্বীন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা কতটা চমকপ্রদ হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ‘জ্বীন ৩’ মুক্তি পর্যন্ত। সব মিলিয়ে, দারুণ এক প্রতিযোগিতামুখর হতে যাচ্ছে ঢালিউডের এবারের ঈদ আয়োজন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে।
সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব মঙ্গলবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেন নিপুণ আক্তার। সেখানে নিজেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন তিনি। গত ১৭ জুলাই নিজের ফেসবুকে সেটা পোস্টও দেন। এ নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।
‘অনৈতিকভাবে’ সমিতির প্যাড ব্যবহার করায় মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটি গত বছরের ৩০ জুলাই সমিতির ষষ্ঠ সভায় এ বিষয় উত্থাপিত হলে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা তোয়াক্কা করেননি।
তার আগে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে গণমাধ্যমে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করায় নিপুণকে নোটিশ দেয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। তবে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার কাছের মানুষ হওয়ায় তিনি কোনো চিঠিই আমলে নেননি বলে অভিযোগ আছে।
এমন বাস্তবতায় অনৈতিকভাবে শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় নিপুণ আক্তারকে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত ১০ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিপুণের পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
নিপুণের নামে মামলা না থাকায় ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান।
স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরো সার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়।
এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী।
এক বিবৃতিতে লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে তার বাসার তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে সাইফ আলী খান টিম।
এতে বলা হয়, ‘এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব।’
কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য