কলকাতার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী প্রসেনজিতের বাড়িতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন এ দেশের কয়েকজন শিল্পী-কলাকুশলী। সেখানে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ ছিল তাদের। আড্ডা-গানে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে আমন্ত্রণ পর্বটি।
প্রসেনজিতের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী ও তার স্ত্রী-সন্তান, নাট্যকার-অভিনেত্রী দম্পতি বৃন্দাবন দাস, সাহনাজ খুশি ও তাদের দুই সন্তান, বিজরী বরকতুল্লাহ ও ইন্তেখাব দিনার দম্পতি এবং নির্মাতা শাওকি।
আমন্ত্রণ পর্বের কিছু ছবি রোববার রাতে ফেসবুকে পোস্ট করেন অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ। সেসব ছবিতে পাওয়া গেছে প্রসেনজিতের বাড়ির বাইরের ও ভেতরের দৃশ্য।
প্রসেনজিৎ ও চঞ্চলের একটি ছবি রয়েছে পোস্ট করা অ্যালবামে। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে দুই বাংলার দুই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী একে অন্যকে ধরে গান গাইছেন এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে করছেন অঙ্গভঙ্গি।
ছবিটি শেয়ার করে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘সবার সঙ্গে ছবি তোলা শেষে আমাকে বললেন, চল বাবু... মনের মানুষ এ আমরা যেমন করে গানের সঙ্গে নাচতাম, সে রকম একটা ছবি তুলি।’
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মনের মানুষ সিনেমাটি ২০১০ সালে মুক্তি পায়। এতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন চঞ্চল ও প্রসেনজিৎ।
ছবির ক্যাপশনে বিজরী লিখেছেন, ‘একজন শিল্পীর বিনয় তাকে মানুষ হিসেবে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। সেটি প্রমাণ করেছেন কলকাতার প্রথিতযশা জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (বুম্বাদা)। তার সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ও বিনয়ে আমরা মুগ্ধ হলাম।
‘তিনি রাতের খাবারের আয়োজন করেছিলেন তার বাড়িতে আমাদের জন্য, মানে বাংলাদেশের কিছু শিল্পীর জন্য। চমৎকার সময় আমরা কাটিয়েছি তার বাড়িতে। ভীষণ পরিপাটি এবং শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ এ বাড়িটির রয়েছে ঐতিহাসিক মর্যাদা। দারুণ একটি সময় কাটালাম আমরা।’
লেখার শেষ পর্যায়ে এমন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য চঞ্চল চৌধুরীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বিজরী।
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের ষষ্ঠ সিজনের প্রোজেক্ট ঘোষণার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন দেশের কয়েকজন অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন:দেব আর সৃজিত যে এক সঙ্গে কাজ করছেন, সে খবর আগেই ছিল। এমনকি খবর ছিল এই সিনেমায় দেবের বিপরীতে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। এবার সামনে এল নতুন দুই তথ্য।
দেবকে সঙ্গে নিয়ে নতুন এক থ্রিলার সিনেমায় হাত দিয়েছেন সৃজিত। আপাতত, নাম ঠিক হয়েছে ‘টেক্কা’। আর সূত্রের খবর, এই সিনেমায় সব বিতর্ক উড়িয়ে বহু বছর পর ফের সিনেপর্দায় জুটি বাঁধছেন পরমব্রত ও স্বস্তিকা।
এখানেই চমকের শেষ নয়। এ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অনুপম রায়। জানুয়ারি থেকেই নাকি শুরু হবে শুটিং। ২০২৪-এর পূজাতেই মুক্তি পাবে সৃজিতের এই হাই ভোল্টেজ সিনেমা।
বেশ কয়েক মাস আগে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে তার প্রযোজনা সংস্থার অফিস থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন দেব। সঙ্গে পোস্টে লিখছিলেন, অবশেষে ফাইনাল… আমরা আসছি ২০০৪ সালে।
এই পোস্ট দেখেই হইচই শুরু হয়েছিল। এবার স্পষ্ট হলো, দেব ও সৃজিত দুজনে মিলে আসলে ‘টেক্কা’ দিতে চাইছেন, টলিপাড়ার অন্য়ান্য পরিচালকদের। আর তারই প্ল্যানিং শুরু। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিশ্বব্যাপী এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে রণবীর কাপুর অভিনীত ‘অ্যানিমেল’।
সন্দীপ রেড্ডির এই সিনেমাটি ১ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশের সিনেমা প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তির কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে মঙ্গলবার বিনা কর্তনে মুক্তির অনুমতি পায় ‘অ্যানিমেল’। এর পর বৃহস্পতিবার দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেল সিনেমাটি। খবর ইউএনবির
দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে চলবে এই সিনেমা। তবে পরবর্তী সময়ে সপ্তাহে হল আরও বাড়বে বলে জানান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাট অ্যান্ড কাট এন্টারটেইনমেন্টের অনন্য মামুন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট ছাড়পত্র পেয়েছে সিনেমাটি। তাদের জমা দেয়া সিনেমার কোনো অংশ বাদ দিতে বলেনি। প্রাথমিকভাবে ৪৮টি স্ক্রিনে সিনেমাটি দেখানো হবে, পরে আরও বাড়বে।’
এদিকে আরেক পরিবেশক কিবরিয়া ফিল্মসের কর্ণধার গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু জানান, গ্লোবাল সংস্করণ (বিশ্বব্যাপী প্রদর্শনের জন্য) নয়, বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ইউএই সংস্করণ (সংযুক্ত আরব আমিরাত বা আরব দেশের সংস্করণটি) চলবে।
বলা হচ্ছে রণবীর কাপুরের এখন পর্যন্ত সেরা সিনেমা অ্যানিমেল। একদিনে তার অভিনয় বিবেচনা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বক্সঅফিসের ঝড়। এর আগেও এই বলিউড তারকার অনেক জনপ্রিয় সিনেমা থাকলেও অ্যানিমেল সবকিছু ছাপিয়ে গেছে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশের দর্শকের কাছে 'অ্যানিমেল' কতটা সাড়া ফেলে।
আরও পড়ুন:ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ভারতের চেন্নাইসহ তামিলনাড়ুর ৭ জেলা। একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চেন্নাইয়ের বহু এলাকা। ফলে কার্যত পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সেখানকার লাখ লাখ মানুষ। শহরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে নৌকার বিকল্প নেই। এমন অবস্থায় চেন্নাইয়ে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছেন বলিউড অভিনেতা আমির খান।
একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেন্নাইয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতায় আটকে পড়েন আমির। এ ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর নৌকায় করে উদ্ধার করা হয় এ অভিনেতাকে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা বিশাল বিষ্ণু।
নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বেশকিছু ছবি পোস্ট করেছেন বিশাল। ওই ছবিগুলোতে আমিরকেও দেখা যাচ্ছে। ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে, উদ্ধারকারী দল গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছেন। সেখানে আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিকের মতোই উদ্ধারকারী দলের নৌকায় দেখা যাচ্ছে আমির খানকে, আরও দেখা যাচ্ছে ভারতের ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার জ্বালা গুপ্তাকে।
উদ্ধার হওয়ার পর তামিলনাড়ু সরকার ও উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি অভিনেতা বিশাল বিষ্ণু। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, কারাপাক্কামে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৩টি নৌকা কাজ করছে।
বিশালের এক্স পোস্ট থেকে জানা যায়, তিনি তামিলনাড়ুর কারাপাক্কামের বাসিন্দা। সেখানে বন্যার কারণে, তার বাড়িতে জল ঢুকে যায়। সেখান থেকেই একটু এক্স বার্তায় সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, সেখানে বিদ্যুৎ নেই, ওয়াইফাই নেই, ফোন সিগন্যাল নেই, কিছুই নেই। শুধুমাত্র বারান্দার একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে তিনি নেটের কিছু সিগন্যাল পান।
এদিকে আমির খানকে সাধারণ নাগরিকের মতো নৌকায় ভাসতে দেখে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামিলনাড়ুর মন্ত্রী ড. টিআরবি রাজা। অভিনেতা বিশাল বিষ্ণুর এক্স পোস্টের উত্তরে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার পাশের মানুষটি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। উনি সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ হয়েও উদ্ধারের জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা চাননি। আর পাঁচজনের সঙ্গেই নৌকায় ভেসে এসেছেন।’
বিশাল বিষ্ণুর ওই পোস্টের পরই দ্রুত তার কাছে সাহায্য পৌঁছে যায়। সেখানে তাঁদের উদ্ধার করতে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল।
উল্লেখ্য, আমির খানের মা চেন্নাইয়ে থাকেন। তিনি বহুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় সন্তানের বাবা-মা হলেন ভারতীয় পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শুভশ্রী সন্তানের জন্ম দেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।
চলতি বছরের জুন মাসে দ্বিতীয় সন্তান আসার সুখবর জানিয়েছিলেন রাজ এবং শুভশ্রী। তখনই চার মাস কেটে গিয়েছিল। সে সময় চুটিয়ে কাজও করছিলেন নায়িকা।
তার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে তাকে। সে সময় ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর শুটিং করছিলেন তিনি। শুভশ্রী বরাবরই প্রকাশ্যে বলেছেন, তারা বরাবরই দুটি সন্তান চেয়ে এসেছেন।
রাজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমাদের পরিবারে এক মুঠো মিষ্টি ভালবাসা এসেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের ছোট্ট রাজকন্যার জন্য শুধু ভালবাসা এবং আশীর্বাদ চাইছি।’
অন্যদিকে, রাজ সুখবর জানানোর কিছু ক্ষণ পরই শুভশ্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কন্যা সন্তানের নাম প্রকাশ করেন। দম্পতি সদ্যোজাতের নাম রেখেছেন ইয়ালিনি চক্রবর্তী।
ইনস্টাগ্রামে শুভশ্রী লিখেছেন, ‘ইয়ালিনি আমাদের পৃথিবীতে তোমাকে স্বাগত।’
রাজ-শুভশ্রীর ছেলের নাম ইউভান। আদ্যক্ষরে সাযুজ্য রেখেই কন্যার নামকরণ করেছেন তারা। দেবী সরস্বতীর অপর নাম ইয়ালিনি। রাজ-শুভশ্রী সুখবর জানাতেই সমাজমাধ্যমে দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরা।
২০১৮ সালের মে মাসে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। তার পর করোনা পরিস্থিতির সময় প্রথম বার মা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন শুভশ্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দ্বিতীয় বার মা হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে তা যে এমন সুখবরের পূর্বাভাস, তা অনেকেই আন্দাজ করেননি।
আরও পড়ুন:নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার লোক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির উদ্যোগে দেশব্যাপী চিরায়ত বাংলা নাটক মঞ্চায়ন কর্মসূচি উদযাপন করছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) থিয়েটার ক্লাব।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আইইউবি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো মনসুর বয়াতি রচিত পালা নাটক ‘দেওয়ানা মদিনা’।
নাটকটির নির্দেশনায় মো. শামীম সাগর এবং সহ-নির্দেশনায় ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় ৬৪টি জেলা ও ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। দেওয়ানা মদিনা এই কর্মসুচির তৃতীয় এবং আইইউবি থিয়েটারের ২১তম প্রযোজনা।
দর্শক সারিতে উপস্থিত থেকে নাটকটি উপভোগ করেন আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপ-পরিচালক আলী আহমেদ মুকুল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবির, আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক মমতাজ পারভীন এবং আইইউবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মনসুর বয়াতি রচিত ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটি মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকা হিসেবে সমাদৃত। বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান সোনাফরের পুত্র আলাল ও দুলালের বিচিত্র জীবনকাহিনী এবং দুলাল ও গৃহস্থ মদিনার প্রেমকাহিনী এই পালার বিষয়বস্তু।
নাটকটিতে অভিনয় করেন আইইউবির নাট্যকর্মী শিক্ষার্থী আনিকা বুশরা শশী, মো. বাসিতুল্লাহ খান, মো. তৌহিদুল ইসলাম অঙ্কুর, সানজিদা আক্তার মীম, আশরাফুল করিম চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মাহিন সিয়াম, মুবাল্লিক হোক মৃধা (আবিদ), সৌহার্দ্য পাল, সামিয়া রেজা মাইশা, আনিকা ফাইরোজ, মো. সৌমিক উদ্দিন মাহি, মোছা. সাদিয়া আফরিন অর্না, মুবাশশির আল জামী সিয়াম প্রমুখ।
সংগীত সহযোগিতায় ছিল ভিনস ব্যান্ড, জাহিদ হাসান, স্লাঘা অধিকারী, শরীফ মোহাম্মদ শাহজালাল পরান, এস এম শাকিল আমিন এবং আইইউবি মিউজিক ক্লাব।
ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ের খবরের মধ্যেই এল আরেক সুসংবাদ। এবার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন আরও এক জুটি। সামনের মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেতা সৌরভ দাস এবং অভিনেত্রী দর্শনা বণিক।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ে সারলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তী। আইনি বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের একাধিক ছবিও পোস্ট করেন পরমব্রত। তিনি জানান, অনুষ্ঠানে শুধু দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কখনও বড় করে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে যুগলের।
এই খুশির খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই রাতে জানা যায়, বিয়ে করছেন টলিউডের আরও এক জুটি সৌরভ দাস এবং দর্শনা বণিক।
সৌরভ এবং দর্শনার প্রেমের গুঞ্জন বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই। সম্প্রতি তারা যে আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, সে খবরও হাওয়ায় ভাসছিল। কিন্তু তাদের হঠাৎ বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে রীতিমতো চমকেই গিয়েছেন অনেকেই। কারণ, এর আগে কোনোদিনই প্রকাশ্যে সেভাবে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি দুজনেই।
‘মন্টু পাইলট’ খ্যাত সৌরভ ওটিটি-র ব্যস্ত অভিনেতা। বেশ কিছু জনপ্রিয় সিরিজ়ে তিনি অভিনয় করছেন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘অন্তরমহল’।
অন্য দিকে দর্শনা ইতোমধ্যেই টলিউড থেকে বলিউড হয়ে দক্ষিণের বেশ কিছু সিনেমা করে ফেলেছেন। সিরিজ় থেকে সিনেমা-তার কাজের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, তারা একসঙ্গে একটি সিরিজ়ে অভিনয়ও করবেন। তবে আপাতত দুজনে ব্যস্ত বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে।
প্রেমের সম্পর্কে বেশ কয়েকবারই জড়িয়েছেন ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এবার আর প্রেমেই শেষ নয় ঠিক, প্রেম থেকে বিয়ে। হ্যাঁ, ব্যাচেলর ডিগ্রিটা হারিয়ে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া ৪৩ বছর বয়সী পরমব্রত বেশ অনেক দিন ধরেই চুটিয়ে প্রেম করেছেন হবু স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। অবশেষে সব গুঞ্জন দূরে সরিয়ে চার হাত এক হতে যাচ্ছে তাদের। এসবের মধ্যেও ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে পরমব্রত ও পিয়ার অতীত জীবন।
মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রী। তাদের বিয়ে ভেঙে যায় ২০২১ সালে। বিয়ে ভাঙার পর দুজনেই যৌথভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময়ই খবর রটেছিল, পরমব্রতের সঙ্গে পিয়া প্রেম করছেন বলেই নাকি অনুপমের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
অবশ্য সে কথা পরমব্রত নাকচ করে দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেছে, তারা শুধুই খুব ভালো বন্ধু। এই ধরনের আলোচনায় যে তিনি খুবই বিরক্ত, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তবে তার পর সময় অনেকটা পেরিয়েছে। এর পর প্রেম, এখন বিয়ে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পরমব্রতর জীবনে প্রেম এসেছে বারবার। অভিনেতার রঙিন জীবন নিয়ে একটা সময় কম চর্চা হয়নি। প্রেমময় জীবন নিয়ে ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকে বেশ খোলামেলা ছিলেন পরমব্রত। একটা সময় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন অভিনেতা। সিঙ্গেল মাদার স্বস্তিকার সঙ্গে তার প্রেম টলিপাড়ার মচমচে গসিপের কেন্দ্র ছিল। তবে বেশিদিন টেকেনি সম্পর্ক। ২০১০ সাল নাগাদ ভাঙন ধরে এই প্রেমের কাহিনিতে।
এরপর ইতিউতি পরমের সঙ্গে টলিপাড়ার বেশকিছু নায়িকার নাম জড়ালেও সেসব নিয়ে একদম সিরিয়াস ছিলেন না নায়ক। রাইমা সেনের সঙ্গে অনস্ক্রিনে পরমব্রতর কেমিস্ট্রি বরাবর চোখ টানে। অফ-স্ক্রিনেও নাকি একটা সময় জমে উঠেছিল তাদের রসায়ন। কিন্তু বেশিদূর গড়ায়নি সম্পর্ক।
পরে টলিউডের এক বিবাহিত অভিনেত্রীর সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল পরমব্রতর। তিনি অবশ্য স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে পরমব্রতর হাত ধরেননি প্রকাশ্যে।
এরপরই পরমব্রতর জীবনে এন্ট্রি নেন ইকা শাউট। এই ডাচ চিকিৎসকের সঙ্গে বিদেশে সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে আলাপ পরমব্রতর। দীর্ঘসময় লং ডিসট্যান্ট রিসেপশনশিপে ছিলেন তারা। পরে নিজের ক্যারিয়ার শিকেয় তুলে কলকাতায় চলে আসেন ইকা। এক সঙ্গে থাকতেন তারা।
২০১৯ সালে ইকার সঙ্গে পরমব্রতর বিয়ে নিয়ে কম জল্পনা শোনা যায়নি। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী, এটাই নাকি ছিল তার দীর্ঘস্থায়ী প্রেম। কোভিডের সময়ই পরমব্রতকে ছেড়ে নেদারল্যান্ডে ফেরেন ইকা। এই প্রেম কেন ভাঙল তা সবার অজানা।
এরপর করোনাকালে শুরু পরম-পিয়ার বন্ধুত্ব। কাজ করতে গিয়ে বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হয়। আর এ পথে হেঁটেই পিয়ার টানে শেষমেশ টলিউডের ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ তকমা ঝেড়ে ফেলছেন পরমব্রত।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য