অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অস্কারের ৯৫তম আসরের বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম (বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র) বিভাগে বাংলাদেশ থেকে লড়বে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত চলচ্চিত্র হাওয়া।
বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি ও অস্কার কমিটি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রোববার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অস্কারে বিদেশি ভাষার বিভাগে সিনেমা মনোনয়নের জন্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আহ্বান করা হলে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালত ও সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত হাওয়া এবং মুহাম্মদ কাইয়ুম পরিচালিত কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া সিনেমা দুটি জমা পড়ে।
২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে আশীর্বাদ চলচ্চিত্রের কার্যালয়ে সিনেমা দুটি দেখার পর মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত হাওয়া সিনেমাকে চূড়ান্ত করে ৯৫তম অস্কার বাংলাদেশ কমিটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি ও অস্কার কমিটির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান, চলচ্চিত্র সমালোচক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, চলচ্চিত্র সমালোচক ও পরিচালক শামীম আখতার, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু এবং চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত।
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত হাওয়া সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, নাসির উদ্দিন খান, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডলসহ আরও অনেকে।
কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় মৌসুমের ‘নাহুবো’ গানে কোনো খারাপ বা বাজে কথা নেই, যাতে হাজং সম্প্রদায় লজ্জিত হবে।
গানটি প্রকাশ হওয়ার পর যারা এর ভাষা ও কথা নিয়ে সমালোচনা করছেন তাদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন গানের হাজং ভাষার অংশের লেখক অনিমেষ রায়।
হাজং সম্প্রদায়ের অনিমেশ এই গানের শিল্পীও। তার সঙ্গে গানটি লেখায় অংশ নেন শিল্পী সোহানা রহমান। ‘নাসেক নাসেক’ গান দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া অনিমেষ নতুন গানের মাধ্যমে নিজের জাতিগোষ্ঠী হাজংয়ের সংস্কৃতি তুলে এনেছেন।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানি ভাষাগত কারণে আপনাদের অনেকেরই খুব কষ্ট হচ্ছে এটাকে সহজে বুঝতে। সেটার জন্য আমি দুঃখিত। তবে এটুকু বলতে পারি যে, আমি কোনো বাজে কথা বা খারাপ কথায় এই গানটি রচনা করিনি, যার জন্য আমার হাজং সম্প্রদায় লজ্জিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমার ভাষা নিয়ে কেউ বাজে কথা বলবেন না। আমি এতোটা বাজে রুচির মানুষ নই । গান ভালো না লাগতেই পারে। কারণ গানটা আমি আমার ভাবনা, দর্শন,আর আমার রুচিবোধ থেকে লিখেছি এবং গেয়েছি। সেদিক থেকে সবার ভালো না লাগতেই পারে। আর এটাই স্বাভাবিক।
‘তবে, এখানে আমার জাতিসত্তার প্রতি যদি কোনো বাজে প্রভাব পরে, তাহলে আমি এর জন্যে দোষী হয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আমাকে এতো বড়ো দোষ দিবেন না। তাহলে হয়তো আর কেউ চেষ্টা করবে না- এটা প্রমাণ করতে যে, বাঙালি সংস্কৃতি কতোটা বৈচিত্র্যময় ।’
অনিমেষ লিখেছেন, ‘আমিও বাঙালি, বাংলাদেশি। কিন্তু যন্ত্রণাটা হলো আমার জন্মগত, বংশগত, সম্প্রদায়গত একটা ভাষা আছে সেটা হলো হাজং ভাষা। জন্মের পর থেকে এই ভাষায় কথা বলা শিখেছি।
‘কিন্তু কিছুটা বড় হওয়ার পর বুঝলাম যে আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। শুরু করলাম আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা শেখা বাংলা। সেই তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার কন্ঠ থেকে যতগুলো শব্দ এ সমাজের মানুষের কাছে পৌঁছেছে তার সিংহভাগ বাংলা।’
তিনি লিখেছেন, ‘ইদানিং তো আমার মনে হয় আমি একটা কথাও হাজং ভাষায় বলি না। সব বাংলায়। আর এটাই স্বাভাবিক। এতে আমি বা আমার হাজং ভাষাভাষী জনমানুষের বিন্দু মাত্র দুঃখ,যন্ত্রণা হয়না। কারন আমরা জানি আমরা বাঙালি। আমাদের এখনো হাজং ভাষার কোনো বর্ণমালা নেই
‘তাই খুব করে চেষ্টা করছিলাম যেন এই গানের মাধ্যমে যতটুকু পারি আমার এই ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে। এটার জন্যে আমরা অনেকদিন ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিচ্ছি। সৌভাগ্যক্রমে কোক স্টুডিও আমাদের হাজং সম্প্রদয়ের (বাঙালির) জন্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে আসলো। আনন্দে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। এই বুঝি একটু সুযোগ পেলাম হাজং ভাষার অস্তিত্বকে একটু জানান দেবার,বাঁচিয়ে রাখবার।’
অনিমেষ লিখেছেন, ‘আমার কোনো কথায় আপানারা কোনোরকম কষ্ট পেলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আরেকটা কথা, বাংলায় এ পর্যন্ত এতো বড়ো একটা জায়গায় মাত্র দুটি হাজং ভাষায় গান হয়েছে। আমি বলছিনা জোর করে ভালো লেগেছে বলতে। শুধু বলছি আমার সৃষ্টিকে ভালো লাগেনি বলতে গিয়ে যেন পুরো বাংলার ঐতিহ্যকে অসম্মান করে বসেন।’
আরও পড়ুন:প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়ে গুলশান থানা থেকে ফিরে আসতে হয়েছে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে। এ ঘটনায় ওই থানার বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগ এনেছেন এই তারকা।
থানায় অভিযোগ করতে না পেরে রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) গোয়ান্দা শাখায়(ডিবি) যান তিনি। সেখানে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান।
বের হওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার(ওসি) আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ শাকিব বলেন, প্রতারক, বাটপার রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য গুলশান থানায় গিয়েছিলাম। অনেক চেষ্টার পরও, অনেক বুঝানোর পরও ওসি সাহেব মামলাটি নিলেন না। তিনি বললেন, আপনি যেখানে খুশি গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন, যে আমি আপনার মামলাটা নিলাম না। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম।
তিনি বলেন, গতকালকে থানা এই যে গড়িমসিটা করলো, গতকাল রাতে মামলাটা নিলো না। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি থানায় গিয়ে মামলা করতে পারবো না, এইটা আমার কাছে খুব আশ্বচর্যজনক মনে হয়েছে।
শাকিব খান বলেন, গতকাল রাতে গুলশান থানার ওসি ও অন্যান্য অফিসারদের কার্যকলাপ দেখে আমার মনে হয়েছে, তারা প্রতারককে রহমকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে কি না। আমার কাছে এটা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহনুর রহমান বলেন, শাকিব খান যে অভিযোগটা করছেন সেটি ২০১৮ সালের ঘটনা। কোথায় কি হয়েছিলো এতো দিন তো উনার কোনো খোঁজ খবর নেই। উনি গতকাল হঠাৎ করে থানায় এসে এই অভিযোগটা আমাদের কাছে বলতেছে। এখন ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়াতে কি ঘটছে না ঘটছে সেটা আমরা জানব কীভাবে। আমরা শাকিব খানকে বলেছি বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং যেহেতু তিনি তারকা তাই তাকে আদালতের স্মরণাপন্ন হতে বলেছি। পাঁচ বছর আগের ঘটনা মামলা নেওয়ার আগে এ বিষয়ে প্রি-ইভেস্টিগেশন করা উচিত।
গত বুধবার বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাও আছে।
আরও পড়ুন:প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে টাকা দাবির অভিযোগ এনেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তার দেশত্যাগ ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দেন শাকিব।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই রহমত উল্লাহ একজন বাটপার, প্রতারক। সে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমার কাছে টাকা চাইছে। আমি জানতে পেরেছি, ও বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। সেজন্য ডিবিতে এসেছিলাম। এখানে আমার অভিযোগ ও অভিযোগের সঙ্গে প্রমাণাদি দীর্ঘ সময় নিয়ে দেখা হয়েছে। এবং এই প্রতারককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, রহমত উল্লাহ প্রযোজক না হয়েও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে আজেবাজে, মিথ্যা কথা ও প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছেন বলে শাকিব খান অভিযোগ করেছেন। আমি বলেছি, আপনি লিখিত আবেদন দিয়ে যান আমরা সেটা তদন্ত করে দেখব। তদন্তে নায়ক শাকিবের করা লিখিত অভিযোগের সত্যতা মিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, নায়ক শাকিব খান আমাদের কাছে দ্রুত এসেছেন এই কারণে তিনি আশঙ্কা করেছেন যে, যার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ সেই প্রযোজক রহমত উল্লাহ দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, এরকম কথা তিনি নাকি শুনেছেন। নায়ক শাকিব খানের দাবি, রহমত উল্লাহ কোন প্রযোজক না, তার অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট রয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাও আছে।
আরও পড়ুন:প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায়(ডিবি) গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
রোববার বিকেলে তিনি ডিবি কার্যালয়ে যান।
ডিবির ভাষ্য, শাকিব খানের অভিযোগটি রাখা হয়েছে । রহমত উল্লাহ নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা তদন্তেরও কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডিবি কার্যালয় থেকে চিত্রনায়ক শাকিব খান সাড়ে ৭টার দিকে বের হয়ে যান। এরপর সাংবাদিকদের তার অভিযোগ ও তদন্তের বিষয়টি জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গত বুধবার বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাও আছে।
অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগটি এসেছে তিনি দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। যাচাই-বাচাইয়ের আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহর অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তবে সেই নারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই ছাড়া পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা নয়, প্রেমটাই আসল; বরং প্রেমিক বয়সে ছোট হলেই তা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে বলে মন্তব্য করেছেন বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা।
একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সম্প্রতি তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে হিন্দুস্থানস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অল্প বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে ডেটিংয়ের সুবিধা সম্পর্কে কথা বলেন মালাইকা। জানালেন তার চেয়ে কম বয়সী কারো সঙ্গে ডেটিংয়ে যাওয়া নিয়ে খুব ‘আশ্চর্যজনক’ অভিজ্ঞতার কথা।
আরবাজ খানের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর বেশ কয়েক বছর ধরে তার চেয়ে কম বয়সী অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন মালাইকা। কেউ কেউ বলেছেন, প্রেমিক তার চেয়ে কম বয়সের হওয়ায় তার সৌন্দর্য ম্লান হয়েছে অনেকভাবেই। তবে মালাইকা বলেন ভিন্ন কথা।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ মালাইকাকে একজন কম বয়সী পুরুষের সঙ্গে ডেট করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি আশ্চর্যজনক ব্যাপার। যখন আমার বিয়েবিচ্ছেদ হয়, তখন আমাকে বলা হয়েছিল যে, এই ঘটনার ছাপ কিন্তু সবসময়ই থেকে যাবে।
‘বিচ্ছেদের পরে প্রেম খুঁজে পাওয়া অন্য জিনিস। তারপর একজন কম বয়সী পুরুষের মধ্যে প্রেম খুঁজে বের করার জন্য, আমাকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, আমি আমার সৌন্দর্য হারিয়েছি।’
মালাইকা বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই প্রেমের কোনো বয়স নেই। আপনি যদি প্রেমে পড়েন তবে আপনি প্রেমেই পড়বেন। সে আপনার চেয়ে বয়সে ছোট হোক না কেন। পুরুষ বা বয়স্ক মানুষ, আমরা যে স্থানটিতে আছি তা নির্ধারণ করা উচিত নয়। আমি কৃতজ্ঞ যে, আমি এমন একজন সঙ্গী পেয়েছি যে আমাকে বোঝে। সত্য যে সে কম বয়সী, এই ব্যাপারটি আমাকে আরও তরুণ রাখে।’
মালাইকা তার বিয়ের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিয়ে এমন একটি বিষয় যা দুই ব্যক্তির মধ্যে আলোচনা করা হয়। যদি আমাদের সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়, আমরা এটি নিয়ে চিন্তা করব এবং আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা এটি নিয়ে কথা বলব। এই মুহূর্তে, আমরা কেবল জীবনকে ভালবাসি। আমরা আমাদের প্রাকহানিমুন পর্ব উপভোগ করছি।’
আরও পড়ুন:কিছু হলেই ছবি, কিছু হলেই ভিডিও। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল হয়ে যায় খুব সাধারণ ঘটনাও। এ পরিস্থিতির বিপক্ষে মত দিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানি। বললেন, এই লোভ ছাড়তে হবে।
ফেসবুকে নানা সময় নানা ঘটনা নিয়ে লেখতে দেখা যায় অভিনেতাকে। পরোক্ষভাবে কাউকে কাউকে দেন পরামর্শও। এবারও তাকে দিতে দেখা গেল এমনই এক পরামর্শ।
রোববার দুপুরে ফেসবুকে ওমর সানি লিখেছেন, ‘টাকার লোভ, ভাইরাল হওয়ার লোভ, সবকিছু নিয়ে সিনেমা ভাবা। শুধু শুধু পাকনামি করা, এগুলি ছাড়তে হবে।’
কাকে নিয়ে এমন কথা লিখলেন, এ প্রশ্ন করেছেন তার ভক্তরা পোস্টের নিচে কমেন্ট করে। কমেন্টের রিপ্লে দিলেও এ ব্যপাারে তিনি কিছু বলেননি।
অভিনেতা লিখেছেন, ‘পরিবার হচ্ছে আসল, এর চেয়ে আর কোন শান্তি নেই।’
ভাইরাল হওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ওমর সানিকেও অবশ্য মাঝে মাঝে বিভিন্ন পোস্ট ও তারকাদের পোস্টে কমেন্টে করে ভাইরাল হতে দেখা যাায়।
আরও পড়ুন:
রহমত উল্লাহ নামের এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে শনিবার গভীর রাতে গুলশান মডেল থানায় গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, তবে শাকিবকে আদালতে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন থানার কর্মকর্তারা।
শাকিব খান মামলার উদ্দেশ্যে গুলশান থানায় গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে থানা থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে আদালতে মামলা করার জন্য।’
এ অভিনেতার ভাষ্য, ‘আমার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছেন তিনি আসলে প্রযোজক কি না আপনারা প্রযোজক সমিতিতে গেলেই আসল তথ্য পেয়ে যেতেন। উনি কোনো প্রযোজকই নন।
‘আমার বিরুদ্ধে একটি ভুয়া অভিযোগ এনেছেন। যেহেতু ভুয়া অভিযোগ এসেছে, আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে আমার এরিয়া গুলশান থানায় এসেছি।’
আদালতে মামলার বিষয়ে শাকিব বলেন, ‘আমি এখানকার (গুলশান থানা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আমি আগামীকাল আদালতে মামলা করতে যাব।’
অস্ট্রেলিয়ায় শাকিবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার আইন কি এতই দুর্বল যে, আমার বিরুদ্ধে সেখানে মামলা হলে বিচার ছাড়াই আমি বাংলাদেশে চলে আসতে পারব? আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন যে মামলা নম্বর উনি উল্লেখ করেছেন, সেটি ভুয়া।’
শাকিবের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ প্রযোজকের
গত ১৫ মার্চ চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন একটি সিনেমার প্রযোজক।
ওই দিন বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
লিখিত অভিযোগে এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের মাধ্যমে কী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু অভিযোগ তোলেন।
অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেছেন, ‘যার বিরুদ্ধে অভিযোগটি এসেছে তিনি দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। যাচাই-বাচাইয়ের আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।’
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহর অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহপ্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তখন এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় এলে শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন, তবে সেই নারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই সময় ছাড়া পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য