গুঞ্জন রয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াবেন বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনা রানাউত।
যদিও এ ব্যাপারে এখনও মুখ খোলেননি কঙ্গনা, তবে সাংবাদিকদের মুখে এই গুঞ্জনের কথা শুনে চটেছেন বলিউড অভিনেত্রী ও বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী।
তিনি বলেছেন, ভালো, এটা ভালো কথা... আপনারা মথুরায় শুধুমাত্র ফিল্ম স্টারদের চান। এমনকি আগামীকাল রাখি সাওয়ান্তও হয়ে যাবে।
মথুরার বর্তমান সাংসদ হেমা মালিনীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, মথুরা থেকে কঙ্গনার নির্বাচনে দাঁড়ানোর গুঞ্জন রয়েছে, আপনার মতামত কী?
এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা সংস্থা এএনআই টুইটারে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে হেমা মালিনীকে বলতে শোনা যায়, ‘ভালো, এটা ভালো কথা... আমার মতামত সম্পর্কে কী বলতে পারি? সবটাই ভগবানের ইচ্ছা, শ্রীকৃষ্ণ যা চাইবেন… আপনারা মথুরায় শুধুমাত্র ফিল্ম স্টারদেরই চান।
‘অন্য কেউ যদি এমপি হতে চায়, আপনারা তাকে হতে দেবেন না, কারণ আপনাদের মতে শুধুমাত্র ফিল্ম স্টারদেরই মথুরা থেকে এমপি হওয়া উচিত। আগামীকাল রাখি সাওয়ান্তও হয়ে যাবে।’
#WATCH | Mathura, Uttar Pradesh: When asked about speculation that actor Kangana Ranaut could contest elections from Mathura, BJP MP Hema Malini says, "Good, it is good...You want only film stars in Mathura. Tomorrow, even Rakhi Sawant will become." pic.twitter.com/wgQsDzbn5Z
— ANI (@ANI) September 24, 2022
২০১৪ এবং ২০১৯ সালে মথুরা থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হেমা মালিনী।
২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া তামিল অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ জয়ললিতার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সিনেমা থাইলাভির প্রচারের সময় কঙ্গনা বলেছিলেন, তার ভক্তরা চাইলে অবশ্যই তিনি রাজনীতিতে যোগ দিতে পছন্দ করবেন।
এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি কঙ্গনা বৃন্দাবনের বিখ্যাত ঠাকুর বাঁকে বিহারী মন্দিরে গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে প্রার্থনা করেন।
বাঁকে বিহারী মন্দিরের দিকে যাওয়ার ভিআইপি রুটে গাড়ি থেকে নেমে আসার সময় ভক্ত ও স্থানীয়দের ভিড় কঙ্গনার দিকে ছুটে আসতে দেখা যায়। তিনি মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় ভিড় এড়াতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল। সেই সফরের সময় কঙ্গনা রাজনীতি সম্পর্কিত সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।
আরও পড়ুন:বলিউডের খ্যাতিমান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মসের ‘পুরুষতান্ত্রিক’ স্পাই ইউনিভার্সের ভিড়ে গোয়েন্দা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন আলিয়া ভাট। খবরটি ২০২৪ সালেই জানা গিয়েছিল। এদিকে গত বৃহস্পতিবার মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার টু’ সিনেমায় মিলল প্রযোজনা সংস্থার পরবর্তী গোয়েন্দা গল্পের সিনেমার ঝলক। এতে বড় চমক হিসেবে দেখা গেল ‘লর্ড ববি’কে অর্ধাৎ ববি দেওলকে। ২০২৩ সালে আলোচিত ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন এই অভিনেতা। পর্দায় ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের হিংস্র খলনায়ক হিসেবে নজর কেড়েছিলেন তিনি। তার অভিনীত ‘জামাল কুদু’ নাচের শৈলীতে বুঁদ থেকেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বলিউডের অনেক দর্শক। এবার যশরাজের গোয়েন্দা শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।
জুলাই মাসে ‘ওয়ার টু’ সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন আলিয়া ভাট। সে সময়ে অনেকেই ভেবেছিলেন হৃতিকের মেগাবাজেট স্পাই ড্রামায় সম্ভবত তাকেও দেখা যাবে। তবে গত বৃহস্পতিবার সিনেমাটি মুক্তির দিনই সিনেমার শেষপ্রান্তে সব পরিস্কার করে দিল সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থা। হৃতিক-এনটিআরের ফ্রেন্ডশিপ ইনিংস শেষ হতে না হতেই ক্যামেরায় ফুটে উঠে এক কিশোরীর হাতে গ্রিক অক্ষর ‘আলফা’ ট্যাটু করানোর দৃশ্য। যে ট্যাটু এঁকে দিতে দেখা গেল ববি দেওলকে। এই অক্ষরের গুরুত্ব কী? কিশোরীর মনে প্রশ্ন জাগতেই ববি খোদাই মেশিন থামিয়ে উত্তর দিলেন, আলফা লেখা কারণ দুনিয়ার সব জঙ্গলে যেন এই অক্ষরেরই রাজত্ব চলে। সম্ভবত যশরাজের গোয়েন্দা ব্রহ্মাণ্ডের পরবর্তী সিনেমার প্লট এমন প্রেক্ষাপটেই সাজানো হয়েছে।
কোন চরিত্রে চমক দেবেন ববি দেওল? জানা গেল, আলিয়া ভাটের ‘আলফা’ সিনেমাতে অভিনেতাকে খল চরিত্রে পাওয়া যাবে। অ্যানিম্যাল-এর পর এবার আবার ভিলেন বেশে কেমন চমক দেন তিনি? সবার নজর থাকবে সেদিকে।
একসময় বলিউডের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন সমীরা রেড্ডি। ‘রেস’, ‘দে দানা দন’সহ বেশ কয়েকটি হিট ছবির নায়িকা তিনি। ১৩ বছর ধরে পর্দায় অনুপস্থিত সমীরা। ২০১২ সালের ‘তেজ’ ছিল তার শেষ ছবি।
দীর্ঘ বিরতির পর এবার ফিরছেন ভৌতিক ছবি ‘চিমনি’ নিয়ে। সমীরা জানান, তার এই প্রত্যাবর্তনের প্রেরণা এসেছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে, নিজের ছেলের কাছ থেকে। বলেন, ‘এক বছর আগে আমার ছেলে রেস দেখে অবাক হয়ে বলল, ‘মা, তুমি আবার অভিনয় করছ না কেন?’ আমি বললাম, কারণ আমি তো তোমাদের দেখাশোনাতেই ব্যস্ত। ও-ই আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করল।
‘চিমনি’ শুটিং সেটে প্রথম দিনে নার্ভাস ছিলেন তিনি। সমীরার মনে হয়েছিল, যেন সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করছেন। তবে ক্যামেরা চালু হওয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বলেন, ‘অ্যাকশন শুনেই আমি চরিত্রে ঢুকে গেলাম এবং পরিচালক যেমন চেয়েছেন, তেমনভাবে অভিনয় করলাম।’ এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘চিমনি’র টিজার। শিগগিরই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।
মোহিত সুরির পরিচালনায় ‘সাইয়ারা’ ২০২৫-এ বলিউডে একের এর এক রেকর্ড গেড়েছে। এই সিনেমার সুবাদে নবাগত আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডা যেন রাতারাতি হয়ে উঠেছেন বি-টাউনের নতুন সেনসেশন। শুধু তারকাখ্যাতি নয়- ‘সাইয়ারা’ জায়গা করে নিয়েছে বছরের অন্যতম আলোচিত ও ব্লকবাস্টার ছবির তালিকায়। সেইসঙ্গে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে সিনেমাটি।
বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘সাইয়ারা’ ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা। এটি বিশ্বব্যাপী আয় ৫৪১.১৩ কোটি রুপি, যার মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ আয় চার সপ্তাহে পৌঁছেছে ৩১৯.৭১ কোটি রুপি।
সিনেমাটি ইতোমধ্যেই পেছনে ফেলেছে আমির খানের ‘সিতারে জামিন পর’, অজয় দেবগনের ‘রেইড ২’, সালমান খানের ‘সিকান্দার’ এবং অক্ষয় কুমারের ‘স্কাই ফোর্স’-এর মতো ছবিকে।
‘সাইয়ারা’ বিশেষ করে তরুণদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছে। সিনেমা হলে দর্শকদের কাঁদার দৃশ্যও ভাইরাল হয়েছে- এটা প্রমাণ করে, গল্পের আবেগ কতটা গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে তাদের মন।
সিনেমার হলে সাফল্যের পর ওটিটিতে আসছে সিনেমাটি। যশরাজ ফিল্মসের কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মা ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা করেছেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নেটফ্লিক্সে ‘সাইয়ারা’র স্ট্রিমিং শুরু হবে। আহান ও অনিতের পোস্টার সম্বলিত রি-শেয়ার করা পোস্টে মুক্তির তারিখ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার ঢেউ।
আজ আমরা যার কথা বলছি, তিনি শুধু বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজনই নন— তিনি হলিউডেও বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি এখন আন্তর্জাতিক তারকা। যদিও তার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে।
সেখান থেকে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করা এবং ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হয়ে ওঠার লড়াইটা সহজ ছিল না।
এরপর বলিউডের সীমা টপকে তিনি এখন হলিউডেও নিজের একটি জায়গা তৈরি করেছেন। সেখানেও নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্বের ছাপ রেখেছেন।
তিনি আর কেউ নন ‘দেশি গার্ল’খ্যাত অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া। তিনি এখন গ্লোবাল আইকন। বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় প্রতিনিধিত্বের এক উজ্জ্বল মুখ। কিন্তু আপনি জানেন কি, এ অভিনেত্রী সাফল্যের পেছনে রয়েছে সংগ্রামে গল্প?
প্রিয়াংকার এ জায়গায় পৌঁছানোর লড়াইটা সহজ ছিল না। তার যাত্রাপথে এসেছে বহু চ্যালেঞ্জ। গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ, ক্যারিয়ারের শুরুতে অবহেলা— বলিউড হোক কিংবা হলিউড, তাকে বারবার প্রমাণ করতে হয়েছে নিজের যোগ্যতা। তবে তিনি টিনএজ লাইফেই এতটা মানসিক চাপে ছিলেন, মাত্র ১৮ বছর বয়সে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন অভিনেত্রী।
এ হৃদয়বিদারক তথ্য প্রকাশ করেছেন তার সাবেক ম্যানেজার। তবু, সব বাধা পেরিয়ে প্রিয়াংকা আজ এক অনুপ্রেরণা— যার গল্প শুধু সাফল্যের নয়, সাহস, আত্মবিশ্বাস ও অদম্য মানসিক শক্তির প্রতিচ্ছবি।
নব্বই দশক পুরোটাই মাতিয়ে রেখেছিলেন যে অভিনেতা তার নাম আলমগীর। আলমগীর সিনেমায় আছে মানেই, সিনেমাটি দেখতে হবে- এমনটাই ছিল তখনকার মানুষের ভাষ্য। সেই আলমগীর চলচ্চিত্রে এসেছিলেন একটি কাকতালীয় ঘটনার কারণে। আলমগীরদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া এসেছিলেন একজন চিত্র পরিচালক।
এই পরিচালক যদি সেদিন বাসাটি ভাড়া না নিতেন তাহলে হয়তো এদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি পেত না আলমগীরকে।
এমনটাই জানালেন কন্যা আঁখি আলমগীর। এক ফেসবুক পোস্টে আঁখি আলমগীর একটি ছবি শেয়ার করে বলেন, ছবিতে পুরোটা দেখা যাচ্ছে না, এল শেপ্ড এই বাড়িটি তেজগাঁও স্টেশন রোডে অবস্থিত আমার দাদার বাড়ি। ১৯৫৫ সালে নির্মিত। আমার জন্যে অনেক বেশি আবেগের কারণ জন্মের পর থেকে এখানে অনেক বছর ছিলাম। যতটা সামনে দেখা যাচ্ছে পেছনে তার চেয়েও বড়, সন্ধ্যা হলে বিশাল জমির উপর অবস্থিত বিরাটাকার এই বাড়িতে ভয় পাওয়া যেমন মনে আছে তেমন মনে আছে চাচা ফুফু আর কাজিনদের সাথে কাটানো সুন্দর সময় গুলো। আঁখি আলমগীরের এখানেই বেড়ে ওঠা। স্মৃতি মনে করে গায়িকা বললেন, এখানেই আমাদের সবার বেড়ে ওঠা।
ছোট্ট আমার কাছে দাদার বাথরুমের বাথটাব ছিলো সবচেয়ে মজার জায়গা। আরেকটা বাথটাব বাড়ির পেছনে গাছের নিচে কেন ফেলা ছিল তার উত্তর জানা নাই। ছাদে যাওয়া আমাদের ছোটদের একদম নিষেধ ছিল, আমরা কি আর কথা শুনতাম। চলে যেতাম যখন তখন, পরে ভুতের ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো হলো। মনে পড়ে দাদি এখানেই মারা যান, তার অনেক আগে দাদা, তবে আমি দেখিনি দাদাকে, ভেঙে ফেলার আগের এই ছবি।
আঁখি আলমগীর বলেন, এখন এখানে অনেক অনেক অ্যাপার্টমেন্ট, এত বছর পরেও যখন যাই আগের বাড়ির একটা বাতাস কোথা থেকে যেন গায়ে হাত বুলিয়ে যায়। আধুনিক যান্ত্রিক জীবনের পরতে পরতে আমি বার বার অতীত কে ফিরে পাই। খুঁজতে হয়না, অতীত আমাকে খুঁজে নেয়। তার বাবা অর্থাৎ নায়ক আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার কাকতালীয় ঘটনার কথা উল্লেখ করে আঁখি আলমগীর লিখেছেন, এই বাড়ির একটা অংশ ভাড়া নিতে এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় পরিচালক আলমগীর কুমকুম। তার ভালো লাগে এই বাড়ির এক সুদর্শন তরুণকে। এভাবেই আবিষ্কৃত হন বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর। পরবর্তীকালে কুমকুম আংকেল আমার নাম রাখেন আঁখি। যদিও আলমগীরের পিতা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ এর একজন অন্যতম প্রযোজক। তারপরেও ছেলে আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার ঘটনাটা ভিন্নভাবে ঘটেছে। আলমগীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আলমগীর কুমকুম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক আমার জন্মভূমি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়।
ফুরফুরে মেজাজে আছেন ব্ল্যাকপিংক তারকা রোজে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে তার। এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে আট শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন রোজে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেছে এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস কর্তৃপক্ষ। এতে ভিডিও অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার, বেস্ট কোলাবোরেশন, বেস্ট পপ, বেস্ট ডিরেকশন, বেস্ট আর্ট ডিরেকশন ও বেস্ট ভিজ্যুয়াল ইভেক্টস বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন রোজে। বেস্ট পপ বিভাগে ‘টক্সিক টিল দ্য এন্ড’ গানের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রোজে লিখেছেন, ‘আমি প্রচণ্ড অবাক হয়েছি, কী বলব বুঝতে পারছি না। আমি রীতিমতো বাক্রুব্ধ।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজকের দিনটা একদম অবিশ্বাস্য, অদ্ভূত ব্যাপার। কী ঘটছে?’
ব্ল্যাকপিংকের বাকি তিন সদস্যও মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হলেন—জেনি (লাইক জেনি), জিসু (আর্থকোয়াক) ও লিসা (বর্ন এগেইন)।
বেস্ট পপ বিভাগে রোজে ছাড়াও মনোনয়ন পেয়েছেন জিমিন (হু), এসপা (উইপ্লাশ), স্ট্রে কিডস (চিক চিক বুম)।
এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউবিএস অ্যারেনায় আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের আসর বসবে।
জেনির জন্ম ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণ কোরিয়ায়, মাঝে বছর পাঁচেক নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে আসেন জেনি, ২০১৬ সালে নাম লেখান ব্ল্যাকপিংকে।
মাত্র সাত বছরের ক্যারিয়ারে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়েছেন কোরীয় ব্যান্ড ব্ল্যাকপিংকের সদস্য জেনি; গানের বাইরে অভিনয়েও অভিষেক ঘটেছে তার।
দুই বছরের বিরতির পর ‘ডেডলাইন’ কনসার্ট দিয়ে গানে ফিরেছে ব্ল্যাকপিংক। লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, টরন্টো, প্যারিস, লন্ডনসহ ১৬ শহরে মোট ৩১টি কনসার্টে গাইবেন জেনি, লিসারা।
অভিনয়ে আগের মতো ব্যস্ততা নেই শবনম ফারিয়ার। কয়েক মাস ধরে চাকরি করছেন তিনি। তবে সময়–সুযোগ পেলে অভিনয় করেন। এর বাইরে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ছোটপর্দার এই অভিনেত্রী।
তার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনাও চলে বেশ। এবার শবনম ফারিয়া ফেসবুক পোস্টে দেশ নিয়ে তার আক্ষেপের কথা প্রকাশ করলেন। হতাশ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, এদিকে আবার এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাব আমরা?
এদিকে চব্বিশের অভ্যুত্থানেও প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন অভিনেত্রী। তবে এক ফেসবুক পোস্টে দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে লেখেন, এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেব, জানি না। এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে জুলাই সিডিআই লিখে সেই শোক কমায়, আর বাকিরা চাঁদাবাজি, ডোনেশন, হাদিয়া নিয়ে কামড়াকামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিকঠাক করে!
ওই পোস্টে তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষ উল্লেখ করে লেখেন, মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি। কিছু বললেই এক পক্ষ বলে, ডলার খেয়েছেন, লাল স্বাধীনতা কেমন লাগে? অন্য পক্ষ বলে, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর! ১৬ বছর কিছু বলেননি কেন।
তবে ওই পোস্টে রাজনীতি নিয়ে শেষ স্ট্যাটাস জানিয়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, এই স্ট্যাটাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া বন্ধ করলাম! কারণ, ফাইনালি আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কখনো ভালো হবো না, যত আন্দোলন হোক, সরকার পরিবর্তন হোক, যতই শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ আসুক, আমাদের কেউ দুর্নীতি এবং চুরি করা থেকে আটকাতে পারবে না! শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ যে–ই ক্ষমতা পাবে, সে–ই তার অসৎ ব্যবহার করবে।
মন্তব্য