সিনেমার নাম জয়া আর শারমিন। দুজন নারীর অচেনা ভুবনের ছবি, অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনুক্ত-অব্যক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন হবে সিনেমাটি।
ওপরের বিষয়গুলোই অভিনয়, সংলাপ, অভিব্যক্তি দিয়ে পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন দুই অভিনেত্রী। যাদের একজন জয়া আহসান; তিনি অভিনয় করেছেন জয়া চরিত্রে।
আরেকজনের কথা বলার আগে কিছু ভূমিকা দেয়া প্রয়োজন। জয়ার অভিনয় তো দুই বাংলাতেই সমাদৃত। ভালো অভিনয় করেন বলেই দর্শক-সমালোচকরা পছন্দ করেন তাকে। তবে এ সিনেমায় জয়ার অভিনয় যে খুব সহজেই পাস করে যাবে, এমনটা আগে থেকেই ভাবা যাচ্ছে না।
কারণ আরেকজন যে অভিনেত্রী সিনেমাটিতে আছেন, তার পাশাপাশি জয়ার অভিনয় কতটা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, তা নিয়ে দর্শকমহলে অনেকেই কথা বলা শুরু করেছেন এখনই।
সেই আরেকজন অভিনেত্রী হলেন মহসিনা আক্তার। ‘৪.৪৮ মন্ত্রাস’ মঞ্চনাটকে যিনি চিনিয়ে-বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কে।
সিনেমাটিতে আরও আছেন অভিনেত্রী তটিনী। ধারণা করা হচ্ছে, জয়া-মহসিনাকে দেখা যাবে মূল শিল্পী হিসেবে। কারণ তাদের চরিত্রের নামেই রাখা হয়েছে সিনেমার নাম। তুমুল জনপ্রিয়তা এবং মঞ্চে পরীক্ষিত মহসিনার মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা নেই ঠিকই, তবে তাদের কাজ ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিতে পারে দর্শকদের কাছে।
তবে এসব নিয়ে কোনো চিন্তাই আপাতত করছেন না মহসিনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন মহসিনার সঙ্গে কথা হলো, মাত্রই ঘরে ঢুকেছেন তিনি। শুধু তো মঞ্চ নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা, রবীন্দ্র সৃজন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন তিনি।
একটু সময় চাইলেন। কিছুটা জিরিয়ে কথা বললেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
জয়া আর শারমিন সিনেমা নিয়ে বললেন, ‘আমার যে খুব ভালো মনে আছে তা না। আবার আমি অনেক কিছু বলতেও পারব না। আমার ধারণা, শুটিং শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে আমি যুক্ত হয়েছিলাম কাজটির সঙ্গে।’
অডিশনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম না। লকডাউনে সব বন্ধই ছিল। এর মধ্যে আমার কিছু টেস্ট নিতে চাইলেন পরিচালক। ভাবলাম, এর মধ্যে এক জায়গায় যাব, যদি কাজটা না হয়। তবে পরে যাই, যা করতে বলেন সেগুলো করি।’
মহসিনা জানান, সিনেমা তার জন্য নতুন হলেও ক্যামেরা নতুন কিছু না। তার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মাস কমিউনিকেশনে (নিমকো) ক্লাস করতে হয়েছে, ১০ মিনিটের নাটকও বানিয়েছেন।
মহসিনা বলেন, ‘অভিনেতার জন্য ক্যামেরা হোক বা দর্শক, কাজটা তো আর ওইদিকে তাকানো না, কাজটা হলো আপনি আপনার ক্রিয়া করছেন কি না ঠিকমতো। কাজেই সেগুলো আমাকে বিরক্ত করেনি।’
পরিবেশটা নতুন লেগেছে মহসিনার। অল্প মানুষ নিয়ে জয়া আর শারমিন সিনেমার কাজ হয়েছে বলে জানান তিনি। ছোট পরিসর, কমফোর্টেবল জায়গা ছিল, সৃজনশীল চিন্তার যে আদান-প্রদান সেখানে কোনো ঝামেলা হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে মহসিনার অভিজ্ঞতা ভালো।
মহসিনার কাছে তার অভিনীত চরিত্র শারমিন কেমন, জানতে চাইলে অবশ্য তা প্রকাশ করতে চাননি তিনি। সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে, তা এখনও জানাননি সংশ্লিষ্টরা।
পিপলু আর খানের পরিচালনায় সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে পিপলু আর খানের অ্যাপল বক্স, আবু শাহেদ ইমনের বক্স অফিস মাল্টিমিডিয়া এবং জয়ার প্রতিষ্ঠান সি তে সিনেমা। পিপলু আর খান ও নুসরাত মাটির চিত্রনাট্য করেছেন সিনেমাটির।
এ তো গেল সিনেমা। এখন মঞ্চের মহসিনার কথা শোনা যাক তার মুখ থেকেই।
মহসিনার ফেসবুকে অনেক ছবিই পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে কিছু ছবি আছে যেখানে দেখা যায়, মহসিনার চারদিকে অল্প কিছু মানুষ, তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, হাসছেন, বই পড়ছেন। পরিবেশটা দেখে মনে হয় না যে সেটা কোনো মঞ্চ, বরং মনে হয় কোনো কর্মশালা চলছে।
আসলে ওইটা একটা থিয়েটার ওয়ার্ক বা মঞ্চনাটক। সৈয়দ জামিল আহমেদের নির্দেশিত নাটকটির নাম বিস্ময়কর সবকিছু।
নাটকটি নিয়ে মহসিনা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিস্ময়কর সবকিছু নাটককে একটি ইন্টিমেট থিয়েটার বলতে পারেন। এটার যে গল্প এবং যেভাবে উপস্থাপিত হয়, এটাকে পোস্ট ড্রামাটিক থিয়েটারের আওতায় আনতে পারেন। ডেফিনেটলি এটা একটা নতুন ধরনের কাজ। বাংলাদেশে এ রকম কাজ হয়েছে কি না জানা নেই। বিশ্ব থিয়েটারে এমন কাজ হচ্ছে কয়েক বছর আগ থেকে।’
থিয়েটার ওয়ার্কটি ড্রইংরুম থেকে শুরু করেছিলেন বলে জানান মহসিনা। এ নাটকে দর্শকরাই মহসিনার সহশিল্পী। এ নাটকে ৫৫ জন দর্শক সবেচেয়ে বেশি, ৪০-৪৫ হলে ভালো, ৩০ জনের সর্বনিম্ন।
মহসিনা জানান, যিনি এ নাটকটি তার অফিস বা বাসায় করাতে চান, তিনি চাইলে সবগুলো আসনের টিকিট কিনে নিতে পারেন। অথবা কেউ ভেন্যু দিলে, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেও দর্শক সংগ্রহ করে এ নাটকটি মঞ্চস্থ করা সম্ভব।
মহসিনা বলেন, ‘নাটকটি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলে, যার কারণে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো এই ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। মানসিক অসুস্থতা কিন্তু জ্বর, সর্দির মতোই। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে যে আমাদের চারপাশে বিষণ্নতা বাড়ছে, আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়ছে। এই জায়গা থেকেই নাটকটি সুন্দর করে একটি জিনিস দেখতে শেখায়। বিষণ্নতা আসবে বা আসতে থাকবে, আপনি সেটা কীভাবে ডিলিট করবেন- এটাই আসলে গুরুত্বপূর্ণ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থিয়েটার বিষয়ে লেখাপড়া করে দ্বিতীয় মাস্টার্সটি মহসিনা করেন মস্কো থেকে। সেখানে তার বিষয় ছিল থিয়েটার অ্যান্ড ডিরেকশন।
দেশে এসে মঞ্চে অভিনয় করার পাশাপাশি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। স্পর্ধা নামের যে সংগঠনটি রয়েছে, সেটার কয়েকজন কোর ফাউন্ডারের মধ্যে মহসিনা একজন। এ দলটিতে খুবই অল্প মানুষ কাজ করে। নাটক মঞ্চায়নের প্রয়োজন হলে স্পর্ধা প্রয়োজনীয় কর্মীদের ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তৈরি করে এবং কাজে লাগায়।
তিনি নিজেকে স্বাধীন মঞ্চকর্মী বলে দাবি করেন বা পরিচয় দেন। মহসিনা বলেন, ‘আমার যে জ্ঞান বা দক্ষতা, সেটা আমি একটি নির্দিষ্ট দলের জন্য কাজে লাগাই না। আমাকে যে তার কাজে লাগাতে চায়, আমার ঠিক মনে হলে আমি তার সঙ্গে কাজ করব। সেই অর্থে আমি কোনো দলের না আবার সব দলেরই।’
প্রথমবারের মত ভিআইপি প্যাক চালু করল দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম টফি। সম্প্রতি উন্মোচিত হওয়া ভিআইপি প্যাকের মাধ্যমে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে টফিতে সিনেমা, সিরিজ, খেলাধুলা এবং এক্সক্লুসিভ শোসহ ১০ হাজারেরও বেশি কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশন হিসেবে টফির ভিআইপি প্যাক সাবস্ক্রাইব করা যাবে। সাশ্রয়ী খরচে যেকোন সময়, যেকোন জায়গা থেকে বিনোদন উপভোগের সুযোগ নিশ্চিতে টফি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সকলের জন্য ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এই ভিআইপি প্যাক চালু করেছে টফি।
ভিআইপি প্যাকের সাবস্ক্রিপশন ফি: ৭ দিনের জন্য ৭৬ টাকা, ৩০ দিনের জন্য ১২৬ টাকা, ৯০ দিনের জন্য ২৭৬ টাকা এবং ৩৬৫ দিনের জন্য ৬৩৬ টাকা। সমৃদ্ধ কন্টেন্ট লাইব্রেরি সবার হাতের নাগালে নিয়ে আসতে, ৭ দিন এবং ৩০ দিন মেয়াদী বাংলালিংক ডেটা প্যাকেও টফি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সুযোগ আজ থেকে কার্যকর হবে।
এ নিয়ে বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “টফি শুধু বিনোদনই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সবার ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরো সাবলীল ও উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। ভিআইপি প্যাকস চালুর মাধ্যমে সাশ্রয়ী খরচে প্রিমিয়াম কনটেন্টকে আমরা আরও সহজলভ্য করে তুলেছি, যা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। বর্তমান সময়ের দর্শকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে এ উদ্যোগ প্রিমিয়াম কনটেন্ট উপভোগের সুযোগকে আরও সাশ্রয়ী, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।”
প্রথমবারের মতো টফির ব্যবহারকারীরা সকল ধরনের প্রিমিয়াম কনটেন্ট আনলিমিটেড উপভোগ করার সুযোগ পাবেন, যার মধ্যে রয়েছে: ৪০টির বেশি টিভি চ্যানেল, লাইভ টিভি, বাংলা ডাব করা কোরিয়ান ও তুর্কি নাটক এবং লাইভ স্পোর্টসসহ নানা ধরনের আকর্ষণীয় কনটেন্ট। ঘরে, বাইরে অথবা কাজের ফাঁকে, অনবদ্য বিনোদনের গন্তব্য হয়ে উঠছে টফি।
প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যের অপার লীলাভূমি চায়ের দেশ খ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা। প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে হাজারো পর্যটকে মুখর হয়ে ওঠে এই পর্যটন নগরী। ঈদ উপলক্ষে টানা ছুটি থাকায় এবারও পর্যটকদের বরণ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে কমলগঞ্জ।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে শুক্রবার (২৮ মার্চ)। দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করার জন্য পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে অনেকেই ছুটছেন দেশের পর্যটন স্থানগুলোতে।
সবুজে ঘেরা চা বাগান দেখতে প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে কমলগঞ্জে ভিড় জমান পর্যটকরা। এবারের চিত্রও তার ভিন্ন নয়। ঈদের ছুটিতে ঘুরে বেড়াতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন কমলগঞ্জকে। মৌলভীবাজার জেলার সর্বাধিক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে এই উপজেলাতেই।
পর্যটনক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনাময় এই উপজেলায় ২০টিরও বেশি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাহক ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, পদ্মছড়া লেক, বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য রাজকান্দি বন, শমসেরনগর বিমানবন্দর, প্রাচীন ঐতিহ্যের বাহক লক্ষ্মীনারায়ণ দিঘি, ২০০ বছরের প্রচীন ছয়চিরি দিঘি, শমশেরনগর বাঘীছড়া লেক, সুইচভ্যালি, আলীনগর পদ্মলেক, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি, শমশেরনগর গলফ মাঠ, মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসফিল্ড, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, অপরূপ শোভামণ্ডিত উঁচু-নিচু পাহাড়বেষ্টিত সারিবদ্ধ চা বাগানসহ বাংলাদেশের বৃহত্তম নৃ-গোষ্ঠী মণিপুরী সম্প্রদায়ের নিরাপদ আবাসস্থল এ উপজেলা।
এছাড়া প্রকৃতির পূজারী খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীসহ গারো, সাঁওতাল, মুসলিম মণিপুরী, টিপরা ও গারোদেরও আবাস রয়েছে এই উপজেলায়। লেক আর পাহাড়ের মিতালি, সঙ্গে ঝর্ণা—কমলগঞ্জের এসব প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর বিভিন্ন ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার পর্যটক। শিল্পকলা-সমৃদ্ধ মণিপুরীসহ ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার জীবনধারা ও সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা এই জনপদ যেকোনো পর্যটকের মন কেড়ে নেবে। তাই ঈদুল ফিতরের ছুটি সামনে রেখেই সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছে পর্যটন স্পটগুলো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ নিবিঘ্ন করতে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে আমরা ডিউটি ও তদারকি করব। ট্যুরিস্ট পুলিশ সব সময় সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যটন পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশেরও বিশেষ নজরদারি থাকবে।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সন্তান, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাজিপুর সোনামুখি বাজার সংলগ্ন মাঠে শুক্রবার সকালে পথসভা, মাইজবাড়ী ঢেকুরিয়া বাজারে শিল্পীর নিজ গ্রামে ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন কনকচাঁপা।
ওই সময় তিনি নিজ এলাকার বিভিন্ন বয়সী লোকজনের ভালোবাসায় সিক্ত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে পেয়ে আনন্দিত হয়।
কনকচাঁপা কাজিপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘একজন সংগীতশিল্পী হয়ে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করেছি। আমি বাকি জীবন এলাকাবাসীর সেবা করার মাধ্যমে তাদের মন জয় করতে এবং তাদের ভালোবাসায় বেঁচে থাকতে চাই।’
এদিকে জন্মস্থানের লোকজন গুণী এ শিল্পীকে কাছে পেয়ে আগামীতে তাকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান, সহসভাপতি ও কাজিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মালেক তরফদার, কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস সবুর, ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ তরফদার, কামরুন্নাহার ত্বনীসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
রোববার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, রাহাত ফাতেহ আলী খান একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি শুধু পাকিস্তানের নন, তিনি উপমহাদেশ তথা সারাবিশ্বের সংগীত জগতের সম্পদ। বাংলাদেশে তার অনেক ভক্ত রয়েছে।
এ সময় রাহাত ফাতেহ আলী খান বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে আমন্ত্রণের জন্য তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
শনিবার ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টের জন্য রাহাত ফাতেহ আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এ ধরনের একটি কনসার্ট আয়োজনের প্রয়োজন ছিল।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশীয় সংস্কৃতির প্রচারের লক্ষ্যে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সূচনা করেছে বিএনপি।
রাজধানীর গুলশান-১ এ উদয় টাওয়ারে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এই প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছেন।
‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক এ্যানী বলেন, এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর নতুন পরিবেশে নতুনভাবে বিজয়ের মাস উদযাপনের সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, “গত ১৬-১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা নিজেদের মতো করে বিজয় দিবস পালন ও উদযাপন করতে পারিনি। এবার বিজয় দিবসে আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে, নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
“বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ব্যাপক কর্মসূচি ও কার্যক্রম প্রণয়ন করেছে।”
এই কনসার্টে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও ব্যান্ডদলের মধ্যে- সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, বেবী নাজনীন, মনির খান, কনক চাঁপা, দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, প্রীতম, জেফার, মৌসুমী, নগর বাউল (জেমস), ডিফারেন্ট টাচ, অর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, এভয়েডরাফা এবং সোনার বাংলা সার্কাস অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানি ও যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’- এক সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় এসব গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
কন্যা জিহান ফারিয়া তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক আবু জাফর বেশকিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
আবু জাফর ১৯৪৩ সালের ১৫ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো. জমির উদ্দিন। কুষ্টিয়া শহরের আডুয়াপাড়ায় তিনি বসবাস করতেন।
আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান এক সময় তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও বেশকিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। এর মধ্যে ‘নতুন রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য), ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আবু জাফরের বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের তালিকায় স্থান দখল করে। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি। এছাড়াও নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশিরভাগ গানে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কোনো কোনো গানে তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন।
গুণী এই ব্যক্তিত্বের নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ আসর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্তানে সমাহিত করা হবে।
আরও পড়ুন:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খানের কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার, পার্সোনাল কেয়ার ও হোম কেয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।
গুলশানের দ্য ওয়েস্টিন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে সোমবার এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাহসানের সঙ্গে চুক্তিতে সই করেন রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর শাকিব খান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হারল্যান জোনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ রিমার্ক-হারল্যানের অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর শাকিব খান অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তাহসানের মতো মাল্টি ট্যালেন্টেড একজন শিল্পীকে আমাদের সাথে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাহসানের যে ক্রেজ, তা সত্যিই বিস্ময়কর।
‘সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের অথেনটিক হোম অ্যান্ড পার্সোনাল কেয়ার, স্কিন কেয়ার ও কালার কসমেটিকস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রিমার্ক-হারল্যান ভোক্তাদের কাছে সর্বোচ্চ মান ও সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই উদ্দেশ্য পূরণে তাহসানের মতো একজন গুণী এবং জনপ্রিয় সেলেব্রিটির সাথে সংযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে তাহসান বলেন, ‘অথেনটিক কসমেটিকসের জন্য রিমার্ক-হারল্যানের সুনাম শুনেছিলাম বহু আগেই। আজ অফিশিয়ালি যুক্ত হলাম দেশের মানুষকে নকল ও ভেজাল পণ্যের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে রিমার্ক-হারল্যানের এই প্রচেষ্টার সাথে।
‘আমি খুবই উচ্ছ্বসিত রিমার্ক-হারল্যানের সাথে যোগ দিয়ে। খুব শিগগিরই রিমার্ক-হারল্যানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রচারণায় আমাকে দেখতে পাবেন ভক্তরা।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য