× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Censor board should remain Information Minister
google_news print-icon

সেন্সর বোর্ড ছিল, থাকতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

সেন্সর-বোর্ড-ছিল-থাকতে-হবে-তথ্যমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি এমন একটা সিনেমা বানায়, যেটা আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এবং সেটা যদি প্রকৃত ঘটনাকে উপস্থাপন না করে সত্য ঘটনার অবলম্বনে হয়, যদি পুরো সত্য ঘটনা না আসে, তাহলে তো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই।’

চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ড থাকা উচিত কি না মর্মে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র ‘শনিবার বিকেল’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা বছরের পর বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকায় সেন্সর বোর্ডের প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীদের সঙ্গে এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিনেমা শিল্প, সেখানেও সেন্সর বোর্ড আছে। প্রত্যেকটা রাজ্যের সিনেমার জন্য সেন্সর বোর্ড আছে। এটা থাকতে হবে। যারা বলে থাকার দরকার নাই, তারা বুঝে বলে নাকি না বুঝে বলে সেটি আমার প্রশ্ন। পৃথিবীর সব জায়গায় এটা আছে।

‘কেউ যদি এমন একটা সিনেমা বানায়, যেটা আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এবং সেটা যদি প্রকৃত ঘটনাকে উপস্থাপন না করে সত্য ঘটনার অবলম্বনে হয়, যদি পুরো সত্য ঘটনা না আসে, তাহলে তো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের জন্মের পর থেকে সেন্সর বোর্ড ছিল। সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কিছু না করে, সেটি আমি নজরে রাখি। যেগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেগুলো আমরা দেখেছি, সেখানে আমরা যা পেয়েছি সেটা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’

বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদানে জোর
সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমাকে ভিন্নধর্মী সিনেমার চেয়ে এগিয়ে রাখার পক্ষে নিজের মত জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো চলচ্চিত্র শিল্প এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে। আমরা অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করেছি। আগে যেখানে ১০ কোটি টাকা দেয়া হতো এখন দেয়া হয় ২০ কোটি টাকা। আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা আমার কাছে আসেন। তখন তারা আমাকে বললেন, অনুদান যেগুলো দেয়া হয়, সেগুলোর অনেকগুলো হলে মুক্তি পায় না। অনেক আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেয়া হয়, তারা সেগুলো বানায় না।

‘আমি তখন বিষয়টির গভীরে গেলাম এবং অনুধাবন করলাম আসলে অনেক ছবি বানানো হয়নি। সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারপর বাণিজ্যিক ছবির ক্ষেত্রেও যেগুলো বানানো হয়েছে, সেগুলো হলে রিলিজ দেয়া হয়নি, কাউকে স্বত্ব বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা নতুন নীতিমালা করেছি, কমপক্ষে ১০টি হলে মুক্তি দিতে হবে, পরে এটি বাড়িয়ে ২০টি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১ কোটি টাকার নিচে কোনো সিনেমা হয় না। ভালো সিনেমা বানাতে মিনিমাম ২ কোটি লাগে। সে ক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দিলেন অনুদান যেন বাণিজ্যিক ছবিতে দেয়া হয়। আমরা এর পর থেকে বাণিজ্যিক ছবিতে জোর দিই। আর্ট ফিল্মেও আমরা দিচ্ছি।

‘ডকুমেন্টারিতেও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যিকে অনুদান বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিয়েছি, সেটার সুফলও আমরা পাচ্ছি। ৬৫টিতে নেমে এসেছিল হল, সেখান থেকে ২১০টি হয়েছে। আর এক বছরের আরও ১০০ বাড়বে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল করেছেন। সেখান থেকে ঋণ নেয়ার জন্য অনেক দরখাস্ত ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। সিনেপ্লেক্স হচ্ছে।

‘এটা অনুদান নয়, ব্যাংকিং চ্যানেলে ঋণ দেয়া হচ্ছে। যখন করোনা ছিল, তখন ভয়ে কেউ দরখাস্তই করেনি। কারণ তখন হল বন্ধ। পরে করোনা কমে আসার পর দরখাস্ত শুরু করল। তারপর ব্যাংকগুলোকে আমাদের বোঝাতে হয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বসেছি। এরপর দরখাস্ত বেড়েছে। এখন আস্তে আস্তে ডিসপার্স হচ্ছে। এখন যেহেতু ভালো সিনেমা হচ্ছে, তাই দরখাস্ত বাড়ছে। এটা একটা রিভলভিং ফান্ড। এটা দিয়ে অনেক হল রেনোভেট করা যাবে, নতুন হল করা যাবে। প্রথমে ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিল, আমরা দেখেছি এতে কোয়ালিটি হল হয় না। এ জন্য টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে সেটা ১০ কোটি করা হয়েছে।’

অনুদান বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু আর্ট ফিল্মে অনুদান দেব আর মেইনস্ট্রিমে দেব না… অনুদান তো এ জন্য নয়। অনুদান তো সব ধরনের সিনেমার জন্য। সব ধরনের মধ্যে মূলধারা তো হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি, এটা তো সবাইকে স্বীকার করতে হবে।

‘যারা চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে নির্মাণ করেননি, তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রথমে নোটিশ দেয়া হয়, এরপর যখন কমপ্লাই করে না, তখন মামলা করা হয়। এটার প্রেক্ষিতে অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছে এবং দিচ্ছে, যারা করতে পারেনি। আবার অনেকে বানাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
অজয়-সুরিয়া-অপর্ণা পেলেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
চলচ্চিত্র অনুদানে ‘প্রভাব’, ‘তদবির’, ‘অস্বচ্ছতা’ অবসানে ১০ দফা
গণ-অর্থায়নে ‘জাহাঙ্গীরনগর স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব’
মুম্বাই উৎসবে প্রদর্শিত হবে টুসির ‘রিপলস’
‘নিষিদ্ধ যৌনতার’ গল্প রুপালি পর্দায়, কানে সেরা ইরানি অভিনেত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সিদ্ধান্তে অনড় দীপিকা

সিদ্ধান্তে অনড় দীপিকা

মাতৃত্বের কারণে আট ঘণ্টা শুটিংয়ের শর্ত দিয়ে ‘স্পিরিট’ এবং ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবি থেকে বাদ পড়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। এরপর থেকে অনেকেই নায়িকার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। দীপিকা বলেন, একজন নারীর ক্ষেত্রে কটাক্ষ করা খুবই সহজ। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড়। আট ঘণ্টাই শুটিং করবো। তাতে যে যা পারে, বলুক।

মন্তব্য

বিনোদন
Ranbirs confession

রণবীরের স্বীকারোক্তি

রণবীরের স্বীকারোক্তি

বহু বছর আগেই অভিনেতা হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন রণবীর কাপুর। ‘সেলিব্রেট সিনেমা-২০২৫’ উৎসবে অভিনেতা স্বীকার করেন যে, তিনি নেপোটিজমের ফল। তিনি বলেন, আমার জীবনে সব সহজেই এসেছে। কিন্তু আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি বুঝেছিলাম যে, এমন এক পরিবার থেকে এসেছি, যদি আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি না থাকে, যদি নিজের নাম তৈরি করতে না পারি, ইন্ডাস্ট্রিতে সফল হতে পারব না।

মন্তব্য

বিনোদন
Niha warned

সতর্ক করলেন নীহা

সতর্ক করলেন নীহা

তারকাদের ছবি ও আইডি ব্যবহার করে প্রতারণা করার ঘটনাটি নতুন না হলেও বর্তমানে তা বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তারকা মাঝে-মধ্যেই অনুরাগীদের সতর্ক করছেন। এ তালিকায় রয়েছেন দেশের তারকারাও। কদিন আগেই অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া এ বিষয়ে সতর্ক করেন অনুরাগীদের। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অপ্রত্যাশিত ঘটনার শিকার হওয়ার আগেই সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নীহা। সম্প্রতি তিনি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ ব্যাপারে লিখেছেন, আমার নাম, ছবি বা পরিচয় ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস ও ফেসবুকে বা যেকোনো যোগাযোগ মাধ্যমে আপনাদের কাছে যদি কখনো অর্থ চাওয়া হয়, সেটা প্রতারণা। আমি কখনোই অন্য কাউকে ব্যক্তিগতভাবে এমন অনুরোধ করবো না। এই বিষয়ে যাদের পরিচয় পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। দয়া করে এমন কোনো অনুরোধ পেলে আমাকে সরাসরি জানাবেন এবং সেই নম্বর/ প্রোফাইল শেয়ার করবেন। এই পোস্টের মন্তব্য ঘরে নীহার অনুরাগীরা তার এমন সতর্কতামূলক পোস্টের প্রশংসা করেছেন। বর্তমানে নীহা প্রায় প্রতিদিনই নতুন নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সর্বশেষ গত মাসে ফারহান আহমেদ জোভানের বিপরীতে ‘সহযাত্রী’ নামক নাটকের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন নীহা।

মন্তব্য

বিনোদন
Shah Rukh Salman and Amir will be seen on one stage

এক মঞ্চে দেখা মিলবে শাহরুখ, সালমান ও আমিরের

এক মঞ্চে দেখা মিলবে শাহরুখ, সালমান ও আমিরের

অনেকদিন ধরেই এক মঞ্চে দেখা যায় না বলিউডের তিন সুপারস্টার শাহরুখ খান, সালমান খান ও আমির খানকে। বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড শোয়ের মঞ্চে শাহরুখ, সালমানের দেখা মিললেও দেখা যায়না আমিরকে। তাই একসঙ্গে একমঞ্চে এই তিন সুপারস্টারকে দেখার ইচ্ছা ভক্তদের অনেক দিনের।

অবশেষে তাদের এই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে, সৌদি আরবে একটি অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে দেখা মিলবে বলিউডের তিন সুপারস্টার শাহরুখ খান, সালমান খান ও আমির খানের।

বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহরুখ, সালমান ও আমির জয় ফোরামে একসঙ্গে অংশ নেবেন। আগামী ১৬ ও ১৭ অক্টোবর রিয়াদের এসইএফ অ্যারেনাতে দুই দিনব্যাপী এই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বলিউড সুপারস্টাররা শেষ দিন, অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর একটি সেশনেই উপস্থিত থাকবেন।

সৌদি সরকারের কর্মকর্তা ও জেনারেল এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তুর্কি আলালশিখ এক্সে লিখেছেন, আগামী ১৭ অক্টোবর শাহরুখ, সালমান ও আমির খান জয় ফোরামের এক ডায়ালগ সেশনে স্পিকার হিসেবে অংশ নেবেন।

এর আগে, সৌদি সরকারের একটি ওয়েবসাইট শুধু আমির খানের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছিল। তখন ৭ অক্টোবরের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ১০ অক্টোবর রাতে তুর্কি আলালশিখ তিন খানের উপস্থিত থাকার তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, ২০১৯ সালে শাহরুখ খান জয় ফোরামে অংশ নিয়েছিলেন। তখন জাকি চ্যান ও চলচ্চিত্র পরিচালক জাঁ-ক্লড ভ্যান ড্যামের সঙ্গে তার সেলফি ভাইরাল হয়েছিল।

মন্তব্য

বিনোদন
Alia Bhat is a unique height of 5 filmfare

৬টি ফিল্মফেয়ার, অনন্য উচ্চতায় আলিয়া ভাট

৬টি ফিল্মফেয়ার, অনন্য উচ্চতায় আলিয়া ভাট

গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৭০তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। কিরণ রাও পরিচালিত ‘লাপাতা লেডিজ’ ছবিটি এ বছর ১৩টি পুরস্কার জিতে নজির গড়লেও অভিনয়ের বিভাগে একেবারে খালি হাতে ফিরেছে। অন্যদিকে, আলিয়া ভাট, অভিষেক বচ্চন এবং কার্তিক আরিয়ান তুলে নিয়েছেন বড় বড় ট্রফি। বিশেষ করে আলিয়া ভাটের জয় ছিল ঐতিহাসিক।

‘জিগরা’ ছবির জন্য পাওয়া সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিল্মফেয়ার জয়, যা তাকে পৌঁছে দিয়েছে এক নতুন উচ্চতায়।

৬টি ফিল্মফেয়ার পেয়ে রেকর্ড করে আলিয়া ছাপিয়ে গিয়েছেন বলিউডের দুই কিংবদন্তি অভিনেত্রী- কাজল এবং নূতনকে, যারা দুজনেই পাঁচবার করে এই সম্মান পেয়েছিলেন। ‘জিগরা’-র জন্য পাওয়া এই পুরস্কার আলিয়াকে এনে দিয়েছে টানা তৃতীয় জয়। এর আগে তিনি ‘উড়তা পাঞ্জাব’, ‘রাজি’, ‘গালি বয়’, ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ এবং ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-র জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে এই রেকর্ড ছিল মীনা কুমারীর দখলে, যিনি ১৯৬৬ সালে ‘কাজল’ ছবির জন্য চতুর্থবার জয়ী হন। পরে নূতন এবং কাজল—দুজনেই পাঁচবার করে এই পুরস্কার জিতে ইতিহাসে জায়গা করে নেন। বিদ্যা বালান ও মাধুরী দীক্ষিতের রয়েছে চারটি করে জয়, আর বৈজয়ন্তীমালা, জয়া বচ্চন ও শাবানা আজমির ঝুলিতে রয়েছে তিনটি করে সেরা অভিনেত্রীর ট্রফি।

‘জিগরা’-তে আলিয়ার অভিনয় প্রশংসিত হলেও ছবিটি বক্স অফিসে সফল হয়নি।

৮০ কোটি বাজেটে নির্মিত ছবিটি আয় করেছে মাত্র ৫৫ কোটি। সমালোচকদের রিভিউ ছিল ইতিবাচক, কিন্তু দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয় ‘জিগরা’।

মন্তব্য

বিনোদন
Selena Gomez in Los Angeles in white robes

সাদা পোশাকে লস অ্যাঞ্জেলেসে সেলেনা গোমেজ

বিয়ের পরেও কাটেনি শুভ্র আভা
সাদা পোশাকে লস অ্যাঞ্জেলেসে সেলেনা গোমেজ

হলিউড তারকা সেলেনা গোমেজকে সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের বিলাসবহুল বেল-এয়ার হোটেল থেকে বের হতে দেখা গেছে। গত সেপ্টেম্বরে সংগীত প্রযোজক বেনি ব্ল্যাঙ্কোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরও তার সাজসজ্জায় যেন এখনো নববধূর শুভ্রতার ছোঁয়া বিদ্যমান।

৩৩ বছর বয়সি এই অভিনেত্রীকে দেখা যায় একটি মনোমুগ্ধকর সাদা পোশাকে, যার ফুলানো হাতা ও কুঁচি করা নকশা পোশাকটিকে অনন্য শৈলী দিয়েছিল। সম্পূর্ণ লুকের সঙ্গে ছিল ক্রিম রঙের পাতলা স্ট্র্যাপের ফ্ল্যাট জুতো, যা তার উপস্থিতি আরও মার্জিত করে তোলে। হাতে একটি ছোট বাক্স এবং মোবাইল ফোন নিয়ে তিনি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হালকা মেকআপ এবং খোলা চুলে সেলেনার শান্ত, চিরন্তন সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সেলেনা গোমেজ এবং বেনি ব্ল্যাঙ্কো একান্ত পরিবেশে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এই আলোচিত বিয়েতে টেলর সুইফটসহ একাধিক তারকা এবং সেলেনার ‘অনলি মার্ডার্স ইন দ্য বিল্ডিং’ সিরিজের সহ-অভিনেতা স্টিভ মার্টিন ও মার্টিন শর্ট উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠানে সেলেনার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও কিডনি দাতা ফ্রানসিয়া রাইসার অনুপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি সেই গুঞ্জনে ইতি টেনে এক স্প্যানিশ সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন ফ্রানসিয়া রাইসা। তিনি বলেন, “আমি জানি সেলেনা বিয়ে করেছে, আর আমি সত্যিই ওর জন্য খুশি।’

২০১৭ সালে সেলেনাকে কিডনি দান করা প্রসঙ্গে ফ্রানসিয়া যোগ করেন, ‘আমি সেটা করেছি সহানুভূতি থেকে, কোনো শর্তে নয়। শুরু থেকেই চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, এটা কেবল একটি দান—এর বেশি কিছু নয়।’ জীবন বাঁচানোই তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বের—তার মানে এই নয় যে আমরা সবসময় একসঙ্গে থাকতে হব।’

বিয়ের পর এই প্রথম প্রকাশ্যে সেলেনা গোমেজকে সাদা পোশাকে দেখে ভক্তমহলে আবারও তার বিয়ে ও নতুন জীবন নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Elias Kanchans family

মৃত্যুর গুজবে বিরক্ত ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার

বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান ছেলের
মৃত্যুর গুজবে বিরক্ত ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার

জনপ্রিয় অভিনেতা ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছে তার পরিবার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিনেতার ছেলে মিরাজুল মইন জয় দেশবাসীর প্রতি গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক বার্তায় মিরাজুল মইন জয় নিশ্চিত করেন, ‘বাবা বর্তমানে অসুস্থ এবং চিকিৎসাধীন আছেন। তার চিকিৎসা চলছে নিয়মিত। দয়া করে কেউ কোনো গুজবে কান দেবেন না।’ তিনি দেশবাসীসহ সবার কাছে বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান।

ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন বলে সম্প্রতি জানা যায়।

বাবার সুস্থতা কামনায় দেশ-বিদেশের মানুষের আন্তরিক দোয়ায় পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। জয় বলেন, ‘বাবার অসুস্থতার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দেশ-বিদেশে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর কর্মী, বাবার ভক্ত এবং সাধারণ মানুষ আন্তরিকভাবে দোয়া করছেন। বিশেষ করে জুম্মার নামাজে বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ জন্য আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।’

তবে গুজবের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি কিছু ইউটিউবার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জয় বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, কিছু ইউটিউবার ও ফেসবুক ব্যবহারকারী সামান্য ভিউয়ের আশায় বিভ্রান্তিকর ভিডিও প্রকাশ করছেন। এগুলো জনমনে আঘাত হানছে এবং আমার বাবার ভক্তদের কষ্ট দিচ্ছে।

আমরা এসব কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’

পরিবার ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতা নিশ্চিত করে ভক্তদের এই ধরনের ভিত্তিহীন ও মনগড়া খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে