ইরস নাও ভারতীয় একটি সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক ওভার দ্য টপ (ওটিটি), ভিডিও অন ডিমান্ড (ভিওডি) এবং বিনোদন মূলক প্ল্যাটফর্ম। এদেশের নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত নামটি।
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশসহ অনেকে দেশে ইরস নাও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাংলাদেশেও কাজ শুরু করেছে প্ল্যাটফর্মটি। ফেসবুকে ইরস নাও মারাঠি, ইরস নাও সাউথ এর মতো ইরস নাও বাংলাদেশ নামের একটি ভেরিফায়েড পেজ রয়েছে।
সেই পেজে প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের সিক্স নামের একটি কনটেন্টের টিজার। তানিম পারভেজ পরিচালিত এ সিরিজটিই হতে যাচ্ছে ইরস নাও বাংলাদেশের প্রথম অরিজিনাল।
ইরস নাও বাংলাদেশ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে টিজারটি প্রকাশ করে তার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘চারিদিকে অস্থিরতা। চাপা ক্ষোভ থেকে হত্যা। অগ্নিকাণ্ড কিংবা রেললাইনে খুন। পেছনে কে? কেউ কি ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু করছে?’
ইরস নাও এর হয়ে বাংলাদেশে কাজ করে এলবিসি মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার সুজয় কে. শর্মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইরস নাও বাংলাদেশে কাজ করে আমাদের মাধ্যমে। আমরা ইরস নাও এর হয়ে সিক্স নির্মাণ করেছি। ইরস নাও এর প্ল্যাটফর্মে দর্শকরা এটি দেখতে পারবেন।’
তিনি জানান ২ সেপ্টেম্বর সিক্স মুক্তি পাবে এবং প্রথম থেকেই এটি বাংলা ও হিন্দি ভাষায় দেখতে পারবেন দেশ-বিদেশের দর্শকরা। আগ্রহীরা ইরস নাও এর অ্যাপ নামিয়ে সাবস্ক্রাইব করে কনটেন্টটি দেখতে পারবেন।
সুজয় আরও বলেন, ‘সিক্স কাজটি আমরা করেছি দেড় বছর ধরে। আমাদের আরও কাজ করার ইচ্ছা আছে। তবে সেগুলো নির্ভর করছে। সিক্স সিরিজটি কেমন যাবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
সিক্স সিরেজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। আরও আছেন নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, অপর্ণা ঘোষ, সোহেল মন্ডল, তারিক আনাম খান, ইয়াশ রোহান, অশোক ব্যাপারী।
সিরিজটিতে থ্রিলার, ড্রামা ও সাই-ফাইয়ের মিশ্রণ রয়েছে। এর ট্রেইলার আসবে ২৬ আগস্ট।
আরও পড়ুন:তরতরিয়ে বাড়ছে রণবীর কাপুর অভিনীত ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার আয়। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই যেন বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে এই সিনেমা। তাই তো মাত্র তিনদিনেই ২০০ কোটির গণ্ডি টপকে গেল ‘অ্যানিমেল’। তিনদিনের দিন বক্স অফিসে ৭০ কোটি রুপি আয় করল রণবীরের সিনেমা।
সচনিল্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তিনদিনে ‘অ্যানিমেল’ ২০০ কোটির উপর আয় করেছে। রোববার অর্থাৎ মুক্তির তিনদিনের মাথায় এটি ৭০ কোটি রুপি ঘরে তুলেছে।
১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার এই ছবিটি সেদিন ৬৩.৮ কোটি রুপি আয় করেছিল। তার পরদিন ৬৬.২৭ কোটি রুপি আয় করে। অর্থাৎ রোববারের আয় মিলিয়ে এটি ২০০ কোটি রুপি টপকে যাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তবে তেলুগু ভাষার তুলনায় ছবিটির হিন্দি ভার্সন বেশি আয় করছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অ্যানিমেল’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন খ্যাতনামা পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। এতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রণবীর কাপুরকে। এ ছাড়াও অভিনয় করছেন রাশ্মিকা মান্দানা, অনিল কাপুর, তৃপ্তি দিমরিসহ আরও অনেকে।
বলিউড সিনেমায় অভিষেক ঘটতে চলেছে পাঁচবার বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসানের। চলচ্চিত্রের নাম ‘কড়ক সিং’। যার প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হয় ৯ নভেম্বর, তবে কোনো প্রেক্ষাগৃহে নয়, ছবিটি শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে ভারতের ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে।
২০২২-এর শেষের দিকে প্রজেক্টটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা। শুটিং ও নির্মাণের যাবতীয় কাজ শেষে ফার্স্ট লুক পোস্টারের মাধ্যমে তার হিন্দি সিনেমার ব্যাপারটি চূড়ান্ত হলো। খবর ইউএনবির
শুধু ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায়ই নয়; এর মাধ্যমে ভারতের প্রতিভাবান সব চলচ্চিত্র কর্মীদের সাহচর্য পেলেন চিরতরুণ এই অভিনেত্রী।
এই মুভির মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো হিন্দি ভাষায় নির্দেশনা দিলেন ভারতের বাঙালি নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী।
ছবির নাম ভূমিকায় এখানে দেখা যাবে বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী। যদিও চলচ্চিত্রের ভাষা বাংলা নয়; কিন্তু একজন বাঙালি পরিচালকের সঙ্গে এ নিয়ে পঙ্কজ তৃতীয়বারের মতো কাজ করলেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ‘দিল বেচারা’ (২০২০) খ্যাত অভিনেত্রী সঞ্জনা সাংঘী, এবং মালায়ালাম অভিনেত্রী পার্বতী থিরুভোথু। এ ছাড়াও রয়েছেন দিলীপ শঙ্কর, পরেশ পাহুজা, বরুণ বুদ্ধদেব সহ আরও অনেকে।
জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা পর্যন্ত যাত্রা পথ কতটা দীর্ঘ ছিল তা বলাই বাহুল্য। ১৯৯৭ সালের সেই কোকাকোলার বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে টিভি নাটক। এরপর থেকে পুরো অভিনয় জীবনে নিজেকে বহুবার ভেঙেচুরে নতুন করে গড়েছেন এই অভিনেত্রী।
নিজের একটি ভিন্ন ঘরানার দর্শক থাকলেও সুপারহিট তারকাতুল্য সাফল্যের পরশ পেতে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে দুই দশকেরও বেশি সময়। আর সেই পরিশ্রম ও ধৈর্য্যের প্রতিদানেই এখন ক্যারিয়ারের সব থেকে স্বর্ণ সময়টি পার করছেন জয়া।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রাপকদের মধ্যে বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করবেন এবং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। খবর বাসসের
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
স্বাগত বক্তব্য দেবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন এবং চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, দর্শক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এর আগে, ৩১ অক্টোবর ২৭টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছে মুহাম্মদ কাইয়ুম ও মো. তামজিদ উল আলম প্রযোজিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ এবং ‘পরান’ চলচ্চিত্র।
‘রোজিনা’ নামে পরিচিত বিশিষ্ট শিল্পী কামরুল আলম খান খসরু এবং রওশন আরা রোজিনা চলচ্চিত্র শিল্পে তাদের বিশাল অবদানের জন্য ২০২২ সালের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার জিতেছেন।
সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন তার ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ (বাংলায় ‘শিমু’ নামেও পরিচিত) চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন।
চঞ্চল চৌধুরী ‘হাওয়া’ (বাতাস) চলচ্চিত্রে তার প্রধান ভূমিকার জন্য সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হন, যেখানে সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার ২০২২ যৌথভাবে জয়া আহসান চলচ্চিত্র ‘দ্য বিউটি সার্কাস’ এবং রিকিতা নন্দিনী শিমু চলচ্চিত্র ‘শিমু’র জন্য পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য বিবেচনায় শিল্পী ও কলাকুশলীদের সৃজনশীলতা এবং অভিনয়শৈলীর স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩২টি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পুরস্কার পেলেন যারা
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’।
প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন যৌথভাবে জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু। ‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জয়া এবং ‘শিমু’ চলচ্চিত্রের জন্য রিকিতা নন্দিনী শিমু এই পুরস্কার পান।
এছাড়া আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা খসরু ও অভিনেত্রী রোজিনা। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে যৌথভাবে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ‘ঘরে ফেরা’। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন। পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন মোহাম্মাদ নাসির উদ্দিন খান (পরাণ চলচ্চিত্র)।
পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন আফসানা মিমি (পাপ-পূণ্য)। শ্রেষ্ঠ খল চরিত্রে পুরস্কার পেয়েছেন সুভাশিষ ভৌমিক (দেশান্তর)। শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা সাইফুল ইমাম। শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী যৌথভাবে হয়েছে বৃষ্টি আক্তার ও মুনতাহা এমিলিয়া। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ফরজিনা আক্তার। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক মাহমুদুল ইসলাশ খান (রিপন খান)।
শ্রেষ্ঠ গায়ক হয়েছেন যৌথভাবে বাপ্পা মুজুমদার ও চন্দন সিনহা। শ্রেষ্ঠ গায়িকা আতিয়া আক্তার আনিসা। শ্রেষ্ঠ গীতিকার রবিউল ইসলাম (জীবন)। শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন।
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হয়েছেন যৌথভাবে ফরিদুর রেজা সাগর ও খোরশেদ আলম খসরু। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মোহাম্মাদ আব্দুল কাইউম।
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা এস এ হক অলিক। শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সুজন মাহমুদ। শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক হিমাদ্রি বড়ুয়া। শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক আসাদুজ্জামান মজনু। শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ। শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা তানসিনা শাওন। শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মোহাম্মাদ খোকন মোল্লা।
টালিউড সুপারস্টার জিৎ অভিনীত সিনেমা ‘মানুষ’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২৪ নভেম্বর। এটি নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশের পরিচালক সঞ্জয় সমদ্দার।
অভিনয়ের পাশাপাশি জিৎ সিনেমাটির প্রযোজনাও করেছেন। কলকাতার পাশাপাশি একই দিনে সিনেমাটি বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে। আর এ কারণে ঢাকায় সিনেমার প্রচারের জন্য আসবেন জিৎ। খবর ইউএনবির
আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ‘মানুষ’। এর পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়া।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় পরিসরে মুক্তি পাবে জিতের এই সিনেমা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া জিতের সব সিনেমাই দর্শক গ্রহণ করেছে। এ সিনেমায় মূল ভূমিকায় আছেন বাংলাদেশের কলাকুশলী, পরিচালক ও অভিনেত্রী। তাই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের আরও বেশি আগ্রহ থাকবে। জিৎও সিনেমাটি মুক্তির আগে বাংলাদেশে প্রচারে অংশ নেবেন।’
সিনেমার প্রচারে অংশ নিতে জিৎ কবে ঢাকায় আসবেন সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু বলা হয়নি।
‘মানুষ’ সিনেমায় জিতের বিপরীতে দেখা যাবে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে। এ ছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম।
আরও পড়ুন:বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ করে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি, শহীদ জিয়াউর রহমানকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করায় এই সিনেমা বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ১০ জনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ১০ জনের মধ্যে বাংলাদেশের সাতজন আর ভারতের তিনজন।’
নোটিশপ্রাপ্তির পর সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ আইনজীবী।
গত ১৩ অক্টোবর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ নামের চলচ্চিত্রটি দেশব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেন নামী নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্র্রণালয়। চলতি বছরের ৩১ জুলাই দুই দেশের সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায় চলচ্চিত্রটি।
এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। আর শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া।
আরও পড়ুন:সারা দেশে শুক্রবার মুক্তি পেল বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় সাধারণত মধ্যাহ্নভোজের পরেই থাকে। এবারের চিত্রটাও তেমন।
স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় শুক্রবার দুপুর ৩টা ও সন্ধ্যা ৭টার শোতে দেখানো হয় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। প্রথম শো শেষ হয় প্রায় সন্ধ্যা ৬টায়। ততক্ষণে সাংবাদিকদের ভিড় জমে হল থেকে বাহির হওয়ার দরজায়। কারণ ভেতরে দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি দেখছেন আরিফিন শুভ। এরইমধ্যে সবার জানা এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই চিত্রনায়ক। খবর ইউএনবির
শো শেষ হতেই হলভর্তি দর্শক বের হওয়া শুরু করল, সঙ্গে ছিলেন আরিফিন শুভ। এমন সময় মুজিব কোর্ট পরা একজন তরুণ দর্শককে দেখে এগিয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম কেমন লাগলো সিনেমাটি?
তার ভাষ্য, ‘জাতির জনককে আমরা এতদিন পড়ে জেনেছি, এবার সিনেমার পর্দায় তাকে দেখে ভিন্ন এক বঙ্গবন্ধুকে মনে হয় চিনলাম। যা পড়েছি সেই ঘটনাগুলো যেন চোখের সামনে দেখছি। আরিফিন শুভকে ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে চরিত্রটিকে এতটা বাস্তব রূপে তুলে ধরার জন্য। এ ছাড়া অন্য চরিত্রেগুলো যারা আছেন সবাই দারুণ করেছেন।’
শিউলি আক্তার নামে একজন দর্শক এসেছেন তার সন্তানকে নিয়ে। সিনেমাটি দেখার পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে প্রত্যাশার চেয়েও বেশিকিছু পেলাম। মনে হলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি সিনেমা তো এমনই হবে। আমার সন্তানকে নিয়ে এসেছি আমাদের জাতির জনককে পর্দায় দেখাতে। আমাদের নতুন প্রজন্মের উচিত সিনেমাটি দেখা। যেহেতু বই পড়ার চর্চা এখন কমে গেছে, সেই জায়গা থেকে এই সিনেমায় যেহেতু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে তাই অনেক বিষয় জানা যাবে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় ৭টার শো দেখার জন্য দর্শক এরইমধ্যে প্রবেশ করছে তখন। মূল ফটকের সামনে বেশ ভিড়। তার সঙ্গে আরিফিন শুভ যেহেতু সেখানে তাকে ঘিরে ভক্তদের বাড়তি একটি ভিড় রয়েছেই। সিনেমা দেখার পর নায়ক যখন চোখের সামনে, তখন এমনটা যেন চিরচেনা চিত্র।
এদিক-সেদিক দেখতে দেখতে কথা হলো কলেজপড়ুয়া একজনের সঙ্গে। সিনেমার পর্দায় বঙ্গবন্ধুকে দেখে তার অনুভূতি জানতে চাইলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশি অনেক সিনেমা দেখি যেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ককে দেখানো হয়। আমাদের দেশের সিনেমায় এই চর্চা খুব একটা নেই। গুটিকয়েক সিনেমায় দেখা গেলেও ঠিক যেন হয়ে উঠছিল মনে হয়নি, তবে এবারের অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন। এই সিনেমা অনেক কথা বললো। শুধু গল্পের গাঁথুনি নয়, সিনেমাটির নির্মাণ ছিল আন্তর্জাতিক মানের। আর সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পর্দায় এতো ডিটেইলস দেখতে পেলাম। আরিফিন শুভকে বেশ মানিয়েছে। আর বেশ আবেগঘন অবস্থায় হল থেকে বের হয়েছি।’
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ট্রেলার প্রকাশে পর এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। কিন্তু মুক্তির পর চিত্রটা ভিন্ন। ছোট-বড় সকল দর্শকের মুখে প্রশংসা সিনেমাটি নিয়ে। কেউ বলছেন কেঁদেছেন আবার কারও মনে আরও গভীরভাবে গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু। এটিই হয়তো একটি সিনেমার স্বার্থকতা।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন বলিউড পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। এতে বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক শিল্পী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য