ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে এবং বাচ্চা যদি তাড়াতাড়ি না হত তাহলে খুশি হতেন অভিনেত্রী ও শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
কলকাতায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে অপু অভিনীত সিনেমা আজকের শর্টকাট। তার প্রচারের কাজে এখন তিনি কলকাতায় রয়েছেন।
‘অপু বিশ্বাসের জীবনের এই যাত্রাপথে কোন ঘটনা না ঘটলে আপনি খুশি হতেন?’, আনন্দবাজারের এমন প্রশ্নের উত্তরে অপু বলেন, ‘অবশ্যই বলব, শাকিব খানের সঙ্গে বিয়েটা। এত দ্রুত বিয়ে, দ্রুত বাচ্চা সবটাই তাড়াতাড়ি করে ফেলেছি। এটা যদি সময় নিয়ে করতাম, বুঝে করতাম তা হলে ভালো হত।’
বিয়ে-সন্তান নিয়ে অপু বিশ্বাস আক্ষেপ করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি প্রশ্ন করলেন, তাই উত্তর দিলাম। তবে এটা সত্যি বিয়ে না হলে তো মা হওয়াও হত না।’
বিয়ে নিয়ে অপুর কণ্ঠে অখুশির সুর থাকলেও সন্তান নিয়ে খুশি তিনি। অপু বলেন, ‘মা হয়েছি। ভুল করে হলেও...।’
অপু কলকাতায় থাকলেও ছেলে আব্রাম খান জয়কে দেশে রেখে গেছেন। অপু জানান, জয়কে তিনি সেভাবেই বড় করছেন যেন, সে বুঝতে পারে মায়ের জীবনে কাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শাকিব খানের সঙ্গে আবার সিনেমায় অভিনয় করবেন কিনা, জানতে চাইলে অপু বলেন, ‘দর্শক যে দিন চাইবে, সেদিন আমাদের একসঙ্গে দেখা যাবে।’
আজকের শর্টকাট সিনেমাটি কলকাতায় অপু অভিনীত প্রথম সিনেমা। বেকারত্বকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে সিনেমার গল্প। গল্পটি জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর, পরিচালনায় সুবীর মণ্ডল।
সিনেমার কেন্দ্রিয় চরিত্রে আছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অপু বিশ্বাস, গৌরব চক্রবর্তী। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ভারতে যান চিকিৎসা করাতে। তাদের নিয়েই সিনেমার গল্প; আছে বেকারত্বের সমস্যার কাহিনিও। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া তেমনই এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস। ঘটনাচক্রে যার পরিচয় হবে গৌরবের সঙ্গে।
সম্প্রতি অপু বিশ্বাস নাম লিখিয়েছেন প্রযোজকের খাতায়। প্রযোজক হিসেবে সারকারি অনুদান পেয়েছেন তিনি। সিনেমার নাম লাল শাড়ি। বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় সিনেমাতে অভিনয়ও করবেন তিনি।
আরও পড়ুন:চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে লড়তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন নায়ক ফেরদৌস।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সম্প্রতি এই দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
ফেরদৌস দুই দশকের ক্যারিয়ারে দুই বাংলায় উপহার দিয়েছেন বহু ব্যবসা সফল সিনেমা। চলচ্চিত্র জগতের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নানা সময় সক্রিয় দেখা গেছে তাকে। তিনি ক্ষমতাসীন এ দলের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
চিত্রনায়ক ফারুকের আসনে ফেরদৌসের আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ফেসবুকে প্রথম প্রসঙ্গটি তোলেন আরেক নায়ক ওমর সানী। এর আগে বিনোদন জগতের আরও কয়েকজনের নামও এসেছে এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। এর মধ্যে আছেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারাও।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ মে মারা যান চিত্রনায়ক ফারুক। পরে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ শূন্য আসনে ভোট হবে আগামী ১৭ জুলাই। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন।
সিদ্দিক নিজেই চালাচ্ছেন প্রচারণা, ফেরদৌসের সক্রিয় আছেন। আর আলমগীরের নাম তুলেছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান। তবে আলমগীরের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি এখনও।
নায়ক ফেরদৌস বনানী ডিওএইচএস এলাকায় বসবাস করছেন অনেক দিন ধরেই। এবার এ এলাকার মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান তিনি।
স্বামী শরিফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ আর না বাড়তে দিয়ে বরং সংসারের হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে ফেলার পক্ষে মত দিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
কাগজে-কলমে ডিভোর্স না হলেও এখন থেকে আর রাজের স্ত্রী নন বলে দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, শিগগিরই এই সম্পর্ক মিটিয়ে ফেলা দরকার।
সুনেরাহ বিনতে কামলাসহ কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়া নিয়ে অভিনেতা রাজের সংসারে টানাপোড়েন চলছে কদিন ধরেই।
এরই মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে এক জাতীয় দৈনিকের ফেসবুক পেজে একটি অনুষ্ঠানে এসে লাইভে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন রাজ। সোমবার একই অনুষ্ঠানে আসেন পরীমনিও। সেখানেই পরিবার নিয়ে কথা বলেন তিনি।
পরীমনি বলেন, ‘আজকে থেকে আমি রাজের বউ না। রাজ আমাকে কাগজে-কলমে ডিভোর্স দেয়নি তো কী হয়েছে। এই মুহূর্তে এটা অসম্মাজনক।
‘যে মানুষটা সত্যিকারের সম্মান করতে জানে না; আমি বলব, যত দ্রুত সম্ভব এটাকে সেটেল ডাউন করে ফেলি।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোনোকিছু ব্লেইম নিতে চাই না। যেটা আমার সাথে অন্যায় সেটা আমি মেরুদণ্ড সোজা করে উত্তর দিতে চাই। সে একা থাকতে চাচ্ছে। তার জন্য অনেকেই আছেন।
‘আমি যথেষ্ট সময় দিয়েছি। পাঁচ মাস একটা দীর্ঘ সময়। সাপোর্ট আমি কখনই রাজের থেকে পাইনি। ও কখনই আমার সাথে বসতে চায়নি। আমি টেবিল টক করতে চাই, ও চায়নি।’
নায়িকা বলেন, ‘আমি বলতে চাই। আমাকে মাফ করে দাও। আমি ব্লেইম গেম নিতে চাই। বাচ্চা নিয়ে থাকতে চাই। কাজ নিয়ে থাকতে চাই। সুস্থ জীবন চাই।’
সার্বিক পরিস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে, স্পষ্টতই অবনতির দিকে যাচ্ছে শরিফুল ইসলাম রাজ ও পরীমনির সম্পর্ক। জল ঘোলা হচ্ছে ক্রমেই। সংসার করা হবে কি না, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। পর্দার এ নায়ক ও নায়িকার সম্পর্ক এখন দা-কুমড়া বললেই চলে।
কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। এই রাজ কথা বলছেন, তো একটু পরই তার উত্তর দিচ্ছেন পরীমনি। অবশ্য এসব সামনাসামনি নয়, বরং সংবাদমাধ্যম বাসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রাজ-পরী দম্পতির সাংসারিক কলহ ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়। তবে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে জড়িয়ে এবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে ২৯ মে রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে পরদিন রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি।
পরীমনিকে ইঙ্গিত করে সুনেরাহ লেখেন, ‘দয়া করে এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। আমি নিশ্চিত, ওর (রাজ) আইডি হ্যাকড হয়েছে। কে হ্যাক করেছে, আমরা সেটা জানি; প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এর পর দিন সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে কথা বলেন রাজও। তার বক্তব্য, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
এরপর পরীমনি আবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন। সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছে রাজ। তার ফোনও নাকি তার কাছেই। এসব ছবি ও ভিডিও সুনেরাহই ছড়িয়েছেন।
এর আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল গত পহেলা জানুয়ারি। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
আরও পড়ুন:অনেক চেষ্টা করেও সংসার টেকাতে পারছেন না বলে জানালেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। স্বামী শরিফুল ইসলাম রাজ বিয়ের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলেছেন বলেও জানালেন তিনি। বললেন, হাত-পা ধরেও রাজের সঙ্গে ঘর করতে পারছেন না।
সুনেরাহ বিনতে কামালসহ আরও কয়েক অভিনেত্রীর সঙ্গে রাজের ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেক দূর। কদিন ধরে এ নিয়েই চলছে টানাপোড়েন। রাজ-পরীর সংসার এখন এই আছে; এই নাই।
এরই মধ্যে রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। তিনি বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি রাজের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকতে। কিন্তু তা আর হলো না। এরপরও আমি তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি, হাত-পা ধরেছি।
পরীমনি বলেন, কিন্তু রাজ আমার সাথে থাকতে চায় না। যাওয়ার আগে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে গেছে। আমাকে নিয়ে যে কথাগুলো তুললো, তার প্রমাণ যেন অবশ্যই সে দেয়।
তিনি বলেন, গত মার্চের শেষ সপ্তাহে আমাদের বিয়ের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলে রাজ। ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে। তখন সে বলেছিল, এ বিয়ে সে মানে না। কাবিনামা ছিঁড়লেই কি বিয়ে ভেঙে যায়। সন্তানের মুখের দিকে চেয়েও সংসারের প্রতি আস্থা রেখেছিলাম। সেটাও আর হয়ে উঠলো না।
একই দিন আরেকটি গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজের লাইভ অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রায় একই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজও। পরীমনির সঙ্গে আর থাকা হচ্ছে না, এমন ইঙ্গিত দেন তিনি।
সার্বিক পরিস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে, স্পষ্টতই অবনতির দিকে যাচ্ছে শরিফুল ইসলাম রাজ ও পরীমনির সম্পর্ক। জল ঘোলা হচ্ছে ক্রমেই। সংসার করা হবে কি না, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। পর্দার এ নায়ক ও নায়িকার সম্পর্ক এখন দা-কুমড়া বললেই চলে।
কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। এই রাজ কথা বলছেন, তো একটু পরই তার উত্তর দিচ্ছেন পরীমনি। অবশ্য এসব সামনাসামনি নয়, বরং সংবাদমাধ্যম বাসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বামীকে নিয়ে কথা বলতে তাই ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছেন পরীমনি।
রাজ-পরী দম্পতির সাংসারিক কলহ ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়। তবে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে জড়িয়ে এবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে ২৯ মে রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে পরদিন রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি।
পরীমনিকে ইঙ্গিত করে সুনেরাহ লেখেন, ‘দয়া করে এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। আমি নিশ্চিত, ওর (রাজ) আইডি হ্যাকড হয়েছে। কে হ্যাক করেছে, আমরা সেটা জানি; প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এর পর দিন সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে কথা বলেন রাজও। তার বক্তব্য, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
এরপর পরীমনি আবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন। সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছে রাজ। তার ফোনও নাকি তার কাছেই। এসব ছবি ও ভিডিও সুনেরাহই ছড়িয়েছেন।
এখন পর্যন্ত সুনেরাহ, রাজ, পরীমনির সংকট মেটেনি। নানা মাধ্যমে একে অপরকে দোষারোপ করছেন প্রত্যেকে। এরই মধ্যে রাজ-পরীর সংসারে ভাঙনের সুর বেজেছে। পরী-রাজ, দুজনেই বলছেন এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এর আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল গত পহেলা জানুয়ারি। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
আরও পড়ুন:চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে লড়তে চান আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
অবশ্য নির্বাচনে লড়ার অভিজ্ঞতা তার এর আগেও রয়েছে। বগুড়ার দুটি আসনে লড়ে পরাজিত হয়েছেন তিনি। হিরো আলম যে আসনে লড়তে চান, সে আসনে এরই মধ্যে নাম এসেছে নায়ক আলমগীর, ফেরদৌস ও অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে নিউজবাংলাকে ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থী হতে যাওয়ার তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম। দুপুরে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে নির্বাচন কার্যালয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
হিরো আলম বলেন, আমি মিডিয়া কর্মী। নায়ক ফারুকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সমবেদনা আছে। আমি তার এলাকায় ঘুরে দেখেছি, এখনও অনেক কাজ বাকি। আসনের মেয়াদ আছে পাঁচ মাস। এই সময়ের মধ্যে নায়ক ফারুকের হয়ে কিছু কাজ করতে পারলে নিজেরও ভালো লাগবে।
তিনি বলেন, এ জন্য আজ দুপুর ৩টায় নির্বাচন কমিশন থেকে ফর্ম নিতে যাবো।
এর আগে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি বগুড়া ৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন হিরো আলম।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ মে মারা যান চিত্রনায়ক ফারুক। পরে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ শূন্য আসনে ভোট হবে আগামী ১৭ জুলাই। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন।
এরই মধ্যে এই আসনে চিত্রনায়ক আলমগীর, ফেরদৌস এবং অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের নাম আলোচনায় এসেছে। সিদ্দিক নিজেই চালাচ্ছেন প্রচারণা, ফেরদৌসের নাম এনেছেন আরেক নায়ক ওমর সানী। আর আলমগীরের নাম তুলেছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান।
স্পষ্টতই অবনতির দিকে যাচ্ছে শরিফুল ইসলাম রাজ ও পরীমনির সম্পর্কের পরিস্থিতি। জল ঘোলা হচ্ছে ক্রমেই। সংসার করা হবে কি না, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। পর্দার এ নায়ক ও নায়িকার সম্পর্ক এখন দা-কুমড়া বললেই চলে।
কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। এই রাজ কথা বলছেন, তো একটু পরই তার উত্তর দিচ্ছেন পরীমনি। অবশ্য এসব সামনাসামনি নয়, বরং সংবাদমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার স্বামীকে নিয়ে কথা বলতে তাই ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছেন পরীমনি।
রোববার একটি গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে লাইভ অনুষ্ঠানে পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক ও ছবি এবং ফাঁস হওয়া ভিডিওসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন রাজ। সেখানে তিনি পরীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন বিভিন্ন কথা। সোমবার সকালে সেই ভিডিও শেয়ার করে পরীমনি লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরীমনি লিখেছেন, শরিফুল ইসলাম রাজ, আপনি একটু সংযত হতেই পারতেন। সামনে বসে থাকা একজন নারী উপস্থাপক এতো ভদ্রতার সাথে আপনাকে প্রশ্ন করছেন, কথা বলছেন অথচ আপনি অসভ্য এবং উগ্রতার সাথে তর্ক করার মতো করে কথা বলে যাচ্ছেন!
তিনি লিখেছেন, আপনাদের বন্ধুদের একান্ত মুহূর্তের সেই সব বাজে, নোংরা ভাষা আপনি সেটাও বলে ফেল্লেন! সামনে বসা নারীকে আপনার ওয়াইফ হিসেবে দ্বার করে কিছু ব্যাখা দেয়া একজন নারীকে বিব্রত করতে পারে এটা বোঝেন না?
নায়িকা লিখেছেন, আপনার কালকের লাইভের সব কথার উত্তর আপনাকে আজ লাইভেই দেব। ততক্ষণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক মস্তিষ্কে থাকার চেষ্টা করবেন অব্যশই।
রাজ-পরী দম্পতির সাংসারিক কলহ ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়। তবে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে জড়িয়ে এবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে ২৯ মে রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে পরদিন রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি।
পরীমনিকে ইঙ্গিত করে সুনেরাহ লেখেন, ‘দয়া করে এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। আমি নিশ্চিত, ওর (রাজ) আইডি হ্যাকড হয়েছে। কে হ্যাক করেছে, আমরা সেটা জানি; প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এর পর দিন সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে কথা বলেন রাজও। তার বক্তব্য, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
এরপর পরীমনি আবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন। সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছে রাজ। তার ফোনও নাকি তার কাছেই। এসব ছবি ও ভিডিও সুনেরাহই ছড়িয়েছেন।
এখন পর্যন্ত সুনেরাহ, রাজ, পরীমনির সংকট মেটেনি। নানা মাধ্যমে একে অপরকে দোষারোপ করছেন প্রত্যেকে। এরই মধ্যে রাজ-পরীর সংসারে ভাঙনের সুর বেজেছে। পরী-রাজ, দুজনেই বলছেন এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এর আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল গত পহেলা জানুয়ারি। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
আরও পড়ুন:প্রেমটা চুটিয়েই করছেন অস্কারজয়ী অভিনেতা আল পাচিনো। এবার তিনি দিলেন বাবা হতে যাওয়ার খবরও।
৮৩ বছর বয়সী আর ২৯ বছরের নূর আলফাল্লাহর ঘরে নতুন অতিথি আসতে যাওয়ার খবর দিয়েছে এনডিটিভিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
‘গডফাদার’ অভিনেতা পাচিনো এবার বাবা হচ্ছেন চতুর্থ বারের মতো, সব সন্তানই তার আগের সঙ্গীদের। আর চলচ্চিত্র প্রযোজক আলফাল্লা এবারই প্রথম মা হচ্ছেন। মাস খানেকের মধ্যেই সন্তান প্রসব করতে পারেন তিনি।
গত বছর নিজের ৮২তম জন্মদিনে প্রথম বার নুরের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায় পাচিনোকে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তারা দিলেন সুখবর।
বয়সের ব্যবধান ৫৪ হলেও প্রেমে কমতি নেই এই যুগলের। করোনা মহামারির সময় থেকেই নাকি তারা একে অপরের কাছে আসেন।
আলফাল্লা লস অ্যাঞ্জেলেসের বেভারলি হিলসে বড় হয়েছেন। তার বাবা কুয়েতি হলেও মা আমেরিকার বাসিন্দা। চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার আগে তিনি ইউসিএল-এ স্কুল অফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন-এ পড়াশোনা করেছেন।
আল পাচিনোকে গডফাদার সিরিজ ছাড়াও দেখা গেছ ‘স্কেয়ারফেস’, ‘সেন্ট অব এ উম্যান’, ‘সার্পিকো’,‘দ্য ডেভিলস অ্যাডভোকেট’, ‘সি অব লভ’, ‘হিট’, ‘দ্য ইনসাইডার’-সহ হলিউডের একাধিক কালজয়ী সিনেমায়। হলিউডে তৈরি হতে চলা ‘মোদি’ বায়োপিকেও থাকবেন তিনি। জীবনীচিত্রটি তৈরি করছেন জনি ডেপ।
আরও পড়ুন:
ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতা শরিফুল ইসলাম রাজ ও অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল কি না, কিংবা এগুলো অন্য কিছু ইঙ্গিত দেয় কি না। তবে সুনেরাহ রাজের মতোই সে গুজব উড়িয়ে দিলেন।
বুধবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, রাজের প্রতি তার কোনো ইন্টারেস্টই নেই ওইভাবে। তারা কেবলই ভালো বন্ধু। আগেরদিন রাজও একই কথা বলেছেন। ছবি ও ভিডিও নিয়ে বিব্রত জানিয়ে তিনি বলেছেন, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
রাজের সঙ্গে কোনো গুজব আছে কি না, সে প্রশ্নে সুনেরাহ বলেন, আমাদের নিয়ে কখনোই কোনো গুজবের প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের কিছু নাই। ওর প্রতি আমার জিরো পয়েন্ট জিরো ইন্টারেস্টও নেই ওইভাবে। ও আমার ভালো বন্ধু। ও সব সময় আমাকে ছেলেদের মতো ট্রিট করে আসছে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ও আমাকে শুধু বলত, তুই মেয়ে নাকি, তুই মেয়ে নাকি, তুই পোলা। সব সময় এভাবেই ট্রিট করছে। আমরা এমনই বন্ধু। এখানে অন্য কিছুর প্রশ্নই ওঠে না।
অবশ্য আগেরদিনই রাজের স্ত্রী চিত্রনায়িকা পরীমনি বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুনেরাহর ওপর। রাজ ১০ দিন ধরে তার সঙ্গে নেই জানিয়ে নায়িকা বলেন, রাজ তো ১০ ধরে ওর সঙ্গেই আছে। ও আমার সঙ্গে নেই। ওর ফোনও সুনেরাহর কাছ।
সুনেরাহ-ই ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন বলে দাবি করেন পরীমনি। তিনি বলেন, একটি চক্র আমার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে। আইনি ব্যবস্থার হুমকিও দেন তিনি।
রাজ-পরী দম্পতির সাংসারিক কলহ ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়। তবে সুনেরাহকে জড়িয়ে এবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি।
সুনেরাহ পোস্টে লেখেন, ’১০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি রাজকে চিনি। সে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। আমরা তো সবাই জানি কীভাবে আমরা বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলি। সে ছেলে আর আমি মেয়ে, এটাই কি তোমরা একমাত্র সমস্যা ভাবছো?’
তিনি লেখেন, তার (রাজ) বিয়ের পর তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। সেদিন একটা ডাবিং স্টুডিওতে আমার দেখা হওয়ার পর আমরা ছবি তুলেছি। পুরনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে ছবি তোলাতে ভুল কী তা আমি জানি না। কারণ ছাড়াই তার স্ত্রী আমাকে নিয়ে পাগলামি করছে।’
অভিনেত্রী আরও লেখেন, আপনারা যে ভিডিওগুলো দেখেছেন সেগুলো পাঁচ বছর আগের। ন ডরাই সিনেমার সময়ের। সেই সময় আমরা এভাবেই মজা করতাম, আর প্রতিদিন এভাবে কথা বলার প্র্যাকটিস করতাম।
পরীমনিকে ইঙ্গিত করে সুনেরাহ লেখেন, ‘দয়া করে এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। আমি নিশ্চিত, ওর (রাজ) আইডি হ্যাকড হয়েছে। কে হ্যাক করেছে, আমরা সেটা জানি; প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এর পর মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সুনেরাহ ও রাজ।
এর আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল গত পহেলা জানুয়ারি। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। এ বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য