মোশাররফ করিম অভিনীত মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিফিল্ম ক্যারাম-এর ‘স্ক্রিপ্ট রাইটার’ ক্রেডিট নিয়ে ফারুকী ও অভিনেতা-পরিচালক কচি খন্দকারের মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হতে গিয়েও যেন হলো না।
কচি খন্দকার তার স্ট্যাটাস ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। কেন সরিয়ে ফেলেছেন, জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।’
স্ট্যাটাস সরিয়ে ফেললেও কচি তার স্ট্যাটাসের বক্তব্যে অটল কি না জানতে চাইলে তিনি আবার বলেন, ‘এটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাচ্ছি না।’
সোমবার অভিনেতা মোশাররফ করিমের জন্মদিনে অভিনেতাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন ফারুকী। পরিচালক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ক্যারাম নাটক নির্মাণের পেছনের গল্প লেখেন এবং মোশাররফকে শুভেচ্ছা জানান।
সেই পোস্টের এক জায়গায় ফারুকী লিখেছেন, ‘আমি আর আমরা সব ভাই-বেরাদর একসাথে থাকতাম সেখানে- এটা সবাই জানেন। সেই আবাসিক ক্যাম্পে আমরা আবিষ্কার করি কচি খন্দকার মোটামুটি আমার ছোটবেলার বুড়ো ভার্সন। তখন আমরা প্রতি খেলায় হারার পর কচিকে অত্যাচার করার নানা সৃজনশীল উপায় আবিষ্কার করি। এবং কচি খেপেখুপে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। আমি ঠিক করলাম এই সব নিয়েই ক্যারাম নামে একটা টেলিফিল্ম বানাব। এবং কচি খন্দকারের প্রতি অত্যাচারের প্রতিদান হিসাবে তাকে স্ক্রিপ্ট রাইটার ক্রেডিট দেই। যদিও স্ক্রিপ্ট লেখা সেশনের সাথে তার আদতে কোনো সংস্পর্শ ছিল না।’
এমন পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পরে কচি খন্দকারও তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘মিথ্যা ক্রেডিট নিয়ে মরতে চাই না- প্রসঙ্গ ক্যারাম। আজ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর স্ট্যাটাস পড়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলাম। আমার সাথে ক্যারাম খেলতে যেয়ে জয় পরাজয় নিয়ে আমাকে অনেক অত্যাচার করার জন্য পুরস্কার স্বরুপ ক্যারাম টেলিফিল্মে রচনাকারী হিসাবে আমাকে ক্রেডিট দিয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই ক্যারাম লেখায় আমার নাকি কোনো ভুমিকাই নাই। কিন্তু ঘটনা হাজার বছর আগের না এই মাত্র সেদিনের কথা। ভাইব্রাদার সবাই জীবিত প্রায় সবাই জানে তাদের সামনেই আমি আমার ক্যারামের স্ক্রিপ্ট পড়ি। এটাই সত্য ইতিহাস এর মধ্যে কোনো মিথ্যাচার নাই। ঘটনা অনেক কিছু উল্লেখ করা যায়। কিন্তু আমি ইতিহাসের দীর্ঘসূত্রতা টানলাম না এই ভেবে সত্য সুন্দর। আর সত্য প্রকাশের দায় সমস্ত শিল্পীর। সত্যের জয় হোক। শিল্পীর জয় হোক।’
এখন আর স্ট্যাটাসটি পাওয়া যাচ্ছে না। ইউটিউবে ক্যারাম টেলিফিল্মটি পাওয়া যায়। সেখানে ক্যারাম নাটকটির মূল রচনায় আছে কচি খন্দকারের নাম। আর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নাম রয়েছে রূপান্তর, চিত্রনাট্য ও পরিচালক হিসেবে।
পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি থেকে দাম্পত্য তিক্ততা রূপ নেয় চরমে। একে অন্যের থেকে সরতে থাকেন দূরে। একপর্যায়ে ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ও দুই বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে সিদ্ধান্ত নেন আলাদা থাকার।
পাহাড়সম অহম থেকে নিশাত ও আবির যুগলের এ বিচ্ছেদের বলি হয় নবজাতক রাইসা। দুজনের কেউই ভাবছেন না শিশুটির পরিণতি নিয়ে।
ভাঙনের এমন গল্পকে উপজীব্য করে ‘ইতি তোমার মেয়ে’ নামের একক নাটক নির্মাণ করেছেন রানা বর্তমান, যার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ শামীম সিকদারের।
‘‘আমাদের গল্পটি ভিউয়ের গল্প নয়, তবে বর্তমান সময়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্লট নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। একটি ব্রোকেন ফ্যামিলির গল্প ‘ইতি তোমার মেয়ে’”, বলেন নির্মাতা রানা বর্তমান।
‘সম্পূর্ণ ফ্যামিলি ড্রামার ওপর নির্মিতব্য নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলে দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করবে এবং অনেকের অজান্তেই চোখের পানি গড়িয়ে পড়বে’, যোগ করেন তিনি।
নাটকের সংলাপ ও অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘সমসাময়িক গল্প নিয়ে নাট্যকার শামীম সিকদার দারুণ যত্ন করে নাটকটির চিত্রনাট্য ও সংলাপগুলো লিখেছেন। প্রতিটি কলাকুশলীর সুনিপুণ অভিনয় নাটকটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।’
শবনম ফারিয়া, আবু হুরায়রা তানভীর, টুটুল চৌধুরী অভিনীত নাটকে দেখা যাবে কয়েকজন শিশুশিল্পীকেও। এতে বিশেষ চরিত্রে থাকছে শিশুশিল্পী জাফনা সুবাইতা হাসান।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় এনটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।
আরও পড়ুন:রাজধানীর পল্লবীতে শুটিং স্পটে দগ্ধ অভিনেত্রী শারমিন আঁখির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাইডিফেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালটির আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, আঁখির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ অবস্থায় চার পাঁচ দিনেও তাকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা অসম্ভব।
গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিংস্পটে দগ্ধ হন আঁখি। ধারণা করা হচ্ছে, শুটিং স্পটের বাথরুমে কোনওভাবে গ্যাস হয়েছিল। আর সেখানেই শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির বলেন, আজকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেছে কিছুটা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে প্রায় এক মাস থাকতে হবে। আর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে।
সময়ের জনপ্রিয় দুই তারকা তৌসিফ মাহবুব ও তানজিন তিশা সম্প্রতি কাজ করলেন ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটকে। ‘অন্তহীন’ শিরোনামের এ নাটকে তৌসিফ অভিনয় করেছেন নয়ন চরিত্রে। আর তিশার চরিত্রের নাম তারা।
সিএমভি’র ব্যানারে সদ্য নির্মিত ভালোবাসা দিবসের বিশেষ এই নাটকটির গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ মিফতাহ আনান।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নয়ন বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেতের মধ্য দিয়ে ছুটে চলেছে এক অপরূপ সুন্দরীর পেছনে। তার মুখে সুখের হাসি। যখনই মেয়েটার কাছে এসে মুখ দেখতে যাবে, তখনই নয়নের বাবা ঘুম থেকে ডেকে তোলে!
এটা নয়নের নিত্যকার স্বপ্ন। আর প্রতিদিন স্বপ্নের ঠিক এই মুহূর্তে তার বাবা ঘুম ভাঙিয়ে দেন। এ নাটকের গল্পের শুরুটা স্বপ্ন দিয়ে হলেও বাস্তবেও একটা সময় নয়ন খুঁজে পায় তার স্বপ্নের তারাকে।
গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা বললেন, ‘আমাদের গল্পটি স্বপ্ন দিয়ে শুরু হলেও দ্রুতই চরিত্র দুটি বাস্তবে মুখোমুখি হয়। তাদের মধ্যে প্রেমও হয়। এরপর তারা মুখোমুখি হয় চরম বাস্তবতার। শুরু হয় নতুন জীবন। দুটি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন তৌসিফ ও তিশা। আশা করছি ভালোবাসা দিবসের নাটক হিসেবে দর্শকরা অন্য এক প্রেমের গল্প দেখতে পাবেন।’
‘অন্তহীন’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন বড়দা মিঠু, টুনটুনি খালা, শাহবাজ সানি, কাজল প্রমুখ।
জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম, নিলয় আলমগীর ও অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে এবার দেখা যাবে এক নাটকে। প্রযোজনা সংস্থা সিএমভি’র ব্যানারে ‘রঙ্গিলা’ শিরোনামের এই নাটক নির্মাণ করেছেন যুবায়ের ইবনে বকর।
নাটকটির গল্প সম্পর্কে নির্মাতা জানালেন, গ্রাম-গঞ্জে লায়লা (হিমি) নাচে, রাজ্জাক (মোশাররফ করিম) ক্যানভাস করে আর সেই ফাঁকে সালমান (নিলয়) দর্শকদের পকেট মারে। এভাবেই চলে তিনজনের জমজমাট ব্যবসা। কিন্তু এক সময় লায়লাকে কেন্দ্র করে বাঁধে গণ্ডগোল। কী সেই গণ্ডগোল?
হিমি বলেন, ‘আমাদের এই ফন্দি ভালোই চলছিল। প্রচুর ইনকাম! কিন্তু প্রেমের বিষয়ে তৈরি হয় বিভেদ। আমাকে রাজ্জাক (মোশাররফ করিম) ও সালমান (নিলয়) দুজনেই প্রেমিকা হিসেবে চায়! এখান থেকেই নাটকের গল্পে নেয় নতুন মোড়।
‘নাটকটি দেখলেই তা বুঝতে পারবেন দর্শক। তবে আমি বলব, অনেকদিন পর প্রাণখুলে মনের মতো একটা কাজ করলাম। আশা করছি দর্শকরা দারুণ উপভোগ করবেন কাজটি।’
সিএমভির কর্ণধার এস কে সাহেদ আলী জানান, শিগগিরই ‘রঙ্গিলা’ মুক্তি পাবে তাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সভা করেছেন অভিনয় শিল্পীসংঘের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম, নির্বাহী সদস্য মাজনুন মিজান, হৃদি হক, সংগীতা চৌধুরী ও আইনুন নাহার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অভিনয় শিল্পকে পেশা হিসেবে ঘোষণা করা, শিল্পীদের জন্য গঠিত কল্যাণ ট্রাষ্টে নাট্যশিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, টেলিভিশন নাটক ও সিরিয়াল নির্মাণে উৎসাহদানের দাবি জানান শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ৪৬টি টেলিভিশন চ্যানেলকে, সম্প্রচারে আছে ৩৬টি এবং আরও কয়েকটি তাড়াতাড়ি সম্প্রচারে আসবে। এভাবে ব্যাপক বিকাশ ঘটার কারণে টেলিভিশন শিল্প আমাদের ছেলেমেয়েদের একটি বড় কর্মক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোনো কোনো টেলিভিশন শুধু বিদেশি সিরিয়াল নির্ভর ছিল। পরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিপত্র দিয়ে জানানো হয়, একটি টেলিভিশন চ্যানেল একই সময়ে একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল দেখাতে পারবে না।
‘আমরা আরও বিধি করেছি, বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলে প্রচলিত ট্যাক্সের বাইরে শিল্পী প্রতি দুই লাখ টাকা এবং যে টেলিভিশন চ্যানেল সেই বিজ্ঞাপন দেখাবে তাদেরকে বিশ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে দিতে হবে। কারণ আমাদের শিল্পীরা অনেক স্মার্ট এবং ভালো অভিনয় করে, দেখতেও সুন্দর। তাদের বাদ দিয়ে বিদেশিদের নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমরা খুঁজে পাইনি।’
শিল্পীদের দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব সবই পূরণ করার চেষ্টা করছি। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিকল্পনা আছে টেলিভিশন মাধ্যমে যারা অভিনয় করেন, তাদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা যায় কি না। সেটি আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনায় এনেছি।’
আরও পড়ুন:অভিনয়শিল্পী শাখায় শীর্ষ করদাতাদের তালিকায় প্রথমবারের মতো এসেছে দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর নাম। বোঝাই যাচ্ছে ভালোই ইনকাম করছেন তিনি।
হবেই বা না কেন। ২০১০ থেকে অভিনয় করছেন, হয়েছেন অভিজ্ঞ, পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। এ অভিনেত্রী ছাড়া আজকাল নাটক, ওটিটি কনটেন্ট, বিজ্ঞাপন, অনলাইন প্রচার তো ভাবতেই পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
মেহজাবীন এসবকিছুর জন্য তার ভক্ত-দর্শক ও সহকর্মীদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সবার সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। দর্শকরা আমাকে পছন্দ করেছেন জন্যই তো অনেক কাজ করতে পেরেছি। সহকর্মীরা সহযোগিতা করেছেন বলে এখনও কাজ করে যাচ্ছি।’
বুধবার সেরা করদাতার ট্রফি উঠেছে মেহজাবীনের হাতে। ট্রফি হাতে একটি ছবি তিনি পোস্ট করেছেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। সঙ্গে লিখেছেন, ‘বছরের শেষ প্রাপ্তি’।
মেহজাবীন জানান, ২০১০ থেকে কাজ শুরু করেছেন এবং ২০১১ থেকেই কর দিচ্ছেন তিনি। এবারই প্রথম অভিনয়শিল্পী বিভাগে হয়েছেন শীর্ষ করদাতা।
বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। কর দেয়ার পর মনে হয় দেশের জন্য কিছু করলাম। এই যে পদ্মা সেতু হলো, আজ (বুধবার) মেট্রো রেল চালু হলো, আমরা যদি ঠিক মতো কর দেই, তাহলে এসব নাগরিক সুবিধা আরও পেতে থাকব। দেশ তো আমাদের কিছু না কিছু দিয়েই যাচ্ছে।’
মেহজাবীন আরও বলেন, ‘আজ (বুধবার) অনুষ্ঠানে অনেক গুণী মানুষদের সঙ্গে দেখা হলো। তাদের পাশে যখন বসেছি, দাঁড়িয়েছি, অনেক ভালো লেগেছে, উৎসাহ পেয়েছি।’
বরাবরের মতো অনেক কাজ নিয়েই কথা চলছে মেহজাবীনের। এর মধ্যে কোনটা করবেন তা সময়ই বলে দেবে।
আর নতুন বছরে দেশেই থাকছেন। সেদিন কি করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত না। শুটিং থাকবে কি না সেটিও নিশ্চিত করে বলেননি অভিনেত্রী। শুধু জানালেন, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতে পারে। তবে এখনও কোনো পরিকল্পনা নেই।
আরও পড়ুন:বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রথম টেলিভিশন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। ২৫ ডিসেম্বর ৫৮ পেরিয়ে ৫৯ বছরে পদার্পণ করছে জাতীয় এ গণমাধ্যমটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিভি জানায়, বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার দিনটি পালিত হবে। বিটিভি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। যেখানে অংশগ্রহণ করবেন বিটিভির শিল্পী ও কলাকুশলীসহ বিশিষ্টজনেরা।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিটিভি স্বাধীনতা সংগ্রাম, কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি থেকে শুরু করে শিক্ষা, তথ্য, সংবাদচর্চার ক্ষেত্রে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। রুচিশীল অনুষ্ঠান নির্মাণের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান নির্মাণেও কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করে আসছে বিটিভি।
‘৫৯ বছরে বিটিভির সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং বর্তমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রার তথ্যগুলোকে সহজেই জাতির সামনে তুলে ধরতে পারা।’
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন ডিআইটি ভবনের নিচতলায় টেলিভিশন চ্যানেলটির যাত্রা শুরু। এরপর সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের জন্মের পরের বছর যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটি ভবন থেকে বিটিভিকে রামপুরায় নিজস্ব ভবনে আনা হয়।
১৯৮০ সালে দর্শকদের রঙিন পর্দা উপহার দেয়ার মাধ্যমে নতুন যুগে পদার্পন করে বিটিভি। বিটিভির সম্প্রচার এখন এইচডি (হাই ডিফিনেশন) এবং টেরিস্ট্রিয়াল, স্যাটেলাইট ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য