নির্মাতা রায়হান রাফির সিনেমা দামাল-এর ট্রেইলার প্রকাশ হয় ১৬ আগস্ট। এর পরই সিনেমার একটি দৃশ্যে রাজাকারের মুখে ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’ স্লোগান নিয়ে ফেসবুকে প্রশ্ন তোলেন ফ্রান্স প্রবাসী অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।
পিনাকীর দাবি, রাজাকারের মুখে এ ধরনের স্লোগানের মাধ্যমে ইসলামকে হেয় করা হয়েছে। এই স্লোগান মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘হিন্দু মুক্তিযোদ্ধারা’ও দিয়েছেন।
এরপর ১৮ আগস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আরেকটি পোস্টে পিনাকী ভট্টাচার্য দাবি করেন, দৃশ্যটি সিনেমা থেকে বাদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাফি।
স্ট্যাটাসে পিনাকী লেখেন, ‘দামাল সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফি ইনবক্সে যোগাযোগ করে ফোনে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। সে রাজাকারের মুখে নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর স্লোগান দেয়াটাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে মূল সিনেমা থেকে তা বাদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শুধু তা-ই না, সে স্লোগান বাদ দিয়ে সিনেমার ট্রেলারটাও পাল্টে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে ইউটিউবেও একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে ভাটি অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার সালেহ চৌধুরীর ‘ভাটি এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, জগতজ্যোতি দাসের মতো হিন্দু ধর্মাবলম্বী মুক্তিযোদ্ধারাও ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিতেন।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে ফেসবুকে। মুক্তিযুদ্ধ গবেষণায় জড়িতরা বলছেন, পিনাকী ভট্টাচার্য সুকৌশলে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করছেন। অন্যদিকে দামাল-এর পরিচালক রায়হান রাফি বলেছেন, পিনাকীর কথায় তিনি সিনেমায় কোনো পরিবর্তন আনছেন না। স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক সত্য তিনি চলচ্চিত্রে তুলে ধরতে চান।
পিনাকী ভট্টাচার্যের বক্তব্যের সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হাসান মুর্শেদ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন (বাক্য-বানান অপরিবর্তিত), ‘পিনাকী ভট্টাচার্য্য এখানে যা করেছেন তাহলো অতি নিম্নমানের চতুরতা। তিনি একটি অনিয়মিত ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে ব্যবহার করেছেন। সালেহ চৌধুরীর লেখার পরের অংশ থেকেই বুঝা যায়, জগতজ্যোতির মধ্যে এসব চমকে দেয়ার কিছু ব্যাপার ছিলো। তিনি মাথায় লাল গামছা বেঁধে দিনের বেলা অপারেশনে বের হয়ে যেতেন- এগুলো গেরিলা যুদ্ধের নিয়ম বিরোধী। এই নিয়মগুলো না মানার খেসারত তাঁকে দিতে হয়েছে জীবন দিয়ে।
“নারায়ে তকবীর আল্লাহু আকবর’ যদি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচলিত শ্লোগান হতো তাহলে কমান্ডার সালেহ চৌধুরী কেনো ‘আঁতকে’ উঠলেন? কেনো গুলীভর্তি স্টেনগান নিয় তিনি দৌড়ে বের হলেন? এটা যদি স্বাভাবিক হতো তাহলে তো কমান্ডারের এই প্রতিক্রিয়া হবার কথা না। বইয়েই আছে জগতজ্যোতি সহ অন্য মুক্তিযোদ্ধা দলগুলোর ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয় ক্যাম্পে ফেরার ঘটনা। তখন তো কমান্ডার আঁতকে উঠেননি, স্টেনগান হাত নিয়ে দৌড়ে বের হননি। তাহলে যুদ্ধকালীন সময় ‘নারায়ে তকবীর আল্লাহু আকবর’ শুনে কেনো আঁতকে উঠে স্টেনগান হাতে বের হয়েছিলেন কমান্ডার? কাদের দ্বারা আক্রান্ত হবার আশংকায় আঁতকে উঠেছিলেন- সেটা বুঝতে কি বিশাল জ্ঞানী হতে হয়?”
আইনজীবী ও গবেষক নিঝুম মজুমদার ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর সৈয়দপুরে জেনারেল নিয়াজির এক বক্তৃতার পেপার কাটিং যুক্ত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন (বাক্য-বানান অপরিবর্তিত), ‘মুক্তিযুদ্ধে আমরা ধর্মের জন্য জড়াই নি। জড়িয়েছি আমাদের অধিকারের জন্য এবং আমাদের উপর অত্যাচারের প্রেক্ষিতে।
‘কিন্তু যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো, বিশেষ করে এই দেশের পাকিস্তানী সহযোগী তারা এই মুক্তির যুদ্ধকে দেখেছে ধর্মীয় দিক থেকে। তারা বার বার বলেছে যারা যুদ্ধ করছে তারা ভারতের চর এবং তারা বাংলাদেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এই ছিলো তাদের ভাষ্য। ফলে তারা নারায়ে তাকবীর বলেছে সাম্প্রদায়িক মাইন্ড সেট থেকে।
‘আমাদের ধর্ম পালন কিংবা আল্লাহর নাম নেবার উদ্দেশ্য আর সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের আল্লাহর নাম নেবার ভেতর স্পস্ট পার্থক্য রয়েছে এবং উদ্দেশ্যও আলাদা। আমরা এইসব ইতিহাস জানি এবং খুব ভালো করেই বুঝি।’
নিঝুম লিখেছেন, ‘পিনাকী ভট্টাচার্য পরিচালককে ভয় দেখিয়েছে এবং হুমকি দিয়েছে চলচ্চিত্র বয়কটের।
‘আমি রায়হান ভাইকে টেলিফোনে স্পস্ট বলেছি, আপনি কেন ভয় পাবেন? যা ইতিহাস, যা সত্য আপনি তাই দেখাবেন। উনি জানিয়েছেন যে, তিনি ভয় পান নাই এবং পাবেনও না।’
দামাল-এ কোনো পরিবর্তন আসছে না
বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে পরিচালক রায়হান রাফির সঙ্গে। আলোচিত স্লোগানটি সরাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এ বিষয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছি, যেটা আমার অফিশিয়াল বিবৃতি।’
স্ট্যাটাসটি পড়ে শোনান রাফি। এতে তিনি লিখেছেন, ‘একটা বিষয়ে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা আমার উপর এতদিন বিশ্বাস রেখে এসেছেন, এখনও রাখুন। দামাল সিনেমায় আমরা এমন কোনো কিছুই করব না যা ধর্ম এবং ইতিহাসকে বিকৃত করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যা সত্য, তাই আমরা দামাল সিনেমাতে দেখাব।’
তিনি বলেন, ‘এখানে আমার নিজের থেকে দেখানোর কিছু নাই, আপনারও দেখানোর কিছু নাই। দামাল তো আমার ফিকশন করা গল্প নয়, যে মন চেয়েছে বলে একটা কিছু দেখিয়ে দেব।’
পিনাকী ভট্টাচার্যকে কোনো ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে রাফি বলেন, ‘ওটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না প্লিজ। বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমার কথা একদম স্পষ্ট, আমি সিনেমা সাধারণ মানুষের জন্য বানাই। সেখানে একজন মানুষের সমালোচনার উত্তর দিলে সবারটার উত্তর দিতে হবে, আমি সবার সমালোচনাকে সম্মান করি।
‘উনি কিন্তু প্রতিদিন প্রচুর বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে কথা বলেন প্রতিটা স্ট্যাটাসে। উনি বলতে পারবেন কেন আমার নাম উল্লেখ করেছেন, সেটা উনি জানেন। ওটা তো আমার স্টেটমেন্ট না, আমি তো আমার এখানে দেব।’
আলোচিত দৃশ্যটির বিষয়ে রাফি বলেন, ‘উনি (পিনাকী) কী লিখেছেন আমি জানিও না, দেখিও নাই। উনি কী লিখেছেন সেটা জরুরি না, আপনি নিজেও দেখবেন সরেছে কি সরে নাই। ওটা ইউটিউবে আছে, আমার আইডিতে আছে। একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় বলতে চাই কোনো একটা গোষ্ঠী ধর্মকে ছোট করে এ ধরনের গসিপ ছড়াতে চায়। এখন একজন খুনি যদি খুন করার সময় বলে ইনশাল্লাহ আমি খুনটা করব, তাহলে কী ইনশাআল্লাহ্ ছোট হচ্ছে, নাকি খুনিটা ছোট হচ্ছে? অবশ্যই খুনি ছোট হচ্ছে।
‘তো ওই সময় (মুক্তিযুদ্ধ) কিছু মানুষ ধর্মকে বিক্রি করে এই কাজ করেছে, আমরা তাদেরকে দেখিয়েছি। আমরা ধর্মকে ছোট করিনি। কিছু মানুষ এটাকে নিয়ে- যাদেরকে আপনারা চেনেন জানেন, যারা ধর্মকে নিয়ে উসকানিমূলক কাহিনি করেন তারা এটাকে বড় করার চিন্তা করছেন। যারা আমাদের সাধারণ মানুষ, তাদেরকে তারা বোঝানোর চেষ্টা করছে দেখছ- আল্লাহ্ আকবারকে ছোট করছে।’
রাফি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় পরিষ্কার করি, যে দৃশ্যটা নিয়ে কথা উঠেছে- নারীকে ধরে নেয়ার সময়। বিষয়টা কিন্তু নারীকে ধরে নেয়ার সময় না, আমাদের দৃশ্যটা ছিল একজন মুক্তিযোদ্ধাকে জবাই করছে রাজাকার। এটা আমার সিনেমার আগে গেরিলা সিনেমাতে দেখানো হয়েছে। ইতিহাসে এটা আছে। বিষয়টা নারীকে তুলে নেয়ার সময় আল্লাহ্ আকবর নয়।’
রাফি বলেন, ‘ইতিহাসকে বিকৃত করার ক্ষমতা আমার-আপনার কারও নাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের সবচেয়ে বড় ও গৌরবের ইতিহাস, সেই ইতিহাস চাইলেই তো কেউ চেঞ্জ করতে পারবে না। তো আমার স্টেটমেন্টটাই হচ্ছে ট্রেইলার। আমার ট্রেইলার দেখলেই বোঝা যাবে আমি চেঞ্জ করেছি কী করি নাই। আমি বললেও চেঞ্জ হবে না, উনি (পিনাকী) বললেও চেঞ্জ হবে না, পৃথিবীর কেউ বললেও চেঞ্জ হবে না।’
সিনেমায় পরিবর্তন না আনার সিদ্ধান্তের প্রশংসা
দামাল সিনেমা অপরিবর্তিত রাখতে রায়হান রাফির অনমনীয় অবস্থানের প্রশংসা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাফির উচিতই হয়নি পিনাকীর সঙ্গে এ বিষয়ে বাতচিতে যাওয়া। পিনাকী এর সুযোগ নিয়ে সেটা এক্সপ্লয়েট করেছে, আর মিথ্যা ঘোষণা দিয়েছে যে, তার কথায় পরিচালক এডিট করে দৃশ্য বাদ দিচ্ছেন। আমাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে এ কারণেই।’
পিনাকী ভট্টাচার্যের ‘অসাধু ও চতুর’ আচরণ নতুন নয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তার হাজার হাজার ফেক আইডির সাজানো কথায় একটা মুক্তিযুদ্ধের ছবি বদলে যাবে, এটা নৈতিক পরাজয় মনে হচ্ছিল। তবে রাফির প্রকাশ্য বিবৃতিতে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।’
দামাল-এর জন্য শুভকামনা জানিয়ে পিয়াল বলেন, ‘পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিদের কাছে কোনো নতজানুতা নয়, এই স্বভাব সবাই জারি রাখুক।’
আরও পড়ুন:চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?
নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।
তদন্ত কমিটি
এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।
আরও পড়ুন:চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়েছে সংগঠনটির কয়েকজন সদস্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন জানান, তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈশাখী টিভির সাংবাদিক লিয়ন মীর জানান, শপথ গ্রহণ শেষে চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন এক রিপোর্টার। এসময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন তিনি।
কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে চান। এরপর শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রক্তাক্ত আহত হন কয়েকজন সাংবাদিক। মারামারিতে যোগ দেন আলেকজান্ডার বোসহ কয়েকজন জুনিয়রও।
মিঠুন আল মামুন ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘আমি একজন শিল্পীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। এ সময় খল অভিনেতা শিবা শানু আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে কেন সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। এরপরই তিনি আমার ওপর হামলা চালান।
‘এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক এগিয়ে এলে জয় চৌধুরী অশ্লীল গালি দিয়ে জুনিয়র শিল্পীদের নির্দেশ দেন সাংবাদিকদের ওপর চালানোর। জয় ও শিবা শানুর নেতৃত্বেই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।’
এ ঘটনার পরপরই এফডিসিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএফডিসির খোলা প্রাঙ্গণে এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু মিশাকে শপথ পাঠ করান।
তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ মারা গেছেন। গত বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘আদম’ সিনেমা নির্মাণ করে পরিচিতি পান তিনি।
রাজধানীর রমনার নিজ বাসা থেকে সোমবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৭ বছর বয়সী হিরণ ‘ইএইচআর মিডিয়া হাউজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদুরী শিবপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন এর ছেলে। বর্তমানে রমনার ৩০ নম্বর নিউ ইস্কাটন রোডের একটি চতুর্থ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্লাটে একাই বসবাস করতেন তিনি। ওই ভবনেই তার মিডিয়া প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান।
ওই ভবনের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৬টার দিকে হিরণ বাড়ির দারোয়ানকে ফোন করে বলেন, তিনি স্ট্রোক করেছেন। দারোয়ানকে রুমে আসতে বলেন তিনি। দারোয়ান গিয়ে দরজায় নক করলেও ভেতর থেকে দরজা না খোলায় তিনি ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় তারা দেখতে পান, প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় তিনি উপুড় হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ইএইচআর মিডিয়া হাউজের ক্রিয়েটিভ পরিচালক ওমর ফারুক নয়ন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খবর শুনে আমরা বাসায় গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’
তিনি বলেন, “তাওহিদ ভাই ভালো মানুষ ছিলেন। আদম-এর পর ‘রং রোড’ নামে তার আরেকটি ছবির কাজ শেষে হয়েছে। ছবিটি বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।’
শেষ মুহূর্তে এসে ঈদে মুক্তি থেকে সরে দাঁড়ালো আহমেদ হুমায়ুন নির্মিত ‘পটু’ ও মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ সিনেমা দুটি। দুই সিনেমার পক্ষ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে দুটি ভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে।
‘পটু’ প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন, তাদের ছবিটির পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই ঘোষণা দিয়েও সরে দাঁড়িয়েছেন তারা।
তবে এই ঈদে প্রতিষ্ঠানটির ‘মোনা: জ্বীন ২’ প্রেক্ষাগৃহে চলবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ‘ডেডবডি’ নিয়ে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনন্ত জলিলের পরামর্শ শুনেছেন পরিচালক-প্রযোজক ইকবাল।
জলিলকে উদ্দেশ করে ইকবাল বলেছেন, ‘ব্রাদার (অনন্ত জলিল) আপনাকে আমি ভালোবাসি। আপনি বলার সঙ্গে সঙ্গে (সিনেমাটি) আমি ঈদে রিলিজ না করে দুই সপ্তাহ পিছিয়েছি এবং হল মালিকদের চিঠি দিয়ে দুই সপ্তাহ পর প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করেছি।’
ইকবাল জানান, ঈদের পরিবর্তে ৩ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তার ছবিটি। ভৌতিক ধাঁচের গল্পে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, রোশান, শ্যামল মাওলা, অন্বেষা রায় প্রমুখ।
স্বল্প পরিসরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পাবনায় পালন করা হয়েছে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা শহরের হেমসাগর লেনে মহানায়িকার পৈতৃক বাড়িতে অবস্থিত সুচিত্রা সেনের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরীফ আহমেদ, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু, সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আখতারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মহানায়িকার মেয়ে মুনমুন সেন ও কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেন গুপ্ত মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন।
৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদশি সিনেমা ‘নির্বাণ’। গত মঙ্গলবার উৎসবের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে সিনেমাটির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নির্বাণের নির্মাতা আসিফ ইসলাম। সিনেমাটির গল্প নিয়ে তিনি জানান, মানবিক আবেগের একটি কাব্যিক অন্বেষণ ‘নির্বাণ’। শান্তির খোঁজে বের হওয়া তিন ব্যক্তির একটি অসাধারণ যাত্রা। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন ফাতেমা তুজ জোহরা ইভা, প্রিয়ম অর্চি, ইমরান মাহাথিসহ অনেকে।
বড় বড় একাধিক বিজ্ঞাপনচিত্রে প্রধান মুখ হিসেবে কাজ করলেও নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা আন্তর্জাতিক উৎসবে জায়গা করে নেয়ায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত ইভা।
সিনেমাটিতে নিজের যাত্রা নিয়ে উদীয়মান এ অভিনেত্রী বলেন, ‘নির্বাণে আমার চরিত্রের নাম মায়া। এই মায়া আর ব্যক্তি ইভা একদমই আলাদা দুই চরিত্র।’
‘“নির্বাণ’-এর মায়ার বয়স আমার চেয়েও বেশি। বয়সের ভারিক্কি আনতে বেগ পেতে হয়েছে আমাকে। কারণ মায়া আর আমি ব্যক্তি ইভা একেবারেই আলাদা”, বলেন ইভা।
‘আমরা এক মাস গাজীপুরে ট্রান্সফর্মার ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছি। আমি বেসিক্যালি ট্রান্সফর্মারের কোর জিনিসপত্র বানানো শিখছি, বানিয়েছি। টাইম মেইনটেইন করেই অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করেছি, যাতে আমাদের আলাদা না লাগে। এই দীর্ঘ সময়ে আমার কো অ্যাক্টরদের সঙ্গে ভীষণ ভালো বন্ডিং হয়েছে, যা কাজেও হেল্প করেছে’, যোগ করেন অভিনেত্রী।
সিনেমার শুটিংয়ের সময়ের কিছু ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নবীন এ অভিনেত্রী বলেন, ‘নির্বাণের একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে এ সিনেমায় আমাদের কোনো স্ক্রিপ্ট ছিল না। আমাদের সিচুয়েশচন বলে দেয়া হতো। সেই অনুযায়ী আমরা অভিনয় করতাম, তবে ক্যারেকটারের বায়োগ্রাফি ছিল প্রত্যেকেরই শক্তপোক্ত।
‘আসিফ ভাই (নির্মাতা) অধিকাংশ দৃশ্যই এক টেকে (একবারে) ওকে করেছেন। এই ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কেননা আমরা যখন বারবার একই সিন করতে থাকি, একটা সময়ে গিয়ে সেটা মেকি হয়ে যায়।’
এরই মধ্যে আরও তিনটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন ইভা, তবে সেসব নিয়ে এখনই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা বারণ নির্মাতাদের। যেমনটি ছিল তার প্রথম সিনেমা নির্বাণের ক্ষেত্রেও।
সিনেমা নিয়ে আলাদা আবেগের কথা জানিয়ে ইভা বলেন, “আমার ক্যারিয়ারে ‘নির্বাণ’ একটা আলাদা জায়গায় থাকবে সবসময়। আসলে প্রত্যেকটা চরিত্রেরই আলাদা আলাদা জায়গা থেকে যায় আমাদের মধ্যে, তবে মায়া, তার মায়া আমি কাটাতে পারব না।
“মায়ার যন্ত্রণা, মায়ার কষ্ট এসবই আমার কাছে গচ্ছিত থেকে যাবে। আশা করি এই সিনেমা মস্কো অভিযানের পরও নানান দেশ জয় করবে। আমি অধীর আগ্রহে আছি কবে আমাদের দেশে সবাই মিলে সিনেমাটা দেখব।”
মস্কো উৎসবের ৪৬তম আয়োজন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল, যা চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। উৎসবে যোগ দিতে ১৮ এপ্রিল মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেবেন নির্মাতা আসিফ ইসলাম। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পাশাপাশি পুরো আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসেছে ৯৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসর। এই আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চলতি বছরে অস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।
সেরা ছবি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ‘ওপেনহাইমার’। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সম্মানজনক অস্কার জয় করেছেন ‘ওপেনহাইমার’ ছবির কিলিয়ান মার্ফি।
একই ছবিতে অভিনয় করে সহ-অভিনেতা হিসেবে অস্কার পেয়েছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এছাড়া সহ-অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন ‘দ্য হোল্ডওভারস’ ছবির দা’ভাইন জয় র্যান্ডল্ফ।
সেরা পরিচালক হিসেবে এ বছরের অস্কার পেয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)।
লাইভ অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগারে’।
ধ্বনি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য জোন অফ ইন্টারেস্ট’-এর টার্ন উইলার্স ও জনি বার্ন।
অরিজিনাল স্কোর ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন ‘ওপেনহাইমার,’-এর লুডভিগ গোরানসন।
এছাড়া মৌলিক সংগীত ক্যাটাগরিতে ‘হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর?’-এর ‘বার্বি’; ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ক্যাটাগরিতে ‘গডজিলা মাইনাস ওয়ান’; চলচ্চিত্র সম্পাদনা ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার জেনিফার ল্যাম; প্রামাণ্যচিত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ’; ডকুমেন্টারি ফিচার ক্যাটাগরিতে ‘২০ ডে ইন মারিউপোল’; সিনেমাটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’-এর হোয়েট ভ্যান হোয়েতেমা পুরস্কার জিতেছেন।
অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘ওয়ার ইজ ওভার! ইনসপায়ারড বাই দ্য মিউজিক অব জন ও ইয়োকো’; অ্যানিমেটেড ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’; মূল চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’-এর জন্য জাস্টিন ট্রিয়েট ও আর্থার হারারি; অভিযোজিত চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘আমেরিকান ফিকশন’-এর জন্য কর্ড জেফারসন এবার অস্কার জয় করেছেন।
অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং-এ ‘পুওর থিংস’-এর নাদিয়া স্টেসি, মার্ক কুলিয়ার ও জশ ওয়েস্টন; প্রোডাকশন ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংস’-এর জেমস প্রাইস, শোনা হিথ ও জুসা মিহালেক; কস্টিউম ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংকস’-এর হলি ওয়াডিংটন পুরস্কার পেয়েছেন।
আর আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ (যুক্তরাজ্য) অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য