× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Directors complaints and subsequent statements about The Day
google_news print-icon

দিন- দ্য ডে’ নিয়ে পরিচালকের অভিযোগ ও অনন্তর বক্তব্য

দিন--দ্য-ডে-নিয়ে-পরিচালকের-অভিযোগ-ও-অনন্তর-বক্তব্য
দিন- দ্য ডে সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
অনন্ত জলিল ‘দিন- দ্য ডে’ সিনেমা নির্মাণ নিয়ে করা চুক্তি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইরানি পরিচালক মোর্তেজা অতশ জমজম। এর প্রতিক্রিয়ায় এই অভিনেতা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

‘দিন- দ্য ডে’ সিনেমা নির্মাণ নিয়ে করা পরিকল্পনা ও চুক্তি অনন্ত জলিল ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছবিটির ইরানি পরিচালক মোর্তেজা অতশ জমজম।

বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে এক স্ট্যাটাসে এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, চুক্তি ভঙ্গ করার দায়ে তিনি অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে ইরান ও বাংলাদেশের আদালতে মামলা করবেন।

অনন্ত জলিল এ নিয়ে প্রথমে কোনো কথা না বললেও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

অনন্ত জলিলের স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হলো-

‘আজ বিকাল থেকে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইছেন যে, কুরবানির ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত আমার সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক ইরানী নাগরিক মুর্তজা অতাশ জমজম সিনেমাটি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিস্তারিত বিষয় আমি এই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরছি।

দিন : দ্য ডে’র শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে ইরান থেকে। শেষ হয় ২০২০ সালে। বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে আমরা সিনেমাটির শুটিং করি। আমি শুরুতেই বলে এসেছি, সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইরান। আমার সঙ্গে চুক্তি আছে যে, সিনেমাটির বাংলাদেশে যেসব কাজ হবে (শুটিং, ডাবিং) সেটার ব্যয়ভার আমি বহন করব। এবং আমি সেটাই করেছি।

চুক্তি অনুযায়ী ইরানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে শুটিংয়ের খরচ বহন করবে ইরানি প্রযোজক। ইরান যে সিনেমাটির মূল প্রযোজক সেটা পরিচালকই তার স্ট্যাটাসে দেয়া একটি বাক্যের (আমি ছিলাম সিনেমাটির মূল প্রযোজক) মাধ্যমে স্বীকার করেছেন। এর মাধ্যমে একটা বিষয় পরিষ্কার হয় যে, সিনেমাটিতে আমি শুধু বাংলাদেশের খরচ বহন করেছি এবং এটাই ছিল চুক্তি।

২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশন চ্যানেল- সব জায়গাতেই সাক্ষাৎকারসহ বিভিন্ন প্রচরণায় আমি বলেছি, ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার মূল প্রযোজক ইরানি। আমি শুধু বাংলাদেশের শুটিংকৃত অংশটুকুর খরচ বহন করেছি।

সিনেমার নামের ক্ষেত্রে আমি বাংলায় একটি নাম ব্যবহার করেছি। তাও ‘ডে’-এর বাংলা, অর্থাৎ ‘দিন’। ইরানি প্রযোজকের দেয়া নামও (ডে) কিন্তু সিনেমায় রয়ে গেছে। এটাও আমাদের মৌখিক আলোচনায় ছিল। যেহেতু সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া হবে, তাই বাংলা নাম থাকাটাই যুক্তিযুক্ত। আর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির জন্য সঙ্গে ইংরেজি নামও রয়েছে। সুতরাং নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা অবান্তর।

তিনি (ইরানি নির্মাতা) যে গল্পের কথা বলেছেন, সেটা আমাদের দু’জনেরই আইডিয়া। সিনেমার গল্প আমি ও মুর্তজা সাহেব আলোচনা করে ঠিক করেছি। ইরানে শুটিং শুরুর পর ইরানি প্রযোজক আমাদেরকে সম্মানের সঙ্গে পাঁচতারকা হোটেলে রেখেছেন। আমরাও বাংলাদেশে শুটিংয়ের সময় ইরানি ইউনিটকে ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলে রেখেছিলাম। সম্মান এবং আতিথেয়তায় কোনো ঘাটতি রাখিনি।

এ সিনেমার পরিচালক যেহেতু মুস্তফা অতাশ জমজম, তাই শুটিংয়ের যাবতীয় ইকুইপমেন্ট, অর্থাৎ এইট-কে রেজুলেশনের ক্যামেরা তিনি ইরান থেকেই সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন; যেহেতু এইট-কে রেজুলেশনের ক্যামেরা বাংলাদেশে নেই। ইরানসহ অন্যান্য দেশের শুটিংয়ের ফুটেজ, এমনকি বাংলাদেশে শুটিংয়ের ফুটেজও তিনি শুটিং শেষে ইরানে নিয়ে গেছেন, লাইনআপ করার জন্য।

২০২০ সালে শুটিং শেষে তিনি আমাকে এডিট করা একটা লাইনআপ পাঠালেন। আমি সেটা দেখে গল্পে বেশকিছু জায়গায় অসামঞ্জস্যতা দেখে বলেছি, আমাকে একটা কপি দেন। আমি সেটা ঠিক করে দিচ্ছি।

যেহেতু ইরানে গিয়ে এডিটিং করা সম্ভব নয়, তাই আমি ঠিক করি ভারতের হায়দ্রাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে কাজটি করব। সেই ফুটেজের কপি তিনি নিজেই সঙ্গে করে অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে নিয়ে আসেন। আমাদের সঙ্গে ৪/৫ দিন হায়দ্রাবাদে অবস্থান করে তিনি নিজ দেশ ইরানে ফিরেও যান।

আমরা সিনেমাটিতে ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করতে চাইলাম। যেহেতু ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করলে তাদের (ডলবি কোম্পানির) লাইসেন্স লাগে, আর ডলবি আমেরিকান কোম্পানি, ইরান সেটা ব্যবহার করতে পারবে না। তাই আমি বলেছি, আমার দেশে (বাংলাদেশ) ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করব। বিষয়টিতে তিনি রাজি হয়েই স্বশরীরে ভারতের হায়দ্রাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে সিনেমাটির ফুটেজ নিয়ে আসেন।

যদি কোনো অর্থ পাওনা থাকত তাহলে তিনি কি ফুটেজ নিয়ে আসতেন? এছাড়া সিনেমাটির সম্পূর্ণ ফুটেজ এখনও তার কাছেই রয়ে গেছে। যেহেতু তিনি সিনেমাটির মূল প্রযোজক ও পরিচালক, তাই তার কাছে সেটা থাকাটাই স্বাভাবিক।

আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, চুক্তিতে যেভাবে যা কিছু উল্লেখ ছিল সে অনুযায়ীই আমি কাজ করেছি। যদি আমার কাছে তার ১০০ টাকাও অর্থাৎ কোনো অর্থ পাওনা থাকত তাহলে তিনি কি আমাকে সিনেমার সম্পূর্ণ ফুটেজ দিতেন? কিংবা ফুটেজ না পেলে আমি কি মুক্তি দিতে পারতাম? যেহেতু তার কাছেই শুটিংয়ের পর সম্পূর্ণ ফুটেজ ছিল এবং এখনও রয়েছে! নিশ্চয়ই তার অনুমতি এবং সম্পূর্ণ সম্মতিতেই আমি সিনেমাটি মুক্তি দিয়েছি। এখন তার অবান্তর অভিযোগ মূলত আমাকে ও আমার দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ছোট করার অপপ্রয়াস বলে আমি মনে করি।

আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা যখন বাংলাদেশে হোটেল লি মেরিডিয়ানে এ সিনেমার গান ও প্রাথমিক ট্রেইলর উদ্বোধন করি তখনও তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং সিনেমাটি যে আমরা বাংলাদেশে মুক্তি দেব, সে ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানাননি।

আমি এটাও বলেছি যে, ইরান যদি সময়মতো মুক্তি দিতে না পারে তাহলে আমি বাংলাদেশে মুক্তি দেব। এসব নিয়েও তখন কোনো আপত্তি করেননি তিনি। ইরান সময়মতো মুক্তি দিতে পারছে না বলে তিনবার আমরা মুক্তির তারিখ ঘোষণা দিয়েও সেটা পরিবর্তন করি। বাংলাদেশে মুক্তির সময় পরিবর্তনের কারণে আমার ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে জেনেও শুধু তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি সেটা মেনে নিয়েছি। শুরু থেকেই সবসময় আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল এবং সেটা এখনও আছে বলে আমি মনে করি।

আপনারা দেখেছেন, গত কুরবানির ঈদে ‘দিন: দ্য ডে’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হচ্ছি আমরা এবং সেটা দেশ থেকেই। আমি মনে করি, এটাও তেমনই একটি ষড়যন্ত্র। এরপরও মুর্তজা সাহেবের যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা আমরা নিজেরাই বসে সমাধান করতে পারি (যদিও আমি চুক্তির বাইরে কিছু করিনি সেটা আগেই বলেছি)।

তিনি বাংলাদেশি কারও পরামর্শে কিংবা নিজের প্রচারের স্বার্থে যদি ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা হবে খুবই দুঃখজনক। যদি এরকম কিছু ঘটে থাকে তাহলে আমিও দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনি ব্যবস্থা নেব। কারণ, একই চুক্তিপত্র আমার কাছেও রয়েছে।

আমি সাংবাদিক ভাই ও বোনদের প্রতি অনুরোধ করব, সত্যটা জেনে আপনারা খবর প্রকাশ করবেন। আমি চেষ্টা করব আমার পেজ থেকে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানানোর জন্য। এমনিতেই আমাদের বাংলাদেশি সিনেমার দুর্দিন চলছে। এর মধ্যে গত ঈদে আমার ‘দিন : দ্য ডে’সহ আরও দুটি সিনেমা দেশের সিনেমা অঙ্গনে আশার আলো দেখিয়েছে। দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন। দেশি সিনেমা অঙ্গন চাঙা হয়ে উঠছে। তাই একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে কীভাবে বাংলাদেশের এই বাজারটি নষ্ট করা যায়। এবং তারা আমাদেরই সিনেমার লোক বলে আমি মনে করি।

সিনেমা নিয়ে আমি বিশেষ কিছু কাজ করার পরিকল্পনা করছি। সেটা যাতে থামিয়ে দেয়া যায়, এমনকি ঈদের সিনেমার জোয়ার দেখে যারা নতুন করে প্রযোজনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন তাদেরকেও দূরে সরিয়ে রাখা যায়, এজন্য বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে ছোট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি অসাধু চক্র। এই ঘটনা তারই একটা অংশ বলে আমি মনে করি।

আমার যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে সেটা ভবিষ্যতে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করব। কিন্তু আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে চাঙা করার জন্য, আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে দেয়ার জন্য নেগেটিভ খবর প্রচার করা থেকে আপাতত বিরত থাকবেন। যাতে আমরা (বাংলাদেশি সিনেমা) আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি।

আপনাদের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রতি আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা আছে। সবসময় আপনারা আমার পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন এটা আশা করি।

আরও পড়ুন:
মুখে বলি চলচ্চিত্র পরিবার, কাজে দেখি না: অনন্ত
সিনেপ্লেক্সে ‘পরান’র শো বেড়েছে, ‘দিন- দ্য ডে’ আগের মতোই
৮ বছর পর সিনেপ্লেক্সে অনন্ত, নার্ভাস বর্ষা
দিন- দ্য ডে: সিনেপ্লেক্সে ১২টি, ব্লকবাস্টারে শো ৮টি
বর্ষাকে খুব আদরে রাখার প্রতিশ্রুতি অনন্তর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Nayantara has no oil business from private aircraft

ব্যক্তিগত বিমান থেকে তেলের ব্যবসা, কী নেই নয়নতারার

ব্যক্তিগত বিমান থেকে তেলের ব্যবসা, কী নেই নয়নতারার নয়নতারা
নয়নতারার ফ্ল্যাটটিতে একটি ব্যক্তিগত সিনেমা হল আছে। আছে সুইমিং পুল এবং জিমের মতো আরও কিছু রয়েছে৷ এ ছাড়াও তার হায়দ্রাবাদের বানজারা হিলসে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩০ কোটি রুপি করে।

দক্ষিণের ‘ফিমেল সুপারস্টার’ নয়নতারা বলিউডে এসেই করেছেন বাজিমাত। শাহরুখ খানের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে উপহার দিয়েছেন ‘জওয়ান’। অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে আর্থিক মানদণ্ডেও ‘বড় তারকা’ তিনি। সবমিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি রুপির বেশি।

তামিলনাড়ু থেকে মুম্বাইয়ে অভিনেত্রেীর যে বিলাসবহুল সম্পত্তি, তার একটি হলো বিলাসবহুল বড় বাড়ি, যার দাম ১০০ কোটি রুপি। স্বামী পরিচালক ভিগনেশ শিভানের সঙ্গে তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকেন তার দামও ১০০ কোটি রুপি।

নিউজ এইটটিন বলছে, নয়নতারার ফ্ল্যাটটিতে একটি ব্যক্তিগত সিনেমা হল আছে। আছে সুইমিং পুল এবং জিমের মতো আরও কিছু রয়েছে৷ এ ছাড়াও তার হায়দ্রাবাদের বানজারা হিলসে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩০ কোটি রুপি করে।

বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি ঝোঁকের জন্যও পরিচিত নয়নতারা। তিনি বেশ কয়েকটি দামি গাড়ির মালিক। তার সবচেয়ে দামি গাড়ি বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজের, যার দাম ১.৭৬ কোটি রুপি। এতে আছে অত্যাধুনিক লাইটিং, যা মেজাজের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা যায়। আরও কয়েকটি গাড়ি আছে তার।

ব্যক্তিগত বিমান থেকে তেলের ব্যবসা, কী নেই নয়নতারার

ভারতীয় অভিনেত্রীদের একচেটিয়া ক্লাবে যারা ব্যক্তিগত বিমানের মালিক, নয়নতারা তাদের একজন। এই অভিজাত দলে তার সঙ্গে আছেন শিল্পা শেঠি, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং মাধুরী দীক্ষিত। নয়নথারার প্রাইভেট বিমানটির দাম প্রায় ৫০ কোটি রুপি। প্রায়শ তার স্বামীর সঙ্গে এতে বিলাসবহুল ভ্রমণে বের হন।

বর্ণাঢ্য অভিনয় ক্যারিয়ারের বাইরে নয়নতারা লিপ বাম কোম্পানিতে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগে উদ্যোগী হয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেল ব্যবসায় ১০০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছেন এই সুপারস্টার। হয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্যোগী। ‘জওয়ান’ সিনেমায় কাজ করার জন্যও নাকি ১০ কোটি টাকা নিয়েছেন নয়নতারা।

স্বামীর সঙ্গে রাউডি পিকচার্স ব্যানার নামে পরিচিত একটি প্রযোজনা সংস্থার সহ-মালিক তিনি। এই প্রোডাকশন হাউসই প্রাথমিকভাবে তার চলচ্চিত্র নির্মাণ করে।

সিনেমায় অভিনয়ের আগে নয়নতারা দক্ষিণের টিভি শো ‘চামায়াম’-এর জন্য সঞ্চলনা করতেন। দক্ষিণের কৈরালি টিভিতে তাকে তার দর্শকদের ফ্যাশন ও সৌন্দর্যের টিপস দিতে দেখা গিয়েছে।

নয়নতারা মালায়ালম সিনেমা মানসিনাক্কারে (২০০৩) দিয়ে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন। এরপর বহু সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার করছেন অভিনেত্রী।

আরও পড়ুন:
ভেঙে গেল জো জোনাস আর সোফির সংসার
সাবেক স্বামী আমার নগ্ন ভিডিও বিক্রি করেছে: রাখি
মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা আবার চালু

মন্তব্য

বিনোদন
Shakibs birthday wishes for elder son AbRam

বড় ছেলে আব্রামের জন্মদিনে শাকিবের শুভেচ্ছা বার্তা

বড় ছেলে আব্রামের জন্মদিনে শাকিবের শুভেচ্ছা বার্তা ছোট্ট আব্রামকে শাকিব খান, সঙ্গে অপু বিশ্বাস। ফাইল ছবি
শাকিব লিখেছেন, তোমাকে ভালোবাসি আব্রাম। এমন দিনে আরও অনেক আনন্দ ফিরে আসুক। আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন।

বড় ছেলে আব্রাম খান জয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের গর্ভে জন্ম নেয়া আব্রাম এবার পা দিয়েছে জীবনের সপ্তম বছরে। এ নিয়ে বুধবার নিজের ভেরিফায়েড পেজে ওই শুভেচ্ছা বার্তা দেন শাকিব।

শাকিব লিখেছেন, তোমাকে ভালোবাসি আব্রাম। এমন দিনে আরও অনেক আনন্দ ফিরে আসুক। আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন।

পোস্টে ছেলের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন নায়ক। এতে বাবাকে নিয়ে গান গাইতে দেখা যায় তাকে।

এদিকে শাকিবের ছোট ছেলে শেহজাদ খান বীরও বড় ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তার ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া এক পোস্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে মুখে বীর বলছে- হ্যাপি বার্থডে টু ইউ। আর ক্যাপশনে লেখা, হ্যাপি বার্থডে ভাইয়া।

‘সাবেক’ দুই স্ত্রীর সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক ভালো না হলেও দুই ছেলের সঙ্গে তার বোঝাপড়া বেশ গভীর। প্রায়ই তাদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। এসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শাকিব খান ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্ম হয় এ জুটির ছেলে আব্রাম খান জয়ের।

২০১৭ সালের এপ্রিলে একটি টিভি চ্যানেলে সব তথ্য ফাঁস করেন অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের।

পরের বছরের ২০ জুলাই শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব। ২০২০ সালের ২১ মার্চ আমেরিকায় জন্ম হয় তাদের ছেলে শেহজাদ খান বীরের।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরে এসব তথ্য জানান বুবলী। শাকিবের সঙ্গেও বুবলীর বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। তবে বুবলী দিয়েছেন ভিন্ন তথ্য।

মন্তব্য

বিনোদন
Traditional boat ride in Gopalganjs Varni Bawar

বর্ণি বাওড়ে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

বর্ণি বাওড়ে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ গোপালগঞ্জের বর্ণি বাওড়ে মঙ্গলবার নৌকাবাইচে অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা। ছবি: নিউজবাংলা
গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বর্ণি বাওড়ে বহু বছর ধরে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে এলাকাবাসী। বিনোদনের জন্য এ দিনটির অপেক্ষা করে থাকেন এলাকাবাসী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বর্ণির বাওড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে এ বাইচের আয়োজন করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পরুষ, শিশু-কিশোর এ নৌকাবাইচ উপভোগ করেন। বাইচ উপলক্ষে বাওড়ের দু’পাড়ে বসে গ্রামীণ মেলা।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নবাসী ঐতিহ্যবাহী বর্ণি বাওড়ে বহু বছর ধরে এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। বিনোদনের জন্য এ দিনটির অপেক্ষা করে থাকেন এলাকার মানুষ। তারা উপভোগ করেন ঢাকের তালে তালে মাল্লাদের গাওয়া জারি সারি আর বৈঠার সলাৎ সলাৎ শব্দ।

এ নৌকাবাইচে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বাছারী নৌকা অংশ নেয়। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ নৌকাবাইচ। বাওড়ের মধ্যে ছোট ছোট অসংখ্য নৌকায় বসে নানা বয়সী নারী-পুরুষ উপভোগ করেন বাইচ প্রতিযোগিতা।

এছাড়া বাওড়ের দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষও উপভোগ করেন এই দৃষ্টিনন্দন বাইচ।

মেলা উপলক্ষে বাওড়ের দু’পাড়ে গ্রামীণ মেলা বসে। এ মেলায় মিষ্টি, চানাচুর, চটপটি. ফুসকাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার ও শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ বাঁচিয়ে রাখতে সবাই এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা দর্শনার্থীদের।

গোপালগঞ্জ শহের থেকে নৌকাবাইচ দেখতে আসা আকবর হোসেন বলেন, ‘দিন দিন আমাদের গ্রামবাংলার নানা ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ এসব ঐতিহ্য ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও এই নৌকাবাইচের আয়োজক খালিদ হোসেন বলেন, ‘আগামীতেও এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হবে।’

এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পারকুশলি গ্রামের মামা-ভাগ্নে নৌকা প্রথম, বর্ণি গ্রামের স্বপ্নের তরী দ্বিতীয় ও জোয়ারিয়া গ্রামের জয় মা দুর্গা নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

আরও পড়ুন:
নৌকাবাইচ দেখতে কুমার নদের দুই পাড়ে হাজারো মানুষ
বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে মুখরিত দুই পাড়
নৌকাবাইচ দেখতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে নিখোঁজ দুই শিশু
নৌকা ডুবে যাওয়ায় স্থগিত বাইচ

মন্তব্য

বিনোদন
Viewers are abusing me Raima

দর্শক আমাকে গালি দিচ্ছে: রাইমা

দর্শক আমাকে গালি দিচ্ছে: রাইমা রাইমা সেন
রাইমা বলেন, ‘প্রচুর দর্শক দেখলাম গালাগাল দিতে শুরু করল আমায়। এক এক করে আনফলোও হয়ে গিয়েছে প্রচুর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। আমার বক্তব্য একটাই। সিনেমা না দেখেই কী করে প্রোপাগান্ডা বলে ধরে নিচ্ছে মানুষ?’

‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক ছড়িয়েছে চারদিকে। বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতীয় ভারতীয় অভিনেত্রী রাইমা সেনও। এবার এ নিয়েই মুখ খুললেন তিনি।

একটি সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, সমালোচনার আগে সিনেমাটি দেখুন।

রাইমা বলেন, ‘প্রচুর দর্শক দেখলাম গালাগাল দিতে শুরু করল আমায়। এক এক করে আনফলোও হয়ে গিয়েছে প্রচুর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। আমার বক্তব্য একটাই। সিনেমা না দেখেই কী করে প্রোপাগান্ডা বলে ধরে নিচ্ছে মানুষ?’

তিনি বলেন, ‘বিবেক অগ্নিহোত্রীর শেষ সিনেমা দেখে এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সবাই? না দেখে এত জাজমেন্ট দেয়া তো ঠিক নয়। তাই সবাইকে একটাই কথা বলব, দয়া করে সিনেমা দেখুন, তারপর যা বলার বলবেন।

‘আমি কী সিনেমা করছি সেটা দেখে তো আমায় বিবেক সিনেমা দেয়নি। একবারও জিজ্ঞেস করেনি যে কেন এখন আমি সিনেমা করছি না। আমার মনে হয়েছে আমার কেরিয়ারের জন্য এটা অত্যন্ত জাস্টিফাইং একটা চরিত্র। যেটা করে আমারও বেশ ভালো লেগেছে।’

চলতি বছরের জুনে প্রথম প্রকাশ্যে আসে ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার পোস্টার। একঝলক দেখেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এর গল্প নিয়ে নানা আলোচনা। এরপর বহু বিতর্ক মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বলেন, দেশের দুঃসময় নিয়ে এমন সিনেমা কী করে বানাতে পারলেন বিবেক?

দর্শক আমাকে গালি দিচ্ছে: রাইমা

বলিউড সিনেমায় এর মধ্য দিয়েই প্রথম অভিনয় করছেন রাইমা। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিবেক অগ্নিহোত্রী কলকাতায় এলে তার সঙ্গে আমি দেখা করি। তারপর আমায় পুরো গল্পটা তিনি শোনান। সেই কঠিন সময়ে যা আমরা পার করেছি, গোটা ভারতবর্ষ যা দেখেছে সেটা তুলে ধরা হবে।

‘এই সিনেমায় দু ধরনেরর চরিত্র থাকবে। একশ্রেণি যারা বলবেন, ভারতবর্ষ ভ্যাকসিনের লড়াই করে দেখাতে পারবে। আরেক শ্রেণি যারা বলবে, না কোনোভাবে পারবে না। সেই সময় এই ধরনের ঘটনাই তো ঘটছিল চারিদিকে। আমি একজন সায়েন্স জার্নালিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। যে বিশ্বাস করেন, ভারতবর্ষ এটা করতে পারবে না কখনোই।’

রাইমা বলেন, ‘পুরো সিনেমায় দেখা যাবে রিসার্চের ওপর ভিত্তি করে সেই সাংবাদিক সব তথ্য তুলে ধরছেন। এ রকম নয় যে, সবাই যা বলছে সেটাই সাংবাদিকও তুলে ধরছে। আমাকে বিবেক বলেছিলেন, তুমি তোমার চরিত্রটা খুব পজিটিভলি তুলে ধরো। তারপর সবটা দর্শকের ওপর ছেড়ে দাও। হয়তো তাদের ভালো লাগবে না। তারা তোমায় ঘৃণা করতে শুরু করবে। কিন্তু, তুমি যে বার্তা দেবে তারা সেটা ইগনোরও করতে পারবে না কোনোভাবে।’

মন্তব্য

বিনোদন
Hollywood writers strike called off

হলিউড লেখকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

হলিউড লেখকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
১১ হাজার ৫০০ সদস্যের লেখক সংগঠন রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা বলছে, লেখকদের নিরাপত্তার জন্য এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

পাঁচ মাস ধরে চলা হলিউড লেখকদের ধর্মঘট অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বড় স্টুডিওগুলের সঙ্গে শ্রমচুক্তির প্রেক্ষাপটে হলিউড লেখক ইউনিউয়ন এই ঘোষণা দেয় বলে সোমবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসারস (এএমপিটিপি)-এর জোটের সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা (ডব্লিউজিএ)।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পাঁচ দিন ধরে আলোচনার পর চুক্তি হয়েছে তিন বছরের জন্য। তবে চূড়ান্তভাবে এই চুক্তি অনুমোদনের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হবে।

১১ হাজার ৫০০ সদস্যের লেখক সংগঠন রাইটার্স গিল্ড অফ আমেরিকা বলছে, লেখকদের নিরাপত্তার জন্য এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

গত ২ মে ধর্মঘটে নামেন ফিল্ম এবং টিভি লেখকরা। ক্ষতিপূরণ, লেখকদের কক্ষে ন্যূনতম স্টাফিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং জনপ্রিয় স্ট্রিমিং শোগুলির জন্য লেখকদের পুরস্কৃত করে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য কর্মসূচি দেন তারা।

আরও পড়ুন:
বিয়ের ২৭ বছর পর আলাদা হওয়ার কথা জানালেন হিউ জ্যাকম্যান
চুপিসারে বিয়ে সারলেন ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’
গাঁজাসহ গ্রেপ্তার জিজি হাদিদ, জরিমানা দিয়ে মুক্তি

মন্তব্য

বিনোদন
Puff Daddy series closure legal notice for 5 scenes

পরীমনি অভিনীত ‘পাফ ড্যাডি’ বন্ধে আইনি নোটিশ 

পরীমনি অভিনীত ‘পাফ ড্যাডি’ বন্ধে আইনি নোটিশ  ‘পাফ ড্যাডি’ ওয়েব সিরিজের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
নোটিশে আইনজীবী বলেন, “‘পাফ ড্যাডি’তে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ককে প্রমোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বিয়েতে অনুৎসাহিত করা, আধ্যাত্মিক মনীষীর চরিত্রকে অত্যন্ত বাজেভাবে হরণ করা, প্রতি মুহূর্তে যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ওই মুভিতে আর কোনো বার্তা নেই।”

চিত্রনায়িকা পরীমনি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘পাফ ড্যাডি’ প্রচার বন্ধে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত-সমালোচিত সিরিজটির পাঁচটি দৃশ্যের জন্য প্রচার-প্রচারণা বন্ধে ছয়জনকে আইনি নোটিশ পাঠান কুমিল্লার এক আইনজীবী।

ইমেইল ও ডাকযোগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

ওই আইনজীবীর নাম জয়নাল আবেদীন মাযহারী। তিনি কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন প্র্যাকটিস করেন।

আইনজীবী মাযহারী জানান, তিন দিনের মধ্যে চিত্রনায়িকা পরীমনি অভিনীত ওয়েব সিরিজ পাফ ড্যাডি প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন বন্ধ করতে চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।

এ আইনজীবী রোববার দুপুর ১টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তার ভাষ্য, সিরিজটিতে ইতিবাচক কোনো বার্তা নেই।

নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, “‘পাফ ড্যাডি’তে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ককে প্রমোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বিয়েতে অনুৎসাহিত করা, আধ্যাত্মিক মনীষীর চরিত্রকে অত্যন্ত বাজেভাবে হরণ করা, প্রতি মুহূর্তে যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ওই মুভিতে আর কোনো বার্তা নেই।”

ইমেইলের মাধ্যমে ও ডাকযোগে পাঠানো আইনি নোটিশ যাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।

এর আগে গত এপ্রিলে অভিনেত্রী প্রভাকেও আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মাযহারী।

আরও পড়ুন:
ডিভোর্সের প্রতিক্রিয়ায় রাজ বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’
ডিভোর্স নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন পরীমনি
যে ৪ কারণে রাজকে ডিভোর্স দিলেন পরীমনি
রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরী

মন্তব্য

বিনোদন
Bangladeshs first premium water park Mana Bay inaugurated

বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’ উদ্বোধন

বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’ উদ্বোধন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়ায় বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’। ছবি: নিউজবাংলা
প্রায় ৬০ হাজার স্কয়ার মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত পার্কটিতে সকল বয়সের মানুষের জন্য বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিনটি আয়োজন হলো- ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, ওয়েভ পুল, ও ফ্লোরাইডার ডাবল।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকায় বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র উদ্বোধন হয়েছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ওপেনিং প্যারেড, ওয়ারিয়র ড্যান্স, হাক্কা ড্যান্স ও স্টিল্ট ওয়াকিং পারফরম্যান্সসহ একটি প্রাণবন্ত কার্নিভালের আয়োজন করা হয়।

সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বিনিয়োগে এসিএস টেক্সটাইলের মালিকানায় পরিচালিত এ ওয়াটার পার্কটি দর্শনার্থীদেরকে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিতে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দাবি করেন উদ্যোক্তারা।

প্রকল্পটিকে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে স্বনামধন্য রাইড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হোয়াইটওয়ার্টার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল।

প্রায় ৬০ হাজার স্কয়ার মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত পার্কটিতে সকল বয়সের মানুষের জন্য বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম তিনটি আয়োজন হলো- ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, ওয়েভ পুল ও ফ্লোরাইডার ডাবল। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা জোন ও একটি কৃত্রিম নদীর ব্যবস্থা রয়েছে পার্কটিতে।

বিকেল ৪টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে