লুঙ্গি পরে স্টার সিনেপ্লেক্সে আসায় টিকিট না পওয়া সেই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে সিনেমা দেখলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের সনি স্কয়ারে। নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
সেই ব্যক্তির নাম সামান আলী সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার শো তে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা পরাণ সিনেমাটি দেখেছে। সিনেমা দেখার সময় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের অনেকে এসেছিলেন লুঙ্গি পরেই।
মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে সামান আলী সরকারের খোঁজ পাই আমরা। তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আমরা সিনেমা দেখিয়েছি।’
স্টার সিনেপ্লেক্স তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সামান আলী সরকার ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছে, ‘সম্পূর্ণ স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবারের পক্ষ থেকে সামান আলি সরকার এবং তার পরিবারকে আমাদের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। আপনাকে খুশি করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
বুধবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরে ফেসবুকে। সেখানে লুঙ্গি পরে থাকা সামান আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘লুঙ্গি পরে আছি বলে আমার কাছে টিকিট বিক্রি করেনি।’
বৃহস্পতিবার সকালে স্টার সিনেপ্লেক্স তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। জানায়, ‘স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা জানাতে চাই, আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো কিছুর ওপর ভিত্তি করে বৈষম্য করি না। আমাদের সংস্থায় এমন কোনো নিয়ম বা নীতি নেই যা একজন ব্যক্তিকে লুঙ্গি পরার কারণে টিকিট কেনার অধিকারকে অস্বীকার করবে। আমরা জানাতে চাই, আমাদের সিনেমা হলে সবাই নিজেদের পছন্দের সিনেমা দেখার জন্য সব সময় স্বাগতম।’
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে সনি স্কয়ারে লুঙ্গি পরে গিয়েছিলেন কার্টুনিস্ট, অভিনেতা মোরশেদ মিশুসহ কয়েকজন। সেখানে তারা টিকিট কাটেন।
নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার লোক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির উদ্যোগে দেশব্যাপী চিরায়ত বাংলা নাটক মঞ্চায়ন কর্মসূচি উদযাপন করছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) থিয়েটার ক্লাব।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আইইউবি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো মনসুর বয়াতি রচিত পালা নাটক ‘দেওয়ানা মদিনা’।
নাটকটির নির্দেশনায় মো. শামীম সাগর এবং সহ-নির্দেশনায় ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় ৬৪টি জেলা ও ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। দেওয়ানা মদিনা এই কর্মসুচির তৃতীয় এবং আইইউবি থিয়েটারের ২১তম প্রযোজনা।
দর্শক সারিতে উপস্থিত থেকে নাটকটি উপভোগ করেন আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপ-পরিচালক আলী আহমেদ মুকুল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবির, আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক মমতাজ পারভীন এবং আইইউবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মনসুর বয়াতি রচিত ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটি মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকা হিসেবে সমাদৃত। বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান সোনাফরের পুত্র আলাল ও দুলালের বিচিত্র জীবনকাহিনী এবং দুলাল ও গৃহস্থ মদিনার প্রেমকাহিনী এই পালার বিষয়বস্তু।
নাটকটিতে অভিনয় করেন আইইউবির নাট্যকর্মী শিক্ষার্থী আনিকা বুশরা শশী, মো. বাসিতুল্লাহ খান, মো. তৌহিদুল ইসলাম অঙ্কুর, সানজিদা আক্তার মীম, আশরাফুল করিম চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মাহিন সিয়াম, মুবাল্লিক হোক মৃধা (আবিদ), সৌহার্দ্য পাল, সামিয়া রেজা মাইশা, আনিকা ফাইরোজ, মো. সৌমিক উদ্দিন মাহি, মোছা. সাদিয়া আফরিন অর্না, মুবাশশির আল জামী সিয়াম প্রমুখ।
সংগীত সহযোগিতায় ছিল ভিনস ব্যান্ড, জাহিদ হাসান, স্লাঘা অধিকারী, শরীফ মোহাম্মদ শাহজালাল পরান, এস এম শাকিল আমিন এবং আইইউবি মিউজিক ক্লাব।
ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ের খবরের মধ্যেই এল আরেক সুসংবাদ। এবার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন আরও এক জুটি। সামনের মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেতা সৌরভ দাস এবং অভিনেত্রী দর্শনা বণিক।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ে সারলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তী। আইনি বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের একাধিক ছবিও পোস্ট করেন পরমব্রত। তিনি জানান, অনুষ্ঠানে শুধু দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কখনও বড় করে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে যুগলের।
এই খুশির খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই রাতে জানা যায়, বিয়ে করছেন টলিউডের আরও এক জুটি সৌরভ দাস এবং দর্শনা বণিক।
সৌরভ এবং দর্শনার প্রেমের গুঞ্জন বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই। সম্প্রতি তারা যে আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, সে খবরও হাওয়ায় ভাসছিল। কিন্তু তাদের হঠাৎ বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে রীতিমতো চমকেই গিয়েছেন অনেকেই। কারণ, এর আগে কোনোদিনই প্রকাশ্যে সেভাবে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি দুজনেই।
‘মন্টু পাইলট’ খ্যাত সৌরভ ওটিটি-র ব্যস্ত অভিনেতা। বেশ কিছু জনপ্রিয় সিরিজ়ে তিনি অভিনয় করছেন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘অন্তরমহল’।
অন্য দিকে দর্শনা ইতোমধ্যেই টলিউড থেকে বলিউড হয়ে দক্ষিণের বেশ কিছু সিনেমা করে ফেলেছেন। সিরিজ় থেকে সিনেমা-তার কাজের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, তারা একসঙ্গে একটি সিরিজ়ে অভিনয়ও করবেন। তবে আপাতত দুজনে ব্যস্ত বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে।
প্রেমের সম্পর্কে বেশ কয়েকবারই জড়িয়েছেন ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এবার আর প্রেমেই শেষ নয় ঠিক, প্রেম থেকে বিয়ে। হ্যাঁ, ব্যাচেলর ডিগ্রিটা হারিয়ে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া ৪৩ বছর বয়সী পরমব্রত বেশ অনেক দিন ধরেই চুটিয়ে প্রেম করেছেন হবু স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। অবশেষে সব গুঞ্জন দূরে সরিয়ে চার হাত এক হতে যাচ্ছে তাদের। এসবের মধ্যেও ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে পরমব্রত ও পিয়ার অতীত জীবন।
মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রী। তাদের বিয়ে ভেঙে যায় ২০২১ সালে। বিয়ে ভাঙার পর দুজনেই যৌথভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময়ই খবর রটেছিল, পরমব্রতের সঙ্গে পিয়া প্রেম করছেন বলেই নাকি অনুপমের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
অবশ্য সে কথা পরমব্রত নাকচ করে দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেছে, তারা শুধুই খুব ভালো বন্ধু। এই ধরনের আলোচনায় যে তিনি খুবই বিরক্ত, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তবে তার পর সময় অনেকটা পেরিয়েছে। এর পর প্রেম, এখন বিয়ে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পরমব্রতর জীবনে প্রেম এসেছে বারবার। অভিনেতার রঙিন জীবন নিয়ে একটা সময় কম চর্চা হয়নি। প্রেমময় জীবন নিয়ে ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকে বেশ খোলামেলা ছিলেন পরমব্রত। একটা সময় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন অভিনেতা। সিঙ্গেল মাদার স্বস্তিকার সঙ্গে তার প্রেম টলিপাড়ার মচমচে গসিপের কেন্দ্র ছিল। তবে বেশিদিন টেকেনি সম্পর্ক। ২০১০ সাল নাগাদ ভাঙন ধরে এই প্রেমের কাহিনিতে।
এরপর ইতিউতি পরমের সঙ্গে টলিপাড়ার বেশকিছু নায়িকার নাম জড়ালেও সেসব নিয়ে একদম সিরিয়াস ছিলেন না নায়ক। রাইমা সেনের সঙ্গে অনস্ক্রিনে পরমব্রতর কেমিস্ট্রি বরাবর চোখ টানে। অফ-স্ক্রিনেও নাকি একটা সময় জমে উঠেছিল তাদের রসায়ন। কিন্তু বেশিদূর গড়ায়নি সম্পর্ক।
পরে টলিউডের এক বিবাহিত অভিনেত্রীর সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল পরমব্রতর। তিনি অবশ্য স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে পরমব্রতর হাত ধরেননি প্রকাশ্যে।
এরপরই পরমব্রতর জীবনে এন্ট্রি নেন ইকা শাউট। এই ডাচ চিকিৎসকের সঙ্গে বিদেশে সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে আলাপ পরমব্রতর। দীর্ঘসময় লং ডিসট্যান্ট রিসেপশনশিপে ছিলেন তারা। পরে নিজের ক্যারিয়ার শিকেয় তুলে কলকাতায় চলে আসেন ইকা। এক সঙ্গে থাকতেন তারা।
২০১৯ সালে ইকার সঙ্গে পরমব্রতর বিয়ে নিয়ে কম জল্পনা শোনা যায়নি। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী, এটাই নাকি ছিল তার দীর্ঘস্থায়ী প্রেম। কোভিডের সময়ই পরমব্রতকে ছেড়ে নেদারল্যান্ডে ফেরেন ইকা। এই প্রেম কেন ভাঙল তা সবার অজানা।
এরপর করোনাকালে শুরু পরম-পিয়ার বন্ধুত্ব। কাজ করতে গিয়ে বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হয়। আর এ পথে হেঁটেই পিয়ার টানে শেষমেশ টলিউডের ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ তকমা ঝেড়ে ফেলছেন পরমব্রত।
আরও পড়ুন:অনেক দিন ধরেই প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। বিয়েটাও নাকি চুপিচুপি করে ফেলেছেন তারা। তবে এসব মিথ্য হলেও, একটা তথ্য এখন সুনিশ্চিত; সোমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তী।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, তারা যে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবেন, সে খবর হাওয়ায় বহু দিন ধরেই ভাসছিল। অবশেষে সেই আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে এদিন সন্ধ্যায়। এই বিয়েতে খুব বেশিজন নেই বর-কনের নিমন্ত্রিতদের তালিকায়।
পরমব্রত এখন টলিউডের ব্যস্ততম অভিনেতাদের মধ্যে একজন। শুধু টলিউডে বললে ভুল হবে। কারণ, বাংলার পাশাপাশি তিনি হিন্দিতেও সমানতালে কাজ করে চলেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি পরিচালক-প্রযোজকও বটে। অন্যদিকে, পিয়া একজন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী।
পরমব্রতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই সবার খুব আগ্রহ। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। কোনোদিনই খুব বেশি লুকোছাপা করেননি সে সব নিয়ে। শেষ তার বিদেশিনি প্রেমিকা ইকার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল দুজনের।
তবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও পরমব্রত তা নিয়ে খোলাখুলিই কথা বলেছিলেন। কিন্তু পিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি শুরু থেকেই সাবধানী। তার অবশ্য বিশেষ কারণও রয়েছে। পিয়া সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রী। তাদের বিয়ে ভেঙে যায় ২০২১ সালে। বিয়ে ভাঙার পর দুজনেই যৌথভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময়ই খবর রটেছিল, পরমব্রতের সঙ্গে পিয়া প্রেম করছেন বলেই নাকি অনুপমের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন পিয়া।
অবশ্য সে কথা সে সময় পরমব্রত নাকচ করে দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেছিলেন, তারা শুধুই খুব ভাল বন্ধু। এই ধরনের আলোচনায় যে তিনি খুবই বিরক্ত, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তবে তার পর সময় অনেকটা পেরিয়েছে। দুজনে যে সত্যিই প্রেম করছেন, সে কথা অনেক দিন ধরেই পরিষ্কার হচ্ছিল ধীরে ধীরে। যদিও তারা কোনো দিনই প্রকাশ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগতই রেখেছিলেন।
সম্পর্কের কথা যেহেতু খুব বেশি দিন আড়ালে রাখা যায় না, এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। পরমব্রত যে পিয়ার বাড়িতে যাতায়াত বাড়িয়েছেন, সে কথাও জানা গিয়েছিল।মাঝে পরমব্রত শুটিংয়ের জন্য লন্ডনে ছিলেন দীর্ঘ দিন। সে সময় পিয়াও গিয়েছিলেন দেখা করতে। কিছু দিন আগেই পিয়া এবং তার মায়ের সঙ্গে পরমব্রতকে পার্ক স্ট্রিটের এক রেস্তরাঁয়ও দেখা গিয়েছিল।
বহু দিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল, তারা এই নভেম্বরেই বিয়ে করছেন। পিয়ার বাড়ির লোকদের সঙ্গে পরমব্রতের ঘনিষ্ঠতা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। অবশেষে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ে করছেন দুজনে।
তবে খুব বড় করে বিয়ের আয়োজন করেননি তারা। খুবই কম সংখ্যক নিমন্ত্রিতদের নিয়ে মূলত পরিবার এবং একান্ত ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতে বিয়ে হবে দুজনের। টলিউ়ডের বিশেষ কাউকেই সেভাবে ডাকেননি তারা।
আরও পড়ুন:শৈশবে মাকে হারানোর পর নানাবাড়িতে বেড়ে ওঠেন পরীমনি। রাজধানীর বাসায় বর্ষীয়ান নানা শামসুল হক গাজীর সঙ্গেই থাকতেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা। নাতনির দুঃসময়ে ছায়া হয়ে থাকা সেই মানুষটি গত হয়েছেন বৃহস্পতিবার।
নানাকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান পরীমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তার অনুভূতি। কালো পলিথিনে ঢাকা শামসুল হকের কবরের পাশে তোলা একাধিক ছবি শনিবার সকালে পোস্ট করে আবেগঘন ক্যাপশন দেন অভিনেত্রী।
পারিবারিক কবরস্থানটিতে তিনটি কবর রয়েছে জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি। আর এই যে আমার জানের মানুষটার (নানা) কবর।
‘নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনোদিন। এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন, তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কী ছিল।’
নানা হারানোর শোক শক্তি দিয়েছে জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার, কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বটগাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে, সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেবেন, এটা আমার নানুর দোয়া।
‘কত ভাগ্য, আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানু ভাই, কত সান্ত্বনায় রেখে গেল আমাকে। জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর…।’
আরও পড়ুন:বেশ কিছুদিন প্রেমের পর গত বছর বলিউড তারকা রণবীর কাপুরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আরেক তারকা আলিয়া ভাট। তবে এখনই তাদের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক নিরন্তর।
আলিয়ার গলার আওয়াজ থেকে শুরু করে তার সাজগোজ- সব নিয়েই নাকি নিত্য খবরদারি করেন ঋষি-পুত্র। আলিয়াকে শাসন করা নিয়ে রণবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগও অনেক। তবে এসবের পরও রণবীর নাকি নিজেই আলিয়ার হাতে মার খাওয়ার ভয়ে থাকেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বৃহস্পতিবার মু্ক্তি পেয়েছে ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার ট্রেলার। সেই ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে এসে রণবীর জানান, অর্জুন তার ক্যারিয়ারের সবথেকে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। আগে বহুবার বলেছেন, মেথড অ্যাক্টিংয়ে বিশ্বাসী তিনি। শুটিং চলাকালীন তাহলে কি রণবীর অর্জুনের চরিত্রের মধ্যেই থাকতেন? শুনেই সাফ মানা করে দিলেন রণবীর। কারণ, তা হলে নাকি আলিয়ার হাতে মার খেতে হত।
যে সময় ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার শুটিং করেছেন রণবীর, সেই সময় আলিয়া ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। সেই সময় যদি এমন একটা মানসিক বিকারগ্রস্থ চরিত্রের রেশ বাড়িতে নিয়ে যেতেন, সেটা তাদের আসন্ন সন্তানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলত।
রণবীর বলেন, আমি কখনো কোনো চরিত্রকে নিজের সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে যাই না। কারণ, সেটা আমার আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতি অবিচার করা হয়। আর যদি তা করতাম, তা হলে আমার বউ আমাকে মারত।
যদিও বৃহস্পতিবার ‘অ্যানিম্যাল’-এর ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নিজের উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেননি আলিয়া। জানিয়েছেন, ট্রেলারটি নাকি ৭ হাজার বার দেখে ফেলেছেন ইতোমধ্যেই। এখন অপেক্ষা করছেন ১ ডিসেম্বরের।
চিত্রনায়িকা পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খবর ইউএনবির
শুক্রবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমাদের শ্রদ্ধেয় নানুভাই... পরীমনির প্রিয় নানুভাই রাত ২টা ১১ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে সবাইকে কাঁদিয়ে আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন।
চয়নিকা চৌধুরী আরও লিখেছেন, ‘সবাই পরীর জন্যে, পরীর নানুভাইয়ের জন্যে দোয়া ও প্রার্থনা করবেন। যেন পরপারে তিনি শান্তিতে থাকেন। পরী যেন সহ্য শক্তি পায়। আহা!
‘নানুভাই আপনাকে কোনোদিন ভুলব না। আমার দেখা আপনি অসাধারণ সুশিক্ষিত একজন মানবিক মানুষ। আপনার ভালোবাসা অমলিন। শ্রদ্ধা আর ভালবাসা রইল।’
ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠেন পরীমনি। পরে ঢাকায় নানার সঙ্গেই থাকতেন এ নায়িকা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য