একটি মামলার ইস্যুতে একসঙ্গে আলোচনায় এসেছিলেন কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি ও আসিফ আকবর। ২০১৯ সালে ময়মনসিংহে ন্যান্সি মানহানির অভিযোগ করেছিলেন আসিফের বিরুদ্ধে।
সেই দূরত্ব কমার আভাস পাওয়া যায় সম্প্রতি। দুজন একসঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তেমনটাই জানিয়েছিলেন আসিফ আকবর।
২৭ জুলাই আসিফ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, ‘নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির কণ্ঠ আমাদের সম্পদ। আমাকে বলল, ভাইয়া আমি রাগ কমিয়ে ফেলেছি, আপনিও রাগ কমিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। অনেক দিন পর স্নেহের ন্যান্সির সঙ্গে গল্পগানের আড্ডায় নিজেকে হালকা করে ফেলেছি।’
তবে সেই নিভু নিভু আগুন যেন আবার জ্বালিয়ে দিলেন ন্যান্সি। এ কণ্ঠশিল্পী বুধবার সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখা পোস্টে জানিয়েছেন, নান্সির সঙ্গে আসিফের করা পূর্বের ধারাবাহিক মিথ্যে অসম্মানজনক অন্যায় কথা কোনোভাবেই ন্যান্সির কাছে ক্ষমার যোগ্য নয়।
২৭ জুলাই ন্যান্সির সঙ্গে আসিফ যে ছবি তুলেছিলেন, সেটি ছিল ন্যান্সির ছোট মেয়েকে নিয়ে করা আয়োজনে তোলা ছবি।
ন্যান্সি জানান, তার সর্বকনিষ্ঠ কন্যাকে দেখার উপলক্ষে অনেক তারকার মতো আমন্ত্রিত ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর।
শিল্পী আসিফ আরও অনেকের মতো তারও প্রিয় জানিয়ে ন্যান্সি লেখেন, ‘ওনার (আসিফ) আমার সঙ্গে করা পূর্বের ধারাবাহিক মিথ্যে অসম্মানজনক অন্যায় কথা কোনোভাবেই আমার কাছে ক্ষমার যোগ্য নয়। নিরুপায় আমি আইনের দ্বারস্থ হবার পর বাকি বিষয় চলমান আদালতের বিচার প্রক্রিয়া, যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই হবে।’
আসিফের সঙ্গে দ্বৈত গান করবেন কি করবেন না, সেই প্রসঙ্গ টেনে ন্যান্সি লেখেন, ‘আসিফ আকবরের সঙ্গে কোনো ডুয়েট অ্যালবাম করার প্রস্তাব কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আসেনি, এলেও করার প্রশ্নই আসে না।
‘যথেষ্ট জল ঘোলা হয়েছে, আর নয়। আসিফ আকবরের আমার সঙ্গে গান প্রকাশের ইচ্ছে থাকলে সেটা একান্তই তার নিজস্ব ইচ্ছে, আমার নয়।’
আগের অ্যালবামের সম্মানী চেয়ে ন্যান্সি লেখেন, ‘আমি আমার পূর্বের অ্যালবামের প্রাপ্য সম্মানী ফেরত চাই, সস্তা পাবলিসিটি নয়।’
আরও পড়ুন:দেশের উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী মাহতিম শাকিবের নতুন গান ‘দেখেছি রূপসাগরে’ প্রকাশ পেয়েছে অনলাইনে। গানটির প্রযোজক কলকাতার প্রভাবশালী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ মিউজিক।
১২ আগস্ট গানটি প্রকাশ পায় এসভিএফ মিউজিকের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। এর একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন কলকাতার টিভি মিডিয়ার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী দিতিপ্রিয়া ও দিব্যজ্যোতি।
ইউটিউবে গানটির বিবরণে লেখা হয়েছে, “প্রথম প্রেমের অনুভূতি ঠিক কী? সব প্রেম কি পূর্ণতা পায়? সব মনের মানুষ কি সত্যিই কাঁচা সোনা হয়ে উঠতে পারে? দুর্গা আর সত্যেনের প্রেমের পরিণতি কী হবে? অরিন্দমের সংগীতায়োজনে মাহতিম শাকিবের গাওয়া গান ‘দেখেছি রূপসাগরে’ গানে ফুটে উঠেছে ওদেরই প্রেমের গল্প।”
এসভিএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দিতিপ্রিয়া ও দিব্যজ্যোতির প্রথম মিউজিক ভিডিও এটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাহতিম শাকিব বলেন, ‘দেখেছি রূপসাগরে আমার প্রিয় গানগুলোর একটি। এ ভার্সনে কণ্ঠ দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। গানটি অনেক জনপ্রিয়, প্রায় সবারই শোনা, আমি কেমন গাইলাম সেটি জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
গানটি নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজেও লিখেছেন মাহতিম শাকিব। তিনি লিখেছেন, ‘গানটি আগে থেকে আমার অনেক প্রিয় ছিল। অরিন্দম দা যখন ফোন করে বললেন যে এটা আমরা আবার রিক্রিয়েট করতে চাই, মনের ভেতরে আনন্দের ঝলক খেলে গিয়েছিল।
‘ইতোমধ্যেই আপনাদের ভালোবাসায় আমরা সিক্ত হচ্ছি। শুধু গাওয়া ছাড়া এখানে আমার আর কৃতিত্ব নেই একদমই। বাকি যা করবার এসভিএফ মিউজিক আর অরিন্দম দা ও তার টিম এর সবার কৃতিত্ব।
‘গানটা শুনলে খারাপ লাগবে না এতটা হলফ করে বলতে পারি। শুনে জানাবেন কেমন হলো, আচ্ছা?’
এর আগেও কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মাহতিম। ‘দেখেছি রূপসাগরে’ গানটিতে মাহতিমের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সূচনা শেলি। গানটির কথা ও সুর নবনী দাস বাউলের।
আরও পড়ুন:অর্থহীন ব্যান্ডের নতুন অ্যালবামের কাজ চলছে পুরোদমে। সব ঠিক থাকলে ব্যান্ডটির নতুন অ্যালবাম প্রকাশ পাবে বছর শেষে। এটি হতে যাচ্ছে অর্থহীনের অষ্টম অ্যালবাম।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রোববার রাতে এ কথা জানিয়েছেন ব্যান্ডের ভোকাল সুমন (বেজবাবা সুমন)।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের শেষে বলেছিলাম আমাদের অষ্টম অ্যালবাম ২০২২ সালে ছাড়ব। ইনশাআল্লাহ হতাশ করব না।’
অ্যালবামের ডিটেইল অর্থহীনের পেজ থেকে শিগগিরই অফিশিয়ালি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অ্যালবামের কাজ যে বেশ ভালোভাবেই চলছে, সে কথাও জানিয়েছেন সুমন। কাজের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত একটা সপ্তাহ ভয়ানক ব্যস্ত ছিলাম। সারাক্ষণ ব্রেইনস্টরমিং, প্ল্যানিং, স্ট্র্যাটেজি, এক্সিকিউশন! মন ও শরীর যেন একটু পরপর রোলারকোস্টার রাইডে উঠছিল।
‘মজার ব্যাপারটা হলো, একবারের জন্যও বিরক্তি আসেনি মনে। কারণ কাজটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল বলা যেতে পারে। কারণ কাজটা অর্থহীনের অষ্টম অ্যালবামের।’
এরই মধ্যে অ্যালবামের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। সুমন জানান, আগামী মাসে তিনি আবার স্টুডিওতে ঢুকবেন ১০-১৫ দিনের জন্য। বাকি যে অর্ধেক কাজ রয়েছে সেটিও শেষ করে ফেলবেন।
‘মানুষ তো মনে করে হুদাহুদি চেতি/আহেন ভাই বহেন ব্যবসার পরিস্থিতি
ব্যবসার যে পরিস্থিতি/মুরগি খুঁজি টিটি- আয় টিটি
বাপ-দাদার আমলের স্মৃতি ধইরা রাখবার চাই/ম্যাগার ক্যামনে ধরুম ভাই
কন তো টুকুরটাকুর সদাই বেইচা কয় ট্যাকা কামাই
কন তো টুকুরটাকুর সদাই বেইচা কয় ট্যাকা কামাই।’
‘ব্যবসার পরিস্থিতি’ শিরোনামের গানের প্রথম কয়েকটি লাইন। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল এই গান। ফেসবুকে স্ক্রল করলেই চলে আসছে গানটির ভিডিও।
গানটির শিল্পী আলী হাসান। রোববার নিউজবাংলা কথা বলেছে এই র্যাপারের সঙ্গে। সেই আলাপচারিতায় উঠে এসেছে গানটি তৈরির গল্পসহ নানা বিষয়।
আলী হাসান বলেন, ‘দশ-বারো বছর আগে গান শুরু করেছি। তবে মাঝে অন্যান্য কাজকর্মের ব্যস্ততায় সেভাবে আর গান করা হয়নি। এর মধ্যে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটা ছেড়েছিলাম। তবে সাউন্ড ও ভিডিওর মান ভালো না থাকায় হিট হয়নি।’
নতুন গানটিতে শ্রোতা-দর্শকদের সাড়ায় অভিভূত আলী হাসান। জানালেন গানটি তৈরির পেছনের গল্প।
তিনি বলেন, ‘যখন দোকানদারি করতাম তখন কাস্টমারের সঙ্গে দুষ্টুমি করে মিলিয়ে বলতাম- ‘দেখেন তো ভাই, মালটা ঠিক আছে না লিক’। হা হা হা…, আমাদের অভ্যাসটাই এই টাইপের। আমার দাদী ছিলেন আগের যুগের মানুষ। তো উনি আবার কথা বলতেন ছন্দ মিলিয়ে। আমিও দাদীর রোগটা পেয়েছি। যাই বলি কথা বলার সময় ছন্দ মিলিয়ে বলি। ছোটবেলা থেকেই দুষ্টুমি করতাম, ঢোল-টোল নিয়ে গান গাইতাম। আস্তে ধীরে র্যাপ-হিপহপ জগতে আসা।’
শিল্পী হাসান বলেন, ‘ধীরে ধীরে ডায়ালগ বানানো শুরু করলাম। এই ডায়ালগ দিয়েই তো আমরা গান তৈরি করি। দোকানদারি করার সময় কাস্টমারের সঙ্গে কথা বলি। সেগুলোই মিলিয়ে লিখতে শুরু করি- ‘যাই করি তাই করি/ব্যবসা-বাণিজ্য তো গোল/চাকরি-বাকরি সে তো গোল/সে তো গোল।’ হা হা হা…। তারপর ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এই গান তৈরি করলাম। তবে এই গানটা তৈরি করতে অনেকটা সময় লেগেছে।’
দোকানের খবর জানতে চাইলে হাসান বলেন, ‘দোকান তো বিক্রি করে দিয়েছি প্রায় আট মাস হয়েছে। এরপর দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য কাগজপত্র জমা দিলাম। আগে তিন বছর কাতারে ছিলাম। তারপর কিছু ক্যাশট্যাশ নিয়ে দেশে ফিরে বাপের (বাবা) দোকানে ব্যবসা-বাণিজ্যে ইনভেস্ট করলাম। আমার বাপে এই ব্যবসা কইরাই আমাদেরকে বড় করছে। আমাদের হার্ডওয়্যারের দোকান ছিল। বাবার বয়স হয়েছে। এখন ভারী মালপত্র টানতে পারেন না। এইজন্য ব্যবসার হাল আমি ধরেছিলাম।’
র্যাপ চর্চার বিষয়ে জানতে চাইলে আলী হাসান বলেন, ‘চর্চা বলতে আমি প্রচুর পরিমানে ডায়ালগ লিখি। আমার দুই-তিনটি ডায়েরি ভরে গেছে। এগুলো থেকে পাঞ্চলাইন নিয়ে সব জোড়া দেই।’
তবে এই গুণ তার দাদীর কাছ থেকেই পেয়েছেন বলে জানালেন আলী হাসান। এ নিয়ে ছন্দ মিলিয়ে বলেন, ‘অনেকে কয় নাহ- জাতের ধারা জীবনের চারা। বংশগত রোগ আরকি হা হা হা…।’
হাসান আলী আরও যোগ করেন, ‘দাদীরে জিজ্ঞাসা করতাম- কী খাইছো? তখন তিনি বলতেন- ভাত আর ডাল, আর তোর বাপের গাল।’
দেশের বাইরে চলে গেলে কীভাবে গান করবেন বা ভবিষ্যতে গান নিয়ে পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে এই র্যাপার বলেন, ‘গান তো আমার নেশা, পেশা না। আমি যদি এটা করে ফ্যামিলি চালাতে পারতাম তখন না হয় এর ভেতরে থেকে যেতে পারতাম। আগে আমার কর্ম করতে হবে, সংসার চালাতে হবে।’
মা-বাবা, চার বোন ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার হাসানের। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। তবে যে দাদীর কাছ থেকে র্যাপের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি দু’বছর হলো মারা গেছেন।
হাসান জানান, ‘ব্যবসার পরিস্থিতি’ গানে তার সঙ্গে যারা কণ্ঠ মিলিয়েছেন তারা সবাই র্যাপার। সবাই স্থানীয় এবং নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত।
তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন- মারুফ আকন্দ, সাদি, আমিন আলী, রাকিব হাসান, মিস্টার রিজান, উদয় মাহমুদ ও মানাম হোসাইন।
আরও পড়ুন:বই আকারে প্রকাশ পেল বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস ও ১৮০টি ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি। বইটির নাম ‘বাংলার রক মেটাল’; লিখেছেন মিলু আমান ও হক ফারুক।
এতে স্থান পেয়েছে পূর্ব পাকিস্তান সময়ে ষাটের দশক থেকে ছয়টি দশকে দেশের ব্যান্ড সংগীতের পথচলার ইতিহাস এবং মহান স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সব দেশি ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পাওয় ‘বাংলার রক মেটাল’ বইটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পন্দন ব্যান্ডের কাজী হাবলু, রেনেসাঁর নকীব খান, গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, ফিডব্যাকের ফোয়াদ নাসের বাবু ও লাবু রহমান, মাকসুদ ও ঢাকার মাকসুদুল হক, মাইলসের হামিন আহমেদ, ওয়ারফেজের ইব্রাহিম আহমেদ কমল ও শেখ মনিরুল আহমেদ টিপু, রকস্ট্রাটার আরশাদ আমীন।
এ ছাড়া দেশের নবীব-প্রবীণ সব ব্যান্ডের মিউজিশিয়ান, পাঠক ও ব্যান্ড সংগীতপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। প্রকাশনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার।
অনুভূতি প্রকাশে বইয়ের লেখক মিলু আমান বলেন, ‘বাংলার রক মেটাল বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমাদের গর্বের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস সঠিকভাবে লিখিত হলো। এটি আমাদের ব্যান্ড সংগীতের পূর্ণাঙ্গ এনসাইক্লোপিডিয়া হিসেবে কাজ করবে।’
বইটির আরেক লেখক হক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গত ২০টি বছরের সাধনায় লেখা বাংলার রক মেটাল। আমাদের ব্যান্ড সংগীত নিয়ে নানা তথ্যের বিভ্রান্তি দূর করবে এ বই। প্রজন্মের পর প্রজন্মে ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনটি ভাগে সাজানো হয়েছে এ বই। প্রথমাংশে ষাটের দশক থেকে শুরু করে আজকের সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের পটভূমি, ইতিহাস, পথচলা ও নানা পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে ১৮০টি ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি ও প্রোফাইল।
প্রোফাইলগুলো সাজানো হয়েছে ব্যান্ডগুলোর জন্মসাল ক্রমান্বয়ে, পুরোনো ব্যান্ড থেকে নতুন ব্যান্ড হিসেবে। দেশের সব প্রখ্যাত ব্যান্ডের পাশাপাশি কিছু সম্ভাবনাময় নতুন ব্যান্ডের প্রোফাইল রাখা হয়েছে। প্রতিটি ব্যান্ডের অ্যালবাম ও গানের তালিকা ডিস্কোগ্রাফি আকারে সন্নিবেশ করা হয়েছে।
আর তৃতীয় অংশে রয়েছে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যান্ডের তালিকা।
‘বাংলার রক মেটাল’ প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা আজব প্রকাশ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন নিয়াজ আহমেদ অংশু এবং নামলিপিতে মোস্তাফিজ কারিগর। গ্রাফিক্স ডিজাইন করেছেন কৌশিক জামান। ৪৬৪ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ১ হাজার টাকা।
‘মাটির বাংলার, শ্যামলা চামড়ার
মাঝি মাল্লা, কৃষি কামলা
মর্জিনার দেওয়ানা, যাযাবর যতটি জটা পাগলা
ঢোলের তালে হেইলা দুইলা
নাইচা, গায়া, হাইসা, খেইলা
জাললে জালালি জালা
ভবের বাত্তির জোলাভাতি
গানের পাগল, জাতের পাগল, জুইতের পাগল, ভাতের পাগল, গোলে পাগল, মালে পাগল, বাক্সে বন্দি লক্ষ্য পাগল, ভবের পাগল, রবের পাগল, দুনিয়ার সবই পাগল
জাললে জালালি জালা, জাললে জালালি শই’
কোক স্টুডিও বাংলায় ‘ভবের পাগল’ গানে উপরের লাইনগুলো গেয়েছে জালালি সেট।
বাংলার হিপ-হপ গানের দলটি বাংলায় র্যাপ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। চার জনের এ দলে রয়েছেন এমসি মাগজ, জালালি সাফায়াত, ডাবল এস ও সাধু।
কোক স্টুডিও বাংলার মঞ্চে তাদের গান পরিবেশনের কারণে শ্রোতাদের কাছে আরও কিছুটা এগিয়ে গেছে জালালি সেট। ২৮ জুলাই রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পরিবেশনার পর নিউজবাংলার কথা হয় জালালি সেটের সঙ্গে।
এমসি মাগজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোক স্টুডিও বাংলা প্লাটফর্মটা খুব মেইনস্ট্রিম। আমাদের বাংলা র্যাপ গান তো অনেকদিন আন্ডারগ্রাউন্ড ছিল, এখনও আছে, কিন্তু এই কোক স্টুডিও প্লাটফর্মের কারণে আমাদের একটা নতুন ক্রাউড হইছে, সেটা মেইনস্ট্রিম ক্রাউড।
‘যাদের বয়স একটু বেশি যেমন আমাদের মা-বাবা, ওই ক্রাউডটা আমরা ক্যাপচার করতে পেরেছি। প্রচুর সাড়া পাচ্ছি, কনসার্ট, সাউন্ড ট্র্যাক, এজেন্সি, ফিল্মের কাজগুলো আসতেছে। টুকটাক সবদিক দিয়ে অনেকে নক করছে। আর একটা বাজ ক্রিয়েট হইছে।’
কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার এ কৃতিত্ব এমসি দিয়েছেন অর্ণবকে। তিনি কোক স্টুডিও বাংলার সংগীত প্রযোজক। এমসির মতে মেইন স্ট্রাগলটা করেছেন অর্ণব। বাংলা র্যাপকে মেইনস্ট্রিমে তুলে ধরেছেন তিনি।
জালালি সেট এখন নতুন কিছু লক্ষ্য তৈরি করছে। এমসি মাগজ বলেন, ‘লক্ষ্যের তো কোনো শেষ নাই। একসময় আমাদের গোল ছিল যে, মার্কেটে একটা অ্যালবাম থাকবে। ২০১৫ সালে আমাদের প্রথম অ্যালবাম বের হয়।
‘এখন নতুন নতুন অনেক গোলস তৈরি হচ্ছে। আমরা লং টার্ম চিন্তা ভাবনা করি বাংলা র্যাপ নিয়ে। আর স্ট্রাগল তো চলছেই।’
র্যাপ মিউজিককে পেশা হিসেবে নিয়ে টিকে থাকা যাবে কি না জানতে চাইলে সাফায়াত জানান, বাংলাদেশের মিউজিক থেকে আর্টিস্টরা অনেক কিছু করে ফেলছে এমন না। বেশিরভাগ আর্টিস্ট শখের বশে মিউজিক করে। যারা র্যাপ করে তারাও শখ থেকেই করে। র্যাপ গান নিয়ে এখনও ক্যারিয়ার অপরচুনিটি বাংলাদেশের নাই।
আশাবাদ ব্যক্ত করে সাফায়াত বলেন, ‘রেকর্ড লেভেলস আসছে, ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। আরও কিছু বছর যাওয়ার পর হয়তো আমরা একটা আউটকাম পাব। দিনশেষে আসলে আমরা হয়তো জিতি, না হয় শিখি, ওই হার মানে যে হাল ছাড়ে। আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জালালি সাফায়াতকে ‘লোকাল বাস’ গানে একাই পারফর্ম করেছেন র্যাপার হিসেবে। জালালি সেটের যে কেউ চাইলে একাও পারফর্ম করতে পারেন বলে জানান তিনি।
সাফায়াত বলেন, ‘এটাই তো জালালি, স্বাধীন। যে যার মতো কাজ করতেছে, সবাই সবার কাজ হাসিল করতে হয়। আমরা এক সঙ্গে কাজ করি, আবার যখন একজনের করা দরকার, উনার জন্য বেটার, তখন উনি করে। যেমন কোক স্টুডিও তে আমরা টোটালি মার্কস ভাইয়ের উপর ডিপেনডেন্ট ছিলাম। ভাই যেটা করবে সেটাই।’
জালালি সেটের নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ডাবল এস বলেন, ‘আমাদের প্রথম অ্যালবাম করার পর আরেকটা গোল ছিল যে, আমরা আরেকটা অ্যালবাম করব। এখন তো অ্যালবামের যুগ নাই আর। আমাদের কাজ চলতেছে নতুন গানের, পাশাপাশি আমাদের আরও কিছু ইনিশিয়েটিভ নেয়ার চিন্তাভাবনা আছে। যেমন ডকুমেন্ট্রি করা, পড কাস্টিং করা। আমরা রেডি হচ্ছি, ভালো অফার আসলে স্পন্সর পেলে আরও কিছু করা যাবে।’
ডাবল এসের সঙ্গে এমসি আরও যুক্ত করে বলেন, ‘বাংলা র্যাপ কালচারে কোনো পডকাস্ট নাই, কোনো ডকুমেন্ট্রি নাই। এগুলো আমরা এবার করতে চাই।
‘২০১৫ তে আশাদের প্রথম অ্যালবাম আসছে। তখন থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অনেক ম্যাটেরিয়াল আমরা জমিয়েছি। আমরা ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে ব্রেকটা নেই। আমরা পরিমাণের চেয়ে মানে বিশ্বাস করি। ব্রেকের মধ্যে আমরা শব্দ কালেক্ট করি। বাংলা র্যাপ ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের যে লিরিক্স বা শব্দ সেটা খুব ইউনিক।’
শ্রোতাদের আহ্বান জানিয়ে সাধু বলেন, ‘কোক স্টুডিওর পর আমরা অনেক কনসার্টস পেয়েছি। ফ্রেন্ডদের বলব, আমাদের শো তে জয়েন কর, এনজয় কর।’
এমসি মাগজ র্যাপের পাশাপাশি বিট বানান, গ্র্যাফিতি করেন, হিপ-হপ অন্য কিছু অ্যাকটিভিটিসের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সাধু এখনও স্টুডেন্ট, সঙ্গে মিউজিশিয়ান, ব্যবসায়ী।
ডাবল এস শখ থেকেই শুরু করেছিলেন হিপ হপ র্যাপ। এখন ফ্যামিলি বিজনেসও দেখছেন। আর সাফায়াত তার সঙ্গে শুধু র্যাপার পরিচয়টাই রাখতে চান।
অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও মুচলেকা আদায়ের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
হিরো আলমের অভিযোগ, রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি না গাওয়ার ব্যাপারে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছে পুলিশ। তার নামের প্রথম অংশ ‘হিরো’ পরিবর্তন করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের পোশাক পরে অভিনয়ে আপত্তি জানিয়েছে ডিবি।
রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীতের মতো কপিরাইটবিহীন গান নিজের মতো করে কেউ গাইতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাতে বাধা দিতে পারে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কারও নাম পরিবর্তনের নির্দেশনা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না মনে করছেন, এ ধরনের কাজের দায়িত্ব পুলিশের নয়। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ হিরো আলমকে গান না গাইতে এবং নাম পরিবর্তনের জন্য যে মুচলেকা নিয়েছে, সেটা পুলিশ পারে না। এটা অসম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘ইউটিউব না থাকলে হিরো আলমের নামই কেউ জানত না। এ ধরনের কনটেন্ট পুলিশ বিটিআরসিকে সরিয়ে দিতে বলতে পারে, কিন্তু ডেকে নিয়ে এভাবে মুচলেকা নিতে পারে না।
হিরো আলমকে ডেকে নিয়ে পুলিশের মুচলেকা নেয়ার ঘটনায় ‘খুবই অবাক’ হয়েছেন জেড আই খান পান্না। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ পুলিশের ড্রেস পরেছে, তার জন্য হুঁশিয়ার করতে পারে, কিন্তু গান না গাইতে মুচলেকা নিতে পারে না।
‘সে (হিরো আলম) যেভাবে রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছে তার জন্য খারাপ লাগছে। তার মানে এই নয় যে, পুলিশ এটা করতে পারে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ যেটা করেছে, সেটা আমার কাছে মনে হয় না আইনসিদ্ধ হয়েছে। কারণ কে গান গাইবে, কে গাইবে না বা তার গান গাওয়ার ক্ষমতা কতটুকু- তা নির্ভর করছে ব্যক্তির ওপরে।’
গান না গাওয়ার জন্য মুচলেকা নেয়া ‘বিরল ঘটনা’ উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, ‘এমন ঘটনা আর ঘটেছে বলে মনে পড়ে না। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মুচলেকা নিতে পারে, কিন্তু গান গাইবে না এমন মুচলেকা নিতে কোনো আইন আছে কি না আমার জানা নেই।
‘অভিনয়ের সময় পুলিশ, আর্মি বা কোনো বাহিনীর পোশাক পরতে হলে ওই বাহিনীর একটা অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি না নিয়ে থাকলে পুলিশ তাকে বাধা দিতেই পারে। তবে গান না গাওয়ার জন্য মুচলেকা নেয়ার বিষয়টি বেআইনি হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। এটা ব্যক্তির মৌলিক অধিকারে বাধা দেয়ার শামিল।’
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডাকে বুধবার সকালে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন হিরো আলম। সেখানে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের কথা আর কী বলব! পুলিশের যে ড্রেস, যে প্যাটার্ন, ডিআইজি, এসপির যে ড্রেস তা না পরে কনস্টেবলের ড্রেস পরে ডিআইজি, এসপির অভিনয় করছে। ডিএমপির কমিশনার শিল্পী সমিতিতে বলেছেন, পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু হিরো আলম শিল্পী সমিতির সদস্যও না। সে অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরছে। কনস্টেবলের ড্রেস পরে এসপি, ডিআইজির অভিনয় করছে। এটা সে জানেও না।’
তিনি আরও জানান, হিরো আলম যেভাবে গান গান তাতে রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত পুরোটাই চেঞ্জ হয়ে যায়।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি এসব কেন করেন? তখন হিরো আলম আমাদের বলেছেন, আমি আর জীবনে এসব করব না। আমি আর পুলিশের পোশাক পরব না। কোনো ধরনের রবীন্দ্র-নজরুলসংগীত গাইব না।’
হিরো আলম পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, গান বিষয়ে মুচলেকা নেয়ার পাশাপাশি তার নাম থেকে ‘হিরো’ শব্দটি ছেঁটে ফেলতে বলেছে পুলিশ। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে ‘তুলে নিয়ে’ যায় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি সংগীত ঐক্যের দুই মহাসচিবের একজন নকীব খান। এ ছাড়া আরেক মহাসচিব কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে অনেকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
লেখক, প্রকাশক ও সংস্কৃতিকর্মী রবীন আহসান মনে করছেন, হিরো আলম কোনো ‘শিল্পী নন’, তাদের কর্মকাণ্ড এমনিতেই একদিন থেমে যাবে।
তবে পুলিশের হস্তক্ষেপকে সমর্থন করছেন না রবীন আহসান। তিনি বলেন, ‘যে যার মতো করে গান তো গাইতেই পারে। আমরা তো একজন বাউলের গান বন্ধ করতে পারব না। পুলিশ আমাদের দেশে বাউলের গান বন্ধ করেছে বিভিন্ন জায়গায়। তারপর আমাদের গ্রামে-গঞ্জে সব জায়গায় ওয়াজ-ধর্মীয় সংস্কৃতি এটা বেড়েছে। আমাদের কবিগান-লোকগান যাত্রা বন্ধ করে ধর্মীয় উন্মাদনা বেড়েছে।’
‘পুলিশ দিয়ে ঠেকানো-বন্ধ করা এটা আমি মনে করি ঠিক হয়নি এবং এটা আমাদের জন্য আখেরে খারাপ হবে। আমরা তো হিরো আলমরে ঠেকিয়েছি, এখন তারা যদি মনে করে অন্যদেরও; যারা দেশের ভালোর জন্য গান করছে, কিন্তু দেশদ্রোহী বলে পুলিশ তাদেরও ডেকে নিয়ে যাবে। ফলে এটা একটা বিপজ্জনক সংস্কৃতি হিসেবে দাঁড়াল।’
বগুড়ায় ডিশ লাইনের ব্যবসা দিতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে ভিডিও ছেড়ে হিরোর কনটেন্ট তৈরির শুরু। পরে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে তৈরি হয় হাস্যরস। তবে দমে না গিয়ে, সমালোচনা গায়ে না মেখে একের পর এক ভিডিও বানাতে থাকেন তিনি। সেই সঙ্গে শুরু করেন গান।
পরে বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, হিন্দি, আরবি, চীনা এবং আফ্রিকান সোয়াহিলি ভাষায় গান তিনি। তৈরি করেন সিনেমা। লেখেন বই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন তিনি।
স্পষ্টতই সমালোচনা, কটাক্ষ গায়ে মাখছেন না হিরো আলম। মফস্বল থেকে উঠে এসে রাজধানীর বুকে তিনি অবস্থান নিয়ে যে বেশ আয় করছেন, সেটি তার জীবনাচরণেও ফুটে ওঠে। তিনি গাড়ি কিনেছেন, নিয়েছেন অফিসও।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য