শাকিব খান প্রযোজিত অনুদানের সিনেমা মায়া পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ, এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। সিনেমাটির পরিচালক হিসেবে গণমাধ্যমে কথাও বলেছেন হিমেল।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, শাকিব খানের মায়া সিনেমার পরিচালক পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ হিমেল আশরাফ সিনেমাটির পরিচালক হিসেবে নাও থাকতে পারেন।
এ নিয়ে হিমেল আশরাফ মঙ্গলবার কোনো মন্তব্য করেননি। বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে পরিচালক কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
মায়া সিনেমার পরিচালক পরিবর্তন হচ্ছে কি না জনাতে চাইলে হিমেল আশরাফ মেসেঞ্জারে বলেন, ‘আমার জানামতে সবকিছুই এখনও ঠিকঠাক আছে। মায়া সিনেমার ব্যাপারে ভাইয়া দেশে গেলে সব ফাইনাল জানা যাবে। মায়া নিয়ে শাকিব ভাইয়ার কী প্ল্যান, মানে কবে শুট শুরু করবেন বা অন্যান্য বিষয় তিনি দেশে গেলে নিশ্চিত করবেন। এটুকুই আমি জানি।’
সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে নির্মাতা হিমেল আশরাফের সম্পর্কে কোনো চিড় ধরেছে কি না জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘সব আগের মতোই আছে। সম্পর্ক খারাপ হয়নি। মতানৈক্যও যে খুব হয়েছে তাও না। সো এইটা বলাটাও ঠিক হবে না।’
শাকিব খানকে নিয়ে রাজকুমার নামের সিনেমা নির্মাণ করছেন হিমেল আশরাফ। কিছুদিন আগে সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
হিমেল বলেন, ‘রাজকুমার সিনেমার গানের কাজ চলছে। প্রি-প্রডাকশনও শেষ। এমনকি এই সিনেমার ক্যামেরাম্যান শেখ রাজিবুল ইসলাম রাজীব আমেরিকার ভিসা পেয়েছেন গত সপ্তাহে। তার ভিসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এখন সে এলে ফাইনাল আরেকবার সব রেকি করব। তারপর শুটের ডেট এবং অন্যান্য সব লক হবে।’
ঢাকাই সিনেমা জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান দীর্ঘদিন ধরেই থাকছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি গ্রিনকার্ডও পেয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে দেশের গণমাধ্যমে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে তার দেশে আসার কথা রয়েছে।
বলিউডে যেন বইছে ‘বয়কট’ ঝড়। কথায় কথায় টুইটারে ট্রেন্ড হচ্ছে সিনেমা বয়কটের। সবশেষ এই ট্রেন্ডে পড়েছে আমির খানের লাল সিং চাড্ডা।
মুক্তি প্রতীক্ষিত বেশ কিছু সিনেমাও বয়কট প্রবণতার মুখে। এর অন্যতম রণবীর-আলিয়ার ব্রহ্মাস্ত্র।
টুইটারে এমন বয়কট ট্রেন্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। নিজ সিনেমার সংলাপ ধার করে তিনি বলেন, ‘কাউকে এতটা ভয় দেখিও না যে, ভয়টাই শেষ হয়ে যায়…।’
দোবারা নামের সিনেমার প্রচারে বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন অভিনেত্রী। সেখানেই বয়কট ট্রেন্ড নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
দক্ষিণী সিনেমার দাপটে বলিউড সিনেমার বাজার মন্দা। এরই মধ্যে ধর্মসহ নানা ইস্যু খুঁজে একের পর এক চলছে সিনেমা বয়কটের ডাক।
যারা এই বয়কটে গা ভাসাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশে তাপসী বলেন, “এখন যে বয়কট ট্রেন্ড চলছে, সেই স্রোতে অনেকেই গা ভাসিয়েছেন। আমি এটাই বলব, যার সিনেমা দেখতে ইচ্ছা হবে না, সে দেখবে না। ওই টুইটার ট্রেন্ড দিয়ে কিছু হয় না।
‘আমার সিনেমারই তো একটা সংলাপ রয়েছে, ‘কাউকে এতটা ভয় দেখিও না যে, ভয়টাই শেষ হয়ে যায়।’ কাজেই এসব বয়কট ট্রেন্ড আর আমার ওপর আলাদা করে কোনো প্রভাব ফেলে না।”
তাপসী অভিনীত দোবারা মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার। এটি স্প্যানিশ সিনেমা মিরাজ-এর অফিশিয়াল হিন্দি রিমেক।
অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাপসী।
আরও পড়ুন:জেনিফার ফেরদৌস প্রযোজিত ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘আশীর্বাদ’ নামের চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদান পায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে। চলচ্চিত্রটির মুক্তির কাজ চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মালিবাগে সংবাদ সম্মেলনে এর অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি দাবি করেন, সরকারের কাছ থেকে প্রযোজক জেনিফার ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেলেও খরচ করেছেন ২৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা নিজের কাজে ব্যবহার করেছেন তিনি।
সরকারি অনুদানের সিনেমায় জবাবদিহি প্রত্যাশা করে মাহি আরও বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব যেন জবাবদিহির ব্যবস্থা রাখা হয়। যেন কেউ টাকা নিয়ে শপিং করতে না পারে।’
মাহি জানান, তিনি সিনেমায় ১০ লাখ টাকা করে নেন। অনুদানের সিনেমায় বাজেট কম থাকে, তবুও কাজ করার আগ্রহ থেকে তিনি সম্মানী কমিয়ে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। রোশান নিয়েছেন ১ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, পরিচালক এবং শিল্পীদের অনেকে সম্মানীই পাননি। অনেককে যে সম্মানীর কথা বলা হয়েছিল, সেই পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়নি।
সম্প্রতি ‘আশীর্বাদ’ সিনেমার প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীদের নিয়ে কটু কথা বলেছেন দাবি করে বৃহস্পতিবার মাহি ও রোশান সংবাদ সম্মেলনে আসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিকও।
সংবাদ সম্মেলনে অভিনেতা রোশান বলেন, ‘প্রযোজক টাকা বাঁচানোর জন্য গ্রামের অংশের শুটিংয়ে যাকে পাচ্ছে তাকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানি আর্মি বানিয়ে দিয়েছেন। তাদের দেখলেই বোঝা যায়। কারণ তাদের বয়স কম; অস্ত্র ঠিকমতো ধরতে পারে না।’
প্রযোজকের বিরুদ্ধে মাহির অভিযোগকে অর্থ আত্মসাৎ বলা যায় কি না, তা জানতে চাইলে নির্মাতা মানিক বলেন, ‘এটাকে অর্থ আত্মসাৎ বলতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটি আমি বানাতে পারি না। সিনেমাটি যদি কেউ দেখে, তাহলে তারা আমাকে গালি দেবে।’
প্রযোজকের অর্থ খরচ না করার বিষয়টি পরিচালকের জ্ঞাতসারে হয়েছে। এতদিন কেন প্রতিবাদ করেননি, জানতে চাইলে মানিক বলেন, ‘আমি কাউকে ফাঁসাতে চাই না। আমি কাজটি করেছি শুধু আমার ওস্তাদ জাকির হোসেন রাজুর কথা শুনে এবং একটা কাজ শুরু করেছি, কিন্তু শেষ করব না, সেটা কেমন হয় এটা ভেবে।’
নির্মাতা মানিকের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রযোজকের পক্ষে গেলেও বৃহস্পতিবার তিনি জানান, সেই বক্তব্য তিনি চাপে পড়ে দিয়েছিলেন।
আগের বক্তব্যে মাহিকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে দাবি করেছিলেন মানিক। বৃহস্পতিবার নায়িকাকে নিয়ে আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রযোজককে দোষী বলে অভিযোগ করেন নির্মাতা।
আরও পড়ুন:‘দিন- দ্য ডে’ সিনেমা নির্মাণ নিয়ে করা পরিকল্পনা ও চুক্তি অনন্ত জলিল ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছবিটির ইরানি পরিচালক মোর্তেজা অতশ জমজম।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে এক স্ট্যাটাসে এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, চুক্তি ভঙ্গ করার দায়ে তিনি অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে ইরান ও বাংলাদেশের আদালতে মামলা করবেন।
অনন্ত জলিল এ নিয়ে প্রথমে কোনো কথা না বললেও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
অনন্ত জলিলের স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হলো-
‘আজ বিকাল থেকে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইছেন যে, কুরবানির ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত আমার সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক ইরানী নাগরিক মুর্তজা অতাশ জমজম সিনেমাটি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিস্তারিত বিষয় আমি এই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরছি।
দিন : দ্য ডে’র শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে ইরান থেকে। শেষ হয় ২০২০ সালে। বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে আমরা সিনেমাটির শুটিং করি। আমি শুরুতেই বলে এসেছি, সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইরান। আমার সঙ্গে চুক্তি আছে যে, সিনেমাটির বাংলাদেশে যেসব কাজ হবে (শুটিং, ডাবিং) সেটার ব্যয়ভার আমি বহন করব। এবং আমি সেটাই করেছি।
চুক্তি অনুযায়ী ইরানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে শুটিংয়ের খরচ বহন করবে ইরানি প্রযোজক। ইরান যে সিনেমাটির মূল প্রযোজক সেটা পরিচালকই তার স্ট্যাটাসে দেয়া একটি বাক্যের (আমি ছিলাম সিনেমাটির মূল প্রযোজক) মাধ্যমে স্বীকার করেছেন। এর মাধ্যমে একটা বিষয় পরিষ্কার হয় যে, সিনেমাটিতে আমি শুধু বাংলাদেশের খরচ বহন করেছি এবং এটাই ছিল চুক্তি।
২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশন চ্যানেল- সব জায়গাতেই সাক্ষাৎকারসহ বিভিন্ন প্রচরণায় আমি বলেছি, ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার মূল প্রযোজক ইরানি। আমি শুধু বাংলাদেশের শুটিংকৃত অংশটুকুর খরচ বহন করেছি।
সিনেমার নামের ক্ষেত্রে আমি বাংলায় একটি নাম ব্যবহার করেছি। তাও ‘ডে’-এর বাংলা, অর্থাৎ ‘দিন’। ইরানি প্রযোজকের দেয়া নামও (ডে) কিন্তু সিনেমায় রয়ে গেছে। এটাও আমাদের মৌখিক আলোচনায় ছিল। যেহেতু সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া হবে, তাই বাংলা নাম থাকাটাই যুক্তিযুক্ত। আর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির জন্য সঙ্গে ইংরেজি নামও রয়েছে। সুতরাং নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা অবান্তর।
তিনি (ইরানি নির্মাতা) যে গল্পের কথা বলেছেন, সেটা আমাদের দু’জনেরই আইডিয়া। সিনেমার গল্প আমি ও মুর্তজা সাহেব আলোচনা করে ঠিক করেছি। ইরানে শুটিং শুরুর পর ইরানি প্রযোজক আমাদেরকে সম্মানের সঙ্গে পাঁচতারকা হোটেলে রেখেছেন। আমরাও বাংলাদেশে শুটিংয়ের সময় ইরানি ইউনিটকে ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলে রেখেছিলাম। সম্মান এবং আতিথেয়তায় কোনো ঘাটতি রাখিনি।
এ সিনেমার পরিচালক যেহেতু মুস্তফা অতাশ জমজম, তাই শুটিংয়ের যাবতীয় ইকুইপমেন্ট, অর্থাৎ এইট-কে রেজুলেশনের ক্যামেরা তিনি ইরান থেকেই সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন; যেহেতু এইট-কে রেজুলেশনের ক্যামেরা বাংলাদেশে নেই। ইরানসহ অন্যান্য দেশের শুটিংয়ের ফুটেজ, এমনকি বাংলাদেশে শুটিংয়ের ফুটেজও তিনি শুটিং শেষে ইরানে নিয়ে গেছেন, লাইনআপ করার জন্য।
২০২০ সালে শুটিং শেষে তিনি আমাকে এডিট করা একটা লাইনআপ পাঠালেন। আমি সেটা দেখে গল্পে বেশকিছু জায়গায় অসামঞ্জস্যতা দেখে বলেছি, আমাকে একটা কপি দেন। আমি সেটা ঠিক করে দিচ্ছি।
যেহেতু ইরানে গিয়ে এডিটিং করা সম্ভব নয়, তাই আমি ঠিক করি ভারতের হায়দ্রাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে কাজটি করব। সেই ফুটেজের কপি তিনি নিজেই সঙ্গে করে অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে নিয়ে আসেন। আমাদের সঙ্গে ৪/৫ দিন হায়দ্রাবাদে অবস্থান করে তিনি নিজ দেশ ইরানে ফিরেও যান।
আমরা সিনেমাটিতে ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করতে চাইলাম। যেহেতু ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করলে তাদের (ডলবি কোম্পানির) লাইসেন্স লাগে, আর ডলবি আমেরিকান কোম্পানি, ইরান সেটা ব্যবহার করতে পারবে না। তাই আমি বলেছি, আমার দেশে (বাংলাদেশ) ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করব। বিষয়টিতে তিনি রাজি হয়েই স্বশরীরে ভারতের হায়দ্রাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে সিনেমাটির ফুটেজ নিয়ে আসেন।
যদি কোনো অর্থ পাওনা থাকত তাহলে তিনি কি ফুটেজ নিয়ে আসতেন? এছাড়া সিনেমাটির সম্পূর্ণ ফুটেজ এখনও তার কাছেই রয়ে গেছে। যেহেতু তিনি সিনেমাটির মূল প্রযোজক ও পরিচালক, তাই তার কাছে সেটা থাকাটাই স্বাভাবিক।
আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, চুক্তিতে যেভাবে যা কিছু উল্লেখ ছিল সে অনুযায়ীই আমি কাজ করেছি। যদি আমার কাছে তার ১০০ টাকাও অর্থাৎ কোনো অর্থ পাওনা থাকত তাহলে তিনি কি আমাকে সিনেমার সম্পূর্ণ ফুটেজ দিতেন? কিংবা ফুটেজ না পেলে আমি কি মুক্তি দিতে পারতাম? যেহেতু তার কাছেই শুটিংয়ের পর সম্পূর্ণ ফুটেজ ছিল এবং এখনও রয়েছে! নিশ্চয়ই তার অনুমতি এবং সম্পূর্ণ সম্মতিতেই আমি সিনেমাটি মুক্তি দিয়েছি। এখন তার অবান্তর অভিযোগ মূলত আমাকে ও আমার দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ছোট করার অপপ্রয়াস বলে আমি মনে করি।
আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা যখন বাংলাদেশে হোটেল লি মেরিডিয়ানে এ সিনেমার গান ও প্রাথমিক ট্রেইলর উদ্বোধন করি তখনও তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং সিনেমাটি যে আমরা বাংলাদেশে মুক্তি দেব, সে ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানাননি।
আমি এটাও বলেছি যে, ইরান যদি সময়মতো মুক্তি দিতে না পারে তাহলে আমি বাংলাদেশে মুক্তি দেব। এসব নিয়েও তখন কোনো আপত্তি করেননি তিনি। ইরান সময়মতো মুক্তি দিতে পারছে না বলে তিনবার আমরা মুক্তির তারিখ ঘোষণা দিয়েও সেটা পরিবর্তন করি। বাংলাদেশে মুক্তির সময় পরিবর্তনের কারণে আমার ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে জেনেও শুধু তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি সেটা মেনে নিয়েছি। শুরু থেকেই সবসময় আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল এবং সেটা এখনও আছে বলে আমি মনে করি।
আপনারা দেখেছেন, গত কুরবানির ঈদে ‘দিন: দ্য ডে’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হচ্ছি আমরা এবং সেটা দেশ থেকেই। আমি মনে করি, এটাও তেমনই একটি ষড়যন্ত্র। এরপরও মুর্তজা সাহেবের যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা আমরা নিজেরাই বসে সমাধান করতে পারি (যদিও আমি চুক্তির বাইরে কিছু করিনি সেটা আগেই বলেছি)।
তিনি বাংলাদেশি কারও পরামর্শে কিংবা নিজের প্রচারের স্বার্থে যদি ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা হবে খুবই দুঃখজনক। যদি এরকম কিছু ঘটে থাকে তাহলে আমিও দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনি ব্যবস্থা নেব। কারণ, একই চুক্তিপত্র আমার কাছেও রয়েছে।
আমি সাংবাদিক ভাই ও বোনদের প্রতি অনুরোধ করব, সত্যটা জেনে আপনারা খবর প্রকাশ করবেন। আমি চেষ্টা করব আমার পেজ থেকে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানানোর জন্য। এমনিতেই আমাদের বাংলাদেশি সিনেমার দুর্দিন চলছে। এর মধ্যে গত ঈদে আমার ‘দিন : দ্য ডে’সহ আরও দুটি সিনেমা দেশের সিনেমা অঙ্গনে আশার আলো দেখিয়েছে। দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন। দেশি সিনেমা অঙ্গন চাঙা হয়ে উঠছে। তাই একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে কীভাবে বাংলাদেশের এই বাজারটি নষ্ট করা যায়। এবং তারা আমাদেরই সিনেমার লোক বলে আমি মনে করি।
সিনেমা নিয়ে আমি বিশেষ কিছু কাজ করার পরিকল্পনা করছি। সেটা যাতে থামিয়ে দেয়া যায়, এমনকি ঈদের সিনেমার জোয়ার দেখে যারা নতুন করে প্রযোজনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন তাদেরকেও দূরে সরিয়ে রাখা যায়, এজন্য বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে ছোট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি অসাধু চক্র। এই ঘটনা তারই একটা অংশ বলে আমি মনে করি।
আমার যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে সেটা ভবিষ্যতে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করব। কিন্তু আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে চাঙা করার জন্য, আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে দেয়ার জন্য নেগেটিভ খবর প্রচার করা থেকে আপাতত বিরত থাকবেন। যাতে আমরা (বাংলাদেশি সিনেমা) আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি।
আপনাদের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রতি আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা আছে। সবসময় আপনারা আমার পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন এটা আশা করি।
আরও পড়ুন:সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত সিনেমা হাওয়ার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়। এতে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
শুরুতে বিষয়টি নিয়ে কথা না বললেও মামলার এক দিন পর ১৮ আগস্ট রাত ১০টার দিকে এ নিয়ে কথা বলেন সুমন। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে খাঁচায় পাখি বন্দি করে রাখা, ছেড়ে দেয়া ও পাখি খাওয়ার ব্যাখ্যা দেন নির্মাতা।
সুমন লেখেন, ‘নির্মাতা হিসেবে আমি এটুকুই বলতে চাই, হাওয়ার পাখিটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে আর এই নির্মাণের জন্য যে সিনেমাটিক রিয়্যালিটি তৈরি করতে হয়েছে, সেটা সত্য নয়। ছবির শুরুতে ডিসক্লেইমারে আমরা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি। পাখির দৃশ্য ধারণের পর আমরা তাকে প্রকৃতিতে মুক্ত করে দিয়েছিলাম।
‘আর নৌকায় যে উড়িয়ে দেয়ার দৃশ্য দেখিয়েছি সেটা কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে নির্মাণ করা। চানমাঝি যে তার প্রিয় পাখিটিকে খেয়ে ফেলে সেটা কি শুধু ভোগ!!? নাকি সমাজের ভেতর জমতে থাকা হিংস্রতা? আমি শুধু ওই বোধটাকেই ইঙ্গিত করেছি আর সেটা নির্মাণ করেছি সিনেমার ভাষার ভেতর দিয়ে।’
আদালত মামলাটি আমলে নিলেও তদন্তের জন্য কোনো আদেশ দেয়নি। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আদেশ আসতে পারে বলে জানা গেছে।
মামলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে তিনজনকে। তারা হলেন তদন্ত কমিটিতে থাকা আব্দুল্লাহ আস সাদিক, অসীম মল্লিক ও রথিন্দ্র কুমার বিশ্বাস।
হাওয়া সিনেমাটি মুক্তি পায় গত ২৯ জুলাই। মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত রিভিউতে জানা যায়, সিনেমায় একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
রিভিউ প্রকাশের পর বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। তারপর দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ৩৩টি সংগঠনের সমন্বিত প্রয়াস ‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)’ গত ১০ আগস্ট এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয়।
পরদিন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
হাওয়া সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজুসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:দিন- দ্যা ডে সিনেমা নির্মাণ করতে অনন্ত জলিল এবং মোর্তেজা অতশ জমজম যে পরিকল্পনা এবং চুক্তি করেছিলেন, অনন্ত জলিল তা ভেঙেছেন বলে দাবি করেছেন মোর্তেজা অতশ জমজম।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান দিন-দ্য ডে সিনেমার পরিচালক মোর্তেজা অতশ জমজম।
তিনি আরও লেখেন, ‘ডে (রোজ) হলো সিনেমার নাম এবং অনন্ত জলিলের সঙ্গে আমরা পরিকল্পনা ও সম্মতি অনুযায়ী কিছুই ঘটেনি, তিনি আমাদের চুক্তি ভেঙেছেন, তিনি তার দায়িত্ব এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি, যেটা আমরা করতে একমত হয়েছিলাম।’
স্ট্যাটাসে অতশ নিজেকে সিনেমাটির প্রধান প্রযোজক হিসেবে দাবি করেছেন এবং অনন্তর বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘মামলা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তার। আমি ইরানের তেহরানের আদালতে এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীর মাধ্যমে বাংলাদেশের আদালতে আমার অভিযোগ নথিভুক্ত করব।’
বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনার এ সিনেমাটি কেন করতে চাইলেন অতশ, সেটিও জানিয়েছেন এ পরিচালক। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়ার একমাত্র কারণ ছিল, ইরানী এবং বাঙালি জনগণের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করা, বিভিন্ন দিক দিয়ে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বিনিময় করা এবং একে অপরকে আরও ভালভাবে জানা। কারণ আমি বিশ্বাস করি শিল্পই একমাত্র সর্বজনীন ভাষা যা সীমানা ভেঙ্গে দেয়।’
শিগগিরই অতশ মূল চুক্তি এবং মূল পরিকল্পিত বাজেট প্রকাশ করবেন বলে স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি জনসাধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার, বিশেষ করে মিডিয়ার জন্য সত্য জানাটা খুব জরুরি। গত চার বছরে আমি অনন্তকে অনেকবার বলেছি যে ইরানি দলের কাছে তার ঋণ শোধ করার সময় এসেছে। কিন্তু তিনি তা করেননি, এটা লজ্জাজনক। আইনি বিচারই সত্য প্রকাশের একমাত্র উপায়।’
অতশের এসব বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনন্তর প্রতিক্রিয়া জানতে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি। তাকে হোয়াটস অ্যাপে বার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।
অনন্ত জলিলের দুই সহযোগী, যারা অনন্তর বিভিন্ন খবর সংবাদমাধ্যমকর্মীদের জানাত, তাদের একজনকে ফোন করলে তিনি কেটে দেন। অপরজন জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।
আরও পড়ুন:সর্বভারতীয় সিনেমা লাইগার-এর নাম ঘোষণার পর থেকেই আলোচনায় আছেন তেলেগু সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও বলিউড নায়িকা অনন্যা পান্ডে।
প্রায় ১ মাস আগে মুক্তি পেয়েছে এর ট্রেইলার। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে এর একটি গানও। ট্রেইলার-গান দুটিই বেশ সাড়া ফেলেছে। বিজয়-অনন্যা জুটিকেও পছন্দ করেছেন দর্শকরা।
সিনেমাটির প্রচার শুরু করেছেন প্রধান দুই তারকা। এরই মাঝে নতুন এক তথ্য জানালেন পরিচালক। এ সিনেমায় বিজয়ের বিপরীতে অনন্যা নয়, তার প্রথম পছন্দ ছিলেন শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর।
সম্প্রতি এ কথা নিজেই জানিয়েছেন লাইগার-এর পরিচালক পুরী জগন্নাথ। তামিল হিটমেকার এই পরিচালক জানান, বিজয়ের বিপরীতে জাহ্নবীর কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু তার তারিখ ফাঁকা না থাকায় অনন্যার নাম প্রস্তাব করেন সিনেমাটির প্রযোজক করণ জোহর।
এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পরিচালক বলেন, ‘আমি শ্রীদেবী জির একজন বড় ভক্ত, তাই আমি জাহ্নবীকে কাস্ট করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তার তারিখ পাওয়া যায়নি।’
জাহ্নবীর তারিখ ফাঁকা না পাওয়া বিষয়টি করণ জোহরকে জানান পুরী জগন্নাথ। তখন তিনি তাকে অনন্যাকে নেয়ার পরামর্শ দেন।
পরিচালক বলেন, ‘গল্প শোনার পর তিনি (করণ) অনন্যা পান্ডেকে নেয়ার পরামর্শ দেন।’
অনন্যাকে নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন পুরী জগন্নাথ। অভিনেত্রীকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
পরিচালক বলেন, ‘তিনি একজন ফায়ারব্র্যান্ড, খুব সক্রিয় এবং নায়কের সঙ্গে সংঘর্ষের দৃশ্যে ভালো। আমরা গত দুই আড়াই বছর ধরে এই সিনেমায় কাজ করছি, সে অনেক বদলে গেছে। প্রতি তিন-চার মাস পর পর আমি আলাদা অনন্যাকে দেখি। শেষ গান আমি তার সঙ্গে শুট করেছি, সে এখন নিখুঁত।’
বিজয়-অনন্যা ছাড়াও লাইগার-এ অভিনয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বক্সিং লিজেন্ড মাইক টাইসন। রয়েছেন রাম্যা কৃষ্ণান, রনিত রায়, বিষু রেড্ডি, আলি, মকরন্দ দেশপান্ডে ও গেটআপ শ্রীনুর মতো জাঁদরেল সব অভিনেতা।
হিন্দি, তেলেগু, তামিল, কন্নড় ও মালয়ালাম ভাষায় আগামী ২৫ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে লাইগার।
আরও পড়ুন:হাসিব এমন একজন মানুষ যে অফিসের কাজ ছাড়া বাকি সবকিছুকে সময় নষ্ট মনে করে। সংসার সামলানো তার কাছে আহামরি কোনো বিষয় না।
এই হাসিবই একদিন গিয়ে পৌঁছায় তার কলিগের বাসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের সন্ধানে। কিন্তু সেখানে সে খুঁজে পায় এমন একদল বিচ্ছু যারা তাকে শিখিয়ে দেয় সংসার সামলানো ঠিক কতটা কঠিন। এই শিক্ষাই পালটে দেয় হাসিবের চিন্তা-ধারণা।
সংসার সামলানোর দায়িত্ব বাবা এবং মা দুজনেরই। তার জন্য প্রয়োজন বাচ্চাদের সময় দেয়া। তাদের বোঝা। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে সংসারে প্রতিদিনের ঝুট-ঝামেলা নিয়ে নির্মিত চরকি ফ্লিক সংসার আনলিমিটেড।
বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে আরও জানানো হয় এর পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ পরিচালিত কনটেন্টটি ১৮ আগস্ট রাত ৮টায় মুক্তি পাবে চরকিতে।
কমেডি জনরার এই গল্পে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের। রয়েছে মৌসুমি হামিদ, সায়রা জাহান, মীর রাব্বিসহ কয়েকটি শিশুশিল্পী।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিনেতা ইরেশ যাকের বলেন, ‘এই গল্পের বিষয়টা খুব মজার ছিল। একটা ঘটনা বলতেই হয়- এই কাজটা করার সময় আমার মেয়ে হসপিটালে ছিল। তো সে সময় অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল। আর সেটে আমার সঙ্গে তিনটি বাচ্চা অভিনয় করেছে।
‘তাদের মধ্যে মুমতাহিনাকে দেখলাম প্রথম দিকে কোনো কথাই বলছে না। একটি দৃশ্যে ওকে অনেক কান্না করতে হবে। কিন্তু সে একদম নির্লিপ্ত, কারো কোনো কথা সে শুনতে পাচ্ছে কি না সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। তবে পরিচালক যেই অ্যাকশন বলল আর ও এত ভালো, এত প্রাণবন্ত অভিনয় করল যে আমরা সবাই অবাক হয়ে দেখলাম।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য