গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও মুচলেকা আদায়ের প্রতিবাদে অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম এবার নিয়ে এসেছেন প্রতিবাদী গান। সেই গানের শিরোনাম তিনি দিয়েছেন ‘আমার জেল হবে না ফাঁসি হবে’।
বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে হিরো আলমকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের রাতেই গানের কথাগুলো লেখা। সেটিতে সুর আরোপ করে দুই দিনের মাথাতেই তা প্রকাশ করলেন হিরো।
সেই জিজ্ঞাসাবাদের পর হিরোর কাছ থেকে ভবিষ্যতে আর রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুল গীতি না গাওয়ার মুচলেকা আদায়ের বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়।
ঈদুল ফিতরের পর হিরো তার চ্যানেলে ‘আমারো পরানো যাহা চায়’ গান প্রকাশের পর তুমুল সমালোচনা হয় তাকে নিয়ে। পরে হিরো প্রথমবারের মতো নিজের গান অনলাইন থেকে সরিয়ে নেন। পাশাপাশি বলেন, তিনি উপলব্ধি করেছেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া তার উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে তিনি আর গাইবেন না।
হিরো অনুতপ্ত হলেও গোয়েন্দা পুলিশ এ বিষয়ে তার কাছ থেকে মুচলেকা আদায়ের পর প্রশ্ন উঠেছে, কোন ক্ষমতাবলে বাহিনীটি এই কাজ করেছে। এটি তাদের এখতিয়ারে পড়ে কি না, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।
হিরো এও জানিয়েছেন, তার নাম নিয়েও আপত্তি জানিয়ে পুলিশ আলমের সঙ্গে থাকা ‘হিরো’ শব্দটি ছেটে ফেলতে বলেছে। তবে হিরো যে দমবার পাত্র নন, সেটি গানের ভাষাতেই স্পষ্ট।
গানের কলিগুলো এমন: ‘আমার কী হবে গো, জেল হবে না ফাঁসি হবে/কী অপরাধে আমার সরল মনটা কান্দেরে বন্ধু?’
পরক্ষণেই তিনি আবার গেয়ে উঠেন, সারা জীবন সকল কাজে পাইলাম শুধু বাধা/আমাকে আসামি করল ভাগ্যের গোলকধাঁধারে দয়াল, ভাগ্যের গোলকধাঁধা।’
বগুড়ায় ডিশ লাইনের ব্যবসা দিতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে ভিডিও ছেড়ে হিরোর কনটেন্ট তৈরির শুরু। পরে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে তৈরি হয় হাস্যরস। তবে দমে না গিয়ে, সমালোচনা গায়ে না মেখে একের পর এক ভিডিও বানাতে থাকেন তিনি। সেই সঙ্গে শুরু করেন গান।
পরে বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, হিন্দি, আরবি, চীনা এবং আফ্রিকান সোয়াহিলি ভাষায় গান তিনি। তৈরি করেন সিনেমা। লেখেন বই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন তিনি।
স্পষ্টতই সমালোচনা, কটাক্ষ গায়ে মাখছেন না হিরো আলম। মফস্বল থেকে উঠে এসে রাজধানীর বুকে তিনি অবস্থান নিয়ে যে বেশ আয় করছেন, সেটি তার জীবনাচরণেও ফুটে উঠে। তিনি গাড়ি কিনেছেন, নিয়েছেন অফিসও।
তার জীবনের এই ঘটনার সঙ্গে গানের এই কলি ‘সারা জীবন সকল কাজে পাইলাম শুধু বাধা’র কোনো সম্পর্ক আছে কি না, জানতে চাওয়া হয় হিরোর কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই সেটা, ওটা নিয়ে মনের দুঃখ একটু প্রকাশ করলাম।’
হিরোর গানে আরও বলা হয়, ‘দুনিয়াতে আইসাও আমি পড়লাম রে কোন ফান্দে, কী অপরাধে আমার সরল মনটা কান্দে?’
৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের গানে আরও বলা হয়, ‘চোরও নয়, ডাকাতও নয়, নয় কালোবাজারি/এই দুনিয়ায় অপরাধের হয় না কোর্টকাচারি রে দয়াল, হয় না কোর্টকাচারি।’
এই গানের শুটিং করতে হিরো আলম বেছে নিয়েছেন কয়েদিদের পোশাক। পায়ে পরেছেন রূপালী রঙের শেকল।
কারাগারের আবহ তৈরি করতে শিকের পেছন থেকে গানটি রেকর্ড করা হয়েছে। লোহা বা অন্য কোনো কিছু দিয়ে সেই শিকের আবহ তৈরি করতে একে ব্যবহার করা হয়েছে আবার কালো স্পচটেপ।
একেবারে শেষের কলিতে আছে, ‘আমি একজন অধম দেইখা, পায়ে শিকল বান্ধে, কী অপরাধে আমার সরল মনটা কান্দে?’
নিউজবাংলাকে হিরো জানান, তাকে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও নানা ঘটনাপ্রবাহের প্রতিবাদ তিনি করেছেন এই গানের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে হিরো আলম গান গাইতে পারে না, অনেকে অনেক রকম কথা বলে। তার সুর ভালো না, তাল ভালো না, এই জন্যে গানটা গেয়ে দেখালাম হিরো আলম চাইলেও পারে অনেক কিছু। কিন্তু প্রমাণ করার মতো সুযোগ তারা দেয় না, ভালো করলে বাহবা দেয় না।’
আরও পড়ুন:ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন দেশের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। বাবা হয়েছেন শরিফুল রাজ। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বুধবার ৫টা ৩৬ মিনিটে পৃথিবীতে আসে রাজ-পরীর সন্তান।
শরিফুল রাজ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনও ওটির ভেতরে। কথা বলতে পারছি না। অনেকে ফোন করছেন, যেটুকু না বললেই না, সেটুকু বলছি।’
ছেলেকে কোলে নিয়েছিলেন কি না, জানতে চাইলে রাজ হেসে বলেন, ‘হ্যাঁ নিয়েছিলাম’।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এভারকেয়ার হাসপাতালের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেলা ৩টা নাগাদ এখানে ভর্তি হন তিনি (পরীমনি)। সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।'
রাজ-পরীর সন্তানের নাম এখনও ঠিক করা হয়নি। রাজ জানান, এগুলো এখনও ঠিক করেননি তারা এবং এগুলো নিয়ে ভাবছেনও না। ছেলে ও মা সুস্থ আছেন বলে জানান রাজ।
পরীমনি ইচ্ছে প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তার ছেলেসন্তান হলে নাম রাখবেন রাজ্য।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর।
আরও পড়ুন:সবাই বলে, গলায় তার স্বয়ং সরস্বতীর বাস। সেই আশা ভোঁসলেকে সবাই রেকর্ডিং স্টুডিওতেই দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু তাকে হঠাৎ করেই দেখা গেল রান্নাঘরে।
দুবাইতে নতুন রেস্তোরাঁ খুলেছেন কিংবদন্তি এ শিল্পী। সম্প্রতি সেখানকার সুসজ্জিত কিচেন থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। ভিডিওতে তাকে রাঁধতে দেখা যাচ্ছে।
ভিডিওতে শেফের অ্যাপ্রন পরে দেখা গেছে তাকে। রান্না ঠিকঠাক হয়েছে কি না তা দেখতে গন্ধ নিচ্ছেন খাবারের।
ভিডিও দেখে নানান মন্তব্য করছেন ভক্তরা। এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘গানা আর খানা- মারাত্মক কম্বিনেশন, দুটোই মনের খুব কাছের।' আরেকজন লিখেছেন, ‘এবার কিংবদন্তি গায়িকার পাশাপাশি মাস্টার শেফও আপনি’।
আশা ভোঁসলে একজন উদ্যোক্তাও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ২০ বছর ধরে হসপিটালিটি ব্যবসা করছেন তিনি। ইংল্যান্ড, ম্যানচেস্টার, বাহরিন, কুয়েত, আবুধাবি, বার্মিংহামের মতো শহরে রেস্তোরাঁ রয়েছে আশা ভোঁসলের।
আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় পপস্টার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী অলিভিয়া নিউটন-জন মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে অবশেষে হার মারলেন ১৯৭০-এর দশকের তুমুল জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।
যুক্তরাষ্ট্রের সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় খামার বাড়িতে স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
অলিভিয়ার স্বামী জন ইস্টারলিং ফেসবুকে অলিভিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে লিখেছেন, ‘এই কঠিন সময়ে পরিবারের গোপনীয়তার প্রতি সম্মান বজায় রাখতে সবাইকে অনুরোধ করছি।’
১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের একজন ছিলেন অলিভিয়া। এ সময়ে তিনি চারটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন। জন ট্র্যাভোল্টার সঙ্গে তার ডুয়েট ‘ইউ আর দ্য ওয়ান দ্যাট আই ওয়ান্ট’ ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়। অলিভিয়ার কণ্ঠে ‘ফিজিকাল’ গানটিও পায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা।
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান এ গায়িকা-অভিনেত্রী ‘গ্রিজ’ নামের মিউজিক্যাল সিনেমায় স্যান্ডি চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পান।
অলিভিয়ার স্তন ক্যানসার ধরা পরে ১৯৯২ সালে। পরে তিনি ক্যানসার গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার দাতব্য প্রতিষ্ঠান, অলিভিয়া নিউটন জন ফাউন্ডেশন, ক্যানসার গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লাখ লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করে।
আমিরের চার ভাই-বোনে স্কুলের বেতন দিতে কষ্ট হতো আমির খানের বাবা-মা’র। তারা চিলেন ঋণগ্রস্ত। ভাই-বোনদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আমির খান।
এখন আমিরকে বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ বলা হলেও অভাব-অনটনে কেটেছে তার ছোটবেলা। সেসব কথা চাইলেই ভোলা যায় না, ভোলেননি আমিরও।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় ফিরে গিয়েছিলেন ছোটবেলার দিনগুলোতে। সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, স্কুলে যেতেই ভয় পেতেন আমির। স্কুলের অধ্যক্ষ সবার সামনে তার নাম ধরে ডাকতেন আর মনে করিয়ে দিতেন যে, তার স্কুলের ফি বাকি রয়েছে।
এখন স্কুলের বেতনের অর্থকে সামা সামান্য মনে হয় আমিরের। কিন্তু তখন এটুকু জোগাড় করতেই ঘাম ছুটে যেত আমিরের বাবা-মা’র।
আমির জানান, ৮ বছর আমির ও তার পরিবার নানা রকমের আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে গেছেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় আমিরের স্কুলের বেতন ছিল ৬ রুপি। সপ্তম শ্রেণিতে ছিল ৭ রুপি। সেটাই দিতে পারতেন না আমির ও তার ভাই-বোনেরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আমির বলেন, ‘আমরা সব সময় দেরিতে বেতন দিতাম। সবার সামনে নাম ধরে ধরে ডাকা হত আমাদের’। এ কথা বলতে গিয়ে থেমে যান আমির, চোখ ভিজে যায় তার।
ইয়াদো কি বরাত (১৯৭৩) সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আমির। নায়ক হিসেবে তার প্রথম সিনেমা কেয়ামত সে কেয়ামত তাক (১৯৮৮)। প্রথম সিনেমাতেই সাড়া ফেলে সিনেমাটি। তার পর আর পিছে তাকাতে হয়নি আমিরের।
আরও পড়ুন:মঞ্চে বসেই কণ্ঠশিল্পী তপু এক ঘোষণা দিলেন। বললেন, ‘দর্শক সারিতে যারা আছেন, তাদের মধ্য থেকে কেউ যদি গান গাইতে চান, তারা মঞ্চে চলে আসুন, আপনাদের গান শুনব আমরা সবাই।’
ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে একজন ছেলে ওঠেন মঞ্চে; নিজের লেখা, সুর করা গান করেন। পরে আরেকজন নারী কণ্ঠশিল্পী যান; তিনি শোনান লালনের গান।
দ্বিতীয় জন যখন মঞ্চে উঠে গেছেন, তখন মঞ্চের নিচে আরেকজন অপেক্ষা করছিলেন। মূলত তিনিই দ্বিতীয় শিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠতে চেয়েছিলেন; কিন্তু মঞ্চের কাছে আসতে দেরি হওয়ায় তৃতীয় হতে হয় তার।
দ্বিতীয় শিল্পী নামার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল আগ্রহ নিয়ে মঞ্চে উঠলেন তৃতীয় জন। গাইলেন ‘তোমাকে চাই আমি আরও কাছে’ গানটির প্রথম কয়েক লাইন। গান গাওয়ার পাশাপাশি তার হাসির ফোয়ারা আর অভিব্যক্তির কারণে সবাই তাকে বাহবা দিলেন।
মঞ্চ থেকে তিনি নেমে আসার পর গানটি বেজে ওঠে সাউন্ড বক্সে। গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচে ওঠেন তিনি।
তার এই প্রাণবন্ত ভাবটাকে আগত অতিথিরা হাত তালি ও চিৎকারে স্বাগত জানান। গত জুলাইয়ের ২৮ তারিখে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের ঘটনা এটি।
প্রাণবন্ত এ মেয়েটির নাম মাসুদা খান। অনেকে তাকে চিনবেন ‘মাসু আঁকে’ শব্দটি বললে। কারণ এই শব্দে তিনি পরিচিত ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে। মাসুদা ছবি আঁকেন, ছবি আঁকা শেখান।
ফেসবুক, ইনস্টায় তার পেজ ও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে পোস্ট করা ভিডিওগুলো মাসুদাকে ‘মাসু আঁকে’ বলে ভিডিও শুরু করতে দেখা যায়। আঁকার ভিডিও বানানো ছাড়াও ইদানীং তিনি অভিনয় করেন, ফটোশুটে অংশ নেন, কমিক বুক লেখেন।
মাসুদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার এখন ২৪ বছর বয়স। আমি একটু এক্সপ্লোর করছি কী কী করতে পারি। অভিনয় করলাম কিছুদিন আগে। ইউএনডিপির সঙ্গে একটা কমিক বুক লিখেছে ও এঁকেছি। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশেও অংশ নিয়েছিলাম। আমি আসলে অনেক কিছুই ট্রাই করে দেখছি, কোনটা করতে ভালো লাগে।’
মাসুদ লেখাপড়া করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে, অ্যাপ্লাইড লিঙ্গুইস্টিকস বিষয়ে চতুর্থ বর্ষে। তিনি মনে করছেন, ইংরেজি সাবজেক্টটি তাকে অনেক কিছু করতে সাহায্য করছে।
মাসুদা বলেন, ‘যেহেতু আমার টেকনিক্যাল সাবজেক্ট না, তাই আমার অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। যদি আমি ডক্টর বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য পড়তাম, তাহলে সাবজেক্টে ফোকাস বেশি করতে হতো।’
আর্টের মধ্যে সব সময় থাকতে চান মাসুদা। আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি একদিন বইও লিখতে চাই এবং সব সময় পড়াশোনা করে যেতে চাই। এটাই আমার ক্যারিয়ার চয়েস। জানি একটু এলোমেলো।’
মাসুদা নিজেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও দাবি করেন। ফেসবুকে তার পেজের নাম ‘জলতরঙ্গ: মাসু.আকে’স আর্ট জার্নাল উপ’, ইনস্টাগ্রামে তার অ্যাকাউন্টের নাম ‘মাসু.আঁকে’।
ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাসুদার ভিডিও ও নানা ছবি। ২০১৮ থেকে আঁকা নিয়ে তার ভিডিও বানানো শুরু, করোনার সময় সেটি বেড়ে যায়। মাসুদা জানান, শখ থেকেই ভিডিও বানানো শুরু তার।
মাসুদা বলেন, ‘আমার তো আঁকতে ভালো লাগে। প্রথম দিকে সিলি সিলি ভিডিও বানিয়ে বন্ধুদের পাঠাতাম। অনলাইনে আপলোড করার পর অনেকে বললেন যে, ভিডিওগুলো লম্বা করার জন্য। তারপর নিজের পছন্দের পাশাপাশি দর্শকের পছন্দকেও প্রাধান্য দেয়া শুরু করলাম।’
নিজের ফোনেই কনটেন্ট তৈরির সব কাজ করেন মাসুদা। তার ভিডিওতে একটি ইমপারফেকশন থাকবে, সেটাই মাসুদার পছন্দ। মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ সাহায্য করলে ভালো হতো, কিন্তু সেটাও তার কাছে তেমন সমস্যার কিছু না।
নিজের প্ল্যাটফর্মটাকে আরও অনেক বড় করতে চান। কিন্তু এ মুহূর্তে সাবস্ক্রাইবাররা যেভাবে ভালোবাসা দিচ্ছে সেটা তার কাছে পারফেক্ট মনে হচ্ছে। যদি সপ্তাহে দুটি করে কনটেন্ট দিতে পারতেন, তাহলে হয়তো ফলোয়ার আরও বাড়ত বলে মনে করেন মাসুদা। কিন্তু যা হচ্ছে বা যেভাবে এগোচ্ছে সেটাও তার কাছে ঠিকই মনে হচ্ছে।
মাসুদা বলেন, ‘ছবি আঁকা আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু আমার কিছু এক্সট্রা কারিকুলারও আছে। আমি সব কিছুর একটা ব্যালান্স রাখতে চাই জীবনে।’
কনটেন্ট ক্রিয়েশনের কারণেই চমৎকার, ফাটাফাটি, জোস জোস জায়গায় কোলাবোরেশন করতে পেরেছেন বলে জানান মাসুদা। বলেন, ‘এটা আমার জন্য একটা ক্যারিয়ার চয়েস এবং এটা আমি কনসিডার করছি।’
মাসুদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত। তার করা ভিডিও কিংবা নানা আয়োজনে তাকে যে প্রাণবন্ত মুডে অন্য মানুষরা আবিষ্কার করেন, তাতে তিনি আরও পছন্দের হয়ে ওঠেন সবার কাছে।
নুহাশ হুমায়ূনের পরিচালনায় একটি কনটেন্টে কাজ করে তার পরিচিতি বেড়েছে আরও কিছুটা। এই পরিচিতি পাওয়ার বিষয়টায় বেশ মজা পাচ্ছেন মাসুদা। কী করবেন তিনি, কী হবে, তা নিয়ে এত ভাবছেন না। সময়টা উপভোগ করছেন আর যে কাজটি করতে ইচ্ছে করছে সেখানে নিজের শতভাগ দিয়ে যুক্ত হচ্ছেন মাসুদা খান।
বই আকারে প্রকাশ পেল বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস ও ১৮০টি ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি। বইটির নাম ‘বাংলার রক মেটাল’; লিখেছেন মিলু আমান ও হক ফারুক।
এতে স্থান পেয়েছে পূর্ব পাকিস্তান সময়ে ষাটের দশক থেকে ছয়টি দশকে দেশের ব্যান্ড সংগীতের পথচলার ইতিহাস এবং মহান স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সব দেশি ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পাওয় ‘বাংলার রক মেটাল’ বইটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পন্দন ব্যান্ডের কাজী হাবলু, রেনেসাঁর নকীব খান, গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, ফিডব্যাকের ফোয়াদ নাসের বাবু ও লাবু রহমান, মাকসুদ ও ঢাকার মাকসুদুল হক, মাইলসের হামিন আহমেদ, ওয়ারফেজের ইব্রাহিম আহমেদ কমল ও শেখ মনিরুল আহমেদ টিপু, রকস্ট্রাটার আরশাদ আমীন।
এ ছাড়া দেশের নবীব-প্রবীণ সব ব্যান্ডের মিউজিশিয়ান, পাঠক ও ব্যান্ড সংগীতপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। প্রকাশনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার।
অনুভূতি প্রকাশে বইয়ের লেখক মিলু আমান বলেন, ‘বাংলার রক মেটাল বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমাদের গর্বের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস সঠিকভাবে লিখিত হলো। এটি আমাদের ব্যান্ড সংগীতের পূর্ণাঙ্গ এনসাইক্লোপিডিয়া হিসেবে কাজ করবে।’
বইটির আরেক লেখক হক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গত ২০টি বছরের সাধনায় লেখা বাংলার রক মেটাল। আমাদের ব্যান্ড সংগীত নিয়ে নানা তথ্যের বিভ্রান্তি দূর করবে এ বই। প্রজন্মের পর প্রজন্মে ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনটি ভাগে সাজানো হয়েছে এ বই। প্রথমাংশে ষাটের দশক থেকে শুরু করে আজকের সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের পটভূমি, ইতিহাস, পথচলা ও নানা পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে ১৮০টি ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি ও প্রোফাইল।
প্রোফাইলগুলো সাজানো হয়েছে ব্যান্ডগুলোর জন্মসাল ক্রমান্বয়ে, পুরোনো ব্যান্ড থেকে নতুন ব্যান্ড হিসেবে। দেশের সব প্রখ্যাত ব্যান্ডের পাশাপাশি কিছু সম্ভাবনাময় নতুন ব্যান্ডের প্রোফাইল রাখা হয়েছে। প্রতিটি ব্যান্ডের অ্যালবাম ও গানের তালিকা ডিস্কোগ্রাফি আকারে সন্নিবেশ করা হয়েছে।
আর তৃতীয় অংশে রয়েছে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যান্ডের তালিকা।
‘বাংলার রক মেটাল’ প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা আজব প্রকাশ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন নিয়াজ আহমেদ অংশু এবং নামলিপিতে মোস্তাফিজ কারিগর। গ্রাফিক্স ডিজাইন করেছেন কৌশিক জামান। ৪৬৪ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ১ হাজার টাকা।
লুঙ্গি পরে স্টার সিনেপ্লেক্সে আসায় টিকিট না পওয়া সেই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে সিনেমা দেখলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের সনি স্কয়ারে। নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
সেই ব্যক্তির নাম সামান আলী সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার শো তে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা পরাণ সিনেমাটি দেখেছে। সিনেমা দেখার সময় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের অনেকে এসেছিলেন লুঙ্গি পরেই।
মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে সামান আলী সরকারের খোঁজ পাই আমরা। তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আমরা সিনেমা দেখিয়েছি।’
স্টার সিনেপ্লেক্স তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সামান আলী সরকার ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছে, ‘সম্পূর্ণ স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবারের পক্ষ থেকে সামান আলি সরকার এবং তার পরিবারকে আমাদের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। আপনাকে খুশি করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
বুধবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরে ফেসবুকে। সেখানে লুঙ্গি পরে থাকা সামান আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘লুঙ্গি পরে আছি বলে আমার কাছে টিকিট বিক্রি করেনি।’
বৃহস্পতিবার সকালে স্টার সিনেপ্লেক্স তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। জানায়, ‘স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা জানাতে চাই, আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো কিছুর ওপর ভিত্তি করে বৈষম্য করি না। আমাদের সংস্থায় এমন কোনো নিয়ম বা নীতি নেই যা একজন ব্যক্তিকে লুঙ্গি পরার কারণে টিকিট কেনার অধিকারকে অস্বীকার করবে। আমরা জানাতে চাই, আমাদের সিনেমা হলে সবাই নিজেদের পছন্দের সিনেমা দেখার জন্য সব সময় স্বাগতম।’
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে সনি স্কয়ারে লুঙ্গি পরে গিয়েছিলেন কার্টুনিস্ট, অভিনেতা মোরশেদ মিশুসহ কয়েকজন। সেখানে তারা টিকিট কাটেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য