ঈদে মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা রায়হান রাফি পরিচালিত সিনেমা পরাণ। মুক্তির প্রায় ২০ দিন হতে চললেও এখনও সিনেমাটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খাওয়া ভিড়।
মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছে পরাণ। শুধু এই সিনেমাটিই নয়, দর্শকদের মন কেড়েছেন এর অন্যতম প্রধান চরিত্র শরিফুল রাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দর্শকের মুখে মুখে প্রশংসা এই অভিনেতার।
এরই মধ্যে শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত আরেক সিনেমা হাওয়া। পরাণ-এর মতো এই সিনেমার টিকিটও অগ্রিম কাটছেন দর্শকরা।
তার অভিনীত সিনেমা ঘিরে দর্শকের মাঝে এমন উৎসব উৎসব ভাব কীভাবে উদযাপন করছেন এই অভিনেতা।
এইসব নিয়ে নিউজবাংলার নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রাজ। সঙ্গে জানালেন পরীর সঙ্গে তার সুখের নীড়ের খবরও।
এই যে ‘পরাণ’ ঘিরে রাজের এত প্রশংসা, এত আলোচনা, কেমন লাগছে, সেটা কীভাবে উদযাপন করছেন?
আসলে কোনো কাজ করে আসার পর এত প্রশংসা, এত আলোচনা যখন মানুষ করে, তখন ভালোই লাগে। আমার কাছে ভালোই লাগছে। একটা সিনেমা করে আসার পর সেই সিনেমার চরিত্র নিয়ে, সিনেমা নিয়ে মানুষ কথা বলছে এত প্রশংসা করছে, সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়- যে চরিত্রটি করতে গিয়েছিলাম, সেই চরিত্রটি মনে হয় ঠিকঠাক করে আসতে পেরেছি। যার কারণে মানুষের এত ভালোবাসা, এত প্রশংসা।
এই উদযাপনটা আমার নয়, আমার দর্শকদের, যারা আমাকে নিয়ে এত আলোচনা করছে, প্রশংসা করছে এই ক্রেডিটটা তাদেরই।
আপনার কি মনে হয় ‘পরাণ’ আপনার চলচ্চিত্রজীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করল?
‘পরাণ’ আমার জীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করল কি না বলতে পারব না, তবে পরাণ আমার জীবনের করা কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা কাজ, যে কাজে আমি এত সাড়া পাই, আমাকে নিয়ে এত প্রশংসা হয়, এত আলোচনা হয়।
আমার চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসে মনে হয় আর কোনো কাজ নেই যেই কাজে এত সাড়া পেলাম আমি। পরাণ আসলে ওই জায়গাটাই স্পেশাল থাকবে আমি যতদিন ফিল্মে থাকি; যে একটা সিনেমাতে আমি অভাবনীয় সাড়া পাই। আমার মনে হয় এটা আমার জীবনের অন্যতম একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকল।
পরাণের রেশ থাকতেই ‘হাওয়া’ আসছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে এটার ট্রেইলারেও দর্শকের নজর কেড়েছেন আপনি? ‘হাওয়া’য় নিজেকে নিয়ে কেমন প্রত্যাশা?
সবকিছু মিলে ‘হাওয়া’ নিয়েও আমার অনেক প্রত্যশা। প্রত্যাশা বলতে, ‘পরাণ’ যেভাবে দেখল বাংলা সিনেমার দর্শকরা। এত মানুষ যে বাংলা সিনেমার জন্য পাগল, আমার মনে হয় ‘পরাণ’-এর ইমপ্যাক্ট ‘হাওয়া’তেও পড়বে। অলরেডি শুরু হয়েছে, অলরেডি ‘হাওয়া’র টিকিটও হাওয়া।
সবকিছু মিলিয়ে ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’ ব্যাক টু ব্যাক রিলিজ, দুটোই হলে চলছে। আমি চাইব ‘পরাণ’টা যেমন চলল, ‘হাওয়া’টাও যেন এ রকমভাবেই হাওয়া হয়ে যাক, মানুষ টিকিট না পাক। এটা আমাদের দেশের ইন্ডাস্ট্রির জন্য বড় একটা সংবাদ। বাংলা সিনেমার জন্য মানুষ এ রকম হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। বাংলা সিনেমা নিয়ে মানুষ এত লেখালেখি, এত আলোচনা করছে।
আপনার অর্ধাঙ্গিনী এবং আমাদের সবার প্রিয় পরীমনির সঙ্গে এইসব নিয়ে আলাপ হয়? আপনাকে নিয়ে বর্তমানে দর্শকদের যে উন্মাদনা তা নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া পরীমনির?
পরী তো আসলে সব সময় এগুলো নিয়ে আলাপ করে বাসায় এলেই। আর সে চমৎকারভাবে আমাকে সাপোর্ট করে। সবার প্রতিক্রিয়া-আলোচনায়-প্রশংসা সবকিছু মিলে সে অনেক হ্যাপি।
এবার একটু রাজ-পরীর সুখের নীড়ের খবর জানতে চাই, নতুন অতিথি পৃথিবীর মুখ দেখবেন কবে নাগাদ? দুজনের এই সুখময় মুহূর্তের অপেক্ষার প্রহর নিয়ে কিছু বলেন।
আমরা মনে হয় আর কিছুদিনের মধ্যে নিজেরাই সেই সুখবর দেব। এই মুহূর্তে আমরা ঠিকঠাক-সুন্দর সময় কাটাচ্ছি। আমরা নিজেরাও খুব অপেক্ষার প্রহর গুনছি। কখন আসলে সেই দিনটা আসবে। সবকিছু মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।
দর্শকদের এত ভালোবাসার বিপরীতে তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
আসলে আমার কাজগুলো যারা পছন্দ করেন, প্রশংসা করে লেখালেখি করেন, যারা আমার কাজ নিয়ে এত মাতামাতি করেন; আমার এই কাজের ক্রেডিটটা তাদেরই।
আমাকে যারা মন ভরে ভালোবাসা দিলেন, জড়িয়ে ধরে ভালোবাসা দিলেন, আমি তাদেরকে অনেক ভালোবাসি-অনেক ভালোবাসি। এই ভালোবাসার ঋণ তো আসলে শোধ হয় না, ভালোবাসাটা ভালোবাসা দিয়েই দিতে হয়।
আমি তাদের কাছে দোয়া চাইব, আমি যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারি এবং ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে পারি তাদের। তাদের জন্য আমি আরও চমৎকার চমৎকার কাজ করতে পারলে হ্যাপি।
আরও পড়ুন:সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লংঘনের অভিযোগে বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়।
সংস্থাটির বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নারগিস সুলতানা মামলার বাদী হয়েছেন।
মামলায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে বলে জানান, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ওয়াইল্ডলাইফ পরিদর্শক অসীম মল্লিক।
আদালত মামলাটি আমলে নিলেও তদন্তের জন্য কোনো আদেশ দেয়নি। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আদেশ হতে পারে বলে জানা গেছে।
মামলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লংঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় তিনজনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এরা হলেন তদন্ত কমিটিতে কাজ করা আব্দুল্লাহ আস সাদিক, অসীম মল্লিক ও রথিন্দ্র কুমার বিশ্বাস।
হাওয়া সিনেমাটি মুক্তি পায় গত ২৯ জুলাই। মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির রিভিউতে জানা যায়, চলচ্চিত্রটিতে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
রিভিউ প্রকাশের পর বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। তারপর দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ৩৩টি সংগঠনের সমন্বিত প্রয়াস ‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)’ গত ১০ আগস্ট এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়।
তার পরদিন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
হাওয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান ও রিজভী রিজুসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বুধবার সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান, ‘আজকে (বুধবার) সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শনিবার বিকেল ছবিটা দেখলেন। আমরা আশা করব চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও বিকাশের স্বার্থে ওনারা দ্রুতই সেন্সর সার্টিফিকেট প্রদান করবেন।’
ফারুকীর এই স্ট্যাটাসের পর সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
নিউজবাংলাকে মো. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা, আমি সিনেমাটা দেখিনি।’ এ সময় তিনি সেন্সর বোর্ডে অন্য সিনেমার সেন্সর শোতে ছিলেন।
সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ সেন্সর আপিল বোর্ডেরও সদস্য। কিন্তু তার একার সিনেমা দেখাকে আপিল বোর্ডের সিনেমা দেখা বলা যাবে না। সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মোমিনুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপিল বোর্ডের সদস্য সংখ্যা সাত। কমিটির আহ্বায়ক তথ্য ও সম্প্রচার সচিব। তিনি যখন নোটিশের মাধ্যমে সবাই মিলে সিনেমাটি দেখবেন, তখনই সেটাকে আপিল বোর্ডের সিনেমা দেখা বলা যাবে।’
মোমিনুল হক আরও জানান, ‘ভাইস চেয়ারম্যান সিনেমাটি দেখেছেন কি না সেটি আমি জানি না। সেটা তিনি বলতে পারবেন। তবে আমি এটা বলতে পারি যে আমাদের অবস্থা এবং নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অবস্থা একই রকম। আমরা সবাই আপিল কমিটির দিকে তাকিয়ে। আপিল কমিটি যা বলবে আমরা সেভাবে কাজ করব।’
সাড়ে তিন বছর ধরে আটকে আছে শনিবার বিকেল সিনেমাটি। সেন্সরে জমা দেয়ার পর এটি এখন আছে সেন্সর আপিল কমিটিতে। কেন সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে না, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি কমিটি।
বুধবার পোস্ট করা ফারুকীর সেই স্ট্যাটাসে আরও লেখা আছে, ‘যা-ই হোক আমরা সাত দিন সময় দিয়ে চিঠি দিয়েছি সার্টিফিকেট ইস্যু করার জন্য। ২১ তারিখে সাত দিন শেষ হবে। তারপর আমরা আইনের পথে হাঁটব। এবং পাশাপাশি সিনেমা বা যেকোনো সৃজনশীল কাজের ওপর থেকে সকল প্রকার অন্যায় নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়ার জন্য আমাদের ভয়েস রেইজ করব। ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন ইজ ফান্ডামেন্টাল অ্যান্ড নন নেগোশিয়েবল।’
শনিবার বিকেল সিনেমার অন্যতম প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ নিউজবাংলাকে জানান, তারা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তারা জানতে চেয়েছেন কেন সিনেমাটিকে আটকে রাখা হয়েছে।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘রোববারের মধ্যে কোনো উত্তর না পেলে আমরা আদালতে যাব।’
আরও পড়ুন:অপেক্ষা শেষ হয়েছে ভক্তদের, নিরাপদে ফিরেছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সুখবরও। সে ইঙ্গিতই দিলেন তিনি। বললেন, ভালো ভালো সংবাদ অপেক্ষা করছে।
কিং খানের পথ চেয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার সকাল থেকেই ভিড় করেন অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী, হাতে থাকা ব্যানার-ফেস্টুনে ছিল শাকিব-বন্দনা। নায়ক যখন বিমানবন্দরে এলেন হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তারা।
বেলা ১টা ৩০ মিনিটে সিআইপি গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শাকিব। চোখে-মুখে তার উচ্ছ্বাস। পরনে টি শার্ট আর জিন্স। কানে হেডফোন। চোখে সানগ্লাস। যেন নায়ক ফিরলেন নায়কের বেশেই।
শাকিব জানান, সবসময়ই মনে হয়েছে কখন তিনি দেশে ফিরবেন। বলেন, ‘আমি ফ্লাইটে বার বার জিজ্ঞেস করছিলাম ল্যান্ড করতে কতক্ষণ লাগবে।’
ভক্ত-দর্শক-সাংবাদিকদের উদ্দেশে শাকিব বলেন, ‘আপনাদের সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এই ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী। আপনারা সবাইকে আমি খুব মিস করেছি। আমি স্পিচলেস।’
৯ মাস পর যুক্তরাস্ট্র থেকে দেশে ফেরা এই নায়ক বলেন, ‘আমি দীর্ঘ নয় মাস চেষ্টা করেছি আমাদের বাণিজ্যিক সিনেমাটাকে বিশ্বের বাজারে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। ভাষা এখন আর কোনো বিষয় না। কোরিয়ান ভাষার সিনেমা বিরাট একটা অবস্থানে পৌঁছে গেছে, তামিল ফিল্ম ইন্টারন্যাশনাল অনেক ভালো জায়গায় পৌঁছে গেছে।’
শাকিব খান জানান, মাত্রই তো পা রাখলেন যুক্তরাষ্ট্রে, ধীরে ধীরে আরও অনেক কিছুই করবেন তিনি। আবার কবে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার দেশ আমি তো এখানেই থাকব, আমি কোথায় যাব।’
সাম্প্রতিক সময়ে দুটি বাংলা সিনেমা অনেক নাম করেছে, ব্যবসা করেছে, বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘আমি চাই যে সিনেমাগুলো শুধু বাংলাদেশে না, পুরো পৃথিবীতে যত বাংলা ভাষাভাষি আছে সবখানে ছড়িয়ে যাক। সেটাই আমার চাওয়া এবং আমি সেই কাজেই ব্যস্ত আছি।’
কোনো নতুন ঘোষণা দেবেন কি না জানতে চাইলে শাকিব খান সুখবরের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘সুখবর কী দেব তা সময় বলে দেবে। ভালো ভালো নিউজ ওয়েট করছে সবার জন্য।’
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়ে বুধবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শাকিব খান।
কদিন ধরেই সামাজিক যোগযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে আলোচনায় শাকিবের ফেরার খবর। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই চলতে থাকে নানা প্রস্তুতি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান তার ভক্তরা।
ঢাকার ভক্তরা ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বরিশাল, নেত্রকোণা থেকে এসেছেন অনেকে। শাকিব খানকে এক নজর দেখা এবং প্রিয় নায়ককে শুভেচ্ছা জানানোই ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
আরও পড়ুন:৯ মাস যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘কিং খান’ শাকিব খান। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক তপু খান।
গত কদিন ধরেই সামাজিক যোগযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে আলোচনায় শাকিবের ফেরার খবর। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই চলতে থাকে নানা প্রস্তুতি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান তার ভক্তরা।
সকাল থেকেই ব্যানার-ফেস্টুন হাতে বিমানবন্দরে জড়ো হন ভক্তরা।
ঢাকার ভক্তরা ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বরিশাল, নেত্রকোণা থেকে এসেছেন অনেকে। শাকিব খানকে এক নজর দেখা এবং প্রিয় নায়ককে শুভেচ্ছা জানানোই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
নেত্রকোণা থেকে আসা এক ভক্ত জানান, শাকিব খান আরও ভালো ভালো সিনেমা করুক- এই চাওয়া তার কাছে। একই সঙ্গে কিছুটা দুঃখ আছে তার। যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের স্থায়ী হওয়ার খবর তাকে আহত করেছে।
টাঙ্গাইল থেকে আসা এক ভক্ত জানান, শাকিব খানকে শুভেচ্ছা জানাতে তার এখানে আসা। শাকিব খানকে তিনি খুবই পছন্দ করেন। তবে শাকিব খান এত দিন দেশে ছিলেন না বলে তিনি কষ্ট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে বর্ডার সিনেমা। মঙ্গলবার প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির টিজার। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে পাওয়া গেছে কিছু ধারণা।
বর্ডার এলাকার একটি গ্রাম সুলতানপুর। যেখানে পানির ওপর পদ্ম ভাসে, নিচে মানুষের লাশ। এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে বাবাজান। তিনি ওই এলাকার সব।
বাবাজান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার। সিনেমায় আরও আছেন সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, অধরা খান, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধাসহ অনেকে।
কিছুদিন আগে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির অফিশিয়াল পোস্টার। তখন জানানো হয়েছিল, বর্ডার হলো দুই দেশের সীমানা। এই সীমানা দিয়ে বৈধভাবে পার হয় মানুষ, গরুসহ নানা দ্রব্য। তেমনি আবার হয় মাদকসহ নানান দ্রব্যাদির চোরাচালান।
এই চোরাচালানকে ঘিরে গড়ে ওঠে বেশ কিছু গ্যাং। আবার তাদের মাঝে ঘটে নানা ঘাত, প্রতিঘাত, সংঘাত। সেসব কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা বর্ডার।
ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সৈকত নাসির, কাহিনি আসাদ জামানের।
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ভারতের দক্ষিণী সুপারস্টার বাহুবলী খ্যাত অভিনেতা প্রভাস ঘোষণা করেন তার নতুন সিনেমা সালার-এর নাম। এটি পরিচালনা করছেন কেজিএফ-এর নির্মাতা প্রশান্ত নীল।
এই সিনেমার ঘোষণা আসার পর থেকেই উচ্ছ্বসিত প্রভাসের ভক্ত-অনুরাগীরা। বাহুবলীর পর এটাই হতে যাচ্ছে তার আরেক ধামাকা। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তির নতুন দিন ঘোষণা করা হলো।
ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্টে প্রভাস ও প্রশান্ত নীল ঘোষণা করেন ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে সালার। এর আগে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
মুক্তির নতুন তারিখের সঙ্গে সালার-এর একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে, যা কেজিএফ-এর পোস্টারগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
পোস্টারে পিস্তল-ধারাল অস্ত্রসহ ধ্বংসস্তূপ ও বিক্ষিপ্ত লাশের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় প্রভাসকে।
সিনেমাটি যে ব্যাপক অ্যাকশনধর্মী হবে তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রশান্ত নীল। সালার-এর নাম ঘোষণার সময় একটি পোস্টার শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘সবচেয়ে হিংস্র পুরুষ... একজনকে ডাকো... সবচেয়ে হিংস্র!’
সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘সিনেমার প্রতি ভালোবাসার জন্য, ভাষার দেয়াল ভেঙে, আপনাদের সামনে একটি ভারতীয় চলচ্চিত্র উপস্থাপন করছি। প্রিয়তম প্রভাস স্যারকে স্বাগতম।’
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসএস রাজামৌলির আরআরআর পরবর্তী তেলেগু সিনেমার সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট সালার।
প্রভাস ছাড়াও সালার-এ রয়েছেন প্রধান কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি হাসান। এছাড়া খল চরিত্রের অভিনয় করছেন জগপতি বাবু। সিনেমাটি তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালাম এবং হিন্দি ভাষায় মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন:প্রকাশ পেয়েছে দামাল সিনেমার ট্রেইলার। পরাণ সিনেমারর সফলতার পর দর্শকদের আগ্রহ ছিল নির্মাতা রায়হান রাফির নতুন সিনেমা দেখার। সেই আগ্রহ পূরণ হতে যাচ্ছে দর্শকদের।
২৮ অক্টোবর সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেইলার।
সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমার গল্পটি লিখেছেন ফরিদুর রেজা সাগর। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের সত্য ঘটনার সঙ্গে ফিকশনের আশ্রয় নিয়ে গড়ে উঠেছে সিনেমার গল্প। অল্প করে আছে এ সময়টাও।
ট্রেইলারের ভয়েস ওভারে শোনা যায়, ‘একটা দেশ, একটা যুদ্ধ, একটা পতাকা। এক এক করে অনেকে মিলে এক হওয়া।’
আরও শোনা যায়, ‘কেউ অস্ত্র তুলে নিয়েছিল হাতে, কেউ পায়ে। কেউ নামে যুদ্ধের মরণ খেলায়, হোক যে যোদ্ধা বা খেলোয়ার, লড়াইয়ে এক বিন্দু দেয়না ছাড়। একদিকে আসে মিছিল, আরেকদিকে উল্লাসের মিশন। খেলার মাঠ হোক কিংবা যুদ্ধের ময়দান, কেউ কারে নাহি ছাড়ে, যায় যদি যাক প্রাণ।’
সিনেমার টুকরো টুকরো দৃশ্যে ২৫ মার্চের কাল রাত, মুক্তিযুদ্ধ এবং ফুটবল খেলার দৃশ্য উঠে এসেছে। আছে পাকিস্তানি আর্মী ও তাদের দোসরদের বর্বরতা।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সুমিত, সিয়াম, বিদ্যা সিনহা মিম, শাহনাজ সুমি, ইন্তেখাব দিনার, পাকিস্তানিদের দোসরের চরিত্রে রাশেদ অপুসহ অনেকে।
ট্রেইলারটি ফেসবুকে শেয়ার করে রায়হান রাফি লিখেছেন, ‘দামাল আসছে ২৮ অক্টোবর। দেখা হবে সিনেমা হলে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য