আর কখনও অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরবেন না এবং বিকৃত করে রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত গাইবেন না, এ মর্মে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন হিরো আলম।
বুধবার আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলমকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জিজ্ঞাসাবাদ করলে মুচলেকা দেন তিনি।
অসংখ্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডাকে বুধবার সকালে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন হিরো আলম। সেখানে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ।
তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অসংখ্য অভিযোগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) তাকে ডাকা হয়।’
হারুন বলেন, ‘হিরো আলমের কথা আর কী বলব! পুলিশের যে ড্রেস, যে প্যাটার্ন, ডিআইজি, এসপির যে ড্রেস তা না পরে কনস্টেবলের ড্রেস পরে ডিআইজি, এসপির অভিনয় করছে। ডিএমপির কমিশনার শিল্পী সমিতিতে বলেছেন পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু হিরো আলম শিল্পী সমিতির সদস্যও না। সে অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরছে। কনস্টেবলের ড্রেস পরে এসপি, ডিআইজির অভিনয় করছে। এটা সে জানেও না।’
তিনি আরও জানান, হিরো আলম যেভাবে গান গায় তাতে রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত পুরোটাই চেঞ্জ হয়ে যায়।
হারুন বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি এসব কেন করেন? তখন হিরো আলম আমাদের বলেছেন, আমি আর জীবনে এসব করব না। আমি আর পুলিশের পোশাক পরব না। কোনো ধরনের রবীন্দ্র-নজরুলসংগীত গাইব না।’
হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত একজন। ২০১৮ সালে হিরো আলম একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন।
আরও পড়ুন:‘দিন- দ্য ডে’ সিনেমা নির্মাণ নিয়ে করা পরিকল্পনা ও চুক্তি অনন্ত জলিল ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছবিটির ইরানি পরিচালক মোর্তেজা অতশ জমজম।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে এক স্ট্যাটাসে এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, চুক্তি ভঙ্গ করার দায়ে তিনি অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে ইরান ও বাংলাদেশের আদালতে মামলা করবেন।
অনন্ত জলিল এ নিয়ে প্রথমে কোনো কথা না বললেও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
অনন্ত জলিলের স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হলো-
‘আজ বিকাল থেকে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইছেন যে, কুরবানির ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত আমার সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক ইরানী নাগরিক মুর্তজা অতাশ জমজম সিনেমাটি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিস্তারিত বিষয় আমি এই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরছি।
দিন : দ্য ডে’র শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে ইরান থেকে। শেষ হয় ২০২০ সালে। বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে আমরা সিনেমাটির শুটিং করি। আমি শুরুতেই বলে এসেছি, সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইরান। আমার সঙ্গে চুক্তি আছে যে, সিনেমাটির বাংলাদেশে যেসব কাজ হবে (শুটিং, ডাবিং) সেটার ব্যয়ভার আমি বহন করব। এবং আমি সেটাই করেছি।
চুক্তি অনুযায়ী ইরানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে শুটিংয়ের খরচ বহন করবে ইরানি প্রযোজক। ইরান যে সিনেমাটির মূল প্রযোজক সেটা পরিচালকই তার স্ট্যাটাসে দেয়া একটি বাক্যের (আমি ছিলাম সিনেমাটির মূল প্রযোজক) মাধ্যমে স্বীকার করেছেন। এর মাধ্যমে একটা বিষয় পরিষ্কার হয় যে, সিনেমাটিতে আমি শুধু বাংলাদেশের খরচ বহন করেছি এবং এটাই ছিল চুক্তি।
২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশন চ্যানেল- সব জায়গাতেই সাক্ষাৎকারসহ বিভিন্ন প্রচরণায় আমি বলেছি, ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার মূল প্রযোজক ইরানি। আমি শুধু বাংলাদেশের শুটিংকৃত অংশটুকুর খরচ বহন করেছি।
সিনেমার নামের ক্ষেত্রে আমি বাংলায় একটি নাম ব্যবহার করেছি। তাও ‘ডে’-এর বাংলা, অর্থাৎ ‘দিন’। ইরানি প্রযোজকের দেয়া নামও (ডে) কিন্তু সিনেমায় রয়ে গেছে। এটাও আমাদের মৌখিক আলোচনায় ছিল। যেহেতু সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া হবে, তাই বাংলা নাম থাকাটাই যুক্তিযুক্ত। আর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির জন্য সঙ্গে ইংরেজি নামও রয়েছে। সুতরাং নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা অবান্তর।
তিনি (ইরানি নির্মাতা) যে গল্পের কথা বলেছেন, সেটা আমাদের দু’জনেরই আইডিয়া। সিনেমার গল্প আমি ও মুর্তজা সাহেব আলোচনা করে ঠিক করেছি। ইরানে শুটিং শুরুর পর ইরানি প্রযোজক আমাদেরকে সম্মানের সঙ্গে পাঁচতারকা হোটেলে রেখেছেন। আমরাও বাংলাদেশে শুটিংয়ের সময় ইরানি ইউনিটকে ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলে রেখেছিলাম। সম্মান এবং আতিথেয়তায় কোনো ঘাটতি রাখিনি।
এ সিনেমার পরিচালক যেহেতু মুস্তফা অতাশ জমজম, তাই শুটিংয়ের যাবতীয় ইকুইপমেন্ট, অর্থাৎ এইট-কে রেজুলেশনের ক্যামেরা তিনি ইরান থেকেই সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন; যেহেতু এইট-কে রেজুলেশনের ক্যামেরা বাংলাদেশে নেই। ইরানসহ অন্যান্য দেশের শুটিংয়ের ফুটেজ, এমনকি বাংলাদেশে শুটিংয়ের ফুটেজও তিনি শুটিং শেষে ইরানে নিয়ে গেছেন, লাইনআপ করার জন্য।
২০২০ সালে শুটিং শেষে তিনি আমাকে এডিট করা একটা লাইনআপ পাঠালেন। আমি সেটা দেখে গল্পে বেশকিছু জায়গায় অসামঞ্জস্যতা দেখে বলেছি, আমাকে একটা কপি দেন। আমি সেটা ঠিক করে দিচ্ছি।
যেহেতু ইরানে গিয়ে এডিটিং করা সম্ভব নয়, তাই আমি ঠিক করি ভারতের হায়দ্রাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে কাজটি করব। সেই ফুটেজের কপি তিনি নিজেই সঙ্গে করে অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে নিয়ে আসেন। আমাদের সঙ্গে ৪/৫ দিন হায়দ্রাবাদে অবস্থান করে তিনি নিজ দেশ ইরানে ফিরেও যান।
আমরা সিনেমাটিতে ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করতে চাইলাম। যেহেতু ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করলে তাদের (ডলবি কোম্পানির) লাইসেন্স লাগে, আর ডলবি আমেরিকান কোম্পানি, ইরান সেটা ব্যবহার করতে পারবে না। তাই আমি বলেছি, আমার দেশে (বাংলাদেশ) ডলবি সাউন্ড ব্যবহার করব। বিষয়টিতে তিনি রাজি হয়েই স্বশরীরে ভারতের হায়দ্রাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে সিনেমাটির ফুটেজ নিয়ে আসেন।
যদি কোনো অর্থ পাওনা থাকত তাহলে তিনি কি ফুটেজ নিয়ে আসতেন? এছাড়া সিনেমাটির সম্পূর্ণ ফুটেজ এখনও তার কাছেই রয়ে গেছে। যেহেতু তিনি সিনেমাটির মূল প্রযোজক ও পরিচালক, তাই তার কাছে সেটা থাকাটাই স্বাভাবিক।
আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, চুক্তিতে যেভাবে যা কিছু উল্লেখ ছিল সে অনুযায়ীই আমি কাজ করেছি। যদি আমার কাছে তার ১০০ টাকাও অর্থাৎ কোনো অর্থ পাওনা থাকত তাহলে তিনি কি আমাকে সিনেমার সম্পূর্ণ ফুটেজ দিতেন? কিংবা ফুটেজ না পেলে আমি কি মুক্তি দিতে পারতাম? যেহেতু তার কাছেই শুটিংয়ের পর সম্পূর্ণ ফুটেজ ছিল এবং এখনও রয়েছে! নিশ্চয়ই তার অনুমতি এবং সম্পূর্ণ সম্মতিতেই আমি সিনেমাটি মুক্তি দিয়েছি। এখন তার অবান্তর অভিযোগ মূলত আমাকে ও আমার দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ছোট করার অপপ্রয়াস বলে আমি মনে করি।
আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা যখন বাংলাদেশে হোটেল লি মেরিডিয়ানে এ সিনেমার গান ও প্রাথমিক ট্রেইলর উদ্বোধন করি তখনও তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং সিনেমাটি যে আমরা বাংলাদেশে মুক্তি দেব, সে ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানাননি।
আমি এটাও বলেছি যে, ইরান যদি সময়মতো মুক্তি দিতে না পারে তাহলে আমি বাংলাদেশে মুক্তি দেব। এসব নিয়েও তখন কোনো আপত্তি করেননি তিনি। ইরান সময়মতো মুক্তি দিতে পারছে না বলে তিনবার আমরা মুক্তির তারিখ ঘোষণা দিয়েও সেটা পরিবর্তন করি। বাংলাদেশে মুক্তির সময় পরিবর্তনের কারণে আমার ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে জেনেও শুধু তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি সেটা মেনে নিয়েছি। শুরু থেকেই সবসময় আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল এবং সেটা এখনও আছে বলে আমি মনে করি।
আপনারা দেখেছেন, গত কুরবানির ঈদে ‘দিন: দ্য ডে’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হচ্ছি আমরা এবং সেটা দেশ থেকেই। আমি মনে করি, এটাও তেমনই একটি ষড়যন্ত্র। এরপরও মুর্তজা সাহেবের যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা আমরা নিজেরাই বসে সমাধান করতে পারি (যদিও আমি চুক্তির বাইরে কিছু করিনি সেটা আগেই বলেছি)।
তিনি বাংলাদেশি কারও পরামর্শে কিংবা নিজের প্রচারের স্বার্থে যদি ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা হবে খুবই দুঃখজনক। যদি এরকম কিছু ঘটে থাকে তাহলে আমিও দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনি ব্যবস্থা নেব। কারণ, একই চুক্তিপত্র আমার কাছেও রয়েছে।
আমি সাংবাদিক ভাই ও বোনদের প্রতি অনুরোধ করব, সত্যটা জেনে আপনারা খবর প্রকাশ করবেন। আমি চেষ্টা করব আমার পেজ থেকে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানানোর জন্য। এমনিতেই আমাদের বাংলাদেশি সিনেমার দুর্দিন চলছে। এর মধ্যে গত ঈদে আমার ‘দিন : দ্য ডে’সহ আরও দুটি সিনেমা দেশের সিনেমা অঙ্গনে আশার আলো দেখিয়েছে। দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন। দেশি সিনেমা অঙ্গন চাঙা হয়ে উঠছে। তাই একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে কীভাবে বাংলাদেশের এই বাজারটি নষ্ট করা যায়। এবং তারা আমাদেরই সিনেমার লোক বলে আমি মনে করি।
সিনেমা নিয়ে আমি বিশেষ কিছু কাজ করার পরিকল্পনা করছি। সেটা যাতে থামিয়ে দেয়া যায়, এমনকি ঈদের সিনেমার জোয়ার দেখে যারা নতুন করে প্রযোজনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন তাদেরকেও দূরে সরিয়ে রাখা যায়, এজন্য বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে ছোট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি অসাধু চক্র। এই ঘটনা তারই একটা অংশ বলে আমি মনে করি।
আমার যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে সেটা ভবিষ্যতে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করব। কিন্তু আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে চাঙা করার জন্য, আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে দেয়ার জন্য নেগেটিভ খবর প্রচার করা থেকে আপাতত বিরত থাকবেন। যাতে আমরা (বাংলাদেশি সিনেমা) আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারি।
আপনাদের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রতি আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা আছে। সবসময় আপনারা আমার পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন এটা আশা করি।
আরও পড়ুন:বৃহস্পতিবার অভিনেত্রী ইয়ামিন হক ববির জন্মদিন। বিশেষ দিনটি উপলক্ষে অনেকেই ববিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর মধ্যে একটি শুভেচ্ছা বার্তা বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো।
ববি অভিনীত নোলক সিনেমার প্রযোজক সাকিব সনেট তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ববির জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তাটি দিয়েছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) তোমার জন্মদিন, কিন্তু আমি সেই ব্যক্তি যার সবচেয়ে বেশি উদযাপন করা উচিত। এ দিনে আমার প্রিয় মানুষটির জন্ম। তোমার হাসি এ উদযাপনের কারণ। তোমার ভালোবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান উপহার।
‘আমি খুব খুশি যে তুমি পৃথিবীতে এসেছ এবং আমি আরও বেশি খুশি যে তুমি আমার জগতে এসেছ। শুভ জন্মদিন আমিন হক ববি।’
এমন শুভেচ্ছা বার্তায় সাকিব ও ববির মধ্যে প্রেমের মতো মধুর সম্পর্কের আভাস খুঁজছেন কেউ কেউ। সাকিবের শুভেচ্ছা বার্তার মন্তব্যের ঘরে অধিকাংশই অভিনেত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জুটি ভেবে তাদের দুজনকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দুই-তিনজন।
প্রযোজক সাকিব সনেট অবশ্য ববির সঙ্গে তার সম্পর্কটাকে ‘পজিটিভ’-এর খোলস থেকে বের করেননি। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, তাদের পারস্পরিক সম্পর্কটা পজিটিভ।
তিনি বলেন, ‘প্রিয় মানুষের জন্মদিন উপলক্ষে ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করেছি। আমাদের তো প্রায় ৫-৬ বছরের পরিচয়; নোলকের প্রি-প্রোডাকশন থেকেই। এরপর একসঙ্গে নোলকের যুদ্ধ জয় করা। তারপর একসঙ্গে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করা। পাশাপাশি একসঙ্গে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ফেস্টিভ্যাল, অ্যাওয়ার্ডে অ্যাটেন্ড করা। একসঙ্গে নতুন কিছু প্রজেক্ট করা। বিজ্ঞাপন, ইভেন্টস, সিনেমা সবই করা হয়েছে আরও হচ্ছে। আসলে পারস্পরিক সম্পর্কটা আমাদের বেশ পজিটিভ পরস্পরের প্রতি, এই তো।’
ববির সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় কানাঘুষা আছে। সাকিব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে ববির সঙ্গে তোলা একটি ছবি দিয়ে রেখেছেন।
নিজেদের প্রথম সন্তান রাজ্যকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন অভিনয়শিল্পী দম্পতি পরীমনি ও শরিফুল রাজ।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বুধবার সকালে নীড়ে ফেরেন এ দম্পতি।
পরীমনির ঘনিষ্ঠজন ও নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী জানিয়েছেন, ছেলেকে নিয়ে ঘরে ফিরে বুধবার সকালেই দুটি খাসি জবাই করে তার আকিকা দিয়েছেন পরী-রাজ। কাছাকাছি সময়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজনও করা হয়।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, রেদওয়ান রনি, রায়হান রাফি, অভিনেত্রী তমা মির্জাসহ অনেকে।
চয়নিকা তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘অনেক অনেক আশীর্বাদ রাজ্য তোমার জন্যে। মায়ের মতো সাহসী আর সুন্দর মনের মানুষ হও, নিরাপদে থেকো। আর বাবার মতো সাহসী প্রেমিক আর কেয়ারিং হও। এই প্রার্থনা। আর নানিমাকে কিন্তু ভুলে যেও না!! হুম।’
গত ১০ আগস্ট সন্তানের জন্ম দেন পরীমনি। ইচ্ছা অনুযায়ী রাজ-পরী তাদের ছেলের নাম রাখেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়। পরে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হয়।
আরও পড়ুন:শুরু হয়ে গেছে জীবনের নতুন সময়, নতুন অধ্যায়। মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী বিপাশা বসু। ইনস্টায় নিজেই আনন্দের এ খবর দিয়েছেন তিনি।
লেখা ছাড়াও দুটি ছবি পোস্ট করেছেন বিপাশা। যেখানে দেখা যাচ্ছে তার বেবি বাম্প এবং সঙ্গে রয়েছে অনাগত সন্তানের বাবা করণ সিং গ্রোভার।
মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ঢালা সাদা শার্টে বিপাশা এবং তার স্বামী করণ। বিপাশার শরীরে মাতৃত্বের ছাপ। হাস্যোজ্জ্বল বিপাশা দু’হাতে আগলে রেখেছেন বেবিবাম্প আদতে অনাগত সন্তানকে। করণও ছুঁয়ে রয়েছেন বেবিবাম্প, আবার চুমু এঁকে দিচ্ছেন সেখানে।
ছবি দিয়ে ক্যাপশনে বিপাশা লিখেছেন, ‘একটা নতুন সময়, একটা নতুন অধ্যায়, নতুন আলো আমাদের জীবনে নতুন রং যোগ করল। আমাদের যেন আরও একটু পূর্ণতা দিল। আমরা স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের জীবন শুরু করেছিলাম। শিগগিরই আমরা দুই থেকে তিন হব।’
২০১৬ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন বিপাশা-করণ। বাঙালি নিয়েমে সাত পাক ঘোরেন তারা। ব্যক্তিজীবনকে কিছুটা আড়াল করেই রেখেছেন এ তারকা দম্পতি।
আমেরিকার সুপার মডেল বেলা হাদিদের পা এবার ক্যাটওয়াক থেকে মেটাভার্সে এসে পড়েছে। সেখানে নিজের স্বতন্ত্র অস্তিত্বের জন্য তার দরকার ছিল এনএফটি অ্যাভাটার।
বেলার মুখ ও শরীরের থ্রিডি স্ক্যানের ওপর ভিত্তি করে CY-B3LLA নামে মেটাভার্স উপযোগী নন ফাঞ্জিবল টোকেনের সিরিজ করা হয়েছে।
২৫ বছর বয়সী বেলা নিউ ইয়র্ক থেকে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ভার্চুয়াল দুনিয়ার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন এবং কোভিড লকডাউনে তিনি ভিডিও গেমগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়েন। সে সময় তিনি নিজের ভিডিও গেমের চরিত্রের মতো কুল সংস্করণ (অ্যাভাটার) তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
বেলা হাদিদের সিরিজ এনএফটি-গুলো তৈরি করেছে ১০টি দেশের ডিজিটাল আর্টিস্টরা।
তবে এই এনএফটিগুলো ঠিক কবে নাগাদ নিলামে তোলা হবে কিংবা আদৌ হবে কি না তা জানাননি বেলা।
মেটাভার্স নিয়ে আশাবাদী বেলা বলেন, ‘আসছে মাসগুলোতে আমরা একটি নতুন মেটা নেশন তৈরি করব, যেখানে থাকবে সত্যিকার স্থাপনা, হবে অনুষ্ঠানের আয়োজন। যেখানে আমি আপনাদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করতে পারব।’
এনএফটি কী?
এনএফটির পূর্ণরূপ ‘নন ফাঞ্জিবল টোকেন’। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে ইমিউটেবল লেজারে যুক্ত হওয়ায় এনএফটি যেকোনো ডিজিটাল অ্যাসেটের ওপর একজন ব্যক্তির নিরঙ্কুশ মালিকানা দেয়।
ইমিউটেবল লেজার বলতে বোঝায় অপরিবর্তনীয় লেজার। এতে কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটানো প্রায় অসম্ভব। এই পদ্ধতিতে ডিজিটাল আর্টকে কপি করা অসম্ভব হয়ে যায়। আপনি অবশ্যই কোনো কিছু নকল করতে পারেন, তবে সেটি আর যাই হোক, পুরোপুরি আগেরটির মতো হবে না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির দ্য লাস্ট সাপারের হুবহু নকল একটি ছবি কেনা যেতে পারে। তবে তা আর যাই হোক, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মূল ছবিটি হবে না। সত্যিকার দ্য লাস্ট সাপারের দামও নকলের সমান হবে না।
আসছে মাসগুলোতে আমরা একটি নতুন মেটা নেশন তৈরি করব, যেখানে থাকবে সত্যিকার স্থাপনা, হবে অনুষ্ঠানের আয়োজন। যেখানে আমি আপনাদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করতে পারব।
ঠিক তেমনি যখন একটি ডিজিটাল আর্টকে এনএফটি করা হয়, তখন সেটি একটি টোকেনে কনভার্ট হয়ে যায়। এরপর সেই ডিজিটাল আর্টে যদি এক মেগাপিক্সেলও পরিবর্তন করা হয়ে থাকে, সেটির টোকেন বদলে যাবে। কখনোই তা আগেরটির সঙ্গে মিলবে না।
এনএফটি হচ্ছে একটি দলিলের মতো। এটি ডিজিটাল দুনিয়ার যেকোনো কনটেন্টের ওপর ব্যক্তির মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করে। ভিঞ্চির আঁকা ছবি নিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারে, কিন্তু এনএফটি নিয়ে জালিয়াতি অসম্ভব।
এক কথায় এনএফটি হলো এমন একটি সম্পদ, যা ডিজিটাল দুনিয়ায় একটিই আছে। এটি অন্যান্য সম্পদের মতোই কেনাবেচা করা সম্ভব।
আরও পড়ুন:জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছে পুরো দেশ।
সোমবার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লেখা ও ছবি পোস্ট করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ও জানাচ্ছেন অনেকে।
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং অনুভূতির কথা জানান।
তিনি লেখেন, ‘আমার অন্তরের মধ্যে যে বাংলাদেশ সব সময় জেগে থাকে, তার দেহ, মন জুড়ে সংগ্রামের অনুপ্রেরণা হয়ে প্রতিধ্বনিত বঙ্গবন্ধুর নাম।’
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে জয়া লেখেন, ‘শোক নয়, শক্তি হয়ে রয়ে যায় জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। জাতীয় শোক দিবসে চির অম্লান বঙ্গবন্ধু জানাই আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। চেতনায়, বিপ্লবে, অনুপ্রেরণায়, দিন বদলের স্বপ্নে আপনি অমলিন বঙ্গবন্ধু।’
অভিনয়শিল্পী দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমনির ঘর আলো করে এসেছে তাদের সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। বুধবার বিকেলে পৃথিবীর আলো দেখে নবজাতক।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় বিকেল থেকেই অপারেশন থিয়েটারে থাকতে হয়েছে রাজকে। নিজের অনুভূতির কথা বলতেই পারেননি ঠিকমতো।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে নিজের ফেসবুকে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ, অভিনন্দন আমার প্রিয় স্ত্রী পরীমনি। ছেলেসন্তান হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের অনুভূতির কিছু কথা শরিফুল রাজ লিখেছেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার বাবা হওয়াটা জীবনের সেরা মুহূর্ত তার কাছে।
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তুমি এটা করেছ আমার প্রিয় সঙ্গী, আমি সততার সঙ্গে বলতে পারি যে, এটি আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।’
ছোট রাজ্য যেন তারকার মতো বড় হয়, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে রাজ লেখেন, ‘ওই ছোট পা আমাদের হৃদয়ে সবচেয়ে বড় পায়ের ছাপ তৈরি করেছে। তোমরা দুজনেই (পরী ও রাজ্য) আমার জীবনে অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়েছ।
‘সে (রাজ্য) যেন তারার মতো বেড়ে ওঠে এবং তাদের বাবা-মা এর মতো সাহসী হয়। অনেক অনেক অভিনন্দন আমার রকস্টার।’
লেখার সঙ্গে রাজ একটি ছবি ও একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নবজাতক রাজ্যর পায়ের ছাপ এবং ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নবজাতক রাজ্যকে প্রথমবার পরীকে দেখানোর মুহূর্ত। সে সময় রাজ্য ছিল রাজের হাতে।
বৃহস্পতিবার সকালে পরী তার সন্তানের ছবি প্রকাশ করেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি তার সন্তানের নাম প্রকাশ করেন এবং ছেলেকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তুমি পৃথিবীর জন্যে আলোর বাহক হও। অভিনন্দন তোমাকে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য