বলিউডে অভিষেক করছেন তেলেগু সিনেমার সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডা। সিনেমার নাম লাইগার। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রকাশ পায় এর ট্রেইলার।
লায়ন ও টাইগারের হাইব্রিড লাইগার ট্রেইলারেই ঝড় তুললেন। পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেতে যাওয়া সিনেমাটির হিন্দি ভাষার ট্রেইলারটি রোববার বিকেল পর্যন্ত চারদিনে ইউটিউবে ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে।
এই গতি যেন অপ্রতিরোধ্য। নেটিজেনদের অনেকের ধারণা পুষ্পা ও আরআরআর-কে ছাড়িয়ে যেতে পারে বিজয়ের লাইগার।
যেখানে সাত মাসে পুষ্পার হিন্দি ভাষার ট্রেইলার দেখা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ ও ৫ মাসে আরআরআর ট্রেইলার দেখা হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখবার।
মুম্বাইয়ের বস্তির এক চা-ওয়ালা কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পেশাদার বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দেয় সেই গল্পই দেখা যাবে এতে।
করণ জোহর প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তামিলের হিটমেকার নির্মাতা হিসেবে পরিচিত পুরী জগন্নাথ।
বিজয় ছাড়াও লাইগার-এ অভিনয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বক্সিং লেজেন্ড মাইক টাইসন। এ ছাড়াও অনন্যা পান্ডে, রাম্যা কৃষ্ণান ও রনিত রায়ও রয়েছেন।
হিন্দি, তেলেগু, তামিল, কন্নড় ও মালয়ালাম ভাষায় আগামী ২৫ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে লাইগার।
আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতকে এসব কথা বলেন গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম।
এর আগে বিদেশি কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবি করেছেন বলে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানায় প্রতারণার এ মামলায় অভিযোগে করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বাদী হয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে মেঘনা আলম ও তার পরিচিত সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এই মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলায় মেঘনার সহযোগী সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সকালে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। বৈঠকে কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা পেনাল কোডের ৪২০, ৩৮৫ ও ১০৯ ধারার অপরাধ।
আদালতে শুনানির সময় মেঘনা আলমকে মেঘলা আলম নামে সম্বোধন করার এক পর্যায়ে আসামি তার নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করার জন্য বলেন, আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।
এ সময় বিচারক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আছেন কিনা জানতে চান। মেঘনা আলম আদালতকে বলেন, আমাদের কোনো আইনজীবী নেই। এরপর তিনি কথা বলতে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমার নাম মেঘনা, মেঘলা নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?
এ পর্যায়ে বিচারক তাকে থামিয়ে দিয়ে মামলা সম্পর্কে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। তখন মেঘনা বলেন, আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে কোনো আইনজীবী পাবেন না। বিষয়টি হলো সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার একমাত্র সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বলি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একই সঙ্গে দেওয়ান সমিরের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া গত ১১ এপ্রিল ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হন মেঘনার পরিচিত এই ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
এদিকে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে আদালত মেঘনাকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার (ডিটেনশন) আদেশ দেন।
অপরাধে জড়িত থাকলে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে ও সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনার আটকের ঘটনায় শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এমন প্রেক্ষাপটে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধানের পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডের মেয়ে অনন্যা পান্ডে। বাবার পথ ধরে রূপালি জগতে নাম লিখিয়েছেন। বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করলেও এখনো সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। তবে অল্প সময়ের ক্যারিয়ার হলেও ছক ভেঙে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে প্রশংসার দাবিদার অনন্যা। গ্ল্যমারাস চরিত্র কিংবা আদ্যোপান্ত মাসালা ছবির বাইরে গিয়ে অন্য ঘরানার সিনেমাতেও সাবলীল চাঙ্কিকন্যা। তারকা সন্তান হওয়ার দৌলতে তার নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ‘নেপোকিড’ তকমাও। এমন আবহেই অভিনেত্রীর মুকুটে যোগ হলো নতুন পালক।
প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফরাসি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ‘শ্যানেল’র অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হলেন অনন্যা পান্ডে। গতকাল বুধবার ‘শ্যানেল’ বলিউড তারকাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে। ‘শ্যানেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিশীলিত রুচি, স্বাধীন পরিচয়ের একটি প্রজন্মকে বহন করছেন অনন্যা। তার মূল্যবোধ ‘শ্যানেল’র সঙ্গে একইভাবে অনুরণিত হয়, যা তাকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উপযুক্ত করে তুলেছে। প্যারিসে চ্যানেল স্প্রিং (সামার ২০২৫) শোতে শ্যানেলের ক্রুজ কালেকশনের একটি পোশাক পরে অনন্যার উপস্থিতির পর থেকেই ধারনা করা হচ্ছিল যে, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তার নিয়োগ হচ্ছে শিগগিরই।
আর এমন তকমা এর আগে কোনো ভারতীয় তারকার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। সেদিক থেকে বলতে গেলে, অনন্যাই প্রথম ভারতীয় যিনি শ্যানেল-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেব ইতিহাস গড়লেন। এক বিবৃতিতে অনন্যা পান্ডে জানিয়েছেন, ‘এটাই হলো মুক্তির স্বাদ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে শ্যানেল-এর জয়যাত্রার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ এবং উচ্ছ্বসিত। আমার স্বপ্ন সত্যি হলো।’
সংস্থার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানা হয়েছে, ‘অনন্যা পান্ডে এমন একজন নায়িকা যিনি নিজস্ব কৌতূহলে ভর করে গোটা বিশ্ব আঙিনায় নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন এবং বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে নিজস্ব রুচিবোধের প্রভাব ফেলেছেন। অনন্যার মূল্যবোধের সঙ্গে শ্যানেল-এর সাযুজ্য থাকায় আমাদের ঘরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে ওকে বেছে নেওয়া হলো।’
এর আগে গতবছর প্যারিস ফ্যাশন উইকে হেঁটেও বাজিমাত করেছিলেন অনন্যা। এবার শ্যানেল-এর মতো বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন সংস্থার বিজ্ঞাপনী দূত-এর ভূমিকায় তিনি। ‘শ্যানেল’ ছাড়াও অনন্যা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ‘ল্যাকমে’, ‘বিটস’ এবং ‘টাইমেক্স’র মতো লেবেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও।
সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে গ্রেফতার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। গ্রেফতার দেখানোর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ব্যতিক্রমী কাজের জন্য নানা সময়ে খবরের শিরোনাম হন মার্কিন পপতারকা কেটি পেরি। এবার সফলভাবে মহাকাশ ঘুরে পৃথিবীতে ফিরে এসে আবারও জন্ম দিলেন আলোচনার। আলোচিত এই সফরে তার সঙ্গী ছিলেন আরও পাঁচ নারী। বিশিষ্ট মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারী জেফ বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ শেপার্ড মহাকাশ রকেটে চড়ে মহাকাশের নিম্ন কক্ষপথে ভ্রমণ করেছেন জনপ্রিয় এই পপতারকা। তিনি এবং তার সঙ্গীরা সফলভাবে মহাকাশ ঘুরে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।
বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম টেক্সাসের ব্লু অরিজিনের উড্ডয়নক্ষেত্র থেকে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ শেপার্ড মহাকাশযানে করে মহাকাশের নিম্ন কক্ষপথে ভ্রমণ করেন তারা।
বিবিসির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, কেটি পেরি ছাড়াও মহাকাশযানে ছিলেন জেফ বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের সাংবাদিক গেইল কিং, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ প্রকৌশলী আয়েশা বোয়ে, নাগরিক অধিকারকর্মী আমান্ডা নুয়েন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান্ন ফ্লিন।
মহাকাশে থাকাকালীন তারা প্রায় তিন মিনিটের মতো ওজনহীনতায় মহাকাশে ভেসে বেড়ান। এ ছাড়া ক্যাপসুলের বড় জানালা থেকে পৃথিবীর দৃশ্য উপভোগ করেন। এরপর তিনটি প্যারাসুট ব্যবহার করে ক্রু ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসে। রকেটটি পৃথিবী থেকে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়, যেখানে ক্যাপসুলটি ‘কারমান লাইন’ অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত মহাকাশে প্রবেশ করেন নারীরা। আন্তর্জাতিকভাবে মহাকাশের সীমানা হিসেবে স্বীকৃত ‘কারমান লাইন’।
তবে মহাকাশে ভ্রমণকারী এ পাঁচজন নারীকে নভোচারী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করবে না যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফএএ, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও মার্কিন সামরিক বাহিনী। কারণ, তাদের সবারই নভোচারী হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার অভাব রয়েছে।
মহাকাশ ভ্রমণ শেষে ফিরে এসে কেটি পেরি জানান, তিনি এখন জীবনের সঙ্গে অত্যন্ত সংযুক্ত এবং ভালোবাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অনুভব করছেন। এ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একটি গান লিখবেন। তিনি আরও জানান, এটি ছিল সর্বোচ্চ উচ্চতা। এটি অজানার কাছে আত্মসমর্পণ। এ যাত্রা অনেক বেশি উপভোগ করেছেন জানিয়ে কেটি পেরি আরও জানান, এর চেয়ে ভালো কিছুর জন্য তিনি আর সুপারিশ করতে পারেন না।
চলতে চলতে হঠাৎ ছন্দ পতন শুরু হয় দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর। বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায় তার। কাজ থেকেও বিরতি নিতে হয় তাকে। তবে গত বছরের শুরু থেকে শারীরিক অবস্থা অনেকটাই অনুকূলে আসায় আবার কাজে ফেরেন এই তারকা। তবে সবকিছুর বিষয়ে সতর্ক থেকে ভেবে-চিন্তে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন এখন থেকে আর নামমাত্র কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপনে পারফর্ম করবেন না তিনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগে পণ্যটি ব্যবহার করবেন, ভালো মনে হলে তারপর বিজ্ঞাপন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পথে এটি তার অন্যতম পদক্ষেপ। সিনেমা এবং ব্যক্তিগত জীবনেও একই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে চলছেন সামান্থা।
নিজের নীতিগত সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন এই দক্ষিণী অভিনেত্রী। সামান্থার কাছে একের পর এক সিনেমা ও বিজ্ঞাপনচিত্রের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। তবে সেসবের বেশির ভাগই তিনি বিনা দ্বিধায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। সম্প্রতি ফুড ফার্মারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা জানান, শুধু নীতিগত কারণেই গত বছর তিনি ১৫টি বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ব্র্যান্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি বেশ সতর্ক। এমন কোনো পণ্যের প্রচারে তিনি অংশ নেন না, যা সমাজে বা তার তরুণ ভক্তদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সামান্থা বলেন, ‘আমি এমন ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই, যেগুলো মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। বিজ্ঞাপনের আগে আমি ভালোভাবে যাচাই করি- পণ্যটি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য কি না।’
তার এই সিদ্ধান্তের ফলে যদিও তিনি বড় অঙ্কের আয়ের সুযোগ হারিয়েছেন, তবু এতে তার কোনো আফসোস নেই। তিনি আরও বলেন, ‘বিশের দশকে যখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখি, তখন মনে করা হতো কে কতটা ব্যস্ত, কত ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, সেটাই সাফল্যের মাপকাঠি। এখন আমি বুঝি, মানটাই আসল। বড় বড় বহুজাতিক সংস্থার প্রস্তাব এলেও আমি শুধু তখনই রাজি হই, যদি সেটি আমার মূল্যবোধের সঙ্গে মেলে।’
সামান্থাকে সবশেষ দেখা গেছে রাজ ও ডিক পরিচালিত অ্যাকশন সিরিজ ‘সিটাডেল : হানি বানিতে’। শোনা যাচ্ছে, তাদের পরবর্তী প্রজেক্ট ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান-৩’এও থাকছেন সামান্থা।
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার আজমেরী হক বাঁধন। মূলত লাক্স চ্যানেল আই প্ল্যাটফর্ম থেকেই শোবিজে যাত্রা শুরু হয় তার। শুরুতে নাটকে বেশ ব্যস্ত সময় কাটালেও পরবর্তীতে বিয়ে, বিচ্ছেদ ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে অভিনয় অনেকটাই কমিয়ে দেন তিনি। তবে বহুল আলোচিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমা দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান এই লাক্সকন্যা। এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে কেবল সেরা অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই অর্জন করেননি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মুগ্ধতা ছড়ান তিনি। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার সুবাদে টালিউড এমনকি বলিউডের সিনেমাতেও কাজ করার সুযোগ মেলে তার। গত বছর জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন বাঁধন।
এরপর হঠাৎ করেই দেশের আলোচিত এই মডেল অভিনেত্রী আড়াল হয়ে যান। অনেক দিন ধরেই কোথাও দেখা যায়নি তাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এক ধরনের নিখোঁজই ছিলেন সবসময় বেশ সরব থাকা এ তারকা। এমনকি ঈদের সময়েও কোনো পোস্ট করতে দেখা যায়নি তাকে। অবশেষে বিরতি কাটিয়ে বাংলা নববর্ষের দিন আড়াল ভাঙেন এই লাক্সকন্যা। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঁধন বললেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকায় শান্তিতে ছিলেন তিনি। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘হ্যালো, পৃথিবী! শুভ নববর্ষ! আমি এখনো এখানেই আছি। এখনো আমার মায়ের বাড়িতেই থাকি, আমার বাবার গাড়ি চালাই। বাইরে জীবন সহজ, কিন্তু ভেতরে নীরবে ভাঙাগড়া চলে। আমি কিছুদিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে এসেছিলাম এবং সত্যি বলতে, এটি আমাকে শান্তি এনে দিয়েছে।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘আমার নিজস্ব একটি মন আছে। আমি যে পথে হেঁটেছি, তা সহজ ছিল না, তবে এটি একান্তই আমার। আমি আমার ভুলগুলো স্বীকার করি এবং আমার এই বেড়ে ওঠাকে সম্মান করি। আমার প্রতিটি সাফল্য নিজে অর্জন করেছি। অন্যের মন্তব্য আমাকে বিচলিত করে না। আমি জানি আমি কে এবং এখানে পৌঁছানোর জন্য কী করেছি।’ সবশেষে বাঁধন লেখেন, ‘কোনো অনুশোচনা নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতা একটি শিক্ষা। প্রতিটি পদক্ষেপ গল্পের অংশ, যা আজকের আমাকে তৈরি করেছে। সামনেও এই দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যাব।’
লাখো লাখো অনুরাগীর ভালোবাসায় সিক্ত বাঁধন ব্যক্তি জীবনে এখনো একা। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন বাঁধন। দাম্পত্যজীবনের মাত্র চার বছর পরই ভেঙে যায় সেই সংসার। এরপর থেকে একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে নিয়ে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে থাকছেন এই অভিনেত্রী। গত বছর ২৮ অক্টোবর ৪০ বসন্ত পার করে ৪১-এ পা রেখেছেন তিনি। জীবনের এই সময়ে তিনি এসে উপলব্ধি করছেন জীবনে একজন সঙ্গীর খুব প্রয়োজন।
বাঁধন জানিয়েছেন, তার মেয়ে সায়রা চায় মায়ের জীবনে কেউ আসুক। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি নিয়ে সোজা মুখ খুললেন তিনি। জানালেন, আবার নতুন করে, নতুনভাবে পথচলা শুরু করতে চান অভিনেত্রী। মেয়ের বায়না তুলে ধরে বাঁধন বললেন, ‘আমার মেয়ে তো এখন বড় হয়েছে। মায়ের সবকিছুই একা করতে হয়, কষ্ট করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়- ও বুঝছে। সবকিছু দেখে মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন সঙ্গী দরকার।’
বাঁধন বললেন, ‘এখন অনেক বেশি মনে করি যে একজন জীবনসঙ্গী থাকতেই পারে।’ কেমন জীবনসঙ্গী চান, সে বিষয়ে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। জীবনসঙ্গী শব্দটা যে বুঝবে, সে রকম কেউ যদি আসে, নিঃসন্দেহে সঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে পথচলা যাবে।’
চল্লিশের কোটায় এসেও বিয়ের পরিকল্পনা সামনে আনার কারণ অকপটে তুলে ধরেছেন বাঁধন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো, এখন অন্য রকম একটা জীবন লাভ করছি। নতুন জীবনে মনে হয়েছে, একজন সঙ্গী থাকতেই পারে। সঙ্গী ছাড়া তো মানুষ থাকতে পারে না। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট।’
গত কয়েক বছর রোজার ঈদে টিভি নাটকে বেশি দেখা মিলেছে নতুন প্রজন্মের চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের। এই তালিকায় অভিনেত্রীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন উঠতি তারকা সামিরা খান মাহি। তবে এবার ঈদে সেভাবে দেখা যায়নি সামিরা খান মাহিকে। এর মধ্যে একটি নাটক প্রচারে এলেও তা ছিল প্রায় দুই বছর আগে নির্মাণ করা। সেদিক থেকে ঈদুল ফিতরটা তার জন্য ছিল না বলা চলে। এর মধ্যে হঠাৎ এক ভিডিও ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়েন ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী। সামিরা খান মাহি সম্প্রতি তিনি ইয়ামাহার একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে নৃত্য পরিবেশনা করেছিলেন। সেখানে তার পরিহিত পোশাক এবং নাচের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছিলেন, ‘নিজেকে যেন বলিউড অভিনেত্রী মনে করছেন!’ আবার কেউ বা বলছেন, তিনি এখন নাটকে অভিনয় করেন। একটা দর্শকমহলও তৈরি হয়েছে তার।
এসব বিষয়ে তার আরও অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল। ‘এত ট্রান্সপারেন্ট জামা পরেন কীভাবে তিনি’, এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এসব সমালোচনা নিয়ে খানিক বিরক্তও অভিনেত্রী নিজে। জানালেন, ভিডিওটি যিনি পাবলিশ করেছেন তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন। সামিরা খান মাহি বলেন, ‘আমি ইভেন্টে অংশ নিয়ে এক ঘণ্টার মতো পারফর্ম করি। পুরো নাচের মধ্যে অনেক মুদ্রা ছিল কিন্তু সেখান থেকে কিছু অংশ নিয়ে সেটা জুম করে কেউ পাবলিশ করেছে, যেটা দেখতেও খুব বাজে লেগেছে। এমনটা করা মোটেও উচিত না।’
সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তো এটা কিছুদিন পরপরই হয়ে আসছে। এটা নিয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই। অনেকের কাছে মনে হয়েছে যে, আমি মনে হয় নাচের কস্টিউমের ভিতরে কিছুই পরিনি। কিন্তু তা না। নাচের কস্টিউমের ভিতরে আমি আরও দুটি জামা পরেছিলাম। যেহেতু কস্টিউম একদম বডি ফিটিং সে জন্য হয়তো এমন লেগেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তো নিজস্ব কস্টিউম ডিজাইনার কিংবা নিজস্ব মেকআপ আর্টিস্ট নেই যে চাইলেই নিজের মতো করে সবকিছু করতে পারব। আমি এই কস্টিউম পেয়েছি জাস্ট রিহার্সেলের সময় তাও এক দিন আগে। এটা পরিবর্তন করার মতো যথেষ্ট সময়ও ছিল না।’
মন্তব্য