তার সৌন্দর্যের উপমা দিতে গিয়ে ফুলের কথাই মনে পড়ছে দর্শকদের। দর্শকরা স্নিগ্ধ, মিষ্টি, মনোরম নামের বিশেষণগুলোর মিল খুঁজে পাচ্ছেন তার সঙ্গে। পর্দায় তার উপস্থিতিতে দর্শকের মন ভরে যাচ্ছে ফুলের মতো সৌরভে।
ফুলকে যার উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে তার নাম সাদিয়া আয়মান। ঈদে প্রকাশ পাওয়া ‘ফুলের নামে নাম’ নাটকে অভিনয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে ফুলের সঙ্গে তুলনা দিয়ে।
যারা সাদিয়া আয়মানকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চেনেন বা ফলো করেন, তারা জানেন সাদিয়া আয়মান নামটির মধ্যে ইংরেজি বর্ণ এস (S) রয়েছে। সাদিয়া নিউজবাংলাকে জানান, এই এস (S) তার নামের অংশ নয়। অর্থাৎ এস (S) এর কোনো মানে নেই।
সাদিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফেসবুকে একটু সমস্যা হচ্ছিল, একটা ভিন্ন নাম চাচ্ছিল, তাই এস (S) টা যুক্ত করা।’
অনেকে সাদিয়াকে নতুন মনে করছেন। হ্যাঁ, তিনিই নতুনই বটে, তবে প্রথম না। কাজ শুরু করেছেন ২০১৯ সালে। নাটকের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো। এরপর নামকরা সব ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন।
সিনেমাতেও দেখা যাবে তাকে। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত কাজলরেখা সিনেমাটি মুক্তি পেলে বড় পর্দাতেও দেখা যাবে সাদিয়াকে। এর মধ্যে সিনেমায় কিছু অংশের শুটিংও করে ফেলেছেন তিনি।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে তৃতীয় বর্ষে (৮ম সেমিস্টার) লেখাপড়া করছেন সাদিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেই ঢাকা আসা তার। জন্ম, বেড়ে ওঠা বরিশালে। সেখানেই করেছেন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক। পরিবারে বাবা-মা আছেন, দুই ভাইয়ের এক বোন সাদিয়ার অবস্থান মেজো। এখন সবাই ঢাকাতেই থাকছেন বলে জানান সাদিয়া।
নিউজবাংলাকে সাদিয়া বলেন, ‘আমার কখনই অভিনয় করার ইচ্ছা ছিল না। এমনকি আমি নাটক-সিনেমা ফ্রিকও ছিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের পোস্ট দেখে ওনাকে ফোন করেছিলাম।
“আমাকে বলা হয়েছিল সহশিল্পী হিসেবে কাজ করতে। এমন যে, গায়েহলুদের অনুষ্ঠান, সেখানে তো কিছু মানুষ লাগবে, আমি তারই অংশ হিসেবে কাজ করব। আমি আর কাজটি করিনি। তার কয়েক মাস পর রাফাত ভাই আমাকে ডাকেন ‘টু বি ওয়াইফ’ নামের একটি নাটকে কাজ করার জন্য। সেখানে আমার মূল চরিত্র ছিল।”
এভাবে শুরু। তারপর শুরু হলো বিজ্ঞাপনের কাজ। করোনার মধ্যে বাবা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুডপান্ডার একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার পর অভিনয় করার আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয় সাদিয়ার। বলেন, ‘কাজটি খুব প্রশংসিত হয়। তখন আমার ইচ্ছে হতে থাকে, ভালো গল্পে কাজ করতে পারলে আরও কাজ করার।’
সাদিয়ার যে অনেক কাজের চাপ, তা না। অল্প অল্প করেই কাজ করতে চান তিনি। তার ওপর আবার ক্লাসের চাপ রয়েছে। কাজের কারণে ক্লাস নিয়েও মাঝে মাঝে বিপাকে পরতে হয়। ক্লাস ও কাজ একসঙ্গে পড়ে যায় মাঝে মাঝে। তখন ক্লাসটাকেই বিসর্জন দিতে হয়।
তবে পরিবারের সমর্থন থাকায় কিছুটা সুবিধা হয়েছে সাদিয়ার। তিনি বলেন, ‘পরিবার থেকে বরাবরই সমর্থন রয়েছে। বাবা মাঝে মাঝে বলেন, আমার অনেক প্রেশার বা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কাজ কমিয়ে দাও। তারপরও তারা খুশি।’
কাজ করতে এসে সবার ভালোবাসা পেয়ে সাদিয়াও এখন এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অভিনয় করতে চাই। ভালো ভালো কাজ করতে চাই। তবে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে নেব কি না, তা নিয়ে এখনও চিন্তা করিনি। আমি আইন বিষয়ে লেখাপড়া করছি, এ বিষয়টি নিয়েও কাজ করার সুযোগ ও ইচ্ছা আমার আছে। আমার ইচ্ছা করপোরেট ল নিয়ে কাজ করার। কিন্তু সব নির্ভর করছে আগামীর পরিস্থিতির ওপর।’
‘ফুলের নামে নাম’ নাটকের পর অনেকেই সাদিয়াকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে তার ছবি দিয়ে প্রশংসা করা হচ্ছে। বিষয়গুলো নজরে এসেছে সাদিয়ার।
তিনি বলেন, ‘অনেকে হাসির প্রশংসা করছেন। অভিনয়ের প্রশংসা করছেন অনেকে। আমার কাছে অভিনয়ের প্রশংসা বেশি ভালো লাগে। যতবারই অভিনয়ের প্রশংসা পাই, ততবারই কাজটি দেখি।’
পরিশ্রম করেই এতদূর এসেছেন সাদিয়া, পরিশ্রম করে আরও এগিয়ে যেতে যান সাদিয়া আয়মান। রুবেল আনুশ পরিচালিত নরসুন্দর নামের একটি কাজ শেষ করেছেন তিনি। জানালেন, শিগগিরই প্রকাশ পাবে ফিকশনটি।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন নাট্যচর্চার দিকে না এগিয়ে ক্রমশ ভোটের রাজনীতিতে ঝুঁকছে বলে মনে করছেন সাধারণ নাট্যকর্মীরা।
বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে শনিবার বিকেলে মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এ মত তুলে ধরা হয়।
সাধারণ নাট্যকর্মীদের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাট্যদলগুলোর মহড়া কক্ষের সংকট, হল ব্যবস্থাপনায় অনিয়মসহ বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে থিয়েটার অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নানা রকম সংকট ও স্থবিরতা। উদ্ভূত সংকটগুলো নিরসন এবং থিয়েটার তথা সংস্কৃতিচর্চাকে গতিশীল করতে মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
তরুণ নাট্যকর্মীদের এ আয়োজনে আলোচক ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে সাধারণ নাট্যকর্মীদের পক্ষে সুনির্দিষ্ট নিবন্ধ পাঠ করেন নাট্যজন অলোক বসু। সে নিবন্ধে সাধারণ নাট্যকর্মীদের মধ্য থেকে অনেকে অনেক প্রস্তাব দেন। তাদের কেউ কেউ মনে করেন, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন নাট্যচর্চার দিকে না এগিয়ে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে ভোটের রাজনীতির দিকে।
মতবিনিময়ে নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, ‘গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনকে আমরা নিষ্ক্রিয় করতে চাই না। আমরা কাউকে বাদ দিয়ে কিছু করতে চাই না। প্রয়োজনে আমরা তাদের বাধ্য করব, যাতে তারা নাটকের স্বার্থে ভালো কাজ করে।’
মফিদুল হক বলেন, ‘বর্তমান নাট্যচর্চা গভীর সংকটে পড়ে আছে। সেটা নিয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনকে একটি জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু মনে করেন, সৃষ্টিশীলতা বনাম কাঠামোর দ্বন্দ্ব যেমন, ফেডারেশনে যারা নেতৃত্ব দেন, তাদের সঙ্গে অন্যদেরও দ্বন্দ্ব চলতে থাকে।
মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি ফেডারেশনকে অভিন্ন এবং শক্তিশালী দেখতে চাই। সংকট সবসময় আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হয়। তা না হলে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়।’
কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘জনাব লিয়াকত আলী লাকী, ১৯৯৯ সাল থেকে ফেডারেশনের বিভিন্ন পদে আছেন, কিন্তু কোনো সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে উনি যুক্ত হন না।’
সিনেমা ও টেলিভিশনের প্রিয়মুখ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ আর নেই।
শুক্রবার সকালে মারা গেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন শর্মিলী আহমেদ। এখন মরদেহ তার বাসা উত্তরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শর্মিলী আহমেদ ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার জানাজা-দাফন বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারছি না। কখন কোথায় হবে হয়তো একটু পরে জানাতে পারব।’
অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা নিউজবাংলাকে শর্মিলী আহমেদের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘উত্তরার বাসা থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, চিকিৎসক হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।’
তিনি জানান, ‘মরদেহ হাসপাতাল থেকে উত্তরা ১১ নম্বরের মসজিদে নেয়া হবে গোসল করানোর জন্য। তারপর বাকি সিদ্ধান্ত।’
শর্মিলী আহমেদ ১৯৬২ সালে রেডিওতে এবং ১৯৬৪ সালে চলচ্চিত্রে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। বিটিভির প্রথম নাটক ‘দম্পতি’তে অভিনয় করেন তিনি।
১৯৭৬ সালে মোহাম্মদ মহসিন পরিচালিত ‘আগুন’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন এই গুণী অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:কোরবানির ঈদের জন্য নাটক নির্মাণ করেছেন বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেত। নাটকের নাম রটে বটে-ঘটে না। প্রতি বছর দুই ঈদে দুটি নাটক নির্মাণ করেন তিনি।
বরাবরই তার নাটকে পাওয়া যায় আলাদা স্বাদ ও বৈচিত্র্য এবং একটি সামাজিক বক্তব্য। থাকে পারিবারিক ও সামাজিক চিত্র।
হানিফ সংকেত ছন্দে ছন্দে জানান, রটে বটে অনেক কিছুই, খুঁজলে আসল ঘটনা, আপনজনে বুঝতে পারে, কোনটা মিথ্যে রটনা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হানিফ সংকেত বলেন, ‘অনেক কিছু রটে বটে কিন্তু ঘটে না। একটি পরিবারের একমাত্র সন্তান সম্পর্কে নানান রটনা এবং তা থেকে অনেক ঘটনার জন্ম নেয়। সমসাময়িক এই নাটকটির বিভিন্ন দৃশ্যে বন্যায় অসহায় মানুষের ভোগান্তি, আমাদের মূল্যবোধ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ফুটে উঠেছে।’
নাটকটির দৃশ্যায়ণ হয়েছে রাজধানীর মিরপুরের ফাগুন অডিও ভিশনের নিজস্ব কমপ্লেক্সে। প্রতিবারের মতো এটিও একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে নির্মিত পারিবারিক গল্পের নাটক। যেখানে মা-বাবা, ভাই-বোন, দুলাভাইয়ের মতো পরিবারের প্রিয় চরিত্রগুলো রয়েছে।
নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, তানিয়া আহমেদ, ইরফান সাজ্জাদ, সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, কাজী আসাদসহ অনেকে।
নাটকের সূচনা সংগীতের কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক অধিকারী ও রিয়াদ।
নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন হানিফ সংকেত। প্রচার হবে ঈদের দিন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে, এটিএন বাংলায়।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ সময় পর জুটি বেঁধে অভিনয় করলেন সালমান মুক্তাদির ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের এক সঙ্গে দেখা যাবে আমি প্রেমিক হতে চাই নামের নাটকে।
মিষ্টি প্রেমের গল্পে নাটকটি রচনা করেছেন লিমন আহমেদ। নাটকটি পরিচালনা করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। সম্প্রতি এই নাটকের দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। এটি প্রচার হচ্ছে রবি বিঞ্জ অ্যাপে।
নাটকটিতে সালমান ও হিমি ছাড়াও অভিনয় করেছেন মাসুম রেজওয়ান, জাকি আহমেদ জারিফ, আলভী প্রীতি, রাসেল আহমেদ, ডিকন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাটকটি নিয়ে সালমান মুক্তাদির বলেন, ‘নিজের অন্য ব্যস্ততার কারণে মাঝে অনেকদিন অভিনয় করা হয়নি। এখন কিছু কাজ করছি। দেখা যাক কতটুকু করতে পারি। একদম নিয়মিত হব কিনা জানি না তবে কাজ করব। খুব মজার একটি গল্পের নাটক। ঈদের আনন্দে এটি দর্শকের মনে বাড়তি খুশি যোগ করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি বলেন, ‘সালমানের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। অনেকদিন পর আবারও কাজ করে ভালো লাগছে। খুব মজা করে কাজটি করেছি আমরা। মজার কিছু দৃশ্য আছে, সংলাপ আছে। দর্শক বিনোদিত হবেন বলেই আশা করছি।’
৪ বছর আগে এক সঙ্গে কাজ করেছিলেন সালমান মুক্তাদির ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি।
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয়েছে উইলিয়াম শেক্সপিয়র রচিত ‘এ মিডসামার নাইটস ড্রিম’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাট্যকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষ ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রযোজনাটি নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জীব কুমার দে।
শেক্সপিয়র রচিত অন্যতম জনপ্রিয় ও সারা বিশ্বে অভিনীত কমেডি নাটক এটি। এথেন্সের ডিউক থিসিয়াস ও আমাজনদের রানি হিপ্পোলিটার বিয়ের পারিপার্শ্বিক ঘটনা অবলম্বনে রচিত এই নাটক। নাটকে দুই প্রণয়ীযুগল ও একদল শখের অভিনেতার অ্যাডভেঞ্চার প্রদর্শিত হয়েছে।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- শফিকুল, আরিফ, মৌমিতা, সাবরিনা, পরমা, অনামিকা, মৃত্তিকা, বৃষ্টি, সাবিহা, প্রিয়া, শাকিল, নিবিড়, জিন্নাত, নাফিস, মিল্টন, রিয়াজ, জান্নাতুল, লামিয়া, স্বর্ণা, উম্মেহানি, রিমি, বিথী, ফারজানা, সায়লা, সুজানা, আশরাফুল, উচ্ছ্বাস, হৃদয়, ইব্রাহিম, আলিমুল, আবেশ ও এলিন।
নাটকটির মঞ্চ আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান শামস্ শাহরিয়ার কবি। পোশাক পরিকল্পনা ও অঙ্গরচনা তত্ত্বাবধান করেন বিভাগীয় শিক্ষক আফরিন হুদা তোড়া। দেহবিন্যাস তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগীয় শিক্ষক রুবাইয়া জাবীন প্রিয়তা ও কৃপাকণা তালুকদার। আলোক প্রক্ষেপণে ছিলেন মাহাবুবুর রহমান এবং মিউজিকে ইব্রাহীম এলিন ও হোসেন হৃদয়।
এছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা নেপথ্যে রয়েছেন। মঞ্চবিন্যাসে ছিলেন অনামিকা, মৌমিতা, শাকিল, দিনা, আরিফ, আলিম, নিবিড়, শাহিনুল, জান্নাতুল, সায়লা, লামিয়া, মিল্টন ও মুস্তাকিন।
নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক সঞ্জীব কুমার দে বলেন, শিক্ষায়তনে নাট্য প্রযোজনা সিলেবাসের আবর্তে চলমান। তারই ধারাবাহিকতায় জবি নাট্যকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রযোজনা এটি। এই নাট্য নির্মাণের ক্ষেত্রে ক্লাসিকের গুরুত্ব অক্ষুণ্ন রেখে সমসাময়িক বিষয়কে যুক্ত করার চেষ্টা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কমেডি খুব সহজভাবে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে জীবনের অসঙ্গতিগুলোকে সমাজের সামনে প্রকাশ করে। নাটকের কল্পকাহিনীর মূল বিষয় হলো হাস্যরস এবং প্রেম। প্রেম যেন একটা শৃঙ্খলাবিহীন হাস্যকর বিষয়। প্রেমে পড়া মানুষ অতি সহজেই জীবনের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে পরিণত হয়।
‘প্রেম আর যুক্তির সহাবস্থানের ক্ষেত্রে যে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় এই নাটকে তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। এই সংকটময় জটিল জীবনে প্রেমের জটিলতা যে হাস্যরস তৈরি করে তা দর্শক-মনকে প্রফুল্ল করবে আশা করছি।’
আরও পড়ুন:সাবিলা নূর তার বন্ধুদের নিয়ে রাস্তায় আড্ডা মারছিলেন। এ সময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন অপূর্ব। তাকে দেখেই সাবিলা তার বন্ধুদের নিয়ে সিটি বাজিয়ে উত্ত্যক্ত করা শুরু করলেন অপূর্বকে! ২০২০ সালের নভেম্বরে এমন ঘটনার দেখা মেলে এক্সচেঞ্জ নাটকে।
নাটকটি জনপ্রিয়তা পাওয়ায়, সেই প্রেক্ষাপটে নাটক আসছে এবারের ঈদে। নাটকের নাম এক্সচেঞ্জ ২। আগের রূপেই হাজির হচ্ছেন সাবিলা নূর। বিপরীতে থাকছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।
সিএমভির ব্যানারে মেজবাহ উদ্দীন সুমনের চিত্রনাট্যে নাটকটি নির্মাণ করেছেন রুবেল হাসান। নাটকে দেখা যাবে, অপূর্বকে উত্ত্যক্ত করার পর এবার বিয়ে করছেন সাবিলা!
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাটকটি প্রসঙ্গে রুবেল হাসান বলেন, ‘আর নয় যৌতুক, আর নয় নারী নির্যাতন। পারিবারিক সহিংসতা বন্ধ করুন। মূলত এই দিকটাই এবারের কাজটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা।’
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, ‘নারীরা প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও মুষ্টিমেয় পুরুষের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন। কিন্তু যদি কোনো একদিন প্রকৃতি এমন করে দিত যে, এই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে পুরুষেরা- তখন আসলে কেমন হতো। তখন নিশ্চয় পুরুষরা বুঝতে পারত নারীদের যন্ত্রণার কথা। এমন পরিকল্পনা নিয়েই আমাদের এই বিশেষ প্রজেক্ট।’
ঈদ উপলক্ষে এক্সচেঞ্জ ২ নাটকটি প্রকাশ পাবে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য