ছবিটি দেখে ফেসবুকে এক মন্তব্যকারী মনে করেছেন কোনো চালের গুদামে টিকটকের শুটিং করছেন টিকটকাররা। আরও অনেকেই অনেক কিছু মনে করতে পারেন ছবিটি দেখে। আসল ঘটনা অন্যরকম।
ছবিটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন। এটি মূলত শেরপুরের রূপকথা সিনেমা হলের ভেতরের ছবি। এই হলে প্রদর্শিত হচ্ছে অনন্য মামুন পরিচালিত সিনেমা সাইকো।
ছবিতে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে প্রেক্ষাগৃহের জরাজীর্ণ অবস্থা। গরমের কারণে দর্শকরা জামা খুলে কাঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন। এমন তিনটি ছবি শেয়ার করে অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘ওরা সিনেমার সত্যিকারের দর্শক।’
ছবিগুলো দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। অনেকেই লেখার মাধ্যমে অবাক হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
সাংবাদিক নিপু বড়ুয়া লিখেছেন, ‘গোডাউন হল বন্ধ হোক’, আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি আরও ভাবলাম কোনো চালের গুদামে টিকটক শুটিং হচ্ছে’, আরেক মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘এই যদি হয় সিনেমা হলের অবস্থা, তবে মানুষের সিনেমার সখ এমনি মিটে যাবে’।
ঈদে মুক্তি পাওয়া সাইকো সিনেমাটির প্রচারের জন্য ১৫ জুলাই বেলা ৩টায় অনন্য মামুন, রোশান ও পূজা চেরি যান রূপকথা সিনেমা হলে। সেখানে তারা দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সেখানে পরিচালক বলেন, ‘এমন প্রেক্ষাগৃহ যে এখনও আছে এবং এখানে দর্শকরা আসেন, সে জন্য হল মালিক এবং দর্শকদের স্যালুট জানাই।’
রূপকথা সিনেমা হলটি নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন এর মালিক। তবে শেরপুরে কাকলী নামের একটি পুরোনো হল ছিল। যেটি ভেঙে নতুন বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:২০১১ সালের ১৩ আগস্ট। ‘কাগজের ফুল’ সিনেমার লোকেশন দেখে মাইক্রোবাসে ফিরছিলেন নির্মাতা তারেক মাসুদ ও তার সঙ্গীরা। পথে মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারেক, সাংবাদিক ও সিনেমাটোগ্রাফার মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন।
সেই ট্র্যাজেডিতে নির্মাতার সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল চলচ্চিত্রটিরও। ১১ বছর পর তাতে প্রাণ ফেরানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তারেকের নির্মাতা স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।
আরও পড়ুন: সেই বাসচালক জামিরের মৃত্যুর ২ বছরেও ঘূর্ণিজাল, জীবন সংশয়ে স্ত্রী
সড়কে তারেকের নিহত হওয়ার বার্ষিকীর এক দিন আগে শুক্রবার রাজধানীর কাঁটাবনে পাঠক সমাবেশে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ইচ্ছার কথা জানান।
মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে তারেক মাসুদের ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’ বইয়ের পাঠ পর্যালোচনা শেষে ক্যাথরিনকে প্রশ্ন করা হয় ‘কাগজের ফুল’ নিয়ে। জবাবে তিনি জানান, এই প্রশ্নটা তাকে হাজারবার শুনতে হয়েছে।
ক্যাথরিন বলেন, “আমাদের সবারই স্বপ্ন ছিল ‘কাগজের ফুল’ সিনেমাটা। তখন কাজটা শুরুই হয়নি; আমরা শুধু স্ক্রিপ্টটা লিখেছিলাম। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ এগিয়েছিল; লোকেশনগুলো দেখা হচ্ছিল।”
১১ বছর আগের স্মৃতিচারণা করে তার সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করেন নির্মাতা ক্যাথরিন। তিনি বলেন, ‘১১ বছর আগে সিনেমার যে বাজেট ছিল, তখন সেটা আমাদের কাছে বিশাল পাহাড়। আমরা মনে করতাম এত বড় বাজেটের সিনেমা কী করে সম্ভব বাংলাদেশে। মনে হয় বাংলাদেশ তো অনেক এগিয়েছে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে। ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। এখন হয়তো সম্ভাবনা আছে এই কাজটা আবার নতুন করে শুরু করার।
‘আমার ইচ্ছা আছে। আমার সঙ্গে এবং আশপাশের মানুষ যারা আছেন, তারা যদি আগ্রহী থাকেন, তাদেরও এই দায়িত্বে অংশগ্রহণ করতে হবে। এই দেশের মাটিতে, এই জগতে যতদিন থাকি, সেটা অবশ্যই আমার ইচ্ছা কাজটা শেষ করার।’
বাইরে থেকে অনেকেই ব্যক্তি ক্যাথরিন মাসুদকে বুঝতে পারছিলেন না বলে জানান নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের দুর্ঘটনার পর একজন মানুষের ওপর কী চাপটা পড়তে পারে। এক বছরের বাচ্চা আমার হাতে। আমার ওপর যে কী চাপ ছিল, সেটা কেউ বুঝতে পারেনি। আমিও বিষয়টি নিয়ে রাগারাগি করিনি।’
তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর ও ক্যাথরিন একসঙ্গে কাজ করে আসছিলেন। দুজনকে হারিয়ে আরও দিশাহারা হয়ে পড়েন ক্যাথরিন।
তিনি বলেন, “মিশুকও যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলেও হয়তো ‘কাগজের ফুল’ সিনেমাটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যেত।
“বছরের পর বছর, আস্তে আস্তে একটা টিম পরিণত হয়। তারেক, মিশুক আর আমি কাজ শুরু করেছিলাম ‘আদম সুরত’ দিয়ে। ৩০ বছরের সম্পর্ক। এক মুহূর্তের মধ্যে সেই ৩০ বছরের সম্পর্ক নিঃশেষ হয়ে গেল।”
দুর্ঘটনায় নিহত নির্মাতাকে নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন ক্যাথরিন। তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বই ও ডিভিডি প্রকাশের মতো কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
ক্যাথরিন বলেন, ‘হয়তো আমরা কেউই ভাবতে পারি না যে, ক্রিয়েটিভ পার্টনার তাদের লাইফ পার্টনার হারানোর পরে এত বড় একটা দায়িত্ব কীভাবে সামলায়। তারপরও কিন্তু আমি এগিয়ে গিয়েছি, চেষ্টা করেছি।’
চার বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় এসেছেন ক্যাথরিন মাসুদ। শনিবার সারা দিন তিনি কাটাবেন ফরিদপুরে তারেক মাসুদের গ্রামের বাড়িতে।
আরও পড়ুন:সঙ্গীদের নিয়ে ফিরছিলেন ‘কাগজের ফুল’ নামের চলচ্চিত্রের লোকেশন দেখে। ফিরতি পথে চারজনের সঙ্গে শিকার হলেন দুর্ঘটনার। তাতে কৃত্রিম ফুলের মতোই হয়ে গেলেন নিষ্প্রাণ।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ২০১১ সালের ১৩ আগস্টের। মানিকগঞ্জের ঘিওরে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, সাংবাদিক-সিনেমাটোগ্রাফার মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন। তাদের নিহত হওয়ার ১১তম বার্ষিকী আজ।
বেদনাদায়ক সে প্রস্থানের অনেক আগে চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু করেছিলেন তারেক মাসুদ। এ যাত্রা কখনও থামবার নয় বলে মনে করেন তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।
তারেকের অন্তিমযাত্রার বার্ষিকীর এক দিন আগে তার লেখা বই ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’ নিয়ে আলোচনায় এ মত দেন নির্মাতার সহধর্মিণী।
রাজধানীর কাঁটাবনে পাঠক সমাবেশে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল সে আয়োজন। তাতে নির্মাতা ক্যাথরিন বলেন, তারেক নিজের ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবী শব্দটা পছন্দ করতেন না। নিজেকে তিনি চলচ্চিত্র চিন্তাবিদ পর্যন্ত দেখতে পছন্দ করেছেন।
তিনি বলেন, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি নিয়ে এসব চিন্তা তারেকের নির্মাণ, বক্তব্য ও লেখার মধ্য দিয়ে প্রকাশ হতো।
সিনেমা নির্মাণের পাশাপাশি তারেকের স্বপ্ন ছিল লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশের। এ কথা কোনো এক রাতে নিবন্ধ লিখতে লিখতে ক্যাথরিনকে বলছিলেন তিনি। তাই তারেকের মৃত্যুর পর যা যা করার তলিকা ক্যাথরিন করেছিলেন, তার মধ্যে শুরুর দিকে ছিল বই প্রকাশ।
স্ত্রী জানান, তারেক নিজেও তার লেখায় আর্কাইভ বা সংরক্ষণকে খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। নির্মাতার সৃজনশীল কাজের সঙ্গীরাও তার ভাবনাগুলো লেখার মাধ্যমে সংরক্ষণ করে ছড়িয়ে দিতে চান বর্তমান ও ভবিষ্যতে।
লেখাগুলোর মধ্য দিয়ে প্রায় এক যুগ আগে প্রাণ হারানো তারেক বেঁচে থাকবেন বলে আশা ক্যাথরিনের। তার ভাষ্য, ‘তারেক মাসুদের ভাবনা বর্তমান ও ভবিষ্যতকে যদি নাড়া দিতে পারে, নতুনদের ভাবনা আর তাদের কাজের ওপর যদি প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে সেই সূত্রে তারেক মাসুদকে আমরা জীবিত রাখতে পারব।’
তারেককে ‘সিনেমার ফেরিওয়ালা’ বলা হয়। তিনি সিনেমা নির্মাণ এবং তা নিজেই দর্শক পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করে গেছেন। শুধু এ কারণেই তাকে ফেরিওয়ালা বলা হয় কি না, সে প্রশ্ন ছিল আলোচনায় অংশ নেয়া একজনের।
বিষয়টির ব্যাখ্যা করে তারেকের অনেক কাজের সঙ্গী ক্যাথরিন বলেন, ‘সে সিনেমা নির্মাণ করে মানুষের কাছে নিয়ে যেত এবং সিনেমা দেখা শেষে যে আলোচনা হতো, সেখানে তারেক নিজেকে সম্পৃক্ত করত। সে মানুষের সঙ্গে কথা বলত।
‘সিনেমা সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া কী, সেটা জানতে চাইত। সেই প্রতিক্রিয়া নিজের মধ্যে নিয়ে নিত এবং পরে সেগুলো নিয়ে বোঝাপড়া করত।’
আলোচনার একপর্যায়ে ক্যাথরিন মজার ছলে বলেন, তারেক ছিলেন দুঃশ্চিন্তাবিদ। দেশ, সংস্কৃতি, সিনেমা, রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে ছিল তার দুঃশ্চিন্তা। তিনি যা লিখেছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি বলতেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো যেন থেমে না থাকে, এগুলো যেন ছড়িয়ে যায়, সে জন্য তারেকের অনেক লেখা নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’।
তারেকের চলচ্চিত্র ভাবনা নিয়ে লেখা বইয়ের বিষয়ে তার স্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র বা চলচ্চিত্র ভাবনার তাবৎ কিছু নিয়ে তারেক মাসুদের যে চলচ্চিত্রযাত্রা, তা বর্তমানে এসে রূপান্তরিত হয়েছে সাহসে। আর এ সাহসের নাম তারেক মাসুদ।
‘…তার চলচ্চিত্র ও ভাবনার মধ্য দিয়ে তরুণ চলচ্চিত্রকারের কাছে তারেক মাসুদ নিজেই হয়ে ওঠেন একটি চলচ্চিত্রযাত্রা, যা কখনোই থামবার নয়।’
আরও পড়ুন:বলিউডের আলোচিত তারকা রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট জুটির বহুল প্রতীক্ষিত প্রথম সিনেমা ব্রহ্মাস্ত্র। ২০১৭ সালে প্রথম শোনা যায় এই সিনেমার নাম। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী মাসে মুক্তি যাচ্ছে এটি।
গত জুনে প্রকাশ পেয়েছে ব্রহ্মাস্ত্রর ট্রেইলার। চোখ ধাঁধানো ট্রেইলার নজর কেড়েছে দর্শকের।
যেখানে ত্রিশূল হাতে একটি চরিত্রকে দেখা যায়। তার মুখ স্পষ্ট না হলেও চেহারা দেখে অনেকেই অনুমান করছেন সেই ব্যক্তি শাহরুখ খান। কারণ কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ স্বীকার করেছিলেন যে ব্রহ্মাস্ত্রতে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। তাই নেটিজেনদের অনুমান ট্রেইলারের ওই চরিত্রটি আসলে কিং খান।
এদিকে সম্প্রতি টুইটারে এক ফ্যান পেজ থেকে শাহরুখের ব্রহ্মাস্ত্রর একঝলক ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে; এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম।
অনলাইনে ফাঁস হওয়া ভিডিওতে রক্তাক্ত অবস্থায় হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে শাহরুখকে। এতে বলিউডের বাদশাকে তার সিগনেচার পোজে দেখা যাচ্ছে। তার চারদিকে সোনালি আলোর ছটা। এরই মধ্য দিয়ে তাকে হাওয়ায় ভাসতেও দেখা যাচ্ছে।
View this post on Instagram
এদিকে এই ভিডিও সত্যিই ব্রহ্মাস্ত্রের কি না বা কীভাবে প্রকাশ পেল তা জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহরুখ ভক্তরা দাবি করছেন ব্রহ্মাস্ত্রতে বনরাস্ত্র-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।
অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিনেমায় রণবীর-আলিয়া ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, মৌনী রায় ও দক্ষিণী তারকা নাগার্জুন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে ব্রহ্মাস্ত্র।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক যে চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমা প্রদর্শিত হলে সরাসরি অস্কারে প্রতিযোগিতা করার যোগ্যতা পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে হলিশর্টস চলচ্চিত্র উৎসব অন্যতম। এবার সেখানে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে নুহাশ হুমায়ূনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মশারী।
উৎসবের পর্দা উঠেছে সিনেমাটি প্রদর্শনের মাধ্যমে। এ বছরের আগস্টে হলিশর্টস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল তাদের ১৮ বছর উদযাপন করছে। এখানে শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা, প্রযোজক, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো একত্র হয় এবং অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতাকে তাদের ক্যারিয়ারের পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যায়।
নুহাশের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা মশারী প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা, যা এসএক্সএসডব্লিউ শর্টস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্রোগ্রামে প্রিমিয়ার হয়েছে, যেখানে এটি সেরা মিডনাইট শর্ট জিতেছে।
মশারী আটলান্টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ন্যারেটিভ শর্টের জন্য পুরস্কারও ঘরে তুলেছে। ২০ আগস্ট সেই পুরস্কার দেয়া হবে।
ফিল্ম বিজনেস ডটকম মশারী সিনেমাটিকে ২০২২ সালের অস্কারের মনোনয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগী বলে উল্লেখ করেছে।
মশারী মূলত ভ্যাম্পায়ার ঘরানার স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা, যা বলা হয়েছে নতুন পদ্ধতি। পৌরাণিক রক্ত চোষা দানবদের বসবাসের জন্য একটি অনন্য ল্যান্ডস্কেপ নতুন করে উদ্ভাবন করেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যটি।
আরও পড়ুন:একাধিকবার পিছিয়েছে তারিখ। অবশেষে বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা লাল সিং চাড্ডা।
হলিউডের সাড়া জাগানো সিনেমা ফরেস্ট গাম্প-এর রিমেক এ সিনেমা মুক্তির আগেই বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয় দর্শকদের একাংশ, তবে তা সামলে উঠে বড় পর্দায় প্রদর্শন শুরু করা হয়েছে সিনেমাটি।
মুক্তির পর প্রথম দিন কেমন ব্যবসা করেছে সিনেমাটি, তা প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে বক্স অফিস ইন্ডিয়া ডটকম। সংবাদমাধ্যমটির বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, মুক্তির দিনে সিনেমাটির আয় ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপি, যা হতাশাজনক।
বলিউড হাঙ্গামা বলছে, আমির খানের জন্য বক্স অফিসে এটি গত ১৩ বছরে সর্বনিম্ন ওপেনিং।
আমিরের থাগস অফ হিন্দুস্তান হিন্দি বক্স অফিসের ইতিহাসে সবচেয়ে ফ্লপ সিনেমাগুলোর একটি। সিনেমাটি মুক্তির দিনে ৫২ কোটি রুপি আয় করেছিল। লাল সিং চাড্ডার আয় এর চেয়ে অনেক কম।
১৯৯৪ সালে অস্কারজয়ী সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর অফিশিয়াল হিন্দি রিমেক লাল সিং চাড্ডা। এটি পরিচালনা করেছেন অদ্বৈত চন্দন। এতে আমিরের বিপরীতে রয়েছেন কারিনা কাপুর।
আরও পড়ুন:বর্ডার হলো দুই দেশের সীমানা। এই সীমানা দিয়ে বৈধভাবে পার হয় মানুষ, গরু ও নানান দ্রব্যাদি। তেমনি আবার হয় মাদকসহ নানান দ্রব্যাদির চোরাচালান। এই চোরাচালানকে ঘিরে গড়ে ওঠে বেশ কিছু গ্যাং। আবার তাদের মাঝে ঘটে নানা ঘাত, প্রতিঘাত, সংঘাত।
সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু মানুষের জীবনচক্র নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা ‘বর্ডার’। এর ধারণা দিতে গিয়ে এভাবেই সিনেমাটিকে ব্যাখ্যা করেছে এর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।
সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৯ সেপ্টেম্বর। তার আগে প্রচারের অংশ হিসেবে প্রকাশ পেল সিনেমাটির ফার্স্ট লুক পোস্টার।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার ফেসবুক পেজ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করা হয় পোস্টারটি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সৈকত নাসির, কাহিনি আসাদ জামানের।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, অধরা খান, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধাসহ অসেকে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া হাওয়া সিনেমায় একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রদর্শন ও হত্যা করে খাওয়ার চিত্র দেখানো হয়েছে। এটি বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর লঙ্ঘন।
বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিশ্চিতভাবে আইনের লঙ্ঘন।’
অসীম মল্লিক জানান, তারা সিনেমাটি দেখেছেন। দেখেই এ মন্তব্য করছেন তিনি।
তাহলে এ নিয়ে হাওয়া সিনেমাসংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন, তা নিশ্চিত করে জানাননি তিনি। অসীম জানান, আইনের আওতায় থেকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অসীম বলেন, ‘সিনেমায় তো প্রথমেই বলা হয় যে সিগারেট মৃত্যু ঘটায়, বা সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তারপরও তো সিনেমার মধ্যে সে ধরনের দৃশ্য দেখানো হয়। এটা একটা সতর্কতা। এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো ঠিকঠাক যাচাই করে পরের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এদিকে হাওয়া সিনেমা দেখতে দর্শকদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ১২ আগস্ট থেকে দেখা যাবে দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে। যে সংখ্যা প্রথম সপ্তাহে ছিল ২৩ ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ছিল ৪১।
অস্ট্রেলিয়াতে সিনেমাটি প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে ১৪ আগস্ট থেকে। সেখানে ১৭টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য