অভিনেত্রী বর্ষা কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে জানিয়েছেন, হতে পারে নেত্রী- দ্য লিডার তাদের শেষ সিনেমা। খুব কষ্ট নিয়ে এ কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তাদের ছোট করা হচ্ছে।
ঈদে অনন্ত-বর্ষা অভিনীত সিনেমা দিন- দ্য ডে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমার প্রচারের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হলে গিয়েছিলেন অনন্ত-বর্ষা। সেখানে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে কাঁদো কাঁদো হয়ে যান বর্ষা।
তিনি বলেন, ‘হয়তো হতে পারে নেত্রী- দ্য লিডার আমরা শুটিং করেছি, সেটা শেষ নাও করতে পারি, এটাই হতে পারে জীবনের শেষ সিনেমা।’
বর্ষার দাবি, নানাভাবে তাদের ছোট করা হচ্ছে এবং সেটা গায়ের জোরে। কারা এটা করছে তা বলেননি তিনি। বর্ষা জানিয়েছেন, কেউ কেউ নেতিবাচক কথা ছড়াচ্ছে সিনেমাটি নিয়ে। আর সিনেমার চেয়ে অনন্ত-বর্ষাকে ছোট করার, হেয় করার চেষ্টা চলছে।
বর্ষা বলেন, ‘একটা বিষয় সত্যিই খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, সেটা হচ্ছে যে কে বা কারা জানি না খুব নেতিবাচক কথা ছড়াচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে। বিশেষ করে আমার সিনেমাটা বাদ দিয়ে আমাদের ডাউন করার চেষ্টা করছে।’
এ কথা বলতে বলতেই বর্ষা কাঁদো কাঁদো হয়ে যান। বলেন, ‘‘আসলে আমি খুব কষ্ট পেলাম ভালো জিনিস কেন মানুষ প্রশংসা করতে পারে না। আজকে যদি আমরা চলচ্চিত্র না করি, চলচ্চিত্র থেকে বের হয়ে যাই, তাহলে আমার মনে হয় আমাদের কিছুই হবে না, শুধু আমরা যে চেষ্টা করছিলাম ভালো কাজের সেটা হবে না।’
বর্ষা দাবি করেন, মানুষ মিথ্যা কথা রটাচ্ছে এবং সেই মিথ্যা কথাই সংবাদ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলছে, আমরা নাকি আমাদের গার্মেন্টস কর্মীদের এনে সিনেমা দেখাচ্ছি! কী করে সম্ভব! একটা ঈদের দিন, মানুষ দেশে গিয়েছে ঈদ করার জন্য। আমরা কীভাবে লোক পাব। সারা দেশ কি আমাদের?’
বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনার সিনেমা দিন- দ্য ডে। এতে অনন্তকে দেখা যায় একটি বড় অপারেশনের নেতৃত্ব দিতে। আর বর্ষা অভিনয় করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা চরিত্রে।
অনন্ত-বর্ষা অভিনীত আরেক সিনেমা নেত্রী- দ্য লিডার। এর কাজ এখনও শেষ হয়নি। সিনেমাটিতে বর্ষা অভিনয় করেছেন মূল ভূমিকায়। তিনি অভিনয় করেছেন নেত্রীর চরিত্রে আর অনন্ত অভিনয় করেছেন তার বডিগার্ডের ভূমিকায়।
আরও পড়ুন:মঙ্গলবার সরকারি ছুটির দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ স্টার সিনেপ্লেক্স। প্রেক্ষাগৃহটির পান্থপথ শাখায় সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যায় দর্শকদের দীর্ঘ লাইন। পরাণ ও হাওয়া সিনেমা দেখতেই দর্শকদের এ ভিড়।
রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে একজন এসেছেন হাওয়া দেখতে। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত সিনেমা দেখি না, তবে সিনেমাটি নিয়ে সবার আগ্রহ দেখে এসেছি।
ধানমন্ডি থেকে পরিবার নিয়ে পরাণ দেখতে এসেছেন এক চাকুরিজীবী। সরকারি ছুটির দিন বলে মঙ্গলবার সিনেমা দেখতে এসেছেন তিনি।
পরাণ দেখতে এসেছিলেন আরও এক পরিবার। ছোট বাচ্চাকে নিয়ে তারা এসেছিলেন সেগুনবাগিচা থেকে। টিকিট কেটে রেখেছিলেন আগে থেকেই।
আজমপুর থেকে ভাই এবং চাচাকে নিয়ে এসেছেন একজন। জানান, অনিয়মিত দর্শক হলেও হাওয়া সিনেমার গান ভাইরাল হওয়ায় এটি দেখতে আগ্রহী তিনি।
শাহজাহানপুর থেকে দুজন নারী এসেছিলেন পরাণ সিনেমা দেখতে। তারা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভালো সিনেমার কথা শুনলে আমরা দেখতে আসি। পরাণ ভালো হয়েছে শুনে দেখতে এসেছি।’
সিনেপ্লেক্স প্রাঙ্গণে থাকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু সন্ধ্যা না, মঙ্গলবার সারা দিনই দর্শকদের ভিড় ছিল সিনেপ্লেক্সে।
সিনেপ্লেক্সের ৫টি শাখায় দ্বিতীয় সপ্তাহে হাওয়া সিনেমার ২৬টি শো, আর ৫ম সপ্তাহে পরাণের চলছে ১৪টি শো।
১০ জুলাই মুক্তি পেয়ে পরাণ চলছে ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে, ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া হাওয়া চলছে ৪১ প্রেক্ষাগৃহে।
সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়ে সেন্সর না পাওয়ায় আপিল করেন শনিবার বিকেল সিনেমার প্রযোজক। সাড়ে তিন বছর হয়ে গেলেও সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগ সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেয়নি এবং কেন আটকে আছে সিনেমাটি, তাও জানায়নি।
এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে নিয়মিত ফেসবুকে লিখছেন সিনেমাটির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সিনেমাটি মুক্তি না পাওয়া এবং কী কারণে সিনেমাটি আটকে আছে তাও জানতে না পারায় মঙ্গলবার এক স্ট্যাটাসে ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান কষ্ট ও হাতাশার কথা।
তিনি লেখেন, ‘আমার কত রাত গেছে অনিদ্রায়। কত দিন গেছে ক্ষমতাবানদের দুয়ারে হাত মুছতে মুছতে। কত দুপুর গেছে রাগে অন্ধ হয়ে। কত বছর গেছে নিজের চিৎকার নিজেই গিলে ফেলে। ধন্যবাদ, হে রাষ্ট্র! ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই। সুতরাং, ঠিকই আছে।’
এমন ঘটনা ফারুকীর জন্য প্রথম নয়। তার আগের সিনেমাগুলোতেও এমন সমস্যা হয়েছে বলে জানান ফারুকী।
লেখেন, ‘তোমাকে ধন্যবাদ, আমাকে ঠিকঠাক সাইজ করার জন্য। ব্যাচেলরের সময় তুমি ভাবছো আমার ছবি সমাজ নষ্ট করে ফেলবে! মেড ইন বাংলাদেশে ভাবছো এই ছবি দেশ ধ্বংস করবে! সুতরাং দেড় বছর সেন্সর জেলে রাখছো! ঠিকই আছে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলারের জন্য সেন্সরের জেলটা একটু বোধ হয় কম হয়ে গেছিলো। অপরাধ বিবেচনায় ওই ছবি আটকে রাখা উচিত ছিল তিন বছর। যাই হোক শনিবার বিকেলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। উঠতে বসতে এইভাবে পিটিয়ে ছাল তোলার জন্য কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও লেখেন, ‘কিন্তু এইভাবে বোধ হয় পুরোপুরি হবে না। কারণ একটা ছবি ভাবা হয়ে গেলে তো সেটা দুনিয়াতে এগজিস্ট করে গেলো। বানানো হলে তো আরো শক্ত ভাবে এগজিস্ট করলো। আজ হোক কাল হোক সেটা তো দেখে ফেলবে মানুষ।’
সিনেমা আটকে রাখায় সিনেমা অঙ্গনে একরকম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভ যেন ঘৃণায় রূপ না নেয়, সেই সাবধানতার কথা বলেছেন ফারুকী।
তিনি লেখেন, ‘তাই বলি কী এমন কিছু একটা করো যাতে ভাবনাটাও বন্ধ করে দেয়া যায়। এমন ওষুধ আবিষ্কার করো, হে রাষ্ট্র, যাতে কারো মনে ক্ষোভ জন্ম না নেয়! কারণ সম্মিলিত ক্ষোভের চেয়ে বিধ্বংসী কোনো অস্ত্র নাই! আরও খেয়াল রাখতে হবে ক্রমাগত চাপে এই ক্ষোভ যেন ঘৃণায় রূপ না নেয়। কারণ কে না জানে ঘৃণার চেয়ে বড় কোনো মারণাস্ত্র নাই।’
মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেসবুকে ‘শনিবার বিকেল মুক্তি পাক’ লাইন লিখে সরব হয়েছেন দেশের নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। নানা বাক্যে সিনেমাটির মুক্তির আবেদন করেছেন তারা।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নির্মিত শনিবার বিকেল বা স্যাটারডে আফটারনুন সিনেমা তিন বছর ধরে আটকে আছে সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগে।
এ নিয়ে নিজের কষ্ট, হতাশা এবং আটকে থাকার কারণ জানতে চেয়ে কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে লিখছেন ফারুকী। মঙ্গলবার তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অনেকে।
ফেসবুকে তারা শনিবার বিকেল সিনেমা পোস্টার শেয়ার করে নানা বাক্যে সিনেমাটির মুক্তির আবেদন করেছেন। বাক্যের ভিন্নতা থাকলেও সবার ট্যাগ লাইন ‘শনিবার বিকেল মুক্তি পাক’।
হাওয়া সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন শনিবার বিকেলের পোস্টার শেয়ার করে কবীর সুমনের গানের দুই লাইন নিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আঁক ফুল আঁক প্রজাপতি… এঁকো না কখনো স্বদেশের মুখ, তোবরানো গাল ভেঙ্গে যাওয়া মুখ!! শনিবার বিকেল মুক্তি পাক।’
নির্মাতা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্র কারাগারের তালা খুলে যাক, শনিবার বিকেল মুক্তি পাক।’
নির্মাতা শিহাব শাহীন লিখেছেন, ‘শনিবার বিকেল সিনেমার সেন্সর ছাড়পত্র দেয়া হোক’। নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান লিখেছেন, ‘শনিবার বিকেল মুক্তি পাক’।
শনিবার বিকেল সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে ‘শনিবার বিকেল মুক্তি পাক’ আরও লিখেছেন সংগীতশিল্পী ইমন চৌধুরী, লুৎফর হাসান, অভিনেতা খায়রুল বাসার, মোস্তফা মনোয়ার, রাশেদ মামুন অপু, ইমতিয়াজ বর্ষণ।
এ তালিকায় আরও আছেন নির্মাতা গোলাম কিবরীয়া ফারুকী, শঙ্খ দাসগুপ্ত, দিলশাদুল হক শিমুল, ইমরাউল রাফাত। তরুণ নির্মাতাদের মধ্যে কে এম কনক, ফাহাদ খানও ফেসবুকে পোস্ট করে সিনেমাটি মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়ে সেন্সর না পেলে আপিল করেন শনিবার বিকেল সিনেমা প্রযোজক। সাড়ে তিন বছর হয়ে গেলেও সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগ সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেয়নি এবং কেন আটকে আছে সিনেমাটি, তাও জানায়নি।
জানা যায়, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশে সিনেমাটি এখনও প্রদর্শিত না হলেও মিউনিখ, মস্কো, সিডনি, বুসান, প্যারিসের ভেসুল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শনিবার বিকেল প্রদর্শিত হয়েছে এবং পুরস্কৃতও হয়েছে।
বাংলাদেশ, ভারত ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শনিবার বিকেল। প্রযোজনায় আরও আছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ছবিয়াল এবং ভারতের শ্যাম সুন্দর দে।
এতে অভিনয় করেছেন অস্কার মনোনীত ওমর সিনেমার অভিনেতা ইয়াদ হুরানি, নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, ইরেশ জাকের, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত শনিবার বিকেল সিনেমাটি তিন বছর ধরে পড়ে রয়েছে আপিল বোর্ডে।
সিনেমাটি কেন ছাড়পত্র পাবে না, তা নিয়ে এখনও কোনো বক্তব্য দেয়নি কেবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বাধীন চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগে সিনেমাটি আটকে থাকা নিয়ে সম্প্রতি লেখালেখি করছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সোমবার সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার ফেসবুক পেজ থেকেও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে পোস্ট করা হয়েছে খোলা চিঠি।
যার যার লেখায় সবাই সিনেমাটি কেন আপিল বোর্ডে আটকে আছে, কেন সেন্সর দেয়া হচ্ছে না, কী এমন সমস্যা আছে সিনেমায় তা জানতে চেয়েছেন। জাজ মাল্টিমিডিয়া তাদের ফেসবুকের লিখেছে, ‘আপনি (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী) দেখলে এই সিনেমাটি অনায়েসে সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। চলচ্চিত্রের এই ক্রান্তি লগ্নে, সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে, সিনেমা হলে শনিবার বিকেল সিনেমাটি মুক্তি দেয়া আশু প্রয়োজন। মাননীয় তথ্য মন্ত্রী মহোদয়, শুধু তথ্য মন্ত্রী হিসাবেই নয়, একজন চলচ্চিত্র প্রেমী হিসেবে, বিষয়টি বিশেষ বিবেচনা করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’
তিন বছর আগে শনিবার বিকেল এর পক্ষের উকিল হয়ে সিনেমাটি দেখেন মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।
তিনি মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ফারুকীর সিনেমার পক্ষের উকিল হয়ে শনিবার বিকেল দেখি এবং আমি আমার বক্তব্য দেই।’
নাসির উদ্দীন ইউসুফের বক্তব্যকে সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগ আমলে নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নিলেও আপিল বিভাগ তাদের মতামত বা সিনেমাটি নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না।’
সিনেমাটিতে কী এমন আছে, কেনই বা সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগ তাদের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না বা সিদ্ধান্ত জানাতে দেরি করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু জানান, এ বিষয়টি তিনি বলতে পারবেন না।
বাংলাদেশ, ভারত ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শনিবার বিকেল। প্রযোজনায় আরও আছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ছবিয়াল এবং ভারতের শ্যাম সুন্দর দে।
এতে অভিনয় করেছেন অস্কার মনোনীত ওমর সিনেমার অভিনেতা ইয়াদ হুরানি, নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, ইরেশ জাকের, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
জানা যায়, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশে সিনেমাটি এখনও প্রদর্শিত না হলেও মিউনিখ, মস্কো, সিডনি, বুসান, প্যারিসের ভেসুল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শনিবার বিকেল প্রদর্শিত হয়েছে এবং পুরস্কৃতও হয়েছে।
আরও পড়ুন:প্রকাশ পেয়েছে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ দিল্লি ক্রাইমের দ্বিতীয় সিজনের ট্রেইলার। ২৬ আগস্ট থেকে নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে সিরিজটি।
প্রথম সিজনের মতো দ্বিতীয় সিজনটিও সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই নির্মিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ট্রেইলারে। কিন্তু কোন সেই সত্য ঘটনা, তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি ট্রেইলারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই সত্য ঘটনা হলো ‘চাড্ডি বানিয়ে গ্যাং’-এর অপরাধ নিয়ে। ‘চাড্ডি বানিয়ে গ্যাং’কে ‘কাচ্চা বানিয়ে গ্যাং’ও বলা হয়।
এরা মূলত আন্ডার গার্মেন্টস বা লুঙ্গি কাছা দিয়ে, শরীরে তেল মেখে, মুখ বেঁধে অপরাধ করতে যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দ্বিতীয় সিজনটি কুখ্যাত কাচ্চা বানিয়া গ্যাং-এর কোনো অপরাধ নিয়ে নির্মিত। ট্রেইলারে শেফালি অর্থাৎ ডিসিপি তার দলের সঙ্গে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া আরও এক খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছেন।
২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ট্রেইলারে আছে টানটান থ্রিলার। সেখানে দেখা যাচ্ছে সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্য কীভাবে বেড়ে চলেছে দুর্নীতি।
নির্ভয়া গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছিল দিল্লি ক্রাইম প্রথম সিজন। সিরিজটি পেয়েছিল অ্যামি অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন:কোরবানির ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘পরাণ’ এখনও চলছে। রাজধানীর সিনেপ্লেক্সগুলোতে সিনেমাটি হাউসফুল হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রায়ই।
ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে দর্শকরাও সিনেমাটি পছন্দ করেছেন। সেসব জায়গায় দর্শকদের ঢল নামার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সিনেমাটির এমন ব্যবসায় খুশি প্রযোজক তামজিদ অতুল। ইতোপূর্বে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রত্যাশিত সেল হলে পরাণ সিনেমার আয় দিয়ে আরও পাঁচটি সিনেমা বানানো যাবে। এবার তিনি আরও একটি পরিকল্পনার কথা জানালেন।
তামজিদ অতুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরাণের সেল আরও বাড়ছে ডে বাই ডে (দিনে দিনে)। পরাণের এই সফলতায় আমরা ইন্সপায়ার্ড হয়ে প্রত্যেক বছর লাইভ টেকনোলজিস প্রযোজিত দুইটা সিনেমা রিলিজ দেব থিয়েটারে।’
পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনও জানাননি অতুল। তিনি এখনও ব্যস্ত পরাণের ব্যবসা নিয়ে। সিনেমাটি বিদেশে প্রদর্শনের কথা রয়েছে।
পরাণ সিনেমার প্রদর্শক জাহিদ হাসান অভি নিউজবাংলাকে জানান, ৫ম সপ্তাহে এসেও সিনেমাটি দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হওয়াটাকে খুবই আনন্দের। শিগগিরই সিনেমাটি দেশের বাইরে যাবে। আর সিনেপ্লেক্সে এখনও টিকিট ক্রাইসিস বলে জানান তিনি।
স্টার সিনেপ্লেক্সের ওয়েব সাইটে পরাণ সিনেমার শেষ শো ৪টা ৩৫ মিনিটে দেখালেও সন্ধ্যা সারে ৭টা ও রাত ১০টাতেও শো রাখা হয়েছে পরাণের। তবে শোগুলো নিয়মিত না। পরিবর্তনও হচ্ছে শোগুলো।
আরও পড়ুন:ছুটির দিনগুলোতে দর্শকদের চাপ বাড়ে রাজধানীর সিনেপ্লেক্সে। বিশেষ করে পরাণ ও হাওয়া সিনেমা দেখতে ছুটির দিনকেই বেছে নিচ্ছেন দর্শকরা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু ছুটির দিন নয়, কাজের দিনগুলোতেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে নাপরাণ ও হাওয়ার।
স্টার সিনেপ্লেক্সের ওয়েবসাইটে গিয়ে মোবাইল ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কেনার সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে পরাণ সিনেমার টিকিট কিনতে আগ্রহী অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী শুক্রবার পর্যন্ত সব শো-ই প্রায় হাউজফুল।
অনলাইনে টিকিট কিনতে আগ্রহী নিউজবাংলাকে জানান, তিনি অনলাইনে পরাণ সিনেমার টিকিট কাটতে চেয়েছিলেন, না পেয়ে হাওয়া সিনেমার টিকিট কিনতে চেয়েছেন। সেটাও পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘টিকিট একটা-দুইটা কিছু শোতে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো কোনার দিকে। আমি তিন দিন পর্যন্ত অগ্রিমে টিকিট কেনার চেষ্টা করছিলাম আর আমার লাগবে ৪টি টিকিট। কিন্তু অধিকাংশ শো-তেই চারটি টিকিট একসঙ্গে নেই। যেগুলোতে আছে, সেগুলো একেকটা একেক জায়গায় এবং সেই সিটগুলো একেবারে কোনায় বা একেবারে সামনে।’
সরেজমিনে গিয়েও একই চিত্র। এসকেএস, বসুন্ধরা সিটির সিনেপ্লেক্সের টিকিট কাউন্টারে তেমন ভিড় নেই, তবে টিকিটও নেই। সিনেপ্লেক্সের ৫টি শাখায় হাওয়া সিনেমার ২৬টি শো, পরাণের চলছে ১৪টি শো।
১০ জুলাই মুক্তি পেয়ে পরাণ চলছে ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে, ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া হাওয়া চলছে ৪১ প্রেক্ষাগৃহে।
পরাণ সিনেমার প্রযোজক আশা প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে জানান, হাউসফুল হয়ে পরাণ সিনেমাটা আরও চার সপ্তাহ চলবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য