× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
10 points to end opacity of impact lobbying on film grants
google_news print-icon

চলচ্চিত্র অনুদানে ‘প্রভাব’, ‘তদবির’, ‘অস্বচ্ছতা’ অবসানে ১০ দফা

চলচ্চিত্র-অনুদানে-প্রভাব-তদবির-অস্বচ্ছতা-অবসানে-১০-দফা
সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়ায় অসংগতির প্রতিবাদে চলচ্চিত্রকর্মীদের সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদানের রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় গতিশীল রাখতে এবং স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রকর্মীদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ ও অনুদান প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসানে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে বিবৃতি প্রদান করা হয়। 

বছরের পর বছর ধরে নানা অনিময়ই যেন চলচ্চিত্র অনুদানের নিয়মে পরিণত হয়েছে। অনুদান প্রদানের নীতিমালাকে অবজ্ঞা করে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির ও অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মহৎ এই উদ্যোগটিকে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে মনে করছেন দেশবরেণ্য চলচ্চিত্রকারদের কয়েকজন।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়ায় অসংগতির প্রতিবাদে চলচ্চিত্রকর্মী সমাবেশ করেন। চলচ্চিত্র অনুদান ২০২১-২২ এর সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিক অসংগতির প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামসহ ৩৩টি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠন সম্মিলিতভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

তরুণ চলচ্চিত্রকর্মী ও নির্মাতাদের এ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জাহিদুর রহিম অঞ্জন। এ ছাড়া নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলাম, ফরিদুর রহমান, সাইয়ীদ, কাওসার চৌধুরী, এন রাশেদ চৌধুরী, হুমায়েরা বিলকিসসহ আরও অনেক সমাবেশে সংহতি জানিয়েছেন। সমাবেশে চলচ্চিত্র অনুদানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিভিন্ন প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন উপস্থিত চলচ্চিত্র নির্মাতারা।

চলচ্চিত্রকর্মী সমাবেশে সরকারের প্রতি বিভিন্ন দাবি তুলে আলোচকগণ বলেন, ‘অনুদান প্রদানের সরকারি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে যে, অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখবে এবং একই সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ গল্পের চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেয়া হবে। কিন্তু বিগত তিন বছর ধরে পূর্ণদৈর্ঘ্য বিভাগে কোনো প্রামাণ্যচিত্র অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচিত হয়নি, যাতে স্বাভাবিকভাবেই অনুদানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

‘তেমনিভাবে বাণিজ্যিক ধারার প্রযোজক, পরিচালক যখন বেশির ভাগ সংখ্যায় অনুদানের জন্য নির্বাচিত হন তখন অনুদানের মান নিয়েই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আশঙ্কাজনকভাবে এ বছর থেকে স্বল্পদৈর্ঘ্যে অনুদানের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দেয়ায় তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এমন পরিচালকও অনুদান পাচ্ছেন যাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। যারা পূর্বে অনুদান নিয়ে নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারেননি তাদেরও পুনরায় অনুদান দেয়া হয়েছে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিবাদী চলচ্চিত্রকর্মী সমাবেশ থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদানের রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় গতিশীল রাখতে এবং স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রকর্মীদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ ও অনুদান প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসানে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে বিবৃতি প্রদান করা হয়।

১০ দফা-

১। জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদানে স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রের সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে এবং বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, যা অনুদান নীতিমালায় বর্ণিত "মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ' চলচ্চিত্র নির্মাণে পৃষ্ঠপোষকতার বিরোধী।
আমাদের দাবি হচ্ছে, জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদানে স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রের জন্য পৃথক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

২। অনুদান নীতিমালায় ও প্রস্তাব আহ্বানকালে প্রামাণ্যচিত্রের উল্লেখ থাকলেও গত তিন বছর ধরে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্রে কোনো অনুদান দেয়া হয়নি। আমাদের দাবি এই যে, কাহিনীচিত্রের সমপরিমাণ অর্থ ও সংখ্যা সাপেক্ষে প্রতি বছর প্রামাণ্যচিত্রে অনুদান নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া প্রামাণ্যচিত্রের জন্য পৃথক জুরি বোর্ড গঠন করতে হবে, যার সদস্যগণ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা/প্রযোজক/শিক্ষক অথবা দীর্ঘসময় প্রামাণ্যচিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে।
৩। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার আশঙ্কাজনক হারে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের সংখ্যা কমে গেছে। অথচ একটি মানসম্মত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রভাব কোনো অংশেই পূর্ণদৈর্ঘ্যের চেয়ে কম নয়। আমরা প্রতিবছর ন্যূনতম ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান প্রদান এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য ১৫ থেকে ৪০ মিনিট সুনির্দিষ্ট করে দেয়ার দাবি জানাই।

৪। নির্মাতার ওপর অপ্রয়োজনীয় বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দেয়া যাবে না। যেহেতু এফডিসির বাইরেও কারিগরি সহায়তার সুযোগ আছে, তাই এফডিসির কারিগরি সরঞ্জাম ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা লোপ করতে হবে। এ ছাড়া এফডিসির এবং অন্য কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন- পরিচালক সমিতি ও প্রযোজক সমিতি প্রভৃতির ছাড়পত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা লোপ করতে হবে।

৫। চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ায় নির্মাতাকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিতে হবে। এ জন্য-
(ক) প্রথম কিস্তিতে প্রোডাকশন খরচের সম্পূর্ণ অর্থ (প্রদানকৃত অনুদানের ন্যূনতম ৬০ ভাগ) প্রদানের নিময় চালু করতে হবে।
(খ) মেন্টর পদ্ধতি বিলোপ করতে হবে।
(গ) চলচ্চিত্রের নির্মাণকালের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে।

৬। নির্মিত চলচ্চিত্র সিনেমা হলে মুক্তির দায় প্রযোজককে না দিয়ে চলচ্চিত্রের প্রদর্শনের ব্যাপারে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে।

৭। অনুদান প্রদানের জন্য স্বতন্ত্র্য বোর্ড/দপ্তর গঠন করে বাছাই কমিটি, অনুদান কমিটি ও প্রিভিউ কমিটিতে যোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত এবং এই প্রক্রিয়াগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। অনুদান সংশ্লিষ্ট মিটিং/প্রিভিউ মন্ত্রণালয়ের বাইরে উক্ত বোর্ডে কিংবা তথ্য ভবনে করার উদ্যোগ নিতে হবে।

৮। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অনুদান নীতিমালার সংশোধন করতে হবে এবং মন্ত্রণালয়কে নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

৯। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অনুদান প্রদানের চুক্তিপত্রে বিদ্যমান শর্তাবলি সংশোধন করতে হবে।

১০। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর বাছাইকৃত প্রস্তাবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার গ্রহণ রীতি চালু ও তার ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Human chain in front of FDC to protest the attack on journalists

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবিতে বুধবার এফডিসির সামনে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত
মানববন্ধনে বক্তারা এফডিসিতে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ এতে জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।

টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।

তদন্ত কমিটি

এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা

মন্তব্য

বিনোদন
Artists beat journalists at FDC

এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা

এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা এফডিসিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির লোকজনের মারধরে আহত সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত
‘একজন শিল্পীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। এ সময় খল অভিনেতা শিবা শানু আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে কেন সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। এরপরই তিনি আমার ওপর হামলা চালান। তা দেখে কয়েকজন সাংবাদিক এগিয়ে এলে জয় চৌধুরী অশ্লীল গালি দিয়ে জুনিয়র শিল্পীদের নির্দেশ দেন সাংবাদিকদের ওপর চালানোর। জয় ও শিবা শানুর নেতৃত্বেই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়েছে সংগঠনটির কয়েকজন সদস্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন জানান, তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈশাখী টিভির সাংবাদিক লিয়ন মীর জানান, শপথ গ্রহণ শেষে চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন এক রিপোর্টার। এসময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন তিনি।

কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে চান। এরপর শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রক্তাক্ত আহত হন কয়েকজন সাংবাদিক। মারামারিতে যোগ দেন আলেকজান্ডার বোসহ কয়েকজন জুনিয়রও।

মিঠুন আল মামুন ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘আমি একজন শিল্পীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। এ সময় খল অভিনেতা শিবা শানু আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে কেন সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। এরপরই তিনি আমার ওপর হামলা চালান।

‘এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক এগিয়ে এলে জয় চৌধুরী অশ্লীল গালি দিয়ে জুনিয়র শিল্পীদের নির্দেশ দেন সাংবাদিকদের ওপর চালানোর। জয় ও শিবা শানুর নেতৃত্বেই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।’

এ ঘটনার পরপরই এফডিসিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএফডিসির খোলা প্রাঙ্গণে এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু মিশাকে শপথ পাঠ করান।

মন্তব্য

বিনোদন
Adam Directors body recovered from the flat

নিজ ফ্ল্যাটে ‘আদম’ পরিচালকের মরদেহ

নিজ ফ্ল্যাটে ‘আদম’ পরিচালকের মরদেহ গত বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘আদম’ সিনেমা নির্মাণ করে পরিচিতি পান আবু তাওহীদ হিরণ। কোলাজ: নিউজবাংলা
ভবনের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে রমনা থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আজ সকাল ৬টার দিকে হিরণ বাড়ির দারোয়ানকে ফোন করে বলেন, তিনি স্ট্রোক করেছেন। দারোয়ানকে রুমে আসতে বলেন তিনি। দারোয়ান গিয়ে দরজায় নক করলেও ভেতর থেকে দরজা না খোলায় তিনি ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে তাকে পড়ে থাকতে দেখতে পান।’

তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ মারা গেছেন। গত বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘আদম’ সিনেমা নির্মাণ করে পরিচিতি পান তিনি।

রাজধানীর রমনার নিজ বাসা থেকে সোমবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

৩৭ বছর বয়সী হিরণ ‘ইএইচআর মিডিয়া হাউজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদুরী শিবপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন এর ছেলে। বর্তমানে রমনার ৩০ নম্বর নিউ ইস্কাটন রোডের একটি চতুর্থ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্লাটে একাই বসবাস করতেন তিনি। ওই ভবনেই তার মিডিয়া প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান।

ওই ভবনের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৬টার দিকে হিরণ বাড়ির দারোয়ানকে ফোন করে বলেন, তিনি স্ট্রোক করেছেন। দারোয়ানকে রুমে আসতে বলেন তিনি। দারোয়ান গিয়ে দরজায় নক করলেও ভেতর থেকে দরজা না খোলায় তিনি ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় তারা দেখতে পান, প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় তিনি উপুড় হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন।’

তিনি বলেন, ‘পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

ইএইচআর মিডিয়া হাউজের ক্রিয়েটিভ পরিচালক ওমর ফারুক নয়ন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খবর শুনে আমরা বাসায় গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’

তিনি বলেন, “তাওহিদ ভাই ভালো মানুষ ছিলেন। আদম-এর পর ‘রং রোড’ নামে তার আরেকটি ছবির কাজ শেষে হয়েছে। ছবিটি বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।’

মন্তব্য

বিনোদন
Pattu and Deadbody are not releasing on Eid

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না ‘পটু’ ও ‘ডেডবডি’

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না ‘পটু’ ও ‘ডেডবডি’ ছবি: সংগৃহীত
দুই সিনেমার পক্ষ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে দুটি ভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে এসে ঈদে মুক্তি থেকে সরে দাঁড়ালো আহমেদ হুমায়ুন নির্মিত ‘পটু’ ও মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ সিনেমা দুটি। দুই সিনেমার পক্ষ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে দুটি ভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে।

‘পটু’ প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন, তাদের ছবিটির পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই ঘোষণা দিয়েও সরে দাঁড়িয়েছেন তারা।

তবে এই ঈদে প্রতিষ্ঠানটির ‘মোনা: জ্বীন ২’ প্রেক্ষাগৃহে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে ‘ডেডবডি’ নিয়ে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনন্ত জলিলের পরামর্শ শুনেছেন পরিচালক-প্রযোজক ইকবাল।

জলিলকে উদ্দেশ করে ইকবাল বলেছেন, ‘ব্রাদার (অনন্ত জলিল) আপনাকে আমি ভালোবাসি। আপনি বলার সঙ্গে সঙ্গে (সিনেমাটি) আমি ঈদে রিলিজ না করে দুই সপ্তাহ পিছিয়েছি এবং হল মালিকদের চিঠি দিয়ে দুই সপ্তাহ পর প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করেছি।’

ইকবাল জানান, ঈদের পরিবর্তে ৩ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তার ছবিটি। ভৌতিক ধাঁচের গল্পে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, রোশান, শ্যামল মাওলা, অন্বেষা রায় প্রমুখ।

মন্তব্য

বিনোদন
Tributes in Pabna on the birth anniversary of the great heroine

মহানায়িকার জন্মবার্ষিকীতে পাবনায় শ্রদ্ধাঞ্জলি

মহানায়িকার জন্মবার্ষিকীতে পাবনায় শ্রদ্ধাঞ্জলি শনিবার পাবনা শহরের হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। ছবি: নিউজবাংলা
পাবনা শহরের হেমসাগর লেনে মহানায়িকার পৈতৃক বাড়িতে অবস্থিত সুচিত্রা সেনের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বল্প পরিসরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পাবনায় পালন করা হয়েছে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা শহরের হেমসাগর লেনে মহানায়িকার পৈতৃক বাড়িতে অবস্থিত সুচিত্রা সেনের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরীফ আহমেদ, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু, সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আখতারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মহানায়িকার মেয়ে মুনমুন সেন ও কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেন গুপ্ত মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Maya and the person Eva are completely different

‘মায়া আর ব্যক্তি ইভা একেবারেই আলাদা’

‘মায়া আর ব্যক্তি ইভা একেবারেই আলাদা’ অভিনেত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা ইভা। কোলাজ: নিউজবাংলা
সিনেমা নিয়ে আলাদা আবেগের কথা জানিয়ে ইভা বলেন, “আমার ক্যারিয়ারে ‘নির্বাণ’ একটা আলাদা জায়গায় থাকবে সবসময়। আসলে প্রত্যেকটা চরিত্রেরই আলাদা আলাদা জায়গা থেকে যায় আমাদের মধ্যে, তবে মায়া, তার মায়া আমি কাটাতে পারব না।”

৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদশি সিনেমা ‘নির্বাণ’। গত মঙ্গলবার উৎসবের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে সিনেমাটির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

নির্বাণের নির্মাতা আসিফ ইসলাম। সিনেমাটির গল্প নিয়ে তিনি জানান, মানবিক আবেগের একটি কাব্যিক অন্বেষণ ‘নির্বাণ’। শান্তির খোঁজে বের হওয়া তিন ব্যক্তির একটি অসাধারণ যাত্রা। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন ফাতেমা তুজ জোহরা ইভা, প্রিয়ম অর্চি, ইমরান মাহাথিসহ অনেকে।

বড় বড় একাধিক বিজ্ঞাপনচিত্রে প্রধান মুখ হিসেবে কাজ করলেও নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা আন্তর্জাতিক উৎসবে জায়গা করে নেয়ায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত ইভা।

সিনেমাটিতে নিজের যাত্রা নিয়ে উদীয়মান এ অভিনেত্রী বলেন, ‘নির্বাণে আমার চরিত্রের নাম মায়া। এই মায়া আর ব্যক্তি ইভা একদমই আলাদা দুই চরিত্র।’

‘“নির্বাণ’-এর মায়ার বয়স আমার চেয়েও বেশি। বয়সের ভারিক্কি আনতে বেগ পেতে হয়েছে আমাকে। কারণ মায়া আর আমি ব্যক্তি ইভা একেবারেই আলাদা”, বলেন ইভা।

‘আমরা এক মাস গাজীপুরে ট্রান্সফর্মার ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছি। আমি বেসিক্যালি ট্রান্সফর্মারের কোর জিনিসপত্র বানানো শিখছি, বানিয়েছি। টাইম মেইনটেইন করেই অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করেছি, যাতে আমাদের আলাদা না লাগে। এই দীর্ঘ সময়ে আমার কো অ্যাক্টরদের সঙ্গে ভীষণ ভালো বন্ডিং হয়েছে, যা কাজেও হেল্প করেছে’, যোগ করেন অভিনেত্রী।

সিনেমার শুটিংয়ের সময়ের কিছু ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নবীন এ অভিনেত্রী বলেন, ‘নির্বাণের একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে এ সিনেমায় আমাদের কোনো স্ক্রিপ্ট ছিল না। আমাদের সিচুয়েশচন বলে দেয়া হতো। সেই অনুযায়ী আমরা অভিনয় করতাম, তবে ক্যারেকটারের বায়োগ্রাফি ছিল প্রত্যেকেরই শক্তপোক্ত।

‘আসিফ ভাই (নির্মাতা) অধিকাংশ দৃশ্যই এক টেকে (একবারে) ওকে করেছেন। এই ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কেননা আমরা যখন বারবার একই সিন করতে থাকি, একটা সময়ে গিয়ে সেটা মেকি হয়ে যায়।’

এরই মধ্যে আরও তিনটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন ইভা, তবে সেসব নিয়ে এখনই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা বারণ নির্মাতাদের। যেমনটি ছিল তার প্রথম সিনেমা নির্বাণের ক্ষেত্রেও।

সিনেমা নিয়ে আলাদা আবেগের কথা জানিয়ে ইভা বলেন, “আমার ক্যারিয়ারে ‘নির্বাণ’ একটা আলাদা জায়গায় থাকবে সবসময়। আসলে প্রত্যেকটা চরিত্রেরই আলাদা আলাদা জায়গা থেকে যায় আমাদের মধ্যে, তবে মায়া, তার মায়া আমি কাটাতে পারব না।

“মায়ার যন্ত্রণা, মায়ার কষ্ট এসবই আমার কাছে গচ্ছিত থেকে যাবে। আশা করি এই সিনেমা মস্কো অভিযানের পরও নানান দেশ জয় করবে। আমি অধীর আগ্রহে আছি কবে আমাদের দেশে সবাই মিলে সিনেমাটা দেখব।”

মস্কো উৎসবের ৪৬তম আয়োজন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল, যা চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। উৎসবে যোগ দিতে ১৮ এপ্রিল মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেবেন নির্মাতা আসিফ ইসলাম। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পাশাপাশি পুরো আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন তিনি।

আরও পড়ুন:
৩ দিনে কত আয় করল রণবীরের ‘অ্যানিমেল’
জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’: দর্শকের মনে আরও গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু
ইতিহাসের অনেক অজানা ঘটনা তুলে ধরবে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক: প্রধানমন্ত্রী
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার

মন্তব্য

বিনোদন
Who won the Oscar

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

যাদের হাতে উঠলো অস্কার লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অস্কার পুরস্কার হাতে সেরা অভিনেতা কিলিয়ান মার্ফি। ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত সিনেমা ‘ওপেনহেইমার-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান। একই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন কিলিয়ান মার্ফি। আর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসেছে ৯৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসর। এই আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চলতি বছরে অস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।

সেরা ছবি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ‘ওপেনহাইমার’। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সম্মানজনক অস্কার জয় করেছেন ‘ওপেনহাইমার’ ছবির কিলিয়ান মার্ফি।

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

সেরা অভিনেত্রীর অস্কার পুরস্কার জয়ী এমা স্টোনের প্রাপ্তির কান্না। ছবি: সংগৃহীত

একই ছবিতে অভিনয় করে সহ-অভিনেতা হিসেবে অস্কার পেয়েছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এছাড়া সহ-অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন ‘দ্য হোল্ডওভারস’ ছবির দা’ভাইন জয় র‌্যান্ডল্ফ।

সেরা পরিচালক হিসেবে এ বছরের অস্কার পেয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)।

লাইভ অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগারে’।

ধ্বনি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য জোন অফ ইন্টারেস্ট’-এর টার্ন উইলার্স ও জনি বার্ন।

অরিজিনাল স্কোর ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন ‘ওপেনহাইমার,’-এর লুডভিগ গোরানসন।

এছাড়া মৌলিক সংগীত ক্যাটাগরিতে ‘হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর?’-এর ‘বার্বি’; ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ক্যাটাগরিতে ‘গডজিলা মাইনাস ওয়ান’; চলচ্চিত্র সম্পাদনা ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার জেনিফার ল্যাম; প্রামাণ্যচিত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ’; ডকুমেন্টারি ফিচার ক্যাটাগরিতে ‘২০ ডে ইন মারিউপোল’; সিনেমাটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’-এর হোয়েট ভ্যান হোয়েতেমা পুরস্কার জিতেছেন।

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘ওয়ার ইজ ওভার! ইনসপায়ারড বাই দ্য মিউজিক অব জন ও ইয়োকো’; অ্যানিমেটেড ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’; মূল চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’-এর জন্য জাস্টিন ট্রিয়েট ও আর্থার হারারি; অভিযোজিত চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘আমেরিকান ফিকশন’-এর জন্য কর্ড জেফারসন এবার অস্কার জয় করেছেন।

অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং-এ ‘পুওর থিংস’-এর নাদিয়া স্টেসি, মার্ক কুলিয়ার ও জশ ওয়েস্টন; প্রোডাকশন ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংস’-এর জেমস প্রাইস, শোনা হিথ ও জুসা মিহালেক; কস্টিউম ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংকস’-এর হলি ওয়াডিংটন পুরস্কার পেয়েছেন।

আর আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ (যুক্তরাজ্য) অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছে।

আরও পড়ুন:
অস্কারে প্রতিযোগিতা করার জন্য সিনেমা আহ্বান
অস্কার কমিটিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন কাজল-সুরিয়া
যার জন্য চড়কাণ্ড সেই স্ত্রীর সঙ্গেই স্মিথের বিচ্ছেদ!
অস্কারে ১০ বছর নিষিদ্ধ উইল স্মিথ
থাপ্পড়কাণ্ড: অ্যাকাডেমি থেকে পদত্যাগ ‍উইল স্মিথের

মন্তব্য

p
উপরে