ভারতীয় ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম হইচই বাংলাদেশে কাজ শুরু করার পর বেশ কিছু কনটেন্ট পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। এর মধ্যে তাকদীর, মহানগর। দুটি ওয়েব সিরিজের গল্পই রহস্য ও থ্রিলার ঘরানার। এগুলো প্রকাশের পর থেকে হইচইতে বাংলাদেশ থেকে শুধু যেন থ্রিলার গল্পই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে মনে করছেন এ দেশের ওটিটি দর্শকরা।
তাদের মতে, এখানে নেই রুদ্রবীণার অভিশাপ-এর মতো কোনো মিউজিক্যাল কনটেন্ট, নেই একেন বাবুর মতো মজার গোয়েন্দা, নেই মুখ্যমন্ত্রীর মতো কোনো তথ্যচিত্র, সেই অর্থে নেই কোনো রোমান্টিক বা সামাজিক গল্পের কনটেন্ট। অর্থাৎ বিভিন্ন ঘরানার গল্প খুঁজে পাচ্ছেন না দর্শকরা।
দর্শকদের এমন অভিযোগ পুরোপুরি মানতে নারাজ হইচই বাংলাদেশের পরিচালক সাকিব আর খান। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, কনটেন্টের ভিন্নতা নেই বিষয়টা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই ধারণা ঠিক না। বলি টোটালি ডিফরেন্ট ওয়েস্টার্ন কনটেন্ট ছিল। আমরা চেষ্টা করছি। আমরা সাবরিনা করেছি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। নারীদের কিছু সমস্যা নিয়ে কাজটি হয়েছে। আমরা দৌড় করেছি আরেকটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে। একটা মানুষের একাধিক চেহারা। সে বাসায় এক রকম- স্ত্রী, বাচ্চাকে সে অনেক ভালোবাসে কিন্তু কর্মক্ষেত্রে আরেক রকম। সেখানে তার ভাষা ও চেহারা অন্যরকম। রিফিউজি টোটালি ভিন্ন একটি জনরা থেকে করা হয়েছে। একসময় আমরা কষ্টনীড় করেছি। যারা আমাদের পরিচিত কিন্তু অজানা জীবনধারা। সো আমি বলব আমরা নানা রকম কাজ করার চেষ্টা করছি।’
সাকিব যে কনটেন্টগুলোর কথা বলেছেন, সেগুলোর মধ্যে ওয়েব সিরিজ বলি বাদে সবগুলোতে ইনভেস্টিগেশন ব্যাপারটি ছিল গুরুত্বের সঙ্গে। অধিকাংশ কনটেন্টেই তদন্ত, পুলিশ ইনভেস্টিগেশন বিষয়টি কেন এসেছে জানতে চাইলে সাকিব জানান, এটা করতে হয় ব্যবসার জন্য।
তিনি বলেন, ‘দিন শেষে ওইটা আমাকে বিজনেস দেয়। বিজনেস ইমপরটেন্ট। একটা বড় বিনিয়োগ আছে এখানে। কনটেন্টের নাম বলছি না, কিন্তু যখনই এগুলোর বাইরে কোনো কাজ করেছি তখন দর্শকরা আর সেটা নেয়নি।’
সাকিব জানান, এ দেশের দর্শকরা এখনও স্টার কাস্ট চান। স্টার কাস্ট না হলে দর্শকরা কনটেন্ট দেখতে চান না।
সাকিব বলেন, ‘মোশাররফ করিম বা চঞ্চল চৌধুরীর মতো কাস্ট যখন থাকে, তখন কনটেন্টের ভ্যালু এমনিতেই বেড়ে যায়। কাইজার কনটেন্টে আফরান নিশো আছেন। এই কনটেন্ট নিয়ে দর্শকের যে রেসপন্স, সেটাও তো আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।’
কিন্তু এখানেও আছে সমস্যা, সব কনটেন্ট তো আর মোশাররফ করিম বা চঞ্চল চৌধুরী বা নিশোকে নিয়ে করা সম্ভব না। আবার চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না বলেও জানান সাকিব আর খান।
গল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি তো কাজ করব গল্প আমাকে দেয়া হলে। গল্পের একটা বিশাল গ্যাপ আমাদের এখানে আছে। আমার কাছে তো প্রোপোজাল আসতে হবে। আমাদের প্রোডিউসারের অভাব রয়েছে। আপনি দেখেন, ঘুরেফিরে ওই আশফাক নিপুন, সাওকিদের দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।’
দর্শকদের ফ্রি কনটেন্ট দেখার অভ্যাসটাও রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দর্শকদের ফ্রি কনটেন্ট দেখে দেখে যে অভ্যাস হয়েছে, সেই অভ্যাসটা সহজে বদলাবে না। আমার তো সাবস্ক্রিপশন মডেল। টাকা দিয়ে কনটেন্ট দেখব, এই চিন্তাটা, ভাবনাটা আসছে না। ভারতে আছে ২০ লাখ সাবস্ক্রাইবার, ওখানে যেটাই দেন, একরকম দর্শক পাওয়া যায়। আমি তো সে পর্যায়ে এখনও যাই নাই।’
হইচই বাংলাদেশের সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন সাকিব আর খান।
তিনি বলেন, ‘৫০০ টাকায় এক বছরের কমিটমেন্টে যাওয়া, এটা আমাদের প্রতিদিনের যুদ্ধ। ধরেন, একজন হইচই সাবস্ক্রাইবার একটি কনটেন্ট দেখছেন, তার সঙ্গে তার আরও দুই-তিনজন বন্ধুও দেখছেন। তাহলে কী হলো, কনটেন্ট দেখলেন চারজন, কিন্তু আমি টাকা পেলাম একজন সাবস্ক্রাইবারের। আমাদের একটি প্রজেক্ট ৮০-৯০ লাখ টাকা, তাহলে হিসাব করে দেখেন কত সাবস্ক্রাইবার লাগবে এই টাকা তুলে আনতে। আরেকটা বিষয়, যিনি আজকে সাবস্ক্রাইব করছেন তার জন্য কিন্তু আগামী ১১ মাসের কনটেন্ট একেবারে ফ্রি। আমি কিন্তু প্রতি কনটেন্টের জন্য টাকা নিচ্ছি না, আমি এক বছরের সাবস্ক্রিপশন ফি নিচ্ছি। এই পেইনগুলো নিয়ে লেখালেখি হয় না।’
সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘আমার পপুলার জনরাতে হিট করতে হয় বারবার। থ্রিলার করা হচ্ছে কারণ ওইটা মানুষ দেখে, ব্যবসার জায়গাটাও দেখতে হবে আমাকে। তা না হলে কতদিন শুধু শুধু কাজ করা যাবে। একসময় দেখা যাবে আগ্রহ হারিয়ে গেছে, বাংলাদেশে বিজনেস বন্ধ।’
ওটিটি নীতিমালাও একটা সমস্যা করতে পারে বলে ধারণা এ পরিচালকের। সাকিব আর খান আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, কনটেন্টের ভিন্নতা নিয়ে দর্শকদের যে অভিযোগ বা কথা, সেটা চলতি বছরে আর থাকবে না। একটু অপেক্ষা করতে হবে সে জন্য।
বেশ ভেবে কাজ করতে হয় উল্লেখ করে সাকিব আর খান বলেন, ‘ভারতে টানা ৫টা কনটেন্ট ফ্লপ করলে অসুবিধা নেই, ৬ নম্বরে টাকা তুলে ফেলতে পারে। কিন্তু আমার পরপর দুটি কনটেন্ট ফ্লপ করলে অসুবিধা আছে।’
আরও পড়ুন:অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের। এ সময় এসেও টেলিভিশন নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
ওটিটিতেও তাকে দেখা গেছে ভিন্ন এক রূপে। তার অভিনয় মুন্সিয়ানার প্রমাণ তিনি এখানে আরও তীব্রভাবে দিয়েছেন।
আর এমন সময় তাকে ঘিরে চুক্তি ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)। খবর ইউএনবির
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৪টি নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। ৫০ লাখ টাকার এ চুক্তিতে অগ্রিম ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন এই তারকা, তবে নাটক শেষ করেছেন মাত্র ৯টি। পরে আলফা আই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা পারেনি।
স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় সবার প্রত্যাশা অপূর্ব কী বললেন, তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন না।
সংবাদমাধ্যমে তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি জানে। তারা যা বলার বলবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা কথাবার্তা এ মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তারাই বলবেন।’
অপূর্বের এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে পোস্টে অপূর্ব প্রসঙ্গে লেখেন।
তার কিছু অংশ হলো, ‘কাউকে ছোট করে, অসম্মানিত করে কেউ কখনই বড় হতেই পারে না কোনোদিন। ফেইসবুকে প্রকাশ্যে তো অবশ্যই নয়। আর ফেইসবুক কখনই আদালত না যে এখানেই সবকথা বলতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কথা। প্রহেলিকার মতো বলতেই চাই, চোখে যা দেখা যায় তা আসলে দেখা যায় না।’
আরও লেখেন, ‘আর ইন্ড্রাস্ট্রি কখনোই একা একা এগোয় না। সব্বাইকে নিয়েই সামনে এগোয়। আর অপূর্বর ১৬ থেকে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার টানা ধরে রাখাও এমনি এমনি হয়নি। পাশাপাশি এও বলতে চাই, আমার খারাপ সময়ে বা দুঃসময়ে কে আমার পাশে থাকল না, তা আমি মাথায় রাখি না কখনই। বরং আমার প্রিয়জনদের জন্যে শুভ কামনা আমার মন থেকে সবসময় আসে।’
অভিনেতা খালেদ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘অপূর্ব ভাইকে ভালোবাসি। অপূর্ব ভাই সুপারস্টার ছিলেন, সুপারস্টার আছেন এবং সুপারস্টার থাকবেন। সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে রাজার মতো ফিরবেন প্রিয় অপূর্ব ভাই।’
পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন লেখেন, ‘অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সত্যি বলতে, অপূর্বকে আমরা খুব ভালো চিনি। এই কাজ ওকে দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই অভিযোগটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিশ্বাস্য! অপূর্ব, তুমি একা নও। আমরা তোমার পাশে আছি।’
আরও পড়ুন:বসন্ত পঞ্চমীর আগেই বসন্তের হাওয়া হলিউড তারকা টম ক্রুজের জীবনে। ফের প্রেমে পড়েছেন তিনি। প্রেমের দরজায় কড়া নেড়েছেন রাশিয়ান নারী এলসিনা খায়রোভা। ৬১ বছরের টম ক্রুজের থেকে তার নতুন প্রেমিকা প্রায় ২৫ বছরের ছোট। বছর ৩৬-এর খায়রোভার প্রেমে মজেছেন টম, তবে তাদের প্রেমের খবর এখন প্রকাশ্যে এলেও তারা একে-অপরকে মন দিয়েছেন নাকি অনেক আগেই। আসলে বিষয়টিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন দুজনে।
সূত্রের খবর, গত বছরের শেষ দিকে একটি পার্টিতে টম এবং এলসিনাকে একসঙ্গে দেখা যায়। সেই পার্টিতে নাকি এক মুহূর্তের জন্যও একে-অপরের সঙ্গ ছাড়েননি তারা। সারাক্ষণই কাছাকাছি ছিলেন। শুধু পার্টি বলে নয়, তাদের এক বন্ধু জানিয়েছেন, লন্ডনের নাইটসব্রিজের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তারা একসঙ্গে থাকছেনও।
এমনিতে সচরাচর প্রকাশ্যে আসেন না টম এবং এলসিনা। জনসমক্ষে তাদের শেষ বার দেখা গিয়েছে লন্ডনের মেফেয়ারের পার্টিতে। তারপর আর সেভাবে এক ফ্রেমে ধরা দেননি তারা। তৃতীয় স্ত্রী কেটি হোমসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেন টম।
আনন্দবাজার বলছে, অন্যদিকে স্বামী ডিমিট্রি সেটকোভের সঙ্গে ২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় দুই সন্তানের মা এলসিনার। তারপর থেকে একাই ছিলেন তিনি। টমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আপাতত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।
সাইবার ক্রাইমের শিকার তেলুগু সিনেমার সুপারস্টার মহেশ বাবুর মেয়ে সিতারা।
অভিযোগ, তার নামে ভুয়া প্রোফাইল খুলে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে বেজায় ক্ষিপ্ত তারকা মহেশ বাবু। থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তার প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে দেয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ২০০৫ সালে বলিউড অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরকে বিয়ে করেন মহেশ বাবু। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে তাদের প্রথম সন্তান গৌতমের জন্ম হয়। এর ছয় বছর পর, ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেয়ের জন্ম দেন নম্রতা। এখন প্রায় ১২ বছর বয়স সিতারার। বাবা-মায়ের বড় আদরের সে।
মহেশ বাবুর প্রযোজনা সংস্থা জেএমবি এন্টারটেনমেন্টের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘অ্যাটেনশন! জেএমবি টিম ও মাধাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে মিস সিতারা ঘাট্টামানেনির নাম নিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে।’
সিতারার ভুয়া প্রোফাইল থেকে নানা ধরনের বিনিয়োগ ও লেনদেন সংক্রান্ত মেসেজ করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। এর পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে নেটিজেনদের।
কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই তারকার প্রোফাইলের সত্যতা যাচাই করে নেবেন এমন কথাও লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শনিবার তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। সকাল দশটা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা মিঠুন। তারপরই তাকে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিনেতা মিঠুন পথিকৃৎ বসুর সিনেমা ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন কলকাতায়।
সূত্রের তরফে জানা গেছে, একাধিক শারীরিক জটিলতা রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। বর্ষীয়ান অভিনেতার এমআরআই করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিকের অধীনে ভর্তি আছেন।
কিছু কিছু সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, অভিনেতা মিঠুনের বুকেও ব্যথা আছে। এ ছাড়া শরীরের একদিক দুর্বল হয়ে পড়েছে তার। শনিবার তিনি তার নিজের গাড়ি করেই হাসপাতালে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। বর্তমানে তার নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তার কী চিকিৎসা হবে বা কী হয়েছে সেটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতায় থেকে তার আগামী সিনেমা ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন। এই সিনেমাটি জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে বানানো হচ্ছে। সিনেমাটির পরিচালনা করছেন পথিকৃৎ বসু। প্রযোজনার দায়িত্বে সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থা। এখানে মিঠুনের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেবশ্রী রায়কে দেখা যাবে।
এর আগে অভিনেতা মিঠুনকে শেষবার ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল। সুমন ঘোষ পরিচালিত সেই সিনেমাতে রহমতের চরিত্রে ধরা দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন:কানাঘুষো বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। রটনা ছিল, ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড় মেয়ে বলিউড অভিনেত্রী এশা দেওলের বিয়ে ভাঙছে। তাই ঘটনায় পরিণত হলো। সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে নাকি বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন এশা ও তার স্বামী ভরত তখতানি।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ২০১২ সালের জুন মাসে দীর্ঘদিনের প্রেমিক ভরত তখতানির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-হেমার বড় মেয়ে এশা দেওল। বিয়ের বছর পাঁচেক পর ২০১৭ সালে তাদের প্রথম সন্তান রাধ্যার জন্ম হয়। দুই বছর যেতে না যেতেই তখতানি পরিবারে আগমন ঘটে আরেক নতুন সদস্য মিরায়ার। বেশ কিছুদিন ধরে এশার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে ভারতের ছবি দেখা যাচ্ছে না। এমনকী, দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরার ছবি পোস্ট করেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হেমাকন্যা। এতেই দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন জোরালো হয়।
দিল্লি টাইমসে পাঠানো বিবৃতিতে নাকি এশা ও ভরত লিখেছেন, ‘আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আর বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হয়েছি। জীবনের এই পর্যায়ে আমাদের দুই সন্তানই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভালমন্দই সবচেয়ে আগে থাকবে। এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগতই রাখতে চাইব।’
কিন্তু কেন এই বিচ্ছেদ? শোনা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী ভরত তখতানির অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তার সঙ্গেই নাকি বেশি সময় কাটাচ্ছেন তিনি। এমনকী দুজনকে বেঙ্গালুরুর এক পেইড পার্টিতেও দেখা গিয়েছে বলে গুঞ্জন।
বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম বিতর্কে মুকুট ফিরিয়ে দিলেন ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী ক্যারোলিনা শিনো।
জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় একটি ম্যাগাজিনে ২৬ বছর বয়সী শিনোর সঙ্গে একজন বিবাহিত পুরুষের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে জানায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানায়, দুই সপ্তাহ আগে জাপানের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখলে নেন ইউক্রেনে জন্ম নেয়া এ মডেল, কিন্তু একজন ইউক্রেনে জন্ম নেয়া এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা মডেলকে কেনো মিস জাপান নির্বাচিত করা হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
অনেকেই বলেছেন, তিনি ঐতিহ্যগত জাপানি সৌন্দর্যের আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেননি। এর মধ্যেই একটি স্থানীয় ম্যাগাজিন শুকান বুনশুন বুধবার রিপোর্ট করেছে, ক্যারোলিনা শিনো একজন বিবাহিত চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেম করছেন।
জাপান টাইমস বলছে, এটি মিস জাপান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম মুকুট ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা। আয়োজকরা জানান পদটি এক বছরের জন্য শূন্য থাকবে।
তবে মিস জাপানের আয়োজক বৃহস্পতিবার এ দাবিকে খণ্ডন করে জানিয়েছে, ক্যারোলিনা অবিবাহিত ছিলেন এবং তিনি জানতেন না ওই ব্যক্তি বিবাহিত।
ক্যারোলিনা শিনোর জন্ম হয়েছিল এক ইউক্রেইনীয় পরিবারে। মা পরে এক জাপানি নাগরিককে বিয়ে করায় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিনো চলে গিয়েছিলেন জাপানে। সেখানে নাগোয়ায় বেড়ে উঠেছেন তিনি।
শিনোই প্রথম নাগরিক অধিকার পাওয়া একজন জাপানি হিসেবে ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
তিনি সোমবার একটি বিবৃতিতে তার অনুরাগী এবং সাধারণ জনগণের কাছেও ক্ষমা চান।
শিনো বলেন, ‘আমি যে বড় সমস্যা তৈরি করেছি এবং যারা আমাকে সমর্থন করেছিল তাদের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি, সে জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।’
আরও পড়ুন:মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার একদিন পর ভারতীয় মডেল ও অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে নিজেই জানালেন তিনি বেঁচে আছেন।
সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা ও আলোচনা বাড়াতেই ‘ভুয়া’ মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছিলেন বলে জানান পুনম।
পুনমের টিম শুক্রবার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। এরপরই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এনডিটিভির শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ৩২ বছর বয়সে প্রাণ হারালেন এ তারকা।
এ ঘটনার একদিন পর পুনম শনিবার তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিওবার্তায় জানালেন- তিনি বেঁচে আছেন, ক্যানসারে মারা যাননি।
ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার জন্য যে অসুবিধা হয়েছে সে জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। কিন্তু আমার অভিপ্রায় ছিল সকলকে চমকে দেয়ার। কারণ আমরা সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিয়ে সচেতন নই। সেই কারণেই আমি মৃত্যুর মিথ্যে নাটক করেছি। জানি হয়ত বিষয়টা বাড়াবাড়ি, কিন্তু এর জন্য হঠাৎ করে জরায়ু-মুখ ক্যানসার নিয়ে কথা বলছে।’
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ঠিক তার দুদিন আগেই পুনমের সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আচমকা মৃত্যুর খবরে অনেকেই মনে করেছিলেন হয়ত এটা কোনো প্রচার কৌশল। সেই জল্পনাই সত্যি হলো।
পুনম পাণ্ডের মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার।
পুনমের টিম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখে, ‘আজ সকালটা আমাদের জন্য কঠিন। আপনাদের গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমরা আমাদের প্রিয় পুনমকে সার্ভিক্যাল ক্যানসারে হারিয়েছি। দুঃখের এ সময়ে, আমরা আপনাদের কাছে সবরকম গোপনীয়তার জন্য অনুরোধ করব। এখন আমরা স্নেহের সঙ্গে তাকে স্মরণ করতে চাই।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য