অনেক তারকা শিল্পী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ কাইজার। যার মূল আকর্ষণ অভিনেতা আফরান নিশো। তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ৮ জুলাই সিরিজটি মুক্তি পাবে হইচইতে; বুধবার বিকেলে প্রকাশ পায় এর ট্রেইলার।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সিরিজের ট্রেইলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিচালক তানিম নূর বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই একটা গোয়েন্দা চরিত্র তৈরি করার ইচ্ছা ছিল। ছোটবেলায় তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা, ব্যোমকেশ পড়েছি। এগুলো তো পশ্চিমবঙ্গের চরিত্র। আমার ইচ্ছা ছিল ঢাকার একটা গোয়েন্দা চরিত্র তৈরি করার।’
তানিম আরও জানান, ২০১৪ সালে প্রথম কাইজার নাম দিয়ে দুই পৃষ্ঠা লিখেছিলেন। সেই ভাবনাটিই এবার আরও বড় পরিসরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন তিনি। জার্মান সম্রাটদের কাইজার বলা হয়, সেখান থেকেই নামটি নিয়েছেন পরিচালক।
কাইজার চৌধুরী পুলিশের এডিসি, তিনি হোমিসাইড ডিটেকটিভ। তিনি ভিডিও গেম অ্যাডিক্ট। হোমিসাইড ডিটেকটিভ হলেও তিনি রক্ত ভয় পান। অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন এবং ভিডিও গেম আসক্তির জন্য তার ব্যক্তিগত জীবন বিপর্যস্ত। ডিপার্টমেন্টেও তার খুব সুনাম নেই। কিন্তু ডিটেকটিভ হিসেবে তিনি প্রথম শ্রেণির। তার বুদ্ধিদীপ্ততার জন্যই তিনি এখনও চাকরিতে বহাল রয়েছেন।
পরিচালক তানিম নূরের মতো অনেকেই ফেলুদা, ব্যোমকেশ পড়েছেন। চরিত্র দুটি যেমন বুদ্ধিদীপ্ত, তেমন তারা কথায়, আচারে, স্বভাবে এবং পোশাকে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
কিন্তু কাইজারের এমন কী বৈশিষ্ট আছে, যা দেখলে মনে হবে তিনি ঢাকার গোয়েন্দা, জানতে চাইলে পরিচালক তানিম নূর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের জগৎ কিন্তু যা দেখি তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না। আমাদের চিন্তার বাইরেও অনেক মানুষজন আছে। আমার মনে হয়েছে আমার ক্যারেক্টার হোমিসাইড, গেম অ্যাডিক্ট, রক্ত দেখে ভয় পায়- এমন হলে ভালো লাগবে। আমার মনে হয় সিরিজটি রিলিজ হলে আরও কিছু পাওয়া যাবে, আপনারা বুঝতে পারবেন। খুব রেগুলার, সাদামাটা ও সাধারণ একজন হিসেবেই দেখানো হয়েছে কাইজারকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেমন বাস্তবতা দেখাই, তেমনি বাস্তবতা নতুন করে নির্মাণ করি, সেখানে আমার লিবার্টি আছে। ক্যারেক্টার গিটার বাজাতে পারে, ক্যারেক্টার রান্না ভালো করতে পারে।’
সিরিজে কাইজার একজন গোয়েন্দা বিভাগের চাকরিজীবী। ঢাকার একজন গোয়েন্দা চরিত্র শুধু গোয়েন্দা হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেতে পারত, তার চাকরি করার প্রয়োজন কেন হলো জানতে চাইলে তানিম বলেন, ‘প্রথমে আমি যখন ভেবেছিলাম তখন আমি প্রাইভেট ডিটেকটিভই পেয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশে প্রাইভেপ ডিটেকটিভের কিছু করার সুযোগ খুব কম। ফোর্সের মধ্যে থাকলে চরিত্রটির এক্সেসেবিলিটি অনেক বেড়ে যায়। যদি প্রাইভেট ডিটেকটিভ হয়, তাহলে তো অনেক ক্ষেত্রে সে এক্সেসই পাবে না।’
ওটিটিতে ডার্ক বা থ্রিলার ঘরানার গল্পের নির্মাণ বেড়েছে। সেখানে অনেক টেনশন, ওনেক রহস্য, অনেক ক্রাইসিস। কিন্তু আটপৌরে জীবন বা দেখা জীবন ও যাপনের গল্প অনেকটাই কম। এ সিরিজেও কাইজার চরিত্রটিকে অদেখা বৈশিষ্ট্যের মানুষ হিসেবে দেখানো হলো কি না জানতে চাইলে তানিম বলেন, ‘আমি আসলে এভাবে ভাবি না, গল্প বিভিন্ন রকমের হবে। সেটা রিয়েলিস্টক হবে, ফ্যান্টাসি হবে। আমি নিজে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হই। সেটা আমার নির্মাণে প্রভাব ফেলে।’
কাইজারের ছোটবেলার বন্ধু অম্লান (মোস্তাফিজুর নূর ইমরান) এবং তন্ময় (শঙ্খ জামান)। কাইজারের অনিয়ন্ত্রিত জীবনে অভ্যস্ত হতে না পেরে তার স্ত্রী শিরিন (শিমু) কাইজারকে ডিভোর্স দিয়ে অম্লানকে বিয়ে করে। এ ব্যাপারটি কাইজার মেনে নিতে পারেনি। কাইজারের মেয়ে নিকিতা (ঋদ্ধি) কাইজারকে ‘বাবা’ এবং অম্লানকে ‘আব্বু’ বলে ডাকে যা কাইজারের মেনে নিতে কষ্ট হয়।
গেমিং পার্টনার অনন্ত (সৌম্য জ্যোতি) কাইজারের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। কাইজারের অসংখ্য দোষ রয়েছে কিন্তু জীবনের গভীরে উঁকি দিলে দেখা যায় সেও একজন সংবেদনশীল মানুষ। গুলশানে একটি ফ্ল্যাটে প্রভাবশালী পরিবারের দুই তরুণীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই জোড়া খুনের রহস্য সমাধানের দায়িত্ব এসে পড়ে এডিসি কাইজারের ওপর। এ রকম একটি গল্প নিয়েই কাইজার সিরিজটি আবর্তিত হয়েছে।
এতে আরও অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শিশুশিল্পী ঋদ্ধি, দ্বীপান্বিতা মার্টিন, স্বাগতাসহ অনেকে।
ট্রেইলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে নিশো বলেন, ‘কাইজার চরিত্রটি দাবাং না, সুপারহিউম্যান না। সে সাধারণ। আপনারা তাকে সেভাবেই ভাববেন।’
সিরিজটি প্রযোজনা করেছে ফিল্ম সিন্ডিকেট।
আরও পড়ুন:বর্ডার হলো দুই দেশের সীমানা। এই সীমানা দিয়ে বৈধভাবে পার হয় মানুষ, গরু ও নানান দ্রব্যাদি। তেমনি আবার হয় মাদকসহ নানান দ্রব্যাদির চোরাচালান। এই চোরাচালানকে ঘিরে গড়ে ওঠে বেশ কিছু গ্যাং। আবার তাদের মাঝে ঘটে নানা ঘাত, প্রতিঘাত, সংঘাত।
সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু মানুষের জীবনচক্র নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা ‘বর্ডার’। এর ধারণা দিতে গিয়ে এভাবেই সিনেমাটিকে ব্যাখ্যা করেছে এর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।
সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৯ সেপ্টেম্বর। তার আগে প্রচারের অংশ হিসেবে প্রকাশ পেল সিনেমাটির ফার্স্ট লুক পোস্টার।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার ফেসবুক পেজ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করা হয় পোস্টারটি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সৈকত নাসির, কাহিনি আসাদ জামানের।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, অধরা খান, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধাসহ অসেকে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া হাওয়া সিনেমায় একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রদর্শন ও হত্যা করে খাওয়ার চিত্র দেখানো হয়েছে। এটি বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর লঙ্ঘন।
বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিশ্চিতভাবে আইনের লঙ্ঘন।’
অসীম মল্লিক জানান, তারা সিনেমাটি দেখেছেন। দেখেই এ মন্তব্য করছেন তিনি।
তাহলে এ নিয়ে হাওয়া সিনেমাসংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন, তা নিশ্চিত করে জানাননি তিনি। অসীম জানান, আইনের আওতায় থেকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অসীম বলেন, ‘সিনেমায় তো প্রথমেই বলা হয় যে সিগারেট মৃত্যু ঘটায়, বা সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তারপরও তো সিনেমার মধ্যে সে ধরনের দৃশ্য দেখানো হয়। এটা একটা সতর্কতা। এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো ঠিকঠাক যাচাই করে পরের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এদিকে হাওয়া সিনেমা দেখতে দর্শকদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ১২ আগস্ট থেকে দেখা যাবে দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে। যে সংখ্যা প্রথম সপ্তাহে ছিল ২৩ ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ছিল ৪১।
অস্ট্রেলিয়াতে সিনেমাটি প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে ১৪ আগস্ট থেকে। সেখানে ১৭টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:সিনেমার নাম সুনেত্রা সুন্দরম। এর পরিচালক কলকাতার শিবরাম শর্মা, প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী কলকাতার পার্নো মিত্র। তবে সিনেমাটি বাংলাদেশের। বিডি বক্স প্রোডাকশনের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন মাহমুদুর রহমান।
প্রযোজক নিউজবাংলাকে জানান, সুনেত্রা সুন্দরম বাংলাদেশের সিনেমা। এর দৃশ্যধারণ এখনও শুরু হয়নি। প্রথমে বাংলাদেশে হবে সিনেমার শুটিং, এরপর কলকাতাতেও শুটিংয়ের পরিকল্পনা আছে।
সিনেমাটি বাংলাদেশের, কিন্তু নির্মাতা, প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীরা কলকাতার কেন জানতে চাইলে প্রযোজক বলেন, ‘আমরা সিনেমাটিতে অভিনেত্রী মমকে কাস্ট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার শিডিউল পাওয়া যায়নি।
‘আর নির্মাতা শিবরামকে নেয়ার কারণ হলো, তার সঙ্গে আমি আমার ভাবনা শেয়ার করেছিলাম। তিনি আমাকে যে গল্প ও চিত্রনাট্য করে দিয়েছেন, তাতে আমি খুশি। তার একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা আমি দেখেছিলাম। সেটিও আমার ভালো লেগেছে।’
সুনেত্রা সুন্দরম সিনেমার দৃশ্যধারণ এখনও শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং এফডিসিতে সিনেমাটির কাজের জন্য আবেদন করা আছে বলে জানান মাহমুদুর রহমান।
সিনেমাটি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বেশ কিছু সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ২৩ মার্চে কলকাতায় শুরু হয়েছে সিনেমার শুটিং।
গল্পের ধারণা দিয়ে সেখানে বলা হচ্ছে, গল্প আবর্তিত হয়েছে এক নারী স্কলারকে নিয়ে। তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। ফলে তার প্রস্রাবের প্রয়োজন হয় ঘন ঘন। চেষ্টা করলেও চেপে রাখতে পারেন না।
সমস্যা হয় তখন, যখন অনেক জায়গায় অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায় না। এমন একটি সামাজিক অবস্থা নিয়ে এগিয়ে যায় সিনেমা।
সিনেমায় সুনেত্রা চরিত্রে অভিনয় করছেন পার্নো মিত্র। তার বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা সোমরাজ মাইতিকে। আরও আছেন রূপাঞ্জনা মিত্রসহ বাংলাদেশের কয়েকজন শিল্পী।
প্রযোজকের এটিই প্রথম সিনেমা নয়। এর আগে কানামাছি নামের একটি সিনেমা তিনি প্রযোজনা করেছেন। তার পরিকল্পনা দুটি সিনেমা পরপর মুক্তি দেয়ার।
অন্যদিকে নির্মাতা শিবরাম শর্মা মূলত কোরিওগ্রাফার। দেশের সিনেমা ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণে তিনি কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন:অমিতাভ রেজা পরিচালিত রিকশা গার্ল সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সিনেমাসংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) থেকে অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করেছে।
মূলত সেন্সর বোর্ডে সিনেমা জমা দেয়ার জন্য এফডিসি থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হয়। সিনেমা নির্মাণের জন্য এফডিসির কারিগরি সহায়তা নিয়ে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে কি হয়নি সেটাই এ অনাপত্তিপত্রে উল্লেখ থাকে।
রিকশা গার্ল সিনেমার অনাপত্তিপত্রে উল্লেখ আছে, চলচ্চিত্রটি এফডিসিতে তালিকাভুক্ত হয়ে এফডিসির কারিগরি সহায়তা গ্রহণ করেছে। চলচ্চিত্রটির কাছে এফডিসির কোনো পাওনা না থাকায় অনাপত্তি দেয়া হয়েছে সিনেমাটিকে।
অমিতাভ রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সিনেমাটি সেন্সরে জমা দেব জন্য অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করেছি। আমরা সিনেমাটি মুক্তি দিতে চাই।’
তবে কবে নাগাদ সিনেমাটি মুক্তি পেতে পারে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি অমিতাভ রেজা।
রিকশা গার্ল সিনেমার মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নভেরা রহমান, একটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। এতে আরও অভিনয় করেছেন চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্রসহ অনেকে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিনসের কিশোর সাহিত্য রিকশা গার্ল অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসিফ ফারুক আমিন ও শর্বরী জোহরা আহমেদ।
রিকশা গার্ল সিনেমাটি অমিতাভ রেজা পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা। এটি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নির্মিত হয়েছে। এটি প্রযোজনা করেছেন এনরিক জে অ্যাডামস।
এফডিসির অনাপত্তিপত্রে সিনেমাটির ব্যানার হিসেবে উল্লেখ আছে ‘মেসার্স রিকশা গার্ল দ্য মুভি বিডি’ এবং প্রযোজক হিসেবে রয়েছে এম এইচ এম শিহাব আহমেদের নাম।
আরও পড়ুন:দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী, প্রযোজক জয়া আহসান এবার তার মতামত জানালেন সিনেমার সেন্সর নিয়ে। তার মতে সেন্সর যেন চলচ্চিত্রের গলায় ফাঁসির মতো।
সম্প্রতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত সিনেমা শনিবার বিকেল এর মুক্তি নিয়ে সরব ফেসবুক। সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগে সিনেমাটি আটকে আছে সাড়ে তিন বছর ধরে। কেন সিনেমাটিকে সেন্সর দেয়া হচ্ছে না, তাও জানানো হয়নি আপিল বিভাগের পক্ষ থেকে।
বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক দিন দেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা আওয়াজ তুলেছেন ফেসবুকে। শনিবার বিকেল সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে সবাই লিখছেন ‘শনিবার বিকেল মুক্তি পাক’।
সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যায় শনিবার বিকেল সিনেমা নিয়ে লিখলেন জয়া আহসান। অভিনেত্রী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ লেখা পোস্ট করেন।
যেখানে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নানা দেশে যখন সেন্সর বোর্ড নামের বালাইটা উঠে যাচ্ছে, আমাদের দেশে সেটা তখন ফাঁসির রজ্জুর মতো চলচ্চিত্রের গলায় চেপে বসছে। এর সর্বশেষ শিকার এখন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর শনিবার বিকেল।
সিনেমার কাহিনিরও কি প্রেসক্রিপশন লাগবে? এমন প্রশ্ন রেখে জয়া বলেন, ‘কোনো চলচ্চিত্রের কাহিনি কী হবে, তারও কি এখন প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসতে হবে? চলচ্চিত্রের বিষয় আকাশের তলায় মাটির পৃথিবীর যেকোনো কিছু। চূড়ান্ত কল্পনা, নিরেট বাস্তব, বাস্তব থেকে অনুপ্রাণিত কল্পনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবারের বিকেল সিনেমায় হোলি আর্টিজানের শোচনীয় ঘটনাটির ছায়া আছে বলে? আসলেই আছে কি না আমার জানা নেই। যদি থাকেও, তাহলেইবা ছবিটা আটকে দেয়ার যুক্তি কী?’
আরও প্রশ্ন তুলে জয় লেখেন, ‘হোলি আর্টিজান ঘটেনি? আমাদের মন থেকে ধুয়েমুছে গেছে? সত্যি বলতে কি, এই ঘটনা কখনই আমাদের মন থেকে মুছে যেতে পারে না। মুছে যেতে দেয়া যায়ও না।
চলচ্চিত্রের মুক্তি দাবি করে জয়া বলেন, ‘যে ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা মোটেও চাই না, আমাদের ছেলেমেয়েদের সামনে থেকে যে পথ চিরকালের জন্য অবরুদ্ধ করে রাখতে চাই, হোলি আর্টিজানের ঘটনা তার জোরালো সতর্কঘণ্টা হিসেবে মন থেকে মনে বাজিয়ে যেতে হবে। ঘণ্টা বাজিয়ে ঘুম থেকে আমাদের মনটাকে জাগিয়ে তোলা তো চলচ্চিত্রেরই একটা কাজ। আমরা চলচ্চিত্রের মুক্তি চাই, সব শিল্পের মুক্তি চাই। কারণ আমরা মানুষের মুক্তি চাই।’
জানা যায়, গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশে সিনেমাটি এখনও প্রদর্শিত না হলেও মিউনিখ, মস্কো, সিডনি, বুসান, প্যারিসের ভেসুল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শনিবার বিকেল প্রদর্শিত হয়েছে এবং পুরস্কৃতও হয়েছে।
বাংলাদেশ, ভারত ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শনিবার বিকেল। প্রযোজনায় আরও আছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ছবিয়াল এবং ভারতের শ্যাম সুন্দর দে।
এতে অভিনয় করেছেন অস্কার মনোনীত ওমর সিনেমার অভিনেতা ইয়াদ হুরানি, নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, ইরেশ জাকের, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
আরও পড়ুন:১ থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে ভিউয়ের হিসাবে সেরা ৫ ইংরেজি সিরিজে প্রথমে উঠে এসেছে দ্য স্যান্ডম্যান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনোদন সাইট ভ্যারাইটি জানিয়েছে, সিরিজটি প্রথম তিন দিনেই দেখা হয়েছে ৬৯.৫ মিলিয়ন ঘণ্টা।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কিপ ব্রিথিং; এটি দেখা হয়েছে ৫৪.৭ মিলিয়ন ঘণ্টা। পরের অবস্থানগুলোতে আছে ভার্জিন রিভার (৩য়), স্ট্রেঞ্জার থিংস ৪ (চতুর্থ) এবং মেনিভেস্ট সিজন ১।
ইংরেজি ভাষার সিরিজ নয়, এমন সিরিজগুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান সিরিজ এক্সট্রাঅর্ডিনারি অ্যাটোর্নি উ। ৫ সপ্তাহ ধরে নেটফ্লিক্সে থাকা সিরিজটি দেখা হয়েছে ৬৭ মিলিয়ন ঘণ্টা।
দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম অবস্থানে আছে তুর্কির অ্যানাদার সেলফ: সিজন ১, কলাম্বিয়ান হিডেন প্যাশন: সিজন টু, দক্ষিণ কোরিয়ান অ্যালকেমি অফ সউলস: সিজন ১ এবং স্প্যানিশ সিরিজ অ্যালবা।
ইংরেজি সিনেমাগুলোর মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে নেটফ্লিক্সে থাকা পার্পেল হার্টস রয়েছে ভিউয়ের দিক থেকে শীর্ষে। সিনেমাটি দেখা হয়েছে ১০২.৫৯ মিলিয়ন ঘণ্টা। ৩ সপ্তাহ ধরে নেটফ্লিক্সে থাকা দ্য গ্রে ম্যান রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। প্রথম স্থানের চেয়ে সিনেমাটির ভিউ টাইম অনেক কম। এটি দেখা হয়েছে ৩৮.৯ মিলিয়ন ঘণ্টা।
তৃতীয় থেকে পঞ্চম অবস্থানে আছে আনচার্টেড, উইডিং সিজন এবং দ্য সি বিস্ট।
ইংরেজি নয় এমন সিনেমার মধ্যে প্রথম স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমা কার্টার। এট দেখা হয়েছে ২৭.৩ মিলিয়ন ঘণ্টা। ডোন্ট ব্লেম কার্মা!, রিকারেন্স, ডার্লিং এবং দ্য এনটাইটেল্ড আছে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চমে।
আরও পড়ুন:একই ইউনিভার্সিটি থেকে পরপর তিনজন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। কেউ একজন টার্গেট করছে তরুণীদের। মঞ্জুর ধারণা, তার পছন্দের মানুষ লাবণীও হতে পারে অপহরণের শিকার। কিন্তু শুধু ধারণার ওপর ভর করে মঞ্জু কি বাঁচাতে পারবে লাবণীকে?
এমন এক ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিনেমা শুক্লপক্ষ। ১১ আগস্ট রাত ৮টায় চরকিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ভিকি জাহেদ পরিচলিত কনটেন্টটি। বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্লপক্ষর মূল চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম খাইরুল বাসার। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও শুক্লপক্ষ দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। হিংসা, প্রেম, অসহায়ত্ব, ক্ষমতা বা বর্বরতার এক দারুণ দ্বান্দ্বিক উপস্থাপন আছে এই গল্পে। আমার ধারণা, দর্শকরা গল্পের প্রতি পৃষ্ঠায় বিস্মিত হবেন। দর্শক টুইস্টের ঘোরপ্যাঁচে জড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করুক। আমি আন্তরিকভাবে আশা করছি, তারা হতাশ হবেন না।’
শুক্লপক্ষ সুনেরাহ বিনতে কামালের প্রথম ওয়েবফিল্ম। কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুক্লপক্ষর স্ক্রিপ্ট পড়েই কাজ করার আগ্রহ জন্মেছিল। ভিকি জাহেদের থ্রিলার মানেই তো অন্যরকম কিছু। ওনার কাজ আমার বরাবরই ভালো লাগে। সেই সঙ্গে আমার কো-আর্টিস্ট যারা ছিলেন তারা সবাই তাদের চরিত্রগুলোর সঙ্গে জাস্টিস করেছেন।’
সিনেমাতে সুনেরাহকে অনেকগুলো লুকে দেখা যাবে। যেটা তার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানান সুনেরাহ। জঙ্গলেও সিনেমাটির শুটিং হয়েছে।
সুনেরাহ বলেন, ‘পোকার আক্রমণে পুরো নাজেহাল অবস্থা ছিল আমার। সবকিছু অনেক কষ্টে সামলে নিয়ে কাজটি করেছি। শুধু এটুক বলতে পারি, দর্শকরা ট্রেইলার দেখে যা ধারণা করছেন তা মুহূর্তেই পাল্টে যাবে, এক কথায় কাজটি সবার কাছে ভালো লাগবে।’
চরকিতে এটি জিয়াউল রোশানেরও প্রথম ওয়েবফিল্ম। তিনি বলেন, ‘ভিকির সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। দর্শকরা ভিকির কাজ দেখার জন্য অপেক্ষা করে আছে। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দুর্দান্ত কাজ করেছি। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা।’
ভিকি জাহেদ বলেন, 'আমার অন্য কাজগুলা থেকে শুক্লপক্ষ বেশ ভিন্ন। জনরাটা থ্রিলার। শুক্লপক্ষর শেষটা দর্শককে খুব ভালোভাবে চমকে দেবে এই বিশ্বাস আমার আছে। অডিয়েন্সের সাথে আমি সব সময় ক্যাট অ্যান্ড মাউস গেম খেলতে পছন্দ করি। কারণ এই গল্পের শেষটা আগে থেকে ধারণা করা খুব কঠিন।’
ওয়েবফিল্মের অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, আব্দুল্লাহ সেন্টুসহ অনেককে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য