× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Shubh Das the son of Chittagong on the stage of Sa Re Ga Ma Pa
google_news print-icon

চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ যেভাবে ‘সা রে গা মা পা’র মঞ্চে

চট্টগ্রামের-ছেলে-শুভ-দাশ-যেভাবে-সা-রে-গা-মা-পার-মঞ্চে
সা রে গা মা পা এর মূল পর্বে চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ। ছবি: সংগৃহীত
আমি সা রে গা মা পা-তে যখন প্রথম যাই, অডিশনে যখন প্রথম ঢুকি, সবার সঙ্গে যখন দেখা হয়, আমি একটু অবাক হয়েছি। আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকার কারণে আমার গান অনেকেই শুনেছে আগে। তারা আমাকে চিনতে পেরেছে, আমাকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখে একটু অবাক হয়েছে। ওরা যে আমাকে চিনতে পেরেছে- এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।

চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ। আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করলেও আছেন গান নিয়ে। ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সা রে গা মা পা’র মূল পর্বে সুযোগ পেয়েছেন শুভ। এবারের আসরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন শুভ একাই। সা রে গা মা পায় যাত্রা নিয়ে শুভর সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার।

আপনি কি ছুটিতে এসেছেন? কয়দিনের ছুটি? ভারতে আপনার সঙ্গে কি কেউ থাকছেন, বা পরিচিত জন কেউ আছেন?

সা রে গা মা পা’র গ্র্যান্ড অডিশনে আমি সিলেক্টেড হয়ে মূল পর্বে আছি এখন। এর জন্য আমি একাই গিয়েছি ওখানে। আত্মীয়স্বজন অনেকেই আছেন, কিন্তু সা রে গা মা পাতেই থাকতে হচ্ছে আমার। মূল পর্বে ওঠার পর কিছুদিন দেশে ছুটিতে এসেছি।

মূল পর্বে আপনার সঙ্গে কয়জন আছেন? কেমন লাগছে তাদের সঙ্গে?

২১ জনকে নিয়েই শুরু হবে মূল পর্ব। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তো আছেই, অনেকে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। বাংলাদেশ থেকে আমি একাই। ওরা আমাকে খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। ওদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে, আমার বেশ কয়েকজন ভালো বন্ধুও হয়েছে ওখানে। সবার সঙ্গে আড্ডা, গান চলেছে। যেহেতু এটা একটা গানের রিয়্যালিটি শো, গান তো সবার আগেই। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা হয় নিজেদের মধ্যে। আমার দেশকে নিয়ে আলোচনা হয়, যেহেতু আমি চট্টগ্রামের ছেলে, চট্টগ্রাম নিয়ে আলোচনা হয়। ওরা খুব আগ্রহী আমার দেশের বিষয়ে জানতে। আমি যে এবার যাব, ওদের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে যাব। ওরা অপেক্ষায় আছে, কখন ফিরব, কখন দেখা হবে। সবার সঙ্গে সুন্দর একটা রসায়ন হয়েছে।

বিচারকেরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন আপনাকে। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী আপনাকে একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন, বলেছিলেন অলংকরণগুলো পরিষ্কার করে নিতে। সেগুলো করছেন নিশ্চয়ই।

এবারের সা রে গা মা পাতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ পদ্মভূষণ পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তিনি মহাগুরু হিসেবে আছেন। এটা আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। বিচারক হিসেবে তো অনেকেই আছেন, শান্তনু মৈত্র, রিচা শর্মা ও শ্রীকান্ত আচার্য্য। ওনারা খুব সম্মানিত এবং পূজনীয় ব্যক্তিত্ব।

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী থাকার কারণে অনুষ্ঠানের রংটাই বদলে গেছে। উনি আমার গান আর হারমোনিয়াম শুনে খুব খুশি হয়েছেন এবং আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমি যেন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে গাইতে পারি, অলংকরণগুলো যাতে আরও পরিষ্কার হয়, উনি সেই পরামর্শটুকু আমাকে দিয়েছেন।

বিচারকরা তো সবাইকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেনই। ওখানে যারা আছেন, ভালো গায় বলেই সুযোগ পেয়েছেন, সবাই স্ট্রেস নিয়ে কতটা কনফিডেন্টলি গাইতে পারে সেই জিনিসটা বিচারকরা নিশ্চিত করছেন।

চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ যেভাবে ‘সা রে গা মা পা’র মঞ্চে
সা রে গা মা পা-এর প্রচারণায় শুভর ছবি। ছবি: সংগৃহীত

আপনাকে মান্না দে ও অখিল বন্ধু ঘোষের গান গাইতে শোনা গেছে। আগামী পর্বগুলোতে আপনাকে আরও অন্য ধরনের গান গাইতে শোনা যাবে কি না। যেমন সিনেমার গান, ব্যান্ডের গান।

আমি আপাতত আমার জনরার গানই গাইছি। বেশ কিছুদিন এটা গাইব। যদি ওনারা আমাকে ভেঙে অন্য কিছু করাতে চান, যেমন আমার দেশের লোকসংগীত, বিভিন্ন কিংবদন্তি শিল্পীদের গাওয়া বিখ্যাত কিছু গান আছে, ওই গানগুলো যদি আমাকে দেয়া হয়, অবশ্যই আমি প্রস্তুত থাকব। এটা আমি খুব সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করব।

সা রে গা মা পায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত কবে নিলেন এবং যেতে চাইলেন কেন?

সা রে গা মা পা আমি অনেক দিন ধরে দেখি, আমাদের দেশে খুব জনপ্রিয়। সবাই অনুষ্ঠানটি দেখে এবং দেখার কারণে এই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ভক্ত তৈরি হয়েছে। আমারও ইচ্ছে ছিল অনেক দিন থেকে, সা রে গা মা পা-তে কখনও যদি নিজেকে উপস্থাপন করতে পারি। সেই ইচ্ছাটা থেকেই সেখানে যাওয়া। মাঝে একটি সুযোগ আসে। আমাকে প্রাথমিক অডিশনে ওনারা সিলেক্ট করেন বাংলাদেশ থেকে। শুরুতে অনলাইনে একটি অডিশন দিই। ওখানে গিয়ে আরেকটি অডিশন দিই। পরে গ্র্যান্ড অডিশনের জন্য সিলেক্ট হই। এভাবেই সা রে গা মা পা-তে আসা।

প্রত্যেক শিল্পীর ইচ্ছে থাকে, বড় কোনো মঞ্চে নিজেকে দাঁড় করাতে পারলে একটু বেশি মানুষের কাছে যাওয়া যায়, পরিচিতি পাওয়া যায়। এটা সা রে গা মা পা-তে যাওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ।

আপনাকে ইউটিউবে পাওয়া যায়। আমরা ধারণা করি, আপনি স্টেজ শো বা প্রাইভেট শো করে থাকেন। ভিডিও দেখে তাই মনে হয়। সংগীতই কি আপনার পেশা?

আমার পড়াশোনা আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর। এখন পর্যন্ত নিজেকে আইন পেশায় জড়াইনি। গানটাই আমার পেশা হিসেবে আছে। অনেক দিন থেকে পেশাদারভাবে গানটাই করে যাচ্ছি এবং এটার কারণে প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি, আগেও পেয়েছি, আশা করছি ভবিষ্যতেও পাব। কারণ আমি একটা কথাই বিশ্বাস করি, সংগীতের মতো আর কিছু নেই, যার মাধ্যমে এত সহজে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়৷ সে জন্য আমি গানটাকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই৷ এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ যেভাবে ‘সা রে গা মা পা’র মঞ্চে
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করছেন শুভ দাশ। ছবি: সংগৃহীত

আপনাকে কাভার করতেই দেখা যায় বেশি। আপনার কি কোনো মৌলিক গান আছে বা করার চেষ্টা করছেন?

একজন শিল্পীর কাছে সবচেয়ে বড় হলো তার মৌলিক সৃষ্টি। শিল্পী বেঁচে থাকে তার নিজের গান দিয়ে। আমারও সে রকম একটা ইচ্ছে আছে। এতদিন পর্যন্ত আমি বিভিন্ন শিল্পীর গান করে আসছি। আমার মৌলিক গানও আছে ইউটিউবে। আমি বেশ কয়েকটা গানের কাজ হাতে নিয়েছি। যে গানগুলো নিয়ে সা রে গা মা পা’র পরে দর্শকদের সামনে হাজির হব।

কোনো চাকরির পাশাপাশি গানবাজনা করতে পারতেন, তেমনটা করলেন না কেন?

আসলে গানটা ছোটবেলা থেকেই আমার রক্তে মিশে আছে। এটা নিয়ে আমার একটা পরিকল্পনা ছিল যে আমি এটা নিয়ে এগিয়ে যাব। যতদিন বেঁচে থাকব গানটা করেই যাব।

পেশার বিষয়টা বলতে গেলে আমি কিছুদিন চেষ্টা করেছিলাম অন্য পেশায় নিজেকে জড়াতে৷ কিন্তু দেখলাম যে অন্য কোনো পেশায়, চাকরি বলেন বা আইন পেশা বলেন, যা-ই বলেন না কেন, এসব পেশায় থেকে গানটা করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছিল আমার জন্য। এ জন্য আমি গানটাতেই আছি। পড়াশোনা করেছি আইনে, তাই আইন পেশায় আমি চাইলে আজও যেতে পারি, কালও যেতে পারি, সেটা কোনো বিষয় না। কিন্তু আমি গানটাকে নিয়েই থাকতে চাই সারা জীবন।

আপনি গান শিখেছেন কার কাছে?

গান শেখাটা শুরু হয় আমার ৬ থেকে ৭ বছর বয়সে। ঘরেই মায়ের হাতে আমার গানের হাতেখড়ি। পরবর্তী সময়ে আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, তখন থেকে আমার ভেতর শিল্পী হওয়ার একটা বাসনা জাগে। এর পর থেকেই আমি গানটা সিরিয়াসলি শুরু করি। শহরে আসি উচ্চ মাধ্যমিকের পর। গুরুজি স্বর্ণময়ী চক্রবর্তীর কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতে দীর্ঘদিন তালিম নিয়েছি৷ এরপর আমি কলকাতায় যাই এবং বিখ্যাত সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী গৌতম ঘোষালের কাছে এখন তালিম নিচ্ছি।

এর মধ্যে আমি দেশের অনেক নামকরা অনুষ্ঠানে, টেলিভিশন শো, বিভিন্ন করপোরেট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। প্রচুর প্রশংসিত হয়েছি, আমার একটা শ্রোতামহল তৈরি হয়েছে৷

গানের ক্ষেত্রে পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছিল আমার ওপর। আমার বাবা, কাকা, মা সবাই আমাকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন।

চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ যেভাবে ‘সা রে গা মা পা’র মঞ্চে
নিউজবাংলা সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শুভ দাশ। ছবি: সংগৃহীত

পরিবারে কে কে আছে আপনার?

আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাবারা দুই ভাই৷ আমার কাকা-কাকিমা আছেন। তাদের দুজন মেয়ে আছে। আমরা তিন ভাইবোন। আমি সবার বড়, ছোট দুজন বোন, তারা পড়াশোনা করছে। আর বাবা-মা তো আছেনই৷ আমাদের পরিবারের সবাই খুব সংগীত অনুরাগী। গানের ভেতর দিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। আমার পরিবারে সংগীত চর্চাটা হয়৷ আমার বোনেরাও গানের চর্চা করে। আমার ছোটটা গান করে। অন্যজন নৃত্য শেখে।

চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ যেভাবে ‘সা রে গা মা পা’র মঞ্চে
সা রে গা মা পা থেকে ছুটিতে এসে পরিবারের সঙ্গে শুভ দাশ। ছবি: সংগৃহীত

সা রে গা মা পা আপনাকে মূল্যায়ন করার মাধ্যমে একটা ভালো অবস্থান দিতে পারবে বলে মনে হয়?

আমি মনে করি যারা সা রে গা মা পার মঞ্চে গান করছেন, প্রত্যেক শিল্পীকেই তারা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেবে। যাতে করে আর পেছনে তাকাতে হবে না।

সেরাটা যদি আমি দিতে পারি, সর্বোচ্চটা দিয়ে যদি ওখানে টিকে থাকতে পারি, অবশ্যই আমি একটা অবস্থান পাব।

সা রে গা মা পা-তে এখন পর্যন্ত কোন জিনিসটাকে মনে হচ্ছে যে অভিজ্ঞতাতে যুক্ত হলো বা কোন জিনিসটা অভিজ্ঞতা বাড়াল?

সত্যি কথা বলতে গানটা আমি একরকম করে আসছি, সা রে গা মা পা-তে যাওয়ার পর একটা বিষয় বুঝতে পারলাম যে গানটা শেখার আরও অনেক কিছু আছে। যতদিন সেখানে থাকব, ওখানে আমি যা শিখব, তা এমনি এমনি আগামী বিশ বছরেও পাব না। ওখানে শুধু গান নয়, জীবনদর্শনটাও আমরা শিখছি।

চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ যেভাবে ‘সা রে গা মা পা’র মঞ্চে
টিভি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করছেন শুভ দাশ। ছবি: সংগৃহীত

সেটের পরিবেশ কেমন? বিদেশ হলে সেখানেও সবাই বাঙালি, মানিয়ে নিতে কোনো অসুবিধে হয়েছে?

যেহেতু পার্শ্ববর্তী দেশ, কলকাতায় এর আগেও আমি বহুবার গিয়েছি বিভিন্ন কারণে এবং আমি ওখানে তালিম নিয়েছি সংগীতের। আমার গুরুজি গৌতম ঘোষের কলকাতায়। আমার খুব বেশি বাইরে আছি বলে মনে হচ্ছে না। ভালো আছি, ওয়েদারটা সেম, আমাদের চেয়ে খুব বেশি ব্যবধান কিছু নেই ৷ খাবার-দাবার, সবকিছু একই। খুব বেশি আমার মনে হচ্ছে না যে আমি দেশের বাইরে আছি।

আপনি শুরুর দিকে বলেছিলেন প্রতিযোগীদের কেউ কেউ আপনাকে চিনত, আপনার গান শুনত ইউটিউবে। বিষয়টা কেমন লেগেছে?

আমি সা রে গা মা পা-তে যখন প্রথম যাই, অডিশনে যখন প্রথম ঢুকি, সবার সঙ্গে যখন দেখা হয়, আমি একটু অবাক হয়েছি। আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকার কারণে আমার গান অনেকেই শুনেছে আগে। তারা আমাকে চিনতে পেরেছে, আমাকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখে একটু অবাক হয়েছে। ওরা যে আমাকে চিনতে পেরেছে- এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। ওদের সাথে বন্ধুত্বটা আরও সহজে হয়ে গেছে আমার।

সংগীতে আপনি কাকে অনুসরণ করেন?

শ্রদ্ধেয় মান্না দের গানই আমি বেশি করে থাকি। উনি আমার গানের ঈশ্বর। ওনাকে আমি অনেক ছোটবেলা থেকে ফলো করে আসছি। পাশাপাশি ভারতে যিনি আমাদের মহাগুরু হিসেবে আছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওনার গানও মাঝে মাঝে আমি করে থাকি৷

আমাদের বাংলাদেশের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী শ্রদ্ধেয় নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, সুবীর নন্দী, তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎসহ অনেকেই আছেন যাদের গান আমি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। বলতে গেলে সবাই আমার গুরুস্থানীয়।

আরও পড়ুন:
সারেগামাপার অডিশন পর্বে দেশের শুভ দাশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
I went to Bangla the artist of singing in Bengal Pratul Mukhopadhyay

চলে গেলেন ‌‘আমি বাংলায় গান গাই’য়ের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

চলে গেলেন ‌‘আমি বাংলায় গান গাই’য়ের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ছবি: বেঙ্গল ফাউন্ডেশন
প্রতুলের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের প্রখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই, যার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শনিবার তার মৃত্যু হয়।

গত সপ্তাহ থেকেই এ শিল্পী হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই স্নায়ু এবং নাক-কান ও গলা বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা হয় তার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, প্রতুলের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে শিল্পীর ফুসফুসেও সংক্রমণ দেখা দেয়। দ্রুতই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।

প্রতুলের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।

বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাবা ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। শৈশব থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল তার।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এ ছাড়া সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য শিল্পী ছিলেন তিনি।

তার মতে, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবল তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-সৌদি শ্রম ও অভিবাসন সম্পর্ক জোরদার হবে: আসিফ নজরুল
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিকল্পনা তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির
তিনজনকে বাদ দিয়ে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের নতুন তালিকা
পরিবেশ সুরক্ষার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু অ্যাক্ট বাংলাদেশের
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের

মন্তব্য

বিনোদন
Concert Thursday to commemorate Shafin Ahmed

শাফিন আহমেদ স্মরণে কনসার্ট বৃহস্পতিবার

শাফিন আহমেদ স্মরণে কনসার্ট বৃহস্পতিবার ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। ফাইল ছবি
আয়োজকরা জানান, শুরুতে শাফিন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি কনসার্টের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু পবিত্র শবে বরাতের কারণে তা এক দিন এগিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ স্মরণে বর্ণাঢ্য এক লাইভ কনসার্টের আয়োজন করা হচ্ছে।

দেশীয় ব্যান্ডগুলো গানে গানে শ্রদ্ধা জানাবে সংগীতশিল্পীকে।

‘শাফিন আহমেদ: ইকোস অব আ লিজেন্ড’ শিরোনামের কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও লিঙ্ক রোডের আলোকিতে। সেখানে শাফিনের গাওয়া কালজয়ী গানগুলো শোনাবে তার সাবেক ব্যান্ড মাইলসের সদস্যরা।

এ ছাড়াও কনসার্টে পারফর্ম করবে দেশের প্রথম সারির ব্যান্ড ফিডব্যাক, দলছুট, আর্টসেল ও অ্যাভয়েড রাফা ও শাফিন আহমেদের ছেলে য়াজরাফ অজি।

গানের পাশাপাশি এ আয়োজনে আরও থাকছে শাফিন আহমেদের ঘটনাবহুল জীবন ও সংগীত ক্যারিয়ার নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী। এ ট্রিবিউট কনসার্টের আয়োজন করেছে ভেলভেট ইভেন্টস।

আয়োজকরা জানান, শুরুতে শাফিন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি কনসার্টের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু পবিত্র শবে বরাতের কারণে তা এক দিন এগিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাত ৯টায় শুরু হবে কনসার্ট। সন্ধ্যা ছয়টায় দর্শকের জন্য খুলে দেওয়া হবে ভেন্যুর দরজা।

এ কনসার্ট আয়োজন চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। দর্শক টিকিট কেটে আয়োজনটি উপভোগ করতে পারবেন।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বেশ কয়েকটি কনসার্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে দ্বিতীয় কনসার্টের দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর সেখান থেকে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।

দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২৪ জুলাই মারা যান শিল্পী কমল দাশগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন আহমেদ।

আরও পড়ুন:
বাবার কবরে সমাহিত হলেন শাফিন আহমেদ
শাফিন আহমেদের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে
শাফিনের মরদেহ দেশে আসছে বিকেলে, দাফন মঙ্গলবার
ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যু
মস্কোয় হামলার ঘটনায় যা বললেন পুতিন

মন্তব্য

বিনোদন
Sabina Yasmin fell on stage to sing

গান গাইতে গাইতে মঞ্চে লুটিয়ে পড়লেন সাবিনা ইয়াসমিন

গান গাইতে গাইতে মঞ্চে লুটিয়ে পড়লেন সাবিনা ইয়াসমিন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। ছবি: ইউএনবি
সংগীতশিল্পী দিঠি আনোয়ার বলেন,‘কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী তার পরিবেশনা চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন এবং মঞ্চেই পড়ে যান। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ইউনাইটেড হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এই মুহূর্তে তার চিকিৎসা চলছে। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।’

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে শুক্রবার ‌‘আমাদের সাবিনা ইয়াসমিন: আমি আছি থাকব’ অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে মঞ্চে অুসুস্থ হয়ে পড়েন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানটির এক বছরের বিরতির পরে মঞ্চ পবিরেবশনায় ফিরে এসেছিলেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সংগীতশিল্পী দিঠি আনোয়ার বলেন,‘কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী তার পরিবেশনা চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন এবং মঞ্চেই পড়ে যান। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ইউনাইটেড হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এই মুহূর্তে তার চিকিৎসা চলছে। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।’

দিঠি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দুই-এক দিনের মধ্যেই বাসায় ফিরবেন জনপ্রিয় এ গায়িকা।

গতকালের অনুষ্ঠানটিতে কিংবদন্তি গায়িকা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মঞ্চে ফিরে এসেছিলেন। কারণ তিনি সিঙ্গাপুরে তার নিয়মিত চিকিৎসার কারণে এক বছর ধরে এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি।

দৈনিক প্রথম আলোকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ শিল্পী জানান, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরপর চার মাসে ৩০ সেশন রেডিওথেরাপি দিতে হয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে বেশ কয়েকটি স্টেজ শো করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর তাকে আর মঞ্চে পারফর্ম করার জন্য পাওয়া যায়নি।

আয়োজকরা জানান, শনিবারও একই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল সাবিনার। এরপর চট্টগ্রামে আরেকটি শোতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।

আরও পড়ুন:
সনাতন মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ ডিবি হেফাজতে 
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবিনা ইয়াসমীন
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, জোনায়েদ সাকিসহ আহত ৫০
ইশরাত নিশাত ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ পেল এক্টোম্যানিয়া
শিল্পকলায় ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ শনিবার

মন্তব্য

বিনোদন
Vocalist Kanakchampa next to cool people

শীতার্ত মানুষের পাশে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা

শীতার্ত মানুষের পাশে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা নিজ উপজেলা কাজিপুরের চালিতাডাংগা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে উপস্থিত হয়ে শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দেন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ছবি: নিউজবাংলা
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, ‘একজন মানুষের জন্য একটি কম্বল সাধারণ ব্যাপার। তাদের জন্য এ শীতে কষ্ট লাগবের জন্য আরও কিছু করতে পারলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। সারা দেশের মতো সিরাজগঞ্জে শীতের শুরুতে যমুনা নদীর পাড়ের অবস্থিত গ্রামগুলো শীতে কাঁপছে। এ কারণে বেড়েছে গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ।’

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের শীতার্ত মানুষের মধ্যে শনিবার প্রায় দুই হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে চালিতাডাংগা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে উপস্থিত হয়ে শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দেন এলাকার সন্তান বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, ‘একজন মানুষের জন্য একটি কম্বল সাধারণ ব্যাপার। তাদের জন্য এ শীতে কষ্ট লাগবের জন্য আরও কিছু করতে পারলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। সারা দেশের মতো সিরাজগঞ্জে শীতের শুরুতে যমুনা নদীর পাড়ের অবস্থিত গ্রামগুলো শীতে কাঁপছে। এ কারণে বেড়েছে গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ।

‘এলাকার গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষ শীতের তীব্রতায় কষ্ট পাচ্ছেন। তাই তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। একজন মানুষ হয়ে আর একজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব।’

শীতার্ত মানুষের পাশে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা

ওই সময় সমাজের সব বিত্তবান মানুষকে অসহায় শীতার্ত নারী-পুরুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

কম্বল পাওয়া মহেলা বেওয়া বলেন, ‘তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডায় যখন কাহিল আমরা, এই সময়ে কম্বল আমাগো খুব উপকার করল। এই শীতে কম্বল গায়ে দিয়ে একটু আরামে ঘুমাতে পারব।

‘শীতে কম্বল দিয়ে অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করছে আমাগো গ্রামের মেয়ে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা।’

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাল মিয়া, উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম খোকন, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস (সবুর), লক্ষ্মীপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী কামরুল হাসান তরু, তার মেয়ে কামরুন্নাহার তনুসহ অনেকে।

আরও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে অটোরিকশায় মাইক্রোর ধাক্কা, পাঁচজন নিহত
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, তিনজন নিহত
সিরাজগঞ্জে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ হত্যা
কাজিপুরে নির্মাণ শেষের আগেই ‘মুজিব কিল্লা’য় ভাঙন
বন্যা: সিরাজগঞ্জে গোখাদ্যের সংকট তীব্র

মন্তব্য

বিনোদন
Ekushey medalist singer Papia Sarwar passed away

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। ছবি: ইউএনবি
চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এ শিল্পী, যার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম।

তিনি জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শিল্পীর দাফন সম্পন্ন হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া। গত মাসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এ শিল্পী, যার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

পাপিয়া সারোয়ার ১৯৫২ সালের ২১ নভেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রসংগীত অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন।

বেতার ও টিভিতে ১৯৬৭ সাল থেকে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন পাপিয়া। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান।

দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া সারোয়ার। তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ ও গায়কীর প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে।

আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।

সংগীতবোদ্ধাদের মতে, আধুনিক গান বাছাইয়ে বেশ সচেতন ছিলেন বলে তার অ্যালবামের সংখ্যা কম। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশ হয় ২০১৩ সালে।

পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পান একুশে পদক।

আরও পড়ুন:
পাপিয়ার জামিন স্থগিতই থাকছে
আমি গোপনে বিয়ে করার মতো মানুষ নই: লিজা
রাজপথে তারকারা
ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার
ভাওয়াইয়া শিল্পী নাদিরা বেগম গুরুতর অসুস্থ

মন্তব্য

বিনোদন
Artist Baby Nazneen is returning home on Sunday

শিল্পী বেবী নাজনীন দেশে ফিরছেন রোববার

শিল্পী বেবী নাজনীন দেশে ফিরছেন রোববার সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। ছবি: বাসস
সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। 

যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে রোববার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নামী সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন।

বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে পেশাগত কাজকর্মে বারবার বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয় বেবী নাজীনের সংগীতজীবন।

বাংলাদেশ বেতার-টিভি-মঞ্চ কোনো মাধ্যমেই বেবী নাজনীন স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেননি। একপর্যায়ে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হন তিনি।

দেশের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছেও সমাদৃত হন বেবী নাজনীন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এ শিল্পী।

সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি।

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে, বাপ্পি লাহিড়ী, কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূর্তির সঙ্গেও একাধিক অডিও অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার।

বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণির তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন দেশের চলচ্চিত্র, অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দেন।

আরও পড়ুন:
‘সরলতার প্রতিমা’র গায়ক খালিদ মারা গেছেন
সরকারের স্বীকৃতি চান দারুশিল্পী নরেশ
আমি গোপনে বিয়ে করার মতো মানুষ নই: লিজা
রাজপথে তারকারা
ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার

মন্তব্য

বিনোদন
Cancellation of Khasam permission in favor of flood regulation

বন্যার ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে খাসজমির অনুমতি বাতিল

বন্যার ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে খাসজমির অনুমতি বাতিল সংগীত বিদ্যালয় সুরের ধারার একটি কক্ষ। ছবি: ফেসবুক পেজ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে ঢাকার লালমাটিয়ায় বন্দোবস্ত দেয়া খাসজমির অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।

পত্রে বলা হয়, এ জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তে সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পক্ষে অনুমোদিত হয়েছিল। জমিটি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার রামচন্দ্রপুর মৌজায় অবস্থিত।

এতে উল্লেখ করা হয়, বাতিল হওয়া জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত, যার দাগ নম্বর সিএস ও এসএ-৬৯২, আরএস-১৮৯৫, সিটি-১১৬৬৭ এবং ১১৪১২। মোট জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক পাঁচ এক দুই শূন্য একর। এ জমির সিএস ও আরএস রেকর্ডে ‘খাল’ হিসেবে শ্রেণিকরণ থাকার কারণে এ বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ
বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
নির্বাচনে বিলম্ব হলে দেশ সংকটে পড়বে: মানবজমিন সম্পাদক
শেরপুরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, তিনজনের মৃত্যু
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের

মন্তব্য

p
উপরে