একাধিক ভাষায় প্রকাশ পেল কিচ্চা সুদীপ এবং জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা বিক্রান্ত রোনার ট্রেইলার।
ট্রেইলারে অনুমান করা যায়, গল্পটি রহস্যজনক বলে মনে হয়। একটি আজব গ্রামের ঘটনা নিয়ে মোড়া এর গল্প। যে গ্রামের মানুষ ভয়ংকর কোনো কাহিনিকে আড়াল করতে চাচ্ছেন, কিন্তু নিজের ভয় আড়াল করতে পারছেন না।
আর সেই ভয় দূর করতে আগমন ঘটে পুলিশ ইন্সপেক্টর চরিত্রে অভিনয় করা কিচ্চা সুদীপের। তার আগমনে কাহিনি মোড় নেয় অন্যদিকে। দুর্দান্ত ভিজ্যুয়াল, অ্যাকশন ও রোমাঞ্চকর একটি ট্রেইলার।
হিন্দি ভাষায় এর ট্রেইলার লঞ্চ করেন সালমান খান। একই সঙ্গে তামিল ভাষায় ধানুশ, মালয়ালমে দুলকার সালমান, তেলেগুতে রাম চরণ এবং কন্নড় ভাষায় এটি প্রকাশ করেন কিচ্চা সুদীপ।
নেটিজেনরা বিক্রান্ত রোনার ট্রেইলার দেখে উচ্ছ্বসিত এবং এটি কন্নড় সুপারস্টার সুদীপের সবচেয়ে বিগ বাজেটের চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি।
অনুপ ভান্ডারির পরিচালনায় এতে আরও অভিনয় করেছেন রবিশঙ্কর গৌড়া, নিরুপ ভান্ডারি, মধুসূদন রাও এবং বাসুকি বৈভবসহ অনেকে। এটি প্রযোজনা করেছে সালমান খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সালমান খান সালমান খান ফিল্মস।
থ্রিডি এই সিনেমাটি কন্নড়, তামিল, তেলেগু, মালয়লাম, হিন্দি, আরবি, জার্মান, রাশিয়ান, ম্যান্ডারিন ও ইংরেজিসহ অনেক ভাষায় মুক্তি পাবে।
এদিকে এর আগেই নির্মাতারা ঘোষণা করেছেন যে অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলারটি আগামী ২৮ জুলাই মুক্তি পাবে।
দেশের তুমুল জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার উপন্যাস ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ‘ধ্বংসপাহাড়’ থেকে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হওয়া সিনেমাটির নাম রাখা হয়েছে এমআর-নাইন। এটি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউডের পরিচালক আসিফ আকবর।
আমেরিকার লাস ভেগাসে সিনেমার কিছু শুটিং শেষে আসিফ আকবরসহ তার টিম এসেছিল বাংলাদেশে। করেছেন কিছু অংশের শুটিং। ফিরে যেতে যেতে পরিচালক নিউজবাংলার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
পরিচালকের সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হন। প্রশ্ন পাঠানোর পর তিনি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। সে সময় তিনি আমেরিকার যাত্রাপথে ছিলেন।
নিউজবাংলা: এমআর-নাইন একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প। আপনি কি মাসুদ রানা চরিত্রটিকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চেয়েছেন নাকি জাতীয় স্পাই চরিত্রেই চিত্রিত করতে চেয়েছেন?
আসিফ আকবর: আমি ছোটবেলা থেকেই মাসুদ রানা চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত, বলতে পারেন, আমি বড় হয়েছি এ চরিত্রটির সঙ্গে। অনেক দশক ধরে লাখ লাখ বাঙালি যেমন চরিত্রটিকে ধারণ করছে, আমিও করে আসছি। মাসুদ রানা চরিত্রটি বাংলাদেশের এবং দেশটির মানুষের কাছে খুবই আইকনিক।
আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে মূল মাসুদ রানা বইয়ের ওপর ভিত্তি করে এই আইকনিক চরিত্রটি এবং গল্পটিকে বড় পর্দায় আনার সুযোগ পেয়েছি। আমি এটা অনুভব করেছি যে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা এবং হলিউড সিনেমার মাধ্যমে বিশ্ব দর্শকের কাছে বাংলাদেশি স্পাই অ্যাকশন হিরোকে উপস্থাপন করা আমার জন্য একটি বড় দায়িত্ব।
১৯৬৪ সাল থেকে মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলো বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের বিশ্বের অনেক স্থান এবং সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা দিয়েছে, কারণ তখন ইন্টারনেট বা ওই ধরনের কোনো কনটেন্ট ছিল না।
অনেক বছর ধরে যে সিরিজটি বাংলাদেশে এত জনপ্রিয়, সেটি আমি বিশ্ববাসীকে দেখাতে চেয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশকেও তুলে ধরতে চেয়েছি তাদের সামনে।
তাই বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে সিনেমাটিকে জীবন্ত করে তোলার জন্য আমাকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আশা করছি, আমি শেষ পর্যন্ত আমার উদ্দেশ্য পূরণ করতে সক্ষম হব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে দর্শকরাই।
নিউজবাংলা: অনেকেই এমন ভয় করছেন যে মাসুদ রানা আবার জেমস বন্ডের মতো না হয়ে যায়। যারা ভয় পাচ্ছেন, তাদের জন্য কী বলবেন?
আসিফ আকবর: আমি এতটুকু বলতে পারি, এমআর-নাইন জেমস বন্ড সিরিজের যেকোনো সিনেমার চেয়ে আলাদা এবং বিশ্ব দর্শকদের কাছে নতুন রূপে উপস্থাপিত হবে।
মাসুদ রানার অবশ্যই নিজস্ব ভাষা থাকবে। লোকেরা এটিকে জেমস বন্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ করে। কারণ জেমস বন্ড বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত স্পাই এবং মাসুদ রানা বাংলাদেশের গুপ্তচর। দুজনের পেশায় মিল রয়েছে। তাছাড়া মাসুদ রানা সিরিজের কিছু বইয়ে বন্ড সিরিজের অনুপ্রেরণা ছিল, যা-ই হোক, সেটা নিয়ে আমি বলতে চাই না।
আমি বিশ্বাস করি, এমআর-নাইন সিনেমায় আরও অনেক গুণ ও ভিন্নতা থাকবে, যা দুটি চরিত্রকে আলাদা করবে এবং মাসুদ রানাকে বিশ্বের কাছে তার নিজস্ব পরিচয়ে পরিচিত করবে।
নিউজবাংলা: আমরা যতটুকু শুনেছি, লাস ভেগাসে সিনেমাটির কিছু শুটিং হয়েছে; সম্প্রতি বাংলাদেশেও হলো। শুটিং কি পুরো শেষ হয়েছে? স্কেজিউলটা কেমন?
আসিফ আকবর: লাস ভেগাস এবং বাংলাদেশ ছাড়াও সিনেমার শুটিং আরও অনেক জায়গায় হয়েছে। আমি দর্শকদের একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করব। আমরা অদ্ভুত সব লোকেশনে দৃশ্যধারণ করেছি। আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান যে দর্শকদের জন্য আমি সেই সব অসাধারণ লোকেশন তুলে আনতে পেরেছি।
শুটিং এখনও চলছে এবং সিনেমাটি ভালো করে নির্মাণ করার জন্য যত্নের পাশাপাশি সময় নিতে চাই।
নিউজবাংলা: মাসুদ রানা সিনেমায় শুটিং, চিত্রনাট্য তৈরি, চরিত্র নির্মাণের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কোন কাজটিকে মনে হয়েছে?
আসিফ আকবর: অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু কাস্টিং ছিল আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কোন চরিত্রের জন্য কোন শিল্পীকে নেয়া হচ্ছে। আমার মনে হয় আমরা সেটায় সফল হয়েছি।
সিনেমায় অনেক নতুন চরিত্রের পরিচয় পাওয়া যাবে, যা মূল বইতে নেই। আমরা এর জন্য চিত্রনাট্যের লাইসেন্স নিয়েছি এবং আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী করেছি, আন্তর্জাতিক অভিনয়শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। পরিকল্পনা, চিত্রনাট্য এবং তারকাদের ব্যস্ত সময়সূচি মেলানোর জন্য বেশ কিছু সময় লেগেছে আমাদের।
মজার বিষয় হলো, সিনেমাটি করার জন্য আমরা নিজেরা নিজেদের সময় দিয়েছি। আমরা জানি সিনেমাটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা। আমরা অনেক সময় ধরে প্রি-প্রডাকশনসহ অন্যান্য কাজ করার পর শেষ পর্যন্ত কাজের শেষদিকে চলে আসতে পেরেছি, খুব ভালো লাগছে।
নিউজবাংলা: বাংলাদেশে এবং বিশ্বব্যাপী কবে সিনেমাটি মুক্তি পেলে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে করেন।
আসিফ আকবর: আমি বিশ্বাস করি, সিনেমাটি ২০২৩ সালের কোনো এক সময় মুক্তি পাবে। তবে এটি শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে ডিস্ট্রিবিউটরদের ওপর। সিনেমাটি অবশ্যই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় ফিরতে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। ইতোমধ্যেই তার বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা এসেছে। সবগুলোই মুক্তি পাবে আগামী বছর।
তবে এই সিনেমাগুলোর মধ্যে বর্তমানে বেশ আলোচনার আছে জওয়ান। সম্প্রতি এই সিনেমার ফার্স্টলুক লুক ও নাম ঘোষণার ভিডিওতে অপ্রত্যাশিত লুকে দেখা যায় কিং খানকে। মুখে-মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা, চারপাশে অস্ত্র সজ্জিত অ্যাকশন মুডে শাহরুখ।
নাম ঘোষণা ও শাহরুখের এমন লুখ দেখার পর থেকেই সিনেমাটি ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
আগামী বছর ২ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি জওয়ান। তবে তার আগেই মোটা অঙ্কে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হয়েছে সিনেমাটির সত্ত্ব।
বলিউডলাইফ-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নেটফ্লিক্সের কাছে ১২০ কোটি রুপিতে বিক্রি করা হয়েছে জওয়ান-এর স্ট্রিমিং সত্ত্ব।
যদিও নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এই খবর এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি জানানো হয়নি।
জওয়ান পরিচালনা করছেন অ্যাটলি কুমার। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম লাইভে অ্যাটলির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে শাহরুখ খান বলেন, ‘এখনও অনেক পথ বাকি। এখনই জওয়ান সম্পর্কে বেশি কিছু বলার সময় আসেনি। অ্যাটলি অন্য ধরনের সিনেমা তৈরি করছে। এর আগে সবাই তার কাজ দেখেছে। সে কী ধরনের সিনেমা নির্মাণ করে তা কারও অজানা নয়।’
কিং খান আরও বলেন, ‘এই সিনেমাতে দর্শকেরা এমন কিছু দেখতে যাচ্ছেন, যা আগে দেখা যায়নি। আমার আর অ্যাটলির মধ্যে ভালো রসায়ন তৈরি হয়েছে। দর্শকদের জন্য জওয়ান যে উত্তেজনা তৈরি করবে, তা বলতে পারি।’
জওয়ান-এ শাহরুখের সঙ্গে দক্ষিণী সিনেমার নারী সুপারস্টার নয়নতারা। এদিকে জওয়ান ছাড়াও আগামীতে তাকে দেখা যাবেপাঠান ও ডানকিতে।
আরও পড়ুন:দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী অভিনয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এখন বেশি আলোচনায়। সম্প্রতি তার ও ওমর সানীর সংসার ভাঙার সম্ভাবনার খবরে তুমুল আলোচনা ছিল সবখানে।
অভিনেতা জায়েদ খানের কারণে মৌসুমী ও সানীর সংসার ভাঙছে- এমন অভিযোগ লিখিত আকারেও শিল্পী সমিতিতে দিয়েছেন ওমর সানী।
এর পর থেকেই নানাভাবে, নানা আলোচনায় মৌসুমী ও সানী। এসব বিষয় নিয়ে ওমর সানী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও মৌসুমী একটি অডিও বার্তা প্রকাশ ছাড়া কথা বলেননি সাংবাদিকদের সঙ্গে।
সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে এর মধ্যে মৌসুমীকে দেখা গেছে, বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেতে। সেসব পোস্ট তিনি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে।
শুক্রবার রাতে তিনি আরেকটি পোস্ট করেছেন। সেখানে মৌসুমী দাবি করেছেন তার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এ অভিনেত্রী।
মৌসুমী লিখেছেন, ‘আমার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। আর সাংবাদিক ভাইরা ফেক সব আইডি থেকে কী উদ্ভট পোস্ট করছেন, আর তাই দিয়ে নিউজ করে সবাইকে বিভ্রান্ত করছেন।’
ওসব আইডি বর্জন করার অনুরোধ করে মৌসুমী লেখেন, ‘এসব ঠিক না। আমি কোথায় কিছু পোস্ট করিনি। তাই আপনারা ওই সব আইডি বর্জন করুন প্লিজ… আমি কৃতজ্ঞ থাকব।’
ফেসবুকের মৌসুমীর ছবি ও নাম দিয়ে অসংখ্য আইডি ও পেজ রয়েছে। যার মধ্যে ‘আরিফা পারভিন জামান মৌসুমী’ নামের দুটি পেজে রয়েছে ৭৪ হাজার ও ৫৫ হাজার অনুসারী।
ওমর সানী-জায়েদ খানের সমস্যা একসময় রূপ নেয় মৌসুমী-ওমর সানীর সমস্যায়। তার পর থেকে মৌসুমীর যেসব স্ট্যাটাস সংবাদমাধ্যমগুলোতে দেখা গেছে তার সবই নেয়া হয়েছে অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে।
জুন ১২ তে মৌসুমী লিখেছিলেন, ‘কঠিন বাস্তবতা অতিক্রম করা মানে হলো স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেয়া, তুমি তাই করেছ।’
জুনের ১৭ তে লিখেছেন, ‘খুব ট্রাই (চেষ্টা) করছি শক্ত থাকতে, অভিমানী মন বড় দুর্বল। নিজের দুর্বলতা অন্য কারো ওপর চাপিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারে না। কষ্ট আমি নিলাম সুখ তোমাকে দিলাম।’
জুনের ২৩ এ লিখেছেন, ‘লুকিয়ে থাকতে চাইলেই লুকিয়ে থাকা যায়… সামনে যেটা থাকে সেটা শরীর, আমি এখন শামুকের মতো হয়ে গেছি, আড়াল করে নিজকে নিয়ে আছি, এটাই স্বস্তি। যখন দিনের আলো দেখার সুজোগ হয়, নিজেকে বেমানান লাগে।’
আরও পড়ুন:বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। সেগুলো শেষ না করেই বড় আয়োজনের সিনেমা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি থেকে মোনা, অনুপাপ, পাপ, বারুদ, খোঁজ, রাস্তা নামের কয়েকটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা ও কাজের কথা বললেও তার অধিকাংশই শেষ হয়নি এখনও।
এর মধ্যেই জানা গেছে অগ্নি সিরিজের অগ্নি-৩ সিনেমাটি নির্মাণ করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আব্দুল আজিজ নিউজবাংলাকে জানান, এমআর-নাইন সিনেমাটির কাজ শেষ হয়েছে, এখন তারা অগ্নি ৩ সিনেমাটির কাজ শুরু করতে চায় এবং দেশের বাইরের শিল্পী-কলাকুশলীকে দিয়ে সিনেমাটির করতে চান তারা।
প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে শুরু হবে শুটিং। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নির্মিত হবে অগ্নি-৩।
আব্দুল আজিজের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল আগের ঘোষণা দেয়া বেশ কিছু কাজের অনেকগুলোই এখনও শুরুই হয়নি।
মোনা নামের সিনেমাটির কাজ শেষ হয়েছে; ডাবিং, এডিটিংও শেষ। অনুপাপ সিনেমার কাজ এখনও শুরু হয়নি। পাপ সিনেমাটির শুটিং শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা বলে জানান আব্দুল আজিজ।
আজিজ আরও জানান, বারুদ সিনেমাটি শুরু করা যাচ্ছে না, কারণ পরিচালক সৈকত নাসির অন্য সিনেমার কাজে ব্যস্ত। সেগুলো শেষ হলে তিনি বারুদ সিনেমার কাজ ধরবেন। খোঁজ সিনেমাটি সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা। এটি পরিচালনা করবেন সিদ্দিক আহমেদ।
আর রাস্তা সিনেমার কাজও এখনও শুরু হয়নি, আরও কিছু কাজ বাকি আছে; বিষয়টি পরিচালক রায়হান রাফি ভালো জানেন বলে জানান আজিজ।
এই কাজগুলোর একটিও এখনও দেখল না আলোর মুখ, তবু কেন বড় আয়োজনের সিনেমার ঘোষণা দিল জাজ- জানতে চাইলে আজিজ বলেন, ‘এগুলো সবই পরিকল্পনার অংশ। সব ঠিক করা আছে, সময়মতো সব হয়ে যাবে। তা ছাড়া কাজ তো করে যেতে হবে। বড় কাজে বড় পরিকল্পনা করতে হয়, অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করতে হয়।’
আগে ঘোষণা দেয়া সিনেমাগুলোর কোনটি কবে মুক্তি পেতে পারে তারও কোনো সময় নির্ধারণ করতে পারেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ ৮ বছর পর আসতে যাচ্ছে বলিউডের তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া সিনেমা এক ভিলেন-এর সিক্যুয়াল এক ভিলেন রিটার্নস।
জন আব্রাহাম, অর্জুন কাপুর, দিশা পাটানি ও তারা সুতারিয়া অভিনীত এই সিনেমাটির ট্রেইলার প্রকাশ পেল বৃহস্পতিবার।
ট্রেইলারটি একধরনের রহস্য উদ্রেক করে, যেখানে দর্শকদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে যে আসল ভিলেন কে।
এক ভিলেন-এ ঘটে যাওয়া খলনায়কের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ শুরু হয়েছে এক ভিলেন রিটার্নস-এর ট্রেইলার।
কাহিনি শেষ নয়, ৮ সাল পরে আবার ফিরে এসেছে আরেক ভিলেন। খুন করা যে ভিলেনের রোগ। যিনি শুধু ওইসব নারীকে টার্গেট করেন, যাদের এক তরফা প্রেম কাহিনি। আর হৃদয় ভাঙা প্রেমিকদের হাতিয়ার হতে চান তিনি।
কিছু একটা কানেকশন রয়েছে এইসব এক তরফা প্রেমকাহিনি ও তার প্রেমকাহিনির মধ্যে। এমন কাহিনিতে বলা মুশকিল কে হিরো কে ভিলেন।
ট্রেইলারে জন ও অর্জুনের মধ্যে লড়াই করতে দেখা গেছে। দিশা ও তারা সুতারিয়াকেও একধরনের খল চরিত্রে দেখা গেছে।
ট্রেইলারে ‘গালিয়ান’ গানের একটি রিপ্রাইজড সংস্করণও রয়েছে। এক ভিলেনের এই গানটি সে সময় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
আগামী ২৯ জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে এক ভিলেন রিটার্নস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে এক ভিলেন রিটার্নস নিয়ে পরিচালক মোহিত সুরি বলেছিলেন, ‘এক ভিলেন ছিল আমার প্যাশন প্রজেক্ট এবং ভালোবাসার শ্রম। এক ভিলেনের জন্য আমি এখনও যে ধরনের ভালোবাসা পাই তা আমাকে অভিভূত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এক ভিলেন রিটার্নস-এর সঙ্গে প্রেম আরও বাড়তে চলেছে। যদিও আমি সিনেমাটি নিয়ে এখনই অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারছি না, তবে আমি নিশ্চিত করতে পারি যে এটি একটি রোমাঞ্চকর রোলারকোস্টার রাইড হতে চলেছে।’
২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া এক ভিলেনে ছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, শ্রদ্ধা কাপুর এবং রিতেশ দেশমুখ।
ভারতীয় ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম হইচই বাংলাদেশে কাজ শুরু করার পর বেশ কিছু কনটেন্ট পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। এর মধ্যে তাকদীর, মহানগর। দুটি ওয়েব সিরিজের গল্পই রহস্য ও থ্রিলার ঘরানার। এগুলো প্রকাশের পর থেকে হইচইতে বাংলাদেশ থেকে শুধু যেন থ্রিলার গল্পই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে মনে করছেন এ দেশের ওটিটি দর্শকরা।
তাদের মতে, এখানে নেই রুদ্রবীণার অভিশাপ-এর মতো কোনো মিউজিক্যাল কনটেন্ট, নেই একেন বাবুর মতো মজার গোয়েন্দা, নেই মুখ্যমন্ত্রীর মতো কোনো তথ্যচিত্র, সেই অর্থে নেই কোনো রোমান্টিক বা সামাজিক গল্পের কনটেন্ট। অর্থাৎ বিভিন্ন ঘরানার গল্প খুঁজে পাচ্ছেন না দর্শকরা।
দর্শকদের এমন অভিযোগ পুরোপুরি মানতে নারাজ হইচই বাংলাদেশের পরিচালক সাকিব আর খান। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, কনটেন্টের ভিন্নতা নেই বিষয়টা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই ধারণা ঠিক না। বলি টোটালি ডিফরেন্ট ওয়েস্টার্ন কনটেন্ট ছিল। আমরা চেষ্টা করছি। আমরা সাবরিনা করেছি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। নারীদের কিছু সমস্যা নিয়ে কাজটি হয়েছে। আমরা দৌড় করেছি আরেকটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে। একটা মানুষের একাধিক চেহারা। সে বাসায় এক রকম- স্ত্রী, বাচ্চাকে সে অনেক ভালোবাসে কিন্তু কর্মক্ষেত্রে আরেক রকম। সেখানে তার ভাষা ও চেহারা অন্যরকম। রিফিউজি টোটালি ভিন্ন একটি জনরা থেকে করা হয়েছে। একসময় আমরা কষ্টনীড় করেছি। যারা আমাদের পরিচিত কিন্তু অজানা জীবনধারা। সো আমি বলব আমরা নানা রকম কাজ করার চেষ্টা করছি।’
সাকিব যে কনটেন্টগুলোর কথা বলেছেন, সেগুলোর মধ্যে ওয়েব সিরিজ বলি বাদে সবগুলোতে ইনভেস্টিগেশন ব্যাপারটি ছিল গুরুত্বের সঙ্গে। অধিকাংশ কনটেন্টেই তদন্ত, পুলিশ ইনভেস্টিগেশন বিষয়টি কেন এসেছে জানতে চাইলে সাকিব জানান, এটা করতে হয় ব্যবসার জন্য।
তিনি বলেন, ‘দিন শেষে ওইটা আমাকে বিজনেস দেয়। বিজনেস ইমপরটেন্ট। একটা বড় বিনিয়োগ আছে এখানে। কনটেন্টের নাম বলছি না, কিন্তু যখনই এগুলোর বাইরে কোনো কাজ করেছি তখন দর্শকরা আর সেটা নেয়নি।’
সাকিব জানান, এ দেশের দর্শকরা এখনও স্টার কাস্ট চান। স্টার কাস্ট না হলে দর্শকরা কনটেন্ট দেখতে চান না।
সাকিব বলেন, ‘মোশাররফ করিম বা চঞ্চল চৌধুরীর মতো কাস্ট যখন থাকে, তখন কনটেন্টের ভ্যালু এমনিতেই বেড়ে যায়। কাইজার কনটেন্টে আফরান নিশো আছেন। এই কনটেন্ট নিয়ে দর্শকের যে রেসপন্স, সেটাও তো আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।’
কিন্তু এখানেও আছে সমস্যা, সব কনটেন্ট তো আর মোশাররফ করিম বা চঞ্চল চৌধুরী বা নিশোকে নিয়ে করা সম্ভব না। আবার চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না বলেও জানান সাকিব আর খান।
গল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি তো কাজ করব গল্প আমাকে দেয়া হলে। গল্পের একটা বিশাল গ্যাপ আমাদের এখানে আছে। আমার কাছে তো প্রোপোজাল আসতে হবে। আমাদের প্রোডিউসারের অভাব রয়েছে। আপনি দেখেন, ঘুরেফিরে ওই আশফাক নিপুন, সাওকিদের দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।’
দর্শকদের ফ্রি কনটেন্ট দেখার অভ্যাসটাও রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দর্শকদের ফ্রি কনটেন্ট দেখে দেখে যে অভ্যাস হয়েছে, সেই অভ্যাসটা সহজে বদলাবে না। আমার তো সাবস্ক্রিপশন মডেল। টাকা দিয়ে কনটেন্ট দেখব, এই চিন্তাটা, ভাবনাটা আসছে না। ভারতে আছে ২০ লাখ সাবস্ক্রাইবার, ওখানে যেটাই দেন, একরকম দর্শক পাওয়া যায়। আমি তো সে পর্যায়ে এখনও যাই নাই।’
হইচই বাংলাদেশের সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন সাকিব আর খান।
তিনি বলেন, ‘৫০০ টাকায় এক বছরের কমিটমেন্টে যাওয়া, এটা আমাদের প্রতিদিনের যুদ্ধ। ধরেন, একজন হইচই সাবস্ক্রাইবার একটি কনটেন্ট দেখছেন, তার সঙ্গে তার আরও দুই-তিনজন বন্ধুও দেখছেন। তাহলে কী হলো, কনটেন্ট দেখলেন চারজন, কিন্তু আমি টাকা পেলাম একজন সাবস্ক্রাইবারের। আমাদের একটি প্রজেক্ট ৮০-৯০ লাখ টাকা, তাহলে হিসাব করে দেখেন কত সাবস্ক্রাইবার লাগবে এই টাকা তুলে আনতে। আরেকটা বিষয়, যিনি আজকে সাবস্ক্রাইব করছেন তার জন্য কিন্তু আগামী ১১ মাসের কনটেন্ট একেবারে ফ্রি। আমি কিন্তু প্রতি কনটেন্টের জন্য টাকা নিচ্ছি না, আমি এক বছরের সাবস্ক্রিপশন ফি নিচ্ছি। এই পেইনগুলো নিয়ে লেখালেখি হয় না।’
সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘আমার পপুলার জনরাতে হিট করতে হয় বারবার। থ্রিলার করা হচ্ছে কারণ ওইটা মানুষ দেখে, ব্যবসার জায়গাটাও দেখতে হবে আমাকে। তা না হলে কতদিন শুধু শুধু কাজ করা যাবে। একসময় দেখা যাবে আগ্রহ হারিয়ে গেছে, বাংলাদেশে বিজনেস বন্ধ।’
ওটিটি নীতিমালাও একটা সমস্যা করতে পারে বলে ধারণা এ পরিচালকের। সাকিব আর খান আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, কনটেন্টের ভিন্নতা নিয়ে দর্শকদের যে অভিযোগ বা কথা, সেটা চলতি বছরে আর থাকবে না। একটু অপেক্ষা করতে হবে সে জন্য।
বেশ ভেবে কাজ করতে হয় উল্লেখ করে সাকিব আর খান বলেন, ‘ভারতে টানা ৫টা কনটেন্ট ফ্লপ করলে অসুবিধা নেই, ৬ নম্বরে টাকা তুলে ফেলতে পারে। কিন্তু আমার পরপর দুটি কনটেন্ট ফ্লপ করলে অসুবিধা আছে।’
আরও পড়ুন:মিশন এক্সট্রিম সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তির নাম হবে মিশন এক্সট্রিম ২, এমনটাই ধারণা ছিল সবার। কিন্তু না, সিনেমাটির নাম দেয়া হয়েছে ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম ২।
এর কারণ জানিয়ে সিনেমার অন্যতম পরিচালক ফয়সাল আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, মিশন এক্সট্রিম যেখানে শেষ হয়েছে ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম ২ সেটারই কনটিনিউয়েশন।
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্রাইসিসটাই আরও বড় করে ধরা দেবে এ সিনেমায়। সিনেমার গল্পের যে ঢং, সেটার সঙ্গে ব্ল্যাক ওয়ার শব্দটাই ভালো যায়। এর বেশি এখন বলতে পারছি না।’
পোস্টারে থাকা সিনেমার চরিত্রগুলোর হাতে দেখা যাচ্ছে মারোণাস্ত্র। এবার সিনেমায় যুদ্ধের ডামাডোল থাকবে কি না জানতে চাইলে ফয়সাল বলেন, ‘এবারের পর্বে থাকবে টানটান উত্তেজনা আর অ্যাকশন।’
বুধবার সন্ধ্যায় প্রকাশ পেয়েছে ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম ২ সিনেমার পোস্টার। সিনেমার প্রচার শুরু হলেও মুক্তির তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ফয়সাল জানান, এ বছরেই সিনেমা মুক্তি পাবে, তবে চূড়ান্ত করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
কুল নিবেদিত, মাইম মাল্টিমিডিয়া সহপ্রযোজিত এবং ঢাকা ডিটেকটিভ ক্লাবের সহযোগিতায় নির্মিত ব্ল্যাক ওয়ার-এ অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, তাসকিন রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, সাদিয়া নাবিলা, সুমিত সেনগুপ্ত, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফজলুর রহমান বাবু, মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, মনোজ প্রামাণিক, ইরেশ যাকের, মাজনুন মিজান, সুদীপ বিশ্বাস, সৈয়দ আরেফ, রাশেদ খান অপু, দীপু ইমাম, এহসানুর রহমান, ইমরান শওদাগর।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পায় মিশন এক্সট্রিম-এর প্রথম পর্ব। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বহু দেশে একযোগে সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য