জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল ও উন্নয়নকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার জন্য ১৭ জুন দিনটি বিশেষ। এই দিনে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হলেন তিনি। তাও আবার একসঙ্গে দুটি সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু হলো তার।
শুক্রবার ঢাকায় মুক্তি পেল তার অভিনীত প্রথম সিনেমা অমানুষ। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়ক নিরব। একই দিনে কলকাতাতেও তার অভিনীত আরেকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
বড় পর্দায় অভিষেক, অমানুষ সিনেমার যাত্রা এবং বিশেষ দিনের অনুভূতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপ করেছেন মিথিলা। হঠাৎ করে সিনেমায় কেন, দিয়েছেন সেই প্রশ্নেরও উত্তর।
দেশের সিনেমায় প্রথমবার অভিনয়, দেশের মানুষ আপনাকে বড় পর্দায় দেখবেন। কেমন লাগছে?
প্রথমবার বড় পর্দায় সবাই আমার অভিনয় দেখবেন, সেটা তো অবশ্যই একটা এক্সসাইটমেন্টের বিষয়। অবশ্যই এক্সসাইটেড, আমিও চেয়েছিলাম সবার সঙ্গে হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে, কিন্তু যেহেতু আমি অফিসের কাজে দেশের বাইরে আছি, আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হবে না এখন। ফিরে গিয়ে দেখব হয়তো। তারপর দর্শকদের কাছে একটা অনুরোধ থাকবে, আপনারা হলে গিয়ে ‘অমানুষ’ সিনেমাটি দেখুন।
এটা আসলে সবার ছবি, একদম যেকোনো শ্রেণির যেকোনো মানুষের ইন্টারটেইনমেন্টের জন্য বানানো ছবি। এটা বাণিজ্যিক ঘরানার একটা ছবি। বাণিজ্যিক ঘরানার হলেও গল্পটা একটু আলাদা। হয়তো ভালো লাগবে, আপনারা হলে গিয়ে দেখুন, তারপর বিচার করুন, কেমন লাগল আমাদের জানান।
দর্শক প্রতিক্রিয়া, সিনেমা হলে যাওয়া বা আপনাকে নিয়ে অনেক অনেক ফিচার, সাক্ষাৎকার হতো। এখনও হচ্ছে, তবে কম। মিস করছেন বিষয়গুলো?
কিছুটা তো মিস করছি, কারণ এ সময় হয়তো অনেক প্রমোশন করতে হতো ছবিটার। অমানুষের প্রমোশনে হয়তো অনেক ইন্টারভিউ থাকত। প্রচুর কাজ থাকত আসলে। অনেক জায়গায় যেতে হতো, অনেক লোকের সঙ্গে কথা বলতে হতো।
ছবি প্রমোশনে আমি সক্রিয় যদি অংশগ্রহণ করতে পারতাম আমার ভালো লাগত, কারণ ছবিটা তো আমাদের সবার। সেটা পারছি না, সে জন্য কিছু করার নেই, এখন যেহেতু আমার প্রথম ও প্রধান প্রফেশন হচ্ছে আমি এখন যে কাজটা করছি সেটা। সেখানেই আমাকে বেশি সময়টা দিতে হচ্ছে।
যেহেতু আমি দেশের বাইরে, সে জন্যই পারছি না। তবে আমি দূর থেকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি। ভিডিও বাইটস দিচ্ছি, সবাইকে ইন্টারভিউ দিচ্ছি। একটাই দুঃখ যে সিনেমাটা সবার সঙ্গে, আমার কো-আর্টিস্টদের সঙ্গে হলে বসে দেখা হবে না।
আপনি যেখানে (তানজানিয়া) কাজ করছেন, তারা কি জানেন আপনি বাংলাদেশ ও কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং আপনার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে?
আমি যেখানে কাজ করছি, সেখানে অল্প কিছু লোক জানে হয়তো আমি অভিনয়টাও করে থাকি আমার ব্র্যাকের এই কাজটার পাশাপাশি। কিন্তু সেইভাবে আমার আরেকটা প্রফেশন নিয়ে বা আমার অভিনয়ের জায়গাটা নিয়ে ওইভাবে আমি অতটা আলোচনা করি না হয়তো। এখানে বেশির ভাগ সময় এখানকার কাজেই ডুবে থাকি, কারণ আমার এই কাজটা একেবারেই ওই জগৎ থেকে আলাদা এবং অনেক দায়িত্বের একটা কাজ।
এখানে আমি সারা দিন মাইলের পর মাইল কয়েক শ কিলোমিটার ট্র্যাভেল করছি, ফিল্ডে যাচ্ছি, বাচ্চাদের সঙ্গে ইন্টারাপ্ট করছি, প্যারেন্টসদের সঙ্গে, টিচারদের সঙ্গে কথা বলছি, তার মধ্যে আমার মাঝে মাঝে মনেই থাকে না আমার ছবি রিলিজ হচ্ছে হলে। এখানে সে রকমভাবে কেউ জানে না আসলে। আপাতত যেখানে আছি আমি, সেই কাজটা নিয়েই একেবারে মগ্ন আছি।
সিনেমায় অভিনয় করলেন, দেশে অভিষেক হচ্ছে আবার কলকাতাতেও আপনার সিনেমার মুক্তি পাচ্ছে। মানে, দুই বাংলায় এক দিনে আপনার সিনেমা। এ তো অনন্য অভিজ্ঞতা যেকোনো শিল্পীর জন্য। কেমন লাগছে?
দুই দেশে দুটি ছবি একইদিনে মুক্তি পাচ্ছে সেটা একটা কাকতালীয় ব্যাপার। দুটো ছবিই খুব ভালো ছবি। আমি দুটো ছবির সঙ্গেই থাকতে চেয়েছি। কিন্তু সেটা হলো না, তবে খুবই ভালো লাগছে একইদিনে দুটি ছবি রিলিজ হচ্ছে। আমার আরও অনেকগুলো ছবি পাইপ লাইনে আছে, সেগুলোও রিলিজের অপেক্ষায় আছি।
অমানুষ-এ আপনার চরিত্রটি সম্পর্কে যতটুকু জানানো যায়। চরিত্রের স্পেশালিটি কি ও কেমন?
আমার চরিত্রের স্পেশালিটি বলতে যে আমি আরবান একটা ক্যারেক্টার করেছি। যে মেয়েটা বিদেশে থাকে, বিদেশেই বড় হয়েছে বাংলাদেশে বহু বছর পর এসেছে তার আত্মীর সঙ্গে দেখা করতে এবং বাংলদেশটাকে ঘুড়ে দেখতে। সেখানে এসে সে একটা বিপদের সম্মুখীন হয়। দেখা গেছে আমার যে ক্যারেক্টারটা নুদরাত, আমার ক্যারেক্টারের নাম।
নুদরাত মেয়েটা একটু ভাঙা ভাঙা বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে কথা বলে। বাংলা বলতে পারে কিন্তু ইংরেজিটাই হয়ত মুখে বেশি আসে, কারণ মেয়েটা আসলে বড় হয়েছে বিদেশে। তো বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে কথা বলে। আর অনেকটাই সরল টাইপের একটা মেয়ে এবং খুব প্রাণোচ্ছল।
কিন্তু সে যখন আবার ডাকাত দলের হাতে ধরা পড়ল, সে যে ভীষণ ভয় পেয়ে গেছে তা না, একই সঙ্গে সে ভীষণ সাহসী একটা মেয়ে। সেই চরিত্র অনুযায়ী আমাকে যতটুকু ধারণ করতে হয়েছে চরিত্রটাকে- সেইটুকু হয়ত করার চেষ্টা করেছি। আর এই ধরণের চরিত্র আমার আগে ওভাবে করা হয়নি।
সিনেমার একটি গানে আপনাকে একটু অন্যরকম লেগেছে। লেখ্য ভাষায় বলতে গেলে ‘আবেদনময়ী’ লুকে দেখা গেছে। বিষয়টা এনজয় করেছেন কি বা, আরও করতে চাইবেন কিনা?
হা হা হা... কিছুটা আবেদনময়ীও হয়ত হয়েছে, আমি ঠিক শিওর না কেমন হয়েছে। তবে আমি খুন এনজয় করছি কারণ গানটা যতজন দেখেছে সবাই বলেছে ভালো লেগেছে, সেটাই দর্শকের ভালো লাগলেই আমার ভালো লাগবে। আর হ্যাঁ সময় সুযোগ-গল্প সব কিছু যদি মিলে যায় অবশ্যই হয়ত করব।
অনেকদিন জঙ্গলে থেকে কাজ করেছেন। কিছু অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করেন।
জঙ্গলের অভিজ্ঞতা কি বলব। আমরা যখন শুট করি তখন ভীষণ গরম ছিল, অসম্ভব গরম। জঙ্গলে দেখা যাচ্ছে কোনো বাতাস নেই, একটা গাছের পাতাও নড়ছে না সেইরকম অবস্থাতেও শুটিং করেছি আবার জঙ্গলের ভেতরে বৃষ্টি পড়ছে সেরকম অবস্থাতেও শুটিং করেছি, পোড়া মাকড়ের কামড় খাচ্ছি আবার একই সঙ্গে পাখির গান শুনছি, সব মিলিয়ে অদ্ভুত একটা অভিজ্ঞতা। আর প্রকৃতি কাছাকাছি দীর্ঘসময় থেকে কাজ করতে পেরেছি সেটাও একটা ভাগ্যের ব্যাপার। সব মিলিয়ে সবাই খুব আনন্দ করে জঙ্গলের ভেতরে কাজ করেছি।
অনেকেই যে বিষয়টা বিস্তারিতভাবে জানতে চায়, সেটি হলো, হঠাৎ করেই মিথিলার সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ কি? মিথিলা তো চাইলে আরও আগেই সিনেমা করতে পারতেন?
অনেকটা হঠাৎ করে মনে হতে পারে। কারণ আগে আসলে সিনেমা করতে ওতটা সময় দিতে পারব ভাবতে পারিনি। কারণ দেখতেই পাচ্ছেন ছবিটা করেছি কিন্তু ছবিটার প্রিমিয়ারে থাকতে পারছি না প্রমোশনে থাকতে পারছি না। কারণ আমার যে প্রধান প্রফেশনটা আমি ব্র্যাকে কাজ করি।
আমার কাজটাই এমন যে আমাকে প্রচুর ট্রাভেল করতে হয়। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমার প্রজেক্টগুলো জন্য যেতে হয়, কাজ করতে হয়। তো সে কারণে আমার সময় বের করাটাই কখনও সম্ভব ছিল না। সিনেমার প্রিপারেশনের জন্য শুটের জন্য।
যেটা হয়েছে যে, প্যান্ডামিক যখন শুরু হলো তখন সব মিলিয়ে অনেকটা সময় গৃহবন্দি ছিলাম। তারপরে ফিজিক্যালি অফিস যেতে হয়নি প্রায় দুটো বছর। সেইসময় কিছুটা ফাকা সময় হাতে পেয়েছিলাম তখন এই অফারটা আসে। ভাবলাম কাজটা করি। তখন সেইভাবে শুটিংও হচ্ছিলনা আমি নাটকও করছিলাম না।
তার আগে অনেকটা সময় বাড়িতে বসেছিলাম প্যান্ডামিকের জন্য। তখন মনে হলো- নাহ খুব ইন্টারেস্টিং গল্প, জঙ্গলের ভেতরে শুট হবে-মজাই হবে সবাই মিলে। করে নেই সিনেমাটা। এরকমভাবে হুট করে ডিসিশন আসলে। সেভাবে পরিকল্পনা করে শুরু করা হয়নি।
যে চরিত্র আপনাকে মুগ্ধ করবে, আপনি সেই চরিত্রে অভিনয় করবেন। কিন্তু অমানুষ সিনেমার মাধ্যমে আপনার ‘নরম বা স্নিগ্ধ স্বভাব’ এর যে একটি ইমেজ রয়েছে (আপনি নরম বলেছিলেন), সেটি ভাঙার কোনো নিরীক্ষা কি করতে চেয়েছেন?
আসলে অমানুষের যে চরিত্রটা, নুদরাতের যে চরিত্রটা আমি বলব যে সেটাও আমার নরম স্নিগ্ধ স্বভাবের বাইরে না। নুদরাত তো খুবই নরম একটা মানুষ, স্নিগ্ধ স্বভাবের একটা মানুষ, খুব প্রাণোচ্ছল একটা মানুষ। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে পরিস্থিতির কারণে সে আবার ভীষণ শক্ত এবং ভীষণ সাহসীও। তো আমি সেভাবে আলাদা করে ভাঙার নিরীক্ষা করতে চাইনি।
কারণ চরিত্রটা যেমন আমি সেভাবেই চেষ্টা করেছি প্রস্তুতি নিতে। তবে আমি বলব যে, ভাঙার বিষয়টা যদি বলি, আমি তো কখনও এই ধরণের বাণিজ্যিক ঘরানার ছবিতে কাজ করব সেটা তো কখনো ভাবিনি, বা আমি হয়ত আগে কাজ করিওনি। আমি বলব যে, টেলিভিশনে যে ধরণের কাজ হয়, নাটক বা ওয়েব সিরিজগুলো হয় সে ধরণের কাজ করেছি।
কিন্তু এ রকম একটা এই জনরার ছবিতে একটু গ্ল্যামারাস, আমার গানটা যেরকম সবাই দেখেছে অলরেডি; সেইরকম গ্ল্যামারাস চরিত্রে, হয়ত চরিত্রটা সব সময় গ্ল্যামারাস নয়- গানটিতে, কিন্তু সেরকমও আগে কখনও করিনি। তো আমার মনে হয় এটাই আমার নতুন করে নিজেকে আবিস্কার করা।
ভাঙার যদি কোনো নীরিক্ষার কথা বলেন তাহলে এটাই আমি ভেঙেছি নিজেকে। যেটা আমি কখনও করিনি, আমি ভীষণভাবে একটা গ্ল্যামারাস গান শুট করেছি। আমি ব্যাণিজ্যিক ঘরানার ছবিতে কাজ করেছি সেটাই তো আমার নিজেকে ভাঙা। আমি তো গতানুগতিক এরকম কোনো কাজ করিনি।
অমানুষ সিনেমায় আপনার চরিত্রের গঠনে কিছু ফ্যান্টাসির যোগ আছে বলে মনে হয়। কিন্তু কলকাতায় আপনার অভিনীত যে সিনেমা, সেগুলোর ট্রেইলারে আপনার চরিত্রগুলো আরও কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য বা ওই ঘটনায় সামঞ্জস্য মনে হয়। এটা কি দর্শক হিসেবে আমার বা আমার মতো যারা আছেন তাদের সমস্যা? নাকি চরিত্র মেকিং ও ডিজাইন একটা ফ্যাক্টর?
অমানুষ সিনেমায় আমার চরিত্রে ফ্যান্টাসি যোগ আছে বলে আমার মনে হয়না আসলে। বরং অমানুষের চরিত্রটাই একটু ফ্যান্টাসির মতো। জঙ্গলের ভেতর ডাকাত দল, ডাকাত দল কিডনাপ করে নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে অদ্ভুত সব সিচুয়েশন হচ্ছে-আমার মনে হয় পুরো গল্পটাই ফ্যান্টাসি। আমার চরিত্রে সেভাবে আলাদা করে ফ্যান্টাসির কিছু নেই।
আর কলকাতায় যে সিনেমা বা ট্রেইলারগুলোতে আমার চরিত্র দেখা গেছে সেগুলো বিশ্বাসযোগ্য, সেটা দর্শকদের কাছে যদি বিশ্বাসযোগ্য বা সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয় তাহলে খুবই ভালো কথা।
আসলে আমি তো আর ডিরেক্টর না, আমি তো ওই ভাবে... আমার কাছে মনে হয়েছে যখন যেই গল্পের জন্য যে চরিত্র ধারণ করতে হয়, আমি ঠিক সেরকম চরিত্রই ধারণা করার চেষ্টা করি।
আরও পড়ুন:সম্পর্ক বহুমুখী। প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে ভাঙা-গড়ার গল্প। জীবনে চলার পথে একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সেসব সম্পর্ক রক্তের নয়। তেমনই এক সম্পর্কে জড়িয়েছেন ‘জয়া ও শারমিন’। যদিও জয়া জানেন, সব প্রতিশ্রুতি আসলে মিথ্যা। শেষ পর্যন্ত নাকি কেউ পাশে থাকে না। অভিনেত্রী জয়া আহসান ও তার গৃহকর্ম সহায়িকা শারমিন- দুই নারীর সমীকরণই যেন পর্দায় তুলে ধরবেন। এই ছবিতে প্রথমবার প্রযোজকের ভূমিকায় দেখা যাবে জয়াকে। ছবিতে দুজন মুখ্য চরিত্র জয়া এবং তার গৃহকর্ম সহায়িকা শারমিন।
কোভিড মহামারির সময় লকডাউনে আটকে থাকা দুই নারীর সম্পর্কের গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। সেই সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৬ মে। এই ছবিতেই তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে দুই নারী একে অপরের সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ভাগাভাগি করে নেয় একে অপরের যাপন। বাস্তব জীবনেও নাকি জয়া এমনই। জয়া বলেন, ‘আমরা এই কোভিডের সময় এই ছবিটার শুটিং করি। যখন সকলে বাড়ি থেকে প্রায় অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। তখনও অল্প ইউনিট নিয়ে ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। কিন্তু ছবিটা বেশ বড়। দুজন আলাদা সামাজিক অবস্থানে বেড়ে ওঠা দুই নারীর বন্ধুত্বের গল্প।’
এরই মধ্যে ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং মহসিনা আক্তারকে। কোভিড মহামারির সময় তাদের জীবনের কিছু দৃশ্য উঠে এসেছে ট্রেলারে। শুরুর দিকে আনন্দ-আড্ডা, রান্না দিয়ে দুজনকে দারুণ সময় পার করতে দেখা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের জীবনে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং বাইরের দুনিয়া থেকে আসা দুঃসংবাদগুলো তাদের জীবনে নিঃশব্দে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা ও ভয় ঢুকিয়ে দেয়।
সিনেমার পরিচালক পিপলু আর খান জানিয়েছেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সারা হয়েছিল ‘জয়া আর শারমিন’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ। সীমিত লোকবল নিয়ে মহামারির সময়ে শুটিং করা হয়েছিল সিনেমাটির। পিপলু বলেন, ‘মহামারির সময় একটি বাড়িতে আটকে পড়ে জয়া ও শারমিন নিজেদের মধ্যে তৈরি করে নেয় ছোট্ট এক জগৎ। সেই আবদ্ধ জগতে তারা নিজেদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করেন। তবে বাইরের কঠিন বাস্তবতায় সেই সম্পর্কে ফাটলও ধরতে শুরু করে। বন্ধুত্ব, ভয়, সাহস আর হারানোর অনুভূতির মিশেলে গড়ে উঠেছে সিনেমার আখ্যান।’
একাকীত্ব কীভাবে দুই নারীর সম্পর্কে ভরসা ও নির্ভরতার জন্ম দেয় সেই গল্প সিনেমায় বলা হয়েছে জানিয়েছেন পিপলু। সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘দুজন নারীর অচেনা ভুবনের সিনেমা। আমাদের অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনুক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন। অদ্ভুত এক সময়ে শুট করা ছোট্ট একটি সিনেমা, তবে দর্শকের অনুভূতিতে নাড়া দেবে বলে আশা করি।’
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের। এ সময় এসেও টেলিভিশন নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
ওটিটিতেও তাকে দেখা গেছে ভিন্ন এক রূপে। তার অভিনয় মুন্সিয়ানার প্রমাণ তিনি এখানে আরও তীব্রভাবে দিয়েছেন।
আর এমন সময় তাকে ঘিরে চুক্তি ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)। খবর ইউএনবির
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৪টি নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। ৫০ লাখ টাকার এ চুক্তিতে অগ্রিম ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন এই তারকা, তবে নাটক শেষ করেছেন মাত্র ৯টি। পরে আলফা আই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা পারেনি।
স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় সবার প্রত্যাশা অপূর্ব কী বললেন, তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন না।
সংবাদমাধ্যমে তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি জানে। তারা যা বলার বলবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা কথাবার্তা এ মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তারাই বলবেন।’
অপূর্বের এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে পোস্টে অপূর্ব প্রসঙ্গে লেখেন।
তার কিছু অংশ হলো, ‘কাউকে ছোট করে, অসম্মানিত করে কেউ কখনই বড় হতেই পারে না কোনোদিন। ফেইসবুকে প্রকাশ্যে তো অবশ্যই নয়। আর ফেইসবুক কখনই আদালত না যে এখানেই সবকথা বলতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কথা। প্রহেলিকার মতো বলতেই চাই, চোখে যা দেখা যায় তা আসলে দেখা যায় না।’
আরও লেখেন, ‘আর ইন্ড্রাস্ট্রি কখনোই একা একা এগোয় না। সব্বাইকে নিয়েই সামনে এগোয়। আর অপূর্বর ১৬ থেকে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার টানা ধরে রাখাও এমনি এমনি হয়নি। পাশাপাশি এও বলতে চাই, আমার খারাপ সময়ে বা দুঃসময়ে কে আমার পাশে থাকল না, তা আমি মাথায় রাখি না কখনই। বরং আমার প্রিয়জনদের জন্যে শুভ কামনা আমার মন থেকে সবসময় আসে।’
অভিনেতা খালেদ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘অপূর্ব ভাইকে ভালোবাসি। অপূর্ব ভাই সুপারস্টার ছিলেন, সুপারস্টার আছেন এবং সুপারস্টার থাকবেন। সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে রাজার মতো ফিরবেন প্রিয় অপূর্ব ভাই।’
পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন লেখেন, ‘অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সত্যি বলতে, অপূর্বকে আমরা খুব ভালো চিনি। এই কাজ ওকে দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই অভিযোগটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিশ্বাস্য! অপূর্ব, তুমি একা নও। আমরা তোমার পাশে আছি।’
আরও পড়ুন:বসন্ত পঞ্চমীর আগেই বসন্তের হাওয়া হলিউড তারকা টম ক্রুজের জীবনে। ফের প্রেমে পড়েছেন তিনি। প্রেমের দরজায় কড়া নেড়েছেন রাশিয়ান নারী এলসিনা খায়রোভা। ৬১ বছরের টম ক্রুজের থেকে তার নতুন প্রেমিকা প্রায় ২৫ বছরের ছোট। বছর ৩৬-এর খায়রোভার প্রেমে মজেছেন টম, তবে তাদের প্রেমের খবর এখন প্রকাশ্যে এলেও তারা একে-অপরকে মন দিয়েছেন নাকি অনেক আগেই। আসলে বিষয়টিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন দুজনে।
সূত্রের খবর, গত বছরের শেষ দিকে একটি পার্টিতে টম এবং এলসিনাকে একসঙ্গে দেখা যায়। সেই পার্টিতে নাকি এক মুহূর্তের জন্যও একে-অপরের সঙ্গ ছাড়েননি তারা। সারাক্ষণই কাছাকাছি ছিলেন। শুধু পার্টি বলে নয়, তাদের এক বন্ধু জানিয়েছেন, লন্ডনের নাইটসব্রিজের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তারা একসঙ্গে থাকছেনও।
এমনিতে সচরাচর প্রকাশ্যে আসেন না টম এবং এলসিনা। জনসমক্ষে তাদের শেষ বার দেখা গিয়েছে লন্ডনের মেফেয়ারের পার্টিতে। তারপর আর সেভাবে এক ফ্রেমে ধরা দেননি তারা। তৃতীয় স্ত্রী কেটি হোমসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেন টম।
আনন্দবাজার বলছে, অন্যদিকে স্বামী ডিমিট্রি সেটকোভের সঙ্গে ২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় দুই সন্তানের মা এলসিনার। তারপর থেকে একাই ছিলেন তিনি। টমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আপাতত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।
সাইবার ক্রাইমের শিকার তেলুগু সিনেমার সুপারস্টার মহেশ বাবুর মেয়ে সিতারা।
অভিযোগ, তার নামে ভুয়া প্রোফাইল খুলে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে বেজায় ক্ষিপ্ত তারকা মহেশ বাবু। থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তার প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে দেয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ২০০৫ সালে বলিউড অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরকে বিয়ে করেন মহেশ বাবু। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে তাদের প্রথম সন্তান গৌতমের জন্ম হয়। এর ছয় বছর পর, ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেয়ের জন্ম দেন নম্রতা। এখন প্রায় ১২ বছর বয়স সিতারার। বাবা-মায়ের বড় আদরের সে।
মহেশ বাবুর প্রযোজনা সংস্থা জেএমবি এন্টারটেনমেন্টের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘অ্যাটেনশন! জেএমবি টিম ও মাধাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে মিস সিতারা ঘাট্টামানেনির নাম নিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে।’
সিতারার ভুয়া প্রোফাইল থেকে নানা ধরনের বিনিয়োগ ও লেনদেন সংক্রান্ত মেসেজ করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। এর পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে নেটিজেনদের।
কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই তারকার প্রোফাইলের সত্যতা যাচাই করে নেবেন এমন কথাও লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শনিবার তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। সকাল দশটা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা মিঠুন। তারপরই তাকে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিনেতা মিঠুন পথিকৃৎ বসুর সিনেমা ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন কলকাতায়।
সূত্রের তরফে জানা গেছে, একাধিক শারীরিক জটিলতা রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। বর্ষীয়ান অভিনেতার এমআরআই করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিকের অধীনে ভর্তি আছেন।
কিছু কিছু সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, অভিনেতা মিঠুনের বুকেও ব্যথা আছে। এ ছাড়া শরীরের একদিক দুর্বল হয়ে পড়েছে তার। শনিবার তিনি তার নিজের গাড়ি করেই হাসপাতালে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। বর্তমানে তার নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তার কী চিকিৎসা হবে বা কী হয়েছে সেটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতায় থেকে তার আগামী সিনেমা ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন। এই সিনেমাটি জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে বানানো হচ্ছে। সিনেমাটির পরিচালনা করছেন পথিকৃৎ বসু। প্রযোজনার দায়িত্বে সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থা। এখানে মিঠুনের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেবশ্রী রায়কে দেখা যাবে।
এর আগে অভিনেতা মিঠুনকে শেষবার ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল। সুমন ঘোষ পরিচালিত সেই সিনেমাতে রহমতের চরিত্রে ধরা দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন:কানাঘুষো বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। রটনা ছিল, ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড় মেয়ে বলিউড অভিনেত্রী এশা দেওলের বিয়ে ভাঙছে। তাই ঘটনায় পরিণত হলো। সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে নাকি বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন এশা ও তার স্বামী ভরত তখতানি।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ২০১২ সালের জুন মাসে দীর্ঘদিনের প্রেমিক ভরত তখতানির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-হেমার বড় মেয়ে এশা দেওল। বিয়ের বছর পাঁচেক পর ২০১৭ সালে তাদের প্রথম সন্তান রাধ্যার জন্ম হয়। দুই বছর যেতে না যেতেই তখতানি পরিবারে আগমন ঘটে আরেক নতুন সদস্য মিরায়ার। বেশ কিছুদিন ধরে এশার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে ভারতের ছবি দেখা যাচ্ছে না। এমনকী, দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরার ছবি পোস্ট করেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হেমাকন্যা। এতেই দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন জোরালো হয়।
দিল্লি টাইমসে পাঠানো বিবৃতিতে নাকি এশা ও ভরত লিখেছেন, ‘আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আর বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হয়েছি। জীবনের এই পর্যায়ে আমাদের দুই সন্তানই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভালমন্দই সবচেয়ে আগে থাকবে। এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগতই রাখতে চাইব।’
কিন্তু কেন এই বিচ্ছেদ? শোনা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী ভরত তখতানির অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তার সঙ্গেই নাকি বেশি সময় কাটাচ্ছেন তিনি। এমনকী দুজনকে বেঙ্গালুরুর এক পেইড পার্টিতেও দেখা গিয়েছে বলে গুঞ্জন।
বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম বিতর্কে মুকুট ফিরিয়ে দিলেন ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী ক্যারোলিনা শিনো।
জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় একটি ম্যাগাজিনে ২৬ বছর বয়সী শিনোর সঙ্গে একজন বিবাহিত পুরুষের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে জানায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানায়, দুই সপ্তাহ আগে জাপানের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখলে নেন ইউক্রেনে জন্ম নেয়া এ মডেল, কিন্তু একজন ইউক্রেনে জন্ম নেয়া এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা মডেলকে কেনো মিস জাপান নির্বাচিত করা হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
অনেকেই বলেছেন, তিনি ঐতিহ্যগত জাপানি সৌন্দর্যের আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেননি। এর মধ্যেই একটি স্থানীয় ম্যাগাজিন শুকান বুনশুন বুধবার রিপোর্ট করেছে, ক্যারোলিনা শিনো একজন বিবাহিত চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেম করছেন।
জাপান টাইমস বলছে, এটি মিস জাপান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম মুকুট ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা। আয়োজকরা জানান পদটি এক বছরের জন্য শূন্য থাকবে।
তবে মিস জাপানের আয়োজক বৃহস্পতিবার এ দাবিকে খণ্ডন করে জানিয়েছে, ক্যারোলিনা অবিবাহিত ছিলেন এবং তিনি জানতেন না ওই ব্যক্তি বিবাহিত।
ক্যারোলিনা শিনোর জন্ম হয়েছিল এক ইউক্রেইনীয় পরিবারে। মা পরে এক জাপানি নাগরিককে বিয়ে করায় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিনো চলে গিয়েছিলেন জাপানে। সেখানে নাগোয়ায় বেড়ে উঠেছেন তিনি।
শিনোই প্রথম নাগরিক অধিকার পাওয়া একজন জাপানি হিসেবে ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
তিনি সোমবার একটি বিবৃতিতে তার অনুরাগী এবং সাধারণ জনগণের কাছেও ক্ষমা চান।
শিনো বলেন, ‘আমি যে বড় সমস্যা তৈরি করেছি এবং যারা আমাকে সমর্থন করেছিল তাদের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি, সে জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য