বলিউড সিনেমার আইটেম ড্যান্সার হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি। তার আবেদনভরা উষ্ণ নাচে পাগলপ্রায় সব বয়সের মানুষ। তবে এবার নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি।
একটি মিউজিক ভিডিওর পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন নোরা। যে গানটিতে নিজেই পারফর্ম করেছেন তিনি।
পরিচালনা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন নোরা। সেখানে গানের সেট থেকে পর্দার পেছনের ছবিগুলোর একটি সিরিজ পোস্ট করেছেন।
ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আমার নতুন গান ডার্টি লিটল সিক্রেট-এ প্রথমবার মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করছি। এটি একটি দুর্দান্ত শেখার অভিজ্ঞতা ছিল!’
View this post on Instagram
পরিচালনায় আত্মপ্রকাশের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভক্তরা। একই সঙ্গে তারা অনেকেই বলছেন যে, ভবিষ্যতেও তাকে একজন পরিচালক হিসেবে দেখতে চান।
এদিকে সম্প্রতি নোরার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে ‘ডার্টি লিটল সিক্রেট’। পপ-কালচার ধাঁচের ভিডিওটি ইউটিউবে এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
নোরা বর্তমানে রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স দিওয়ানে জুনিয়র’-এর বিচারক হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে রোববার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নামী সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন।
বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে পেশাগত কাজকর্মে বারবার বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয় বেবী নাজীনের সংগীতজীবন।
বাংলাদেশ বেতার-টিভি-মঞ্চ কোনো মাধ্যমেই বেবী নাজনীন স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেননি। একপর্যায়ে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হন তিনি।
দেশের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছেও সমাদৃত হন বেবী নাজনীন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এ শিল্পী।
সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি।
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে, বাপ্পি লাহিড়ী, কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূর্তির সঙ্গেও একাধিক অডিও অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণির তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন দেশের চলচ্চিত্র, অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দেন।
আরও পড়ুন:রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে ঢাকার লালমাটিয়ায় বন্দোবস্ত দেয়া খাসজমির অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।
পত্রে বলা হয়, এ জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তে সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পক্ষে অনুমোদিত হয়েছিল। জমিটি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার রামচন্দ্রপুর মৌজায় অবস্থিত।
এতে উল্লেখ করা হয়, বাতিল হওয়া জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত, যার দাগ নম্বর সিএস ও এসএ-৬৯২, আরএস-১৮৯৫, সিটি-১১৬৬৭ এবং ১১৪১২। মোট জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক পাঁচ এক দুই শূন্য একর। এ জমির সিএস ও আরএস রেকর্ডে ‘খাল’ হিসেবে শ্রেণিকরণ থাকার কারণে এ বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা ও কিংবদন্তি ব্যান্ড দল মাইলসের সাবেক প্রধান শিল্পী শাফিন আহমেদের মরদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসছে সোমবার বিকেলে।
কুল এক্সপোজার কমিউনিকেশন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরশাদুল হক টিংকু আজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘মাইলস ব্যান্ডের প্রাক্তন ভোকাল এবং বেইজিস্ট শাফিন আহমেদের মরদেহ বাংলাদেশে আসবে আজ বিকাল ৫.৩০-এ। আগামীকাল মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, বাদ জোহর আজাদ মসজিদ, গুলশান-২-এ জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় গত বুধবার শাফিন আহমেদের মৃত্যু হয়, যার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস কমিউনিটির (বিবিএমএফসি) বরাত দিয়ে ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছিল।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন শিল্পী ও সংগীত রচয়িতা শাফিন। সেখানে স্থানীয় সময় বুধবার হৃৎপিণ্ড ও কিডনি বিকল হয়ে তার মৃত্যু হয়।
উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী দম্পতি কমল দাসগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন ১৯৬১ সালের ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে রক ব্যান্ড মাইলসে যোগ দেন। দলটিতে বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের আরেক শীর্ষ তারকা সহোদর হামিন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি।
শুরুতে মাইলসের অ্যাকাউস্টিক গিটারিস্ট ছিলেন শাফিন, যিনি ১৯৯১ সালে ব্যান্ডটির প্রধান শিল্পী ও বেইজিস্ট হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করেন।
শৈশবেই সংগীতে হাতেখড়ি হয় শাফিনের। কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে সংগীত তারকা মা-বাবার সুবাদে ৯ বছর বয়সে নজরুল সংগীতের তালিম নেয়া শুরু করেন তিনি।
ঢাকার সেন্ট জোসেফ স্কুলে পড়ালেখা শেষ করে বড় ভাই হামিনের পাশাপাশি ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন শাফিন। সে সময়ে পশ্চিমা সংগীতের প্রভাব শুরু হয় তার জীবনে।
মাইলসে ভোকালিস্ট, সংগীত রচয়িতা, বেজ গিটারিস্টের মতো ভূমিকা পালন করা শাফিন প্রথমবার ব্যান্ডটি ছাড়েন ২০০৯ সালে। এর কয়েক বছর পর ২০১৪ সালে ফের ব্যান্ডটিতে যোগ দিয়ে ২০১৭ সাল নাগাদ ছিলেন তিনি। ওই বছর আবার মাইলস ছাড়েন আলোচিত এ তারকা।
শাফিন শেষবারের মতো মাইলসে প্রবেশ করেন ২০১৮ সালে, যে যাত্রার অবসান হয় ২০২১ সালে এসে।
আরও পড়ুন:দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা ও কিংবদন্তি ব্যান্ড দল মাইলসের সাবেক প্রধান শিল্পী শাফিন আহমেদের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস কমিউনিটির (বিবিএমএফসি) বরাত দিয়ে ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন শিল্পী ও সংগীত রচয়িতা শাফিন। সেখানে স্থানীয় সময় বুধবার হৃৎপিণ্ড ও কিডনি বিকল হয়ে তার মৃত্যু হয়।
উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী দম্পতি কমল দাসগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন ১৯৬১ সালের ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে রক ব্যান্ড মাইলসে যোগ দেন। দলটিতে বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের আরেক শীর্ষ তারকা সহোদর হামিন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি।
শুরুতে মাইলসের অ্যাকাউস্টিক গিটারিস্ট ছিলেন শাফিন, যিনি ১৯৯১ সালে ব্যান্ডটির প্রধান শিল্পী ও বেইজিস্ট হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করেন।
শৈশবেই সংগীতে হাতেখড়ি হয় শাফিনের। কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে সংগীত তারকা মা-বাবার সুবাদে ৯ বছর বয়সে নজরুল সংগীতের তালিম নেয়া শুরু করেন তিনি।
ঢাকার সেন্ট জোসেফ স্কুলে পড়ালেখা শেষ করে বড় ভাই হামিনের পাশাপাশি ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন শাফিন। সে সময়ে পশ্চিমা সংগীতের প্রভাব শুরু হয় তার জীবনে।
মাইলসে ভোকালিস্ট, সংগীত রচয়িতা, বেজ গিটারিস্টের মতো ভূমিকা পালন করা শাফিন প্রথমবার ব্যান্ডটি ছাড়েন ২০০৯ সালে। এর কয়েক বছর পর ২০১৪ সালে ফের ব্যান্ডটিতে যোগ দিয়ে ২০১৭ সাল নাগাদ ছিলেন তিনি। ওই বছর আবার মাইলস ছাড়েন আলোচিত এ তারকা।
শাফিন শেষবারের মতো মাইলসে প্রবেশ করেন ২০১৮ সালে, যে যাত্রার অবসান হয় ২০২১ সালে এসে।
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেজ ৪০ বছরে পা দিয়েছে ৬ জুন।
বেশ কিছু অ্যালবাম, পুরস্কার, অসাধারণ ও হিট গানের সঙ্গে বাংলাদেশের সংগীত জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে ব্যান্ডটি। তা ছাড়া গানের কথা ও সুরের মধ্য দিয়ে কয়েক প্রজন্ম ধরে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে তারা।
গত সপ্তাহে কোক স্টুডিও বাংলায় নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ হয়েছে ওয়ারফেজের বিখ্যাত গান ‘অবাক ভালোবাসা’। গানটি নতুন করে প্রমাণ করল কিছু গান, কিছু সুর কখনও পুরোনো হয় না। কয়েক প্রজন্ম পরও এসব গান আবার নতুন করে ফিরে আসে।
গানটির নতুন সংস্করণ ইউটিউবে ৭০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। এমন সময়ে এর আদি সংস্করণের কথাও আমাদের মনে পড়ে যায়।
আজ থেকে ৩০ বছর আগে ‘অবাক ভালোবাসা’ নামের অ্যালবামে মুক্তি পায় এ গান। অ্যালবামটি তো হিট হয়েছিলই, সেই সঙ্গে অবাক ভালোবাসা গানটিও।
বেশ কিছু চমৎকার উপাদান এতে যুক্ত করা হয়েছিল। শুরুতেই কয়েক মিনিটের সেই গিটার সলো, পাথরে ধাক্কা খাওয়া ঢেউয়ের শব্দ, আকাশে উড়তে থাকা গাঙচিলের ডাক, আর তারপর অসাধারণ কথা ও সুরের সমন্বয়। তখনকার তরুণরা গানটিকে লুফে নিয়েছিল।
প্রায় তিন দশক পর প্রকাশিত অবাক ভালোবাসা গানের নতুন সংস্করণটি বর্তমান সময়ের তরুণদের ভালোবাসা পাচ্ছে। গানটিতে অংশ নিয়েছেন ওয়ারফেজের বর্তমান সদস্যরা শেখ মনিরুল আলম টিপু, ইব্রাহিম আহমেদ কমল (লিড গিটার), পলাশ নূর (ভোকাল), সামির হাফিজ (লিড গিটার), নাইম হক রজার (বেইজ গিটার) ও শামস মনসুর গণি (কিবোর্ড)। এতে পারফর্ম করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছিলেন ব্যান্ডটির সাবেক ভোকাল ও এই গানের স্রষ্টা বাবনা করিম। আরও ছিলেন একঝাঁক শিল্পী, যারা গানের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছেন ও ভোকালাইজ করেছেন।
টিপু বলেন, ‘গত নভেম্বরে অর্ণব কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের ব্যাপারে আমার সাথে যোগাযোগ করে। তারা একটা এপিসোডে ওয়ারফেজকে ফিচার করতে চাইছিল। বিভিন্ন শর্ত, নানা বিষয়ে একমত হওয়ার পরে আমরা এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করলাম।’
টিপু জানান, তারা প্রথমে তাদের অন্য একটি হিট গান ‘একটি ছেলে’ নতুনভাবে করতে চাইছিলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের বর্তমান ভোকাল পলাশ এই গানটা চমৎকার গায়। আমরা সবাই ভাবছিলাম এই গানটা দারুণ হবে, কিন্তু কোক স্টুডিও টিমের পছন্দ ছিল ‘অবাক ভালোবাসা’। অনেক চিন্তাভাবনার পর আমরা কোকের সিদ্ধান্তই মেনে নিলাম। সাথে সাথেই আমরা গানটি যার লেখা ও সুর করা, সেই বাবনা করিমের সাথে যোগাযোগ করলাম।”
টিপুর মতে, পুরো ব্যাপারটাই ছিল একটি দলীয় প্রচেষ্টা। নতুন সংস্করণটির প্রযোজনায় অর্ণব আর সামিরের সঙ্গে তিনি নিজেও কাজ করেছেন।
অবাক ভালোবাসা গানের ভিজ্যুয়াল পরিচালনায় ছিলেন ডোপ প্রোডাকশনের কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। এর সেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় অন্তত ৩০০ কেজি বালি।
আর্ট ডিরেক্টর শিহাব নূর এবং কস্টিউম ডিজাইনার নিশাত দিশার সঙ্গে মিলে কৃষ্ণেন্দু আর তার টিম একটি চমৎকার ডিজাইন তৈরি করেছেন। এখানে ছিল কক্সবাজারের সমুদ্র, ‘অ্যাঞ্জেল ড্রপ’ নামের একটি ক্যাফে এবং নীলচে আভার সন্ধ্যাবেলা।
বেড়ে ওঠার সময়ে গানটি কৃষ্ণেন্দুর ভীষণ প্রিয় ছিল। তিনি বলেন, ‘অবাক ভালোবাসা শুনে আমার সবসময়ই শান্ত সমুদ্র আর রাতের তারাভরা আকাশের কথা মনে পড়ে। সেই কারণে ভিজ্যুয়ালের ক্ষেত্রে আমরা নীল আর সাদা টোন নিয়ে কাজ করেছি।’
পরিচালক আরও জানান, লাইভ শ্যুট করা সবসময়ই বেশ ঝামেলার। সেটে কাজ করার সময় প্রযুক্তিগত নানা সমস্যা মোকাবিলা করতে গিয়ে অডিও ও ভিডিও দুটি টিম মিলে একটি টিম হয়েই কাজ করেছিল।
অবাক ভালোবাসা গানের গীতিকার ও সুরকার বাবনা করিম জানান, গানটি মুক্তি পাওয়ার বছর দুয়েক আগে ১৯৯২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি গানটি লিখেছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমার মাথায় প্রথমে সুরটা এসেছিল। গানের কথা এসেছে আরও পরে।’
১৯৯৪ সালে ‘অবাক ভালোবাসা’ নামের অ্যালবামটি মুক্তি পাওয়ার পর ব্যান্ডটি ‘কোকা-কোলা ব্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’-এর খোঁজ পায়।
প্রতিযোগিতায় এই গান জমা দেয়ার জন্য খুবই আগ্রহী ছিল ব্যান্ডটি, কিন্তু তাদের সাড়ে তিন হাজার টাকার মতো ঘাটতি ছিল।
এ নিয়ে টিপু বলেন, ‘প্রতিযোগিতার বিচারকরা আমাদের কাছে পাঁচটি ক্রোম ক্যাসেটে গানটির রেকর্ড, গানের কথা এবং গঠন (কনস্ট্রাক্ট) চেয়েছিলেন। বাবনা বা আমার কারও কাছেই ওই টাকা ছিল না। তাই আমি রেইনবোর কবির ভাইয়ের কাছে গেলাম। তিনি সাথে সাথেই আমাকে টাকাটা দিলেন এবং নিজেই ক্রোম ক্যাসেটগুলোও রেকর্ড করে দিলেন।’
অনুমিতভাবেই প্রতিযোগিতায় তারা প্রথম স্থান লাভ করে ৫০ হাজার টাকা জিতে নেন। এর ফলে নিঃসন্দেহে ব্যান্ডটি এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছে; সংগীত জগতে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।
এখন তিন দশক পরে এসে ভাগ্যই যেন ওয়ারফেজ আর কোকা-কোলাকে আবার এক মঞ্চে নিয়ে এলো। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনে যুক্ত হলো জনপ্রিয় ব্যান্ডটি।
কোক স্টুডিও বাংলার নতুন সংস্করণের প্রযোজনা ও সেট নিয়ে বাবনা করিম বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমার চমৎকার লেগেছে। আর দুটো ভিন্ন স্কেলকেও বেশ ভালোভাবেই মেলানো হয়েছে।’
আদি সংস্করণ ও নতুন সংস্করণের উল্লেখযোগ্য পার্থক্যটির দিকে নির্দেশ করে বাবনা বলেন, ‘এটা করার কারণ হলো পলাশ আর আমি দুই ধরনের স্কেলে গান করি।’
বাবনা করিম যে স্কেলের পরিবর্তনের কথা বলছেন, তা হলো সেটে নতুন সংস্করণটি লাইভ গাওয়ার সময় ই মাইনর থেকে সি মাইনরে চলে যাওয়া। অনেক সময় পারফরম্যান্সকে আরও শৈল্পিক করে তোলার জন্য একাধিক স্কেল ব্যবহার করা হয়। এ রকম ক্ষেত্রে গানের গতিতেও আসে পরিবর্তন।
দুই বা ততধিক ভোকাল একই গান গাওয়ার সময়ও স্কেলের এই পরিবর্তন দেখা যায়। অবাক ভালোবাসার ক্ষেত্রে এ কারণেই পরিবর্তনটি করা হয়।
পলাশ বলেন, ‘এই গানে আমরা সি মাইনর থেকে ই মাইনরে গিয়েছি। অর্থাৎ মোট চারবার স্কেল পাল্টেছে!’ দুজন ভোকালিস্টের স্বাচ্ছন্দ্যময় পারফর্মের সুবিধার্থে এটা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক কীভাবে এই ট্রানজিশনটা আনা হবে, সে ব্যাপারে ওয়ারফেজ আর অর্ণবের মাঝে দীর্ঘ আলোচনা হয়। একসময় একটা পয়েন্ট ঠিক করা হয়, যেখানে ভোকাল আর বাদ্যযন্ত্রের এই ট্রানজিশনটা সুন্দরভাবে হয়। সেদিন আমি নতুন কিছু জিনিস শিখতে পেরেছিলাম!’
নব্বই দশকের সংগীতপ্রেমী আর ওয়ারফেজের ভক্তদের স্মৃতিকাতর করে তুলেছে গানটির এ নতুন সংস্করণ, তবে নতুন আইডিয়া ও কয়্যার, বাঁশি ও পারকাশনসহ নতুন একটি সেটআপে গানটি করতে রাজি হওয়ার সাহস দেখানোর জন্য ওয়ারফেজকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
এ থেকে স্পষ্ট যে, সংগীতের বিবর্তন কখনও থেমে থাকে না এবং কিংবদন্তি ব্যান্ড ওয়ারফেজের অবাক ভালোবাসা সব মিলিয়ে ছিল অসাধারণ।
কয়েক প্রজন্ম ধরে অবাক ভালোবাসা শ্রোতাদের খুব প্রিয় একটি গান। এটি ভালোবাসা আর সুরের শক্তিতে অনেক মানুষকে কাছে এনেছে।
এখন সময় তরুণ শিল্পীদের এগিয়ে আসার, নতুন কিছু করার। সেটা তখনই সম্ভব হবে, যখন কিংবদন্তি শিল্পীরা নতুন ধরনের জিনিসগুলো গ্রহণ করার মানসিকতা দেখান, তাদের এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দেন।
লেখক: সংগীতশিল্পী
আরও পড়ুন:ঢাকাকেন্দ্রিক যাযাবর ব্যান্ডের স্টুডিওতে পুলিশ সদস্য তালুকদার সানাউল্লাহর কথা ও সুরে ‘সেই তুমি’ শিরোনামের গানের রেকর্ডের কাজ সম্পন্ন করেছেন কণ্ঠশিল্পী সজল।
২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ‘পাওয়ার ভয়েস’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন সজল। এরপর নতুন গান প্রকাশের পাশাপাশি স্টেজ, টিভি লাইভ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
‘সেই তুমি’ গানটির সম্পর্কে জানতে চাইলে সজল বলেন, “যাযাবর ব্যান্ডের ভোকাল ক্যাপ্টেন আমার খুব কাছের ভাই ও সহকর্মী। তার আয়োজনে আমি ‘সেই তুমি’ গান নিয়ে বেশ আশাবাদী।”
তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্য তালুকদার সানাউল্লাহ একেবারে ভিন্ন পেশার মানুষ হয়েও গান লেখা, সুর করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ জন্য আমি তাকে সম্মান জানাই।
‘পেশাগত কাজের মধ্যে থেকেও যে শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি তার যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, আমি আসলেই মুগ্ধ হয়েছি।’
এ শিল্পী বলেন, ‘আমরা ব্যান্ড মিউজিককে হারাতে বসেছি। যুগের হাওয়ার ঝড়ে আমরা মহারথীদের কষ্টে গড়া সোনালি সেই সময়ের ব্যান্ড মিউজিককে ভুলেই গেছি। সেই তুমি গানটি আমার কাছে মনে হয়েছে সেই সোনালি সময়ের ব্যান্ড মিউজিকের ক্যাসেটের গানগুলোর মতো। আশা করছি গানটি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মনের কথা তুলে ধরবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন মানুষ গান শোনার চেয়ে বেশি দেখেন। আসলে আমি মনে করি আমাদের বাংলা মিউজিককে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের অডিও গানের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত। বাংলা সংস্কৃতি, বাংলার ঐতিহ্য, বাংলার মিউজিককে বাঁচিয়ে রাখতে সকলের সাপোর্ট ভীষণভাবে প্রয়োজন। সকলের ভালোবাসায় গান করে যাচ্ছি। এ ভালোবাসা নিয়েই ভালো ভালো গান করে যেতে চাই।
‘খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠিত কোনো ক্যাসেট কোম্পানির ব্যানারে সেই তুমি গানটি প্রকাশিত হতে চলেছে। আমার বিশ্বাস, যেভাবে আমায় উৎসাহ দিয়ে পাশে থেকেছেন ভালোবেসে যাচ্ছেন, আগামীতেও পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন:মৌমিতা তাশরিন নদী; এ প্রজন্মের অন্যতম আলোচিত সংগীতশিল্পী। গ্ল্যামারাস ও মিষ্টি গায়কীর এই শিল্পী এরইমধ্যে বেশ কিছু মৌলিক গান উপহার দিয়েছেন, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তাও পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার মুক্তি পেলো নদীর আরও একটি নতুন গান।
‘মন মানে না’ শিরোনামের এই গানটি প্রকাশ হয়েছে আরটিভি মিউজিকের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
গানটির কথা লিখেছেন আজমল কবির ও সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন হৃদয় হাসিন। আর রিদম প্রোগ্রামিং করেছেন সায়েম রহমান।
নতুন গান নিয়ে নদী বলেন, “মৌলিক গানের ক্ষেত্রে আমি একটু সময় নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। ‘মন মানে না’ গানটি বেশ মিষ্টি একটা রোমান্টিক গান। গানটির কথা যেমন সুন্দর, তেমনি এর মিউজিকটাও দারুণ।
“যারা ফোক ও মেলোডির মেলবন্ধন পছন্দ করেন, তাদের গানটি ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে, গানটি পছন্দের তালিকায় রয়ে যাওয়ার মতো।”
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি দর্শক- শ্রোতাদের মিষ্টি একটা গান উপহার দেয়ার। তাদের কাছে গানটি ভালো লাগলে, গ্রহণযোগ্যতা পেলে আমাদের কষ্ট স্বার্থক হবে।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে নদীর গাওয়া ‘জলছায়া’, আসিফ আকবরের সঙ্গে ‘আজ হারাই’, একক কণ্ঠে ‘ডুবসাতার’, ‘দেশি গার্ল’সহ আরও বেশ কিছু গান বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে।
মন্তব্য