চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে অনুদান দিয়েছে সরকার।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সিনেমাগুলোর প্রযোজক, পরিচালক ও টাকার পরিমাণ জানানো হয়।
স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে অনুদান পাওয়া সিনেমাগুলো হলো-
একটি ভোরের অপেক্ষায় (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক), প্রযোজক ও পরিচালক দীপান্বিতা ইতি, পাবেন ২০ লাখ টাকা। প্রজেক্টটি মেন্টরিং করবেন রেজাউর রহমান খান (পিপলু আর খান)।
লোকনাট্য প্রসঙ্গ ও ধামের গান (প্রামাণ্যচিত্র), প্রযোজক ও পরিচালক বিপ্লব কুমার পাল বিপু। তিনি পাবেন ১৮ লাখ টাকা। মেন্টর হিসেবে আছেন পিপলু আর খান।
জল তরঙ্গের গান (প্রামাণ্যচিত্র)-এর প্রযোজক ও পরিচালক তাহরিমা খান পাবেন ১৮ লাখ টাকা। মেন্টরিং করবেন পিপলু আর খান।
অ্যাথলেট সুলতানা কামাল (সাধারণ শাখা) প্রযোজনা করবেন নেহরিন মোস্তফা, পরিচলনা করবেন রিয়াজুল হক। তিনি পাবেন ২০ লাখ টাকা। এটি মেন্টরিং করবেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
বাকিটা ইতিহাস (সাধারণ শাখা) প্রযোজনা করবেন শুভ কুমার পাল, পরিচালনা করবেন উম্মে সালমা ঊষা। পাবেন ২০ লাখ টাকা। এটি মেন্টরিং করবেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
বামাদেশ (সাধারণ শাখা) স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করবেন রাওয়ান সায়েমা। তিনি পাবেন ২০ লাখ টাকা। তার মেন্টর অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রজেক্টের জন্য মোট ব্যয় ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:চলছে ঈদের মৌসুম। ১০ জুলাই, ঈদের দিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তিনটি নতুন সিনেমা। ঈদ বলেই ঈদের সিনেমা শুক্রবার নয় বরং মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঈদের দিন।
ঈদে সিনেমা মুক্তির ঠিক দুই দিন আগে মুক্তি পাচ্ছে দুটি সিনেমা। সিনেমা দুটি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত। সিনেমা দুটি হলো কার্নিশ ও যা হারিয়ে যায়। সিনেমা দুটি মুক্তি দেয়ার জন্য প্রযোজক আবেদন করেছেন পরিবেশক প্রযোজক সমিতিতে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পোস্ট মাস্টার গল্প অবলম্বনে যা হারিয়ে যায় নির্মাণ করেছেন সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী। এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ঝিলিক জান্নাত, তুষার খান, মাসুম বাশার। আর বিদ্যা সিনহা মিম, রোশান অভিনীত কার্নিশ নির্মাণ করেছেন ভিকি জায়েদ।
সিনেমা দুটির প্রিমিয়ার হবে চ্যানেল আইতে। এর আগে সিনেমা দুটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহেও। সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছে।
চ্যানেল আইয়ের প্রোগ্রাম প্রডিউসার ফরিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিনেমা দুটি মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার। ব্লকবাস্টার সিনেমাসে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি।’
যা হারিয়ে যায় ও কার্নিশ-এর দৈর্ঘ্য অন্য সব পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার চেয়ে কম হওয়ায় এক টিকিটেই দুটি সিনেমা দেখতে পারবেন বলে জানান ফরিদুল ইসলাম।
ঈদের ঠিক আগে, কোনো প্রচারণা ছাড়াই কেন সিনেমা দুটি মুক্তি দেয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে ফরিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সিনেমা জমা দিতে চাইলে সেটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে হয়। সিনেমা দুটি যেন জমা দেয়া যায়, সেকারণেই এটা করা হচ্ছে।’
প্রেক্ষাগৃহে নিজের সিনেমা মুক্তির বিষয়টি জানেন না পরিচালক ভিকি জাহেদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে জানি না। এটা টিভি প্রোডাকশন বলেই আমি জানি।’ আর সালাউদ্দিন জাকীকে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:প্রেক্ষাগৃহ, ছোট পর্দা, অনলাইন মাধ্যম প্রস্তুত ঈদ আয়োজনে দর্শক মাতাতে। দর্শকদের বিনোদন দিতে পিছিয়ে নেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিও।
কোরবানি ঈদের আয়োজন হিসেবে প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দেবে অরিজিনাল সিরিজ সিন্ডিকেট। ঈদের দিন রাত ৮টায় প্রকাশ পাবে সিরিজটি। এটি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন।
গল্পে দেখা যাবে, কয়েক দিন থেকে অন্যমনস্ক আর শঙ্কিত ব্যাংক কর্মকর্তা জিশা। তিনি এড়িয়ে চলছেন তার প্রেমিক ও সহকর্মী আদনানকে।
আদনান বুঝতে পারে জিশা কিছু লুকাচ্ছে তার কাছে। আরেক সহকর্মী স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে সত্য জানতে নেমে পড়ে আদনান। একে একে তাদের সামনে উন্মোচিত হতে থাকে গোপনে থাকা অনেক সত্য।
এরই মধ্যে সিন্ডিকেট-এর ট্রেইলার প্রকাশ পেয়েছে। এটি চরকির জন্য শিহাব শাহীনের দ্বিতীয় ওয়েব সিরিজ। এখানে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা যাবে আফরান নিশো, তুষি ও ফারিণকে।
এই সিরিজের জন্য নিজেকে একদম ভিন্নভাবে তৈরি করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘সিরিজে আমি অ্যাসপারগার সিনড্রোমে আক্রান্ত। সেই সঙ্গে বেশ ইন্ট্রোভার্ট। এই চরিত্রটা করার জন্য আমাকে চুল কাটতে হয়েছে। সেই সঙ্গে জানতে হয়েছ রোগটা নিয়ে। সিন্ডিকেট একটা ফুল প্যাকেজ সিরিজ। দর্শক খুব তাড়াতাড়ি সেটা দেখে বুঝতে পারবে।’
তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘চরকিতে এটা আমার প্রথম সিরিজ। চরিত্রটা একই সঙ্গে আকর্ষণীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি. বাকিটা এখন দর্শকের ওপরে।’
নাজিফা তুষি বলেন, ‘এই ঈদটা আমার জন্য আসলে খুব স্পেশাল। এই প্রথম কোনো ঈদে আমার কাজ রিলিজ হচ্ছে। সেই সঙ্গে আমার অনেক প্রথমের সমন্বয় হয়েছে সিন্ডিকেট-এ। আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ, প্রথমবার শিহাব ভাই, নিশো ভাই ও ফারিণের সঙ্গে কাজ করা।’
সিন্ডিকেট-এ অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে শতাব্দী ওয়াদুদ, রাশেদ মামুন অপু, নাসির উদ্দিন খান। সাত পর্বের এ সিরিজে রয়েছে দুটি গান।
পরিচালক শিহাব শাহীন বলেন, ‘মরীচিকা-য় কাজের অভিজ্ঞতা এক রকম ছিল আর এইটার অভিজ্ঞতা আরেক রকম। সিন্ডিকেট-এর গল্প, প্লট, কাহিনি সবকিছুই একদম ভিন্ন রকমের।’
আরও পড়ুন:কোরবানি ঈদের প্রেক্ষাগৃহে দর্শক মাতাতে আসছে তিন সিনেমা। নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পরিবেশক প্রযোজক সমিতি সূত্র।
সিনেমা তিনটি হলো বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত, অনন্ত জলিল-বর্ষা জুটির সিনেমা দিন- দ্য ডে, রায়হান রাফি পরিচালিত ও শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম ও ইয়াশ রোহান অভিনীত পরান এবং অনন্য মামুন পরিচালিত, রোশান, পূজা অভিনীত সিনেমা সাইকো।
সিনেমা তিনটির প্রযোজকরা ঈদে তাদের সিনেমা মুক্তি দেয়ার জন্য পরিবেশক প্রযোজক সমিতিতে আবেদন করেছেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছে সমিতি সূত্র।
সিনেমা তিনটির মধ্যে কোন সিনেমা কত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তা এখনও চূড়ান্ত করে জানায়নি সিনেমাসংশ্লিষ্টরা। তারা আশা করছেন শিগগিরই হল লিস্ট জানাতে পারবেন দর্শকদের।
ঈদের তিনটি সিনেমাই অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার। এর সঙ্গে অল্প করে রয়েছে রোমান্টিকতার ছোঁয়াও।
আরও পড়ুন:প্রতীক্ষিত সিনেমা হাওয়ার মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন আগেই জানিয়েছিলেন, জুলাইতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এবার তিনি জানালেন মুক্তির তারিখ।
পরিচালক নিউজবাংলাকে বলেন, ’২৯ জুলাই মুক্তি পাবে হাওয়া। বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হবে সিনেমাটির প্রথম গান।’
এর আগে সিনেমাটির ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়েছে। তার পর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে দর্শক মহলে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ। আর এখন নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে সিনেমার চরিত্রগুলোর লুক।
হাওয়া মূলত এ কালের রূপকথার গল্প। তবে যে রূপকথার গল্প সবাই শুনে আসছে, ঠিক তেমন না সিনেমাটির গল্প। এটি মাটির গল্প নয়, বরং পানির গল্প। সমুদ্রপারের নয়, গভীর সমুদ্রের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে হাওয়া।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, সোহেল মন্ডল, সুমন আনোয়ার, নাজিফা তুষিসহ অনেকে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড।
দীর্ঘ বিরতির পর তামিল সিনেমা পোনিয়িন সেলভান দিয়ে পর্দায় ফিরছেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন।
নির্মাতারা মণি রত্নমের পরিচালনায় সিনেমাটিতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। পঘুভুরের রাজকন্যা রাণী নন্দিনী এবং তার মা মন্দাকিনী দেবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
এই পিরিয়ডিক ড্রামায় নন্দিনীর বেশে ঐশ্বরিয়ার ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এসেছে। প্রযোজনা সংস্থা লাইকা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বুধবার প্রকাশ করেছে পোস্টার।
ইনস্টাগ্রামের সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘প্রতিহিংসার সুন্দর মুখ আছে! পঘুভুর রানী নন্দিনীর সঙ্গে দেখা করুন!’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, তামিল লেখক কালকি কৃষ্ণমূর্তির ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘পোনিয়িন সেলভান’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে এই সিনেমা। দশম শতাব্দীতে চোল সাম্রাজ্যের এক উত্তাল সময়ের প্রেক্ষাপটে মোড়া এর গল্প। সেসময় শাসক পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে সম্রাটের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
View this post on Instagram
দুটি পার্টে নির্মাণ হচ্ছে এই সিনেমা। চলতি বছর মুক্তি পাবে প্রথম পার্ট। সিনেমায় ঐশ্বরিয়া ছাড়া আরও অভিনয় করছেন বিক্রম, কার্তি, জয়াম রবি, তৃষা কৃষ্ণন ও মোহন বাবু।
২০১৯ সাল শুরু হয়েছিল পোনিয়িন সেলভান-এর শুটিং, কিন্তু করোনা মহামারির কারণে থমকে গিয়েছিল সিনেমার কাজ।
হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালয়লম ও কন্নড় ভাষায় মুক্তি পাবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে পোনিয়িন সেলভান-এর প্রথম পার্ট।
এর আগেও নির্মাতা মণি রত্নমের সঙ্গে ইরুভর (১৯৯৭), গুরু (২০০৭), রাবণ (২০১০)-এর মতো সিনেমায় কাজ করেছেন ঐশ্বরিয়া। এদিকে ঐশ্বরিয়াকে সবশেষ দেখা গেছে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ফানি খান সিনেমায়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামসহ ৩৩টি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনের আয়োজনে ৪ জুলাই বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়ায় অসংগতির প্রতিবাদে সমাবেশ করেন চলচ্চিত্রকর্মীরা।
চলচ্চিত্র অনুদান ২০২১-২২ এর সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিক অসংগতির প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান দেয়া, প্রামাণ্যচিত্রকে অনুদান না দেয়া এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের সংখ্যা কমিয়ে দেয়াসহ অনুদান প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসানে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় সমাবেশে।
সমাবেশের একদিন পর বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের যে দাবি, সেই দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক, প্রদর্শক, চলচ্চিত্রগ্রাহক সমিতি ও ফিল্ম এডিটরস গিল্ড। সমিতিগুলো বুধবার মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে।
চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বন্ধের জন্য কিছু নির্মাতার দাবিকে চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন সমিতিগুলোর নেতারা।
সবার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গত ৪ জুলাই সোমবার রাজধানীর শাহবাগে কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য, দেশের জন্য এবং সর্বোপরি মানুষের সুস্থ বিনোদনের জন্য ক্ষতিকর এই দাবি আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না এবং এটিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলচ্চিত্র শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করি।
‘একথা আমরা সবাই জানি যে, দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের পুণরুত্থান এবং দর্শকদের আবার প্রেক্ষাগৃহমুখী করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুদান ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ করে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রদান যেমন চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলী এবং হল মালিকদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছে তেমনি মানুষকেও সুস্থ বিনোদনের চর্চায় সিনেমা হলে ফিরিয়ে এনেছে। এসব কারণে পুরো চলচ্চিত্র সমাজের পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অকুণ্ঠ ধন্যবাদ প্রাপ্য।
‘অথচ আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা দেশের মূলধারার চলচ্চিত্রের বাইরের কিছু সংগঠনের ব্যানারে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাদের মধ্যে কয়েকজন এবছর অনুদান না পেয়ে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এই অবস্থান নিয়েছেন। এমন কি সরকারি অনুদান গ্রহণ করে সেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি এমন অভিযুক্তরাও এই দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন। অথচ চলচ্চিত্রে অনুদান সরকারি নীতিমালা পুরোপুরি অনুসরণ করেই দেয়া হয়। গত তিন বছরে ৯টি প্রামাণ্যচিত্রসহ মোট ২৫টি স্বলদৈর্ঘ্য ও ৫৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়া হয়েছে, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় সংখ্যা ও অনুদানের অর্থ দুই মাপকাঠিতেই বেশি। দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা-বোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত কমিটিই অনুদান প্রদান করে। এ সকল সত্য তাদের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং স্বার্থসিদ্ধিমূলক বলে প্রমাণ করেছে।’
আরও পড়ুন:দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় ফিরতে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। ইতোমধ্যেই তার বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা এসেছে। সবগুলোই মুক্তি পাবে আগামী বছর।
তবে এই সিনেমাগুলোর মধ্যে বর্তমানে বেশ আলোচনার আছে জওয়ান। সম্প্রতি এই সিনেমার ফার্স্ট লুক ও নাম ঘোষণার ভিডিওতে অপ্রত্যাশিত সাজে দেখা যায় কিং খানকে। মুখে-মাথায় ব্যান্ডেজ বাধা, চারপাশে অস্ত্র সজ্জিত অ্যাকশন মোডে শাহরুখ।
নাম ঘোষণা ও শাহরুখের এমন লুক দেখার পর থেকেই সিনেমাটি ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই উত্তেজনার পারদ আরেকটু বাড়িয়ে দিল নতুন এক খবর।
শোনা যাচ্ছে জওয়ান-এ ভিলেন হিসেবে এন্ট্রি নিতে পারেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা বিজয় সেতুপতি।
বিশেষ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় বিনোদনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল পিঙ্কভিলার এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, জওয়ান-এর নির্মাতারা বিজয় সেতুপতির সঙ্গে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয়ের আলোচনা করছেন, তবে এখনও কিছুই আনুষ্ঠানিক নয়। তিনি এখনও সিনেমাটির জন্য সম্মতি দেননি, তাই মুম্বাইতে তার শুটিংয়ে যোগ দেয়ার বিষয়ে কোনো সত্যতা নেই।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বিক্রম সিনেমার খল চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল প্রশংসায় ভাসছেন বিজয় সেতুপতি।
এদিকে জওয়ান-এ শাহরুখের সঙ্গে রয়েছেন দক্ষিণী সিনেমার নারী সুপারস্টার নয়নতারা। আগামী বছর ২ জুন মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য