বিশ বছর ধরে অপ্রকাশিত গানের প্রকাশ, স্মৃতিচারণা ও সংগীতায়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা সংগীতের দিকপাল লাকী আখন্দের ৬৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করলেন সংগীতশিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়েছে লাকী আখন্দের সুর করা, গোলাম মোরশেদের কথায় মেহরিনের গাওয়া ‘সে গানেরই পাখি’ গানের অডিও-ভিডিও।
লাকী আখন্দের সৃষ্টির উৎসব ঘিরে মঙ্গলবার বিকেলে শিল্পীর কাছের মানুষরা একত্র হন হোটেল সোনারগাঁয়ে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
লাকী আখন্দের শেষ মুহূর্তসহ অনেকটা সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন ডক্টর রুবায়েত রহমানের অধীনে।
তিনি বলেন, ‘শেষ সময় অনেকের কথা অসংলগ্ন হয়ে যায়। লাকী আখন্দেরও হয়েছিল, কিন্তু তখনও তিনি বলেছেন, তোমরা সফটওয়্যার পরিহার কর। তিনি আরেকটা জিনিস চেয়েছিলেন, সেটি হলো, তিনি তার মৃত মুখ কাউকে দেখাতে মানা করেছিলেন। আমরা সেটা যতটুকু পেরেছি, মেইনটেইন করেছি।’
অনুষ্ঠানে শিল্পী মেহরিনের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ‘সে গানেরই পাখি’ গানটির অডিও এবং ভিডিও প্রকাশ করেন অতিথিরা।
এরপর সবাই মিলে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সুরের বরপুত্র লাকীর ৬৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন আয়োজন।
লাকীর সৃষ্টিশীল জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন শিল্পীর আজীবন বন্ধু ও সংগীত ভুবনের সতীর্থ গোলাম মোরশেদ, মেহরিন, ফোয়াদ নাসের বাবু, বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলামসহ অনেকে।
‘সে গানেরই পাখি’-এর সংগীত আয়োজন করেছেন দেশের তরুণ সংগীতশিল্পী রূপক।
লাইমলাইট স্টুডিওর প্রযোজনায় গানটির অনবদ্য ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন তাজওয়ার ইয়াকিন ও এসকে নাঈম।
ভিডিওতে মা ও মেয়ের চরিত্রে মডেল হিসেবে অংশ নেন নাজিফা আয়াত ও তাসনুভা। ব্যক্তিগত জীবনেও যারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে লাকীর ডজনখানেক গান দিয়ে সাজানো প্রায় ৪০ মিনিটের একটি মনোমুগ্ধকর জ্যামিং সেশন উপহার দেন সমবেত শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বঙ্গবিডিডটকমের কো-ফাউন্ডার ও ডিরেক্টর, আনিসুল হক ফাউন্ডেশনের অন্যতম ট্রাস্টি এবং মোহাম্মাদী গ্রুপের ডিরেক্টর নাভিদুল হক।
সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা দুই দিনব্যাপী কনসার্টের আয়োজন করছে।
কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থ বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় ব্যয় হবে।
সোমবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে কনসার্ট শুরু হবে। চলবে মঙ্গলবারও। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই কনসার্টের এন্ট্রি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
ওয়ারফেজ, আর্ক, অ্যাশেজ, ভাইকিং, সোনার বাংলা সার্কাস, সহজিয়াসহ আরও অনেক নামি ব্যান্ড দল কনসার্টে গান পরিবেশন করবেন।
মূলত ঢাবির সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে এই কনসার্ট হচ্ছে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে আয়োজিত এই কনসার্টে সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
ঢাবির সাংবাদিক সমিতিতে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে ‘বন্যার্তদের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন’। এ উদ্যোগের সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য টিএসসির অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে অর্থ সংগ্রহ চলছে। এজন্য জন্য টিএসসির পায়রা চত্বরে স্থাপন করা হচ্ছে ‘উন্মুক্ত মঞ্চ’।
কনসার্ট আয়োজনের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য গোলাম কুদ্দুছকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসকে করা হয়েছে সদস্যসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে করা হয়েছে উপদেষ্টা।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সভাপতি দিগার মোহাম্মদ কৌশিক, স্লোগান’৭১ এর সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন হাসান শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদের সভাপতি আরাফাত আরেফিন উৎস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক জয় দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানসহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘ত্রাণ শব্দটা আমাদের পাল্টাতে হবে। জনগণের টাকায় দেশ চলে। জনগণের টাকাতেই আমাদের বেতন হয়, আমরা হলে থাকতে পারি। এখানে সুনামগঞ্জের মানুষসহ সবার টাকা আছে। তাদের একটা অংশ বিপদে পড়েছে। তাদের টাকায় তাদের সহযোগিতা করতে হবে। এটা করুণা বা দয়া নয়, এটা তাদের অধিকার। কাজেই ত্রাণ শব্দটা বাদ দিতে হবে।
‘আমাদের মূল শক্তি ছাত্র-ছাত্রীরা। আমরা তাদের সহায়তা করছি ও পরামর্শ দিচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় সংকটে সবার পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনও আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আলী আকবর বলেন, ‘দেশের বিপর্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় পাশে ছিল। এই প্রেক্ষাপটেই আমাদের সবার এই উদ্যোগ। আমাদের একটা কনসার্টের আয়োজন করা হচ্ছে।
‘কনসার্টের টাকা বন্যাদুর্গতদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সবার সহযোগিতায় প্রাপ্ত অর্থ বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতায় ব্যয় হবে।’
কোন কোন এলাকায় সহযোগিতা করা হবে এবং এ পর্যন্ত ফান্ডিংয়ের অবস্থা কেমন জানতে চাওয়া হলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রীর বাড়ি সেখানে। আমরা প্রতিনিয়ত খবর নিচ্ছি। যেখানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খবর পাব, সেখানেই আমরা আগে পৌঁছাব।
‘ইতিমধ্যে অনন্ত জলিল ও বর্ষা ৬ লাখ টাকা দেয়ার কথা দিয়েছে। আরও ৪ জন ৪ লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর সব ছাত্ররা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে যে গণকালেকশন করেছে তার মাধ্যমে ১ লাখ টাকার মতো ফান্ডিং হয়েছে।
‘সব মিলিয়ে ১১ লাখ টাকার মতো আমাদের হয়েছ। আমরা আশা করছি নিঃসন্দেহে এটি আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন:দ্য ভিঞ্চির লাস্ট সাপারের আদলে একটি ভোজ। বিটিএস-এর সাত সদস্য একটি ব্যান্ড হিসেবে তাদের নবম বার্ষিকী উদযাপন করেছেন। এটি জুনের মাঝামাঝি ডিনারের একটি ভিডিও চলাকালীন দৃশ্য।
বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ব্যান্ড দলটি এদিন বোমা ফাটিয়েছিল। তারা জানায়, নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। তারা এখন থেকে একক ক্যারিয়ারকে অগ্রাধিকার দেবে।
র্যাপার এবং গ্রুপ লিডার আরএম বলেন, ‘আমাদের মেনে নিতে হবে যে আমরা বদলে গেছি। কে-পপ এবং পুরো আইডল সিস্টেমের সমস্যা হলো, তারা আপনাকে পরিপক্ক হওয়ার সময় দেয় না।’
ব্যান্ডের সদস্য সুগা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা ঘন্টাব্যাপী ‘ডিনার পার্টি’ ভিডিওতে স্পষ্ট করে দেন যে, গ্রুপটি ‘বিচ্ছিন্ন’ নয়।
দলের আরেক সদস্য জাং কুক একটি ফলো-আপ ভিডিওতে জানান, তারা কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে না।
বিটিএস হল হালের সবচেয়ে বড় মিউজিক্যাল ব্যান্ড। দলটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে হাইবও। তারাই বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বিটিএসকে।
প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যান্ডটি একের পর এক রেকর্ড গড়েছে। গত এক বছরে ছয় বার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন বিলবোর্ডের শীর্ষে ছিল বিটিএস।
বিলবোর্ডের আন্তর্জাতিক সম্পাদক আলেক্সি ব্যারিওনুয়েভো বলেন, ‘মূল কথা হলো বিটিএস হলো চার্টের একটি দানব। তারা কেবল প্রভাবশালী কে-পপ অ্যাক্ট নয়। তাদের অনুপস্থিতির বড় প্রভাব পড়বে। ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা হাইবও বিপদে পড়বে। তারা ব্যান্ডটিকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা সাজিয়েছিল।’
নতুন অধ্যায় মানে কি?
জাং কুক পরবর্তী ভিডিওতে স্পষ্ট করেছেন, এটা একটা বিরতি কেবল। আরএম, সুগা, জে হোপ, জাং কুক, জিমিন, ভি এবং জিন একক প্রকল্পে কাজ করবে। তারা আরও স্বাধীনতার খোঁজে আছে। তবে দলগতভাবে কাজ বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে থাকা হাইবও। তারা জানিয়েছে, বিটিএস এখন নতুন একক প্রকল্পের পাশাপাশি গ্রুপ প্রকল্পগুলোর সঙ্গে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।
‘সদস্যরা বিভিন্ন নতুন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পরিচিতি বাড়াতে এই সময় নেবে। আশা করি, একটি দল হিসেবে তারা ব্যান্ডের দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিকে আরও মজবুত করবে।’
একসঙ্গে ফিরবে বিটিএস?
যেহেতু তারা ভেঙে যাচ্ছে না, তার মানে তারা এখনও একসঙ্গে আছে। তবে দল হিসেবে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। তারপরও তারা কখন একটি গ্রুপ হয়ে লাইভ পারফরম্যান্সে ফিরবে তা অস্পষ্ট।
ব্যারিওনুয়েভো বলেন, ‘এই দিক পরিবর্তনের লক্ষণ কিছু সময়ের জন্য স্পষ্ট। গত কয়েক বছরে আউটপুট কমে যাওয়ার পাশপাশি তারা যে ‘ফিশবোল’ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। তারা এমন একটি পরিস্থিতিতে ছিল, যেখানে টানা তিন বছরে তিন জন সদস্য হারিয়েছে।’
ব্যান্ডের উপার্জন
বিটিএস কোথাও যাচ্ছে না। তারা এখনও তাদের বিদ্যমান কাজ থেকে আয় করবে। তবে তাদের পেছনের প্রতিষ্ঠান হাইবও বড় ধাক্কা খাবে। যেদিন খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেদিন শেয়ারের দাম প্রায় ৩০ কমে গিয়েছিল। ব্লুমবার্গ বলছে, বাজার মূল্যে তাদের প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার এবং বছর শেষে প্রায় ৬০ শতাংশ আয় কমবে।
হাইবও মূলত শিল্পীদের পোর্টফোলিও পরিচালনা করে। টুমোরো এক্স টুগেদার এবং প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম উইভার্স চালায় প্রতিষ্ঠানটি। অন্যান্য এজেন্সিগুলোতেও কাজ করে হাইবও। সেখানে সংখ্যালঘু অংশীদারিত্বের পাশাপাশি কোরিয়ান ভাষার প্রোগ্রাম এবং গেমিংয়ের প্রজেক্ট নিয়েও কাজ করে তারা। একটি বড় মিউজিক চুক্তিতে ২০২১ সালে তারা ইথাকা হোল্ডিংসকেও অধিগ্রহণ করে। আমেরিকাভিত্তিক এই সঙ্গীত সংস্থা জাস্টিন বিবার এবং ডেমি লোভাটোসহ বিশ্ব তারকাদের পরিচালনা করে।
টেলিভিশন শোতে বিটিএস
জাং কুক জানান, রান বিটিএস-এর শুটিংসহ একটি দল হিসেবে সক্রিয় থাকবে বিটিএস। তাই দলে কোনো বিচ্ছেদ হচ্ছে না।
বিটিএসের অন্যান্য প্রকল্পগুলো দূর্দান্ত গতিতে চলছে। দলটির অ্যানিমেটেড মিউজিক ভিডিও ‘ইয়েট টু কাম’ (সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত) ২১ জুন প্রকাশিত হয়। ভিডিওটি মোবাইল গেম ‘বিটিএস আইল্যান্ড: ইন দ্য এসইওএম’-এর চরিত্রগুলোকে উপস্থাপন করে৷
কেমন হবে একক ক্যারিয়ার?
বিটিএস সদস্যরা সবসময় পার্শ্ব প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দেয়। অগাস্ট ডি নামে সুগা একাধিক মিক্সটেপ প্রকাশ করেছে। হলসে শেষ অ্যালবামে গায়ক-গীতিকার ম্যাক্সের সঙ্গে একটি দ্বৈত প্রযোজনায় কাজ করেছেন।
আরএম স্বতন্ত্র ট্র্যাকগুলোতে একজন র্যাপার হিসেবে অভিনয় করেছেন। ২০১৮ সালে তার নিজস্ব একক মিক্সটেপ মনো প্রকাশ করেন।
জে হোপ ২০১৮ সালে একটি মিক্সটেপ প্রকাশ করেন। ভি-এর একক সঙ্গীত, যা ব্যালাডিকে ঝুঁকছে, কয়েক মিলিয়ন স্ট্রিম উপার্জন করেছে।
জিমিন, জাং কুক এবং জিনও একক রিলিজে কাজ করেছেন। যদিও ডিনার পার্টির ভিডিওতে জিমিন জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেকে একক শিল্পী হিসেবে দেখেন না।
এই শিল্পীদের ফটোগ্রাফি, অভিনয়, নাচ, ফ্যাশন এবং সিনেমাসহ অন্যান্য বিষয়ে দারুণ ঝোঁক রয়েছে। তাই সম্ভবত আমরা তাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ এবং শখগুলোকে এখন বেশি গুরুত্ব দেবে; তা ব্যক্তিগত বা পেশাদারই হোক না কেন।
জিন ভিডিওতে রসিকতা করে জানিয়েছিলেন, তিনি গত কয়েক সপ্তাহের বেশিরভাগ সময় ভিডিও গেম খেলে কাটিয়েছেন, যখন সুগা ইংরেজি, পাইলেটস এবং নাচের ক্লাসে সময় দিয়েছেন।
জে-হোপের একক অ্যালবামের কাজ চলছে। জুলাইয়ের শেষে শিকাগোর লোলাপালুজা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে তিনি পারফর্ম করবেন।
আরও পড়ুন:লালনের ‘সব লোকে কয়’ গানটি কোক স্টুডিও বাংলা থেকে প্রকাশ পেয়েছে মঙ্গলবার। গানটিকে নিবেদন করা হয়েছে মানুষের চিরন্তন ভালবাসার প্রতি।
প্ল্যাটফর্মটি মনে করে মানুষের অভিব্যক্তি ভিন্ন হতে পারে, ভিন্ন হতে পারে তাদের অবস্থান, কিন্তু আবেগ একই রকম।
তাইতো পৃথিবীর এক প্রান্তে শেক্সপিয়রের আমলের গল্পগাথায় যখন বলা হচ্ছে ফি-ফাই-ফো-ফুম, অন্য প্রান্তে বাঙালিরা বলে ওঠে হাউ-মাউ-কাউ।
ঠিক একই রকম আবেদন রয়েছে সংগীতও ও সুরে। বাংলায় মরমী কবি ফকির লালন শাঁই এবং ভারতের কবির দাস- দুই দেশ, দুই পরিস্থিতি হলেও দুজন একই কথা বলে গেছেন। এদিকে লালন বলেন ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ তখন কবির দাস বলেন ‘কবিরা কুয়ান এক হ্যায়’ (কবিরা-কুয়ান একই)।
মানবতার চেতনায় সংযুক্ত দুটি ভিন্ন মানুষের একই রকম আবেদনের সংগীত এক করা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা এর মঞ্চে। লালনের গান গেয়েছেন কানিজ খন্দকার মিতু। আর কবির দাসের গান গেয়েছেন ভারতের সংগীতশিল্পী সৌম্য মুর্শিদাবাদী।
মিতু টাঙ্গাইলের মেয়ে। এখন লেখাপড়া করছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংগীতের অনার্স শেষ করে এখন মাস্টার্স করছেন লোকসংগীত নিয়ে।
পঞ্চম শ্রেণী থেকেই গান শিখে আসছেন মিতু। ২০১১ সালে একটি রিয়েলিটে শো-তে চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন। সংগীতেই পড়তে চেয়েছিলেন, পড়ছেনও।
বুধবার দুপুরে মিতু ছিলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোক স্টুডিওতে যুক্ত হওয়ার গল্প জানতে চাইলে মিতু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২১ এর ডিসেম্বরের কথা। অনিমেষ দা (অনিমেষ রয়- নাসেক নাসেক) আমাকে ভয়েস পাঠাতে বলেছিলেন। মোবাইলে রেকর্ড করে ভয়েস পাঠাই। বেশ কয়েক দিন পর খবর আসে যে আমাকে ঢাকা যেতে হবে।’
মিতু আরও বলেন, ‘গানটির জন্য তারা যে খুব ফোক কণ্ঠ খুঁজছিলেন তা নয়। আবার যে খুব আধুনিক গানের মতো কণ্ঠ খুঁজছিলেন, তাও নয়।’
মিতুর সঙ্গে গানটিতে আরও গেয়েছেন ভারতের সৌম্য মুর্শিদাবাদী। তিনি মুর্শিদাবাদী নামে বেশি পরিচিত। তার মুর্শিদাবাদী প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্ট রয়েছে। সেখানে মূলত ফোক ও সুফি সংগীত নিয়ে কাজ করা হয়। তিনি কবির দাসের গানও করেন।
কোক স্টুডিও বাংলা প্রথম সিজনের সংগীত প্রযোজক অর্ণবের সঙ্গে মুর্শিদাবাদীর আগে থেকে পরিচয় ছিল। তাদের এক সঙ্গে গান করতে দেখা গেছে।
মিতু জানালেন, তিনিও মুর্শিদাবাদীর গান শোনেন এবং তাদের কাছে মুর্শিদাবাদী খুবই পরিচিত।
মিতু বলেন, ‘অর্ণব দা এত সুন্দর করে সব কিছু করেছেন, আমার মনেই হয়নি যে এত বড় একজন শিল্পীর সঙ্গে গান করছি।’
গানে মিতুর ফ্যাশন অনেকেরই নজর কেরেছে। মিতুকে সুন্দর লেগেছে, এ কথাও নাকি বলেছে অনেকে। মিতু বলেন, ‘এটা নিয়ে কি বলব। উনারা যেভাবে করেছেন, সেভাবেই হয়েছে।’
সংগীতের সঙ্গেই থাকবেন বলে জানান মিতু। গান করবেন, গবেষণা করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার রেজাল্টও ভালো। বলেন, ‘কিছু তো একটা করতে পারবই আশা করি।’
ইউটিউবে গানটির মন্তব্যের ঘরে শ্রোতারা গানটি নিয়ে তাদের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। মন্তব্যগুলো এমন-
‘কম্বিনেশন চরম ভাবে মারাত্মক।
মুর্শিদাবাদীকে দেখতে পাবো ভাবিনি কখনও। সত্যিই অসাধারণ । ‘লালন’ বস, সব সৃষ্টিই সেরা থেকে সেরা। লাখো শ্রোতার হৃদয়ে দোলা দিবে এই গান।’
‘ধন্যবাদ Coke Studio বাংলা। অসাধারণ কম্পোজিশন, সকল ভোকালিস্ট আর মিউজিশিয়ানদের অনেক ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা।’
‘বাশির সুরে হারিয়ে যাচ্ছিলাম বারংবার। সবাই খুবই অসাধারণ শিল্পি, আপনাদের জন্য ভালোবাসা রইলো।’
‘সংগীতই পারে দেশ, ভাষা, ধর্মকে এক অভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে!’
‘এইসব গান শুনলে অল্প হলেও বিশ্বাস পাওয়া যায়, যে এই কট্টর ধর্মান্ধদের যুগেও একটু মনুষত্বের জায়গা আছে।’
আরও পড়ুন:দেশের ‘গলি বয়’খ্যাত রানা ও তাবীব মাহমুদ জুটিকে অনেকেই চেনেন তাদের গানের জন্য। র্যাপ ঢংয়ে গান করেন তারা। বরাবরই বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসে তাদের গানে। এসব গানের কিছু তাবীব একাও গেয়েছেন।
তাবীব আরও একবার একাই গাইলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার একটি গান প্রকাশ পেয়েছে অনলাইনে। শিরোনাম- ‘বেকারের চিঠি’। গানটিতে উঠে এসেছে বেকারত্ব, বিসিএস ক্যাডার না হতে পারলে পছন্দের মানুষকে না পাওয়া, সৃজনশীলতা বা উদ্ভাবনী দক্ষতা নষ্ট করে চাকরি করার প্রবণতা বৃদ্ধিসহ আরও কিছু বিষয়।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো, গানের মাঝখানে প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করে কয়েকটি লাইন আছে। তাবীব গানে গানে প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করে বলেছেন, ‘প্রিয় প্রেসিডেন্ট/আমি করব বিয়ে/প্লিজ, প্রেমিকার বাবাকে বলে দিন/একখানা বউ পেলে চাকরি জন্ম দেব/প্লিজ শুধু একবার বলে দিন।’
তাবীবের নতুন গানের কথা এমন-
‘যে বিশ্ববিদ্যালয় চেনে নাই যারে, সে দেখিয়েছে হয়ে তার চ্যান্সেলর
সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি গ্র্যাজুয়েট, ঘুম আসে না, জাগি রাত্রিভর
আমার পরিবার হা করে তাকিয়ে আছে, ঢুকে যাচ্ছে মুখে মশা-মাছি
বেকারত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে, আমায় বলতে হচ্ছে- আমি ভালো আছি
আমি কোথায় আছি, হচ্ছেটা কি, গাছ পাকা যৌবন ফুরিয়ে গেল
হতাশায় পুড়ে পুড়ে বিদ্যা সিন্ধু জল ইন্টারভিউ দিয়ে শুকিয়ে গেল।’
গানের আরও কিছু কথা এমন-
‘সমাজের প্রত্যাশা- আমাকে যে হতে হবে বুনিয়াদি বিসিএস ক্যাডার
বুনিয়াদি বিসিএস ক্যাডার হলে সুন্দরী-রমনীকে বিয়ে করা যায় বলে
তারুণ্য মেধাগুলো বই পড়া বাদ দিয়ে হাতে নিয়ে ঘুরছে সিলেবাস
যার হবার কথা ছিল জেনেটিক বিজ্ঞানী, ঠেলছে সে গিয়ে ঠ্যালাবাসা
প্রিয় প্রেসিডেন্ট…।’
ইউটিউবে গানটির বিবরণে লেখা আছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত গ্র্যাজুয়েট বেকারের বন্ধু আমি। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত স্থানে বেকার বন্ধুদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সঙ্গে পরিচয়। মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয়। দিনের পর দিন ঘুরছে, কিন্তু মেধাবীদের পকেটে হাহাকার।
‘কিছু আনন্দ সংবাদও শুনি। হঠাৎ কোনো বড় ভাই বিসিএস ক্যাডার হয়ে হলে মিষ্টি নিয়ে আসে। যাকে কাছে পায় তাকেই জড়িয়ে ধরে। তাকে ঘিরে কত আনন্দ বাস করে। এর বিপরীতে অসংখ্য বন্ধু ছিটকে পড়ছে। আমার কাছে এটাকে একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা মনে হয়। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার আনন্দের থেকে না হওয়ার বেদনা বেশি মারাত্মক। এর মাঝে দারুণ কিছু দেখি তাদের মাঝে- যারা চাকরি খোঁজে না; চাকরি জন্ম দেয়।’
তাবীবের গানের শেষের লাইনগুলো এমন-
‘আমি তার গান গাই যার বুকে ভয় নাই, মৃত্যু আলিঙ্গনে মুক্তি যার
শেকল ভাঙার গান শক্তি যার, পরে না মুখোশ সে ভদ্রতার
বেকার ছেলের কাছে মেয়ের বিয়ে দেবে
আছে কি এমন কোনো শ্বশুর মশাই
যারা কুসংস্কার ভেঙে বুকটা উজাড় করে বরণ করে নেবে বেকার জামাই।’
গানটি লিখেছেন তাবীব মাহমুদ, সুর করেছেন শুভ্র রাহা।
আরও পড়ুন:বলিউড সিনেমার আইটেম ড্যান্সার হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি। তার আবেদনভরা উষ্ণ নাচে পাগলপ্রায় সব বয়সের মানুষ। তবে এবার নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি।
একটি মিউজিক ভিডিওর পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন নোরা। যে গানটিতে নিজেই পারফর্ম করেছেন তিনি।
পরিচালনা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন নোরা। সেখানে গানের সেট থেকে পর্দার পেছনের ছবিগুলোর একটি সিরিজ পোস্ট করেছেন।
ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আমার নতুন গান ডার্টি লিটল সিক্রেট-এ প্রথমবার মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করছি। এটি একটি দুর্দান্ত শেখার অভিজ্ঞতা ছিল!’
View this post on Instagram
পরিচালনায় আত্মপ্রকাশের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভক্তরা। একই সঙ্গে তারা অনেকেই বলছেন যে, ভবিষ্যতেও তাকে একজন পরিচালক হিসেবে দেখতে চান।
এদিকে সম্প্রতি নোরার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে ‘ডার্টি লিটল সিক্রেট’। পপ-কালচার ধাঁচের ভিডিওটি ইউটিউবে এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
নোরা বর্তমানে রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স দিওয়ানে জুনিয়র’-এর বিচারক হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন:ক্যাচি বিট, আকর্ষণীয় ও উচ্ছ্বসিত গানে ভক্তদের মন জয় করা দক্ষিণ কোরিয়ার তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএস কিছুদিন সময় নিচ্ছে তাদের সোলো প্রজেক্টে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য।
অনেকেই ভাবছেন ব্যান্ড হিসেবে তাদের সফর এখানেই শেষ তবে বিষয়টি যে মোটেও ‘ডিসব্যান্ড’ বা আলাদা হয়ে যাওয়া নয়, তা নিশ্চিত করেছেন গ্রুপের সদস্যরাই।
এ নিয়ে কথা বলেছে বিটিএসের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিগ হিট মিউজিক এবং হাইবও।
গত ১৪ জুন ব্যান্ডটি ‘২০২২ বিটিএস ফেসটা’ অর্থাৎ তাদের আত্মপ্রকাশের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে তাদের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভক্তদের সামনে ডিনার পার্টির আয়োজন করে।
সে ভিডিওতে তাদের দেখা যায়, ফ্যানদের সামনে মন খুলে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন তারা।
ওই ডিনার পার্টির ভিডিওর এক পর্যায়ে ব্যান্ড সদস্য সুগা বলেছেন, তারা যে বিরতিতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে তাদের কথা বলা উচিত।
তারা তাদের আন্তর্জাতিক কনসার্ট ট্যুরিং প্ল্যান এবং মিউজিক রিলিজ নিয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেকে নিজেদের শৈল্পিক লক্ষ্য সম্পর্কে কী ভাবছেন তা নিয়েও কথা বলেন।
তারা জানান, কোভিড কীভাবে তাদের আন্তর্জাতিক কনসার্ট ট্যুরিং প্ল্যানে বিঘ্ন ঘটায় এবং তারা কীভাবে এর মোকাবেলা করেছে।
দলটি কোরিয়ান ভাষায় কথা বলেছিল এবং ভিডিওতে অন্তর্ভুক্ত ইংরেজি সাবটাইটেলে ‘হায়াটাস’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল যার কারণে অনেকে ভেবেছে এটিই হতে যাচ্ছে বিটিএসের ‘বিচ্ছেদ’।
তবে ভুল ভাঙাতে হাইব একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, তারা এখনও একটি গ্রুপ হিসাবে কাজ করবে, পাশাপাশি নিজেদের একক অ্যালাবামেও কাজ করবে।
স্পষ্টভাবে হাইব বলেছে, ‘বিটিএস-এ বিচ্ছেদ হচ্ছে না, নিজেদের একক প্রজেক্টে মনোযোগী হতে বিরতি নিচ্ছেন। সদস্যরা এই সময়ে একক প্রকল্পগুলোতে আরও বেশি মনোযোগ দেবে।’
বিবৃতিটির কয়েক ঘণ্টা পরে নাভের জানিয়েছে, বিটিএস মেম্বার জে-হোপ প্রথম সদস্য হিসেবে তার একক অ্যালবাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ আউটলেটটি আরও জানায় যে, ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যরাও ভবিষ্যতে একক প্রকল্প প্রকাশ করবে।
জানা গেছে যে, বিটিএস ফিরে আসবে তাদের রিয়্যালিটি শো ‘রান!বিটিএস’ নিয়েও।
বিগ হিট মিউজিক মন্তব্য করেছে, পরবর্তীতে কী হবে তা স্পষ্ট করে জানানো হবে।
এ নিয়ে দলটির সদস্য জিওন জাংকুক বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার লাইভস্ট্রিমিং অ্যাপ ভি লাইভে এসে এই ভুল বোঝাবুঝি সংশোধন করে বলেন, ‘আগের দিনের তাদের ফেস্টা ডিনার পার্টির ভিডিওর পরে ব্যান্ডের পরিকল্পনা সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের একক প্রজেক্টগুলোতে মনোনিবেশ করার জন্য সময় নিতে চাচ্ছি, তবে দল হিসেবে একসঙ্গে কাজ করা বন্ধ করব না। বিটিএস ফরেভার, আর্মি (বিটিএস ফ্যানদের আর্মি বলা হয়) ফরেভার।’
বিটিএস এর লিডার কিম নামজুনও এ ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাদের ওয়েভার্স অ্যাপে।
এই ভুল বোঝাবুঝি-কে ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ভক্তদের সঙ্গে খোলামনে অনুভূতি প্রকাশ করেছি, তারা জানেন আমরা কি বুঝাতে চেয়েছি।’
একই সঙ্গে সর্বশেষ ‘ইয়েট টু কাম’ গানের বার্তাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এটা শেষ নয়।’
এর আগে গত ১০ জুন মুক্তি পেয়েছে বিটিএস এর নতুন অ্যালবাম ‘প্রুফ’। এতে রয়েছে তাদের পুরানো হিটসহ কয়েকটি নতুন ট্র্যাক যেমন ‘ইয়েট টু কাম’, ‘রান বিটিএস’ এবং ‘ফর ইউথ’।
পশ্চিমবঙ্গে সংগীতের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘জি বাংলা সারেগামাপা’র নতুন সিজন শুরু হয়েছে। সেখানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের শুভ দাশ।
জি বাংলা সারেগামাপার ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অডিশন পর্বের প্রমো প্রচার চলছে।
সেই প্রমোতে জানানো হয়েছে, অডিশন পর্বে পাস করতে পারলে শুভ পৌঁছে যাবেন মূল প্রতিযোগিতা পর্বে।
এবারের আসরের উপস্থাপক অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। বিচারক হিসেবে আছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, শান্তনু মৈত্র, শ্রীকান্ত আচার্য, রিচা শর্মা।
অডিশনে শুভ দাসের পরিবেশনার একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে জি বাংলা সারেগামাপার ফেসবুক পেজে। সেখানে শুভ দাশকে মান্না দের গাওয়া ‘এ তো রাগ নয়, এ যে অভিমান’ এবং অখিলবন্ধু ঘোষের গাওয়া ‘তোমার ভুবনে ফুলের মেলা’ গান দুটি গাইতে শোনা গেছে।
গানের শেষে শ্রীকান্ত আচার্য বলেছেন, ‘আমি ভাবছি যে তোমাকে আরেকটা গান গাইতে বলি।’
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, ‘খুব ভালো তোমার কণ্ঠস্বর। অলংকরণগুলো আরেকটু পরিষ্কার করে নিও।’
এ বিষয়ে জানতে শুভর ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া নম্বরে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। দুটি ফোন নম্বর ও অনলাইন যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ। ইউটিউবে তার একটি চ্যানেল রয়েছে। তিনি মূলত আধুনিক বাংলা গান কাভার করে থাকেন। দেশের কিছু টিভি চ্যানেলেও তাকে গান পরিবেশন করতে দেখা গেছে।
মন্তব্য