সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও অনেকেরই নজর কাড়ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
জানা গেল, নাটকের জন্যই অ্যাম্বুলেন্স চালাতে হয়েছে তাকে। নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানালেন মেহজাবীন। নাটকের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি, প্রচার হবে কোরবানীর ঈদে।
মেহজাবীন নাটকে অভিনয় করেছেন অ্যাম্বুলেন্সের চালকের ভূমিকায়। তার চরিত্রের নাম নুসরাত। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনেক কিছুই শিখে রাখা ভালো। তাহলে প্রয়োজনের সময় সেই কাজটি করার মাধ্যমে নিজের কাজ বা অন্যের উপকার করা যায়।’
মেহজাবীন একজন লাইসেন্সধারী গাড়ি চালক। তাই গাড়ি চালানো তার কাছে নতুন কিছু না। তবে অ্যাম্বুলেন্সের আকারের কারণে মেহজাবীনের দক্ষতায় যোগ হয়েছ নতুন অভিজ্ঞতা।
তিনি বলেন, ‘প্রাইভেট কারের সাইজ আর মাইক্রোর সাইজ তো আর এক না। বড় হওয়ার জন্য কিছুটা নতুন লেগেছে অ্যাম্বুলেন্স চালাতে।’
সোমবার যে ভিডিওটি মেহজাবীন তার ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট করেছেন, সেটি ধারণ করা হয়েছে রোববার। সোমবার আরও কিছু দৃশ্যধারণ করে শেষ করা হয়েছে নাটকের শুটিং। এটি পরিচালনা করেছেন অনন্য ইমন।
ভিডিওটি শেয়ার করে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন মেহজাবীন। লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে ভাবি অন্য পেশাতে থাকলে কি জীবনে এত ধরণের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সৌভাগ্য হতো? খুব নার্ভাস ছিলাম এত বড় অ্যাম্বুলেন্স চালাতে পারব কি না! কারণ, কার ড্রাইভ করলেও আগে কখনও মাইক্রো ড্রাইভ করিনি। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের এক্সেলেটরে পা রাখার পর নতুন এক নিজেকে আবিষ্কার করলাম…’
নতুন গল্প, নতুন চরিত্রটি দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক মঞ্চায়িত নাটক আগাথা ক্রিস্টির ‘দ্য মাউসট্র্যাপ’ আসছে শিল্পকলার মঞ্চে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় শুক্র ও শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি।
নাটকটির নির্দেশনায় আছেন বিভাগের প্রভাষক আফরিন হুদা।
তিনি বলেন, নাটকটির ঘটনা রহস্যঘেরা এক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। প্রচলিত বাংলায় অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল অনুবাদ অভিনেতাদের বোধগম্য করে তুলতে সাহায্য করেছে। হত্যা, খুনি, গোয়েন্দা, মানসিক বিকারগ্রস্ততা- এসবের মাঝে এক জটিল ধাঁধার মধ্যদিয়ে নাটকের কুশীলবরা খুনের রহস্য উদঘাটন করেন।
‘নাটকের প্রতিটি ধাপে নতুন পরিস্থিতি, সন্দেহ, অবিশ্বাস মানব মন ও অস্তিত্বের এক জটিল সমীকরণ খোঁজার চেষ্টা করে। জটিল ও দ্বান্দ্বিক প্রশ্নের উত্তরের এই নাটকীয় উপস্থাপনা দর্শকদের মনস্তত্ত্বের গভীরে পৌঁছে এক স্নায়বিক আলোড়ন সৃষ্টি করে।’
‘কুইন অফ ক্রাইম’ খ্যাত লেখক আগাথা ক্রিস্টি রচিত নাটকটির অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আব্দুস সেলিম। অভিনয়ে রয়েছেন- রাফিউল রকি, বিলাস, তৌফিক মেসবাহ, ইব্রাহিম, ব্রততি, বুশরা, তূর্ণা, ইমাম, সাগর, তানভীর, মুন্না, রাখি, পৃথা, শুভ্রা, সুব্রত, কৈসর, অনন্যা, পিংকি ও কেয়া।
আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনা ও প্রয়োগে ইনজয়; পোশাক পরিকল্পনা সহযোগী মৌ, সাবিহা, বৃষ্টি ও কর্ণা; আলোক প্রক্ষেপণ সহযোগী মাহাবুব ও রঞ্জন; সেট নির্মাণে রঞ্জন, নোভা, আনোয়ার, কাঁকন, সাকিব ও অথৈ; প্রপস নির্মাণে উচ্ছ্বাস, ফিজা, সিফাত, বিথু, মীম, সৌমিক ও বাবলু; প্রকাশনায় সিয়াম; অঙ্গ রচনায় নিশা, অনামিকা, সোমালি, প্রিয়তী, স্বপ্নীল ও কর্ণা।
প্রসঙ্গত, আগাথা ক্রিস্টি রচিত ‘দ্য মাউসট্র্যাপ’ নাটকটির আগের নাম ছিল ‘থ্রি ব্লাইন্ড মাইস’। এটি প্রথমে একটি রেডিও নাটক হিসেবে প্রচলিত ছিল। রাজা পঞ্চম জর্জের স্ত্রী কুইন মেরি-র ৮০তম জন্মদিনের উপহার হিসেবে আগাথা ক্রিস্টি নাটকটি লিখেছিলেন।
১৯৪৭ সালের ৩০ মে নাটকটি প্রথম রেডিওতে ব্রডকাস্ট হয়। তখন থ্রি ব্লাইন্ড মাইস নামে আরও একটি নাটক প্রচলিত থাকায় আগাথা ক্রিস্টি নাটকটির নাম বদলে করেন ‘দ্য মাউসট্র্যাপ’।
নাটকটি মূলত লন্ডনের কালভার্ট স্ট্রিটে ভিড়ের মধ্যে সংঘটিত হওয়া একটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই পাঁচজন অদ্ভুত লোক কাকতালীয়ভাবে একই দিনে, একজন দম্পতির নতুন খোলা গেস্ট হাউসে এসে ওঠে। তার পরদিনই একজন পুলিশ সার্জেন্ট সেই গেস্ট হাউসে আসেন। আবিষ্কার হয়, অতিথিদের মাঝে একজন খুনি রয়েছে। ভয়ে, আতঙ্কে প্রত্যেক চরিত্র একের পর এক তাদের বিভীষিকাময় অতীত প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন:জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাকবি ভাসের রচিত নাটক ‘স্বপ্নবাসবদত্তা’ মঞ্চস্থ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির নাট্যকলা ও পরিবেশনাবিদ্যা বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরীক্ষা প্রযোজনার অংশ হিসেবে নাটকটির মঞ্চায়ন করা হয়।
বিভাগের জিয়া হায়দার ল্যাবে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপি ওই নাটকের প্রদর্শনী হয়।
নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মামুন রেজা নাটকটির নির্দেশনা দেন।
স্বপ্নবসাবদত্তা নাটকের গল্পে দখদাররাজা আরুণি বৎস্যের রাজ্য দখল এবং রাজা উদয়নের পাশের রাজ্য মগধে আশ্রয় লাভের চিত্র উঠে আসে।
মগধের রাজা দর্শকের সহযোগিতায় নিজ রাজ্য ফিরে পেতে উদয়নের মন্ত্রী যৌগন্ধরায়ণ দৈববাণী অনুসারে কৌশল গ্রহণ করেন।
উদয়নের স্ত্রী বাসবদত্তা অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন, এমন কথা প্রচার করে তিনি রাজা দর্শকের ভগিনী পদ্মাবতীর সঙ্গে রাজা উদয়নের বিয়ের পরিকল্পনা করেন।
সূক্ষ্ম পরিকল্পনায় বাসবদত্তার সামনেই উদয়ন ও পদ্মাবতীর বিয়ে হয়। এরপর রাজ্য ফিরে পাওয়ার লড়াইসহ বাসবদত্তার আবারও স্ত্রী রূপে ফিরে আসার ঘটনাপ্রবাহে নাটকের দৃশ্য এগিয়ে যায়।
নির্দেশক ড. সৈয়দ মামুন রেজা বলেন, ‘প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃত নাট্য সম্ভার অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মহাকবি ভাস ওই যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার। ভরত নাট্যশাস্ত্রের বিভিন্ন উপাদানের শিক্ষা ও চর্চায় নব প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জন এ প্রযোজনার মূল লক্ষ্য।’
নাটকটিতে মঞ্চ পরিকল্পনা খাইরুল বাশার, আলোক পরিকল্পনা মেহেদী তানজির ও হীমাদ্র কাজী ও পোশাক পরিকল্পনা করেন নুসরাত শারমিন।
আবহ সংগীতে ছিলেন শাহিনুর ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান এবং নৃত্য ও চলন পরিকল্পনা করেন ঐশী দাস একা।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন ফয়সাল, মাহফুজুর রহমান, লিমন আহমেদ, অমি সরকার, বিপ্তন কুমার বিশ্বাস, ফিরোজ মাহমুদ, মাহফুজুর রহমান, রাজন বিশ্বাস, মনি রানী দে, শ্রেয়সী ভাদুড়ী, রেজওয়ানা সুলতানা কনা, লিমা রানী ভক্তি, জুবাইদা খানম, জান্নাতুল ফারিয়া প্রীতি, ঋতু দাস।
আরও পড়ুন:পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি থেকে দাম্পত্য তিক্ততা রূপ নেয় চরমে। একে অন্যের থেকে সরতে থাকেন দূরে। একপর্যায়ে ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ও দুই বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে সিদ্ধান্ত নেন আলাদা থাকার।
পাহাড়সম অহম থেকে নিশাত ও আবির যুগলের এ বিচ্ছেদের বলি হয় নবজাতক রাইসা। দুজনের কেউই ভাবছেন না শিশুটির পরিণতি নিয়ে।
ভাঙনের এমন গল্পকে উপজীব্য করে ‘ইতি তোমার মেয়ে’ নামের একক নাটক নির্মাণ করেছেন রানা বর্তমান, যার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ শামীম সিকদারের।
‘‘আমাদের গল্পটি ভিউয়ের গল্প নয়, তবে বর্তমান সময়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্লট নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। একটি ব্রোকেন ফ্যামিলির গল্প ‘ইতি তোমার মেয়ে’”, বলেন নির্মাতা রানা বর্তমান।
‘সম্পূর্ণ ফ্যামিলি ড্রামার ওপর নির্মিতব্য নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলে দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করবে এবং অনেকের অজান্তেই চোখের পানি গড়িয়ে পড়বে’, যোগ করেন তিনি।
নাটকের সংলাপ ও অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘সমসাময়িক গল্প নিয়ে নাট্যকার শামীম সিকদার দারুণ যত্ন করে নাটকটির চিত্রনাট্য ও সংলাপগুলো লিখেছেন। প্রতিটি কলাকুশলীর সুনিপুণ অভিনয় নাটকটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।’
শবনম ফারিয়া, আবু হুরায়রা তানভীর, টুটুল চৌধুরী অভিনীত নাটকে দেখা যাবে কয়েকজন শিশুশিল্পীকেও। এতে বিশেষ চরিত্রে থাকছে শিশুশিল্পী জাফনা সুবাইতা হাসান।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় এনটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।
আরও পড়ুন:রাজধানীর পল্লবীতে শুটিং স্পটে দগ্ধ অভিনেত্রী শারমিন আঁখির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাইডিফেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালটির আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, আঁখির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ অবস্থায় চার পাঁচ দিনেও তাকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা অসম্ভব।
গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিংস্পটে দগ্ধ হন আঁখি। ধারণা করা হচ্ছে, শুটিং স্পটের বাথরুমে কোনওভাবে গ্যাস হয়েছিল। আর সেখানেই শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির বলেন, আজকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেছে কিছুটা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে প্রায় এক মাস থাকতে হবে। আর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে।
সময়ের জনপ্রিয় দুই তারকা তৌসিফ মাহবুব ও তানজিন তিশা সম্প্রতি কাজ করলেন ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটকে। ‘অন্তহীন’ শিরোনামের এ নাটকে তৌসিফ অভিনয় করেছেন নয়ন চরিত্রে। আর তিশার চরিত্রের নাম তারা।
সিএমভি’র ব্যানারে সদ্য নির্মিত ভালোবাসা দিবসের বিশেষ এই নাটকটির গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ মিফতাহ আনান।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নয়ন বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেতের মধ্য দিয়ে ছুটে চলেছে এক অপরূপ সুন্দরীর পেছনে। তার মুখে সুখের হাসি। যখনই মেয়েটার কাছে এসে মুখ দেখতে যাবে, তখনই নয়নের বাবা ঘুম থেকে ডেকে তোলে!
এটা নয়নের নিত্যকার স্বপ্ন। আর প্রতিদিন স্বপ্নের ঠিক এই মুহূর্তে তার বাবা ঘুম ভাঙিয়ে দেন। এ নাটকের গল্পের শুরুটা স্বপ্ন দিয়ে হলেও বাস্তবেও একটা সময় নয়ন খুঁজে পায় তার স্বপ্নের তারাকে।
গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা বললেন, ‘আমাদের গল্পটি স্বপ্ন দিয়ে শুরু হলেও দ্রুতই চরিত্র দুটি বাস্তবে মুখোমুখি হয়। তাদের মধ্যে প্রেমও হয়। এরপর তারা মুখোমুখি হয় চরম বাস্তবতার। শুরু হয় নতুন জীবন। দুটি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন তৌসিফ ও তিশা। আশা করছি ভালোবাসা দিবসের নাটক হিসেবে দর্শকরা অন্য এক প্রেমের গল্প দেখতে পাবেন।’
‘অন্তহীন’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন বড়দা মিঠু, টুনটুনি খালা, শাহবাজ সানি, কাজল প্রমুখ।
জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম, নিলয় আলমগীর ও অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে এবার দেখা যাবে এক নাটকে। প্রযোজনা সংস্থা সিএমভি’র ব্যানারে ‘রঙ্গিলা’ শিরোনামের এই নাটক নির্মাণ করেছেন যুবায়ের ইবনে বকর।
নাটকটির গল্প সম্পর্কে নির্মাতা জানালেন, গ্রাম-গঞ্জে লায়লা (হিমি) নাচে, রাজ্জাক (মোশাররফ করিম) ক্যানভাস করে আর সেই ফাঁকে সালমান (নিলয়) দর্শকদের পকেট মারে। এভাবেই চলে তিনজনের জমজমাট ব্যবসা। কিন্তু এক সময় লায়লাকে কেন্দ্র করে বাঁধে গণ্ডগোল। কী সেই গণ্ডগোল?
হিমি বলেন, ‘আমাদের এই ফন্দি ভালোই চলছিল। প্রচুর ইনকাম! কিন্তু প্রেমের বিষয়ে তৈরি হয় বিভেদ। আমাকে রাজ্জাক (মোশাররফ করিম) ও সালমান (নিলয়) দুজনেই প্রেমিকা হিসেবে চায়! এখান থেকেই নাটকের গল্পে নেয় নতুন মোড়।
‘নাটকটি দেখলেই তা বুঝতে পারবেন দর্শক। তবে আমি বলব, অনেকদিন পর প্রাণখুলে মনের মতো একটা কাজ করলাম। আশা করছি দর্শকরা দারুণ উপভোগ করবেন কাজটি।’
সিএমভির কর্ণধার এস কে সাহেদ আলী জানান, শিগগিরই ‘রঙ্গিলা’ মুক্তি পাবে তাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সভা করেছেন অভিনয় শিল্পীসংঘের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম, নির্বাহী সদস্য মাজনুন মিজান, হৃদি হক, সংগীতা চৌধুরী ও আইনুন নাহার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অভিনয় শিল্পকে পেশা হিসেবে ঘোষণা করা, শিল্পীদের জন্য গঠিত কল্যাণ ট্রাষ্টে নাট্যশিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, টেলিভিশন নাটক ও সিরিয়াল নির্মাণে উৎসাহদানের দাবি জানান শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ৪৬টি টেলিভিশন চ্যানেলকে, সম্প্রচারে আছে ৩৬টি এবং আরও কয়েকটি তাড়াতাড়ি সম্প্রচারে আসবে। এভাবে ব্যাপক বিকাশ ঘটার কারণে টেলিভিশন শিল্প আমাদের ছেলেমেয়েদের একটি বড় কর্মক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোনো কোনো টেলিভিশন শুধু বিদেশি সিরিয়াল নির্ভর ছিল। পরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিপত্র দিয়ে জানানো হয়, একটি টেলিভিশন চ্যানেল একই সময়ে একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল দেখাতে পারবে না।
‘আমরা আরও বিধি করেছি, বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলে প্রচলিত ট্যাক্সের বাইরে শিল্পী প্রতি দুই লাখ টাকা এবং যে টেলিভিশন চ্যানেল সেই বিজ্ঞাপন দেখাবে তাদেরকে বিশ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে দিতে হবে। কারণ আমাদের শিল্পীরা অনেক স্মার্ট এবং ভালো অভিনয় করে, দেখতেও সুন্দর। তাদের বাদ দিয়ে বিদেশিদের নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমরা খুঁজে পাইনি।’
শিল্পীদের দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব সবই পূরণ করার চেষ্টা করছি। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিকল্পনা আছে টেলিভিশন মাধ্যমে যারা অভিনয় করেন, তাদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা যায় কি না। সেটি আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনায় এনেছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য