বিয়ে না করেই দীর্ঘ ১১ বছর এক ছাদের নিচে ছিলেন কলম্বিয়ান বিখ্যাত পপস্টার শাকিরা ও বার্সেলোনার ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। তবে শনিবার এক বিবৃতিতে আলাদা হওয়ার ঘোষণা দেন শাকিরা।
গুঞ্জন ওঠে শাকিরার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রতারণা করছেন পিকে। এরই মধ্যে ব্রাজিলিয়ান মডেল সুসি কর্টেজকে নিয়ে প্রকাশ পাওয়া খবরগুলো শাকিরার আলাদা হওয়ার পরিকল্পনায় কঠোর প্রভাব ফেলে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় ক্রীড়ামাধ্যম স্পোর্টসকিড়ার এক প্রতিবেদনে।
ব্রাজিলিয়ান মডেল সুসি কর্টেজ প্রকাশ করেছেন যে শাকিরার সঙ্গী পিকে তাকে ইনস্টাগ্রামে অশালীন বার্তা পাঠাতেন।
সুসি কর্টেজ বলেছেন যে লিওনেল মেসি ও ফিলিপে কোতিনিয়োই বার্সেলোনার ড্রেসিংরুমের ভদ্রলোক। এ দুইজনই শুধু তাকে কোনো ধরনের মেসেজ পাঠাননি।
সুসি বলেন, ‘তিনি আমাকে ইনবক্সে বার্তা পাঠিয়েছেন। শুধু মেসি ও কোতিনিয়ো আমাকে কখনও কিছু পাঠাননি। তারা ভালো স্বামী ও তাদের স্ত্রীদের খুব সম্মান করেন। শাকিরা এটির যোগ্য ছিল না।’
এই মডেল আরও বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে পিকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘বার্সেলোনার সাবেক প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রসেলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল। পিকে যখন এটি জানতে পারেন, তখন তিনি আমার নম্বর চান ও বার্তা পাঠান।’
সুসির বক্তব্যগুলো পিকের চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে এবং তার সঙ্গে শাকিরার সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।
সুসি আরও বলেন, ‘যখন আমি ব্রাজিলে ফিরে আসি, তিনি আমাকে সরাসরি আমার ইনস্টাগ্রামে বার্তা পাঠাতেন। তিনি প্রতিদিন সেটি মুছেও ফেলতেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন আমি কখন ইউরোপে ফিরব আর সারাক্ষণ আমার নিতম্ব কতটা বড় তা নিয়ে জিজ্ঞেস করতেন। আমি যে মেসির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তা নিয়ে পিকে ঈর্ষান্বিত ছিলেন।’
সুসি মেসির একজন মহাভক্ত। গত বছর আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা জেতার পর সুসি তলপেটে মেসির মুখের ট্যাটুও করেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গর সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশে আরও বিস্তৃতভাবে সম্প্রচার শুরু করলো জনপ্রিয় ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল চ্যানেল এফ টিভি।
এখন থেকে বঙ্গ ফ্যাশন টিভির লাইভ সম্প্রচার করবে। যা দেশের ফ্যাশন শিল্প এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি ফ্যাশন সচেতন প্রজন্মকে বৈশ্বিক ইন্ডাস্ট্রি-ট্রেন্ড, লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড, ও ফ্যাশন আইডলদের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাবে।
সংবাদ বিঙ্গপ্তিতে এসব তথ্য জানায় বঙ্গ কর্তৃপক্ষ। ফ্যাশন টিভি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড, মডেল এবং ডিজাইনারদের ওপর ফোকাস করার পাশাপাশি একটি প্রথম সারির লাইফস্টাইল টিভি চ্যানেল হিসেবে তাদের কাজ পরিচালনা করে আসছে।
এসব ছাড়াও বঙ্গতে রয়েছে দেশের জনপ্রিয় সিনেমা, নাটক এবং হলিউড-ভারতীয় ব্লকবাস্টার সিনেমার ভাষান্তর ভার্সন।
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী অভিনয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এখন বেশি আলোচনায়। সম্প্রতি তার ও ওমর সানীর সংসার ভাঙার সম্ভাবনার খবরে তুমুল আলোচনা ছিল সবখানে।
অভিনেতা জায়েদ খানের কারণে মৌসুমী ও সানীর সংসার ভাঙছে- এমন অভিযোগ লিখিত আকারেও শিল্পী সমিতিতে দিয়েছেন ওমর সানী।
এর পর থেকেই নানাভাবে, নানা আলোচনায় মৌসুমী ও সানী। এসব বিষয় নিয়ে ওমর সানী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও মৌসুমী একটি অডিও বার্তা প্রকাশ ছাড়া কথা বলেননি সাংবাদিকদের সঙ্গে।
সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে এর মধ্যে মৌসুমীকে দেখা গেছে, বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেতে। সেসব পোস্ট তিনি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে।
শুক্রবার রাতে তিনি আরেকটি পোস্ট করেছেন। সেখানে মৌসুমী দাবি করেছেন তার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এ অভিনেত্রী।
মৌসুমী লিখেছেন, ‘আমার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। আর সাংবাদিক ভাইরা ফেক সব আইডি থেকে কী উদ্ভট পোস্ট করছেন, আর তাই দিয়ে নিউজ করে সবাইকে বিভ্রান্ত করছেন।’
ওসব আইডি বর্জন করার অনুরোধ করে মৌসুমী লেখেন, ‘এসব ঠিক না। আমি কোথায় কিছু পোস্ট করিনি। তাই আপনারা ওই সব আইডি বর্জন করুন প্লিজ… আমি কৃতজ্ঞ থাকব।’
ফেসবুকের মৌসুমীর ছবি ও নাম দিয়ে অসংখ্য আইডি ও পেজ রয়েছে। যার মধ্যে ‘আরিফা পারভিন জামান মৌসুমী’ নামের দুটি পেজে রয়েছে ৭৪ হাজার ও ৫৫ হাজার অনুসারী।
ওমর সানী-জায়েদ খানের সমস্যা একসময় রূপ নেয় মৌসুমী-ওমর সানীর সমস্যায়। তার পর থেকে মৌসুমীর যেসব স্ট্যাটাস সংবাদমাধ্যমগুলোতে দেখা গেছে তার সবই নেয়া হয়েছে অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে।
জুন ১২ তে মৌসুমী লিখেছিলেন, ‘কঠিন বাস্তবতা অতিক্রম করা মানে হলো স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেয়া, তুমি তাই করেছ।’
জুনের ১৭ তে লিখেছেন, ‘খুব ট্রাই (চেষ্টা) করছি শক্ত থাকতে, অভিমানী মন বড় দুর্বল। নিজের দুর্বলতা অন্য কারো ওপর চাপিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারে না। কষ্ট আমি নিলাম সুখ তোমাকে দিলাম।’
জুনের ২৩ এ লিখেছেন, ‘লুকিয়ে থাকতে চাইলেই লুকিয়ে থাকা যায়… সামনে যেটা থাকে সেটা শরীর, আমি এখন শামুকের মতো হয়ে গেছি, আড়াল করে নিজকে নিয়ে আছি, এটাই স্বস্তি। যখন দিনের আলো দেখার সুজোগ হয়, নিজেকে বেমানান লাগে।’
আরও পড়ুন:কেন বিয়ে করেননি সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন; এমন প্রশ্ন হয়তো তার লাখো ভক্তের মনে। এবার সেই প্রশ্নের-ই উত্তর দিলেন তিনি।
এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইক ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলের দ্য আইকনস অনুষ্ঠানে টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে কথোপকথনে সুস্মিতা অকপটে জানান, কেন তিনি বিয়ে করেননি এবং এর কারণ সম্পর্কে।
সুস্মিতা বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমি আমার জীবনে খুব আকর্ষণীয় কিছু পুরুষের সঙ্গে দেখা করেছি, আমি কখনই বিয়ে করিনি একমাত্র কারণ তারা হতাশ ছিল। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার বাচ্চারা কখনই সমীকরণে ছিল না। তারা এই ব্যাপারে উদার ছিল।
‘আমার দুই বাচ্চাই আমার জীবনের মানুষকে সাদরে গ্রহণ করেছে, কখনও অপছন্দ করেনি। তারা সবাইকে সমান ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছে। এটা আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য।’
অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, ‘আমি তিনবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তিনবারই ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। তাদের নিজ নিজ জীবনে কী কী বিপর্যয় এসেছিল তা আমি বলতে পারব না। ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন, কারণ ঈশ্বর এই দুটি বাচ্চাকে রক্ষা করছেন। আমাকে একটি অগোছালো সম্পর্কে জড়াতে দেননি।’
গত বছর সুস্মিতা ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে বয়ফ্রেন্ড রেহমানের সঙ্গে ব্রেকআপের ঘোষণা করেন।
সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা বন্ধু হিসেবে শুরু করেছি, আমরা বন্ধু রয়েছি! সম্পর্কটি অনেক দিন শেষ হয়ে গেছে... ভালোবাসা রয়ে গেছে।’
সিঙ্গেল মাদার সুস্মিতার দুই মেয়ে আলিসা ও রেনে। তিনি ২০০০ সালে রেনেকে এবং ২০১০ সালে আলিসাকে দত্তক নেন।
সুস্মিতা ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জয় করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে দস্তক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। শেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ আরিয়া টুতে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবার ঈদের জন্য নির্মাণ করেছে তারকাবহুল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘তারার মেলা’। যেখানে অংশ নিয়েছেন দেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকারা।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন মামনুন ইমন ও কুসুম শিকদার। নাচ-গান, অভিনয়, ফান, গেম শো ও আড্ডায় সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান।
আয়োজনে দর্শকরা দেখতে পাবেন নিপুণ, ওমর সানী, ডিপজল, শবনম বুবলী, তানজিন তিশা, ইমরান, কনা ও নিশিতা বড়ুয়ার পরিবেশনা।
ইভান শাহরিয়ারের কোরিওগ্রাফিতে তিনটি গানের কোলাজে নাচবেন শবনম বুবলী ও তানজিন তিশা। নিজেদের জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনাবেন ইমরান, কনা ও নিশিতা বড়ুয়া।
‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে’ গানটির সঙ্গে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা যাবে চিত্রনায়িকা নিপুণকে। গেম শোর পাশাপাশি বিশেষ পর্বে অংশ নেবেন ওমর সানী ও ডিপজল। থাকছে আরও আকর্ষণ।
‘তারার মেলা’ প্রযোজনা করেছেন নূর আনোয়ার রনজু। তিনি জানান, ‘সময়ের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকাকে নিয়ে আমরা দর্শকদের একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছি । আশা করছি ঈদের এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হবে।’
তারার মেলা প্রচার হবে ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর।
আরও পড়ুন:অনেক নাটকীয়তা ও ঘটনার পর বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে মাদক মামলা থেকে মে মাসের শেষের দিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)।
এরপর আবারও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শাহরুখপুত্র। বৃহস্পতিবার এনসিবির কাছে পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে এনডিপিএস আদালতে একটি আবেদন করেছেন।
আরিয়ানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৩ জুলাই এনসিবিকে জবাব দিতে এবং শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে হাই-প্রোফাইল মাদক মামলায় আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছিল এনসিবি, কিন্তু মে মাসে তদন্ত সংস্থার দেয়া অভিযোগপত্রে তার নাম ছিল না।
আরিয়ান এবং অন্য পাঁচজনকে ‘পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে’ ছেড়ে দিয়েছে এনসিবি। জামিনের শর্ত অনুযায়ী আদালতে পাসপোর্ট জমা দেন আরিয়ান।
বৃহস্পতিবার আরিয়ান তার আইনজীবী অমিত দেশাই এবং দেশাই কারিমজি এবং মুল্লার রাহুল আগরওয়ালের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
গত বছরের ৩ অক্টোবর মুম্বাই উপকূলে গোয়াগামী একটি ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালিয়ে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছিল এনসিবি। এরপর প্রায় ১ মাস কারাবন্দি থাকার পর মুম্বাই হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়।
আরও পড়ুন:ভারতীয় ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম হইচই বাংলাদেশে কাজ শুরু করার পর বেশ কিছু কনটেন্ট পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। এর মধ্যে তাকদীর, মহানগর। দুটি ওয়েব সিরিজের গল্পই রহস্য ও থ্রিলার ঘরানার। এগুলো প্রকাশের পর থেকে হইচইতে বাংলাদেশ থেকে শুধু যেন থ্রিলার গল্পই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে মনে করছেন এ দেশের ওটিটি দর্শকরা।
তাদের মতে, এখানে নেই রুদ্রবীণার অভিশাপ-এর মতো কোনো মিউজিক্যাল কনটেন্ট, নেই একেন বাবুর মতো মজার গোয়েন্দা, নেই মুখ্যমন্ত্রীর মতো কোনো তথ্যচিত্র, সেই অর্থে নেই কোনো রোমান্টিক বা সামাজিক গল্পের কনটেন্ট। অর্থাৎ বিভিন্ন ঘরানার গল্প খুঁজে পাচ্ছেন না দর্শকরা।
দর্শকদের এমন অভিযোগ পুরোপুরি মানতে নারাজ হইচই বাংলাদেশের পরিচালক সাকিব আর খান। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, কনটেন্টের ভিন্নতা নেই বিষয়টা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই ধারণা ঠিক না। বলি টোটালি ডিফরেন্ট ওয়েস্টার্ন কনটেন্ট ছিল। আমরা চেষ্টা করছি। আমরা সাবরিনা করেছি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। নারীদের কিছু সমস্যা নিয়ে কাজটি হয়েছে। আমরা দৌড় করেছি আরেকটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে। একটা মানুষের একাধিক চেহারা। সে বাসায় এক রকম- স্ত্রী, বাচ্চাকে সে অনেক ভালোবাসে কিন্তু কর্মক্ষেত্রে আরেক রকম। সেখানে তার ভাষা ও চেহারা অন্যরকম। রিফিউজি টোটালি ভিন্ন একটি জনরা থেকে করা হয়েছে। একসময় আমরা কষ্টনীড় করেছি। যারা আমাদের পরিচিত কিন্তু অজানা জীবনধারা। সো আমি বলব আমরা নানা রকম কাজ করার চেষ্টা করছি।’
সাকিব যে কনটেন্টগুলোর কথা বলেছেন, সেগুলোর মধ্যে ওয়েব সিরিজ বলি বাদে সবগুলোতে ইনভেস্টিগেশন ব্যাপারটি ছিল গুরুত্বের সঙ্গে। অধিকাংশ কনটেন্টেই তদন্ত, পুলিশ ইনভেস্টিগেশন বিষয়টি কেন এসেছে জানতে চাইলে সাকিব জানান, এটা করতে হয় ব্যবসার জন্য।
তিনি বলেন, ‘দিন শেষে ওইটা আমাকে বিজনেস দেয়। বিজনেস ইমপরটেন্ট। একটা বড় বিনিয়োগ আছে এখানে। কনটেন্টের নাম বলছি না, কিন্তু যখনই এগুলোর বাইরে কোনো কাজ করেছি তখন দর্শকরা আর সেটা নেয়নি।’
সাকিব জানান, এ দেশের দর্শকরা এখনও স্টার কাস্ট চান। স্টার কাস্ট না হলে দর্শকরা কনটেন্ট দেখতে চান না।
সাকিব বলেন, ‘মোশাররফ করিম বা চঞ্চল চৌধুরীর মতো কাস্ট যখন থাকে, তখন কনটেন্টের ভ্যালু এমনিতেই বেড়ে যায়। কাইজার কনটেন্টে আফরান নিশো আছেন। এই কনটেন্ট নিয়ে দর্শকের যে রেসপন্স, সেটাও তো আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।’
কিন্তু এখানেও আছে সমস্যা, সব কনটেন্ট তো আর মোশাররফ করিম বা চঞ্চল চৌধুরী বা নিশোকে নিয়ে করা সম্ভব না। আবার চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না বলেও জানান সাকিব আর খান।
গল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি তো কাজ করব গল্প আমাকে দেয়া হলে। গল্পের একটা বিশাল গ্যাপ আমাদের এখানে আছে। আমার কাছে তো প্রোপোজাল আসতে হবে। আমাদের প্রোডিউসারের অভাব রয়েছে। আপনি দেখেন, ঘুরেফিরে ওই আশফাক নিপুন, সাওকিদের দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।’
দর্শকদের ফ্রি কনটেন্ট দেখার অভ্যাসটাও রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দর্শকদের ফ্রি কনটেন্ট দেখে দেখে যে অভ্যাস হয়েছে, সেই অভ্যাসটা সহজে বদলাবে না। আমার তো সাবস্ক্রিপশন মডেল। টাকা দিয়ে কনটেন্ট দেখব, এই চিন্তাটা, ভাবনাটা আসছে না। ভারতে আছে ২০ লাখ সাবস্ক্রাইবার, ওখানে যেটাই দেন, একরকম দর্শক পাওয়া যায়। আমি তো সে পর্যায়ে এখনও যাই নাই।’
হইচই বাংলাদেশের সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন সাকিব আর খান।
তিনি বলেন, ‘৫০০ টাকায় এক বছরের কমিটমেন্টে যাওয়া, এটা আমাদের প্রতিদিনের যুদ্ধ। ধরেন, একজন হইচই সাবস্ক্রাইবার একটি কনটেন্ট দেখছেন, তার সঙ্গে তার আরও দুই-তিনজন বন্ধুও দেখছেন। তাহলে কী হলো, কনটেন্ট দেখলেন চারজন, কিন্তু আমি টাকা পেলাম একজন সাবস্ক্রাইবারের। আমাদের একটি প্রজেক্ট ৮০-৯০ লাখ টাকা, তাহলে হিসাব করে দেখেন কত সাবস্ক্রাইবার লাগবে এই টাকা তুলে আনতে। আরেকটা বিষয়, যিনি আজকে সাবস্ক্রাইব করছেন তার জন্য কিন্তু আগামী ১১ মাসের কনটেন্ট একেবারে ফ্রি। আমি কিন্তু প্রতি কনটেন্টের জন্য টাকা নিচ্ছি না, আমি এক বছরের সাবস্ক্রিপশন ফি নিচ্ছি। এই পেইনগুলো নিয়ে লেখালেখি হয় না।’
সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘আমার পপুলার জনরাতে হিট করতে হয় বারবার। থ্রিলার করা হচ্ছে কারণ ওইটা মানুষ দেখে, ব্যবসার জায়গাটাও দেখতে হবে আমাকে। তা না হলে কতদিন শুধু শুধু কাজ করা যাবে। একসময় দেখা যাবে আগ্রহ হারিয়ে গেছে, বাংলাদেশে বিজনেস বন্ধ।’
ওটিটি নীতিমালাও একটা সমস্যা করতে পারে বলে ধারণা এ পরিচালকের। সাকিব আর খান আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, কনটেন্টের ভিন্নতা নিয়ে দর্শকদের যে অভিযোগ বা কথা, সেটা চলতি বছরে আর থাকবে না। একটু অপেক্ষা করতে হবে সে জন্য।
বেশ ভেবে কাজ করতে হয় উল্লেখ করে সাকিব আর খান বলেন, ‘ভারতে টানা ৫টা কনটেন্ট ফ্লপ করলে অসুবিধা নেই, ৬ নম্বরে টাকা তুলে ফেলতে পারে। কিন্তু আমার পরপর দুটি কনটেন্ট ফ্লপ করলে অসুবিধা আছে।’
আরও পড়ুন:বলিউড অভিনেত্রী কাজল ও দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সুরিয়াকে অস্কার কমিটির সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে দ্য অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স।
‘ক্লাস অফ ২০২২’ সালের জন্য মঙ্গলবার ৩৯৭ জন ‘বিশিষ্ট শিল্পী এবং নির্বাহীদের’ তালিকা প্রকাশ করেছে অ্যাকাডেমি। যেখানে নাম রয়েছে কাজল ও সুরিয়ার।
অ্যাকাডেমির আমন্ত্রণের তালিকায় রয়েছেন অস্কার মনোনয়নপ্রাপ্ত ৭১ জন এবং ১৫ জন অস্কারজয়ী।
কাজল-সুরিয়া ছাড়াও আমন্ত্রণ পেয়েছেন লেখক রিমা কাগতি। যিনি গল্লি বয়, দিল ধড়কনে দোর সিনেমার গল্প লিখেছেন।
কাজল কাভি খুশি কাভি গাম, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, মাই নেম ইজ খান ও ফানার মতো সিনেমার তার বিস্ময়কর অভিনয়ের জন্য তুমুল প্রশংসিত। এ ছাড়া ৯০-এর দশকে বলিউডে শাহরুখ, সালমান, আমির খানদের সঙ্গে পর্দায় রাজত্ব করেছেন তিনি।
এদিকে জয় ভীম, কাপ্পান এবং রক্ত চরিত্র টু-এর মতো অনেক সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তুমুল প্রশংসিত সুরিয়া।
এ ছাড়া আগামীতে তামিল অ্যাকশন-ড্রামা সোরারাই পোত্রু-এর হিন্দি রিমেকে বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে দেখা যাবে সুরিয়াকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য