ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুর চলছে ৫১টি দেশে। যার ধারাবাহিকতায় অরিজিনাল ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিটি প্রদর্শন করা হবে বাংলাদেশে। কোকা-কোলার আয়োজনে ৮ জুন বাংলাদেশে আসছে ট্রফিটি।
ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের এ আয়োজন করেছে কোকা-কোলা। ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্টের, যেটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ জুন। কনসার্টের শিরোনাম কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ।
রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্টে অংশ নেয়া দর্শক-শ্রোতারা দেখার সুযোগ পাবেন সেই ট্রফি।
কনসার্টে গান পরিবেশন করবেন জেমস, তাহসান, ব্যান্ড লালন, নেমেসিস এবং কোক স্টুডিও বাংলা থেকে প্রকাশিত গানগুলোর শিল্পীরা।
কোকা স্টুডিও বাংলার ফেসবুক পেজে ইভেন্ট খুলে জানানো হয়েছে, ১টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে আয়োজন, শেষ হবে ১১টায়।
আগ্রহীরা কনসার্ট এবং ট্রফি দেখতে চাইলে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। রেজিস্ট্রেশন চলছে।
ফিফা স্পেশাল লেবেলযুক্ত বোতলের লেবেল খুলে স্ক্যান করতে হবে। তিনটি ইউনিক কোড চাইবে।
কোকা-কোলা এর ৪০০, ৫০০, ৬০০ মিলির যেকোনো ৩টি বোতলের ক্যাপের নিচের ৩টি ইউনিক কোড সেখানে দিতে হবে।
অথবা, কোকা-কোলা এর ১ লিটার বা ১ দশমিক ২৫ লিটারের যেকোনো ২টি বোতলের ক্যাপের নিচের ২টি ইউনিক কোড দেয়ার সুযোগ আছে।
তাহলেই হয়ে যাবে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট। কনসার্টে প্রবেশের সময় রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট মেসেজটি বা পিডিএফের প্রিন্ট কপি দেখাতে হবে।
কোক স্টুডিও বাংলার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ইউনিক কোড ছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে বলেও ঘোষণা এসেছে। https://cokestudiobanglalive.com/ সাইটে গিয়ে ইউনিক কোড ছাড়াই সরাসরি অনলাইনে রেজিসিট্রেশন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও সেখানে ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে ‘আজকের দিনের জন্য সব টিকেট বুকড, আগামীকাল চেষ্টা করুন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১২ মে দুবাইয়ে উদ্বোধন হয় এ ট্যুরের। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারে গিয়ে শেষ হবে ট্যুরটি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে পরিচিত নাম তমাল। যদিও নিজেকে টিএমএল বলে পরিচয় দেন এ সংগীতশিল্পী। তিনি মূলত কিবোর্ড বাজান। এ পরিচয়েই গানের মানুষরা চেনেন তাকে।
১৮ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিলিংস এবং নগর বাউলের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। তবে কিবোর্ডিস্ট পরিচয়ের বাইরে তার কণ্ঠশিল্পী পরিচয়টা চাপা পড়েছিল দীর্ঘ বছর।
৩২ বছরের সংগীত জীবনে তমালের অর্জনও কম না। ‘সাত রঙের সাতজন’, ‘রঙ বেরঙের মানুষ’ অ্যালবামে রয়েছে তার গান। ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদারের বেশ কয়েকটি গানের সুর ও সংগীতও তার করা।
এবার নিজের একক গান নিয়ে এলেন তিনি। গানের নাম ‘নজর’। মৌমিতার লেখা গানটির সুর ও সংগীত করেছেন শিল্পী নিজেই। গানটি নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি মিউজিক ভিডিও। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কেয়া ও তমাল অভিনয় করেছেন এতে। ভিডিওটি নির্মাণ করেছে পূণ্যফিল্মস টিম।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে মিউজিক ভিডিওটির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন তমালের দীর্ঘদিনের সঙ্গীত জীবনের বন্ধুরা, ছিলেন ফাহমিদা নবী, মাকসুদ, গোলাম মোরশেদ, সজীব দাস, আহসান কবির, অভিনেত্রী কেয়া, নির্মাতা রাশিদ পলাশসহ মিউজিক ভিডিওটির মডেল ও কলাকুশলিরা।
তমাল বলেন, ‘স্টেজের ব্যাক সাইডে বসে এতদিন কাজ করেছি। এখন একটু সামনে থেকে শ্রোতাদের মন জয় করতে চাই। নজর দিয়ে শুরু। ঈদের আগে আরও একটা গান ছাড়ার ইচ্ছা আছে।’
‘নজর’ গানটি প্রকাশ পায় টিএমএল ইউটিউব চ্যানেলে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশ। আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করলেও আছেন গান নিয়ে। ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সা রে গা মা পা’র মূল পর্বে সুযোগ পেয়েছেন শুভ। এবারের আসরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন শুভ একাই। সা রে গা মা পায় যাত্রা নিয়ে শুভর সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার।
আপনি কি ছুটিতে এসেছেন? কয়দিনের ছুটি? ভারতে আপনার সঙ্গে কি কেউ থাকছেন, বা পরিচিত জন কেউ আছেন?
সা রে গা মা পা’র গ্র্যান্ড অডিশনে আমি সিলেক্টেড হয়ে মূল পর্বে আছি এখন। এর জন্য আমি একাই গিয়েছি ওখানে। আত্মীয়স্বজন অনেকেই আছেন, কিন্তু সা রে গা মা পাতেই থাকতে হচ্ছে আমার। মূল পর্বে ওঠার পর কিছুদিন দেশে ছুটিতে এসেছি।
মূল পর্বে আপনার সঙ্গে কয়জন আছেন? কেমন লাগছে তাদের সঙ্গে?
২১ জনকে নিয়েই শুরু হবে মূল পর্ব। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তো আছেই, অনেকে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। বাংলাদেশ থেকে আমি একাই। ওরা আমাকে খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। ওদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে, আমার বেশ কয়েকজন ভালো বন্ধুও হয়েছে ওখানে। সবার সঙ্গে আড্ডা, গান চলেছে। যেহেতু এটা একটা গানের রিয়্যালিটি শো, গান তো সবার আগেই। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা হয় নিজেদের মধ্যে। আমার দেশকে নিয়ে আলোচনা হয়, যেহেতু আমি চট্টগ্রামের ছেলে, চট্টগ্রাম নিয়ে আলোচনা হয়। ওরা খুব আগ্রহী আমার দেশের বিষয়ে জানতে। আমি যে এবার যাব, ওদের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে যাব। ওরা অপেক্ষায় আছে, কখন ফিরব, কখন দেখা হবে। সবার সঙ্গে সুন্দর একটা রসায়ন হয়েছে।
বিচারকেরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন আপনাকে। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী আপনাকে একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন, বলেছিলেন অলংকরণগুলো পরিষ্কার করে নিতে। সেগুলো করছেন নিশ্চয়ই।
এবারের সা রে গা মা পাতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ পদ্মভূষণ পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তিনি মহাগুরু হিসেবে আছেন। এটা আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। বিচারক হিসেবে তো অনেকেই আছেন, শান্তনু মৈত্র, রিচা শর্মা ও শ্রীকান্ত আচার্য্য। ওনারা খুব সম্মানিত এবং পূজনীয় ব্যক্তিত্ব।
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী থাকার কারণে অনুষ্ঠানের রংটাই বদলে গেছে। উনি আমার গান আর হারমোনিয়াম শুনে খুব খুশি হয়েছেন এবং আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমি যেন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে গাইতে পারি, অলংকরণগুলো যাতে আরও পরিষ্কার হয়, উনি সেই পরামর্শটুকু আমাকে দিয়েছেন।
বিচারকরা তো সবাইকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেনই। ওখানে যারা আছেন, ভালো গায় বলেই সুযোগ পেয়েছেন, সবাই স্ট্রেস নিয়ে কতটা কনফিডেন্টলি গাইতে পারে সেই জিনিসটা বিচারকরা নিশ্চিত করছেন।
আপনাকে মান্না দে ও অখিল বন্ধু ঘোষের গান গাইতে শোনা গেছে। আগামী পর্বগুলোতে আপনাকে আরও অন্য ধরনের গান গাইতে শোনা যাবে কি না। যেমন সিনেমার গান, ব্যান্ডের গান।
আমি আপাতত আমার জনরার গানই গাইছি। বেশ কিছুদিন এটা গাইব। যদি ওনারা আমাকে ভেঙে অন্য কিছু করাতে চান, যেমন আমার দেশের লোকসংগীত, বিভিন্ন কিংবদন্তি শিল্পীদের গাওয়া বিখ্যাত কিছু গান আছে, ওই গানগুলো যদি আমাকে দেয়া হয়, অবশ্যই আমি প্রস্তুত থাকব। এটা আমি খুব সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করব।
সা রে গা মা পায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত কবে নিলেন এবং যেতে চাইলেন কেন?
সা রে গা মা পা আমি অনেক দিন ধরে দেখি, আমাদের দেশে খুব জনপ্রিয়। সবাই অনুষ্ঠানটি দেখে এবং দেখার কারণে এই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ভক্ত তৈরি হয়েছে। আমারও ইচ্ছে ছিল অনেক দিন থেকে, সা রে গা মা পা-তে কখনও যদি নিজেকে উপস্থাপন করতে পারি। সেই ইচ্ছাটা থেকেই সেখানে যাওয়া। মাঝে একটি সুযোগ আসে। আমাকে প্রাথমিক অডিশনে ওনারা সিলেক্ট করেন বাংলাদেশ থেকে। শুরুতে অনলাইনে একটি অডিশন দিই। ওখানে গিয়ে আরেকটি অডিশন দিই। পরে গ্র্যান্ড অডিশনের জন্য সিলেক্ট হই। এভাবেই সা রে গা মা পা-তে আসা।
প্রত্যেক শিল্পীর ইচ্ছে থাকে, বড় কোনো মঞ্চে নিজেকে দাঁড় করাতে পারলে একটু বেশি মানুষের কাছে যাওয়া যায়, পরিচিতি পাওয়া যায়। এটা সা রে গা মা পা-তে যাওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ।
আপনাকে ইউটিউবে পাওয়া যায়। আমরা ধারণা করি, আপনি স্টেজ শো বা প্রাইভেট শো করে থাকেন। ভিডিও দেখে তাই মনে হয়। সংগীতই কি আপনার পেশা?
আমার পড়াশোনা আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর। এখন পর্যন্ত নিজেকে আইন পেশায় জড়াইনি। গানটাই আমার পেশা হিসেবে আছে। অনেক দিন থেকে পেশাদারভাবে গানটাই করে যাচ্ছি এবং এটার কারণে প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি, আগেও পেয়েছি, আশা করছি ভবিষ্যতেও পাব। কারণ আমি একটা কথাই বিশ্বাস করি, সংগীতের মতো আর কিছু নেই, যার মাধ্যমে এত সহজে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়৷ সে জন্য আমি গানটাকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই৷ এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।
আপনাকে কাভার করতেই দেখা যায় বেশি। আপনার কি কোনো মৌলিক গান আছে বা করার চেষ্টা করছেন?
একজন শিল্পীর কাছে সবচেয়ে বড় হলো তার মৌলিক সৃষ্টি। শিল্পী বেঁচে থাকে তার নিজের গান দিয়ে। আমারও সে রকম একটা ইচ্ছে আছে। এতদিন পর্যন্ত আমি বিভিন্ন শিল্পীর গান করে আসছি। আমার মৌলিক গানও আছে ইউটিউবে। আমি বেশ কয়েকটা গানের কাজ হাতে নিয়েছি। যে গানগুলো নিয়ে সা রে গা মা পা’র পরে দর্শকদের সামনে হাজির হব।
কোনো চাকরির পাশাপাশি গানবাজনা করতে পারতেন, তেমনটা করলেন না কেন?
আসলে গানটা ছোটবেলা থেকেই আমার রক্তে মিশে আছে। এটা নিয়ে আমার একটা পরিকল্পনা ছিল যে আমি এটা নিয়ে এগিয়ে যাব। যতদিন বেঁচে থাকব গানটা করেই যাব।
পেশার বিষয়টা বলতে গেলে আমি কিছুদিন চেষ্টা করেছিলাম অন্য পেশায় নিজেকে জড়াতে৷ কিন্তু দেখলাম যে অন্য কোনো পেশায়, চাকরি বলেন বা আইন পেশা বলেন, যা-ই বলেন না কেন, এসব পেশায় থেকে গানটা করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছিল আমার জন্য। এ জন্য আমি গানটাতেই আছি। পড়াশোনা করেছি আইনে, তাই আইন পেশায় আমি চাইলে আজও যেতে পারি, কালও যেতে পারি, সেটা কোনো বিষয় না। কিন্তু আমি গানটাকে নিয়েই থাকতে চাই সারা জীবন।
আপনি গান শিখেছেন কার কাছে?
গান শেখাটা শুরু হয় আমার ৬ থেকে ৭ বছর বয়সে। ঘরেই মায়ের হাতে আমার গানের হাতেখড়ি। পরবর্তী সময়ে আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, তখন থেকে আমার ভেতর শিল্পী হওয়ার একটা বাসনা জাগে। এর পর থেকেই আমি গানটা সিরিয়াসলি শুরু করি। শহরে আসি উচ্চ মাধ্যমিকের পর। গুরুজি স্বর্ণময়ী চক্রবর্তীর কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতে দীর্ঘদিন তালিম নিয়েছি৷ এরপর আমি কলকাতায় যাই এবং বিখ্যাত সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী গৌতম ঘোষালের কাছে এখন তালিম নিচ্ছি।
এর মধ্যে আমি দেশের অনেক নামকরা অনুষ্ঠানে, টেলিভিশন শো, বিভিন্ন করপোরেট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। প্রচুর প্রশংসিত হয়েছি, আমার একটা শ্রোতামহল তৈরি হয়েছে৷
গানের ক্ষেত্রে পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছিল আমার ওপর। আমার বাবা, কাকা, মা সবাই আমাকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন।
পরিবারে কে কে আছে আপনার?
আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাবারা দুই ভাই৷ আমার কাকা-কাকিমা আছেন। তাদের দুজন মেয়ে আছে। আমরা তিন ভাইবোন। আমি সবার বড়, ছোট দুজন বোন, তারা পড়াশোনা করছে। আর বাবা-মা তো আছেনই৷ আমাদের পরিবারের সবাই খুব সংগীত অনুরাগী। গানের ভেতর দিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। আমার পরিবারে সংগীত চর্চাটা হয়৷ আমার বোনেরাও গানের চর্চা করে। আমার ছোটটা গান করে। অন্যজন নৃত্য শেখে।
সা রে গা মা পা আপনাকে মূল্যায়ন করার মাধ্যমে একটা ভালো অবস্থান দিতে পারবে বলে মনে হয়?
আমি মনে করি যারা সা রে গা মা পার মঞ্চে গান করছেন, প্রত্যেক শিল্পীকেই তারা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেবে। যাতে করে আর পেছনে তাকাতে হবে না।
সেরাটা যদি আমি দিতে পারি, সর্বোচ্চটা দিয়ে যদি ওখানে টিকে থাকতে পারি, অবশ্যই আমি একটা অবস্থান পাব।
সা রে গা মা পা-তে এখন পর্যন্ত কোন জিনিসটাকে মনে হচ্ছে যে অভিজ্ঞতাতে যুক্ত হলো বা কোন জিনিসটা অভিজ্ঞতা বাড়াল?
সত্যি কথা বলতে গানটা আমি একরকম করে আসছি, সা রে গা মা পা-তে যাওয়ার পর একটা বিষয় বুঝতে পারলাম যে গানটা শেখার আরও অনেক কিছু আছে। যতদিন সেখানে থাকব, ওখানে আমি যা শিখব, তা এমনি এমনি আগামী বিশ বছরেও পাব না। ওখানে শুধু গান নয়, জীবনদর্শনটাও আমরা শিখছি।
সেটের পরিবেশ কেমন? বিদেশ হলে সেখানেও সবাই বাঙালি, মানিয়ে নিতে কোনো অসুবিধে হয়েছে?
যেহেতু পার্শ্ববর্তী দেশ, কলকাতায় এর আগেও আমি বহুবার গিয়েছি বিভিন্ন কারণে এবং আমি ওখানে তালিম নিয়েছি সংগীতের। আমার গুরুজি গৌতম ঘোষের কলকাতায়। আমার খুব বেশি বাইরে আছি বলে মনে হচ্ছে না। ভালো আছি, ওয়েদারটা সেম, আমাদের চেয়ে খুব বেশি ব্যবধান কিছু নেই ৷ খাবার-দাবার, সবকিছু একই। খুব বেশি আমার মনে হচ্ছে না যে আমি দেশের বাইরে আছি।
আপনি শুরুর দিকে বলেছিলেন প্রতিযোগীদের কেউ কেউ আপনাকে চিনত, আপনার গান শুনত ইউটিউবে। বিষয়টা কেমন লেগেছে?
আমি সা রে গা মা পা-তে যখন প্রথম যাই, অডিশনে যখন প্রথম ঢুকি, সবার সঙ্গে যখন দেখা হয়, আমি একটু অবাক হয়েছি। আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকার কারণে আমার গান অনেকেই শুনেছে আগে। তারা আমাকে চিনতে পেরেছে, আমাকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখে একটু অবাক হয়েছে। ওরা যে আমাকে চিনতে পেরেছে- এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। ওদের সাথে বন্ধুত্বটা আরও সহজে হয়ে গেছে আমার।
সংগীতে আপনি কাকে অনুসরণ করেন?
শ্রদ্ধেয় মান্না দের গানই আমি বেশি করে থাকি। উনি আমার গানের ঈশ্বর। ওনাকে আমি অনেক ছোটবেলা থেকে ফলো করে আসছি। পাশাপাশি ভারতে যিনি আমাদের মহাগুরু হিসেবে আছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওনার গানও মাঝে মাঝে আমি করে থাকি৷
আমাদের বাংলাদেশের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী শ্রদ্ধেয় নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, সুবীর নন্দী, তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎসহ অনেকেই আছেন যাদের গান আমি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। বলতে গেলে সবাই আমার গুরুস্থানীয়।
আরও পড়ুন:সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা দুই দিনব্যাপী কনসার্টের আয়োজন করছে।
কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থ বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় ব্যয় হবে।
সোমবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে কনসার্ট শুরু হবে। চলবে মঙ্গলবারও। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই কনসার্টের এন্ট্রি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
ওয়ারফেজ, আর্ক, অ্যাশেজ, ভাইকিং, সোনার বাংলা সার্কাস, সহজিয়াসহ আরও অনেক নামি ব্যান্ড দল কনসার্টে গান পরিবেশন করবেন।
মূলত ঢাবির সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে এই কনসার্ট হচ্ছে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে আয়োজিত এই কনসার্টে সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
ঢাবির সাংবাদিক সমিতিতে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে ‘বন্যার্তদের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন’। এ উদ্যোগের সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য টিএসসির অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে অর্থ সংগ্রহ চলছে। এজন্য জন্য টিএসসির পায়রা চত্বরে স্থাপন করা হচ্ছে ‘উন্মুক্ত মঞ্চ’।
কনসার্ট আয়োজনের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য গোলাম কুদ্দুছকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসকে করা হয়েছে সদস্যসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে করা হয়েছে উপদেষ্টা।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সভাপতি দিগার মোহাম্মদ কৌশিক, স্লোগান’৭১ এর সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন হাসান শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদের সভাপতি আরাফাত আরেফিন উৎস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক জয় দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানসহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘ত্রাণ শব্দটা আমাদের পাল্টাতে হবে। জনগণের টাকায় দেশ চলে। জনগণের টাকাতেই আমাদের বেতন হয়, আমরা হলে থাকতে পারি। এখানে সুনামগঞ্জের মানুষসহ সবার টাকা আছে। তাদের একটা অংশ বিপদে পড়েছে। তাদের টাকায় তাদের সহযোগিতা করতে হবে। এটা করুণা বা দয়া নয়, এটা তাদের অধিকার। কাজেই ত্রাণ শব্দটা বাদ দিতে হবে।
‘আমাদের মূল শক্তি ছাত্র-ছাত্রীরা। আমরা তাদের সহায়তা করছি ও পরামর্শ দিচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় সংকটে সবার পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনও আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আলী আকবর বলেন, ‘দেশের বিপর্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় পাশে ছিল। এই প্রেক্ষাপটেই আমাদের সবার এই উদ্যোগ। আমাদের একটা কনসার্টের আয়োজন করা হচ্ছে।
‘কনসার্টের টাকা বন্যাদুর্গতদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সবার সহযোগিতায় প্রাপ্ত অর্থ বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতায় ব্যয় হবে।’
কোন কোন এলাকায় সহযোগিতা করা হবে এবং এ পর্যন্ত ফান্ডিংয়ের অবস্থা কেমন জানতে চাওয়া হলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রীর বাড়ি সেখানে। আমরা প্রতিনিয়ত খবর নিচ্ছি। যেখানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খবর পাব, সেখানেই আমরা আগে পৌঁছাব।
‘ইতিমধ্যে অনন্ত জলিল ও বর্ষা ৬ লাখ টাকা দেয়ার কথা দিয়েছে। আরও ৪ জন ৪ লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর সব ছাত্ররা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে যে গণকালেকশন করেছে তার মাধ্যমে ১ লাখ টাকার মতো ফান্ডিং হয়েছে।
‘সব মিলিয়ে ১১ লাখ টাকার মতো আমাদের হয়েছ। আমরা আশা করছি নিঃসন্দেহে এটি আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন:দ্য ভিঞ্চির লাস্ট সাপারের আদলে একটি ভোজ। বিটিএস-এর সাত সদস্য একটি ব্যান্ড হিসেবে তাদের নবম বার্ষিকী উদযাপন করেছেন। এটি জুনের মাঝামাঝি ডিনারের একটি ভিডিও চলাকালীন দৃশ্য।
বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ব্যান্ড দলটি এদিন বোমা ফাটিয়েছিল। তারা জানায়, নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। তারা এখন থেকে একক ক্যারিয়ারকে অগ্রাধিকার দেবে।
র্যাপার এবং গ্রুপ লিডার আরএম বলেন, ‘আমাদের মেনে নিতে হবে যে আমরা বদলে গেছি। কে-পপ এবং পুরো আইডল সিস্টেমের সমস্যা হলো, তারা আপনাকে পরিপক্ক হওয়ার সময় দেয় না।’
ব্যান্ডের সদস্য সুগা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা ঘন্টাব্যাপী ‘ডিনার পার্টি’ ভিডিওতে স্পষ্ট করে দেন যে, গ্রুপটি ‘বিচ্ছিন্ন’ নয়।
দলের আরেক সদস্য জাং কুক একটি ফলো-আপ ভিডিওতে জানান, তারা কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে না।
বিটিএস হল হালের সবচেয়ে বড় মিউজিক্যাল ব্যান্ড। দলটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে হাইবও। তারাই বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বিটিএসকে।
প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যান্ডটি একের পর এক রেকর্ড গড়েছে। গত এক বছরে ছয় বার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন বিলবোর্ডের শীর্ষে ছিল বিটিএস।
বিলবোর্ডের আন্তর্জাতিক সম্পাদক আলেক্সি ব্যারিওনুয়েভো বলেন, ‘মূল কথা হলো বিটিএস হলো চার্টের একটি দানব। তারা কেবল প্রভাবশালী কে-পপ অ্যাক্ট নয়। তাদের অনুপস্থিতির বড় প্রভাব পড়বে। ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা হাইবও বিপদে পড়বে। তারা ব্যান্ডটিকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা সাজিয়েছিল।’
নতুন অধ্যায় মানে কি?
জাং কুক পরবর্তী ভিডিওতে স্পষ্ট করেছেন, এটা একটা বিরতি কেবল। আরএম, সুগা, জে হোপ, জাং কুক, জিমিন, ভি এবং জিন একক প্রকল্পে কাজ করবে। তারা আরও স্বাধীনতার খোঁজে আছে। তবে দলগতভাবে কাজ বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে থাকা হাইবও। তারা জানিয়েছে, বিটিএস এখন নতুন একক প্রকল্পের পাশাপাশি গ্রুপ প্রকল্পগুলোর সঙ্গে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।
‘সদস্যরা বিভিন্ন নতুন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পরিচিতি বাড়াতে এই সময় নেবে। আশা করি, একটি দল হিসেবে তারা ব্যান্ডের দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিকে আরও মজবুত করবে।’
একসঙ্গে ফিরবে বিটিএস?
যেহেতু তারা ভেঙে যাচ্ছে না, তার মানে তারা এখনও একসঙ্গে আছে। তবে দল হিসেবে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। তারপরও তারা কখন একটি গ্রুপ হয়ে লাইভ পারফরম্যান্সে ফিরবে তা অস্পষ্ট।
ব্যারিওনুয়েভো বলেন, ‘এই দিক পরিবর্তনের লক্ষণ কিছু সময়ের জন্য স্পষ্ট। গত কয়েক বছরে আউটপুট কমে যাওয়ার পাশপাশি তারা যে ‘ফিশবোল’ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। তারা এমন একটি পরিস্থিতিতে ছিল, যেখানে টানা তিন বছরে তিন জন সদস্য হারিয়েছে।’
ব্যান্ডের উপার্জন
বিটিএস কোথাও যাচ্ছে না। তারা এখনও তাদের বিদ্যমান কাজ থেকে আয় করবে। তবে তাদের পেছনের প্রতিষ্ঠান হাইবও বড় ধাক্কা খাবে। যেদিন খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেদিন শেয়ারের দাম প্রায় ৩০ কমে গিয়েছিল। ব্লুমবার্গ বলছে, বাজার মূল্যে তাদের প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার এবং বছর শেষে প্রায় ৬০ শতাংশ আয় কমবে।
হাইবও মূলত শিল্পীদের পোর্টফোলিও পরিচালনা করে। টুমোরো এক্স টুগেদার এবং প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম উইভার্স চালায় প্রতিষ্ঠানটি। অন্যান্য এজেন্সিগুলোতেও কাজ করে হাইবও। সেখানে সংখ্যালঘু অংশীদারিত্বের পাশাপাশি কোরিয়ান ভাষার প্রোগ্রাম এবং গেমিংয়ের প্রজেক্ট নিয়েও কাজ করে তারা। একটি বড় মিউজিক চুক্তিতে ২০২১ সালে তারা ইথাকা হোল্ডিংসকেও অধিগ্রহণ করে। আমেরিকাভিত্তিক এই সঙ্গীত সংস্থা জাস্টিন বিবার এবং ডেমি লোভাটোসহ বিশ্ব তারকাদের পরিচালনা করে।
টেলিভিশন শোতে বিটিএস
জাং কুক জানান, রান বিটিএস-এর শুটিংসহ একটি দল হিসেবে সক্রিয় থাকবে বিটিএস। তাই দলে কোনো বিচ্ছেদ হচ্ছে না।
বিটিএসের অন্যান্য প্রকল্পগুলো দূর্দান্ত গতিতে চলছে। দলটির অ্যানিমেটেড মিউজিক ভিডিও ‘ইয়েট টু কাম’ (সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত) ২১ জুন প্রকাশিত হয়। ভিডিওটি মোবাইল গেম ‘বিটিএস আইল্যান্ড: ইন দ্য এসইওএম’-এর চরিত্রগুলোকে উপস্থাপন করে৷
কেমন হবে একক ক্যারিয়ার?
বিটিএস সদস্যরা সবসময় পার্শ্ব প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দেয়। অগাস্ট ডি নামে সুগা একাধিক মিক্সটেপ প্রকাশ করেছে। হলসে শেষ অ্যালবামে গায়ক-গীতিকার ম্যাক্সের সঙ্গে একটি দ্বৈত প্রযোজনায় কাজ করেছেন।
আরএম স্বতন্ত্র ট্র্যাকগুলোতে একজন র্যাপার হিসেবে অভিনয় করেছেন। ২০১৮ সালে তার নিজস্ব একক মিক্সটেপ মনো প্রকাশ করেন।
জে হোপ ২০১৮ সালে একটি মিক্সটেপ প্রকাশ করেন। ভি-এর একক সঙ্গীত, যা ব্যালাডিকে ঝুঁকছে, কয়েক মিলিয়ন স্ট্রিম উপার্জন করেছে।
জিমিন, জাং কুক এবং জিনও একক রিলিজে কাজ করেছেন। যদিও ডিনার পার্টির ভিডিওতে জিমিন জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেকে একক শিল্পী হিসেবে দেখেন না।
এই শিল্পীদের ফটোগ্রাফি, অভিনয়, নাচ, ফ্যাশন এবং সিনেমাসহ অন্যান্য বিষয়ে দারুণ ঝোঁক রয়েছে। তাই সম্ভবত আমরা তাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ এবং শখগুলোকে এখন বেশি গুরুত্ব দেবে; তা ব্যক্তিগত বা পেশাদারই হোক না কেন।
জিন ভিডিওতে রসিকতা করে জানিয়েছিলেন, তিনি গত কয়েক সপ্তাহের বেশিরভাগ সময় ভিডিও গেম খেলে কাটিয়েছেন, যখন সুগা ইংরেজি, পাইলেটস এবং নাচের ক্লাসে সময় দিয়েছেন।
জে-হোপের একক অ্যালবামের কাজ চলছে। জুলাইয়ের শেষে শিকাগোর লোলাপালুজা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে তিনি পারফর্ম করবেন।
আরও পড়ুন:লালনের ‘সব লোকে কয়’ গানটি কোক স্টুডিও বাংলা থেকে প্রকাশ পেয়েছে মঙ্গলবার। গানটিকে নিবেদন করা হয়েছে মানুষের চিরন্তন ভালবাসার প্রতি।
প্ল্যাটফর্মটি মনে করে মানুষের অভিব্যক্তি ভিন্ন হতে পারে, ভিন্ন হতে পারে তাদের অবস্থান, কিন্তু আবেগ একই রকম।
তাইতো পৃথিবীর এক প্রান্তে শেক্সপিয়রের আমলের গল্পগাথায় যখন বলা হচ্ছে ফি-ফাই-ফো-ফুম, অন্য প্রান্তে বাঙালিরা বলে ওঠে হাউ-মাউ-কাউ।
ঠিক একই রকম আবেদন রয়েছে সংগীতও ও সুরে। বাংলায় মরমী কবি ফকির লালন শাঁই এবং ভারতের কবির দাস- দুই দেশ, দুই পরিস্থিতি হলেও দুজন একই কথা বলে গেছেন। এদিকে লালন বলেন ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ তখন কবির দাস বলেন ‘কবিরা কুয়ান এক হ্যায়’ (কবিরা-কুয়ান একই)।
মানবতার চেতনায় সংযুক্ত দুটি ভিন্ন মানুষের একই রকম আবেদনের সংগীত এক করা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা এর মঞ্চে। লালনের গান গেয়েছেন কানিজ খন্দকার মিতু। আর কবির দাসের গান গেয়েছেন ভারতের সংগীতশিল্পী সৌম্য মুর্শিদাবাদী।
মিতু টাঙ্গাইলের মেয়ে। এখন লেখাপড়া করছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংগীতের অনার্স শেষ করে এখন মাস্টার্স করছেন লোকসংগীত নিয়ে।
পঞ্চম শ্রেণী থেকেই গান শিখে আসছেন মিতু। ২০১১ সালে একটি রিয়েলিটে শো-তে চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন। সংগীতেই পড়তে চেয়েছিলেন, পড়ছেনও।
বুধবার দুপুরে মিতু ছিলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোক স্টুডিওতে যুক্ত হওয়ার গল্প জানতে চাইলে মিতু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২১ এর ডিসেম্বরের কথা। অনিমেষ দা (অনিমেষ রয়- নাসেক নাসেক) আমাকে ভয়েস পাঠাতে বলেছিলেন। মোবাইলে রেকর্ড করে ভয়েস পাঠাই। বেশ কয়েক দিন পর খবর আসে যে আমাকে ঢাকা যেতে হবে।’
মিতু আরও বলেন, ‘গানটির জন্য তারা যে খুব ফোক কণ্ঠ খুঁজছিলেন তা নয়। আবার যে খুব আধুনিক গানের মতো কণ্ঠ খুঁজছিলেন, তাও নয়।’
মিতুর সঙ্গে গানটিতে আরও গেয়েছেন ভারতের সৌম্য মুর্শিদাবাদী। তিনি মুর্শিদাবাদী নামে বেশি পরিচিত। তার মুর্শিদাবাদী প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্ট রয়েছে। সেখানে মূলত ফোক ও সুফি সংগীত নিয়ে কাজ করা হয়। তিনি কবির দাসের গানও করেন।
কোক স্টুডিও বাংলা প্রথম সিজনের সংগীত প্রযোজক অর্ণবের সঙ্গে মুর্শিদাবাদীর আগে থেকে পরিচয় ছিল। তাদের এক সঙ্গে গান করতে দেখা গেছে।
মিতু জানালেন, তিনিও মুর্শিদাবাদীর গান শোনেন এবং তাদের কাছে মুর্শিদাবাদী খুবই পরিচিত।
মিতু বলেন, ‘অর্ণব দা এত সুন্দর করে সব কিছু করেছেন, আমার মনেই হয়নি যে এত বড় একজন শিল্পীর সঙ্গে গান করছি।’
গানে মিতুর ফ্যাশন অনেকেরই নজর কেরেছে। মিতুকে সুন্দর লেগেছে, এ কথাও নাকি বলেছে অনেকে। মিতু বলেন, ‘এটা নিয়ে কি বলব। উনারা যেভাবে করেছেন, সেভাবেই হয়েছে।’
সংগীতের সঙ্গেই থাকবেন বলে জানান মিতু। গান করবেন, গবেষণা করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার রেজাল্টও ভালো। বলেন, ‘কিছু তো একটা করতে পারবই আশা করি।’
ইউটিউবে গানটির মন্তব্যের ঘরে শ্রোতারা গানটি নিয়ে তাদের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। মন্তব্যগুলো এমন-
‘কম্বিনেশন চরম ভাবে মারাত্মক।
মুর্শিদাবাদীকে দেখতে পাবো ভাবিনি কখনও। সত্যিই অসাধারণ । ‘লালন’ বস, সব সৃষ্টিই সেরা থেকে সেরা। লাখো শ্রোতার হৃদয়ে দোলা দিবে এই গান।’
‘ধন্যবাদ Coke Studio বাংলা। অসাধারণ কম্পোজিশন, সকল ভোকালিস্ট আর মিউজিশিয়ানদের অনেক ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা।’
‘বাশির সুরে হারিয়ে যাচ্ছিলাম বারংবার। সবাই খুবই অসাধারণ শিল্পি, আপনাদের জন্য ভালোবাসা রইলো।’
‘সংগীতই পারে দেশ, ভাষা, ধর্মকে এক অভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে!’
‘এইসব গান শুনলে অল্প হলেও বিশ্বাস পাওয়া যায়, যে এই কট্টর ধর্মান্ধদের যুগেও একটু মনুষত্বের জায়গা আছে।’
আরও পড়ুন:দেশের ‘গলি বয়’খ্যাত রানা ও তাবীব মাহমুদ জুটিকে অনেকেই চেনেন তাদের গানের জন্য। র্যাপ ঢংয়ে গান করেন তারা। বরাবরই বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসে তাদের গানে। এসব গানের কিছু তাবীব একাও গেয়েছেন।
তাবীব আরও একবার একাই গাইলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার একটি গান প্রকাশ পেয়েছে অনলাইনে। শিরোনাম- ‘বেকারের চিঠি’। গানটিতে উঠে এসেছে বেকারত্ব, বিসিএস ক্যাডার না হতে পারলে পছন্দের মানুষকে না পাওয়া, সৃজনশীলতা বা উদ্ভাবনী দক্ষতা নষ্ট করে চাকরি করার প্রবণতা বৃদ্ধিসহ আরও কিছু বিষয়।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো, গানের মাঝখানে প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করে কয়েকটি লাইন আছে। তাবীব গানে গানে প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করে বলেছেন, ‘প্রিয় প্রেসিডেন্ট/আমি করব বিয়ে/প্লিজ, প্রেমিকার বাবাকে বলে দিন/একখানা বউ পেলে চাকরি জন্ম দেব/প্লিজ শুধু একবার বলে দিন।’
তাবীবের নতুন গানের কথা এমন-
‘যে বিশ্ববিদ্যালয় চেনে নাই যারে, সে দেখিয়েছে হয়ে তার চ্যান্সেলর
সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি গ্র্যাজুয়েট, ঘুম আসে না, জাগি রাত্রিভর
আমার পরিবার হা করে তাকিয়ে আছে, ঢুকে যাচ্ছে মুখে মশা-মাছি
বেকারত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে, আমায় বলতে হচ্ছে- আমি ভালো আছি
আমি কোথায় আছি, হচ্ছেটা কি, গাছ পাকা যৌবন ফুরিয়ে গেল
হতাশায় পুড়ে পুড়ে বিদ্যা সিন্ধু জল ইন্টারভিউ দিয়ে শুকিয়ে গেল।’
গানের আরও কিছু কথা এমন-
‘সমাজের প্রত্যাশা- আমাকে যে হতে হবে বুনিয়াদি বিসিএস ক্যাডার
বুনিয়াদি বিসিএস ক্যাডার হলে সুন্দরী-রমনীকে বিয়ে করা যায় বলে
তারুণ্য মেধাগুলো বই পড়া বাদ দিয়ে হাতে নিয়ে ঘুরছে সিলেবাস
যার হবার কথা ছিল জেনেটিক বিজ্ঞানী, ঠেলছে সে গিয়ে ঠ্যালাবাসা
প্রিয় প্রেসিডেন্ট…।’
ইউটিউবে গানটির বিবরণে লেখা আছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত গ্র্যাজুয়েট বেকারের বন্ধু আমি। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত স্থানে বেকার বন্ধুদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সঙ্গে পরিচয়। মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয়। দিনের পর দিন ঘুরছে, কিন্তু মেধাবীদের পকেটে হাহাকার।
‘কিছু আনন্দ সংবাদও শুনি। হঠাৎ কোনো বড় ভাই বিসিএস ক্যাডার হয়ে হলে মিষ্টি নিয়ে আসে। যাকে কাছে পায় তাকেই জড়িয়ে ধরে। তাকে ঘিরে কত আনন্দ বাস করে। এর বিপরীতে অসংখ্য বন্ধু ছিটকে পড়ছে। আমার কাছে এটাকে একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা মনে হয়। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার আনন্দের থেকে না হওয়ার বেদনা বেশি মারাত্মক। এর মাঝে দারুণ কিছু দেখি তাদের মাঝে- যারা চাকরি খোঁজে না; চাকরি জন্ম দেয়।’
তাবীবের গানের শেষের লাইনগুলো এমন-
‘আমি তার গান গাই যার বুকে ভয় নাই, মৃত্যু আলিঙ্গনে মুক্তি যার
শেকল ভাঙার গান শক্তি যার, পরে না মুখোশ সে ভদ্রতার
বেকার ছেলের কাছে মেয়ের বিয়ে দেবে
আছে কি এমন কোনো শ্বশুর মশাই
যারা কুসংস্কার ভেঙে বুকটা উজাড় করে বরণ করে নেবে বেকার জামাই।’
গানটি লিখেছেন তাবীব মাহমুদ, সুর করেছেন শুভ্র রাহা।
আরও পড়ুন:বলিউড সিনেমার আইটেম ড্যান্সার হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি। তার আবেদনভরা উষ্ণ নাচে পাগলপ্রায় সব বয়সের মানুষ। তবে এবার নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি।
একটি মিউজিক ভিডিওর পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন নোরা। যে গানটিতে নিজেই পারফর্ম করেছেন তিনি।
পরিচালনা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন নোরা। সেখানে গানের সেট থেকে পর্দার পেছনের ছবিগুলোর একটি সিরিজ পোস্ট করেছেন।
ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আমার নতুন গান ডার্টি লিটল সিক্রেট-এ প্রথমবার মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করছি। এটি একটি দুর্দান্ত শেখার অভিজ্ঞতা ছিল!’
View this post on Instagram
পরিচালনায় আত্মপ্রকাশের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভক্তরা। একই সঙ্গে তারা অনেকেই বলছেন যে, ভবিষ্যতেও তাকে একজন পরিচালক হিসেবে দেখতে চান।
এদিকে সম্প্রতি নোরার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে ‘ডার্টি লিটল সিক্রেট’। পপ-কালচার ধাঁচের ভিডিওটি ইউটিউবে এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
নোরা বর্তমানে রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স দিওয়ানে জুনিয়র’-এর বিচারক হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য