কলকাতার নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কনসার্টের পর রাতে মৃত্যু হয় ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেকের।
পশ্চিমবঙ্গে কেকের সেই কনসার্টের আগে সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী।
সে লাইভে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রোতাদের প্রতি। শ্রোতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাঙালি হতে শিখুন, বাঙালি হোন।’
রুপঙ্কর আরও বলেছিলেন, ‘কেকের লাইভ দেখলাম। আমরা ওর থেকে অনেক ভালো গাই, কিন্তু আমাদের নিয়ে এত উন্মাদনা হয় না।’
তার বক্তব্যের পরের দিন নজরুল মঞ্চে কনসার্টের পর চিরবিদায় নেন কেকে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানারকম কটাক্ষ ও গণ-আক্রোশের মুখে পড়েন রূপঙ্কর।
কদিন ধরে চলা টানা কটাক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে কেকের পরিবারের কাছে নিঃশর্ত দুঃখ প্রকাশ করেছেন রূপঙ্কর।
এবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি কবিতা লিখেছেন রূপঙ্করের স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ি।
শনিবার সকালে ফেসবুকে পোস্ট করা চৈতালীর সেই কবিতায় ফুটে উঠেছে, কেকের ঘটনায় কিভাবে তাদের ওপর নেমে এসেছে মানসিক নিপীড়ন। কিভাবে পরিবারকে সহ্য করতে হচ্ছে দুঃসহ যন্ত্রণা।
‘রাত জাগা ভোর’- শিরোনামের চৈতালীর সেই কবিতাটি নিউজবাংলার পাঠদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘স্যোশাল মিডিয়া তোমার দেওয়া আ্যড্রনালিন রাশ,
ছোট্ট পরিবারের জীবনে নামিয়ে এনেছে ত্রাস।
দরকার একটা স্মার্টফোন আর মনে একরাশ ঘৃণা,
জীবনের যত না পাওয়ার যন্ত্রণা আর কিছু বাহানা।
তারপর একটা লম্বা ট্রীপ এমন নেশা কোনো
মাদকেই হয় না,
উত্তেজনা উত্তেজনা---উফফ দাদা জীবনে কী পাবোনা ভুলেছি সে ভাবনা
এমন একটা বেপরোয়া ঝড়ের মুখে পড়ে,
অসহায় সে পরিবারের টীন এজ মায়ের মনে,
ধরফরিয়ে বুকটা পোড়ে, বরটা বড়ই বোকা
দুনিয়াদারিতে নেহাৎ কাঁচা শিল্প যাপনে মগ্ন থাকা।
এমন কথা কি বলতে হয়, তুমি কি সমাজের হোতা?
কে দিয়েছে মাথার দিব্যি? কেন নড়ল মাথার পোকা?
নিজেকে নিয়ে বাঁচো, নিজের আখের গোছাও ওগো--
মেয়েটার ভবিষ্যৎ আছে, আমার কথাটাও ভাবো।
ভালোই হল চিনতে পেল বন্ধু এবং বাসা
সময় চেনায় কোনটা সত্যি আর কোনটা মরিচীকা
তোমাদেরও ঘরে জানি আছে এমন বোন ও মা
কেমন হবে তাদের জন্য এমন সমালোচনা?
হুমকী ফোন আর অশ্লীলতা ভাষায় ও ভঙ্গীতে
বিনিদ্র রাত দুমুঠো ভাত মুখেও না রোচে।
তবুও ছিলাম নীরব জানি ওটাই তখন শ্রেয়
যতই ভাবি আমার শহর আমার বড় প্রিয়।
অচেনা আজ ঠেকে কেন চেনা লোকের মুখ
বদলে গেল চোখের ভাষা বেড়িয়ে এলো দাঁত নোখ।
ছোট্ট মেয়ে থই পায় না বাবার বিশেষণে,
ভাবছে যতই চোখের পাতা ভিজছে অভিমানে
অবুঝ তাকে কী যে বলি-----
ওরে ভাবিস না রে,
ওসব হল রাগের কথা
ধরতে হয়না ওমন করে।
ঘর সামলাই কাজ সামলাই মুখে হাসি রেখে,
কেউ যেন না বোঝে চোখের কালি রাখি ঢেকে।
সত্যিকারের মানুষ কিছু ঘিরে ছিলেন পাশ
তাদেরও নানান হেনস্তায় কেটেছে দিনরাত।
তাদের বলি তোমাদের আমায় লড়াকু বলেই জানা
এক্ষেত্রে ভুমিকা আমার স্ত্রী ও যশোদা মা।’
আরও পড়ুন:দেশের তুমুল জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার উপন্যাস ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ‘ধ্বংসপাহাড়’ থেকে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হওয়া সিনেমাটির নাম রাখা হয়েছে এমআর-নাইন। এটি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউডের পরিচালক আসিফ আকবর।
আমেরিকার লাস ভেগাসে সিনেমার কিছু শুটিং শেষে আসিফ আকবরসহ তার টিম এসেছিল বাংলাদেশে। করেছেন কিছু অংশের শুটিং। ফিরে যেতে যেতে পরিচালক নিউজবাংলার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
পরিচালকের সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হন। প্রশ্ন পাঠানোর পর তিনি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। সে সময় তিনি আমেরিকার যাত্রাপথে ছিলেন।
নিউজবাংলা: এমআর-নাইন একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প। আপনি কি মাসুদ রানা চরিত্রটিকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চেয়েছেন নাকি জাতীয় স্পাই চরিত্রেই চিত্রিত করতে চেয়েছেন?
আসিফ আকবর: আমি ছোটবেলা থেকেই মাসুদ রানা চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত, বলতে পারেন, আমি বড় হয়েছি এ চরিত্রটির সঙ্গে। অনেক দশক ধরে লাখ লাখ বাঙালি যেমন চরিত্রটিকে ধারণ করছে, আমিও করে আসছি। মাসুদ রানা চরিত্রটি বাংলাদেশের এবং দেশটির মানুষের কাছে খুবই আইকনিক।
আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে মূল মাসুদ রানা বইয়ের ওপর ভিত্তি করে এই আইকনিক চরিত্রটি এবং গল্পটিকে বড় পর্দায় আনার সুযোগ পেয়েছি। আমি এটা অনুভব করেছি যে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা এবং হলিউড সিনেমার মাধ্যমে বিশ্ব দর্শকের কাছে বাংলাদেশি স্পাই অ্যাকশন হিরোকে উপস্থাপন করা আমার জন্য একটি বড় দায়িত্ব।
১৯৬৪ সাল থেকে মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলো বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের বিশ্বের অনেক স্থান এবং সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা দিয়েছে, কারণ তখন ইন্টারনেট বা ওই ধরনের কোনো কনটেন্ট ছিল না।
অনেক বছর ধরে যে সিরিজটি বাংলাদেশে এত জনপ্রিয়, সেটি আমি বিশ্ববাসীকে দেখাতে চেয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশকেও তুলে ধরতে চেয়েছি তাদের সামনে।
তাই বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে সিনেমাটিকে জীবন্ত করে তোলার জন্য আমাকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আশা করছি, আমি শেষ পর্যন্ত আমার উদ্দেশ্য পূরণ করতে সক্ষম হব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে দর্শকরাই।
নিউজবাংলা: অনেকেই এমন ভয় করছেন যে মাসুদ রানা আবার জেমস বন্ডের মতো না হয়ে যায়। যারা ভয় পাচ্ছেন, তাদের জন্য কী বলবেন?
আসিফ আকবর: আমি এতটুকু বলতে পারি, এমআর-নাইন জেমস বন্ড সিরিজের যেকোনো সিনেমার চেয়ে আলাদা এবং বিশ্ব দর্শকদের কাছে নতুন রূপে উপস্থাপিত হবে।
মাসুদ রানার অবশ্যই নিজস্ব ভাষা থাকবে। লোকেরা এটিকে জেমস বন্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ করে। কারণ জেমস বন্ড বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত স্পাই এবং মাসুদ রানা বাংলাদেশের গুপ্তচর। দুজনের পেশায় মিল রয়েছে। তাছাড়া মাসুদ রানা সিরিজের কিছু বইয়ে বন্ড সিরিজের অনুপ্রেরণা ছিল, যা-ই হোক, সেটা নিয়ে আমি বলতে চাই না।
আমি বিশ্বাস করি, এমআর-নাইন সিনেমায় আরও অনেক গুণ ও ভিন্নতা থাকবে, যা দুটি চরিত্রকে আলাদা করবে এবং মাসুদ রানাকে বিশ্বের কাছে তার নিজস্ব পরিচয়ে পরিচিত করবে।
নিউজবাংলা: আমরা যতটুকু শুনেছি, লাস ভেগাসে সিনেমাটির কিছু শুটিং হয়েছে; সম্প্রতি বাংলাদেশেও হলো। শুটিং কি পুরো শেষ হয়েছে? স্কেজিউলটা কেমন?
আসিফ আকবর: লাস ভেগাস এবং বাংলাদেশ ছাড়াও সিনেমার শুটিং আরও অনেক জায়গায় হয়েছে। আমি দর্শকদের একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করব। আমরা অদ্ভুত সব লোকেশনে দৃশ্যধারণ করেছি। আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান যে দর্শকদের জন্য আমি সেই সব অসাধারণ লোকেশন তুলে আনতে পেরেছি।
শুটিং এখনও চলছে এবং সিনেমাটি ভালো করে নির্মাণ করার জন্য যত্নের পাশাপাশি সময় নিতে চাই।
নিউজবাংলা: মাসুদ রানা সিনেমায় শুটিং, চিত্রনাট্য তৈরি, চরিত্র নির্মাণের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কোন কাজটিকে মনে হয়েছে?
আসিফ আকবর: অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু কাস্টিং ছিল আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কোন চরিত্রের জন্য কোন শিল্পীকে নেয়া হচ্ছে। আমার মনে হয় আমরা সেটায় সফল হয়েছি।
সিনেমায় অনেক নতুন চরিত্রের পরিচয় পাওয়া যাবে, যা মূল বইতে নেই। আমরা এর জন্য চিত্রনাট্যের লাইসেন্স নিয়েছি এবং আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী করেছি, আন্তর্জাতিক অভিনয়শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। পরিকল্পনা, চিত্রনাট্য এবং তারকাদের ব্যস্ত সময়সূচি মেলানোর জন্য বেশ কিছু সময় লেগেছে আমাদের।
মজার বিষয় হলো, সিনেমাটি করার জন্য আমরা নিজেরা নিজেদের সময় দিয়েছি। আমরা জানি সিনেমাটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা। আমরা অনেক সময় ধরে প্রি-প্রডাকশনসহ অন্যান্য কাজ করার পর শেষ পর্যন্ত কাজের শেষদিকে চলে আসতে পেরেছি, খুব ভালো লাগছে।
নিউজবাংলা: বাংলাদেশে এবং বিশ্বব্যাপী কবে সিনেমাটি মুক্তি পেলে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে করেন।
আসিফ আকবর: আমি বিশ্বাস করি, সিনেমাটি ২০২৩ সালের কোনো এক সময় মুক্তি পাবে। তবে এটি শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে ডিস্ট্রিবিউটরদের ওপর। সিনেমাটি অবশ্যই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় ফিরতে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। ইতোমধ্যেই তার বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা এসেছে। সবগুলোই মুক্তি পাবে আগামী বছর।
তবে এই সিনেমাগুলোর মধ্যে বর্তমানে বেশ আলোচনার আছে জওয়ান। সম্প্রতি এই সিনেমার ফার্স্টলুক লুক ও নাম ঘোষণার ভিডিওতে অপ্রত্যাশিত লুকে দেখা যায় কিং খানকে। মুখে-মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা, চারপাশে অস্ত্র সজ্জিত অ্যাকশন মুডে শাহরুখ।
নাম ঘোষণা ও শাহরুখের এমন লুখ দেখার পর থেকেই সিনেমাটি ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
আগামী বছর ২ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি জওয়ান। তবে তার আগেই মোটা অঙ্কে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হয়েছে সিনেমাটির সত্ত্ব।
বলিউডলাইফ-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নেটফ্লিক্সের কাছে ১২০ কোটি রুপিতে বিক্রি করা হয়েছে জওয়ান-এর স্ট্রিমিং সত্ত্ব।
যদিও নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এই খবর এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি জানানো হয়নি।
জওয়ান পরিচালনা করছেন অ্যাটলি কুমার। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম লাইভে অ্যাটলির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে শাহরুখ খান বলেন, ‘এখনও অনেক পথ বাকি। এখনই জওয়ান সম্পর্কে বেশি কিছু বলার সময় আসেনি। অ্যাটলি অন্য ধরনের সিনেমা তৈরি করছে। এর আগে সবাই তার কাজ দেখেছে। সে কী ধরনের সিনেমা নির্মাণ করে তা কারও অজানা নয়।’
কিং খান আরও বলেন, ‘এই সিনেমাতে দর্শকেরা এমন কিছু দেখতে যাচ্ছেন, যা আগে দেখা যায়নি। আমার আর অ্যাটলির মধ্যে ভালো রসায়ন তৈরি হয়েছে। দর্শকদের জন্য জওয়ান যে উত্তেজনা তৈরি করবে, তা বলতে পারি।’
জওয়ান-এ শাহরুখের সঙ্গে দক্ষিণী সিনেমার নারী সুপারস্টার নয়নতারা। এদিকে জওয়ান ছাড়াও আগামীতে তাকে দেখা যাবেপাঠান ও ডানকিতে।
আরও পড়ুন:দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী অভিনয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এখন বেশি আলোচনায়। সম্প্রতি তার ও ওমর সানীর সংসার ভাঙার সম্ভাবনার খবরে তুমুল আলোচনা ছিল সবখানে।
অভিনেতা জায়েদ খানের কারণে মৌসুমী ও সানীর সংসার ভাঙছে- এমন অভিযোগ লিখিত আকারেও শিল্পী সমিতিতে দিয়েছেন ওমর সানী।
এর পর থেকেই নানাভাবে, নানা আলোচনায় মৌসুমী ও সানী। এসব বিষয় নিয়ে ওমর সানী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও মৌসুমী একটি অডিও বার্তা প্রকাশ ছাড়া কথা বলেননি সাংবাদিকদের সঙ্গে।
সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে এর মধ্যে মৌসুমীকে দেখা গেছে, বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেতে। সেসব পোস্ট তিনি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে।
শুক্রবার রাতে তিনি আরেকটি পোস্ট করেছেন। সেখানে মৌসুমী দাবি করেছেন তার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এ অভিনেত্রী।
মৌসুমী লিখেছেন, ‘আমার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। আর সাংবাদিক ভাইরা ফেক সব আইডি থেকে কী উদ্ভট পোস্ট করছেন, আর তাই দিয়ে নিউজ করে সবাইকে বিভ্রান্ত করছেন।’
ওসব আইডি বর্জন করার অনুরোধ করে মৌসুমী লেখেন, ‘এসব ঠিক না। আমি কোথায় কিছু পোস্ট করিনি। তাই আপনারা ওই সব আইডি বর্জন করুন প্লিজ… আমি কৃতজ্ঞ থাকব।’
ফেসবুকের মৌসুমীর ছবি ও নাম দিয়ে অসংখ্য আইডি ও পেজ রয়েছে। যার মধ্যে ‘আরিফা পারভিন জামান মৌসুমী’ নামের দুটি পেজে রয়েছে ৭৪ হাজার ও ৫৫ হাজার অনুসারী।
ওমর সানী-জায়েদ খানের সমস্যা একসময় রূপ নেয় মৌসুমী-ওমর সানীর সমস্যায়। তার পর থেকে মৌসুমীর যেসব স্ট্যাটাস সংবাদমাধ্যমগুলোতে দেখা গেছে তার সবই নেয়া হয়েছে অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে।
জুন ১২ তে মৌসুমী লিখেছিলেন, ‘কঠিন বাস্তবতা অতিক্রম করা মানে হলো স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেয়া, তুমি তাই করেছ।’
জুনের ১৭ তে লিখেছেন, ‘খুব ট্রাই (চেষ্টা) করছি শক্ত থাকতে, অভিমানী মন বড় দুর্বল। নিজের দুর্বলতা অন্য কারো ওপর চাপিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারে না। কষ্ট আমি নিলাম সুখ তোমাকে দিলাম।’
জুনের ২৩ এ লিখেছেন, ‘লুকিয়ে থাকতে চাইলেই লুকিয়ে থাকা যায়… সামনে যেটা থাকে সেটা শরীর, আমি এখন শামুকের মতো হয়ে গেছি, আড়াল করে নিজকে নিয়ে আছি, এটাই স্বস্তি। যখন দিনের আলো দেখার সুজোগ হয়, নিজেকে বেমানান লাগে।’
আরও পড়ুন:বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। সেগুলো শেষ না করেই বড় আয়োজনের সিনেমা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি থেকে মোনা, অনুপাপ, পাপ, বারুদ, খোঁজ, রাস্তা নামের কয়েকটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা ও কাজের কথা বললেও তার অধিকাংশই শেষ হয়নি এখনও।
এর মধ্যেই জানা গেছে অগ্নি সিরিজের অগ্নি-৩ সিনেমাটি নির্মাণ করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আব্দুল আজিজ নিউজবাংলাকে জানান, এমআর-নাইন সিনেমাটির কাজ শেষ হয়েছে, এখন তারা অগ্নি ৩ সিনেমাটির কাজ শুরু করতে চায় এবং দেশের বাইরের শিল্পী-কলাকুশলীকে দিয়ে সিনেমাটির করতে চান তারা।
প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে শুরু হবে শুটিং। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নির্মিত হবে অগ্নি-৩।
আব্দুল আজিজের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল আগের ঘোষণা দেয়া বেশ কিছু কাজের অনেকগুলোই এখনও শুরুই হয়নি।
মোনা নামের সিনেমাটির কাজ শেষ হয়েছে; ডাবিং, এডিটিংও শেষ। অনুপাপ সিনেমার কাজ এখনও শুরু হয়নি। পাপ সিনেমাটির শুটিং শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা বলে জানান আব্দুল আজিজ।
আজিজ আরও জানান, বারুদ সিনেমাটি শুরু করা যাচ্ছে না, কারণ পরিচালক সৈকত নাসির অন্য সিনেমার কাজে ব্যস্ত। সেগুলো শেষ হলে তিনি বারুদ সিনেমার কাজ ধরবেন। খোঁজ সিনেমাটি সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা। এটি পরিচালনা করবেন সিদ্দিক আহমেদ।
আর রাস্তা সিনেমার কাজও এখনও শুরু হয়নি, আরও কিছু কাজ বাকি আছে; বিষয়টি পরিচালক রায়হান রাফি ভালো জানেন বলে জানান আজিজ।
এই কাজগুলোর একটিও এখনও দেখল না আলোর মুখ, তবু কেন বড় আয়োজনের সিনেমার ঘোষণা দিল জাজ- জানতে চাইলে আজিজ বলেন, ‘এগুলো সবই পরিকল্পনার অংশ। সব ঠিক করা আছে, সময়মতো সব হয়ে যাবে। তা ছাড়া কাজ তো করে যেতে হবে। বড় কাজে বড় পরিকল্পনা করতে হয়, অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করতে হয়।’
আগে ঘোষণা দেয়া সিনেমাগুলোর কোনটি কবে মুক্তি পেতে পারে তারও কোনো সময় নির্ধারণ করতে পারেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন:কেন বিয়ে করেননি সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন; এমন প্রশ্ন হয়তো তার লাখো ভক্তের মনে। এবার সেই প্রশ্নের-ই উত্তর দিলেন তিনি।
এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইক ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলের দ্য আইকনস অনুষ্ঠানে টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে কথোপকথনে সুস্মিতা অকপটে জানান, কেন তিনি বিয়ে করেননি এবং এর কারণ সম্পর্কে।
সুস্মিতা বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমি আমার জীবনে খুব আকর্ষণীয় কিছু পুরুষের সঙ্গে দেখা করেছি, আমি কখনই বিয়ে করিনি একমাত্র কারণ তারা হতাশ ছিল। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার বাচ্চারা কখনই সমীকরণে ছিল না। তারা এই ব্যাপারে উদার ছিল।
‘আমার দুই বাচ্চাই আমার জীবনের মানুষকে সাদরে গ্রহণ করেছে, কখনও অপছন্দ করেনি। তারা সবাইকে সমান ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছে। এটা আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য।’
অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, ‘আমি তিনবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তিনবারই ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। তাদের নিজ নিজ জীবনে কী কী বিপর্যয় এসেছিল তা আমি বলতে পারব না। ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন, কারণ ঈশ্বর এই দুটি বাচ্চাকে রক্ষা করছেন। আমাকে একটি অগোছালো সম্পর্কে জড়াতে দেননি।’
গত বছর সুস্মিতা ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে বয়ফ্রেন্ড রেহমানের সঙ্গে ব্রেকআপের ঘোষণা করেন।
সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা বন্ধু হিসেবে শুরু করেছি, আমরা বন্ধু রয়েছি! সম্পর্কটি অনেক দিন শেষ হয়ে গেছে... ভালোবাসা রয়ে গেছে।’
সিঙ্গেল মাদার সুস্মিতার দুই মেয়ে আলিসা ও রেনে। তিনি ২০০০ সালে রেনেকে এবং ২০১০ সালে আলিসাকে দত্তক নেন।
সুস্মিতা ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জয় করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে দস্তক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। শেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ আরিয়া টুতে।
আরও পড়ুন:মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোর জীবন ও কর্মের নতুন ব্যাখ্যা এবং সম্পূর্ণ নতুন আলোয় তার সৃষ্টিকর্মকে আবিষ্কার ও উপস্থাপন করতে যাচ্ছে সৌধ সোসাইটি অফ পোয়েট্রি অ্যান্ড ইন্ডিয়ান মিউজিক।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান আর্ট ভেন্যু যুক্তরাজ্যের রয়্যাল আলবার্ট হলের এলগার রুমে এ ভিন্নমাত্রার পরিবেশনা মঞ্চায়ন হবে ১৩ জুলাই, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
ব্রিটেনে দক্ষিণ এশীয় শিল্প, সাহিত্য ও সংগীত নিয়ে কাজ করে আসছে সৌধ। সংগঠনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
কবি টি এম আহমেদ কায়সারের পরিচালনায় এই বিশেষ আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যোগ দেবেন হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয়ধারার জনপ্রিয় ভায়োলিন বাদক বিদুষী কালা রামনাথ। তবলা সংগত করবেন পণ্ডিত সাঞ্জু সাহাই। পুরো পরিবেশনা শেষ হবে বাংলাদেশের রাধারমন দত্ত রচিত ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’ গানের মধ্য দিয়ে। গানটি গাইবেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী শাপলা সালিক।
ফ্রিদার চিত্রকর্ম ও সংগীতের মধ্যকার অন্তর্নিহিত অন্বয়, পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া নিয়ে রচিত পাণ্ডুলিপি থেকে পাঠ করবেন কবি ও গদ্যশিল্পী শ্রী গাঙ্গুলি। ফ্রিদা কাহলোর নির্বাচিত চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শিতব্য ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাণ করেছেন তরুণ চলচ্চিত্রকার মকবুল চৌধুরি। নেপথ্য ব্যবস্থাপনায় থাকছেন কবি শামীম শাহান।
রয়্যাল আলবার্ট হলে কোনো সাউথ এশিয়ান শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শিল্প-সমবায়ী উদ্যোগের ঘটনা ‘একেবারেই বিরল এবং বিপুল সম্মানের’ বলে জানান সৌধ-এর পরিচালক টি এম আহমেদ কায়সার।
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবার ঈদের জন্য নির্মাণ করেছে তারকাবহুল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘তারার মেলা’। যেখানে অংশ নিয়েছেন দেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকারা।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন মামনুন ইমন ও কুসুম শিকদার। নাচ-গান, অভিনয়, ফান, গেম শো ও আড্ডায় সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান।
আয়োজনে দর্শকরা দেখতে পাবেন নিপুণ, ওমর সানী, ডিপজল, শবনম বুবলী, তানজিন তিশা, ইমরান, কনা ও নিশিতা বড়ুয়ার পরিবেশনা।
ইভান শাহরিয়ারের কোরিওগ্রাফিতে তিনটি গানের কোলাজে নাচবেন শবনম বুবলী ও তানজিন তিশা। নিজেদের জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনাবেন ইমরান, কনা ও নিশিতা বড়ুয়া।
‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে’ গানটির সঙ্গে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা যাবে চিত্রনায়িকা নিপুণকে। গেম শোর পাশাপাশি বিশেষ পর্বে অংশ নেবেন ওমর সানী ও ডিপজল। থাকছে আরও আকর্ষণ।
‘তারার মেলা’ প্রযোজনা করেছেন নূর আনোয়ার রনজু। তিনি জানান, ‘সময়ের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকাকে নিয়ে আমরা দর্শকদের একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছি । আশা করছি ঈদের এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হবে।’
তারার মেলা প্রচার হবে ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য