দেশের সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসানকে সম্প্রতি দেখা গেছে মাল্টি-কালচারাল গায়িকা ও গীতিকার লেইলা পারির সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামের একাধিক ভিডিও পোস্টে তাদের গান গাইতে শোনা গেছে।
এ বিষয়টি জানতে তাহসানকে ফোন এবং ইনস্টাগ্রাম ম্যাসেজ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইনস্টাগ্রামে একদিন আগে পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে তাহসান ও লেইলার পেজে। যার ভিডিও ক্যাপশনে লেইলা পারি লিখেছেন, “আমার মধ্যের সেরাটা বের করে আনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ তাহসান খান। ‘আমি তোমাকে চিরকাল ভালোবাসব না’ শিগগিরই মুক্তি পাবে, এটি শুনতে আমাকে স্পটিফাইতে অনুসরণ করুন।’
একই ভিডিও শেয়ার করে তাহসান লিখেছেন, ‘সেরাটা নিশ্চিত হওয়া বাকি! আমাদের গানগুলো আরও বড় এবং ভালো হতে চলেছে। আমরা কেবল ওয়ার্ম-আপ করছি, তাই না?’
তাহসানের ইনস্টা পেজে ১৯ মে দুটি ভিডিও পাওয়া গেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তাহসান ও লেইলা নিউ ইওর্কের সেন্ট্রাল পার্কে ক্যামেরার সামনে এবং তারা গানের সঙ্গে ঠোট মেলাচ্ছেন।
শুধু এগুলোই নয়, এক সপ্তাহ আগে তাহসানের ইনস্টা পেজে পোস্ট করা লেইলার টিকটক ভিডিওর ওপরে লেখা আছে, ‘আমার আসন্ন দুটি মিউজিক ভিডওর দৃশ্যধারণ করলাম সেন্ট্রাল পার্কে।’ ভিডিওটির শেষ অংশে দেখা যায় তাহসানকেও।
লেইলা পারি একজন আমেরিকান স্বাধীন সংগীতশিল্পী। স্পটিফাইতে তার মিলিয়নেরও বেশি শ্রোতা রয়েছে।
গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করা বিমানের এয়ার হোস্টেস চক্র মাদক সরবরাহ করে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘এই চক্রের একজন নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। সে তাকে মাদক সাপ্লাই দেয়। এমনকি তাদের এই সকল বিষয় নিয়ে আমি কথা বলায় আমাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হতো, তবে আমি নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।’
রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সালসাবিল।
প্রতারণার মামলায় নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী সালসাবিলকে মিন্টো রোডে ডাকে পুলিশ। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নোবেলের স্ত্রী।
নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে সালসাবিল বলেন, ‘নোবেল মাদক সেবন করে বাসায় এসে আমাকে নির্যাতন করত। একদিন ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকি। তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
‘নোবেল সেই পুলিশ সদস্যদের সামনে স্বীকার করেছে মাদক সেবনের কারণে আমাকে মারধর করে। এরপর আমি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’
তিনি বলেন, ‘তার (নোবেল) ও আমার পরিবার আমাদের বিষয়টা নিয়ে বসে। তখন সে প্রতিশ্রুতি দেয়, সে এইসব থেকে ফিরবে। তার আশেপাশের মহল, যাদের প্ররোচনায় পড়ে মাদক পাচ্ছে, ওইটার ভেতর থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারে নাই, যার কারণে আজকের এই অবস্থা। আজ ডিবি পুলিশ থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি তাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি।’
নোবেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কী বলল ডিবি
নোবেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবির কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নোবেল একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হাই স্কুলে সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গান গাওয়ার চুক্তি করে। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেয়।
‘নিজেও যাওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, কিন্তু অনুষ্ঠানে সেখানে যায়নি। টাকা চাওয়ার পরে তাও ফেরত দেয়নি। এই ঘটনার পরে মামলা হয়, কিন্তু সে মামলার পরেও পুলিশের কাছে আসে না কিংবা আদালতেও আত্মসমর্পণ করেনি।’
এ ছাড়া নোবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ অনুষ্ঠানে গিয়ে ভাঙচুর, মাতলামি করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ডিবির প্রধান।
তিনি বলেন, ‘তার এই সকল অপকর্মের বিষয়ে আমরা নোবেলকে একাধিকবার বুঝিয়েছি, কিন্তু সে নিয়মিত মাদক সেবন করছে। স্ত্রীকে মারধর করছে। ‘মাদকাসক্ত থাকার কারণে আমরা সে কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা দিয়েও যেতে পারে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন আরও বলেন, ‘আমরা নোবেলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব। সে কোথা থেকে মাদক পায়, কারা সাপ্লাই দেয়, এটা খুঁজে বের করব। তার এই সকল কার্যক্রমের কারণে তার বাবা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে।
‘উত্তরবঙ্গের একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে মাতলামি করেছে, মঞ্চ ভাঙচুর করেছে, স্ত্রীকে মারধর করেছে। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন:প্রতারণার মামলায় গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নোবেলের নামে একটা প্রতারণার মামলা হয়েছে। একটা অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন, কিন্তু যান নাই, যার ফলে তারা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সেই জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন তথ্য আছে, তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নেয়, কিন্তু যায় না। এমন অনেক অভিযোগ।’
এর আগে ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গায়কের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, একাধিক অভিযোগের বিষয়ে নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিজেকে ‘নোবেল ম্যান’ হিসেবে পরিচয় করানো নোবেল ব্যক্তিগত নানা আচরণের কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হন। সম্প্রতি কুড়িগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন তিনি।
কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোবেলের আচরণে বিরক্ত হয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন শিল্পীর দিকে।
ওই ঘটনাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন:কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল।
এতে বিরক্ত হয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন শিল্পীর দিকে।
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, র্যাফেল ড্র এবং শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে রাত ১১টার দিকে মঞ্চে ওঠেন গায়ক নোবেল।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে গায়ক নোবেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাত ৯টার দিকে তার গান গাওয়ার কথা থাকলেও তিনি মঞ্চে ওঠেন ১১টা ২০ মিনিটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে উঠে নোবেল তার চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রেখে বলেন, ‘দ্বিতীয়বার কুড়িগ্রাম আসলাম। এর আগে এসেছিলাম। তোমাদের সাথে দেখা হয়নি। সুদূর ইন্ডিয়ার বর্ডার লাইনে থেকে গেছিলাম। তোমাদের কারও সাথে দেখা হয়নি। এবার দেখা হলো, আলহামদুলিল্লাহ।’
একটু পর ‘এই আমার চশমাটা কই’ বলে চিৎকার করেন। পরে চশমা পেয়ে চোখে পরে ‘সে যে আমার জন্মভূমি’ গান পরিবেশন করেন।
পরে মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড আছড়ে ভেঙে ফেলেন নোবেল। এরপর তিনি মঞ্চে দুই পা তুলে লাথি মেরে পরনের প্যান্ট দুই হাত দিয়ে ঠিক করে গান ধরেন ‘কারার ওই লৌহ কপাট’। গানের একপর্যায়ে টলতে টলতে বসে পড়েন শিল্পী। সে সময় ক্ষেপে গিয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল দিয়ে ঢিল ছুড়ে মারেন নোবেলের দিকে। পরে স্টেজে থাকা কয়েকজন এবং আয়োজকরা নোবেলকে সরিয়ে নিয়ে যান।
এমন দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
এদিকে অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার বিষয়ে শিল্পী ও আয়োজকদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পূর্তি অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু, সদস্য সচিব ও জসিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলীসহ অনেকে।
গত কয়েক বছর ধরেই ঈদ উপহার হিসেবে ভক্তদের জন্য গান গাইছেন এটিএন বাংলা চ্যানেলের কর্ণধার মাহফুজুর রহমান। এবারও যথারীতি গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এটিএন বাংলার ভেরিফায়েড পেজে বুধবার এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। পোস্ট করা হয়েছে তার নতুন গানের ইউটিউব লিংকও।
আসন্ন ঈদুল ফিতরে এই শিল্পীর গানের অনুষ্ঠান প্রচার করবে টেলিভিশনটি। তার গানের খবর পেয়ে আগের প্রতি বারের মতোই ফেসবুকে আলোচনা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে।
এবারের ঈদে প্রচার হবে মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান ‘হৃদয় তোমাকেই চায়’। এতে গজল সম্রাট ও পাকিস্তানের গজল গায়ক মেহেদী হাসানের প্যায়ার ভারে দো শার্মিলে ন্যান, রাফতা রাফতাও গাইবেন তিনি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যালবামের গানগুলোর সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ। এটিএন বাংলার স্টুডিওতেই গানগুলোর চিত্রায়ণ সম্পন্ন হয়।
২০১৬ সালে মাহফুজুর রহমানের প্রথম গানের অনুষ্ঠান প্রচার হয় এটিএন বাংলায়। ‘হৃদয় ছুঁয়ে যায়’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠান নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এর পর ২০১৭ সালের ঈদুল ফিতরে আসে ‘প্রিয়ারে’ এবং একই বছর ‘স্মৃতির আলপনা আঁকি’ গানের অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হন তিনি।
২০১৮ সালে হিন্দি গান গেয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান। ওই বছরের ২৪ জুলাই সাবেক স্ত্রী ইভা রহমানের জন্মদিন এ উপলক্ষে একটি হিন্দি গানে ইভার সঙ্গে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দেন তিনি।
ঈদের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নতুন বিনোদন যোগ করে শিল্পী মাহফুজুর রহমানের গান। অনেকেই তার গানের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে থাকেন। তার কণ্ঠ ও গানের সময় পরা পোশাক নিয়ে সমালোচনাও হয়।
অবশ্য এসবের কিছুই গায়ে মাখেন না মাহফুজুর রহমান। বরং ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করেন বলে একাধিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় মৌসুমের ‘নাহুবো’ গানে কোনো খারাপ বা বাজে কথা নেই, যাতে হাজং সম্প্রদায় লজ্জিত হবে।
গানটি প্রকাশ হওয়ার পর যারা এর ভাষা ও কথা নিয়ে সমালোচনা করছেন তাদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন গানের হাজং ভাষার অংশের লেখক অনিমেষ রায়।
হাজং সম্প্রদায়ের অনিমেশ এই গানের শিল্পীও। তার সঙ্গে গানটি লেখায় অংশ নেন শিল্পী সোহানা রহমান। ‘নাসেক নাসেক’ গান দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া অনিমেষ নতুন গানের মাধ্যমে নিজের জাতিগোষ্ঠী হাজংয়ের সংস্কৃতি তুলে এনেছেন।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানি ভাষাগত কারণে আপনাদের অনেকেরই খুব কষ্ট হচ্ছে এটাকে সহজে বুঝতে। সেটার জন্য আমি দুঃখিত। তবে এটুকু বলতে পারি যে, আমি কোনো বাজে কথা বা খারাপ কথায় এই গানটি রচনা করিনি, যার জন্য আমার হাজং সম্প্রদায় লজ্জিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমার ভাষা নিয়ে কেউ বাজে কথা বলবেন না। আমি এতোটা বাজে রুচির মানুষ নই । গান ভালো না লাগতেই পারে। কারণ গানটা আমি আমার ভাবনা, দর্শন,আর আমার রুচিবোধ থেকে লিখেছি এবং গেয়েছি। সেদিক থেকে সবার ভালো না লাগতেই পারে। আর এটাই স্বাভাবিক।
‘তবে, এখানে আমার জাতিসত্তার প্রতি যদি কোনো বাজে প্রভাব পরে, তাহলে আমি এর জন্যে দোষী হয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আমাকে এতো বড়ো দোষ দিবেন না। তাহলে হয়তো আর কেউ চেষ্টা করবে না- এটা প্রমাণ করতে যে, বাঙালি সংস্কৃতি কতোটা বৈচিত্র্যময় ।’
অনিমেষ লিখেছেন, ‘আমিও বাঙালি, বাংলাদেশি। কিন্তু যন্ত্রণাটা হলো আমার জন্মগত, বংশগত, সম্প্রদায়গত একটা ভাষা আছে সেটা হলো হাজং ভাষা। জন্মের পর থেকে এই ভাষায় কথা বলা শিখেছি।
‘কিন্তু কিছুটা বড় হওয়ার পর বুঝলাম যে আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। শুরু করলাম আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা শেখা বাংলা। সেই তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার কন্ঠ থেকে যতগুলো শব্দ এ সমাজের মানুষের কাছে পৌঁছেছে তার সিংহভাগ বাংলা।’
তিনি লিখেছেন, ‘ইদানিং তো আমার মনে হয় আমি একটা কথাও হাজং ভাষায় বলি না। সব বাংলায়। আর এটাই স্বাভাবিক। এতে আমি বা আমার হাজং ভাষাভাষী জনমানুষের বিন্দু মাত্র দুঃখ,যন্ত্রণা হয়না। কারন আমরা জানি আমরা বাঙালি। আমাদের এখনো হাজং ভাষার কোনো বর্ণমালা নেই
‘তাই খুব করে চেষ্টা করছিলাম যেন এই গানের মাধ্যমে যতটুকু পারি আমার এই ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে। এটার জন্যে আমরা অনেকদিন ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিচ্ছি। সৌভাগ্যক্রমে কোক স্টুডিও আমাদের হাজং সম্প্রদয়ের (বাঙালির) জন্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে আসলো। আনন্দে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। এই বুঝি একটু সুযোগ পেলাম হাজং ভাষার অস্তিত্বকে একটু জানান দেবার,বাঁচিয়ে রাখবার।’
অনিমেষ লিখেছেন, ‘আমার কোনো কথায় আপানারা কোনোরকম কষ্ট পেলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আরেকটা কথা, বাংলায় এ পর্যন্ত এতো বড়ো একটা জায়গায় মাত্র দুটি হাজং ভাষায় গান হয়েছে। আমি বলছিনা জোর করে ভালো লেগেছে বলতে। শুধু বলছি আমার সৃষ্টিকে ভালো লাগেনি বলতে গিয়ে যেন পুরো বাংলার ঐতিহ্যকে অসম্মান করে বসেন।’
আরও পড়ুন:জীবনের প্রথম চাকরি পেয়েছেন জানিয়ে ভক্তদের কাছে দোয়া চাইলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রোববার এক পোস্টে এই তথ্য দিয়েছেন তিনি।
গায়ক লিখেছেন, ‘মার্চের এক তারিখ থেকেই আমার চাকরি জীবন শুরু হয়েছে। জীবনে প্রথম কোন চাকরিতে যোগদান করলাম। আজ থেকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস শুরু করতে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘চাকরির অফার এবং ধরন-দুটোই আমার পছন্দ হয়েছে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আরো একটি নতুন পালক যুক্ত হলো। আমি বেশ আনন্দ নিয়েই কাজে যোগদান করেছি।’
আসিফ লিখেছেন, ‘এই চাকরির মাধ্যমে দেশের জন্য, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ আমার আছে।’
ভার্সেটিল গ্রুপের ‘হ্যালো সুপারস্টার’ (অ্যাপ)-এর ‘কান্ট্রি হেড’ পদে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।
ভার্সেটিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. কামরুল আহসান আসিফ আকবরকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার প্রিয় ভাই আসিফ আকবরকে ভার্সেটিলে স্বাগত জানাই। আপনাকে পেয়ে আমরা সম্মানিত এবং আনন্দিত।
আরও পড়ুন:
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান আগামী দুই বছরের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন। টানা কয়েক বছর শরণার্থীদের জন্য কাজ করার ধারাবাহিকতায় এবারও তাকে শুভেচ্ছা দূত করা হয়েছে।
সংস্থাটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাহসান খান শরণার্থীদের বিষয়ে জানতে ও জানাতে ইউএনএইচসিআর-এর সঙ্গে কাজ করছেন ২০১৯ সাল থেকে। তিনি প্রতিবছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন এবং আশ্রিতদের চাহিদা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের আশা সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে ইউএনএইচসিআরকে সাহায্য করেছেন।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, ‘তাহসানের সঙ্গে কাজ করা খুবই আনন্দের এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার তার এই সিদ্ধান্তে আমরা কৃতজ্ঞ। তার অনন্য ব্যক্তিত্ব আমাদের সাহায্য করে মানুষকে বোঝাতে যে রোহিঙ্গারাও মানুষ।’
তাহসান খান বলেন, ‘ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হয়ে মানবতার জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করা একটি সম্মানের বিষয়। তাদের সঙ্গে আমার কাজের মাধ্যমে আমি শরণার্থীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং স্থানীয় জনগণ ও শরণার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি আনতে বড় ভূমিকা রাখতে পারব।’
তাহসান বিশ্বব্যাপী ইউএনএইচসিআর-এর ৪০ জন শুভেচ্ছা দূতের একজন; যারা তাদের জনপ্রিয়তা, আত্মত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি কোণে শরণার্থীদের অবস্থা ও ইউএনএইচসিআর-এর কাজকে তুলে ধরতে সাহায্য করেন।
মন্তব্য