ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা সামান্থা রুথ প্রভু ও বিজয় দেবেরাকোন্ডার আসন্ন তেলেগু সিনেমা কুশির শুটিংয়ের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় আহতের খবরটির কোনো সত্যতা নেই।
সিনেমাটির প্রযোজকের বিবৃতির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমন কিছু খবর এসেছে যে কুশি শুটিংয়ের সময় বিজয় ও সামান্থা আহত হয়েছেন। এই খবরের কোনো সত্যতা নেই। কাশ্মীরে ৩০ দিনের শুটিং সফলভাবে শেষ করে পুরো দল গতকাল হায়দরাবাদে ফিরেছে। এই ধরনের খবর বিশ্বাস করবেন না।’
এদিকে এক টুইটে এই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক রমেশ বালা।
Fake news alert :"There are few reports that #VijayDeverakonda and #Samantha were injured while shooting for #Kushi movie.There is no truth in this news.
— Ramesh Bala (@rameshlaus) May 24, 2022
The entire team returned to Hyd yesterday after successfully completing 30 days of shooting in Kashmir.Dont believe such news" pic.twitter.com/rqlkuHmW9H
চলতি মাসের মাঝামাঝিতে প্রকাশ করা হয় সিনেমাটির ফার্স্টলুক। সেটি টুইটারে পোস্ট করে সামান্থা লেখেন, ‘এই ক্রিসমাস-নতুন বছর। আনন্দ, হাসি, সুখ এবং ভালোবাসার বিস্ফোরণ। একটি দুর্দান্ত পারিবারিক অভিজ্ঞতা।’
কুশি সিনেমাটি তেলেগু, তামিল, কন্নড় ও মালয়ালাম ভাষায় ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তিন দিনের বঙ্গ সম্মেলন। ভারতীয় বাঙালিদের সংগঠন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) আয়োজিত উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলনের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক বাংলাদেশিরা এবার অংশ নিয়েছেন।
২ জুলাই থেকে শুরু হওয় তিন দিনব্যাপী বঙ্গ সম্মেলনজুড়েই ছিল বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সরব উপস্থিতি। এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চসংখ্যক বাংলাদেশি অংশ নিয়েছেন।
এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর একটি গীতিনৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ হয়েছে সম্মেলনে। সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকীর গ্রন্থনা ও পরিকল্পনায় এবং অ্যানি ফেরদৌসের নৃত্য নির্দেশনায় ‘জয় বাংলা’ গীতিনৃত্যনাট্য পরিবেশন করেন নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পীরা।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ‘জয় বাংলা’ গীতিনৃত্যনাট্য। ধারাবর্ণনা করেন খাইরুল ইসলাম পাখি ও সাদিয়া খন্দকার।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘অনেক বছর ধরে বঙ্গ সম্মেলনে আসি, কিন্তু এবার যেভাবে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপন করা হয়েছে তা ছিল সত্যি অতুলনীয়। বিদেশের মাটিতে জয় বাংলা গীতিনৃত্যনাট্য দেখে আমি আপ্লুত।’
ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এতে যৌথভাবে সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে রিকশা গার্ল ও রাতজাগা ফুল।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মীর সাব্বির ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন আশনা হাবিব ভাবনা। শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত অনন্য মামুনের সিনেমা রেডিও পেয়েছে বিশেষ জুরি পুরস্কার। এ ছাড়া চিত্রনায়ক ইমনকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সেই বাংলাদেশ থেকে এসেছি, যে বাংলাদেশ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল।’
এর আগে ফিচার ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পৃথক দুটি হলে দুই বাংলার সিনেমা প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের যেসব সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে সেগুলো হলো রিকশা গার্ল, রাতজাগা ফুল, রেডিও, অনন্য মামুন পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জাহানারা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তরুণ নির্মাতা সারোয়ার হাবিব পরিচালিত দি লাস্ট সিন।
শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের নির্মাতা অনন্য মামুন পরিচালিত জাহানারা পেয়েছে বিশেষ পুরস্কার। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করা সাজিয়া হক মিমি পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
বঙ্গ সম্মেলনের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান প্রবীর রায় বলেন, ‘এবার বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ সর্বকালের সেরা। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।’
বঙ্গ সম্মেলনের আহ্বায়ক মিলন আওন বলেন, ‘৪২ বছরের ইতিহাসে এবার বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক উপস্থিতি ছিল। আমরাও মন-প্রাণ ঢেলে বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানিয়েছি। বাংলাদেশিরাও তাদের আন্তরিকতা দিয়ে পুরো বঙ্গ সম্মেলনকে আরও বেশি সার্থক করে তুলেছেন।’
বঙ্গ সম্মেলনের শেষ দিনে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়ম করেন।
তিনি বলেন, ‘বহু বছর ধরে বঙ্গ সম্মেলনে আসি। দুই বাংলার মানুষকে একসঙ্গে দেখে খুব ভালো লাগে। কিন্তু এবার বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ দেখে আমি অভিভূত। তাই নিজের ইচ্ছায় আপনাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সুযোগ চাইলাম।’
বাংলাদেশ পারফর্মিং আর্টস (বিপা)-এর অন্যতম কর্ণধারর অ্যানি ফেরদৌস বলেন, ‘এবারই প্রথম এত বড় আয়োজনে মূল মঞ্চে আমরা বাংলাদেশি শিল্পীদের নিয়ে পারফর্ম করলাম। আমাদের এমন সুযোগ করে দেয়ার জন্য বঙ্গ সম্মেলন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিন দিনের বঙ্গ সম্মেলনে সংগীত পরিবেশন করেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক জুটি সালিম-সোলায়মান, বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, কলতাকার ইমন চক্রবর্তী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন গাঙ্গুলি, পৌষালী ব্যানার্জি, শ্রেয়া গুহঠাকুরতা. তীর্থ ভট্টাচার্য, শালিনী মুখার্জি, ত্রিজয় দে, মেখলা দাসগুপ্ত।
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের আসন্ন ডার্ক কমেডিনির্ভর সিনেমা ডার্লিংস-এর টিজার প্রকাশ পেয়েছে মঙ্গলবার।
গোটা টিজারে একটি ব্যাঙ ও বিচ্ছুর রোমাঞ্চকর এক যাত্রার গল্প বলতে শোনা যায় আলিয়াকে। আর সেই টিজার দেখে প্রশংসায় ভাসালেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান।
ইনস্টাগ্রামে টিজারটি পোস্ট করে শাহরুখ লেখেন, ‘মজার, ডার্ক, অদ্ভুত, ব্যাঙ, বিচ্ছু এবং সর্বোপরি শেফালি শাহ এবং আলিয়া ভাট। নেটফ্লিক্সে ডার্লিংস দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না। ৫ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে।’
পোস্টটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে ভালোবাসার ইমো দিয়েছেন আলিয়া।
মা-মেয়ের সম্পর্ক ও জীবনযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ডার্ক কমেডি ডার্লিংস। এতে আলিয়ার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শেফালি শাহ।
টিজারটি শুরু হয় একটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখছেন আলিয়া; এমন দৃশ্য দিয়ে। তখন ভয়েসওভারের এক গল্প শোনা যায়- নদীর ধারে বিশ্রাম নিচ্ছে একটি ব্যাঙ। কাঁদতে কাঁদতে একটি বিচ্ছু আসে তার কাছে। বিচ্ছু ব্যাঙকে বলে নদী পার করে দিতে, কিন্তু ব্যাঙ বলে- তুই যদি আমাকে কেটে দিস।
তখন বিচ্ছু বলে- আরে তুই পাগল হয়েছিস, আমি যদি তোকে কাটি আমরা দুজনেই ডুবে যাব। এরপর ব্যাঙ বিচ্ছুকে পিঠে বসিয়ে নদী পার হতে শুরু করে। নদীর মাঝখানে পৌঁছাতেই বিচ্ছু ব্যাঙকে কাটে। ব্যাঙ বিচ্ছুকে জিজ্ঞেস করে তুই আমাকে কেন কাটলি। বিচ্ছু বলে কাটা আমার বৈশিষ্ট্য।
আলিয়ার ভয়েসওভারে এমন এক রোমাঞ্চকর গল্পের মধ্যেই দেখা গেল বেশ কয়েকটি দৃশ্য।
এতে দেখা যায় বিজয় ভার্মা ও রোশন ম্যাথুকে। টিজারে আখ্যান অনুসারে আলিয়া ও বিজয় ভার্মা হলেন রূপক ব্যাঙ এবং বিচ্ছু। তবে তাদের ভূমিকা জানা যায়নি।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জসমিত কে রিন। পরিচালক হিসেবে এটিই তার প্রথম সিনেমা।
আর এটি আলিয়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ইটারনাল সানসাইন প্রোডাকশন’-এরও প্রথম সিনেমা। এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে শাহরুখ খানের প্রযোজনা সংস্থা ‘রেড চিলিস’।
আরও পড়ুন:গত ২৪ জুন প্রকাশ পেয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় তারকা রণবীর কাপুরের আসন্ন সিনেমা শমশেরার ট্রেইলার। আর এই সিনেমা দিয়েই প্রথমবারের মতো দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করলেন। বাবা ও ছেলে দুই ভূমিকাতে দেখা যাবে তাকে।
ট্রেইলারেই যে ঝড় তুলেছেন রণবীর তাতে ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
তবে রণবীর প্রশংসায় ভাসালেন শমশেরায় তার সহঅভিনেত্রী বাণী কাপুরকে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) এক প্রতিবেদনে সে কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
রণবীর বলেন, ‘বাণী খুব ভালো একজন অভিনেত্রী। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। এতটাই মনোযোগী যে সব সময় হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শোনেন ও চরিত্রে থাকার চেষ্টা করেন। হালকা কথা বলে আমি অনেকবার তার মনোযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দারুণ বন্ধুত্ব হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা সত্যিই একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেছি। আমি মনে করি শমশেরাতে অসামান্য অভিনয় করেছেন বাণী এবং আমি অপেক্ষায় আছি যে চরিত্রে তার অভিনয় দেখার পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কী হয়। তার চরিত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝার জন্য দর্শকদের সিনেমাটি দেখতে হবে।’
মঙ্গলবার বাণী ইনস্টাগ্রামে রণবীরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দুজনের জমাট রসায়ন মনে ধরেছে ভক্তদের।
ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘বল্লী এবং সোনা।’ সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় ২২ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে শমশেরা।’
রণবীর-বাণী ছাড়াও এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত। আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন করণ মালহোত্রা।
গল্পের প্রেক্ষাপট ১৮৭১ সাল। কাল্পনিক কাজা শহরকে কেন্দ্র করে সিনেমার গল্প। ছোট থেকেই দাসত্বের শৃঙ্খলে বড় হয়েছে শমশেরা। বড় হয়ে স্বাধীন হওয়ার যুদ্ধে নামেন তিনি।
আরও পড়ুন:প্রথমবারের মতো কলকাতার সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। নাম চূড়ান্ত না হওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সায়ন্তন ঘোষাল। সিনেমায় আরও থাকবেন কলকাতার প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, আয়ুষীসহ অনেকে।
সিনেমাটির প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে। সিয়ামকে নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি দেড় বছর ধরে কথা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানান সিয়াম। অবশেষে একটি প্রজেক্টে কাজ করতে সম্মত হলেন তারা।
ঘটনাটি জানিয়ে সিয়াম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার পোড়ামন ২ সিনেমাটা যখন মুক্তি পেয়েছে, তখন থেকেই শ্যামসুন্দর দে আমাকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।’
তার পর থেকেই এ শিল্পী ও প্রযোজকের মধ্যে কথা হতো। তারা চার-পাঁচটা গল্প নিয়ে কথা বলেছেন। শেষমেশ এই গল্পে তারা কাজ করবেন বলে সম্মত হয়েছেন।
সিয়াম বলেন, ‘প্রযোজক আমাকে নিয়ে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা করতে চাননি, তিনি প্রথম থেকেই আমাকে নিয়ে কলকাতার সিনেমায় করতে চেয়েছেন। তাই ওখানে আমি কীভাবে অভিষিক্ত হব, সেটা একটা বিষয় হয়ে ওঠে আমাদের কাছে।
‘আমি এটাও চিন্তা করেছি যে কলকাতার সিনেমা হলেও গল্পটি যেন আমার দেশের দর্শকও রিলেট করতে পারে। আমরা অনেক আলোচনার পর এই গল্পে কাজ করতে সম্মত হয়েছি।’
সিয়াম আরও বলেন, ‘যে চরিত্রে আমি কাজ করছি সেটি কিন্তু মাস খানেক আগে ঠিক হয়েছে। তাই এগুলো নিয়ে আরও অনেক কাজ, মিটিং, কথা বলা, এগিয়ে যাওয়া বাকি।’
যে গল্পটি ঠিক হয়েছে, সেই গল্পে সিয়ামকে চূড়ান্ত করার পর প্রসেনজিৎকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান সিয়াম। তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানতাম না। এখন জেনে ভালো লাগছে।’
গল্পটি নিয়ে ধারণা দিতে গিয়ে সিয়াম জানান, এটিকে ফ্যামিলি ড্রামা বলা যায়। এটা জেনারেশনেরও গল্প। সিয়াম এও জানান, সিনেমার শুটিং হবে লন্ডনে, লোকেশনটাও একটা চরিত্রের মতো এ সিনেমায়। আগস্টে সিনেমার শুটিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন:জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে রোববার রাতে মুকুট তুলে দেয়া হলো নতুন মিস ইন্ডিয়ার মাথায়। তিনি সিনি শেট্টি।
ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বেছে নেয়া হয়েছিল ৩১ জন প্রতিযোগীকে। সবাইকে পেছনে ফেলে মুকুট জিতে নেন ২১ বছরের সিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, কর্নাটকের মেয়ে সিনি শেট্টি অ্যাকাউন্টিং ও ফিন্যান্সে স্নাতক। নাচের তালিম নিয়ে আসছেন মাত্র চার বছর বয়স থেকে। সব ক্ষেত্রেই পরিবারকে পাশে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার-আপ হয়েছেন রাজস্থানের রুবাল শেখাওয়াত। দ্বিতীয় রানার-আপ উত্তরপ্রদেশের শিনাতা চৌহান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানাচ্ছে, প্রতিযোগীদের সবাইকে রাখা হয়েছিল মুম্বাইয়ে। সেখানে তাদের দেয়া হয়েছে নানামুখী প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়েছে প্রতিযোগীদের সঙ্গে।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন নেহা ধুপিয়া, মালাইকা অরোরা, ডিনো মোরিয়া ও মিতালি রাজ।
মিস ইন্ডিয়া থেকে অনেকেই হয়েছেন মিস ওয়ার্ল্ড। অনেকের আবার মিস ওয়ার্ল্ডেই যাত্রা শেষ হয়েছে। সিনি কতদূর যেতে পারেন, তা সময়ই বলে দেবে।
আগামী সপ্তাহে আসছে চ্যাট শো ‘কফি উইথ করণ’-এর নতুন সিজন। শনিবার এই শোর সপ্তম সিজনের ট্রেইলার প্রকাশ করছেন হোস্ট করণ জোহর।
এবারের সিজনে এই শোয়ে আত্মপ্রকাশ করছেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও বিজয় দেবেরাকোন্ডার মতো তারকারা।
ট্রেইলার দেখে মনে হয় বরাবরের মতোই বেশ চমক রয়েছে এই সিজনে। শোনা গেল, সামান্থা করণ জোহরকে ‘অসুখী বিবাহ’-এর জন্য দায়ী করেছেন। আর তা শুনে নিরুত্তর করণ।
সামান্থা বলেছেন, করণ জোহরের ফ্যামিলি ড্রামা কাভি খুশি কাভি গম মানুষের মনে এক ধরনের ধারণা তৈরি করে, কিন্তু বাস্তব জীবন আসলে গ্যাংস্টারনির্ভর সিনেমা কেজিএফ-এর মতো।
ফ্যামিলি ম্যান টুখ্যাত এই অভিনেত্রী করণ জোহরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তুমি অসুখী বিবাহের কারণ। তুমি জীবনকে দেখাও কেথ্রিজির (কাভি খুশি কাভি গম) মতো, আসলে বাস্তবতা হলো কেজিএফ।’
It's edgy? It's spicy? It's playful?
— Karan Johar (@karanjohar) July 2, 2022
It's all of the above - catch a sneak peek into some of the guests making this season the hottest one ever!#HotstarSpecials #KoffeeWithKaran S7 new season starts 7th July only on @DisneyPlusHS @apoorvamehta18 @jahnvio @aneeshabaig @Dharmatic_ pic.twitter.com/sJv9NeZzuf
গত বছরের ২ অক্টোবর নাগা চৈতন্যের সঙ্গে চার বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন সামান্থা। এর আগে অনেক দিন ধরেই তাদের দাম্পত্য কলহ নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে এসব নিয়ে কখনই মুখ খোলেননি তারা।
সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি দুজনে।
গত বছর মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ দ্য ফ্যামিলি ম্যান টু দিয়ে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন সামান্থা।
এদিকে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, আগামীতে বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে হিন্দি আরেকটি প্রজেক্টে কাজ করতে যাচ্ছেন সামান্থা। করোনা মহামারি যদি নতুন করে বাধা তৈরি না করে, তবে এই জুলাই থেকেই শুটিং শুরু হবে।
আরও পড়ুন:তরুণরাই কেবল তার হাসির প্রেমে পড়েছে, এমন বললে কমই বলা হবে। ৮ থেকে ৮০- সবাই পছন্দ করছেন তাকে। যিনি দেখছেন, যেন তাকিয়ে থাকছেন কিছুক্ষণ। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে তার হাসির চর্চা আর মুগ্ধতার কথা; শেয়ার হচ্ছে তার ছবি।
সব মিলিয়ে তরুণ তুর্কি হয়ে যেন মিডিয়া দখল করতে এসেছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তার অবশ্য ‘দখল’ শব্দে আপত্তি।
‘আমি তো মাত্র শুরু করলাম। কোথায় যাব, কেমন হবে, কী করতে চাই, তার কিছুই এখনও জানি না বা ঠিক করা হয়নি।’ বললেন তটিনী।
এ অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা শনিবার সন্ধ্যায়, রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমা হলে। সেখানে ছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির অ্যান্থলজি সিনেমা এই মুহূর্ত-এর প্রিমিয়ার। সিনেমার কল্পনা নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তটিনী।
আয়োজন শুরুর কিছুক্ষণ পর তটিনী ঢোকেন অনুষ্ঠানস্থলে। এসেই যে সবার নজর কেড়ে নিলেন এমন না, তবে তার ডাক পড়ল মূল স্টেজে। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন অভিনেত্রী।
আলাদা করে কথা বলার সুযোগ চাইলে, সুযোগ দিলেন আন্তরিকতার সঙ্গেই। তখন পর্যন্ত নামের অর্থের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন তিনি। ‘তটিনী’ শব্দের অর্থ নদী। কখনও শান্ত, কখনও খরস্রোতা। কথা বলার শেষ অবধি শুধু শান্ত ভাবটাই পাওয়া গেছে। তার ক্ষুরধার স্বভাবের কথা এখনও অপ্রকাশিত!
নদীপারের মানুষ জন্যই কি মেয়ের নাম তটিনী রেখেছিলেন বাবা-মা? না, সে গল্প শোনা হয়নি। তবে অভিনেত্রী যা জানালেন, সেটি এমন, ‘আমি বরিশালের মেয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আমি বরিশালেই ছিলাম। ওখানেই আমার পড়ালেখা। আমার পরিবারের সবাই ওখানেই থাকেন। আমাদের যৌথ পরিবার না, তবে সবাই কাছাকাছি থাকেন। আমার ফ্যামিলির মধ্যে ভালোবাসা অনেক।’
একটি বিশেষ ব্যাপার বললেন তটিনী, সেটি হলো, ‘আমরা প্রায় সবাই পশুপাখির প্রতি সহানুভূতিশীল। আমার নানিভাই খুবই বিড়াল পালতে পছন্দ করতেন। আমিও দেখা গেছে, ছোট থেকে এখন পর্যন্ত আমার সঙ্গে একটা না একটা বিড়াল আছেই।’
‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’ এই মন্ত্রের কথা মনে হতে পারে অনেকের। তবে তটিনী ঈশ্বর পর্যন্ত যাচ্ছেন না, তটিনীর কাছে জীবের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া মানে জীবনের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, সর্বোপরি মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।
আবার বরিশালে ফিরে যাওয়া যাক। সেখানেই বড় হয়ে উঠছিলেন তটিনী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পার হলেন। বিষয় ছিল বিজ্ঞান। লেখাপড়া করতে করতে তার ইচ্ছে হলো চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ার এবং সেই কারণেই তার প্রথম ঢাকায় আসা।
ঢাকায় আসার গল্পটা পরে, আগে জেনে নিই মেডিক্যালে পড়ার ব্যাপারে কী হলো-
‘যারা মেডিক্যালে পড়তে চান, তাদের প্রায় সবারই ইচ্ছে থাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পড়ার, কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিল বরিশাল মেডিক্যালে পড়ার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা আর হয়নি।’
নিজের ইচ্ছের মৃত্যুতে ব্যথিত নন তটিনী বরং, বলা যায় খুশি। কারণ নিজের বর্তমান অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট এ অভিনেত্রী। বলেই ফেললেন, ‘আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন’।
এখন আসি ঢাকায় আসার গল্পে। ঢাকায় তটিনী এসেছিলেন মেডিক্যালের পরীক্ষা দেয়ার জন্য। পড়ুয়া সেই মেয়ের রোগীর সেবা করার স্বপ্ন কোন সময় অভিনয়ে ঠেকেছে বুঝতেই পারেননি তিনি!
‘২০১৯ সালের মার্চের কথা। আমার এক পরিচিতর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের অডিশনে যাই। একদম কৌতূহল থেকেই গিয়েছিলাম এবং কাজটি হয়ে গেল। কখনও ভাবিইনি অভিনয় করব। কাজে আসার পর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’ বলেন তটিনী।
শুরুর দিকে অনেক জড়তা কাজ করত অভিনেত্রীর। এক বছর হয়েছে নাটকে অভিনয় করছেন এবং ধীরে ধীর কাজের চাপ বাড়ছে বলে জানান তটিনী। কাজ আসাটা সমস্যা না, কিন্তু সেখান থেকে পছন্দের কাজটি নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে অভিনেত্রীর জন্য। বিবেচনা বা নির্বাচন করার মতো এতটা অভিজ্ঞতা অভিনেত্রীর না হলেও নিজের কাছে সেটি ভালো লাগছে, সেই কাজে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন তিনি।
কাজ করতে ভালোই লাগছে তটিনীর। আগামীতে আরও ভালো কাজ করার ইচ্ছা অভিনেত্রীর। ধীরে ধীরেই এগোতে চান। আর যাই হোক ঝরে যেতে চান না তিনি।
বললেন, ‘সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সে জন্য অনেকবার ভাবছি। নেতিবাচক জিনিসটা আগে ভাবছি। চেষ্টা করব যেন সব ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়া যায়।’
অভিনয় জগতে এমন একজন অভিনেত্রী এসেছেন, যাকে নিয়ে অনেকেই তাদের মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন, সেই তরুণ কেমন কর্মপরিবেশ পাচ্ছেন জানতে চাইলে তটিনী বলেন, ‘আর্থিকভাবে পরিবেশটা কেমন সেটা নিয়ে এখনই মন্তব্য করার মতো অবস্থায় নেই আমি। আমার ভালোই মনে হয়েছে। তবে যেটা বেশি জরুরি নতুনদের জন্য, সেই সমর্থন আমি পেয়েছি, পাচ্ছি। দুজন মানুষের কথা আমি বিশেষ করে উল্লেখ করতে চাই, সাবরিনা আইরিন আপু ও আশফাকুজ্জামান বিপুল ভাইয়া। এদের হাত ধরেই আমার আসা। আমি অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন, মেজর সাবজেক্ট মার্কেটিং। তৃতীয় বর্ষ শেষ করেছেন মাত্রই। বিদ্যাপীঠ থেকে পাওয়া জ্ঞানও কাজে লাগাতে চান তিনি। চাকরি করতে চান, তবে বিষয়গুলো নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা এখনই নেই তটিনীর।
বাড়ির ছোট মেয়ে তানজিম সাইয়ারা তটিনী। স্বভাবতই আদরের। মা-বাবা, বড় ভাই আর ভাবিকে নিয়ে তার পরিবার। সেই আদর আর দর্শকের ভালোবাসা নিয়ে আপাতত শুধু এগিয়ে যাবার পালা।
ঈদে তটিনীকে দেখা যাবে আফরান নিশোর সঙ্গে বাঁচিবার হলো তার সাধ ও জোভানের বিপরীতে সুহাসিনী নাটকে।
মন্তব্য