জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক সিনেমা মুজিব- দ্য মেকিং অফ আ ন্যাশন-এর ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে। ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ট্রেলারটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
বাঙালির ভীষণ আবেগ-ভালোবাসার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পর্দায় চরিত্রের মাধ্যমে দেখে হতাশ হয়েছেন সিনেমাসংশ্লিষ্ট থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শকরা।
বঙ্গবন্ধু চরিত্রে আরিফিন শুভর কণ্ঠ, ভিএফএক্স, ইতিহাসের সঙ্গে ট্রেলারের দৃশ্য না মেলার মতো অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে দাবি করে হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ।
দেশের বরেণ্য গীতিকার-সুরকার প্রিন্স মাহমুদ স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘শুভর ভয়েস আবার ডাব করেন’ (সংক্ষিপ্ত)। স্ট্যাটাসটি অবশ্য এখন আর নেই তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে।
নির্মাতা গাজী শুভ্র ‘সহমত’ জানিয়েছেন প্রিন্স মাহমুদের বক্তব্যকে।
‘shame…. বনে গেলাম’ লিখেছেন সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
সাংবাদিক, নাট্যকার পলাশ মাহবুব লিখেছেন, ‘Trailer is not satisfactory. (ট্রেলার সন্তোষজনক নয়)’ (সংক্ষিপ্ত)।
সাংবাদিক, নির্মাতা, প্রযোজক জসিম আহমেদ লিখেছেন, ‘১২০ কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করে এই ভিএফএক্স, এই গ্রিন স্ক্রিন লাইটিং? টিচারের কাম দেখে ছাত্রদের লজ্জা লাগতেছে।’
চলচ্চিত্রকার, চলচ্চিত্র সমালোচক বেলায়াত হোসেন মামুন লেখেন, ‘কী দেখলাম এটা! না দেখলেই ভালো হতো…’ (সংক্ষিপ্ত)।
পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান লিখেছেন, ‘আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আজ দিনটা শুরু করেছি... (মুজিব দ্যা ম্যাকিং অব এ নেশন)।’
চলচ্চিত্র পরিচালক রাশিদ পলাশ লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমরা সিনেমা বানাবো আবেগ দিয়ে, কলিজা দিয়ে। আপনারা বানাবেন টাকা দিয়ে, এটায় স্বাভাবিক শ্যাম বেনেগাল শাহেব। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এদেশে সিনেমা হচ্ছে, সামনে আরও হবে, আমরাই বানাবো। সত্যিকারের আবেগ দিয়েই বানাবো। বেঁচে থাকলে দেইখেন।’
সংগীতশিল্পী ফয়সাল রোদ্দী লিখেছেন, ‘মুজিব-দ্য মেকিং অফ এ নেশন-এর ট্রেইলার দেখে হতাশ হয়েছি কিন্তু অবাক হইনি।’ (সংক্ষিপ্ত)
নির্মাতা কৌশিক শংকর দাস লিখেছেন, ‘আচ্ছা পুরো সিনেমাটা রিশুট করা যায় না?? যদিও আমার নিজের কোন প্রত্যাশা ছিল না, তাই হতাশ বা খুশী কোনটাই হইনি। কিন্তু সবার প্রতিক্রিয়া দেখে এটা ছাড়া তো আর কোন উপায় দেখছি না!!’
নির্মাতা বুলবুল বিশ্বাস লিখেছেন, ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা, এই জনতা।’
সাংবাদিক মাহমুদ মানজুর লিখেছেন, ‘ট্রেলারে আশা পূর্ণ হলো না। তবে মুভিতে হবে- সেই বিশ্বাস রাখি।’ (সংক্ষিপ্ত)
মীর শামসুল আলম ট্রেলারের কিছু দৃশ্য ও ইতিহাসের কথা তুলে ধরে লিখেছেন-
“শত কোটি টাকায় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসের বলৎকার। ‘বলৎকার’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত নই।
১) প্রথম দৃশ্যটি ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট দিয়ে ছাত্ররা ‘বাংলার সপক্ষে প্লাকার্ড নিয়ে মিছিলে বের হচ্ছে- পুলিশ মুখোমুখি গুলি করছে।
বাজি ধরে বলতে চাই- ঘটনা এই ধরনের নয়
ক) ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা প্লাকার্ড বহন করেনি।
খ) প্রথম মিছিল বের হবার অন্তত ৪ ঘণ্টা পর গুলি করা হয়েছে- সেটা মিছিলে নয়- রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে থেকে ছাত্র জনতার সমাবেশে- গুলি চালানোর ঘণ্টা তিনেক আগেই মিছিল বন্ধ ছিল।
২) দ্বিতীয় দৃশ্যটি ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের দোতলা বাড়িতে প্রবেশ করছে বালক শেখ কামাল, জামাল ও কিশোরী শেখ হাসিনা।
ইতিহাস বলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর প্লটে দুই কামরার একতলা বাড়িতে শেখ পরিবার প্রবেশ করেন- এরপর বেগম মুজিবের তৎপরতায় তিল তিল করে ধীরে ধীরে বাড়িটি দোতলায় পরিণত হয়।
৩) তৃতীয় ও চতুর্থ দৃশ্যটি ৭ মার্চের ভাষণের।
বঙ্গবন্ধুর সামনে মঞ্চেই ৩৫ এমএম ফিল্ম ক্যামেরা হাতে বয়স্ক চিত্রগ্রাহক?
ভাষণের চারজন চিত্রগ্রাহককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম- একজন আমার আত্মীয়ও- কেউই বয়স্ক ছিলেন না- স্ট্যান্ডসহ ক্যামেরা মঞ্চেও ছিল না।
১৯৭১ সালে কর্ডলেস মাইক্রোফোন? পুরো ছবিতে যে কি দেখবো?”
ট্রেলারটি দেখে ফেসবুকে হতাশা প্রকাশ করেননি এমন দর্শকও আছেন, তবে সংখ্যায় খুবই কম।
অ্যাকটিভিস্ট ওমি রহমান পিয়াল তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যেই দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ নিষিদ্ধ ছিল, রাবার দিয়ে ঘইষা ঘইষা মুছার চেষ্টা হইছে তারে, সেই দেশে তারে নিয়া একটা বায়োপিক হইছে। ট্রেলার দেইখ্যা আমরা কইয়া দিলাম এইডা কিছু হয় নাই। মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিকে সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলো যে, কইলাম তার মেকাপ খারাপ। সোজা বাংলায় শ্যাম বেনেগাল টাকা মাইরা একটা **প্রসব করছেন। রাতারাতি সিনেমাবোদ্ধা বইনা যাওয়া বাঙালী বলতেছে আমারে টেকা দিলে আরো ভালো জিনিস বানায়া দেখাইতাম, খালেদার দুই পদ্মাসেতুর মতো! বাঙালীর এই কনফিডেন্ট প্রলাপ বরাবরই আমারে মুগ্ধ করে। নিজে না পারি অন্যে করলে সেটা খারাপ বলায় আমাদের কখনও সমস্যা হয় নাই…’
(** এর জায়গায় অন্য শব্দ ছিল। যা সম্পাদকীয় মণ্ডলীর নীতিমালা অনুযায়ী প্রকাশযোগ্য নয়)
সাংবাদিক, লেখক অপূর্ণ রুবেল লিখেছেন, ‘যাদের ট্রেলার ভালো লাগে নাই, তারা দয়া করে জ্ঞান না দিয়ে নিজেরা নিজেরা ট্রেলার বানায়া দেখেন। স্বাবলম্বী হোন।’
সাংবাদিক উদিসা ইসলাম লিখেছেন, ‘ট্রেইলার ঠিকাছে। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু অভিনয় করলেও আপ্নেরা এসবই বলতেন। ভাই, শুভ কীভাবে বঙ্গবন্ধু হবে? শুভ বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করেছে। গল্পটা দেখেন, একটা সিনেমা হয়েছে কিনা আলোচনা করেন। হুবহু বঙ্গবন্ধুকে খুঁইজেন না।’
লেখক, সাংবাদিক মুনমুন শারমিন শামস লিখেছেন, ‘ট্রেলার আমার মন্দ লাগে নাই। আরেফিন শুভও যথাসাধ্য ভাল করেছেন বলেই মনে হচ্ছে।’
ফ্রান্সে বিশ্বখ্যাত কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৫তম আসরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভারতীয় প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই বায়োপিকের ট্রেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং যুববিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় ফিরতে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। ইতোমধ্যেই তার বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা এসেছে। সবগুলোই মুক্তি পাবে আগামী বছর।
তবে এই সিনেমাগুলোর মধ্যে বর্তমানে বেশ আলোচনার আছে জওয়ান। সম্প্রতি এই সিনেমার ফার্স্টলুক লুক ও নাম ঘোষণার ভিডিওতে অপ্রত্যাশিত লুকে দেখা যায় কিং খানকে। মুখে-মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা, চারপাশে অস্ত্র সজ্জিত অ্যাকশন মুডে শাহরুখ।
নাম ঘোষণা ও শাহরুখের এমন লুখ দেখার পর থেকেই সিনেমাটি ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই উত্তেজনার পারদ আরেকটু বাড়িয়ে দিল নতুন এক খবর।
শোনা যাচ্ছে জওয়ান-এ ভিলেন হিসেবে এন্ট্রি নিতে পারেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা বিজয় সেতুপতি।
বিশেষ সূত্রের বরার দিয়ে ভারতীয় বিনোদনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল পিঙ্কভিলার এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, জওয়ান-এর নির্মাতারা বিজয় সেতুপতির সঙ্গে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয়ের আলোচনা করছেন, তবে এখনও কিছুই আনুষ্ঠানিক নয়। তিনি এখনও সিনেমাটির জন্য সম্মতি দেননি, তাই মুম্বাইতে তার শুটিংয়ে যোগ দেয়ার বিষয়ে কোনো সত্যতা নেই।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বিক্রম সিনেমার খল চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল প্রশংসায় ভাসছেন বিজয় সেতুপতি।
এদিকে জওয়ান-এ শাহরুখের সঙ্গে রয়েছেন দক্ষিণী সিনেমার নারী সুপারস্টার নয়নতারা। আগামী বছর ২ জুন মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন:বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের আসন্ন ডার্ক কমেডিনির্ভর সিনেমা ডার্লিংস-এর টিজার প্রকাশ পেয়েছে মঙ্গলবার।
গোটা টিজারে একটি ব্যাঙ ও বিচ্ছুর রোমাঞ্চকর এক যাত্রার গল্প বলতে শোনা যায় আলিয়াকে। আর সেই টিজার দেখে প্রশংসায় ভাসালেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান।
ইনস্টাগ্রামে টিজারটি পোস্ট করে শাহরুখ লেখেন, ‘মজার, ডার্ক, অদ্ভুত, ব্যাঙ, বিচ্ছু এবং সর্বোপরি শেফালি শাহ এবং আলিয়া ভাট। নেটফ্লিক্সে ডার্লিংস দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না। ৫ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে।’
পোস্টটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে ভালোবাসার ইমো দিয়েছেন আলিয়া।
মা-মেয়ের সম্পর্ক ও জীবনযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ডার্ক কমেডি ডার্লিংস। এতে আলিয়ার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শেফালি শাহ।
টিজারটি শুরু হয় একটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখছেন আলিয়া; এমন দৃশ্য দিয়ে। তখন ভয়েসওভারের এক গল্প শোনা যায়- নদীর ধারে বিশ্রাম নিচ্ছে একটি ব্যাঙ। কাঁদতে কাঁদতে একটি বিচ্ছু আসে তার কাছে। বিচ্ছু ব্যাঙকে বলে নদী পার করে দিতে, কিন্তু ব্যাঙ বলে- তুই যদি আমাকে কেটে দিস।
তখন বিচ্ছু বলে- আরে তুই পাগল হয়েছিস, আমি যদি তোকে কাটি আমরা দুজনেই ডুবে যাব। এরপর ব্যাঙ বিচ্ছুকে পিঠে বসিয়ে নদী পার হতে শুরু করে। নদীর মাঝখানে পৌঁছাতেই বিচ্ছু ব্যাঙকে কাটে। ব্যাঙ বিচ্ছুকে জিজ্ঞেস করে তুই আমাকে কেন কাটলি। বিচ্ছু বলে কাটা আমার বৈশিষ্ট্য।
আলিয়ার ভয়েসওভারে এমন এক রোমাঞ্চকর গল্পের মধ্যেই দেখা গেল বেশ কয়েকটি দৃশ্য।
এতে দেখা যায় বিজয় ভার্মা ও রোশন ম্যাথুকে। টিজারে আখ্যান অনুসারে আলিয়া ও বিজয় ভার্মা হলেন রূপক ব্যাঙ এবং বিচ্ছু। তবে তাদের ভূমিকা জানা যায়নি।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জসমিত কে রিন। পরিচালক হিসেবে এটিই তার প্রথম সিনেমা।
আর এটি আলিয়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ইটারনাল সানসাইন প্রোডাকশন’-এরও প্রথম সিনেমা। এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে শাহরুখ খানের প্রযোজনা সংস্থা ‘রেড চিলিস’।
আরও পড়ুন:২০১৪ সালে অগ্নি ও ২০১৫ সালে অগ্নি ২ মুক্তি পাওয়ার পর দীর্ঘদিন আর সিনেমাটির সিক্যুয়াল নিয়ে আলোচনা ছিল না। সম্প্রতি সিনেমাটির তৃতীয় কিস্তি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কারণ অগ্নি ৩ নির্মাণ করতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ।
আগের দুই কিস্তিতে অগ্নিকন্যা হয়ে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। তৃতীয় কিস্তিতে কে হবেন অগ্নি, তা এখনও রহস্য। সম্প্রতি মাহিকে নিয়ে আব্দুল আজিজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মাহির বয়স বেড়েছে, নেই বডি ফিটনেস।
বুধবার বিকেলে আব্দুল আজিজ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ প্রসঙ্গে আরও কিছু কথা লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অগ্নি হিসেবে মাহিকে জাজেরও পছন্দ। তাই বেশ কিছু দিন আগে মাহিকে অগ্নি হিসেবে তৈরি হতে বলেছিলাম। হয় নাই। হয়তো বিশ্বাস রাখতে পারে নাই যে জাজ আবার অগ্নি বানাবে।
‘অগ্নির জন্য মাহির বডি ফিটনেস নেই বলতে বুঝাই নাই যে মাহি মোটা। মাহি এখনও ফিট। কিন্তু অগ্নির জন্য বডি ফিটনেস মানে নিজের এক পায়ে দাঁড়িয়ে অন্য পা মাথার ওপর তোলা। আর এই ফিটনেস মাহির নেই। যাকে অগ্নি হিসেবে নেয়া হবে, তাকে অবশ্যই এই ফিটনেস থাকতে হবে, অগ্নি হিসেবে সাইন করার আগেই।’
মাহির বয়স নিয়ে আজিজ লেখেন, ‘আর বয়স হয়েছে মানে নয় যে মাহির অনেক বয়স। আমি বুঝাতে চেয়েছি, মাহি যখন প্রথম অগ্নি করে তার বয়স ছিল ১৮-১৯। আমাদের এমন বয়সের অগ্নি দরকার। যে টিন এজার, কলেজে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে মাহির বয়স ২৬-২৭। হয়তো মাহি জিম করে স্লিম হয়ে হেয়ার স্টাইল চেঞ্জ করে, বয়স কমাতে পারবে। কিন্তু, বডি ফ্লেক্সিবল করতে পারবে না। যেটা অগ্নির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাহি যদি নিজেকে ফিট মনে করে, তবে অডিশন দিতে পারে।’
অগ্নি সিনেমায় অগ্নির ছোট বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পূজা চেরি। এখন তিনি পূর্ণাঙ্গ অভিনেত্রী। তাকে অগ্নি ৩-এ কেন রাখা হবে না, তা জানিয়ে আজিজ লেখেন, ‘আমরা পূজাকে অগ্নি বানানোর জন্য প্রশিক্ষক রেখে তার বডি ফ্লেক্সিবল করিয়েছিলাম। নিয়মিত জিম করত। নিজেকে ফিট রাখত। কিন্তু হঠাৎ করে অন্য কারও বুদ্ধি শুনে নিজের ওজন বাড়িয়ে বডি ফিটনেস নষ্ট করেছে। তাই পূজাকে অগ্নি হিসেবে নেয়া হচ্ছে না।’
ব্যক্তিগতভাবে পূজার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আজিজ লেখেন, ‘১০০টা পোড়ামন-২ বা দহন (অন্য কোনো সিনেমা ধারের কাছেও নেই) তাকে ১০০ বছর বাঁচিয়ে রাখবে না, যা একটি অগ্নি দিয়ে সম্ভব। আর হলিউড থেকে অগ্নির সিক্যুয়াল হবে। তাই যে অগ্নি করবে, সে হয়ে যাবে সারা বিশ্বের স্টার। আর দুঃখটা এখানেই।
অজিজ জানান, অগ্নি ৩ হবে সম্পূর্ণ নতুন গল্পে। অগ্নি ১ ও ২-এর সঙ্গে এ গল্পের কোনো মিল নেই। সিনেমাটি হবে হলিউড থেকে। অগ্নি সিনেমাটি তৈরি হবে সারা বিশ্বের দর্শকের জন্য, তাই সিনেমাটি হবে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায়।
আজিজ লেখেন, ‘বাংলাদেশের বাইরের দর্শক তো অগ্নি ১ ও ২-এর গল্প জানে না। তাই তাদের সম্পূর্ণ একটি নতুন গল্প দিতে হবে। সেখান থেকেই শুরু হবে অগ্নির নতুন ফ্রাঞ্চাইজি।’
আরও পড়ুন:প্রকাশ পেল এবারের ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া আলোচিত সিনেমা পরাণ-এর ট্রেইলার। সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা লাইভ টেকের ইউটিউব চ্যানেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর মুক্তি দেয়া হয় ট্রেইলারটি।
এদিকে ট্রেইলার প্রকাশের পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেনপরাণ-এর তিন অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিম, শরীফুল রাজ ও ইয়াশ রোহান।
ইউটিউবে ট্রেইলারের মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘প্রথমবার কোনো বাংলা মুভির ট্রেইলার এত ভালো লাগল।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘দারুণ হবে। ইয়াশ, মিম, শরিফুল তিনজনই আমার পছন্দের। তবে, শরিফুল রাজ ছক্কা হাঁকাবে, এটা শতভাগ নিশ্চিত।’
একজন মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘কিছু বলার নেই, এই সিনেমার পরিচালক যখন রায়হান রাফি তখন আর কী লাগে। মিম-রাজের অভিনয় সেই লেভেলের হয়েছে। ট্রেইলার জাস্ট ওয়াউ।’
‘বিদ্যা সিনহা মিম মানে আগুন।' ‘শরিফুল ভাইকে মিমের সঙ্গে অনেক ভালো মানিয়েছে। এক কথায় পুরাই আগুন।’ ‘এই ঈদের সবচেয়ে বড় ধামাকা’; এমন নানা প্রশংসায় ভরে উঠেছে মন্তব্যের ঘর।
২০২০ সালে টিজার প্রকাশের পর সে সময় বেশ আলোচনায় আসে সিনেমাটি। ওই বছর ভালোবাসা দিবসে প্রথম মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনাসহ নানা কারণে একাধিকবার তা পেছানো হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এবার ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে আসছে পরাণ।
কদিন আগে প্রকাশ পায় ‘চল নিরালায়’ শিরোনামে সিনেমাটির একটি গান। এরপর আবারও বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের আলোচনায় আসে রায়হান রাফি পরিচালিত সিনেমাটি।
এদিকে ট্রেইলার প্রকাশের পর আরও জোর কদমে পরাণ-এর প্রচারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিনেমাটির টিম। এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী মিম।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের প্রচার তো চলছেই। সেই সঙ্গে আউটডোরে প্রচারের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া ঈদের দিন আমরা ময়মনসিংহ যাচ্ছি দর্শকদের সঙ্গে পরাণ দেখতে।’
কতটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখনই সঠিক বলতে পারব না, তবে প্রযোজনা সংস্থা দু-এক দিনের মধ্যেই হয়তো আমাদের জানাবে। তখন সেটি জানিয়ে দেব আমরা।’
আরও পড়ুন:গত ২৪ জুন প্রকাশ পেয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় তারকা রণবীর কাপুরের আসন্ন সিনেমা শমশেরার ট্রেইলার। আর এই সিনেমা দিয়েই প্রথমবারের মতো দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করলেন। বাবা ও ছেলে দুই ভূমিকাতে দেখা যাবে তাকে।
ট্রেইলারেই যে ঝড় তুলেছেন রণবীর তাতে ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
তবে রণবীর প্রশংসায় ভাসালেন শমশেরায় তার সহঅভিনেত্রী বাণী কাপুরকে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) এক প্রতিবেদনে সে কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
রণবীর বলেন, ‘বাণী খুব ভালো একজন অভিনেত্রী। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। এতটাই মনোযোগী যে সব সময় হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শোনেন ও চরিত্রে থাকার চেষ্টা করেন। হালকা কথা বলে আমি অনেকবার তার মনোযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দারুণ বন্ধুত্ব হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা সত্যিই একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেছি। আমি মনে করি শমশেরাতে অসামান্য অভিনয় করেছেন বাণী এবং আমি অপেক্ষায় আছি যে চরিত্রে তার অভিনয় দেখার পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কী হয়। তার চরিত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝার জন্য দর্শকদের সিনেমাটি দেখতে হবে।’
মঙ্গলবার বাণী ইনস্টাগ্রামে রণবীরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দুজনের জমাট রসায়ন মনে ধরেছে ভক্তদের।
ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘বল্লী এবং সোনা।’ সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় ২২ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে শমশেরা।’
রণবীর-বাণী ছাড়াও এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত। আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন করণ মালহোত্রা।
গল্পের প্রেক্ষাপট ১৮৭১ সাল। কাল্পনিক কাজা শহরকে কেন্দ্র করে সিনেমার গল্প। ছোট থেকেই দাসত্বের শৃঙ্খলে বড় হয়েছে শমশেরা। বড় হয়ে স্বাধীন হওয়ার যুদ্ধে নামেন তিনি।
আরও পড়ুন:ঈদের সময় নুসরাত ফারিয়ার থাকার কথা ছিল লন্ডনে; বিবাহ অভিযান ২ সিনেমার শুটিংয়ে। কিন্তু অজানা কারণে সিনেমাটির শুটিং বন্ধ হয়ে যায়।
তারপর ধারণা করা হয়েছিল, নুসরাত ফারিয়া হয়তো দেশেই থাকবেন বা অবসর সময় কাটাবেন। কিন্তু না, শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় গিয়েছেন অভিনেত্রী। তাও আবার সিনেমার কাজে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নুসরাত ফারিয়া দাঁড়িয়েছেন ক্যামেরার সামনে। এতে তার সহশিল্পী অঙ্কুশ হাজরা।
কলকাতার ভয় সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন অভিনেত্রী। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাজা চন্দ। প্রযোজনায় ইকো এন্টারটেনমেন্ট। সিনেমার প্রযোজক সন্দীপ জয়সওয়াল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছিল। তার কিছু পরেই শুরু হয় করোনা। সবকিছু থেমে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কাজ আবার শুরু হয়েছে।
বারুইপুরের রেলস্টেশনের কাছে কেষ্ট মণ্ডলের বাড়িতে শুটিং চলছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সিনেমায় অঙ্কুশ সাঁতারের প্রশিক্ষক। তার ছোট বোন অটিস্টিক। মা ক্যানসারে আক্রান্ত। বোন যে স্কুলে পড়ে, সেই স্কুলের শিক্ষিকা নুসরাত ফারিয়া। মা-বোনকে নিয়ে যখন অঙ্কুশ বিপর্যস্ত।
আরও পড়ুন:প্রকাশ পেল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের আসন্ন ডার্ক কমেডিনির্ভর সিনেমা ডার্লিংস-এর টিজার।
গোটা টিজারে একটি ব্যাঙ ও বিচ্ছুর রোমাঞ্চকর এক যাত্রার গল্প বলতে শোনা গেল আলিয়াকে।
টিজারটি শুরু হয় একটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখছেন আলিয়া; এমন দৃশ্য দিয়ে। তখন ভয়েসওভারের এক গল্প শোনা যায়- নদীর ধারে বিশ্রাম নিচ্ছে একটি ব্যাঙ। কাঁদতে কাঁদতে একটি বিচ্ছু আসে তার কাছে। বিচ্ছু ব্যাঙকে বলে নদী পার করে দিতে, কিন্তু ব্যাঙ বলে- তুই যদি আমাকে কেটে দিস।
তখন বিচ্ছু বলে- আরে তুই পাগল হয়েছিস, আমি যদি তোকে কাটি আমরা দুজনেই ডুবে যাব। এরপর ব্যাঙ বিচ্ছুকে পিঠে বসিয়ে নদী পার হতে শুরু করে। নদীর মাঝখানে পৌঁছাতেই বিচ্ছু ব্যাঙকে কাটে। ব্যাঙ বিচ্ছুকে জিজ্ঞেস করে তুই আমাকে কেন কাটলি। বিচ্ছু বলে কাটা আমার বৈশিষ্ট্য।
আলিয়ার ভয়েসওভারে এমন এক রোমাঞ্চকর গল্পের মধ্যেই দেখা গেল বেশ কয়েকটি দৃশ্য। মা-মেয়ের সম্পর্ক ও জীবনযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ডার্ক কমেডি ডার্লিংস।
এতে আলিয়ার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শেফালি শাহ। আছেন বিজয় ভার্মা।
টিজারে আখ্যান অনুসারে আলিয়া ও বিজয় ভার্মা হলেন রূপক ব্যাঙ এবং বিচ্ছু। তবে তাদের ভূমিকা জানা যায়নি।
আরেকটি দৃশ্যে আলিয়া ও শেফালি মন খুলে হাসছেন আর পাশে থাকা বিজয় ভার্মাকে তখন বিভ্রান্ত দেখাচ্ছে।
একটি দৃশ্যে আলিয়া ও শেফালিকে থানায় বসে থাকতে দেখা যায়। সেখানে আলিয়া বলেন, ‘হত্যাটা আমাদের কল্পনাতেই ছিল।’
নেটফ্লিক্স ও আলিয়া তার সোশ্যাল মিডিয়ায় মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে এই টিজার।
টিজারটি পোস্ট করে আলিয়া লেখেন, ‘এটি শুধু একটি টিজ ডার্লিংস। ৫ আগস্ট নেটফ্লিক্সে আসছে ডার্লিংস।’
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জসমিত কে রিন। পরিচালক হিসেবে এটিই তার প্রথম সিনেমা।
আর এটি আলিয়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ইটারনাল সানসাইন প্রোডাকশন’-এরও প্রথম সিনেমা। এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে শাহরুখ খানের প্রযোজনা সংস্থা ‘রেড চিলিস’।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য