ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি টুঙ্গীপাড়া পৌঁছান। সপ্তাহখানে সেখানে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সফরে আছেন পরিচালক। আগামী সাতদিন টুঙ্গীপাড়া ও গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন স্মৃতিধন্য স্থানের ভিডিওচিত্র ধারণ করবেন।
এ সময় তিনি কথা বলবেন বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী, খেলার সাথী ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে পারেন এমন মানুষদের সঙ্গে।
জানা গেছে, কলকাতায় লেখাপড়া করার সময় বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে এ চলচ্চিত্রে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন গৌতম ঘোষ। তার ক্যামেরায় কথাও বলবেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামসহ ৩৩টি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনের আয়োজনে ৪ জুলাই বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়ায় অসংগতির প্রতিবাদে সমাবেশ করেন চলচ্চিত্রকর্মীরা।
চলচ্চিত্র অনুদান ২০২১-২২ এর সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিক অসংগতির প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান দেয়া, প্রামাণ্যচিত্রকে অনুদান না দেয়া এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের সংখ্যা কমিয়ে দেয়াসহ অনুদান প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসানে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় সমাবেশে।
সমাবেশের একদিন পর বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের যে দাবি, সেই দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক, প্রদর্শক, চলচ্চিত্রগ্রাহক সমিতি ও ফিল্ম এডিটরস গিল্ড। সমিতিগুলো বুধবার মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে।
চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বন্ধের জন্য কিছু নির্মাতার দাবিকে চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন সমিতিগুলোর নেতারা।
সবার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গত ৪ জুলাই সোমবার রাজধানীর শাহবাগে কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য, দেশের জন্য এবং সর্বোপরি মানুষের সুস্থ বিনোদনের জন্য ক্ষতিকর এই দাবি আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না এবং এটিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলচ্চিত্র শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করি।
‘একথা আমরা সবাই জানি যে, দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের পুণরুত্থান এবং দর্শকদের আবার প্রেক্ষাগৃহমুখী করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুদান ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ করে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রদান যেমন চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলী এবং হল মালিকদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছে তেমনি মানুষকেও সুস্থ বিনোদনের চর্চায় সিনেমা হলে ফিরিয়ে এনেছে। এসব কারণে পুরো চলচ্চিত্র সমাজের পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অকুণ্ঠ ধন্যবাদ প্রাপ্য।
‘অথচ আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা দেশের মূলধারার চলচ্চিত্রের বাইরের কিছু সংগঠনের ব্যানারে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাদের মধ্যে কয়েকজন এবছর অনুদান না পেয়ে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এই অবস্থান নিয়েছেন। এমন কি সরকারি অনুদান গ্রহণ করে সেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি এমন অভিযুক্তরাও এই দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন। অথচ চলচ্চিত্রে অনুদান সরকারি নীতিমালা পুরোপুরি অনুসরণ করেই দেয়া হয়। গত তিন বছরে ৯টি প্রামাণ্যচিত্রসহ মোট ২৫টি স্বলদৈর্ঘ্য ও ৫৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়া হয়েছে, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় সংখ্যা ও অনুদানের অর্থ দুই মাপকাঠিতেই বেশি। দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা-বোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত কমিটিই অনুদান প্রদান করে। এ সকল সত্য তাদের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং স্বার্থসিদ্ধিমূলক বলে প্রমাণ করেছে।’
আরও পড়ুন:দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় ফিরতে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। ইতোমধ্যেই তার বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা এসেছে। সবগুলোই মুক্তি পাবে আগামী বছর।
তবে এই সিনেমাগুলোর মধ্যে বর্তমানে বেশ আলোচনার আছে জওয়ান। সম্প্রতি এই সিনেমার ফার্স্টলুক লুক ও নাম ঘোষণার ভিডিওতে অপ্রত্যাশিত লুকে দেখা যায় কিং খানকে। মুখে-মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা, চারপাশে অস্ত্র সজ্জিত অ্যাকশন মুডে শাহরুখ।
নাম ঘোষণা ও শাহরুখের এমন লুখ দেখার পর থেকেই সিনেমাটি ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই উত্তেজনার পারদ আরেকটু বাড়িয়ে দিল নতুন এক খবর।
শোনা যাচ্ছে জওয়ান-এ ভিলেন হিসেবে এন্ট্রি নিতে পারেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা বিজয় সেতুপতি।
বিশেষ সূত্রের বরার দিয়ে ভারতীয় বিনোদনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল পিঙ্কভিলার এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, জওয়ান-এর নির্মাতারা বিজয় সেতুপতির সঙ্গে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয়ের আলোচনা করছেন, তবে এখনও কিছুই আনুষ্ঠানিক নয়। তিনি এখনও সিনেমাটির জন্য সম্মতি দেননি, তাই মুম্বাইতে তার শুটিংয়ে যোগ দেয়ার বিষয়ে কোনো সত্যতা নেই।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বিক্রম সিনেমার খল চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল প্রশংসায় ভাসছেন বিজয় সেতুপতি।
এদিকে জওয়ান-এ শাহরুখের সঙ্গে রয়েছেন দক্ষিণী সিনেমার নারী সুপারস্টার নয়নতারা। আগামী বছর ২ জুন মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন:বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের আসন্ন ডার্ক কমেডিনির্ভর সিনেমা ডার্লিংস-এর টিজার প্রকাশ পেয়েছে মঙ্গলবার।
গোটা টিজারে একটি ব্যাঙ ও বিচ্ছুর রোমাঞ্চকর এক যাত্রার গল্প বলতে শোনা যায় আলিয়াকে। আর সেই টিজার দেখে প্রশংসায় ভাসালেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান।
ইনস্টাগ্রামে টিজারটি পোস্ট করে শাহরুখ লেখেন, ‘মজার, ডার্ক, অদ্ভুত, ব্যাঙ, বিচ্ছু এবং সর্বোপরি শেফালি শাহ এবং আলিয়া ভাট। নেটফ্লিক্সে ডার্লিংস দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না। ৫ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে।’
পোস্টটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে ভালোবাসার ইমো দিয়েছেন আলিয়া।
মা-মেয়ের সম্পর্ক ও জীবনযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ডার্ক কমেডি ডার্লিংস। এতে আলিয়ার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শেফালি শাহ।
টিজারটি শুরু হয় একটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখছেন আলিয়া; এমন দৃশ্য দিয়ে। তখন ভয়েসওভারের এক গল্প শোনা যায়- নদীর ধারে বিশ্রাম নিচ্ছে একটি ব্যাঙ। কাঁদতে কাঁদতে একটি বিচ্ছু আসে তার কাছে। বিচ্ছু ব্যাঙকে বলে নদী পার করে দিতে, কিন্তু ব্যাঙ বলে- তুই যদি আমাকে কেটে দিস।
তখন বিচ্ছু বলে- আরে তুই পাগল হয়েছিস, আমি যদি তোকে কাটি আমরা দুজনেই ডুবে যাব। এরপর ব্যাঙ বিচ্ছুকে পিঠে বসিয়ে নদী পার হতে শুরু করে। নদীর মাঝখানে পৌঁছাতেই বিচ্ছু ব্যাঙকে কাটে। ব্যাঙ বিচ্ছুকে জিজ্ঞেস করে তুই আমাকে কেন কাটলি। বিচ্ছু বলে কাটা আমার বৈশিষ্ট্য।
আলিয়ার ভয়েসওভারে এমন এক রোমাঞ্চকর গল্পের মধ্যেই দেখা গেল বেশ কয়েকটি দৃশ্য।
এতে দেখা যায় বিজয় ভার্মা ও রোশন ম্যাথুকে। টিজারে আখ্যান অনুসারে আলিয়া ও বিজয় ভার্মা হলেন রূপক ব্যাঙ এবং বিচ্ছু। তবে তাদের ভূমিকা জানা যায়নি।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জসমিত কে রিন। পরিচালক হিসেবে এটিই তার প্রথম সিনেমা।
আর এটি আলিয়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ইটারনাল সানসাইন প্রোডাকশন’-এরও প্রথম সিনেমা। এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে শাহরুখ খানের প্রযোজনা সংস্থা ‘রেড চিলিস’।
আরও পড়ুন:২০১৪ সালে অগ্নি ও ২০১৫ সালে অগ্নি ২ মুক্তি পাওয়ার পর দীর্ঘদিন আর সিনেমাটির সিক্যুয়াল নিয়ে আলোচনা ছিল না। সম্প্রতি সিনেমাটির তৃতীয় কিস্তি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কারণ অগ্নি ৩ নির্মাণ করতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ।
আগের দুই কিস্তিতে অগ্নিকন্যা হয়ে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। তৃতীয় কিস্তিতে কে হবেন অগ্নি, তা এখনও রহস্য। সম্প্রতি মাহিকে নিয়ে আব্দুল আজিজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মাহির বয়স বেড়েছে, নেই বডি ফিটনেস।
বুধবার বিকেলে আব্দুল আজিজ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ প্রসঙ্গে আরও কিছু কথা লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অগ্নি হিসেবে মাহিকে জাজেরও পছন্দ। তাই বেশ কিছু দিন আগে মাহিকে অগ্নি হিসেবে তৈরি হতে বলেছিলাম। হয় নাই। হয়তো বিশ্বাস রাখতে পারে নাই যে জাজ আবার অগ্নি বানাবে।
‘অগ্নির জন্য মাহির বডি ফিটনেস নেই বলতে বুঝাই নাই যে মাহি মোটা। মাহি এখনও ফিট। কিন্তু অগ্নির জন্য বডি ফিটনেস মানে নিজের এক পায়ে দাঁড়িয়ে অন্য পা মাথার ওপর তোলা। আর এই ফিটনেস মাহির নেই। যাকে অগ্নি হিসেবে নেয়া হবে, তাকে অবশ্যই এই ফিটনেস থাকতে হবে, অগ্নি হিসেবে সাইন করার আগেই।’
মাহির বয়স নিয়ে আজিজ লেখেন, ‘আর বয়স হয়েছে মানে নয় যে মাহির অনেক বয়স। আমি বুঝাতে চেয়েছি, মাহি যখন প্রথম অগ্নি করে তার বয়স ছিল ১৮-১৯। আমাদের এমন বয়সের অগ্নি দরকার। যে টিন এজার, কলেজে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে মাহির বয়স ২৬-২৭। হয়তো মাহি জিম করে স্লিম হয়ে হেয়ার স্টাইল চেঞ্জ করে, বয়স কমাতে পারবে। কিন্তু, বডি ফ্লেক্সিবল করতে পারবে না। যেটা অগ্নির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাহি যদি নিজেকে ফিট মনে করে, তবে অডিশন দিতে পারে।’
অগ্নি সিনেমায় অগ্নির ছোট বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পূজা চেরি। এখন তিনি পূর্ণাঙ্গ অভিনেত্রী। তাকে অগ্নি ৩-এ কেন রাখা হবে না, তা জানিয়ে আজিজ লেখেন, ‘আমরা পূজাকে অগ্নি বানানোর জন্য প্রশিক্ষক রেখে তার বডি ফ্লেক্সিবল করিয়েছিলাম। নিয়মিত জিম করত। নিজেকে ফিট রাখত। কিন্তু হঠাৎ করে অন্য কারও বুদ্ধি শুনে নিজের ওজন বাড়িয়ে বডি ফিটনেস নষ্ট করেছে। তাই পূজাকে অগ্নি হিসেবে নেয়া হচ্ছে না।’
ব্যক্তিগতভাবে পূজার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আজিজ লেখেন, ‘১০০টা পোড়ামন-২ বা দহন (অন্য কোনো সিনেমা ধারের কাছেও নেই) তাকে ১০০ বছর বাঁচিয়ে রাখবে না, যা একটি অগ্নি দিয়ে সম্ভব। আর হলিউড থেকে অগ্নির সিক্যুয়াল হবে। তাই যে অগ্নি করবে, সে হয়ে যাবে সারা বিশ্বের স্টার। আর দুঃখটা এখানেই।
অজিজ জানান, অগ্নি ৩ হবে সম্পূর্ণ নতুন গল্পে। অগ্নি ১ ও ২-এর সঙ্গে এ গল্পের কোনো মিল নেই। সিনেমাটি হবে হলিউড থেকে। অগ্নি সিনেমাটি তৈরি হবে সারা বিশ্বের দর্শকের জন্য, তাই সিনেমাটি হবে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায়।
আজিজ লেখেন, ‘বাংলাদেশের বাইরের দর্শক তো অগ্নি ১ ও ২-এর গল্প জানে না। তাই তাদের সম্পূর্ণ একটি নতুন গল্প দিতে হবে। সেখান থেকেই শুরু হবে অগ্নির নতুন ফ্রাঞ্চাইজি।’
আরও পড়ুন:প্রকাশ পেল এবারের ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া আলোচিত সিনেমা পরাণ-এর ট্রেইলার। সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা লাইভ টেকের ইউটিউব চ্যানেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর মুক্তি দেয়া হয় ট্রেইলারটি।
এদিকে ট্রেইলার প্রকাশের পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেনপরাণ-এর তিন অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিম, শরীফুল রাজ ও ইয়াশ রোহান।
ইউটিউবে ট্রেইলারের মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘প্রথমবার কোনো বাংলা মুভির ট্রেইলার এত ভালো লাগল।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘দারুণ হবে। ইয়াশ, মিম, শরিফুল তিনজনই আমার পছন্দের। তবে, শরিফুল রাজ ছক্কা হাঁকাবে, এটা শতভাগ নিশ্চিত।’
একজন মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘কিছু বলার নেই, এই সিনেমার পরিচালক যখন রায়হান রাফি তখন আর কী লাগে। মিম-রাজের অভিনয় সেই লেভেলের হয়েছে। ট্রেইলার জাস্ট ওয়াউ।’
‘বিদ্যা সিনহা মিম মানে আগুন।' ‘শরিফুল ভাইকে মিমের সঙ্গে অনেক ভালো মানিয়েছে। এক কথায় পুরাই আগুন।’ ‘এই ঈদের সবচেয়ে বড় ধামাকা’; এমন নানা প্রশংসায় ভরে উঠেছে মন্তব্যের ঘর।
২০২০ সালে টিজার প্রকাশের পর সে সময় বেশ আলোচনায় আসে সিনেমাটি। ওই বছর ভালোবাসা দিবসে প্রথম মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনাসহ নানা কারণে একাধিকবার তা পেছানো হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এবার ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে আসছে পরাণ।
কদিন আগে প্রকাশ পায় ‘চল নিরালায়’ শিরোনামে সিনেমাটির একটি গান। এরপর আবারও বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের আলোচনায় আসে রায়হান রাফি পরিচালিত সিনেমাটি।
এদিকে ট্রেইলার প্রকাশের পর আরও জোর কদমে পরাণ-এর প্রচারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিনেমাটির টিম। এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী মিম।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের প্রচার তো চলছেই। সেই সঙ্গে আউটডোরে প্রচারের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া ঈদের দিন আমরা ময়মনসিংহ যাচ্ছি দর্শকদের সঙ্গে পরাণ দেখতে।’
কতটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখনই সঠিক বলতে পারব না, তবে প্রযোজনা সংস্থা দু-এক দিনের মধ্যেই হয়তো আমাদের জানাবে। তখন সেটি জানিয়ে দেব আমরা।’
আরও পড়ুন:গত ২৪ জুন প্রকাশ পেয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় তারকা রণবীর কাপুরের আসন্ন সিনেমা শমশেরার ট্রেইলার। আর এই সিনেমা দিয়েই প্রথমবারের মতো দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করলেন। বাবা ও ছেলে দুই ভূমিকাতে দেখা যাবে তাকে।
ট্রেইলারেই যে ঝড় তুলেছেন রণবীর তাতে ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
তবে রণবীর প্রশংসায় ভাসালেন শমশেরায় তার সহঅভিনেত্রী বাণী কাপুরকে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) এক প্রতিবেদনে সে কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
রণবীর বলেন, ‘বাণী খুব ভালো একজন অভিনেত্রী। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। এতটাই মনোযোগী যে সব সময় হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শোনেন ও চরিত্রে থাকার চেষ্টা করেন। হালকা কথা বলে আমি অনেকবার তার মনোযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দারুণ বন্ধুত্ব হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা সত্যিই একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেছি। আমি মনে করি শমশেরাতে অসামান্য অভিনয় করেছেন বাণী এবং আমি অপেক্ষায় আছি যে চরিত্রে তার অভিনয় দেখার পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কী হয়। তার চরিত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝার জন্য দর্শকদের সিনেমাটি দেখতে হবে।’
মঙ্গলবার বাণী ইনস্টাগ্রামে রণবীরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দুজনের জমাট রসায়ন মনে ধরেছে ভক্তদের।
ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘বল্লী এবং সোনা।’ সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় ২২ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে শমশেরা।’
রণবীর-বাণী ছাড়াও এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত। আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন করণ মালহোত্রা।
গল্পের প্রেক্ষাপট ১৮৭১ সাল। কাল্পনিক কাজা শহরকে কেন্দ্র করে সিনেমার গল্প। ছোট থেকেই দাসত্বের শৃঙ্খলে বড় হয়েছে শমশেরা। বড় হয়ে স্বাধীন হওয়ার যুদ্ধে নামেন তিনি।
আরও পড়ুন:ঈদের সময় নুসরাত ফারিয়ার থাকার কথা ছিল লন্ডনে; বিবাহ অভিযান ২ সিনেমার শুটিংয়ে। কিন্তু অজানা কারণে সিনেমাটির শুটিং বন্ধ হয়ে যায়।
তারপর ধারণা করা হয়েছিল, নুসরাত ফারিয়া হয়তো দেশেই থাকবেন বা অবসর সময় কাটাবেন। কিন্তু না, শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় গিয়েছেন অভিনেত্রী। তাও আবার সিনেমার কাজে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নুসরাত ফারিয়া দাঁড়িয়েছেন ক্যামেরার সামনে। এতে তার সহশিল্পী অঙ্কুশ হাজরা।
কলকাতার ভয় সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন অভিনেত্রী। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাজা চন্দ। প্রযোজনায় ইকো এন্টারটেনমেন্ট। সিনেমার প্রযোজক সন্দীপ জয়সওয়াল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছিল। তার কিছু পরেই শুরু হয় করোনা। সবকিছু থেমে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কাজ আবার শুরু হয়েছে।
বারুইপুরের রেলস্টেশনের কাছে কেষ্ট মণ্ডলের বাড়িতে শুটিং চলছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সিনেমায় অঙ্কুশ সাঁতারের প্রশিক্ষক। তার ছোট বোন অটিস্টিক। মা ক্যানসারে আক্রান্ত। বোন যে স্কুলে পড়ে, সেই স্কুলের শিক্ষিকা নুসরাত ফারিয়া। মা-বোনকে নিয়ে যখন অঙ্কুশ বিপর্যস্ত।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য