সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন সিনেমা বদলেছে, তেমন বদলাচ্ছে সিনেমা প্রদর্শন ব্যবস্থা। ৩৫ মিলিমিটারের ফিল্মের দিন শেষ হয়েছে; এখন সিনেমা নির্মিত হয় ডিজিটাল ফরম্যাটে। স্বাভাবিকভাবেই এখন আর কোনো কাজেই লাগছে না ৩৫ মিলিমিটার ফিল্মের প্রজেক্টর। ডিজিটাল প্রজেক্টরেই সিনেমা দেখানো হচ্ছে সবখানে। একই সঙ্গে সাউন্ড মেশিনেও এসেছে আমূল পরিবর্তন।
প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সিঙ্গেল স্ক্রিন বা এক-পর্দার প্রেক্ষাগৃহের কদর কমেছে। এক-পর্দার সিনেমা হলের চেয়ে বহু পর্দাবিশিষ্ট মাল্টিপ্লেক্সের দিকে ঝুঁকছেন প্রদর্শকরা। তারা বলছেন, এতে মুনাফা বেশি।
বৃহস্পতিবার সিনেমা হল সংস্কার ও নতুন হল নির্মাণে ঋণ সুবিধাপ্রাপ্তি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে ৫০টি মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে। রাজধানীতে ইতোমধ্যে তাদের পাঁচটি শাখা চালু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘মুনাফা না হলে তো স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এতগুলো শাখা খোলার পরিকল্পনা করত না।’
সিঙ্গেল স্ক্রিনের মতো বড় স্থাপনায় একজন হল মালিককে শুধু সিনেমা প্রদর্শনের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু মাল্টিপ্লেক্স সংস্কৃতিতে আয় হয় নানামুখী। পাঁচ তলা একটি ভবনে নানা রকম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকে, সেখান থেকে আয় হয় মালিকের। পাশাপাশি সিনেমা হল থাকলে সেটিও একটি আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে।
সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে সিনেপ্লেক্স করার পর মুনাফা বেড়েছে বগুড়া মধুবন সিনেমা হল মালিকের। এটির মালিক আর এস ইউনুস বলেন, ‘আমি এখন শুধু সিনেমা হলের আয়ের ওপর নির্ভর করি না। আমার বাণিজ্যিক ভবনে অনেকগুলো দোকান আছে, সেখান থেকে ভাড়া পাই। সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রচারণার জন্য আসে, সেখান থেকে একটা আয় আছে। সিনেমা হলের পাশাপাশি ফুডকোর্ট আছে, সেখান থেকেও ইনকাম হয়। আর সিনেমা হল তো আছেই।’
সিঙ্গেল স্ক্রিনে বড় ভবন প্রয়োজন হয়, অথচ সিনেমা দেখা ছাড়া তাতে আর কোনো কর্মকাণ্ড থাকে না। তাই এখন মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করতে বিনিয়োগকারী বা হল মালিকদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।
সিঙ্গেল স্ক্রিনে সাধারণত আসনসংখ্যা অনেক বেশি থাকে। বলাকা, মধুমিতার মতো বড় সিনেমা হলগুলোয় ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ আসন পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু এখন প্রেক্ষাপট পাল্টে গেছে। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকসংখ্যা কমেছে। তাই অধিকাংশ আসন ফাঁকা পড়ে থাকে।
সিরাজগঞ্জের রুটস সিনেক্লাবের চেয়ারম্যান সামিনা ইসলাম নীলা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার প্রেক্ষাগৃহে ২২টি সিট। এখানে ১০-১২ জন দর্শক হলেই আমার হয়ে যায়। কিন্তু যাদের ৭০০ বা ৮০০ সিটের প্রেক্ষাগৃহ, তাদের ১০০ দর্শক হলেও কাজ হয় না। এখন অল্প সিটের প্রেক্ষাগৃহই বেশি কার্যকর।’
সিনেপ্লেক্সের আকার ও আয়তন একটু ছোট হওয়ায় একটি সিঙ্গেল স্ক্রিনের জায়গায় সর্বোচ্চ তিনটি স্ক্রিন নির্মাণ করা যায়। একেকটি স্ক্রিনে একেক ধরনের সিনেমা প্রদর্শন করা সম্ভব। এতে করে দর্শকও ভিন্ন ভিন্ন সিনেমা দেখার সুযোগ পান এবং বিভিন্ন ধরনের দর্শক বিভিন্ন রকম সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসতে আগ্রহী হন। এতে দর্শক সমাগম বাড়ে।
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ব্লকবাস্টার সিনেমাসের জাহিদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘যে যেখানেই সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করুক না কেন, আমার পরামর্শ থাকবে, একসঙ্গে তিনটি স্ক্রিন করার জন্য। এতে করে একসঙ্গে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সিনেমা প্রদর্শন করা সম্ভব এবং দর্শক সমাগমও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসনসংখ্যা ১০০ থেকে ২৫০ বা ৩০০-এর মধ্যে রাখতে হবে। একটি প্রেক্ষাগৃহে সর্বোচ্চ ৩০০ থাকল, আরেকটিতে রাখতে হবে সর্বনিম্ন ১০০। এতে করে যখন কোনো সিনেমায় দর্শকচাপ বেশি থাকবে, তখন ৩০০ সিটের প্রেক্ষাগৃহে দেখানো যাবে। আবার যখন দর্শকের চাপ কমে আসবে, তখন ১০০ সিটের প্রেক্ষাগৃহে সেটি দেখানো যাবে।’
সিনেমা হলে ভালো পরিবেশ চান দর্শকরা। ফ্যানের বদলে এখন সবাই এসি রুমে বসে সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন। প্রযুক্তির কারণে সিনেমায় রং বিন্যাস ও শব্দের ব্যবহারে এসেছে আমূল পরিবর্তন। আগেকার সিঙ্গেল স্ক্রিনের প্রেক্ষাগৃহের অধিকাংশতেই নেই এসি, ভালো প্রজেক্টর ও পর্দা এবং সময়োপযোগী সাউন্ড সিস্টেম।
দর্শককে সময়োপযোগী সিনেমার আসল আনন্দ দিতে চান হল মালিকরাও। তাই তারা সিনেমা প্রদর্শনের পুরোনো সিঙ্গেল স্ক্রিনের ধারণা থেকে বের হয়ে এসে নির্মাণ করতে চাইছেন মাল্টিপ্লেক্স।
এর সঙ্গে আরও একটি বড় কারণ যুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। সেটি হলো বিদেশি সিনেমা প্রদর্শনের সুযোগ।
পরিচালক, প্রযোজক ও হল মালিক গোলাম কীবরিয়া লিপু বলেন, ‘দেশের যেকোনো সিনেমা হল ২৫ শতাংশ ইংরেজি সিনেমা প্রদর্শন করার অধিকার রাখে। কিন্তু সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোয় বিদেশি সিনেমা যে ফরম্যাটে প্রদর্শন করতে হয়, সেই ফরম্যাটের প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেম নেই। সিনেমা হল বাঁচানোর জন্য ইংরেজি সিনেমার পাশাপাশি ভারতীয় সিনেমাও প্রয়োজন। সেই সিনেমা প্রদর্শন করতে গেলেও আধুনিক সিনেমা প্রদর্শন ব্যবস্থা প্রয়োজন। তাই সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা জরুরি। এতে করে সিনেমা হল টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে এবং প্রধানমন্ত্রী যে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল দিয়েছেন, সেখান থেকেও ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারব।’
প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাশ জানান, ১৯৯৯ সালে দেশে প্রেক্ষাগৃহের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৩৫টি, আর এখন সেটি ৫০ থেকে ৬০টি। যদি সরকার উপমহাদেশের সিনেমা দেখানোর সুযোগ দেয়, তাহলে হল মালিকরা ঋণ নিয়ে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করতে আগ্রহী হবেন।
এর মধ্যে বেশ কিছু নতুন মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ হয়েছে। স্টার সিনেপ্লেক্স ঢাকাসহ ঢাকার বাইরে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করছে। সনি সিনেমা হল পরিণত হয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সে। লায়ন গ্রুপের মালিকানাধীন কেরানীগঞ্জে নতুন চারটি মাল্টিপ্লেক্স চালু হয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায়েও অনেকে ৩৫, ২২, ৬০ সিটের আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ করছেন।
অভিনেতা ডি এ তায়েব টাঙ্গাইলে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এ ছাড়া সিঙ্গেল স্ক্রিনের প্রেক্ষাগৃহ আছে এমন হল মালিকদের অনেকেই নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করেছেন আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ বা নির্মাণ করতে চাইছেন মাল্টিপ্লেক্স।
আরও পড়ুন:বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি অভিনব গল্প ও আধুনিক চিত্রনাট্যে সমৃদ্ধ সিনেমা সাদরে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে এখনও সিনেমা হলগুলোতে থাকে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরেও নানান উদ্দীপনার খোরাক যোগাচ্ছে নতুন কিছু ছবি। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন ঈদে ২০২৫ ঈদুল ফিতরে ঢালিউডে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চলচ্চিত্রগুলো।
২০২৫ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
বরবাদ
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও কলকাতার ইধিকা পল জুটির এই দ্বিতীয় কাজটি নিয়ে ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ হৈচৈ চলছে। এর আগে প্রিয়তমা (২০২৩)-তে বেশ সাড়া ফেলেছিলো এই জুটি। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভারতের যীশু সেনগুপ্তের যুক্ত হওয়া ছবিটির প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি আইটেম গানে ক্যামিও চরিত্রে থাকবেন কলকাতার আরেক তারকা নুসরাত জাহান-কে।
রোমান্টিক অ্যাকশন থ্রিলারটি পরিচালনার মধ্য সিনেমা নির্মাণে পদার্পণ করেন মেহেদী হাসান হৃদয়। প্রযোজনায় রয়েছেন শাহরিন আক্তার সুমি (রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন) এবং আজিম হারুন (রিধি সিধি এন্টারটেইনমেন্ট)।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ, এবং ইন্তেখাব দিনার।
সংগীত আয়োজনে আছেন প্রীতম হাসান। ২০২৪ সালের তুফান চলচ্চিত্রে তার ‘লাগে উড়া ধুরা’ গানটি বিভিন্ন মহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার কাজ করছেন শাকিব খানের সঙ্গে। প্রীতমসহ ছবির বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলিউডের কয়েকজন গায়ক।
অ্যাকশন দৃশ্য পরিচালনা করেছেন বলিউড ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। নাচের কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ।
জংলি
বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র জংলি। এম রাহিম পরিচালিত রোমাঞ্চকর নাট্য চলচ্চিত্রটির প্রধান ভূমিকায় আছেন এ সময়কার দর্শকনন্দিত তারকা সিয়াম আহমেদ। তার প্রধান সহশিল্পীরা হলেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান। মেহেদী হাসান ও সুকৃতি সাহা যৌথভাবে গল্পটিকে চিত্রনাট্যে রূপ দিয়েছেন।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এবং এরফান মৃধা শিবলু।
প্রিন্স মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় একটি বিশেষ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে এমআইবি স্টুডিও এবং টাইগার মিডিয়া।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ২৫ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত হবে।
দাগি
২০২৩ সালে শাকিব অভিনীত প্রিয়তমার সাথে প্রতিযোগিতা করেছিলো আফরান নিশোর সুড়ঙ্গ। এবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদে। প্রথম ছবি সুড়ঙ্গ-এর পর প্রায় দেড় বছরের বিরতিতে ছিলেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তারপর ভক্তদের হতবাক করে দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দাগি’র সংবাদ। তার বিপরীতে নায়িকার অবস্থানও থাকছে অপরিবর্তিত। দেড় বছর সিনেমা থেকে দূরে থাকার পর দ্বিতীয়বারের মতো নিশোর সাথে জুটি বদ্ধ হয়েছেন তমা মির্জা।
একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে। সিনেমায় আরও রয়েছেন মনোজ কুমার প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, রাশেদ মামুন অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, এবং মিলি বাশার।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য গড়েছেন শিহাব শাহীন। এখানে বলা হয়েছে একজন সাধারণ মানুষের অপরাধজগতে জড়ানোর গল্প। এই পটভূমিকে উপজীব্য করেই কাহিনী এগিয়ে গেছে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির দিকে।
২০১৫ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর পর ‘দাগি’ নির্মাতার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এটি এসভিএফ আলফা-আই এবং দেশীয় ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) চরকির একটি যৌথ প্রযোজনা।
চক্কর ৩০২
মোশাররফ করিম ভক্তদের জন্য এবারের ঈদে রয়েছে দারুণ চমক। শরাফ আহমেদ জীবনের গল্প, পরিচালনা এবং সহ-প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘চক্কর ৩০২’। সহ-প্রযোজনায় আরও ছিলেন আবুল ফজল মোহাম্মদ রিতু, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, সরদার সানিয়াত হোসেন, এবং আদনান আল রাজীব।
সিনেমাতে মোশাররফ করিম একটি মার্ডার কেসের তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।
সংলাপ লিখেছেন নাহিদ হাসনাত, যিনি সৈয়দ গাউসুল আলম শাওনের সাথে যৌথভাবে ভূমিকা রেখেছেন চিত্রনাট্যে।
বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়ে ছিলেন তারিন জাহান, ইন্তেখাব দিনার, মৌসুমী নাগ, রওনক হাসান, শাশ্বত দত্ত্ব, সুমন আনোয়ার, সারা আলম, ফারজানা বুশরা, আহমেদ গোলাম দস্তগীর শান, এবং ডিকন নূর।
সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছেন ইমন চৌধুরী, জাহিদ নিরব, অমিত চ্যাটার্জি।
বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্রের অনুদানে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পাবে কারখানা প্রোডাকশন এবং গামাফ্লিক্স-এর ব্যানারে।
জ্বীন ৩
জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় আরও এক কিস্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে ভৌতিক চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি জ্বীন। এর পূর্বে ২০২৩ থেকে প্রতি বছর জ্বীন-এর একটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
দ্বিতীয় কিস্তিতে অনুপস্থিত থেকে এবার প্রধান চরিত্রে ফিরেছেন সজল নূর। তার বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে পুরো মুভি সিরিজে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। এটি বড় পর্দায় সজলের সাথে তার প্রথম কাজ।
জাজের অধীনে প্রযোজনার পাশাপাশি ছবির গল্প, সংলাপ, ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ। কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ময়মনসিংহের একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন তানিয়া আহমেদ এবং আহসানুল হক মিনু। এছাড়াও দেখা যাবে অভিনেতা নাদের চৌধুরীকে, যিনি জ্বীন ১-এর পরিচালক ছিলেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ছবির কন্যা শিরোনামের গানটি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা।
পিনিক
শবনম বুবলী ও আদর আজাদ জুটির এই চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে অনেক দিন ধরে শোরগোল চলছে দর্শকদের মাঝে। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত থ্রিলার, অ্যাকশন, ও সাসপেন্সের সংমিশ্রণে গড়া ছবিটি অবশেষে এই ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘তালাশ’ (২০২২) এবং ‘লোকাল’ (২০২৩)-এর পর তৃতীয়বারের মত বড় পর্দায় আসছেন বুবলী-আদর জুটি।
সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো খলনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বুবলী। প্রতিশোধ ও পাল্টা প্রতিশোধের গল্প নির্ভর মুভির চিত্রনাট্য লিখেছেন আখিউজ্জামান মেনন।
চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, আলী রাজ, আজাদ আবুল কালাম, জয়িতা মহলানবীশ, মাসুম বাশার, মোমেনা চৌধুরী, সমু চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, নাফিস আহমেদ বিন্দু, এবং শরীফ সিরাজ।
ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছেন অভিনেতা শিমুল খান।
হাউ সুইট
বিয়ে থেকে পালানোর জন্য আঁটঘাট বেধে নেমেছে সুইটি। অপরদিকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে নাছোড়বান্দা আদনান। এমনি দুটো চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রম্য নাট্য-চলচ্চিত্র ‘হাউ সুইট’। ওয়েব ফিল্মটির গল্প, চিত্রনাট্য, ও পরিচালনায় রয়েছেন এ সময়ের দর্শকনন্দিত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।
আদনান চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আর সুইটি চরিত্রে দেখা যাবে তাসনিয়া ফারিণকে।
তাদের সহশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সাইদুর রহমান পাভেল, সুষমা সরকার, আবদুল্লাহ রানা, আরফান ম্রিধা শিবলু, এবং নাইমা আলম মাহাসহ আরও অনেকে।
নাচে, গানে ভরপুর বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমাটির সুর ও সঙ্গীতে দায়িত্ব পালন করেছেন আকাশ সেন।
গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বালাম ও ন্যান্সি।
প্রযোজক হিসেবে ছিলেন মুশফিকুর রহমান মঞ্জু। বুম ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ছবিটি সম্প্রচারিত হবে ওটিটি বঙ্গতে।
শেষাংশ
২০২৫-এর ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বাংলাদেশি সিনেমাপ্রেমিদের উদ্দীপনার কেন্দ্রে রয়েছে বরবাদ, দাগি, ও জংলি। ঈদের আনন্দকে নতুন মাত্রা দিতে এবার থাকছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ আর অমি ভক্তদের জন্য ‘হাউ সুইট’। বুবলিকে খলনায়িকা রূপে দেখার আগ্রহ আলাদা ভাবে দর্শক টানবে ‘পিনিক’। জ্বীন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা কতটা চমকপ্রদ হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ‘জ্বীন ৩’ মুক্তি পর্যন্ত। সব মিলিয়ে, দারুণ এক প্রতিযোগিতামুখর হতে যাচ্ছে ঢালিউডের এবারের ঈদ আয়োজন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে।
সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব মঙ্গলবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেন নিপুণ আক্তার। সেখানে নিজেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন তিনি। গত ১৭ জুলাই নিজের ফেসবুকে সেটা পোস্টও দেন। এ নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।
‘অনৈতিকভাবে’ সমিতির প্যাড ব্যবহার করায় মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটি গত বছরের ৩০ জুলাই সমিতির ষষ্ঠ সভায় এ বিষয় উত্থাপিত হলে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা তোয়াক্কা করেননি।
তার আগে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে গণমাধ্যমে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করায় নিপুণকে নোটিশ দেয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। তবে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার কাছের মানুষ হওয়ায় তিনি কোনো চিঠিই আমলে নেননি বলে অভিযোগ আছে।
এমন বাস্তবতায় অনৈতিকভাবে শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় নিপুণ আক্তারকে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত ১০ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিপুণের পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
নিপুণের নামে মামলা না থাকায় ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান।
স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরো সার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়।
এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী।
এক বিবৃতিতে লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে তার বাসার তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে সাইফ আলী খান টিম।
এতে বলা হয়, ‘এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব।’
কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন:খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
অভিনেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮১ বছর বয়সী প্রবীর মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দিনে দিনে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র।
পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুল জীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাকালে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যুু হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জনার মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
অভিনেতা জায়েদ খানসহ অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নামী অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি জানান।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার জানাজা হবে।
মৃত্যুর আগে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অঞ্জনা।
গত ২৪ ডিসেম্বর জ্বর নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। পরে তার রক্তে সংক্রমণ পান চিকিৎসকরা, যা পুরো শরীরে ছড়িয়ে হার্ট ও কিডনিতে জটিলতা সৃষ্টি করে। অঞ্জনার ফুসফুসে পানি আসে এবং তিনি স্ট্রোক করেন।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন অঞ্জনা। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
আরও পড়ুন:ভারতের হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারের বাইরে গত ৩ ডিসেম্বর পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর প্রদর্শনীতে অভিনেতার অনির্ধারিত উপস্থিতির সময় নারীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আল্লু অর্জুনকে জুবিলি হিলসের বাসভবন থেকে হেফাজতে নিয়ে চিক্কাদপল্লি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় তার বাবা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা আল্লু অরবিন্দ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসায় ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর ৪১ বছর বয়সী এ অভিনেতা সোমবার পর্যন্ত তার আটকাদেশ স্থগিত রাখার আবেদন করেন। শুক্রবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে হায়দরাবাদ পুলিশ আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তা দলের সদস্য এবং সন্ধ্যা থিয়েটারের ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ঘটনার দিন অভিনেতাকে একপলক দেখার জন্য প্রচুর ভিড় হওয়ায় পদপিষ্টের ঘটনায় তাদের ভূমিকার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:কাতারভিত্তিক কমিউনিটি সার্ভিস সংগঠন শর্ট ফিল্ম ল্যাব (এসএফএল) আয়োজিত প্রথমবারের মতো উইকেন্ড শর্টফিল্ম চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে এ অনুষ্ঠান হয়।
প্রতিযোগিতাটির পৃষ্ঠপোষক ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এলএনজি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি।
প্রতিযোগিতায় স্থানীয় দলগুলো ৪৮ ঘণ্টায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে।
প্রতিটি দল জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডিজিটাল গল্প তৈরি করেছে, যা অনন্য ও আবেগপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সামনে নিয়ে এসেছে।
এসএফএলের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহনালক্ষ্মী রাজাকুমার এবং সৃজনশীল পরিচালক দোহায় এসএফএল পরামর্শদাতা প্রোগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইলা রিডল এবং সারা ঈসার নেতৃত্বে এই পুরো অভিজ্ঞতা বাস্তবায়ন হয়।
এক্সিলারেট এনার্জির কান্ট্রি ম্যানেজার হাবিব ভূঁইয়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৫টি চলচ্চিত্র ইএমকে সেন্টারে প্রদর্শন হয়, যেখানে পাঁচটি পুরস্কার এবং একটি সম্মানিত উল্লেখের মাধ্যমে উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বিজয়ী চলচ্চিত্রগুলো পানির দূষণ থেকে পরিবেশের প্রতি অবহেলা এবং জলবায়ু স্থানচ্যুতি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে, যা তরুণ গল্পকারদের পরিবেশগত পদক্ষেপের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতে চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা সাদিয়া খালিদ রীতি (যিনি রাশিয়া, ইরান এবং ফ্রান্সের মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবসহ একাধিক দেশে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন) বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ী দলগুলোকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, ট্রিহাউস রেস্টুরেন্ট এবং গ্রামীণ দানোনের ভাউচারসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য