× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
The owners want to show Indian movies
google_news print-icon

ভারতীয় সিনেমা দেখাতে চান হল মালিকরা

ভারতীয়-সিনেমা-দেখাতে-চান-হল-মালিকরা
বলাকা সিনেমা হল। ছবি: সংগৃহীত
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় হল মালিকরা বললেন, দেশের সিনেমা দিয়ে তাদের আয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই সীমিত আকারে ভারতীয় বা উপমহাদেশের সিনেমা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমদানি করার সুযোগ দেয়া হোক। সেটা বছরে ১০-১৫টিও হতে পারে।

পুরোনো সিনেমা হল সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল নির্মাণের জন্য ঋণ নিতে রাজি আছেন হল মালিকরা। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধের জন্য দেশের সিনেমার পাশাপাশি উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির দাবি করেছেন হল মালিকরা।

তারা বলছেন, ঋণ পরিশোধের জন্য হল মালিকদের প্রয়োজন আয়। দেশের সিনেমা দিয়ে সেই আয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই হল মালিকদের সীমিত আকারে ভারতীয় বা উপমহাদেশের সিনেমা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমদানি করার সুযোগ দেয়া হোক। সেটা বছরে ১০-১৫টিও হতে পারে।

হল মালিকরা মনে করছেন, এটি করা হলে তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। এমনকি এতে দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়বে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে ‘দেশের বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল/সিনেপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যে অংশীদারদের সঙ্গে ঋণ সুবিধাপ্রাপ্তি ও ঋণের সুষ্ঠু ব্যবহার’বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই হল মালিকরা উপমহাদেশের সিনেমা আমদানিসহ নানা দাবি উপস্থাপন করেন।

সিনেমা আমদানির ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পরিচালক, প্রযোজক ও হল মালিকরা চাইলেও শিল্পী সমিতির নেতারা উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানিতে মত দিচ্ছিলেন না। এখন আবার কথা বলতে হবে। সবাই যদি একমত হন, অবশ্যই কিছু সিনেমা আমদানি করা যেতে পারে।’

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর থেকে ভারতীয় সিনেমার আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনতার পরও এ নিষেধাজ্ঞা আর প্রত্যাহার করা হয়নি। হল মালিকরা বিভিন্ন সময় ভারতীয় সিমেনা আমদানি ও প্রদর্শনের উদ্যোগ নিলে চলচ্চিত্র পরিচালক ও কলাকুশলীদের আন্দোলনের কারণে সেসব পদক্ষেপ বাতিল হয়।

তথ্য ভবনে বৃহস্পতিবারের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ১০৭ জন হল মালিক। এর মধ্যে নতুন সিনেপ্লেক্স নির্মাণে আগ্রহী সাতজন ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন রূপালী, অগ্রণী, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি। মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এতে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোকবুল হোসেন।

প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাশ হল মালিকদের পক্ষে মূল আলোচনা শুরু করেন। আলোচনায় সুদীপ্ত বলেন, ‘১৯৯৯ সালে সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৩৫টি; শুধু রংপুর জেলাতেই ছিল ১০০টি সিমেনা হল। এখন সারা দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০টি।’

সুদীপ্ত জানান, ‘ঋণ নিয়ে পরিশোধ করব কীভাবে?’ প্রশ্নটি তার সবচেয়ে বেশি শুনতে হয় হল মালিকদের কাছ থেকে।

ভারতীয় সিনেমা দেখাতে চান হল মালিকরা
তথ্য ভবন মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় অতিথিরা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সুদীপ্ত দাবি করেন, ‘ঋণ নেয়ার পর শুধু দেশের সিনেমা প্রদর্শন করে হল মালিকরা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না। এর জন্য প্রয়োজন উপমহাদেশের সিনেমা আমদানি। সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে যে পরিমাণ সিনেমা প্রয়োজন, দেশের পরিচালক-প্রযোজক সে পরিমাণ সিনেমা দিতে পারছেন না, আর খারাপ মানের জন্য বাংলা সিনেমার দর্শকও এখন অনেক কম। তাই প্রয়োজন বিদেশি সিনেমা।’

সুদীপ্ত মনে করেন, রোজার ঈদে যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তেমন সিনেমা যখন দেশের পরিচালক-প্রযোজক নিয়মিত দিতে পারবেন, তখন বিদেশি সিনেমা না আনলেও চলবে। দর্শক সিনেমা দেখতে এলে তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। তখন শত শত সিনেপ্লেক্সও নির্মাণ হবে বলে আশা করেন তিনি।

সুদীপ্তর কথার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন রাজধানীর অভিসার সিনেমা হলের মালিক স্বপন আলী ভুইয়া এবং প্রদর্শক সমিতির আরেক উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন।

সুদীপ্তর প্রস্তাবের সঙ্গে মিয়া আলাউদ্দিন যোগ করে বলেন, ‘ঋণ দেয়া-নেয়ার পদ্ধতি সহজ হতে হবে এবং ঋণের গ্রেস ইয়ার (ঋণ নেয়ার পর নির্দিষ্ট একটি সময়, যে সময়ের মধ্যে লোনের কিস্তি দিতে হয় না, তবে সুদ যুক্ত হতে থাকে) বৃদ্ধি করতে হবে।’

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলাকার পুর্বাশা সিনেমা হলের মালিক খোরশেদ আলম উপমহাদেশের সিনেমা আনার পক্ষে মত দিয়ে বলেন, ‘আমি পুরোনো হল ভেঙে সেখানে সিনেপ্লেক্স করতে চাই।’ তিনি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড তিন বছর করার দাবি জানান।

প্রযোজক, পরিচালক এবং হল মালিক কামাল মোহাম্মদ কীবরিয়া বলেন, ‘যদি উপমহাদেশের সিনেমা না আসে, তাহলে এ ঋণ নেয়া সম্ভব হবে না। খুব চিন্তা করে এ ঋণ নিতে হবে। তা না হলে আরও অনেক হল মালিক দেউলিয়া হয়ে যাবেন।’

কীবরিয়া যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণের ওপর জোর দেন। তিনি জানান, যৌথ প্রযোজনার সিনেমা হল মালিকদের ভালো ব্যবসা দিয়েছে, কিন্তু কিছু অসাধু পক্ষ যৌথ প্রযোজনার সিনেমার নীতিমালা কঠোর করার মাধ্যমে এ ধরনের সিনেমা নির্মাণে নিরুৎসাহিত করেছে প্রযোজকদের। তাই নিয়মটি শিথিল করারও দাবি জানান তিনি।

বগুড়া থেকে এসেছিলেন মধুবন সিনেমার মালিক আর এস ইউনুস। তিনি তার নিজ উদ্যোগে সিনেমা হলের পরিবেশ উন্নত করেছেন বলে জানান। এখনও একটি স্ক্রিন থাকলেও তিনি স্ক্রিন সংখ্যা বাড়াতে চান।

তিনিও ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের সিনেমার আমদানি সহজ করে দেয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কিন্তু শুধু স্ক্রিন থেকেই টাকা আসে না। আমার ফুড কোর্ট থেকে টাকা আসে, দোকান থেকে টাকা আসে, সেখানে যারা বিজ্ঞাপন দেয়, সেখান থেকে টাকা আসে। এমন করে সবার পরিকল্পনা করতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ ও জেলায় সাড়ে ৪ শতাংশ– ঋণের সুদের হার দুই রকম। আমার মনে হয় এটা তিন রকম করা উচিত, উপজেলায় আরও কম সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত।’

ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে ঢাকায় এসে ঋণ নেয়ার পরামর্শ দেন ইউনুস। কারণ উপজেলা শহরে ঋণের আবেদন করলে তা পেতে অনেক সময় লাগে।

প্রায় একই কথা বলেন গোবিন্দগঞ্জের ‘ইদ্রিস’ হলের মালিক আমির হামজা। সভায় ডি এ তায়েব জানান, তিনি টাঙ্গাইলে সিনেপ্লেক্স তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেছেন।

ব্লকবাস্টার সিনেমাসের জাহিদ হোসেন চৌধুরী সবাইকে সিনেপ্লেক্স নির্মাণে প্রযুক্তিগত সাহায্যের আশ্বাস দেন।

রূপালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নতুন প্রকল্পের জন্য গ্রেস ইয়ার বাড়ানো যেতেই পারে। তবে যারা প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার করবেন, তাদের জন্য এর খুব একটা প্রয়োজন হবে না। সুদের হার নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন। যদি বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের নির্দেশ দেয়, অবশ্যই আমরা সেভাবে কাজ করব। প্রয়োজনে আমরা একটি অভিযোগ ও পরামর্শ সেল তৈরি করব।’

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যারা লোন নিতে চান, তারা একটি প্রজেক্ট পেপার জমা দেবেন। সেখানে দর্শক নিয়ে জরিপ থাকতে হবে। সেই জরিপ নিয়ে আমরা ভ্যালুয়েশন করব। সেটা আমাদের ঋণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করতে হবে।’

অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বলেন, ‘মার্কেটে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ, দোকান, ফুড কোর্ট, রেস্টুরেন্ট, বেবি কর্নার রেখে যদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে ঋণ পেতে সুবিধা হবে। এটা সময়োপযোগীও। আমরা ঋণ দিতেও আগ্রহী হব।’

ইউসিবি ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, ‘গ্রেস ইয়ার বাড়ালে হল মালিকদেরই বেশি প্রেসার হবে। তাই এটা না বাড়ানোই ভালো। কেউ ১০ কোটি টাকা নিলে তার মাসে সুদ আসবে ১৫ লাখ টাকা। আপনারা সেই হিসাব করে ঋণ নেবেন। তবে হল সংস্কারের চেয়ে মার্কেট ও সিনেপ্লেক্স বানালে এই টাকা পরিশোধ করা সম্ভব। তবে আপনাদের অবশ্যই প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে প্রজেক্ট প্রোফাইল করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোকবুল হোসেন জানান, সিনেমা আমদানি, যৌথ প্রযোজনার সিনেমার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন তারা। সুদের হার বা গ্রেস টাইম নিয়ে আবার কথা বলবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দর্শকদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, তাই সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা হলেরও পরিবর্তন দরকার। এখন সিঙ্গেল স্ক্রিনের চাহিদা কমেছে। অল্প সিটের তিন-চারটি করে প্রেক্ষাগৃহের চল এখন। আপনারা যাতে মার্কেট করে তাতে সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি অন্য কাজও করতে পারেন, সেভাবেই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। আর আপনারা যদি মার্কেটসহ সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করেন, তাহলে প্রজেক্টটি অনেক ভায়াবল হবে, ঋণ পেতে অসুবিধা হবে না। পজেশন বিক্রি, প্রতি মাসে ভাড়াসহ নানা উপায় তৈরি হবে ঋণ পরিশোধ ও আয়ের।’

কেউ সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চাইলে ১০ কোটি ও প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাবেন।
আমদানি ও যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণের নিয়ম যেন শিথিল করা হয়, সেই বিষয়টিও দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারে ঋণ নিতে ৫১টি আবেদন
বাড়ছে মাল্টিপ্লেক্স, বন্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল স্ক্রিন
আনন্দ চালু হচ্ছে, বন্ধ থাকছে বলাকা-মধুমিতা
সিনেমা হল: হাজার কোটি টাকার ঋণ যেসব শর্তে
সব সিনেমা হল খুলবে কি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Tabu is appearing in terrible form again

ফের ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হচ্ছেন টাবু

ফের ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হচ্ছেন টাবু

চরিত্রের গভীরতা, আত্মস্থ অভিনয় আর চোখে না দেখা অনুভবকে পর্দায় ছুঁয়ে দেওয়ার ক্ষমতায় বলিউড অভিনেত্রী টাবু বরাবরই অন্যদের থেকে আলাদা। সংবেদনশীল মা, রহস্যে মোড়া নারী কিংবা প্রতিবাদী আত্মা। প্রতিটি ভূমিকায় তিনি নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। এবার সেই গুণী অভিনেত্রী সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রূপে ফিরছেন বড়পর্দায়।

বলিউড আর দক্ষিণী সিনেমার গণ্ডি ছাড়িয়ে, টাবু এবার অভিনয় করতে চলেছেন একেবারে শক্তিশালী, নির্মম এবং জটিল এক খল চরিত্রে। দক্ষিণ ভারতের খ্যাতনামা নির্মাতাপুরী জগন্নাথ পরিচালিত নতুন সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। ছবিতে টাবুর বিপরীতে থাকছেন জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় সেতুপতি, যিনি তার অভিনয়ের পরিধি ও চরিত্র নির্বাচনের জন্যই আলাদা করে পরিচিত।

টাবু ও বিজয়ের এই প্রথম একসঙ্গে কাজ, আর এই যুগলবন্দি নিয়েই ইতোমধ্যে বলিউড ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে শুরু হয়েছে চর্চা। নির্মাতাদের ভাষায়, দুই অভিজ্ঞ শিল্পীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে এই ছবির মূল আকর্ষণ। যদিও ছবির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে জানা গেছে, এটি হবে একটি অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার সিনেমা। বর্তমানে চলছে চিত্রনাট্যের কাজ। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষ দিকে শুটিং শুরু হবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

টাবুর এই চরিত্রটি তার আগের সব নেতিবাচক ভূমিকাগুলোর চেয়েও বেশি তীক্ষ্ণ ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে জটিল বলে দাবি নির্মাতাদের। ‘মকবুল’, ‘হায়দার’, ‘অন্ধাধুন’-এ তিনি যে ধূসর আবহে অভিনয় করেছেন, তা এখনো সিনেমাপ্রেমীদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে। তবে এবারের চরিত্রে তিনি হতে চলেছেন আরও ভয়ঙ্কর, আরও প্রভাবশালী। এই চরিত্রের জন্য টাবু নিচ্ছেন বিশেষ প্রস্তুতি।

শুধু মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নয়, মারপিটের দৃশ্যগুলোকে বাস্তবসম্মত করে তুলতে তাকে শিখতে হচ্ছে বিশেষ রকমের স্টান্ট ও ফিজিক্যাল ট্রেনিংও। চরিত্রের খুঁটিনাটি বুঝে নিতে নিজেই ব্যস্ত রেখেছেন নিজেকে।

এদিকে টাবুর হাতে বর্তমানে রয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘দৃশ্যম ৩’, যা এই জনপ্রিয় থ্রিলার ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। প্রথম দুটি কিস্তিতে একজন ক্ষুব্ধ পুলিশ অফিসার হিসেবেই তিনি ছিলেন দর্শকদের কাছে আতঙ্ক ও সহানুভূতির মিশ্রণ। নির্মাতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তৃতীয় কিস্তিতে তার চরিত্র আরও জটিল ও দ্বন্দ্বে ভরা হবে।

টাবু মানেই অভিনয়ে ভরসা। আর এবার যখন তিনি পুরোদস্তুর খলচরিত্রে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের আগ্রহও তুঙ্গে। এই ছবিটি শুধু তার ক্যারিয়ারের জন্য নয়; বরং সমগ্র ভারতীয় সিনেমার খলচরিত্রের উপস্থাপনাতেই একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এখন শুধু অপেক্ষা। এই ভয়ঙ্কর সুন্দর টাবুকে বড় পর্দায় দেখার। সূত্র: গিল্ড ডটকম।

মন্তব্য

বিনোদন
The legendary actor of the south went to Kota Srinivas Rao

চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও

চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও

তেলেগু চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা ও সাবেক বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই। রবিবার (১৩ জুলাই) ভোর রাতে তিনি হায়দরাবাদের ফিল্মনগর এলাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। কোটা শ্রীনিবাস রাও রেখে গেছেন স্ত্রী রুক্মিণী ও দুই কন্যাকে।

জন্ম ও শুরু

১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কাঙ্কিপাড়ু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কোটা শ্রীনিবাস রাও। তার মা কোটা সীতারামার অনুপ্রেরণায় ছাত্রজীবনেই তিনি মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন।

চলচ্চিত্র জীবন

১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রাণম খারেদু’ ছবির মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয়। এরপর দীর্ঘ অভিনয়জীবনে তিনি অভিনয় করেছেন প্রায় ৭৫০টি সিনেমায়। এর মধ্যে রয়েছে তামিল, হিন্দি, কন্নড় ও একটি মালয়ালম ভাষার সিনেমাও।

খলঅভিনেতা, চরিত্রাভিনেতা এবং কমেডিয়ান—সব ধরনের ভূমিকায় তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৯টি নন্দী পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৫ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।

রাজনৈতিক জীবন

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজয়ওয়াড়া (পূর্ব) বিধানসভা আসনের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Three movies of the tide awaiting release

মুক্তির অপেক্ষায় জয়ার তিন সিনেমা

মুক্তির অপেক্ষায় জয়ার তিন সিনেমা

সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢাকা ও কলকাতা দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সমানতালে কাজ করছেন তিনি। গত কোরবানি ঈদেই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তার দুই সিনেমা ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’। তার আগে মুক্তি পায় ‘জয়া ও শারমিন’ নামে আরও এক সিনেমা।

দুই মাসে মুক্তি পায় জয়ার তিন সিনেমা। সেগুলোর প্রচার-প্রচারণায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় ডাক আসে কলকাতা থেকে। উড়াল দেন সেখানে। অংশ নেন ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’ নামে একটি সিনেমার শুটিংয়ে। যা সম্প্রতি শেষ করেছেন। এটি দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমার সিকুয়েল। চলতি বছরেই সিনেমাটির মুক্তির সম্ভাবনা আছে।

এদিকে ১৮ জুলাই সেখানে মুক্তি পাচ্ছে জয়া অভিনীত সিনেমা ‘ডিয়ার মা’। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী নির্মিত এ সিনেমার প্রচার নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে এর ট্রেলার। সেখানে জয়ার সঙ্গে তার দত্তকসন্তানের রসায়ন তুলে ধরা হয়েছে।

‘ডিয়ার মা’ সিনেমায় জয়া আহসানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন চন্দন রায় সান্যাল। আরও অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এবং মালায়ালাম অভিনেত্রী পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন।

এদিকে এ সিনেমা নিয়ে আলোচনায় মধ্যেই জয়া অভিনীত আরও এক টালিউড সিনেমার মুক্তির ঘোষণা আসে। আগামী ১ আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাস অবলম্বনে এটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়

মন্তব্য

বিনোদন
Shanaya Kapoor caught the eye of the first film

প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন শানায়া কাপুর

প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন শানায়া কাপুর

বলিউডে নিজের যাত্রা শুরু করেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন নবাগত অভিনেত্রী শানায়া কাপুর। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘আঁখোঁ কী গুস্তাখিয়া’-তে নিজের অভিনয় ও উপস্থিতি দিয়ে দর্শকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

স্টারকিডদের তালিকায় নতুন সংযোজন শানায়া কাপুর, জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় কাপুরের কন্যা। তবে শুধুই পরিচিতি নয়, অভিনয়, ফ্যাশন সেন্স ও গ্ল্যামারের দিক থেকেও ইতিমধ্যে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করতে শুরু করেছেন এই উঠতি তারকা।

পর্দায় অভিষেকের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন শানায়া। তার সাম্প্রতিক ফটোশ্যুট ও স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুরাগীদের হৃদয় জয় করেছে। আর এখন বলিউডে পা রেখেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণে নেমে পড়েছেন তিনি।

‘আঁখোঁ কী গুস্তাখিয়া’ ছবিতে শানায়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সন্তোষ সিং, কাহিনী লিখেছেন মানসী বাগলা। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে জি স্টুডিওস ও মিনি ফিল্মস।

শানায়া কাপুর বেড়ে উঠেছেন একেবারে ফিল্মি পরিবেশে, পরিবারে বেশিরভাগ সদস্যই যুক্ত অভিনয় জগতে। তবে তিনি চান স্টারকিড নয়, নিজের প্রতিভা দিয়েই বলিউডে নিজস্ব পরিচয় গড়তে। আত্মবিশ্বাস, কঠোর শরীরচর্চা আর নিজেকে শানিয়ে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিনি।

মন্তব্য

বিনোদন
Jenlia thought everyone had forgotten that he saw a different image

জেনেলিয়া ভেবেছিলেন সবাই ভুলে গেছে, ফিরেই দেখলেন ভিন্ন চিত্র

জেনেলিয়া ভেবেছিলেন সবাই ভুলে গেছে, ফিরেই দেখলেন ভিন্ন চিত্র

দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। শুধু তা-ই নয়, অনেক দিন পর তাকে বড় ব্যানারের কোনো ছবিতেও দেখা গেল। আমির খান প্রযোজিত ও অভিনীত ছবি ‘সিতারে জমিন পার’-এর মূল নায়িকা বা ছবিতে আমির খানের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেল থাকে। এখানে ‘সুনীতা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

সিনেমা মুক্তির পর বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাফল্যের বাইরে দর্শকদের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন জেনেলিয়া। ফলে সব কিছু মিলিয়ে সিনেমাটি জেনেলিয়ার জন্য হয়ে উঠেছে বিশেষ। ছবিটির মাধ্যমে দীর্ঘ ১৩ বছর পর একটি হিন্দি ছবিতে ফিরলেন তিনি। শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরে নাল লাভ হো গেয়া’ ছবিতে। এরপর তিনি ‘ইটস মাই লাইফ’ ও ‘মিস্টার মাম্মি’-র মতো কয়েকটি ওটিটিও ছবিতে অভিনয় করেন।

সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইম জেনেলিয়াকে নিয়ে সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখানে নিজের ফিরে আসার সবার এভাবে গ্রহণ করাতে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত তিনি। অভিনেত্রী বলেন, গত ১০ বছরে খুব বেশি কাজ করিনি। হয়তো বন্ধুবান্ধবের জন্য কিছু করেছি, গানের মধ্যে বা ছোটখাটো রোলে। দুই একটা ওটিটি ফিল্ম করেছি। তখন মনে হতো, মানুষ হয়তো আমাকে ভুলে গেছে। এটাই ভেবেছিলাম। আমার অস্তিত্ব যে আছে সেটা আমিও ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মানুষ যখন বলছে, ‘তোমাকে আবার দেখতে চাই’, এটা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

জেনেলিয়া আরও বলেন, সিতারে জমিন পার তো আমির খানের ছবি, স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি মানুষের চোখে পড়বে। কিন্তু আমি ভাবতেই পারিনি সেই আলোচনার ভেতরেও আমি আছি। কেউ যখন বলে, ‘তোমাকে আরও দেখতে চাই’-এটা একজন অভিনেতা ও মানুষ হিসেবে বিরল সৌভাগ্যেরই বলা যায়।

জেনেলিয়া জানালেন, ছবির প্রস্তাবটি আমির খানের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন তিনি। তার ভাষ্য, একদিন আমির রিতেশকে কোথাও আমির খান দেখে জিজ্ঞেস করেন, ‘জেনেলিয়া কি কাজ করছে এখনো?’ রিতেশ তখন বলে, হ্যাঁ করছে। এরপর আমির আমাকে বলেন পরিচালক আরএস প্রসন্নর সঙ্গে দেখা করতে। আমি অডিশন দিই, আর সেখান থেকেই ছবিতে আমার জায়গা হয়। অনেকেই ভাবতে পারে, ২০ বছরের ক্যারিয়ারের পরেও কেন অডিশন? কিন্তু আমি মনে করি, এটা একটা দারুণ প্রক্রিয়া-এভাবেই কাজ পাওয়া উচিত। আমি খুব খুশি যে সেই পথেই এগিয়েছি।

‘সিতারে জমিন পার’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে একদল বিশেষভাবে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্কদের ঘিরে, যারা একটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ পায় এক আত্মকেন্দ্রিক ও উদ্ধত কোচের কাছে-এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। জেনেলিয়া সেখানে তার সাহসী ও সমর্থনকারী স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

ছবির সাফল্য নিয়ে জেনেলিয়া আরও বলেন, ‘ছবির মুক্তির দিন থেকে রবিবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত যেভাবে কালেকশন বেড়েছে, সেটা অনেকটাই মুখে মুখে প্রচারের কারণে। আমি বিশ্বাস করি, আপনি যদি একটা ভালো ছবি বানান, তাহলে সেটা নিজেই তার দর্শক খুঁজে নেয়। আমি খুব খুশি ছবিটা যা করেছে, বিশেষ করে আমাদের ‘সিতারাদের’ জন্য। আমি সত্যিই চাইছিলাম ছবিটা তাদের জন্য একটা ব্লকবাস্টার হোক। এটা আমার জীবনে প্রথম ছবি, যেখানে ‘ইনক্লুশন’ বা সবার গ্রহণযোগ্যতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। এটা ভীষণভাবে গর্বের।’

মন্তব্য

বিনোদন
Bubli waiting for three pictures

তিন ছবির অপেক্ষায় বুবলী

তিন ছবির অপেক্ষায় বুবলী

গত কয়েক বছরে ব্যস্ততা ও দর্শকপ্রিয়তায় নায়িকাদের মধ্যে বেশ এগিয়ে রয়েছেন শবনম বুবলী। ধারাবাহিকভাবে ঈদসহ বড় উৎসবে মুক্তি পেয়েছে তার ছবি। সবশেষ চলতি বছরের রোজার ঈদে ‘জংলি’ সিনেমা নিয়ে হাজির হন বুবলী। এতে তার নায়ক ছিলেন সিয়াম আহমেদ। শাকিব খানের ‘বরবাদ’ ছবির সঙ্গে মুক্তি পায় ছবিটি। তারপরও সিনেপ্লেক্সে বেশ ভালো দর্শকপ্রিয়তা পায়। গত কোরবানির ঈদেও বুবলীর ‘সর্দার বাড়ির খেলা’ ছবিটি মুক্তির কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তবে, সামনেই মুক্তি পাবে ছবিটি। রাখাল সবুজ পরিচালিত সরকারি অনুদানের এ ছবিতে বুবলীর নায়ক জিয়াউল রোশান। অন্যদিকে, এ নায়িকার ‘পিনিক’ শিরোনামের থ্রিলার ছবিও প্রস্তুত। যেকোনো সময় এ ছবির মুক্তির ঘোষণাও আসতে পারে। জাহিদ জুয়েলের পরিচালনায় এতে তার নায়ক আদর আজাদ। অন্যদিকে, গত মাসে বুবলী শুটিং করেছেন নতুন আরও একটি সিনেমার। ‘শাপলা শালুক’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার। এতে বুবলী অভিনয় করছেন সজলের বিপরীতে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন লোকেশনে এই ছবির শুটিং হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথমবার জুটি বাঁধছেন সজল-বুবলী। ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন- সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ। এদিকে, নিজের নতুন এ তিন ছবি প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘শাপলা শালুক’র কাজ কিছুটা বাকি রয়েছে। তবে, যে তিনটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর গল্প দর্শক পছন্দ করবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনটি ছবিতেই আমি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করেছি। আশা করছি, মুক্তি পেলে ছবি তিনটি দর্শকপ্রিয়তায় থাকবে।

মন্তব্য

বিনোদন
Eye catching

চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত হৃতিকের

চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত হৃতিকের

বলিউডের অন্যতম ‘ফিট’ অভিনেতা হৃতিক রোশন। তার সুঠাম চেহারায় অনুপ্রাণিত আট থেকে আশি। তবে কৈশোর থেকে যৌবনে পা দেওয়ার সময় পর্বে এমন নায়কোচিত চেহারা ছিলো না হৃতিকের। যা ছিল তা হল তার মায়াবী দুই চোখ। ছোটবেলা থেকেই ঈষৎ কটা তার চোখের মণি। যৌবনে ওই চোখের গহনে মন হারিয়েছেন বহু নায়িকাই। তার চোখের চাহনিতে বাঁধা পড়েছিলেন মেক্সিকান সুন্দরী বারবারা মোরে। এ বার নিজের চক্ষুদানের সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেতা। সিদ্ধান্তটা বহু বছর আগে নেওয়া। নিজের ৪৩ তম জন্মদিনে মৃত্যুর পর চক্ষুদানের জন্য নিবন্ধীকরণ করিয়েছেন। যদিও প্রথম কাউকে কিছু জানাতে চাননি অভিনেতা। পরে অবশ্য সকলকে জানান। তিনি চক্ষুদানের জন্য উৎসাহিত করেন সাধারণ মানুষকে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকবছর আগে ‘কাবিল’ ছবিতে হৃতিক অন্ধ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয় জীবনের পঁচিশ বছর পার করে ফেলেছেন হৃতিক। এত বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম হৃতিক কোন ছবি পরিচালনা করতে চলেছেন। বাবা রাকেশের সঙ্গে ‘কৃশ ৪’-এ প্রযোজক হিসেবে জুটি বেঁধেছে যশরাজ ফিল্মস।

মন্তব্য

p
উপরে