× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
The owners want to show Indian movies
google_news print-icon

ভারতীয় সিনেমা দেখাতে চান হল মালিকরা

ভারতীয়-সিনেমা-দেখাতে-চান-হল-মালিকরা
বলাকা সিনেমা হল। ছবি: সংগৃহীত
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় হল মালিকরা বললেন, দেশের সিনেমা দিয়ে তাদের আয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই সীমিত আকারে ভারতীয় বা উপমহাদেশের সিনেমা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমদানি করার সুযোগ দেয়া হোক। সেটা বছরে ১০-১৫টিও হতে পারে।

পুরোনো সিনেমা হল সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল নির্মাণের জন্য ঋণ নিতে রাজি আছেন হল মালিকরা। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধের জন্য দেশের সিনেমার পাশাপাশি উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির দাবি করেছেন হল মালিকরা।

তারা বলছেন, ঋণ পরিশোধের জন্য হল মালিকদের প্রয়োজন আয়। দেশের সিনেমা দিয়ে সেই আয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই হল মালিকদের সীমিত আকারে ভারতীয় বা উপমহাদেশের সিনেমা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমদানি করার সুযোগ দেয়া হোক। সেটা বছরে ১০-১৫টিও হতে পারে।

হল মালিকরা মনে করছেন, এটি করা হলে তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। এমনকি এতে দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়বে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে ‘দেশের বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল/সিনেপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যে অংশীদারদের সঙ্গে ঋণ সুবিধাপ্রাপ্তি ও ঋণের সুষ্ঠু ব্যবহার’বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই হল মালিকরা উপমহাদেশের সিনেমা আমদানিসহ নানা দাবি উপস্থাপন করেন।

সিনেমা আমদানির ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পরিচালক, প্রযোজক ও হল মালিকরা চাইলেও শিল্পী সমিতির নেতারা উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানিতে মত দিচ্ছিলেন না। এখন আবার কথা বলতে হবে। সবাই যদি একমত হন, অবশ্যই কিছু সিনেমা আমদানি করা যেতে পারে।’

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর থেকে ভারতীয় সিনেমার আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনতার পরও এ নিষেধাজ্ঞা আর প্রত্যাহার করা হয়নি। হল মালিকরা বিভিন্ন সময় ভারতীয় সিমেনা আমদানি ও প্রদর্শনের উদ্যোগ নিলে চলচ্চিত্র পরিচালক ও কলাকুশলীদের আন্দোলনের কারণে সেসব পদক্ষেপ বাতিল হয়।

তথ্য ভবনে বৃহস্পতিবারের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ১০৭ জন হল মালিক। এর মধ্যে নতুন সিনেপ্লেক্স নির্মাণে আগ্রহী সাতজন ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন রূপালী, অগ্রণী, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি। মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এতে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোকবুল হোসেন।

প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাশ হল মালিকদের পক্ষে মূল আলোচনা শুরু করেন। আলোচনায় সুদীপ্ত বলেন, ‘১৯৯৯ সালে সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৩৫টি; শুধু রংপুর জেলাতেই ছিল ১০০টি সিমেনা হল। এখন সারা দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০টি।’

সুদীপ্ত জানান, ‘ঋণ নিয়ে পরিশোধ করব কীভাবে?’ প্রশ্নটি তার সবচেয়ে বেশি শুনতে হয় হল মালিকদের কাছ থেকে।

ভারতীয় সিনেমা দেখাতে চান হল মালিকরা
তথ্য ভবন মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় অতিথিরা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সুদীপ্ত দাবি করেন, ‘ঋণ নেয়ার পর শুধু দেশের সিনেমা প্রদর্শন করে হল মালিকরা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না। এর জন্য প্রয়োজন উপমহাদেশের সিনেমা আমদানি। সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে যে পরিমাণ সিনেমা প্রয়োজন, দেশের পরিচালক-প্রযোজক সে পরিমাণ সিনেমা দিতে পারছেন না, আর খারাপ মানের জন্য বাংলা সিনেমার দর্শকও এখন অনেক কম। তাই প্রয়োজন বিদেশি সিনেমা।’

সুদীপ্ত মনে করেন, রোজার ঈদে যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তেমন সিনেমা যখন দেশের পরিচালক-প্রযোজক নিয়মিত দিতে পারবেন, তখন বিদেশি সিনেমা না আনলেও চলবে। দর্শক সিনেমা দেখতে এলে তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। তখন শত শত সিনেপ্লেক্সও নির্মাণ হবে বলে আশা করেন তিনি।

সুদীপ্তর কথার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন রাজধানীর অভিসার সিনেমা হলের মালিক স্বপন আলী ভুইয়া এবং প্রদর্শক সমিতির আরেক উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন।

সুদীপ্তর প্রস্তাবের সঙ্গে মিয়া আলাউদ্দিন যোগ করে বলেন, ‘ঋণ দেয়া-নেয়ার পদ্ধতি সহজ হতে হবে এবং ঋণের গ্রেস ইয়ার (ঋণ নেয়ার পর নির্দিষ্ট একটি সময়, যে সময়ের মধ্যে লোনের কিস্তি দিতে হয় না, তবে সুদ যুক্ত হতে থাকে) বৃদ্ধি করতে হবে।’

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলাকার পুর্বাশা সিনেমা হলের মালিক খোরশেদ আলম উপমহাদেশের সিনেমা আনার পক্ষে মত দিয়ে বলেন, ‘আমি পুরোনো হল ভেঙে সেখানে সিনেপ্লেক্স করতে চাই।’ তিনি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড তিন বছর করার দাবি জানান।

প্রযোজক, পরিচালক এবং হল মালিক কামাল মোহাম্মদ কীবরিয়া বলেন, ‘যদি উপমহাদেশের সিনেমা না আসে, তাহলে এ ঋণ নেয়া সম্ভব হবে না। খুব চিন্তা করে এ ঋণ নিতে হবে। তা না হলে আরও অনেক হল মালিক দেউলিয়া হয়ে যাবেন।’

কীবরিয়া যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণের ওপর জোর দেন। তিনি জানান, যৌথ প্রযোজনার সিনেমা হল মালিকদের ভালো ব্যবসা দিয়েছে, কিন্তু কিছু অসাধু পক্ষ যৌথ প্রযোজনার সিনেমার নীতিমালা কঠোর করার মাধ্যমে এ ধরনের সিনেমা নির্মাণে নিরুৎসাহিত করেছে প্রযোজকদের। তাই নিয়মটি শিথিল করারও দাবি জানান তিনি।

বগুড়া থেকে এসেছিলেন মধুবন সিনেমার মালিক আর এস ইউনুস। তিনি তার নিজ উদ্যোগে সিনেমা হলের পরিবেশ উন্নত করেছেন বলে জানান। এখনও একটি স্ক্রিন থাকলেও তিনি স্ক্রিন সংখ্যা বাড়াতে চান।

তিনিও ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের সিনেমার আমদানি সহজ করে দেয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কিন্তু শুধু স্ক্রিন থেকেই টাকা আসে না। আমার ফুড কোর্ট থেকে টাকা আসে, দোকান থেকে টাকা আসে, সেখানে যারা বিজ্ঞাপন দেয়, সেখান থেকে টাকা আসে। এমন করে সবার পরিকল্পনা করতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ ও জেলায় সাড়ে ৪ শতাংশ– ঋণের সুদের হার দুই রকম। আমার মনে হয় এটা তিন রকম করা উচিত, উপজেলায় আরও কম সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত।’

ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে ঢাকায় এসে ঋণ নেয়ার পরামর্শ দেন ইউনুস। কারণ উপজেলা শহরে ঋণের আবেদন করলে তা পেতে অনেক সময় লাগে।

প্রায় একই কথা বলেন গোবিন্দগঞ্জের ‘ইদ্রিস’ হলের মালিক আমির হামজা। সভায় ডি এ তায়েব জানান, তিনি টাঙ্গাইলে সিনেপ্লেক্স তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেছেন।

ব্লকবাস্টার সিনেমাসের জাহিদ হোসেন চৌধুরী সবাইকে সিনেপ্লেক্স নির্মাণে প্রযুক্তিগত সাহায্যের আশ্বাস দেন।

রূপালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নতুন প্রকল্পের জন্য গ্রেস ইয়ার বাড়ানো যেতেই পারে। তবে যারা প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার করবেন, তাদের জন্য এর খুব একটা প্রয়োজন হবে না। সুদের হার নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন। যদি বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের নির্দেশ দেয়, অবশ্যই আমরা সেভাবে কাজ করব। প্রয়োজনে আমরা একটি অভিযোগ ও পরামর্শ সেল তৈরি করব।’

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যারা লোন নিতে চান, তারা একটি প্রজেক্ট পেপার জমা দেবেন। সেখানে দর্শক নিয়ে জরিপ থাকতে হবে। সেই জরিপ নিয়ে আমরা ভ্যালুয়েশন করব। সেটা আমাদের ঋণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করতে হবে।’

অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বলেন, ‘মার্কেটে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ, দোকান, ফুড কোর্ট, রেস্টুরেন্ট, বেবি কর্নার রেখে যদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে ঋণ পেতে সুবিধা হবে। এটা সময়োপযোগীও। আমরা ঋণ দিতেও আগ্রহী হব।’

ইউসিবি ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, ‘গ্রেস ইয়ার বাড়ালে হল মালিকদেরই বেশি প্রেসার হবে। তাই এটা না বাড়ানোই ভালো। কেউ ১০ কোটি টাকা নিলে তার মাসে সুদ আসবে ১৫ লাখ টাকা। আপনারা সেই হিসাব করে ঋণ নেবেন। তবে হল সংস্কারের চেয়ে মার্কেট ও সিনেপ্লেক্স বানালে এই টাকা পরিশোধ করা সম্ভব। তবে আপনাদের অবশ্যই প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে প্রজেক্ট প্রোফাইল করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোকবুল হোসেন জানান, সিনেমা আমদানি, যৌথ প্রযোজনার সিনেমার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন তারা। সুদের হার বা গ্রেস টাইম নিয়ে আবার কথা বলবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দর্শকদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, তাই সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা হলেরও পরিবর্তন দরকার। এখন সিঙ্গেল স্ক্রিনের চাহিদা কমেছে। অল্প সিটের তিন-চারটি করে প্রেক্ষাগৃহের চল এখন। আপনারা যাতে মার্কেট করে তাতে সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি অন্য কাজও করতে পারেন, সেভাবেই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। আর আপনারা যদি মার্কেটসহ সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করেন, তাহলে প্রজেক্টটি অনেক ভায়াবল হবে, ঋণ পেতে অসুবিধা হবে না। পজেশন বিক্রি, প্রতি মাসে ভাড়াসহ নানা উপায় তৈরি হবে ঋণ পরিশোধ ও আয়ের।’

কেউ সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চাইলে ১০ কোটি ও প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাবেন।
আমদানি ও যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণের নিয়ম যেন শিথিল করা হয়, সেই বিষয়টিও দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারে ঋণ নিতে ৫১টি আবেদন
বাড়ছে মাল্টিপ্লেক্স, বন্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল স্ক্রিন
আনন্দ চালু হচ্ছে, বন্ধ থাকছে বলাকা-মধুমিতা
সিনেমা হল: হাজার কোটি টাকার ঋণ যেসব শর্তে
সব সিনেমা হল খুলবে কি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Bobby Deol will surprise Aliya Alfa alfat?

আলিয়ার ‘আলফা’তে কোন চরিত্রে চমক দেবেন ববি দেওল?

আলিয়ার ‘আলফা’তে কোন চরিত্রে চমক দেবেন ববি দেওল?

বলিউডের খ্যাতিমান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মসের ‘পুরুষতান্ত্রিক’ স্পাই ইউনিভার্সের ভিড়ে গোয়েন্দা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন আলিয়া ভাট। খবরটি ২০২৪ সালেই জানা গিয়েছিল। এদিকে গত বৃহস্পতিবার মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার টু’ সিনেমায় মিলল প্রযোজনা সংস্থার পরবর্তী গোয়েন্দা গল্পের সিনেমার ঝলক। এতে বড় চমক হিসেবে দেখা গেল ‘লর্ড ববি’কে অর্ধাৎ ববি দেওলকে। ২০২৩ সালে আলোচিত ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন এই অভিনেতা। পর্দায় ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের হিংস্র খলনায়ক হিসেবে নজর কেড়েছিলেন তিনি। তার অভিনীত ‘জামাল কুদু’ নাচের শৈলীতে বুঁদ থেকেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বলিউডের অনেক দর্শক। এবার যশরাজের গোয়েন্দা শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।

জুলাই মাসে ‘ওয়ার টু’ সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন আলিয়া ভাট। সে সময়ে অনেকেই ভেবেছিলেন হৃতিকের মেগাবাজেট স্পাই ড্রামায় সম্ভবত তাকেও দেখা যাবে। তবে গত বৃহস্পতিবার সিনেমাটি মুক্তির দিনই সিনেমার শেষপ্রান্তে সব পরিস্কার করে দিল সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থা। হৃতিক-এনটিআরের ফ্রেন্ডশিপ ইনিংস শেষ হতে না হতেই ক্যামেরায় ফুটে উঠে এক কিশোরীর হাতে গ্রিক অক্ষর ‘আলফা’ ট্যাটু করানোর দৃশ্য। যে ট্যাটু এঁকে দিতে দেখা গেল ববি দেওলকে। এই অক্ষরের গুরুত্ব কী? কিশোরীর মনে প্রশ্ন জাগতেই ববি খোদাই মেশিন থামিয়ে উত্তর দিলেন, আলফা লেখা কারণ দুনিয়ার সব জঙ্গলে যেন এই অক্ষরেরই রাজত্ব চলে। সম্ভবত যশরাজের গোয়েন্দা ব্রহ্মাণ্ডের পরবর্তী সিনেমার প্লট এমন প্রেক্ষাপটেই সাজানো হয়েছে।

কোন চরিত্রে চমক দেবেন ববি দেওল? জানা গেল, আলিয়া ভাটের ‘আলফা’ সিনেমাতে অভিনেতাকে খল চরিত্রে পাওয়া যাবে। অ্যানিম্যাল-এর পর এবার আবার ভিলেন বেশে কেমন চমক দেন তিনি? সবার নজর থাকবে সেদিকে।

মন্তব্য

বিনোদন
Samira Reddy returns after 5 years

১৩ বছর পর ফিরছেন সমীরা রেড্ডি

১৩ বছর পর ফিরছেন সমীরা রেড্ডি

একসময় বলিউডের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন সমীরা রেড্ডি। ‘রেস’, ‘দে দানা দন’সহ বেশ কয়েকটি হিট ছবির নায়িকা তিনি। ১৩ বছর ধরে পর্দায় অনুপস্থিত সমীরা। ২০১২ সালের ‘তেজ’ ছিল তার শেষ ছবি।

দীর্ঘ বিরতির পর এবার ফিরছেন ভৌতিক ছবি ‘চিমনি’ নিয়ে। সমীরা জানান, তার এই প্রত্যাবর্তনের প্রেরণা এসেছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে, নিজের ছেলের কাছ থেকে। বলেন, ‘এক বছর আগে আমার ছেলে রেস দেখে অবাক হয়ে বলল, ‘মা, তুমি আবার অভিনয় করছ না কেন?’ আমি বললাম, কারণ আমি তো তোমাদের দেখাশোনাতেই ব্যস্ত। ও-ই আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করল।

‘চিমনি’ শুটিং সেটে প্রথম দিনে নার্ভাস ছিলেন তিনি। সমীরার মনে হয়েছিল, যেন সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করছেন। তবে ক্যামেরা চালু হওয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বলেন, ‘অ্যাকশন শুনেই আমি চরিত্রে ঢুকে গেলাম এবং পরিচালক যেমন চেয়েছেন, তেমনভাবে অভিনয় করলাম।’ এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘চিমনি’র টিজার। শিগগিরই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।

মন্তব্য

বিনোদন
Sayyara in second place behind the Amir Salman Akshay movie

আমির-সালমান-অক্ষয়ের সিনেমা পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে ‘সাইয়ারা’

আমির-সালমান-অক্ষয়ের সিনেমা পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে ‘সাইয়ারা’

মোহিত সুরির পরিচালনায় ‘সাইয়ারা’ ২০২৫-এ বলিউডে একের এর এক রেকর্ড গেড়েছে। এই সিনেমার সুবাদে নবাগত আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডা যেন রাতারাতি হয়ে উঠেছেন বি-টাউনের নতুন সেনসেশন। শুধু তারকাখ্যাতি নয়- ‘সাইয়ারা’ জায়গা করে নিয়েছে বছরের অন্যতম আলোচিত ও ব্লকবাস্টার ছবির তালিকায়। সেইসঙ্গে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে সিনেমাটি।

বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘সাইয়ারা’ ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা। এটি বিশ্বব্যাপী আয় ৫৪১.১৩ কোটি রুপি, যার মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ আয় চার সপ্তাহে পৌঁছেছে ৩১৯.৭১ কোটি রুপি।

সিনেমাটি ইতোমধ্যেই পেছনে ফেলেছে আমির খানের ‘সিতারে জামিন পর’, অজয় দেবগনের ‘রেইড ২’, সালমান খানের ‘সিকান্দার’ এবং অক্ষয় কুমারের ‘স্কাই ফোর্স’-এর মতো ছবিকে।

‘সাইয়ারা’ বিশেষ করে তরুণদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছে। সিনেমা হলে দর্শকদের কাঁদার দৃশ্যও ভাইরাল হয়েছে- এটা প্রমাণ করে, গল্পের আবেগ কতটা গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে তাদের মন।

সিনেমার হলে সাফল্যের পর ওটিটিতে আসছে সিনেমাটি। যশরাজ ফিল্মসের কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মা ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা করেছেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নেটফ্লিক্সে ‘সাইয়ারা’র স্ট্রিমিং শুরু হবে। আহান ও অনিতের পোস্টার সম্বলিত রি-শেয়ার করা পোস্টে মুক্তির তারিখ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার ঢেউ।

মন্তব্য

বিনোদন
Priyanka wanted to commit suicide because of that

যে কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন প্রিয়াংকা

যে কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন প্রিয়াংকা

আজ আমরা যার কথা বলছি, তিনি শুধু বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজনই নন— তিনি হলিউডেও বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি এখন আন্তর্জাতিক তারকা। যদিও তার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে।

সেখান থেকে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করা এবং ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হয়ে ওঠার লড়াইটা সহজ ছিল না।

এরপর বলিউডের সীমা টপকে তিনি এখন হলিউডেও নিজের একটি জায়গা তৈরি করেছেন। সেখানেও নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্বের ছাপ রেখেছেন।

তিনি আর কেউ নন ‘দেশি গার্ল’খ্যাত অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া। তিনি এখন গ্লোবাল আইকন। বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় প্রতিনিধিত্বের এক উজ্জ্বল মুখ। কিন্তু আপনি জানেন কি, এ অভিনেত্রী সাফল্যের পেছনে রয়েছে সংগ্রামে গল্প?

প্রিয়াংকার এ জায়গায় পৌঁছানোর লড়াইটা সহজ ছিল না। তার যাত্রাপথে এসেছে বহু চ্যালেঞ্জ। গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ, ক্যারিয়ারের শুরুতে অবহেলা— বলিউড হোক কিংবা হলিউড, তাকে বারবার প্রমাণ করতে হয়েছে নিজের যোগ্যতা। তবে তিনি টিনএজ লাইফেই এতটা মানসিক চাপে ছিলেন, মাত্র ১৮ বছর বয়সে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন অভিনেত্রী।

এ হৃদয়বিদারক তথ্য প্রকাশ করেছেন তার সাবেক ম্যানেজার। তবু, সব বাধা পেরিয়ে প্রিয়াংকা আজ এক অনুপ্রেরণা— যার গল্প শুধু সাফল্যের নয়, সাহস, আত্মবিশ্বাস ও অদম্য মানসিক শক্তির প্রতিচ্ছবি।

মন্তব্য

বিনোদন
Alamgir became the hero because the director rented the house

পরিচালক বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে নায়ক হন আলমগীর!

পরিচালক বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে নায়ক হন আলমগীর!

নব্বই দশক পুরোটাই মাতিয়ে রেখেছিলেন যে অভিনেতা তার নাম আলমগীর। আলমগীর সিনেমায় আছে মানেই, সিনেমাটি দেখতে হবে- এমনটাই ছিল তখনকার মানুষের ভাষ্য। সেই আলমগীর চলচ্চিত্রে এসেছিলেন একটি কাকতালীয় ঘটনার কারণে। আলমগীরদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া এসেছিলেন একজন চিত্র পরিচালক।

এই পরিচালক যদি সেদিন বাসাটি ভাড়া না নিতেন তাহলে হয়তো এদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি পেত না আলমগীরকে।

এমনটাই জানালেন কন্যা আঁখি আলমগীর। এক ফেসবুক পোস্টে আঁখি আলমগীর একটি ছবি শেয়ার করে বলেন, ছবিতে পুরোটা দেখা যাচ্ছে না, এল শেপ্ড এই বাড়িটি তেজগাঁও স্টেশন রোডে অবস্থিত আমার দাদার বাড়ি। ১৯৫৫ সালে নির্মিত। আমার জন্যে অনেক বেশি আবেগের কারণ জন্মের পর থেকে এখানে অনেক বছর ছিলাম। যতটা সামনে দেখা যাচ্ছে পেছনে তার চেয়েও বড়, সন্ধ্যা হলে বিশাল জমির উপর অবস্থিত বিরাটাকার এই বাড়িতে ভয় পাওয়া যেমন মনে আছে তেমন মনে আছে চাচা ফুফু আর কাজিনদের সাথে কাটানো সুন্দর সময় গুলো। আঁখি আলমগীরের এখানেই বেড়ে ওঠা। স্মৃতি মনে করে গায়িকা বললেন, এখানেই আমাদের সবার বেড়ে ওঠা।

ছোট্ট আমার কাছে দাদার বাথরুমের বাথটাব ছিলো সবচেয়ে মজার জায়গা। আরেকটা বাথটাব বাড়ির পেছনে গাছের নিচে কেন ফেলা ছিল তার উত্তর জানা নাই। ছাদে যাওয়া আমাদের ছোটদের একদম নিষেধ ছিল, আমরা কি আর কথা শুনতাম। চলে যেতাম যখন তখন, পরে ভুতের ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো হলো। মনে পড়ে দাদি এখানেই মারা যান, তার অনেক আগে দাদা, তবে আমি দেখিনি দাদাকে, ভেঙে ফেলার আগের এই ছবি।

আঁখি আলমগীর বলেন, এখন এখানে অনেক অনেক অ্যাপার্টমেন্ট, এত বছর পরেও যখন যাই আগের বাড়ির একটা বাতাস কোথা থেকে যেন গায়ে হাত বুলিয়ে যায়। আধুনিক যান্ত্রিক জীবনের পরতে পরতে আমি বার বার অতীত কে ফিরে পাই। খুঁজতে হয়না, অতীত আমাকে খুঁজে নেয়। তার বাবা অর্থাৎ নায়ক আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার কাকতালীয় ঘটনার কথা উল্লেখ করে আঁখি আলমগীর লিখেছেন, এই বাড়ির একটা অংশ ভাড়া নিতে এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় পরিচালক আলমগীর কুমকুম। তার ভালো লাগে এই বাড়ির এক সুদর্শন তরুণকে। এভাবেই আবিষ্কৃত হন বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর। পরবর্তীকালে কুমকুম আংকেল আমার নাম রাখেন আঁখি। যদিও আলমগীরের পিতা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ এর একজন অন্যতম প্রযোজক। তারপরেও ছেলে আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার ঘটনাটা ভিন্নভাবে ঘটেছে। আলমগীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আলমগীর কুমকুম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক আমার জন্মভূমি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়।

মন্তব্য

বিনোদন
The good news from the United States is Roses Bajimat

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে, রোজের বাজিমাত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে, রোজের বাজিমাত

ফুরফুরে মেজাজে আছেন ব্ল্যাকপিংক তারকা রোজে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে তার। এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে আট শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন রোজে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে, রোজের বাজিমাত

যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেছে এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস কর্তৃপক্ষ। এতে ভিডিও অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার, বেস্ট কোলাবোরেশন, বেস্ট পপ, বেস্ট ডিরেকশন, বেস্ট আর্ট ডিরেকশন ও বেস্ট ভিজ্যুয়াল ইভেক্টস বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন রোজে। বেস্ট পপ বিভাগে ‘টক্সিক টিল দ্য এন্ড’ গানের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে, রোজের বাজিমাত

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রোজে লিখেছেন, ‘আমি প্রচণ্ড অবাক হয়েছি, কী বলব বুঝতে পারছি না। আমি রীতিমতো বাক্‌রুব্ধ।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজকের দিনটা একদম অবিশ্বাস্য, অদ্ভূত ব্যাপার। কী ঘটছে?’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে, রোজের বাজিমাত

ব্ল্যাকপিংকের বাকি তিন সদস্যও মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হলেন—জেনি (লাইক জেনি), জিসু (আর্থকোয়াক) ও লিসা (বর্ন এগেইন)।

বেস্ট পপ বিভাগে রোজে ছাড়াও মনোনয়ন পেয়েছেন জিমিন (হু), এসপা (উইপ্লাশ), স্ট্রে কিডস (চিক চিক বুম)।

এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউবিএস অ্যারেনায় আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের আসর বসবে।

জেনির জন্ম ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণ কোরিয়ায়, মাঝে বছর পাঁচেক নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে আসেন জেনি, ২০১৬ সালে নাম লেখান ব্ল্যাকপিংকে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে, রোজের বাজিমাত

মাত্র সাত বছরের ক্যারিয়ারে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়েছেন কোরীয় ব্যান্ড ব্ল্যাকপিংকের সদস্য জেনি; গানের বাইরে অভিনয়েও অভিষেক ঘটেছে তার।

দুই বছরের বিরতির পর ‘ডেডলাইন’ কনসার্ট দিয়ে গানে ফিরেছে ব্ল্যাকপিংক। লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, টরন্টো, প্যারিস, লন্ডনসহ ১৬ শহরে মোট ৩১টি কনসার্টে গাইবেন জেনি, লিসারা।

মন্তব্য

বিনোদন
Whoever gets the power will use him dishonestly Shabnam Faria

যেই ক্ষমতা পাবে, সেই তার অসৎ ব্যবহার করবে: শবনম ফারিয়া

যেই ক্ষমতা পাবে, সেই তার অসৎ ব্যবহার করবে: শবনম ফারিয়া

অভিনয়ে আগের মতো ব্যস্ততা নেই শবনম ফারিয়ার। কয়েক মাস ধরে চাকরি করছেন তিনি। তবে সময়–সুযোগ পেলে অভিনয় করেন। এর বাইরে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ছোটপর্দার এই অভিনেত্রী।

তার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনাও চলে বেশ। এবার শবনম ফারিয়া ফেসবুক পোস্টে দেশ নিয়ে তার আক্ষেপের কথা প্রকাশ করলেন। হতাশ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, এদিকে আবার এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাব আমরা?

এদিকে চব্বিশের অভ্যুত্থানেও প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন অভিনেত্রী। তবে এক ফেসবুক পোস্টে দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে লেখেন, এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেব, জানি না। এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে জুলাই সিডিআই লিখে সেই শোক কমায়, আর বাকিরা চাঁদাবাজি, ডোনেশন, হাদিয়া নিয়ে কামড়াকামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিকঠাক করে!

ওই পোস্টে তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষ উল্লেখ করে লেখেন, মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি। কিছু বললেই এক পক্ষ বলে, ডলার খেয়েছেন, লাল স্বাধীনতা কেমন লাগে? অন্য পক্ষ বলে, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর! ১৬ বছর কিছু বলেননি কেন।

তবে ওই পোস্টে রাজনীতি নিয়ে শেষ স্ট্যাটাস জানিয়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, এই স্ট্যাটাসের মধ‍্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া বন্ধ করলাম! কারণ, ফাইনালি আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কখনো ভালো হবো না, যত আন্দোলন হোক, সরকার পরিবর্তন হোক, যতই শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ আসুক, আমাদের কেউ দুর্নীতি এবং চুরি করা থেকে আটকাতে পারবে না! শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ যে–ই ক্ষমতা পাবে, সে–ই তার অসৎ ব্যবহার করবে।

মন্তব্য

p
উপরে