× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
The owners want to show Indian movies
google_news print-icon

ভারতীয় সিনেমা দেখাতে চান হল মালিকরা

ভারতীয়-সিনেমা-দেখাতে-চান-হল-মালিকরা
বলাকা সিনেমা হল। ছবি: সংগৃহীত
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় হল মালিকরা বললেন, দেশের সিনেমা দিয়ে তাদের আয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই সীমিত আকারে ভারতীয় বা উপমহাদেশের সিনেমা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমদানি করার সুযোগ দেয়া হোক। সেটা বছরে ১০-১৫টিও হতে পারে।

পুরোনো সিনেমা হল সংস্কার ও নতুন সিনেমা হল নির্মাণের জন্য ঋণ নিতে রাজি আছেন হল মালিকরা। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধের জন্য দেশের সিনেমার পাশাপাশি উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির দাবি করেছেন হল মালিকরা।

তারা বলছেন, ঋণ পরিশোধের জন্য হল মালিকদের প্রয়োজন আয়। দেশের সিনেমা দিয়ে সেই আয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই হল মালিকদের সীমিত আকারে ভারতীয় বা উপমহাদেশের সিনেমা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমদানি করার সুযোগ দেয়া হোক। সেটা বছরে ১০-১৫টিও হতে পারে।

হল মালিকরা মনে করছেন, এটি করা হলে তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। এমনকি এতে দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়বে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে ‘দেশের বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল/সিনেপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যে অংশীদারদের সঙ্গে ঋণ সুবিধাপ্রাপ্তি ও ঋণের সুষ্ঠু ব্যবহার’বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই হল মালিকরা উপমহাদেশের সিনেমা আমদানিসহ নানা দাবি উপস্থাপন করেন।

সিনেমা আমদানির ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পরিচালক, প্রযোজক ও হল মালিকরা চাইলেও শিল্পী সমিতির নেতারা উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানিতে মত দিচ্ছিলেন না। এখন আবার কথা বলতে হবে। সবাই যদি একমত হন, অবশ্যই কিছু সিনেমা আমদানি করা যেতে পারে।’

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর থেকে ভারতীয় সিনেমার আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনতার পরও এ নিষেধাজ্ঞা আর প্রত্যাহার করা হয়নি। হল মালিকরা বিভিন্ন সময় ভারতীয় সিমেনা আমদানি ও প্রদর্শনের উদ্যোগ নিলে চলচ্চিত্র পরিচালক ও কলাকুশলীদের আন্দোলনের কারণে সেসব পদক্ষেপ বাতিল হয়।

তথ্য ভবনে বৃহস্পতিবারের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ১০৭ জন হল মালিক। এর মধ্যে নতুন সিনেপ্লেক্স নির্মাণে আগ্রহী সাতজন ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন রূপালী, অগ্রণী, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি। মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এতে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোকবুল হোসেন।

প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাশ হল মালিকদের পক্ষে মূল আলোচনা শুরু করেন। আলোচনায় সুদীপ্ত বলেন, ‘১৯৯৯ সালে সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৩৫টি; শুধু রংপুর জেলাতেই ছিল ১০০টি সিমেনা হল। এখন সারা দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০টি।’

সুদীপ্ত জানান, ‘ঋণ নিয়ে পরিশোধ করব কীভাবে?’ প্রশ্নটি তার সবচেয়ে বেশি শুনতে হয় হল মালিকদের কাছ থেকে।

ভারতীয় সিনেমা দেখাতে চান হল মালিকরা
তথ্য ভবন মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় অতিথিরা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সুদীপ্ত দাবি করেন, ‘ঋণ নেয়ার পর শুধু দেশের সিনেমা প্রদর্শন করে হল মালিকরা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না। এর জন্য প্রয়োজন উপমহাদেশের সিনেমা আমদানি। সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে যে পরিমাণ সিনেমা প্রয়োজন, দেশের পরিচালক-প্রযোজক সে পরিমাণ সিনেমা দিতে পারছেন না, আর খারাপ মানের জন্য বাংলা সিনেমার দর্শকও এখন অনেক কম। তাই প্রয়োজন বিদেশি সিনেমা।’

সুদীপ্ত মনে করেন, রোজার ঈদে যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তেমন সিনেমা যখন দেশের পরিচালক-প্রযোজক নিয়মিত দিতে পারবেন, তখন বিদেশি সিনেমা না আনলেও চলবে। দর্শক সিনেমা দেখতে এলে তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। তখন শত শত সিনেপ্লেক্সও নির্মাণ হবে বলে আশা করেন তিনি।

সুদীপ্তর কথার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন রাজধানীর অভিসার সিনেমা হলের মালিক স্বপন আলী ভুইয়া এবং প্রদর্শক সমিতির আরেক উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন।

সুদীপ্তর প্রস্তাবের সঙ্গে মিয়া আলাউদ্দিন যোগ করে বলেন, ‘ঋণ দেয়া-নেয়ার পদ্ধতি সহজ হতে হবে এবং ঋণের গ্রেস ইয়ার (ঋণ নেয়ার পর নির্দিষ্ট একটি সময়, যে সময়ের মধ্যে লোনের কিস্তি দিতে হয় না, তবে সুদ যুক্ত হতে থাকে) বৃদ্ধি করতে হবে।’

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলাকার পুর্বাশা সিনেমা হলের মালিক খোরশেদ আলম উপমহাদেশের সিনেমা আনার পক্ষে মত দিয়ে বলেন, ‘আমি পুরোনো হল ভেঙে সেখানে সিনেপ্লেক্স করতে চাই।’ তিনি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড তিন বছর করার দাবি জানান।

প্রযোজক, পরিচালক এবং হল মালিক কামাল মোহাম্মদ কীবরিয়া বলেন, ‘যদি উপমহাদেশের সিনেমা না আসে, তাহলে এ ঋণ নেয়া সম্ভব হবে না। খুব চিন্তা করে এ ঋণ নিতে হবে। তা না হলে আরও অনেক হল মালিক দেউলিয়া হয়ে যাবেন।’

কীবরিয়া যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণের ওপর জোর দেন। তিনি জানান, যৌথ প্রযোজনার সিনেমা হল মালিকদের ভালো ব্যবসা দিয়েছে, কিন্তু কিছু অসাধু পক্ষ যৌথ প্রযোজনার সিনেমার নীতিমালা কঠোর করার মাধ্যমে এ ধরনের সিনেমা নির্মাণে নিরুৎসাহিত করেছে প্রযোজকদের। তাই নিয়মটি শিথিল করারও দাবি জানান তিনি।

বগুড়া থেকে এসেছিলেন মধুবন সিনেমার মালিক আর এস ইউনুস। তিনি তার নিজ উদ্যোগে সিনেমা হলের পরিবেশ উন্নত করেছেন বলে জানান। এখনও একটি স্ক্রিন থাকলেও তিনি স্ক্রিন সংখ্যা বাড়াতে চান।

তিনিও ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের সিনেমার আমদানি সহজ করে দেয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কিন্তু শুধু স্ক্রিন থেকেই টাকা আসে না। আমার ফুড কোর্ট থেকে টাকা আসে, দোকান থেকে টাকা আসে, সেখানে যারা বিজ্ঞাপন দেয়, সেখান থেকে টাকা আসে। এমন করে সবার পরিকল্পনা করতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ ও জেলায় সাড়ে ৪ শতাংশ– ঋণের সুদের হার দুই রকম। আমার মনে হয় এটা তিন রকম করা উচিত, উপজেলায় আরও কম সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত।’

ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে ঢাকায় এসে ঋণ নেয়ার পরামর্শ দেন ইউনুস। কারণ উপজেলা শহরে ঋণের আবেদন করলে তা পেতে অনেক সময় লাগে।

প্রায় একই কথা বলেন গোবিন্দগঞ্জের ‘ইদ্রিস’ হলের মালিক আমির হামজা। সভায় ডি এ তায়েব জানান, তিনি টাঙ্গাইলে সিনেপ্লেক্স তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেছেন।

ব্লকবাস্টার সিনেমাসের জাহিদ হোসেন চৌধুরী সবাইকে সিনেপ্লেক্স নির্মাণে প্রযুক্তিগত সাহায্যের আশ্বাস দেন।

রূপালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নতুন প্রকল্পের জন্য গ্রেস ইয়ার বাড়ানো যেতেই পারে। তবে যারা প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার করবেন, তাদের জন্য এর খুব একটা প্রয়োজন হবে না। সুদের হার নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন। যদি বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের নির্দেশ দেয়, অবশ্যই আমরা সেভাবে কাজ করব। প্রয়োজনে আমরা একটি অভিযোগ ও পরামর্শ সেল তৈরি করব।’

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যারা লোন নিতে চান, তারা একটি প্রজেক্ট পেপার জমা দেবেন। সেখানে দর্শক নিয়ে জরিপ থাকতে হবে। সেই জরিপ নিয়ে আমরা ভ্যালুয়েশন করব। সেটা আমাদের ঋণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করতে হবে।’

অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বলেন, ‘মার্কেটে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ, দোকান, ফুড কোর্ট, রেস্টুরেন্ট, বেবি কর্নার রেখে যদি পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে ঋণ পেতে সুবিধা হবে। এটা সময়োপযোগীও। আমরা ঋণ দিতেও আগ্রহী হব।’

ইউসিবি ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, ‘গ্রেস ইয়ার বাড়ালে হল মালিকদেরই বেশি প্রেসার হবে। তাই এটা না বাড়ানোই ভালো। কেউ ১০ কোটি টাকা নিলে তার মাসে সুদ আসবে ১৫ লাখ টাকা। আপনারা সেই হিসাব করে ঋণ নেবেন। তবে হল সংস্কারের চেয়ে মার্কেট ও সিনেপ্লেক্স বানালে এই টাকা পরিশোধ করা সম্ভব। তবে আপনাদের অবশ্যই প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে প্রজেক্ট প্রোফাইল করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোকবুল হোসেন জানান, সিনেমা আমদানি, যৌথ প্রযোজনার সিনেমার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন তারা। সুদের হার বা গ্রেস টাইম নিয়ে আবার কথা বলবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দর্শকদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, তাই সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা হলেরও পরিবর্তন দরকার। এখন সিঙ্গেল স্ক্রিনের চাহিদা কমেছে। অল্প সিটের তিন-চারটি করে প্রেক্ষাগৃহের চল এখন। আপনারা যাতে মার্কেট করে তাতে সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি অন্য কাজও করতে পারেন, সেভাবেই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। আর আপনারা যদি মার্কেটসহ সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করেন, তাহলে প্রজেক্টটি অনেক ভায়াবল হবে, ঋণ পেতে অসুবিধা হবে না। পজেশন বিক্রি, প্রতি মাসে ভাড়াসহ নানা উপায় তৈরি হবে ঋণ পরিশোধ ও আয়ের।’

কেউ সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চাইলে ১০ কোটি ও প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাবেন।
আমদানি ও যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণের নিয়ম যেন শিথিল করা হয়, সেই বিষয়টিও দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারে ঋণ নিতে ৫১টি আবেদন
বাড়ছে মাল্টিপ্লেক্স, বন্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল স্ক্রিন
আনন্দ চালু হচ্ছে, বন্ধ থাকছে বলাকা-মধুমিতা
সিনেমা হল: হাজার কোটি টাকার ঋণ যেসব শর্তে
সব সিনেমা হল খুলবে কি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Our directors are not willing to bet on the real artist Jaya

আমাদের পরিচালকরা সত্যিকারের শিল্পীকে নিয়ে বাজি ধরতে রাজি নন: জয়া

আমাদের পরিচালকরা সত্যিকারের শিল্পীকে নিয়ে বাজি ধরতে রাজি নন: জয়া

ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছেন জয়া আহসান। কারণ, চলতি বছর দুই বাংলা মিলে মুক্তি পেয়েছে হাফ ডজন সিনেমা। ‘তাণ্ডব’, ‘উৎসব’-এর পর জুলাই ও আগস্টে কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত দুই সিনেমা ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এসব সিনেমা অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। সম্প্রতি আরআরকে পটকাস্টে উপস্থিত হয়ে ওপার বাংলায় কাজের সুযোগ ও দেশের সিনেমাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

কলকাতায় কাজ শুরুর বিষয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘আমি শিল্পী, আমাকে তো কাজ করতে হবে। অভিনয় ছাড়া তো আমি কিছু করিনি বা পারি না। তখন বাংলাদেশে আমি করতে পারি, সে রকম কাজ পাচ্ছিলাম না। সেই কষ্টের জায়গা থেকে এবং শিল্পের প্রতি আমার প্যাশনের কারণেই কলকাতায় যাওয়া।’

দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে কাজ করতে হলে পরিচালকের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকতে হয়। সেটি তার পক্ষে সম্ভব না বলেও উল্লেখ করে জয়া। তিনি বলেন, ‘যে পরিচালকদের জন্য আমি সবসময় হাজির ছিলাম, তারা আমাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেননি বা করতে পারেননি। বাংলাদেশে একটা সমস্যা, পরিচালকের বান্ধবী, না হয় স্ত্রী থাকে। এটা তো আমার পক্ষে সম্ভব না; এসবে আমি যাইনি, যাবও না। এসব কারণে আমি কর্নারড হয়েছি, এতটা নিবেদিত থাকার পরও। যা কলকাতায় হয়নি। বাইরের আর্টিস্ট হওয়ার পরও ওরা আমাকে মূল্যায়ন করেছে। আমাকে ভালো চরিত্র দিয়েছে। আমাকে নিয়ে ভেবেছে এবং আমাকে কেন্দ্র করে গল্প বানিয়েছে।’

জয়া আরও বলেন, ‘এখনও বাংলাদেশে নারীকে কেন্দ্র করে কাজ করতে ভয় পান অনেক পরিচালক। করলেও এমন কাজে হয় তার বান্ধবীকে নেবেন, না হয় স্ত্রীকে নেবেন। অথবা মেগাস্টার, সুপারস্টার কাউকে নেবেন। একজন পিওর আর্টিস্টকে নিয়ে বাজি ধরতে রাজি নন তারা। তবে এর বাইরেও অনেক নির্মাতা কাজ করছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অনেক ডায়নামিক পরিচালক আছেন, যারা আমার কাছ থেকে বা আরও গুণী অভিনেতাদের থেকে ভালো কাজ বের করতে পারতেন। কিন্তু তারা করেননি।’

গেল বছর বলিউডে অভিষেক হয়েছে জয়ার। এরপর বলিউডের প্রযোজক করণ জোহরের ‘ধর্মা প্রোডাকশন’ থেকে মুক্তি পাওয়া ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন জয়া। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটা ছাড়তে হয়েছে তার।

জায়া বলেন, ‘এটা অন্যরকম প্রজেক্ট ছিল। বিভিন্ন কারণে তখন সিনেমাটা করা হয়নি। যেটা ভাগ্যে থাকবে সেটা হবেই। এটা নিয়ে আফসোসের কিছু নেই।’

সবশেষ জয়াকে দেখা গেছে ‘ফেরেশতে’ সিনেমায়। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি। পরিচালনা করেছেন ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ। জয়া ছাড়াও দেখা গেছে শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু ও সুমন ফারুককে।

মন্তব্য

বিনোদন
Im not perfect Samantha

আমি নিখুঁত নই: সামান্থা

আমি নিখুঁত নই: সামান্থা

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু এবার নিজের জীবনের লড়াইয়ের গল্প বললেন। সাফল্যের ঝলমলে আলোয় থেকেও তার জীবন যে সংগ্রাম আর আত্মঅনুসন্ধানে ভরা, তা উঠে এসেছে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটের মঞ্চে। সেখানেই নিজের জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন অভিনেত্রী।

জীবনের প্রতিটি উত্থান-পতন এসেছে ‘বাস্তব থাকার’ সিদ্ধান্ত থেকেই বলে জানিয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু। তিনি বলেন, আমি সবসময় চেষ্টা করেছি নিজের প্রতি সৎ থাকতে। আমার মায়োসাইটিস রোগের খবর আমি নিজেই প্রথম জানিয়েছিলাম। কারণ আমি চেয়েছিলাম মানুষ সত্যিটা জানুক। কিন্তু বাস্তব থাকা যে সবসময় সহজ নয়, সে কথাও স্পষ্ট করেন অভিনেত্রী।

স্বামী নাগা চৈতন্যের সঙ্গে চার বছরের দাম্পত্যজীবনের আকস্মিক বিচ্ছেদ একসময় পুরো দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।

এ নিয়ে সামান্থা রুথ প্রভু বলেন, আমার জীবনের যারা অনুসারী, তারা জানেন-আমার বিচ্ছেদ, আমার অসুস্থতা- সবই প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই খোলামেলা আলোচনাই আমার জীবনে এনেছে প্রচুর ট্রলিং ও সমালোচনা। আমি হয়তো দুর্বল হয়েছিলাম, কিন্তু কখনো ভেঙে পড়িনি বলে জানান অভিনেত্রী।

সামান্থা বলেন, আমি নিখুঁত নই। আমি ভুল করি, হোঁচট খাই; কিন্তু আমি চেষ্টা করছি আরও ভালো মানুষ হতে। এখন তিনি শুধু অভিনয় নয়, নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করে নিতে চান অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে। যদি আমার গল্প শুনে কেউ সাহস পায়, তবে সেটাই আমার সাফল্য বলে জানান অভিনেত্রী।

মন্তব্য

বিনোদন
Naushaba on the small screen after a long break

দীর্ঘ বিরতির পর ছোট পর্দায় নওশাবা

দীর্ঘ বিরতির পর ছোট পর্দায় নওশাবা

দীর্ঘ বিরতির পর ছোট পর্দায় ফিরলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় নির্মিত নাটক ‘দ্বিতীয় বিয়ের পর’-এ দেখা যাবে তাকে। নাটকটিতে তার সহশিল্পী হিসেবে আছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান।

ফিরলেন কত বছর পর- এই প্রশ্নের জবাবে নির্দিষ্ট সময় জানাতে না পারলেও নওশাবা বলেন, ‘অনেকদিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। চয়নিকা দিদির আন্তরিক আমন্ত্রণ আর গল্পের টানই আমাকে রাজি করিয়েছে।’

নাটকের কাজ থেকে দূরে থাকলেও থিয়েটার, ছবি আঁকা, বইপড়া এবং মেয়েকে সময় দেওয়ায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে ‘ফিরে আসা’ বলতে চাই না। আমি চাই, এমন চরিত্রে কাজ করতে যা আমাকে ভাবায়, নাড়ায়। না হলে থিয়েটার আর নিজের জগতে থাকাটাই শান্তির।’

অভিনয়ে অনিয়মিত থাকার কারণ জানিয়ে খানিকটা অভিমান করে নওশাবা বলেন, ‘অনেকেই কাজের প্রস্তাব দেন, কিন্তু সেখানে আমার জন্য অভিনয়ের জায়গা থাকে না। শুধু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোই তো অভিনয় নয়। তাই আমি অল্প কাজ করি, কিন্তু নিজের মতো করে করি।’

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সাত ভাই চম্পা’, এটি সাত বছর আগে টেলিভিশনে মেগা সিরিজ হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল। এবার এটি রূপ নিয়েছে সিনেমায়, মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। শুটিংয়ের সময় ঘোড়া ও তলোয়ার চালানোর প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন নওশাবা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণা আরো জোরালো হলে ছবিটি আরও দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারত।’

এরই মধ্যে টালিউডে অভিষেক হয়েছে তার। অনীক দত্ত পরিচালিত ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। নওশাবা জানান, ছবিটি বাংলাদেশেও মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
24 cities in the United States of good temple Nilchakra

যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ শহরে শুভ-মন্দিরার ‘নীলচক্র’

যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ শহরে শুভ-মন্দিরার ‘নীলচক্র’ নীলচক্র সিনেমার দৃশ্যে মন্দিরা ও আরিফিন শুভ।

যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তী অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র’। গত কোরবানির ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল মিঠু খান পরিচালিত এই ছবি। দেশে মুক্তির পর প্রত্যাশিত সাড়া না পেলেও এবার ছবিটির গন্তব্য উত্তর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহ।

শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন শহরে দেখা যাচ্ছে ‘নীলচক্র’। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪টি শহরে মুক্তি দিচ্ছে পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান বায়স্কোপ ফিল্মস, যাদের মাধ্যমে এর আগে অর্ধশতাধিক বাংলা চলচ্চিত্র উত্তর আমেরিকায় প্রদর্শিত হয়েছে। এর বাইরে কানাডার একাধিক শহরেও মুক্তি পাবে ছবিটি।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রাজ হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রথম লাস ভেগাসে ছবিটির প্রিভিউ করি। এরপরই সিদ্ধান্ত নিই আমরা এটি বিপণন করব। মন্দিরা চক্রবর্তী নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পরবর্তী সুপারস্টার হতে পারেন। আর ছবিটির প্লটও একেবারেই ভিন্নধর্মী-দর্শকদের মুগ্ধ করবেই।’

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অজানা জগত ও তার ভেতর লুকিয়ে থাকা বিপদ–ফাঁদের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘নীলচক্র’। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন মিঠু খান ও নাজিম উদ দৌলা, প্রযোজনা করেছেন এনায়েত আকবর।

ওভারসিজ মুক্তি প্রসঙ্গে নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী বলেন, ‘নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার দর্শকেরা অনেকদিন ধরেই জানতে চাইছিলেন ছবিটি কবে আসছে। অবশেষে বায়স্কোপের উদ্যোগে আমরা ছবিটি নিয়ে যাচ্ছি তাদের কাছে। গল্পে যেমন বিনোদন আছে, তেমনি আছে এক শক্তিশালী সামাজিক বার্তাও।’

‘নীলচক্র’-এর অফিসিয়াল প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কের কিউ গার্ডেন সিনেমা হলে। ছবিটিতে শুভ ও মন্দিরা ছাড়াও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান প্রমুখ।

মন্তব্য

বিনোদন
Runa Layla will tell the story of 6 decades of musical life

সংগীত জীবনের ৬ দশকের গল্প শোনাবেন রুনা লায়লা

সংগীত জীবনের ৬ দশকের গল্প শোনাবেন রুনা লায়লা

গানে গানে অগণিত শ্রোতার হৃদয় জয় করে পথচলার ছয় দশক পূর্ণ করেছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। ১৯৬৪ সালের ২৪ জুন মাত্র ১২ বছর বয়সে ‘জুগনু’ সিনেমার গান ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল তার। গানের কথা লিখেছিলেন তিসনা মেরুতি, সুর করেছিলেন মানজুর। সেই প্রথম গানের অনিন্দ্য কণ্ঠ ও অনবদ্য গায়কিতে শ্রোতারা মুগ্ধ হন, আর সেখান থেকেই শুরু হয় তার দুর্বার সংগীতযাত্রা; যা আজও থেমে যায়নি।

এই ছয় দশকের দীর্ঘ সফরে রুনা লায়লা গেয়েছেন ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান। অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় পদক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি। কিংবদন্তিদের কাতারে তার অবস্থান আজ অবিসংবাদিত।

রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি ভীষণ ভাগ্যবতী যে, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এখনো গান গাইতে পারছি, সুর করছি। এটাই অনেক বড় আশীর্বাদ। আজীবন সংগীতের সঙ্গে থাকতে চাই।’

মুক্তিযুদ্ধের আগেই তিনি বাংলা সিনেমায় প্লেব্যাক শুরু করেন। ১৯৭০ সালের ‘স্বরলিপি’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে। এর আগেই পাকিস্তান রেডিও ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে দেবু ভট্টাচার্যের সুরে দুটি বাংলা গান ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’ এবং ‘আমি নদীর মতো পথ ঘুরে’ গেয়ে নজর কাড়েন তিনি।

পাকিস্তানের সিনেমা ও টেলিভিশনে নিয়মিত প্লেব্যাক করে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও, স্বাধীনতার পর দেশপ্রেমের টানে কোনো দ্বিধা ছাড়াই ফিরে আসেন নবজাগ্রত বাংলাদেশে। সংগীতজীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয় এখান থেকেই। ১৯৭৪ সালে রুনা লায়লা হন প্রথম বাংলাদেশি শিল্পী, যিনি বলিউডে প্লেব্যাক করেন।

কল্যাণজি-আনন্দজির সুরে ‘এক সে বড়কর এক’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘ও মেরা বাবু চেল চাবিলা’ গানটি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ‘জান-এ বাহার’, ‘ইয়াদগার’, ‘অগ্নিপথ’, ‘স্বপ্ন কা মন্দির’-সহ অসংখ্য সিনেমায় কণ্ঠ দেন তিনি। এ ছাড়া ‘দ্য গ্রেট বিগ ইন্ডিয়ান ওয়েডিং’ শিরোনামের সংগীত আয়োজনে পাঞ্জাবি বিয়ের আটটি গান রেকর্ড করেন দিল্লিতে। কনকর্ড প্রযোজনা সংস্থার চারটি অ্যালবামের জন্য মুম্বাই গিয়ে মাত্র এক দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে ‘গিনেস বুক অব রেকর্ডসে’ নাম লেখান রুনা লায়লা।

ভাইনাল রেকর্ড, ক্যাসেট, সিডি, ভিসিডি থেকে শুরু করে অনলাইন মাধ্যম– সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে তার কণ্ঠের মাদকতা। তিনি শুধু সিনেমা বা স্টেজেই নন, টিভি ও নাটকের গানেও সমান পারদর্শী। ছয় দশক ধরে সংগীতের প্রতিটি মাধ্যমেই তার সুরেলা কণ্ঠ ছুঁয়ে গেছে শ্রোতার হৃদয়। নন্দিত অভিনেতা-পরিচালক আলমগীরের ‘একটি সিনেমার গল্প’ চলচ্চিত্রে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে প্রথম সিনেমাতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। তার সুরে তৈরি এক মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি আশা ভোঁসলে, হরিহরণ, পাকিস্তানের আদনান সামি ও রাহাত ফতেহ আলি খান।

বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীর ষাট বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে মাছরাঙা টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘স্টার নাইট’-এর একটি বিশেষ পর্ব সাজানো হয়েছে রুনা লায়লাকে কেন্দ্র করে। শুক্রবার রাত ৯টায় মাছরাঙা টিভিতে বিশেষ এই পর্বটি প্রচার হয়।

জানা গেছে, এই আয়োজনে ৬০টি গোলাপে বরণ, ৬০ সংখ্যাকে উপজীব্য করে কেক কাটা, ৬০টি প্রশ্নে আলাপচারিতা। বিশেষ এই পর্বে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ১০ সংগীত তারকা। তারা হলেন– কনা, লিজা, লুইপা, কোনাল, ঝিলিক, সুকন্যা, সাব্বির, কিশোর, অপু ও ইউসুফ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের শিল্পীরাও পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা।

রুনা লায়লা বলেন, ‘দেশে ফিরে মাছরাঙার এই আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। ষাট বছরের পথচলার এ উদযাপনটি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত।’

‘স্টার নাইট’-এর গ্রন্থনা করেছেন রুম্মান রশীদ খান, প্রযোজনা করেছেন অজয় পোদ্দার, সহযোগিতায় ছিলেন নিয়াজ মোরশেদ রাজীব। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন মৌসুমী মৌ।

মন্তব্য

বিনোদন
Sadia Ayman in the new love story

ভালোবাসার নতুন গল্পে সাদিয়া আয়মান

ভালোবাসার নতুন গল্পে সাদিয়া আয়মান

ছোট পর্দার নতুন এক গল্পে দেখা মিলল আলোচিত অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের। ‘খুঁজি তোকে’ শিরোনামে একক নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন নতুন এক চরিত্রে। এতে সাদিয়া আরও একবার জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ইয়াস রোহানের সঙ্গে।

ভালোবাসার নতুন এক গল্প নিয়ে নির্মিত এ নাটকটি পরিচালনা করেছেন ইমরাউল রাফাত। একই সঙ্গে চিত্রনাট্য লিখেছেন এই নির্মাতা নিজে। সাদিয়া আয়মান ও ইয়ান রোহানের পাশাপাশি নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, সাবেরী আলম, আরেফিন জিলানী, শওকাত হোসেন মামুন, শামীম আহমেদ, ইমেল হক, মামুন খান, মেহেদি হাসান তরু, দীঘি, সায়মা, প্রসেনজিৎ, আরিয়ান প্রমুখ। সম্প্রতি ক্যাপিটাল ড্রামার ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি দর্শকের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

সাদিয়া আয়মানের কথায়, অভিনয়ের জন্য সবসময় ভালো এবং ব্যতিক্রমী গল্প বাছাই করে কাজ করেন। ‘খুঁজি তোকে’ তেমনই এক নাটক, যার গল্প ও চরিত্র আগের অভিনীত নাটকগুলো থেকে কিছুটা আলাদা। অন্যদিকে ইমরাউল রাফাত একজন পরীক্ষিত নির্মাতা, যার কাজ নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। কাজ পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। যে কারণে গল্প, চরিত্র, শিল্পীদের অভিনয়, নির্মাণ সব মিলিয়ে নাটকটি দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করবে বলেও আশা করা হয়। সাদিয়া আয়মান ছাড়াও নাটকটি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ইয়াশ রোহানসহ অন্য অভিনেতা অভিনেত্রীরা। নির্মাতা ইমরাউল রাফাতও মনে করেন, নাটকটি এ সময়ের দর্শকের মনে ছাপ ফেলবে।

এদিকে ‘খুঁজি তোকে’ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান। যেগুলো চলতি বছরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ পাবে।

মন্তব্য

বিনোদন
YouTuber Mr Beast has done what Bollywood has not been able to do for many years

বহু বছর বলিউড যা পারেনি তা করে দেখালেন ইউটিউবার মিস্টারবিস্ট

বহু বছর বলিউড যা পারেনি তা করে দেখালেন ইউটিউবার মিস্টারবিস্ট শাহরুখ, মিস্টারবিস্ট, সালমান ও আমির খান।

সিনেমার ট্রেলার নয়, কোনো গানও নয়-একটি মাত্র ছবিই তুমুল চর্চা হচ্ছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। ইউটিউব তারকা মিস্টারবিস্ট (জিমি ডোনাল্ডসন) করে দেখালেন এমন কিছু, যা বহু বছরেও কোনো বলিউড পরিচালক পারেননি-বলিউডের তিন খান, শাহরুখ, সালমান ও আমিরকে একসঙ্গে একই ফ্রেমে আনলেন তিনি। খবর স্টেটেমেনের।

ছবিটি তোলা হয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত জয় ফোরাম ২০২৫-এ। মিস্টারবিস্ট গত ১৬ অক্টোবর নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবিটি শেয়ার করেন। ফ্রেমে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবারের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ভারতের তিন কিংবদন্তি তারকা-শাহরুখ খান, সালমান খান ও আমির খান।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়! ছবির সঙ্গে মিস্টারবিস্টের এক লাইন ক্যাপশন যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিল—হে ভারত, আমরা সবাই মিলে কিছু করি নাকি?

এই এক লাইনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন আগুন লেগে যায়। হাজার হাজার ভক্ত তৎক্ষণাৎ কমেন্টে ঝাঁপিয়ে পড়েন—কেউ ভবিষ্যদ্বাণী করেন কোনো বিশাল যৌথ প্রজেক্টের, কেউ আবার মজা করে বলেন, মিস্টারবিস্ট হয়তো এবার ইউটিউব ভার্সনে বানাবেন ‘করন অর্জুন’!

ছবিতে শাহরুখ খানকে দেখা যায় ডার্ক রঙের দারুণ মানানসই স্যুটে, তার স্বভাবসুলভ ক্যারিশমা ছড়াতে। সালমান খানও সমান আত্মবিশ্বাসী, ফরমাল পোশাকে দারুণ লাগছে তাকে। আমির খান নিজের স্বকীয়তায় ভর করে হাজির হয়েছেন কালো পাঞ্জাবি আর সাদা পায়জামায়। আর মিস্টারবিস্ট, যথারীতি সাধারণ অথচ স্টাইলিশ ব্ল্যাক আউটফিটে।

তিন খানকে একসঙ্গে দেখা বলিউডে এক বিরল ঘটনা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা শাসন করে চলেছেন ভারতের বিনোদন দুনিয়া। একসময় পেশাগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও এখন তাদের মধ্যে রয়েছে পরস্পরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব। শাহরুখ ও সালমানের বহু পুরোনো ভুল বোঝাবুঝি এখন অতীত, আর আমির সব সময়ই ছিলেন দুজনের কাছের মানুষ।

শেষবার তিনজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল আমিরের ছবি সিতারে জমিন পার–এর বিশেষ প্রদর্শনীতে। চলতি বছরও তারা একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন আনন্দ আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠানে, যেখানে তিনজন একসঙ্গে পারফর্ম করে সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।

ভক্তদের মনে এখনো টাটকা সেই স্মৃতি, যখন তিন খান অতিথি চরিত্রে দেখা দিয়েছিলেন আরিয়ান খানের ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ব্যডস অব বলিউড’-এ, যদিও একই দৃশ্যে একত্রে ছিলেন না তারা। তবু সেই উপস্থিতিই শিরোনাম দখল করেছিল।

মন্তব্য

p
উপরে