ঈদ উপলক্ষে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে চারটি। শান, গলুই, বিদ্রোহী ও বড্ড ভালোবাসি সিনেমাগুলোর মধ্যে শান নিয়ে দর্শকের আগ্রহ বেশি বলে জানাচ্ছেন প্রেক্ষাগৃহসংশ্লিষ্টরা। গলুই আছে তার পরেই।
১০২ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েও বিদ্রোহী সিনেমা নিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না আলোচনা। এই দৌড়ে বড্ড ভালোবাসি সিনেমাকে পাওয়াই যাচ্ছে দর্শকদের আগ্রহে।
শান সিনেমার প্রযোজক ওয়াহিদুর রহমান সিনেমাটির ব্যবসায় অনেক খুশি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যা আশা করেছিলাম, তার চেয়েও বেশি সাড়া পাচ্ছি।’
প্রথম সপ্তাহে ৩৪টি সিনেমা হলে মুক্তি পায় শান। প্রযোজক সিনেমার বাজেট বা টেবিল কালেকশন কিছুই জানাতে চাননি। বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি অর্থের পরিমাণও আমরা জানাতে পারব। সিনেমার ব্যবসা ভালো হচ্ছে, এটা যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই সেটা আমরা জানাব।’
দেশের প্রেক্ষাগৃহ ছাড়াও মালয়েশিয়াতে মুক্তি পেয়েছে শান। দুই-তিন সপ্তাহ পর সিনেমাটি ইউরোপের মার্কেটেও যাবে বলে জানান প্রযোজক। তখন ব্যবসার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন ওয়াহিদুর রহমান।
রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হচ্ছে শান ও গলুই। দুটো সিনেমাই ভালো যাচ্ছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘প্রথম কয়েক দিন তো খুবই ভালো গেছে। আমরা কিছু হাউসফুল শো পেয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা ধারণা করেছিলাম যে করোনার পর দর্শক আসবেন কি না, সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। দর্শক প্রেক্ষাগৃহে এসেছেন।’
দুটি বাংলা সিনেমার মধ্যে কোনটি ভালো চলছে, জানতে চাইলে মেসবাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তুলনা করে বলছি না। দুটো সিনেমাই ভালো যাচ্ছে। তবে শান সিনেমার দর্শক অল্প কিছু বেশি।’
রাজধানীতে সিনেপ্লেক্স ছাড়াও মধুমিতা ও শ্যামলী সিনেমাসে চলছে শান সিনেমা। মধুমিতার মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই বছর তো করোনায় সবকিছু বন্ধই ছিল। সেই হিসেবে বিগত ৫ বছরে আমার এখানে শান সিনেমার মতো বিক্রি হয়নি। তাই দ্বিতীয় সপ্তাহেও শান চালাচ্ছি।’
শ্যামলী সিনেমাসের ম্যানেজার হাসান নিউজবাংলাকে কিছুটা উল্টো চিত্র দেখান। সেখানেও চলছে শান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্যান্য ঈদের তুলনায় সেল অনেকটা কম। তবে নরমাল সময়ের চেয়ে অনেক ভালো চলছে। আমরা এখনও কোনো হাউসফুল শো পাইনি।’
নারায়াণগঞ্জের সিনেমাস্কোপে শান অনেক ভালো করেছে বলে নিউজবাংলাকে জানান প্রেক্ষগৃহটির মালিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। ৩৫ সিটের এ সিনেমা হলে প্রথম কয়েক দিন টানা হাউসফুল গিয়েছে বলে জানান নুরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘এযাবৎকালে সবচেয়ে ভালো সময় পার করছি আমরা। অগ্রিম টিকিটও বিক্রি করেছি। তবে এখন সেল অনেকটা কমেছে।’
সিরাজগঞ্জের রুটস সিনে ক্লাবে প্রদর্শিত হচ্ছে শান। ২২ সিটের এ সিনেমা হলের চেয়ারম্যান সামিনা ইসলাম নীলা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম কয়েক দিন তো খুবই ভালো গেছে। আমরা হাউসফুল শো পেয়েছি। তবে কয়েক দিন যেতেই সেল কমেছে। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণেই এমন হয়েছে বলে আমার ধারণা।’
চট্টগ্রামের দুটি সিনেমা হলের সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার। যার একটি সিলভার স্ক্রিন, অন্যটি সুগন্ধা সিনেমা হল।
সিলভার স্ক্রিনে ঈদের দিন থেকেই চলছে শান ও গলুই। সেখানে দর্শকের পরিমাণ খুব একটা না বলে জানান প্রেক্ষাগৃহটির ম্যানেজার (অপারেশন) সালাউদ্দিন মোহাম্মদ পারভেজ।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুটি সিনেমার কোনোটাতেই হাউসফুল পাইনি। দর্শকও তুলনামূলক কম। এর মধ্যে শান সিনেমার দর্শক কিছুটা বেশি।’
সুগন্ধা সিনেমা হলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহাদাৎ হোসেনের কণ্ঠেও একই সুর। তিনিও কোনো হাউসফুল শো পাননি। দর্শকও তুলনামূলক কম। তাই প্রথম সপ্তাহ শেষ হতেই গলুই সিনেমা চলবে প্রেক্ষাগৃহটিতে।
তিনি বলেন, ‘যে দর্শক এসেছেন তাতে আমি খুশি। এখন দরকার নতুন নতুন ভালো সিনেমা। ঈদের সিনেমার ডামাডোল কেটে গেলেই নতুন সিনেমা দরকার হবে।’
শাপলা মিডিয়া প্রযোজিত বিদ্রোহী সিনেমা নিয়ে তেমন উচ্ছ্বাস পাওয়া গেল না প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট অপূর্ব রায়ের কণ্ঠে।
সিনেমা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ঈদে দর্শক তেমন নেই। তারপরও আমরা যে দর্শক পেয়েছি সেটা অনেক।’
সিনেমাটি কোনো সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হচ্ছে না। এর কারণ জানিয়ে অপূর্ব বলেন, ‘অ্যাকশন সিনেমা সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ প্রদর্শন করতে চায় না।’
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ অনেক দর্শক এসেছে, এটা আমাদের বড় পাওয়া। ভালো সিনেমা হলে দর্শক দেখতে আসবে, এটা তার প্রমাণ।’
উজ্জ্বল জানান, ঈদ উপলক্ষে ১০০টির মতো প্রেক্ষাগৃহ খুলেছে। এখন চ্যালেঞ্জটা হলো, হলগুলোকে চালু রাখা। ঈদের সিনেমার পর নতুন নতুন ভালো সিনেমার প্রয়োজন হবে বলে জানান উজ্জ্বল। তা হলে কোরবানির ঈদের আরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:ভারতের সবেচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে অন্যতম স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারি, যা ‘তেলগি স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারি’ নামে বেশি পরিচিত। ২০০২ সালে ২০ হাজার কোটি রুপির এক অভিনব আর্থিক কেলেঙ্কারি সামনে আসে।
আব্দুল করিম তেলগি জাল স্ট্যাম্প পেপার ছাপিয়ে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করত। কয়েকজন সরকারি অফিসারকে ঘুষ দিয়ে জাল স্ট্যাম্প তৈরি ও বিক্রির কাজ শুরু করে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
জালিয়াতির অপরাধে ২০০৭ সাল থেকেই কর্ণাটকের পারাপান্না জেলে বন্দি ছিলেন তেলগি। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। আর্থিক জরিমানা হয়েছিল ২০২ কোটি রুপি।
২০১৭ সালে ম্যানিনজাইটিস রোগে ভুগে মৃত্যু হয় ‘স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারির নায়ক’ আবদুল করিম তেলগির।
‘তেলগি স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারি’ নিয়ে স্ক্যাম ২০০৩: দ্য তেলগি স্টোরি নামের সিরিজ নির্মাণ করছেন হনসল মেহতা। তিনিই নির্মাণ করেছিলেন তুমুল জনপ্রিয় হওয়া স্ক্যাম ১৯৯২: দ্য হর্ষদ মেহতা স্টোরি।
তবে এবার পরিচালকের ভূমিকায় থাকবে তুষার হিরানন্দানি, আর হনসল থাকবেন শো-রানারের দায়িত্বে। যৌথভাবে এই প্রোজেক্ট প্রযোজনা করছে আপ্পলাউস এন্টারটেইনমেন্ট ও স্টুডিও নেক্সট, দেখা যাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সোনি লিভের পর্দায়।
জল্পনা ছিল, কে অভিনয় করবেন আবদুল করিম তেলগির চরিত্রে। অবশেষে সেই উত্তর পাওয়া গেছে। হনসল খুঁজে পেয়েছেন মুখ্য চরিত্রকে। তেলগির চরিত্রে অভিনয় করতে যাওয়া অভিনেতার নাম গগণ দেব রিয়ার। অভিষেক চৌবে পরিচালিত সোনচিড়িয়া, মীরা নায়ারের এ স্যুটেবল বয় এ কাজ করেছেন গগণ।
২৮ সেকেন্ডের একটি টিজারও প্রকাশ পেয়েছে। নেটিজেনদের দাবি, ‘এর চেয়ে পারফেক্ট কাস্টিং হতে পারে না’। সাংবাদিক সঞ্জয় সিংয়ের লেখা ‘রিপোর্টার্স ডায়েরি’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিরিজটি। এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিলেন ক্রাইম রিপোর্টার সঞ্জয় সিং।
তেলগি ছিলেন কর্ণাটকের খানাপুরের এক ফল বিক্রেতা। তিনি কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন ভারতের এক অন্যতম কুখ্যাত ‘স্ট্যাম্প পেপার কেলেঙ্কারি’র মাস্টারমাইন্ড তাই উঠে আসবে সিরিজে।
আরও পড়ুন:প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার ও সিনেপ্লেক্স নির্মাণে হল মালিকদের স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেবে সরকার। কিন্তু ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নীতি শিথিল করার আবেদন জানিয়েছেন হল মালিকেরা।
অভিসার সিনেমা হলের মালিক স্বপন আলী ভুইয়া সিনেমা হলের জমির নথিপত্র কড়া করে পর্যবেক্ষণ না করার অনুরোধ জানান ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
তিনি বলেন, ‘আগেকার যেসব সিনেমা হল রয়েছে, সেসব সিনেমা হলের জমির কাগজে অনেকেরই ঝামেলা আছে। ব্যাংকের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা যখন ঋণ দেয়ার সময় জমির কাগজ বন্ধক হিসেবে রাখবেন তখন খুব কড়াকড়ি যেন না করেন। এমন হলে অনেকেই সমস্যায় পড়বেন।’
প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন, পুর্বাশা সিনেমা হলের মালিক খোরশেদ আলম গ্রেস ইয়ার (ঋণ নেয়ার পর নির্দিষ্ট একটি সময়, যে সময়ের মধ্যে ঋণের কিস্তি দিতে হয় না, তবে সুদ যুক্ত হতে থাকে) বৃদ্ধির দাবি জানান।
দুই ভাবে ঋণ দেয়া হবে হল মালিকদের। কেউ যদি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চান, তিনি ঋণ পাবেন সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা। আর যারা প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার করতে চান, তারা পাবেন ৫ কোটি টাকা সর্বোচ্চ।
প্রেক্ষাগৃহ যদি মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হয় অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত হয়, তাহলে ঋণের সুদের হার হবে ৫ শতাংশ এবং জেলা পর্যায়ে সাড়ে ৪ শতাংশ।
বগুড়ার মধুবন সিনেমার হলের মালিক আর এস ইউনুসের দাবি, ঋণের সুদের হার দুই রকম না করে তিন রকম করা হলে ভালো হয়। মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের সঙ্গে ইউনুস উপজেলাও যোগ করার দাবি করেন এবং সেখানে সাড়ে ৪ শতাংশেরও কম সুদের হার ধার্য করার অনুরোধ জানান।
এর সঙ্গে ইউনুস আরও বলেন, ‘জেলা বা উপজেলা থেকে ঋণ পেতে অনেক সময় লাগে। যেমন আমি যদি বগুড়া থেকে ঋণ নিতে চাই, তাহলে আমার আবেদন প্রথমে বগুড়ার কোনো ব্যাংকে করতে হবে। সেই আবেদন যাবে রাজশাহীতে। সেখান থেকে কাগজ যাবে ঢাকাতে। আবার একইভাবে ঢাকা-রাজশাহী-বগুড়া হয়ে আমার কাছে আসবে। এতে অনেক সময় নষ্ট হবে। তার চেয়ে আমরা ঢাকায় এসে ঋণের আবেদন করব।’
প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, ‘এরই মধ্যে ৫৩ জন হল মালিক ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২৩টি নতুন মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তাব এবং বাকিগুলো সংস্কারের। এসব কাজে আমাদের অনেক সাহায্য করছে রুপালি ব্যাংক।’
হল মালিকদের সবাই চান যেন ঋণ পেতে অসুবিধা বা সময়ক্ষেপন না হয়। কিন্তু বিষয়টা যে এত সহজ হবে না, তার কিছু আঁচ পাওয়া যায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের কথায়।
ঋণ আবেদনে যদি কোনো হল মালিক তার প্রেক্ষাগৃহের ঝামেলাযুক্ত জমির কাগজ জমা দেন, তাহলে ব্যাংক কীভাবে তা গ্রহণ করবে, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
একই সঙ্গে রুপালী, অগ্রণী এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঋণ পেতে চাইলে অবশ্যই প্রজেক্ট পেপার (প্রজেক্টের বর্ণনা ও আর্থিক মূল্যমানের বিবরণ) জমা দিতে হবে।
রূপালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যারা লোন নিতে চান, তারা দর্শক নিয়ে একটি জরিপ জমা দেবেন। সেই জরিপ নিয়ে আমরা ভ্যালুয়েশন করব। সেটা আমাদের ঋণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করতে হবে।’
এসব তথ্য সংগ্রহের কৌশল এখনও ভালো করে জানেন না হল মালিকরা। এ ছাড়া বাংলা সিনেমার এখন দর্শকের যে ক্ষীণ স্রোত, তা দিয়ে ঋণের উপযোগী প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা কিনা এ নিয়েও সন্দিহান হল মালিকরা।
হল সংস্কার ও নির্মাণের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে প্রেক্ষাগৃহে প্রয়োজন দর্শক। আর দর্শক বাড়াতে ভারতসহ উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির দাবি হল মালিকদের।
সিরাজগঞ্জের রুটস সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেজে একটি ঘটনা উল্লেখ করেন বৃহস্পতিবার সকালে। সেখানে তারা লেখেন: ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত একজন নায়কের সুঅভিনয় চেষ্টার একটি চলচ্চিত্র; যেটি তার সকল প্রকৃত ভক্তদের অবশ্যই দেখা উচিত বলেই মনে করেছি আমরা। পোস্টার লাগানো হয়েছে ৪০০, মাইকিং করা হয়েছে ২ দিন; ফেসবুক পোস্ট বুষ্ট করা হয়েছে লোকেশন ট্যাগ করে। এতে প্রায় ৫০ হাজার পোস্ট রিচ হয়েছে; ২৩০০ লাইক পেয়েছি; ২৫০+ কমেন্ট হয়েছে, ৩৪ জন পোস্টটি শেয়ার করেছেন। ফলাফল, রুটস সিনেক্লাবের সাত দিনের বিদ্যুৎ খরচও ওঠেনি। এখনও যদি ভাবেন শুধুমাত্র বাংলাদেশি বাংলা সিনেমায় সিনেমা হলগুলো বেঁচে থাকবে, আপনি তবে বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।’
উপমহাদেশের সিনেমা বা বিদেশি সিনেমা ছাড়াও হল মাালিকরা ঋণ পরিশোধের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিন ভেঙে সিনেপ্লেক্স বা সিঙ্গেল স্ক্রিনের পাশাপাশি দোকান, ফুড কোর্ট, রেস্টুরেন্ট, বেবি কর্নার রাখার পরিকল্পনা করছেন। যেন সিনেমা ছাড়াও ইনকামের আরও কিছু উৎস থাকে।
আরও পড়ুন:কান চলচ্চিত্র উৎসবে ১৯ মে উদ্বোধন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন’-এর ট্রেলার। এটি উদ্বোধন করতে ওই উৎসবে গিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ।
মঙ্গলবার দেশে ফিরে বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সেখানে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন-এর ট্রেলার উদ্বোধন হয়েছে এবং এটি উৎসবে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। চলচ্চিত্র উৎসবের নগরী কানের প্রধান প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, আত্মত্যাগ এবং একটি জাতির রূপকার হিসেবে তার যে ত্যাগ, সংগ্রাম, অর্জন- সেগুলো তুলে আনা হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়ে নানা আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং আরও বিশ্বনেতাদের জীবন ও কর্মকে আড়াই-তিন ঘণ্টায় তুলে আনা কঠিন। তবু এই চলচ্চিত্রে সেটি তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আর পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ঠিকই বলেছেন, দেড় মিনিটের ট্রেলার দেখে একটা চলচ্চিত্রের ওপর মন্তব্য করা যায় না। সে জন্য পুরো সিনেমাটা দেখতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই চলচ্চিত্র একটি ডকুমেন্টারি হিসেবেও কাজ করবে।
‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি যে জাতির প্রশ্নে, বাঙালির প্রশ্নে অবিচল ছিলেন সেই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমিও অধীর আগ্রহে চলচ্চিত্রটি দেখার অপেক্ষা করছি।’
আগামী বছর থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের একটি স্টল দেয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশ ও প্রচার উপলক্ষে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম বড় ও মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবে রয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
মুজিব: দ্য মেকিং অফ এ নেশন সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তা নিয়েই কথা বলেছেন নিউ ইয়র্কভিত্তিক বিনোদন ম্যাগাজিন ভ্যারাইটির সঙ্গে।
তিশা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কথা সবাই জানেন, কিন্তু ফজিলাতুন্নেসার কথা অনেকেই জানেন না। প্রবাদ আছে প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে একজন নারী থাকেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বঙ্গবন্ধু যখন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলে ছিলেন তখন ফজিলাতুন্নেসা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন, পরিবারের দেখাশোনা করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি একজন শক্তিশালী নারী।’
তিশা আরও বলেন, ‘তিনি অসাধারণ সব কাজ করেছেন এবং আমি মনে করি এই সিনেমার মাধ্যমে মানুষ ফজিলাতুন্নেসা এবং তার কাজ ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
বাংলাদেশের সিনেমার অগ্রযাত্রা নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে, কারণ আমাদের অনেক তরুণ পরিচালক আছেন যারা বিশেষ কিছু করার চেষ্টা করছেন।’
অভিনয়ের পাশাপাশি নো ল্যান্ডস ম্যান সিনেমা দিয়ে প্রযোজকের খাতাতেও নাম লিখিয়েছেন তিশা। যে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিশা ভ্যারাইটিকে জানিয়েছেন, আসন্ন আরও একটি সিনেমার প্রযোজনা করছেন তিনি। যার নাম না বললেও তিশার কাছে প্রজেক্টটি ‘গভীরভাবে ব্যক্তিগত’ (“a deeply personal project”)। এটিও পরিচালনা করবেন ফারুকী।
এ ছাড়া কলকাতার একটি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তার পরবর্তী অভিনয়ের আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিশা।
১৯ মে কান উৎসবে উন্মোচন করা হয় মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন-এর ট্রেইলার। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এবং ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এনএফডিসি) যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন:গত বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসব অর্থাৎ ৭৪তম আসরের কথা মনে থাকতে পারে অনেকের। কারণ উৎসবে রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমাটি অফিশিয়াল সিলেকশন পাওয়ার কারণে উৎসব ও সিনেমাটি নিয়ে চারদিকে ছিল তুমুল আলোচনা।
বাংলাদেশের সিনেমা ইতিহাসে সেটিই ছিল কানে দেশের সিনেমার প্রথম অফিশিয়াল সিলেকশন। পাশাপাশি উৎসবটির ‘ডিসিশন মেকার’ হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন দেশের চলচ্চিত্রকর্মী তারেক আহমেদ।
৭৪-এ এত কিছু হয়ে গেল, ৭৫-এ কি কিছুই নেই? আছে, এ বছরেও কানে মর্যাদার স্থানে আছে বাংলাদেশ। সেটা কীভাবে?
দেশের চলচ্চিত্র গবেষক ও সমালোচক বিধান রিবেরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ নামটি আছে কানের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। বিধান তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে নিজের পাশাপাশি দেশকেও নিয়ে গেছেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের মঞ্চে।
বিধান কানের ৭৫তম আসরে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকসের (ফিপ্রেসি) বিচারক হিসেবে কাজ করছেন। মূল প্রতিযোগিতা, আঁ সতেঁ রিগা ও প্যারালাল সেকশন (ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইট ও ক্রিটিকস উইক) এই তিনটি শাখায় পুরস্কার দেয় ফিপ্রেসি। সেই বিভাগেরই জুরি তিনি।
জুরি হিসেবে বাংলাদেশের এ চলচ্চিত্র গবেষক-সমালোচক উৎসবের তৃতীয় দিন অফিশিয়ালি হেঁটেছেন কানের লাল গালিচায়। যা দেশের জন্য অনন্য অর্জন।
বিধান রিবেরুর মতে, ‘এটা কানেরও ইতিহাস এবং আমার বা আমাদের জন্যও ইতিহাস।’
মঙ্গলবার বিকেলে অনলাইনে বিধান রিবেরুর সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি বলেন, ‘কানের লাল গালিচায় শুধু মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরিরাই হাঁটতেন এতদিন। কিন্তু এবারই প্রথম তারা প্যারালাল বিভাগের বিচারকদের লাল গালিচায় হাঁটতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেই সুযোগে আমি ও আমরা হেঁটেছি। এটা অনেক ভালো লাগার, সম্মানের এবং ভাগ্যেরও।’
লাল গালিচায় হেঁটে ১৯ মে ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন বিধান। লিখেছিলেন, ‘নামটা ভাঙাচোরা করে উচ্চারণ করেছে, ফরাসি জিহ্বায় যতটুকু আসে। আমি তো পেছনে ঐশ্বরিয়ার পোশাক দেখে ভাবছিলাম এত বড় কলার সামলাচ্ছেন কী করে! যাক, কানের লাল গালিচা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। (বাংলাদেশ থেকে এই রেড কার্পেটে হেঁটে বাংলাদেশকেই বারবার মনে হয়েছে, কারণ আমার নামের সঙ্গে আমার দেশের নামও উচ্চারিত হয়েছে) আজ একই প্রেক্ষাগৃহে জুলিয়া রবার্টসও ছবি দেখবেন। তারার মেলায় নিজেকে কৃষ্ণগহ্বর মনে হচ্ছে।’
খুবই ব্যস্ত সময় কাটছে বিধানের। সিনেমা দেখা আর সিনেমা দেখা, এই তার ব্যস্ততার অন্যতম প্রধান কারণ। সিনেমাই দেখছিলেন, এর মধ্যে এক ঘণ্টার বিরতি পেয়েই কথা বলেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, ‘জুরি হিসেবে তো সিনেমা দেখছিই, দর্শক হিসেবেও আরও অনেক সিনেমা দেখার চেষ্টা করছি। জুরি হিসেবে যে সিনেমাগুলো দেখছি, সে সিনেমাগুলোর প্রদর্শনী হচ্ছে একেকটি একেক জায়গায়। একটি প্রদর্শনীর স্পট থেকে অন্য প্রদর্শনীর স্পটে যেতে সময় লাগছে কোনোটাতে ১৩ মিনিট, কোনোটাতে ১৬ মিনিট। অনেকে তো দৌড়াচ্ছে।’
জুরি হওয়ায় বিধানদের কাছে আছে প্রায়োরিটি পাস। যেটি দেখিয়ে প্রতিযোগিতায় থাকা সিনেমাগুলো দেখতে হচ্ছে তাদের। সাধারণ দর্শকরাও দেখতে পারছেন সিনেমাগুলো, তবে টিকিট কেটে। এ পাসের কারণে বিধানরা থিয়েটারে আগে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন, বসতে পারছেন যেকোনো সিটে।
বিধান জানান, প্রতিদিন গড়ে চারটি করে সিনেমা দেখতে হচ্ছে তার। ১৭টি সিনেমা তার দেখতে হবে জুরি হয়ে। জুরি হিসেবে সিনেমা দেখা ছাড়াও ৪০টি সিনেমা দেখতে চান তিনি।
বিধান বলেন, ‘কানে তো প্রায় সারা রাতই সিনেমা প্রদর্শিত হয়। সাগরপাড়েও রাতে সিনেমা দেখার সুযোগ আছে। আমি রাত ৮-৯টার মধ্যে যতটুকু পারি সিনেমা দেখে ট্রেন ধরে ঘরে ফিরি।’
সিনেমা দেখেই সময়টা কাটছে বিধানের। তাই আড্ডা দেয়ার তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। বলেন, ‘পরিচিত হওয়ার সুযোগ হচ্ছে। এই যেমন ভ্যারাইটির এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হলো। ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে বা বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন, তাদের সঙ্গে বসে আড্ডা দেয়ার সুযোগ তেমন পাচ্ছি না।’
বিধান জানান, কানে যারা এসেছেন, সবারই কিছু না কিছু কাজ রয়েছেই। কেউ প্রযোজকদের সঙ্গে মিটিং করছেন, কেউ ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে মিটিং করছেন।
বিধান যে বিভাগের জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, সেই বিভাগটি খুবই বিচিত্র। তিনি বলেন, ‘আমি যাদের সিনেমা দেখছি সেখানে তরুণদের সিনেমা বেশি। অন্যভাবে বলা যায়, এ বিভাগে সেই সিনেমাগুলোই এসেছে, যেগুলোর বিষয় বেশ বিচিত্র। এ বিভাগে ফর্মুলা সিনেমা একেবারেই থাকে না। যেমন একটি সিনেমা দেখলাম, যেখানে ব্রেন ক্যানসারের অপারেশন দেখান হলো। মাথার মধ্যে অপারেশন হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা ঢুকিয়ে দেখা হচ্ছে, এটাই সিনেমা। এ বিভাগের সিনেমাগুলো সব রকম নিয়ম ভাঙা সিনেমা। তাই মজাটাও অনেক।’
২৮ মে পর্যন্ত চলবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তাই সে পর্যন্ত কানেই থাকছেন বিধান। এর পরপরই দেশে ফিরবেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের মঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা চলচ্চিত্র গবেষক ও সমালোচক বিধান রিবেরু।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা সামান্থা রুথ প্রভু ও বিজয় দেবেরাকোন্ডার আসন্ন তেলেগু সিনেমা কুশির শুটিংয়ের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় আহতের খবরটির কোনো সত্যতা নেই।
সিনেমাটির প্রযোজকের বিবৃতির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমন কিছু খবর এসেছে যে কুশি শুটিংয়ের সময় বিজয় ও সামান্থা আহত হয়েছেন। এই খবরের কোনো সত্যতা নেই। কাশ্মীরে ৩০ দিনের শুটিং সফলভাবে শেষ করে পুরো দল গতকাল হায়দরাবাদে ফিরেছে। এই ধরনের খবর বিশ্বাস করবেন না।’
এদিকে এক টুইটে এই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক রমেশ বালা।
Fake news alert :"There are few reports that #VijayDeverakonda and #Samantha were injured while shooting for #Kushi movie.There is no truth in this news.
The entire team returned to Hyd yesterday after successfully completing 30 days of shooting in Kashmir.Dont believe such news" pic.twitter.com/rqlkuHmW9H— Ramesh Bala (@rameshlaus) May 24, 2022
চলতি মাসের মাঝামাঝিতে প্রকাশ করা হয় সিনেমাটির ফার্স্টলুক। সেটি টুইটারে পোস্ট করে সামান্থা লেখেন, ‘এই ক্রিসমাস-নতুন বছর। আনন্দ, হাসি, সুখ এবং ভালোবাসার বিস্ফোরণ। একটি দুর্দান্ত পারিবারিক অভিজ্ঞতা।’
কুশি সিনেমাটি তেলেগু, তামিল, কন্নড় ও মালয়ালাম ভাষায় ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন:‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ এর ধারাবাহিকতায় টম ক্রুজের অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘মিশন: ইম্পসিবল- ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’-এর ট্রেইলার প্রকাশ পেয়েছে।
‘ডেড রেকনিং’ জনপ্রিয় এ স্পাই থ্রিলার সিরিজের সপ্তম কিস্তি যেখানে আইএমএফ এজেন্ট ইথান হান্টের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রুজ।
‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির বেশ কয়েকজন পরিচিত অভিনেতাও রয়েছেন সবশেষ এ পর্বটিতে। ক্রুজের সঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে ভিং রেইমস, সাইমন পেগ, রেবেকা ফার্গুসন ও এর আগের পর্ব ফলআউটের তারকা ভেনেসা কার্বিকেও।
এ পর্বে ফিরছেন হান্টের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বি ইউজিন কাট্রিজ। ১৯৯৬ সালে সিরিজের প্রথম পর্বের পর এ চরিত্রে আবারও দেখা যাবে হেনরি চেয়ার্নিকে।
২ মিনিটের ট্রেইলারে দেখা যাচ্ছে কাট্রিজ হান্টকে বলছেন, ‘তথাকথিত বৃহত্তর ভালোর জন্য তোমার লড়াইয়ের দিন শেষ। সত্যকে নিয়ন্ত্রণ করার এটাই আমাদের সুযোগ। তুমি এমন একটি ধারণাকে রক্ষার জন্য লড়াই করছ যার অস্তিত্বই নেই।’
‘ডেড রেকনিং’ লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়েরি। যিনি এই সিরিজে এর আগে ২০১৫ সালে ‘রোগ নেশন’ এবং ২০১৮ সালে ‘ফলআউট’ পরিচালনা করেছিলেন। এটি মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই। ২০২৪ সালে ‘ডেড রেকনিং: পার্ট টু’ আসবে।
মন্তব্য