কয়েক বছরের অপেক্ষা-প্রতীক্ষা, কৌতূহল-আকর্ষণ মিটল কিছুটা হলেও। প্রকাশ পেয়েছে জেমস ক্যামেরন পরিচালিত দুনিয়া কাঁপানো সিনেমা অ্যাভাটারের নতুন পর্ব অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার সিনেমার টিজার ট্রেলার।
প্রথম সিনেমা অ্যাভাটার (২০০৯) মুক্তির ১৩ বছর পর পাওয়া গেল দ্বিতীয় পর্বের টিজার। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ১৪ ডিসেম্বর, আর ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিনেমাটি চলবে উত্তর আমেরিকায়।
সোমবার রাতে অ্যাভাটার ও ডিজনির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের টিজারটি প্রকাশ করা হয়। পুরো টিজারে কথা রাখা হয়েছে একটি। সেটি হলো, ‘আমি একটা কথাই জানি, আমরা যেখানেই যাই, এই পরিবারটিই আমাদের দুর্গ।’
ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হবে এবারের পর্বে। এ ছাড়া সিনেমার নাম এবং টিজার দেখে এও ধারণা করা হচ্ছে যে এবারের পর্বের গল্প সাজানো হয়েছে পানি ও তার ভেতরে থাকা জীবনশক্তি নিয়ে।
টিজার ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিনেমার প্রযোজক জন ল্যান্ডউ বলেছিলেন, ‘জেমস ক্যামেরনের স্ক্রিপ্টগুলো সব সময় সর্বজনীন। চারটি সিক্যুয়ালের প্রতিটির কেন্দ্রে থাকবে সুলি পরিবার। প্রতিটি গল্প হলে আলাদা আলাদা এবং সবগুলোর শেষটাও হবে ভিন্ন। প্রতিটি ফিল্মের জন্য একটি পরিপূর্ণ রেজ্যুলিউশন থাকবে। আবার চারটি মিলে তৈরি হবে একটি বৃহত্তর মহাকাব্যিক কাহিনি।’
জ্যাক সুলি, নেইটিরি ও তাদের অ্যাভাটার পরিবার কী রকম সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে এবং সেই সমস্যা তারা সমাধান করতে পারবেন কি না, সেটাই এখন জানার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন:রোমান্টিক থ্রিলার গল্পের সিনেমা তালাশ মুক্তি পেতে যাচ্ছে জুনের ১৭ তারিখে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। সেখানেই জানা যায় সিনেমার মুক্তির তারিখ।
সিনেমা প্রথমবারের মতো জুটি হয়ে দেখা যাবে বুবলী ও নবাগত চিত্রনায়ক আদর আজাদকে। সিনেমাটি পরিটালনা করেছেন সৈকত নাসির।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আদর আজাদ বলেন, ‘দুটি গান ও ফার্স্টলুক প্রকাশের পর এবার প্রকাশ পেল সিনেমাটির ট্রেলার। অনেক আগেই সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আশা করি পর্দায় আমাদের দেখে দর্শক নিরাশ হবেন না।’
বুবলী বলেন, ‘সিনেমাটির গল্প এক কথায় চমৎকার। দর্শক ভালো গল্পের একটি সিনেমা দেখতে চান। আমি বলব তালাশ একটি ভালো গল্পের সিনেমা। আপনারা দেখলে নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারবেন।’
ক্লিওপেট্রা ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির কাহিনি পরিচালকের সঙ্গে যৌথভাবে লিখেছেন আসাদ জামান। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন আসিফ আহসান খান, মাসুম বাশার, মিলি বাশার, যোজন মাহমুদ।
প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই আদর আজাদ-বুবলী জুটি সাইফ চন্দন পরিচালিত লোকাল সিনেমায় দ্বিতীয়বারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। বর্তমানে সিনেমাটি নির্মাণাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন:জয়া আহসান অভিনীত বিউটি সার্কাস সিনেমাটি কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়াই পেয়েছে সেন্সর ছাড়পত্র। বুধবার সিনেমাটি সেন্সর পেয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন এর পরিচালক মাহমুদ দিদার।
তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি ঈদের আগে সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছিল। সিনেমাটি দেখার পর বুধবার সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে বোর্ড।’
সেন্সর পাওয়ার পর মুক্তির বিষয় চলে আসে। বিউটি সার্কাস সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে, জানতে চাইলে মাহমুদ দিদার বলেন, ‘মুক্তির বিষয়টা আগামী সপ্তাহে জানা যাবে আশা করছি।’
২০১৭ সালে শুরু হয় বিউটি সার্কাস সিনেমার শুটিং। শোনা যায়, অর্থ সংকটে সিনেমাটির কাজ মাঝখানে বন্ধ ছিল। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটিতে পরে প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
সার্কাস প্যান্ডেল ও গ্রাম্য মেলার আয়োজন করা হয়েছিল সিনেমাটি নির্মাণের সময়। অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি হাজারখানেক গ্রামবাসী কাজ করেছেন এ সিনেমায়।
সিনেমার গল্প গড়ে উঠেছে সার্কাসের মালিক ও প্রধান নারী শিল্পী বিউটি ও তার সার্কাস দলটি নিয়ে। বিউটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। তার জাদু প্রদর্শনী আর রূপে পাগল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বিউটিকে নিজের করে পাবার প্রতিযোগিতায় নামে তারা। একসময় হুমকির মুখে পড়ে বিউটির সার্কাস।
সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, তৌকির আহমেদ, গাজী রাকায়েত, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, হুমায়ূন কবীর সাধুসহ অনেকে।
অস্কার, বাফটা এবং গ্র্যামি বিজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমান তার নতুন সিনেমার নাম প্রকাশ করেছেন। না, কোনো নতুন সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন না তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো সিনেমা পরিচালনা করতে যাচ্ছেন, ভ্যারাইটিকে নিশ্চিত করেছেন সেটাই।
আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন ভ্যারাইটিতে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কনফেশনস নামের নতুন একটি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এ আর রহমান। যেটি হবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির জন্য।
ভ্যারাইটিকে এ আর রহমান বলেছেন, ‘আমরা একটা সিনেমা করতে চাই যেটা খুবই সহজ, কিন্তু অনুভূতির দিক থেকে খুবই গভীর।’ চলচ্চিত্রটির ৬০ ভাগ চিত্রনাট্য শেষ হয়েছে বলেও জানান এ গুণী সংগীতজ্ঞ।
এ আর রহমানের প্রথম সিনেমা লে মাস্ক। যার প্রিমিয়ার হয় কান ফিল্ম মার্কেটের ‘কান এক্সআর’ প্রোগ্রামে। তবে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি এখনও।
রহমান জানান, তিনি ও তার টিম খুব খুশি যে কাজটি শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালে এর কাজ শুরু হয়েছিল। নতুন কাজটি করতে যেন বেশি সময় না লাগে, সেভাবেই কনফেশনস-এর কাজ এগিয়ে নিতে চান রহমান।
লে মাস্ক সিনেমাটির গল্প রহমানের স্ত্রী সায়রার একটি ধারণা থেকে নেয়া।
আরও পড়ুন:নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে আমেরিকান অ্যানোনিমাস কনটেন্ট এবং ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সির (সিএএ)। এ খবরটি কতটা বড় বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাই ব্যাখ্যা করেছেন চলচ্চিত্রকার ওয়াহিদ ইবনে রেজা।
টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স, ইউনিভার্সাল পিকচার্স, মার্ভেল স্টুডিওস, ডিসি এন্টারটেইনমেন্ট, সনি পিকচার্সের সিনেমায় কাজ করা ওয়াহিদ ইবনে রেজা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন সে ব্যাখ্যা।
খবরটির তাৎপর্য তুলে ধরে রেজা লেখেন, ‘পশ্চিমা দেশে আপনি যদি ক্রিয়েটিভ লাইনে উচ্চ পর্যায়ে কাজ পেতে চান তাহলে আপনার একজন এজেন্ট বা ম্যানেজার লাগবে। তাদের কাজই হচ্ছে আপনার জন্য কাজ খুঁজে আনা। কারণ আপনার ফি এর ১০-১৫% তারা পাবে। আপনি যত কাজ পাবেন তাদের লাভ তত। হলিউডে কোনো বড় কাজ এজেন্ট বা ম্যানেজার ছাড়া হয় না। কেউ কথাই বলবে না আপনার সঙ্গে।
‘তো এই এজেন্সিগুলোর মধ্যে সিএএ হচ্ছে সবচেয়ে বড় এজেন্সিগুলোর মধ্যে একটা। এরা এতই বড় যে সরাসরি আপনি এদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। মানে, তারা তখনই আপনার কাছে আসবে যখন তাদের কোনো বর্তমান ক্লায়েন্ট আপনাকে তাদের কাছে রেফার করে। নুহাশ হুমায়ূনকে যিনি রিপ্রেজেন্ট করছেন, তিনি সরাসরি কাকে রিপ্রেজেন্ট করে জানেন? অরিজিনাল স্পাইডার-ম্যান ট্রিলজি, ডক্টর স্ট্রেঞ্জ মাল্টিভার্স-এর নির্দেশক স্যাম রাইমিকে! তার মানে এই মুহূর্তে স্যাম রাইমির যেই রিসোর্স, আমাদের নুহাশের একই রিসোর্স। ব্যাপারটা কি কল্পনা করতে পারছেন? ব্যাপারটা কেউ ভেরিফাই করতে চাইলে আইএমডিবি প্রো অ্যাকাউন্টে দেখে নিতে পারেন।
রেজা আরও লেখেন, ‘এই অভাবনীয় রিসোর্সের সদয় ব্যবহার যে এখনই শুরু হয়ে গেছে তার প্রমাণটা কি জানেন? অ্যানোনিমাস কনটেন্ট, যারা কিনা মি. রোবট, ট্রু ডিটেকটিভ-এর মতো সিরিয়ালের পেছনের প্রোডাকশন কোম্পানি, তারা নুহাশকে সাইন করেছে। এর মানে কী? তারা নুহাশের নেক্সট প্রজেক্ট প্রডিউস করতে চাচ্ছে। কেন করতে চাচ্ছে তারা? কারণ তারা দেখেছে, নুহাশ বাংলাদেশে বসে একটি হাই কনসেপ্টের সিনেমা বানিয়েছে, যা বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখে, পাশাপাশি আর্টিস্টিক ভ্যালু ক্যারি করে। আজকে কোরিয়ান ফিল্মমেকাররা, মেক্সিকান ফিল্মমেকাররা যা করছে, তা আগামীতে নুহাশ করতে পারবে, সেটা ধারণা করেই এত বড় প্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটা যে কী বিশাল একটা ব্যাপার, আমি ভাষায় বোঝাতে পারছি না।’
নুহাশ পরিচালিত মশারী সিনেমাটি সাউথ বাই সাউথ ওয়েস্ট চলচ্চিত্র উৎসব এবং আটলান্টা চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হওয়া নিয়ে রেজা লেখেন, ‘পৃথিবীতে ৭০০০ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আছে, যারা রেজিস্টার্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এর মধ্যে মাত্র ৬৩টি ফেস্টিভ্যাল, মানে মাত্র ০.৯ শতাংশ হচ্ছে অস্কার কোয়ালিফায়িং। অস্কার কোয়ালিফায়িং ফেস্টিভ্যাল মানে কী? মানে, এই ফেস্টিভ্যালে যদি কোনো ফিল্ম কম্পিটিশনে যেতে, শুধু অংশগ্রহণ কিন্তু নয়, শুধুমাত্র যদি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়, তবে সেই ফিল্মটি অটোমেটিক্যালি অস্কারের দৌড়ে চলে আসবে। তার মানে ধরে নেয়া হবে যে এই বছর সারা পৃথিবীতে যতগুলো শর্ট ফিল্ম হয়েছে, তাদের মধ্যে এই ফিল্মগুলো শ্রেষ্ঠ। এরপর এখন থেকে আস্তে আস্তে শর্টলিস্ট হতে হতে অস্কারের নমিনেশন আসে।
‘এখন এ রকম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ হয় কী করে একটা ফিল্ম? সাধারণত এ রকম বড় ফেস্টিভ্যালে গড়ে ৩০০০ করে শর্টফিল্ম জমা পড়ে। সেখান থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি মিলিয়ে হয়তো ১০টা ফিল্মকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেয়া হয়। তার মানে মাত্র ০.৩৩ শতাংশ ফিল্ম এই সম্মান পায়। এখন একই সঙ্গে অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়ে, সিলেক্ট হয়ে পুরস্কার জেতার চান্স তাহলে গাণিতিকভাবে দাঁড়ায় ০.৯% x ০.৩৩% = .০০২৯৭%। এই জন্য এই অস্বাভাবিক বাজি যারা জিতে নেয়, তাদেরকে বলা হয় বেস্ট অফ দ্য বেস্ট।’
সব শেষে নুহাশকে ধন্যবাদ দিয়েছে ওয়াহিদ ইবনে রেজা। অনেক আগ্রহ নিয়ে তিনি নুহাশের পরবর্তী জাদু দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন শুভকামনা।
আরও পড়ুন:বিশ্ব চলচ্চিত্রের মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন দেশের ‘পাওয়ার কাপল’ খ্যাত অনন্ত জলিল ও বর্ষা দম্পতি। সেখানে গিয়ে তাদের দেখা হয়েছে বলিউডের আরেক ‘পাওয়ার কাপল’ অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে।
বুধবার দুপুরে অনন্ত তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অভি-অ্যাশের সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘একসঙ্গে ঢালিউড ও বলিউড তারকারা। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন অনন্ত জলিল ও খাদিজা পারভিন বর্ষা।’
এর আগে একই পেজে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেন অনন্ত। সেখানে দেখা যায় লাল গাউনে বর্ষা এবং স্যুটেড-বুটেড অনন্ত। তারা হেঁটে যাচ্ছেন কোথাও। তাদের ছবি তুলতে ব্যস্ত আলোকচিত্রীরা।
১৬ মে অনন্ত তার পেজে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশের মাধ্যমে জানান, অনন্ত ও বর্ষা কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাচ্ছেন এবং সেখানে তারা তাদের দিন- দ্য ডে এবং নেত্রী- দ্য লিডার সিনেমার ট্রেলার দেখাবেন। সিনেমা ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলার চেষ্টাও করবেন তারা। তবে এ সবই হবে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিকতার বাইরে।
যেহেতু কান চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে সেখানে সিনেমাসংশ্লিষ্টদের সমাগম হয়, তাই সেখানে উৎসবের মূল আয়োজনের বাইরেও সিনেমা হল ও সিনেমা ব্যবসায়ীদের আনাগোনা থাকে। কারও সঙ্গে আগে থেকে মিটিং সেট করা থাকলে খুব সহজেই সিনেমার ব্যবসাসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায়।
উৎসবের বাইরে থিয়েটার ভাড়া পাওয়া যায়। চাইলে সেখানে সিনেমা বা ট্রেলার দেখানোর সুযোগ রয়েছে। এর আগে অনন্ত তার সিনেমা এ প্রক্রিয়াতে প্রদর্শনও করেছেন।
অনন্ত-বর্ষা জুটির দিন- দ্য ডে সিনেমাটি মুক্তি পাবে কোরবানির ঈদে। সে প্রস্তুতিও রাখছেন তারা।
আরও পড়ুন:দেশের তরুণ নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে আমেরিকান দুটি সংস্থার সঙ্গে। সংস্থা দুটি হলো অ্যানোনিমাস কনটেন্ট এবং ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সি (সিএএ)। সংস্থা দুটির প্রস্তাবেই তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নুহাশ।
এতে করে হলিউডের বা আন্তর্জাতিক কাজগুলো করার সুযোগ পাবেন নুহাশ। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পরিচালক নিজেই।
নুহাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মশারি সাউথ বাই সাউথ ওয়েস্ট চলচ্চিত্র উৎসব এবং আটলান্টা চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হওয়ার পর সংস্থা দুটি আমার সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।’
নুহাশ জানান, হলিউডে কোনো বড় কাজ এজেন্ট বা ম্যানেজার ছাড়া হয় না। এই এজেন্ট বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য পরিচালক, অভিনয়শিল্পী বা প্রয়োজনীয় যাবতীয় কিছু জোগাড় করে বা কাজ পাইয়ে দেয়।
অ্যানোনিমাস কনটেন্ট একটি আমেরিকান বিনোদন কোম্পানি। যারা টিভি সিরিজ ট্রু ডিটেকটিভ, নেটফ্লিক্স সিরিজ মি. রোবোটসহ আরও অনেক কাজ করেছে।
ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সি বা সিএএ হলো আমেরিকান সংস্থা, যারা প্রতিভা অন্বেষণ করে এবং কাজ করে ক্রীড়া নিয়েও। এ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার স্টিফেন স্পিলবার্গ, স্যাম রামির মতো চলচ্চিত্র জায়ান্টরা।
অ্যানোনিমাস কনটেন্ট বা সিএএ-এর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার ফলে নুহাশ আন্তর্জাতিক কাজ বা হলিউডের কাজ খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
নুহাশ বলেন, ‘এ চুক্তির ফলে আমি আন্তর্জাতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারব এবং এ চুক্তির কোনো নির্দিষ্ট টাইম নেই। এরই মধ্যে আমি আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যার গল্প আমার এবং পরিচালনাও করব। কাজটি আমি চুক্তি হওয়ার পরই পেয়েছি।’
বলার মতো আরও অনেক খবরই আছে নুহাশের কাছে, কিন্তু সেগুলো এখনও তিনি বলতে পারছেন না।
আরও পড়ুন:কিছুদিন আগেই ১ হাজার কোটির ক্লাবে ঢুকেছে কেজিএফ চ্যাপ্টার টু। মুক্তির চতুর্থ সপ্তাহে বাহুবলীর নির্মাতা এস এস রাজমৌলির সিনেমা আরআরআর-কে পেছনে ফেলে ‘এলিট’ ক্লাবের তৃতীয় স্থান দখল করে কেজিএফ টু।
এখন এর আগে রয়েছে শুধু দঙ্গল ও বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সিনেমাটি।
মুক্তির পঞ্চম সপ্তাহেও বক্স অফিস দৌড়ে বেশ এগিয়ে সিনেমাটি। এই সপ্তাহের পঞ্চম দিনেও আয় করেছে ৩ কোটি ৬১ লাখ রুপি।
এ পর্যন্ত সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ২০৪ কোটি ৩৭ লাখ রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।
ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান গতকাল মঙ্গলবার এক টুইটে এ তথ্য জানান।
#KGFChapter2 WW Box Office
— Manobala Vijayabalan (@ManobalaV) May 17, 2022
Week 1 - ₹ 720.31 cr
Week 2 - ₹ 223.51 cr
Week 3 - ₹ 140.55 cr
Week 4 - ₹ 91.26 cr
Week 5
Day 1 - ₹ 5.20 cr
Day 2 - ₹ 4.34 cr
Day 3 - ₹ 6.07 cr
Day 4 - ₹ 9.52 cr
Day 5 - ₹ 3.61 cr
Total - ₹ 1204.37 cr
STRONG HOLD
ইতোমধ্যে হাজার কোটির ক্লাবে রয়েছে দঙ্গল (২০২৪ কোটি রুপি), বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন (১৮১০ কোটি রুপি) ও আরআরআর (১১২৭ কোটি রুপি)।
মুক্তির আগে থেকেই যেমন আলোচনায় ছিল কেজিএফ টু, বাস্তবেও ঘটেছে ঠিক তাই। দর্শকপ্রিয়তা তো বটেই, বক্স অফিসেও রাজত্ব করছে।
২০১৮ সালের শেষ দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল সিনেমাটি।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
যশ ছাড়া কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে মুখ্য ভূমিকায় আছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রে দর্শক মাতাচ্ছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য