× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Rozina got 10 rupees for her first performance in the movie
google_news print-icon

সিনেমায় প্রথম অভিনয়ে পেয়েছিলাম ১০ টাকা: রোজিনা

সিনেমায়-প্রথম-অভিনয়ে-পেয়েছিলাম-১০-টাকা-রোজিনা
অভিনেত্রী রোজিনার বিভিন্ন সময়ের সিনেমা। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
‘আমরা দাঁড়িয়ে আছি। একজন লোক আমাকে ডাকলেন। পরে বুঝেছি উনি সহকারী পরিচালক। তিনি এসে বললেন, এই মেয়ে এদিকে আস। সবাই তো হতভম্ব। কেন ডাকছে। পরে সেই সহকারী পরিচালক বুঝিয়ে দিলেন যে, তাদের একটি দৃশ্যের জন্য একজন মেয়ে দরকার।’

শুটিং দেখতে এসে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন রেনু নামে মফস্বল শহর থেকে ঢাকায় আসা একটি মেয়ে। দৃশ্য ছিল ট্রেতে করে কিছু জিনিস নিয়ে এসে টেবিলে রাখার। এই ছোট্ট দৃশ্যের জন্য তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ১০ টাকা। অভিনয়ের পেশায় সেটি তার প্রথম আয়।

সেই রেনু পরে হয়ে ওঠেন চিত্রনায়িকা রোজিনা। ওই প্রথম অভিনয়ের কয়েক বছরের মাথায় তিনি গাড়ি কেনেন ৭০ হাজার টাকায়। ব্যস্ত হয়ে যান সিনেমায়। এক দিনে তিন-চারটি সিনেমার শুটিং করেছেন এ অভিনেত্রী। জিতেছেন দর্শকের হৃদয়।

কসাই সিনেমার জন্য ১৯৮০ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী ও ১৯৮৮ সালে জীবনধারা সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী রোজিনা মাঝে মাঝেই দেশে আসেন। ফিরে দেখা নামে সম্প্রতি একটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। সেটা মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আরেকটি সিনেমা করার ইচ্ছা আছে তার।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আসা, শৈশব, বেড়ে ওঠাসহ নানা বিষয় নিয়ে রোজিনা কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।

সিনেমায় প্রথম অভিনয়ে পেয়েছিলাম ১০ টাকা: রোজিনা
সাদাকালো সিনেমার আমলে তরুণ বয়সী অভিনেত্রী রোজিনা। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

রোজিনার নিজের ভাষ্যে:

‘জন্ম আমার গোয়ালন্দে, নানির বাড়িতে। রাজবাড়ি আমার বাবার বাড়ি।

‘আমরা চার বোন, দুই ভাই। শৈশবের অনেকটা সময় আমার গোয়ালন্দে কেটেছে। স্কুলজীবনটা আমার ছিল রাজবাড়িতেই।

‘রাজবাড়িতে চিত্রা হল ছিল (এখন যেটি ভেঙে ফেলা হয়েছে, মার্কেট করা হচ্ছে)। আমাদের বাড়ি থেকে সিনেমা হলের দূরত্ব ত্রিশ মিনিটের। বাড়ির পাশেই ছিল মসজিদ। মাগরিবের আজানের পরপর শুরু হতো সন্ধ্যার শো।

‘আমার মা সিনেমা দেখা পছন্দ করতেন না। তিনি চাইতেন না আমি সিনেমা দেখি। সিনেমায় অভিনয়টাও পছন্দ করতেন না।

‘আমরা পাঁচ-ছয় বান্ধবী ছিলাম, একসঙ্গে স্কুলে যেতাম। বাড়ির পাশ দিয়ে সিনেমার বিজ্ঞাপনের মাইকিং হতো রিকশায়। সেই বিজ্ঞাপন দেখার পর বান্ধবীদের মধ্যে আলোচনা চলত, যে-সিনেমা আসছে, সেটা দেখতেই হবে। কিন্তু আমাদের বাসা থেকে তো অনুমতি পাওয়া যাবে না।

‘তখন আমরা বুদ্ধি করতাম। সবাই মিলে বাসায় বলতাম, আমরা আমাদের এক বান্ধবীর বাড়িতে ঘুমাব। এভাবে আমরা এসব বলে সিনেমা দেখতে যেতাম।

‘মাগরিবের আজান দেয়ার পর সিনেমা দেখতে চলে যেতাম। স্কুলের টাকা বাঁচিয়ে রাখতাম সিনেমার টিকিট কেনার জন্য। যেদিন সিনেমা দেখতাম, তার পরদিন স্কুলে যেতাম না।

‘যখন কোনো বিয়েবাড়িতে বা অনুষ্ঠানে মাইকে গান বাজত, তখন পাশেই কোথাও বসে থাকতাম, গান শুনতাম।

‘বেড়ে ওঠার সময় থেকে সিনেমা আমার মাথায় গেঁথে গিয়েছিল।

‘বিকেলবেলা আমাদের বাড়িতে পণ্ডিত আসতেন, আমরা পড়তে বসতাম। আমি পড়া দিতে না পারলে তিনি আমার মাকে ডাকতেন। বলতেন, “রেনুর মা, তোমার মেয়ে আজ স্কুলে যায়নি।” মা বলতেন, “পিটান ধইরা।” আর বেতের বাড়ি দিতেন পণ্ডিত।

‘আমি একটু চঞ্চল ছিলাম। বান্ধবীদের সঙ্গে আম পেড়ে খাওয়া, কাঁঠাল পেড়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখা– এগুলো করার জন্য বকাঝকাও খেতাম। আশপাশের অনেকে জানত যে ওরা কয়েকজন আছে, একটু দুষ্টু।

‘যেদিন আমার মা মারতেন, সেদিন আমি পালিয়ে নানাবাড়ি চলে যেতাম। ট্রেনে চলে যেতাম, বেশিক্ষণ লাগত না। এভাবে যাওয়া-আসার মধ্যেই থাকতাম। এভাবে বেড়ে ওঠা।

সিনেমায় প্রথম অভিনয়ে পেয়েছিলাম ১০ টাকা: রোজিনা
রোজিনা অভিনীত হিট সিনেমা ’রাজমহল’ এর পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

যেভাবে ঢাকায় আসা

‘শাবানা ম্যাডাম, কবরী ম্যাডামদের দেখে ভাবতাম, এভাবে নাচব, গাইব, অভিনয় করব। আমার বাবার সঙ্গে ব্যবসা করতেন আলীজান ভাই। তিনি আমাদের বাড়িতে আসতেন, আমরা কখনও ঢাকা গেলে তার ওখানে যেতাম। পুরান ঢাকায় থাকতেন তিনি। তারা এলাকায় বাৎসরিক নাটকের অনুষ্ঠান করতেন। বাবার কাছে এলে অনেক সময় এসব নিয়ে গল্প করতেন। ওনার আবার চলচ্চিত্রের কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় ছিল। আমি তাকে মাঝে মাঝে বলতাম, “আমি অভিনয় করব, আমাকে নিয়ে যান।” তিনি বলতেন যে “না, খালাম্মা তোকে যেতে দেবে না।”

‘একদিন আমার মা খুব মেরেছিল। আমি রাগ করে চলে গিয়েছিলাম আলী ভাইদের বাড়িতে। এভাবে আমার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পা বাড়ানো।

‘সিনেমায় অভিনয় করে যে টাকা পাওয়া যায়, আমি জানতাম না। এটা ১৯৭৭ সালের মাঝামাঝি সময়ের কথা বলছি।

‘আমার মা ভেবেছিলেন, আমি গোয়ালন্দে গিয়েছি। এক দিন পর খবর নিয়ে দেখেন যে আমি নানাবাড়ি যাইনি। মা তো খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন। তখন নানা-মামা বেঁচে ছিলেন। পরে আমার চাচা দুই দিন পর ঢাকা গেলেন ছবি নিয়ে। পরে তিনি দেখলেন, আমি আলীজানদের বাড়িতে।

‘পরে আমার মা চলে এলেন ঢাকায়। যখনই শুনলাম মা আসছেন, আমি তো এই বাড়ি পালাই, সেই বাড়ি পালাই, চৌকির নিচে লুকাই। আমার মা দৌড়াচ্ছেন আমার পিছে পিছে। আমার মা দুই দিন থেকে আবার চলে গেলেন।'

প্রথম অভিনয়

‘আলী ভাইরা একটা নাটকের মহড়া দিচ্ছিলেন, বাৎসরিক নাটক। আমি সেই মহড়া গিয়ে দেখতাম। যেদিন নাটকটি মঞ্চস্থ হবে, তার দুই দিন আগে হিরোইন অসুস্থ হয়ে গেল। পরে আমাকে বলা হলো অভিনয় করতে।

‘রিহার্সেল না করে কীভাবে অভিনয় করব, আমি তো না না করছিলাম, কিন্তু তাতে কাজ হলো না। আমাকে কাজটা করতেই হলো। দুই দিন রিহার্সেল করেছি। লালবাগের শায়েস্তা খান হলে সেই নাটক মঞ্চস্থ হয়।

‘আলী ভাইয়ের পরিচিত চলচ্চিত্রের কিছু মানুষ এসেছিলেন সেই নাটকের শো-তে। ওখান থেকে আমি একটি বিজ্ঞাপনের অফার পাই। বিজ্ঞাপনটি ছিল মায়া বড়ির (জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল)।

সিনেমায় প্রথম অভিনয়ে পেয়েছিলাম ১০ টাকা: রোজিনা
উপমহাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে রোজিনা (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

ক্যামেরার সামনে প্রথম

‘খেজুর বাগানে বেরাতে গিয়েছিলাম। তখনও সংসদ ভবন উদ্বোধন হয়নি। আলী ভাই আর তার ভাগনিদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। দেখি শুটিং হচ্ছে। সিনেমাটির নাম ছিল জানোয়ার। কালীদাশ বাবু ছিলেন পরিচালক আর ওয়াসিম ভাই ছিলেন হিরো, হিরোইন ছিলেন সুচরিতা ম্যাডাম।

‘শুটিংটা ছিল এমন যে, একটা মঞ্চ। সেখানে নাচ হবে। সামনে টেবিল, তার ওপর বিভিন্ন রকম বোতল।

‘আমরা দাঁড়িয়ে আছি। একজন লোক আমাকে ডাকলেন। পরে বুঝেছি উনি সহকারী পরিচালক। তিনি এসে বললেন, এই মেয়ে এদিকে আস। সবাই তো হতভম্ব। কেন ডাকছে। পরে সেই সহকারী পরিচালক বুঝিয়ে দিলেন যে, তাদের একটি দৃশ্যের জন্য একজন মেয়ে দরকার।

‘দৃশ্যটি এমন: একটা মেয়ে ট্রে-তে করে বোতল-গ্লাস নিয়ে গিয়ে টেবিলে রাখবে। এটাই তার কাজ এবং এটাই হলো দৃশ্য।

‘আমি গেলাম। আমাকে মেকআপ রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। প্যান্ট-শার্ট পরানো হলো। গায়ে লাগছিল না। তারপরও জোর করে পরানো হলো। পরে ফ্লোরে এসে রিহার্সেল দিলাম। দারাশিকো ছিলেন, শর্বরী ম্যাডাম ছিলেন নৃত্যে।

‘আমার শুটিং হয়ে গেল। মেকআপ রুমে গিয়ে আবার সব খুলে রেখে আসলাম। বের হওয়ার পর আমাকে ১০ টাকা দেয়া হলো। সেটাই বলতে গেলে আমার সিনেমায় অভিনয়ের প্রথম ইনকাম।

প্রথম ফটোশুট

‘এর মধ্যে বলে রাখি, সিনেমার যে মুভি ক্যামেরাম্যান ছিলেন, তিনি স্টিল ফটোগ্রাফারকে বললেন, মেয়েটার চেহারা তো খুব শার্প, ওর কিছু ছবি তুলে রাখ। আমি তো ছবি তুলে চলে আসলাম। কিন্তু সেই ছবিগুলো ছড়িয়ে গিয়েছিল।

সিনেমার জন্য ইন্টারভিউ

‘চঞ্চল মাহমুদের (অভিনেতা) সঙ্গে একটি কাজ করার কথা চলছিল। পরিচালক কে ছিলেন মনে নেই, আফজাল সাহেব ছিলেন প্রযোজক, তিনি মারা গেছেন। আমাকে সঞ্চিতা দিলেন পড়ার জন্য। বললেন জোরে জোরে পড়।

‘পড়লাম। ওনারা আমাকে সিলেক্ট করলেন। বললেন, নাচ এবং অভিনয় শিখতে হবে। তখনও আমি আলী ভাইয়ের বাসাতেই থাকছি এবং কাজগুলো অনেক কম সময়ের মধ্যে হয়ে যাচ্ছে। অনেক দিন ধরে থাকছি, কষ্ট করছি, এমন না।

‘সেই সিনেমার শুটিং শুরু হলো। এর মধ্যে আমি মহড়া শেষ করেছি। শুটিং করছি বলধা গার্ডেনে। এর মধ্যে আমার পক্স (জলবসন্ত) হয়েছিল। সব ঠিক হয়ে গেলেও মুখের একটি পক্সের দাগ শুকাচ্ছিল না। ওটার দাগ এখনও রয়ে গেছে। সেটা শুটিংয়ের সময় মেকআপ দিয়ে কাভার করতে অনেক সময় লাগছিল। শেষ করে বাগানের মধ্যে গেলাম, গিয়ে দেখি ম্যাডাম কবরী বসে আছেন। আমার একটু অবাক লাগল। কারণ সিনেমায় তো আমার একক নায়িকা হবার কথা। একদিন শুটিং করলাম। বাসায় ফিরে আলী ভাই আর মাকে বললাম, এখানে তো আমার একক নায়িকা হবার কথা। এরপর আমি আর শুটিংয়ে যাইনি।

‘সিনেমায় আমার কোনো গডফাদার নেই বা এমন কোনো গার্জিয়ান ছিল না যে আমার সঙ্গে সব সময় থাকে। তখন গুলিস্তানে ছিল প্রযোজকদের অফিস। সেখানে গিয়ে আমি কিন্তু বসে থাকিনি।

সিনেমায় প্রথম অভিনয়ে পেয়েছিলাম ১০ টাকা: রোজিনা
অভিনেত্রী রোজিনা। ছবি: সংগৃহীত

রেনু থেকে রোজিনা

‘এর মধ্যে মিন্টু আমার নাম সিনেমার প্রস্তাব এলো। ওই সিনেমা থেকে আমার নাম হলো রোজিনা। আমি তো নতুন। মহিউদ্দিন স্যার ছিলেন, সবাই তাকে “স্যার” বলে ডাকত। তিনি অনেক যোগবিয়োগ করে আমার এ নাম দিয়েছিলেন। সিনেমাটির প্রেস কনফারেন্স হয়েছিল। সিনেমার চরিত্রের নামও রাখা হয়েছিল রোজিনা, যেন নামটি পপুলার হয়।

‘এর মধ্যে আরেকটি সিনেমা করেছিলাম। ওটার নাম ছিল আয়না। সেখানে আমার নাম দেয়া হয়েছিল শায়লা। এসব কিন্তু খুব দ্রুত হয়ে যাচ্ছে।

জনপ্রিয়তা পাওয়া

‘১৯৭৮ এ রাজমহল সিনেমা রিলিজ হলো। তখন আমি বেশ হিট। সবাই ভালোবাসে। তখন অনেক কাভার স্টোরি হয়েছে আমাকে নিয়ে। চিত্রালীতে বেশি হয়েছে।

‘নারায়ণগঞ্জে শুটিং হচ্ছিল। একটা ছেলে দাঁড়িয়ে থাকত। ফারুক ভাই (নায়ক ফারুক) ওই ছেলেকে গিয়ে একদিন বলল যে আমি নাকি তাকে বলেছি টাক হয়ে যেতে। সেই ছেলে পরদিন টাক হয়ে এসেছে।

‘আরেকবার মহেশখালী গিয়েছি শুটিং করতে। সেখানে এক পাগলা ভক্ত এলো। আমার জন্য পাগল। পারভেজ ভাই ছিলেন হিরো। ভক্তকে পারভেজ ভাই বললেন যে একদিন খাসির রোস্ট করে খাওয়াও, তাহলে রোজিনার সঙ্গে কথা বলতে দেব। সেই ভক্ত তো তাই করে নিয়ে এসেছে।

‘এমন অনেক ঘটনা আছে।

‘নিজ এলাকায় গেলে তখন লোকেলোকারণ্য। দেয়াল টপকে আমাকে দেখতে আসত। আমি তাদের সঙ্গে সব সময় কথা বলতাম, অবহেলা করতাম না। আমি তো সেখানকারই মেয়ে।

সিনেমায় প্রথম অভিনয়ে পেয়েছিলাম ১০ টাকা: রোজিনা
অভিনেত্রী রোজিনা। ছবি: সংগৃহীত

ব্যস্ততা ও অ্যাওয়ার্ড

‘পাঁচ-ছয় বছরের বেশি সময় ধরে আমি সবচেয়ে বেশি শুটিং করেছি। আমার অভিনীত সবচেয়ে বেশি সিনেমা রিলিজ হয়েছে। এফডিসিতে আমি ৩ থেকে ৪টি সিনেমার শুটিং করতাম।

‘আমি কিন্তু যৌথ প্রযোজনার সিনেমাও অনেক করেছি। আমি পাকিস্তানি সিনেমা করে নিগার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি।

আরও পড়ুন:
ছিল প্রেমের গুঞ্জন, রোজিনার উল্টোপথে হাঁটতেন কাঞ্চন
যে কারণে পদত্যাগ করলেন রোজিনা
পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে রোজিনার আবেদন খারিজ
পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে সাংবাদিক রোজিনার আবেদন
সাংবাদিক রোজিনার ব্যাংক হিসাব তলব

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Jaya Ahsan in the story of breaking the table

ছক ভাঙার গল্পে জয়া আহসান

ছক ভাঙার গল্পে জয়া আহসান জয়া আহসান। ছবি : সংগৃহীত

সম্পর্ক বহুমুখী। প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে ভাঙা-গড়ার গল্প। জীবনে চলার পথে একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সেসব সম্পর্ক রক্তের নয়। তেমনই এক সম্পর্কে জড়িয়েছেন ‘জয়া ও শারমিন’। যদিও জয়া জানেন, সব প্রতিশ্রুতি আসলে মিথ্যা। শেষ পর্যন্ত নাকি কেউ পাশে থাকে না। অভিনেত্রী জয়া আহসান ও তার গৃহকর্ম সহায়িকা শারমিন- দুই নারীর সমীকরণই যেন পর্দায় তুলে ধরবেন। এই ছবিতে প্রথমবার প্রযোজকের ভূমিকায় দেখা যাবে জয়াকে। ছবিতে দুজন মুখ্য চরিত্র জয়া এবং তার গৃহকর্ম সহায়িকা শারমিন।

কোভিড মহামারির সময় লকডাউনে আটকে থাকা দুই নারীর সম্পর্কের গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। সেই সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৬ মে। এই ছবিতেই তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে দুই নারী একে অপরের সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ভাগাভাগি করে নেয় একে অপরের যাপন। বাস্তব জীবনেও নাকি জয়া এমনই। জয়া বলেন, ‘আমরা এই কোভিডের সময় এই ছবিটার শুটিং করি। যখন সকলে বাড়ি থেকে প্রায় অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। তখনও অল্প ইউনিট নিয়ে ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। কিন্তু ছবিটা বেশ বড়। দুজন আলাদা সামাজিক অবস্থানে বেড়ে ওঠা দুই নারীর বন্ধুত্বের গল্প।’

এরই মধ্যে ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং মহসিনা আক্তারকে। কোভিড মহামারির সময় তাদের জীবনের কিছু দৃশ্য উঠে এসেছে ট্রেলারে। শুরুর দিকে আনন্দ-আড্ডা, রান্না দিয়ে দুজনকে দারুণ সময় পার করতে দেখা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের জীবনে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং বাইরের দুনিয়া থেকে আসা দুঃসংবাদগুলো তাদের জীবনে নিঃশব্দে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা ও ভয় ঢুকিয়ে দেয়।

সিনেমার পরিচালক পিপলু আর খান জানিয়েছেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সারা হয়েছিল ‘জয়া আর শারমিন’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ। সীমিত লোকবল নিয়ে মহামারির সময়ে শুটিং করা হয়েছিল সিনেমাটির। পিপলু বলেন, ‘মহামারির সময় একটি বাড়িতে আটকে পড়ে জয়া ও শারমিন নিজেদের মধ্যে তৈরি করে নেয় ছোট্ট এক জগৎ। সেই আবদ্ধ জগতে তারা নিজেদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করেন। তবে বাইরের কঠিন বাস্তবতায় সেই সম্পর্কে ফাটলও ধরতে শুরু করে। বন্ধুত্ব, ভয়, সাহস আর হারানোর অনুভূতির মিশেলে গড়ে উঠেছে সিনেমার আখ্যান।’

একাকীত্ব কীভাবে দুই নারীর সম্পর্কে ভরসা ও নির্ভরতার জন্ম দেয় সেই গল্প সিনেমায় বলা হয়েছে জানিয়েছেন পিপলু। সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘দুজন নারীর অচেনা ভুবনের সিনেমা। আমাদের অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনুক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন। অদ্ভুত এক সময়ে শুট করা ছোট্ট একটি সিনেমা, তবে দর্শকের অনুভূতিতে নাড়া দেবে বলে আশা করি।’

মন্তব্য

বিনোদন
Colleagues side with Apurba alleging money embezzlement

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, অপূর্বর পাশে সহকর্মীরা

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, অপূর্বর পাশে সহকর্মীরা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ছবি: সংগৃহীত
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওসের সঙ্গে ২৪টি নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। ৫০ লাখ টাকার এ চুক্তিতে অগ্রিম ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন এই তারকা, তবে নাটক শেষ করেছেন মাত্র ৯টি। পরে আলফা আই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা পারেনি।

অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের। এ সময় এসেও টেলিভিশন নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

ওটিটিতেও তাকে দেখা গেছে ভিন্ন এক রূপে। তার অভিনয় মুন্সিয়ানার প্রমাণ তিনি এখানে আরও তীব্রভাবে দিয়েছেন।

আর এমন সময় তাকে ঘিরে চুক্তি ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)। খবর ইউএনবির

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৪টি নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। ৫০ লাখ টাকার এ চুক্তিতে অগ্রিম ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন এই তারকা, তবে নাটক শেষ করেছেন মাত্র ৯টি। পরে আলফা আই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা পারেনি।

স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় সবার প্রত্যাশা অপূর্ব কী বললেন, তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন না।

সংবাদমাধ্যমে তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি জানে। তারা যা বলার বলবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা কথাবার্তা এ মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তারাই বলবেন।’

অপূর্বের এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে পোস্টে অপূর্ব প্রসঙ্গে লেখেন।

তার কিছু অংশ হলো, ‘কাউকে ছোট করে, অসম্মানিত করে কেউ কখনই বড় হতেই পারে না কোনোদিন। ফেইসবুকে প্রকাশ্যে তো অবশ্যই নয়। আর ফেইসবুক কখনই আদালত না যে এখানেই সবকথা বলতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কথা। প্রহেলিকার মতো বলতেই চাই, চোখে যা দেখা যায় তা আসলে দেখা যায় না।’

আরও লেখেন, ‘আর ইন্ড্রাস্ট্রি কখনোই একা একা এগোয় না। সব্বাইকে নিয়েই সামনে এগোয়। আর অপূর্বর ১৬ থেকে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার টানা ধরে রাখাও এমনি এমনি হয়নি। পাশাপাশি এও বলতে চাই, আমার খারাপ সময়ে বা দুঃসময়ে কে আমার পাশে থাকল না, তা আমি মাথায় রাখি না কখনই। বরং আমার প্রিয়জনদের জন্যে শুভ কামনা আমার মন থেকে সবসময় আসে।’

অভিনেতা খালেদ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘অপূর্ব ভাইকে ভালোবাসি। অপূর্ব ভাই সুপারস্টার ছিলেন, সুপারস্টার আছেন এবং সুপারস্টার থাকবেন। সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে রাজার মতো ফিরবেন প্রিয় অপূর্ব ভাই।’

পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন লেখেন, ‘অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সত্যি বলতে, অপূর্বকে আমরা খুব ভালো চিনি। এই কাজ ওকে দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই অভিযোগটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিশ্বাস্য! অপূর্ব, তুমি একা নও। আমরা তোমার পাশে আছি।’

আরও পড়ুন:
নিজের বিয়েতে সাদামাটা, মেয়ের বিয়েতে রাজকীয় আয়োজন আমিরের
বিমান দুর্ঘটনায় দুই মেয়েসহ হলিউড অভিনেতা নিহত
অঙ্কুশের মালাইচাকিতে চোট, আপাতত অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং নয়
গাড়ি থেকে ‘প্যারাসাইট’ সিনেমার অভিনেতা লি সান কিয়োনের মরদেহ উদ্ধার
চোখে চোট পেয়েছেন অজয়, বন্ধ শুটিং

মন্তব্য

বিনোদন
Spring came again in the life of Tom Cruise

ফের ‘বসন্ত’ এলো টম ক্রুজের জীবনে

ফের ‘বসন্ত’ এলো টম ক্রুজের জীবনে হলিউড তারকা টম ক্রুজ ও তার প্রেমিকা এলসিনা খায়রোভা। ছবি: সংগৃহীত
সূত্রের খবর, গত বছরের শেষ দিকে একটি পার্টিতে টম এবং এলসিনাকে একসঙ্গে দেখা যায়। সেই পার্টিতে নাকি এক মুহূর্তের জন্যও একে-অপরের সঙ্গ ছাড়েননি তারা। সারাক্ষণই কাছাকাছি ছিলেন। শুধু পার্টি বলে নয়, তাদের এক বন্ধু জানিয়েছেন, লন্ডনের নাইটসব্রিজের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তারা একসঙ্গে থাকছেনও।

বসন্ত পঞ্চমীর আগেই বসন্তের হাওয়া হলিউড তারকা টম ক্রুজের জীবনে। ফের প্রেমে পড়েছেন তিনি। প্রেমের দরজায় কড়া নেড়েছেন রাশিয়ান নারী এলসিনা খায়রোভা। ৬১ বছরের টম ক্রুজের থেকে তার নতুন প্রেমিকা প্রায় ২৫ বছরের ছোট। বছর ৩৬-এর খায়রোভার প্রেমে মজেছেন টম, তবে তাদের প্রেমের খবর এখন প্রকাশ্যে এলেও তারা একে-অপরকে মন দিয়েছেন নাকি অনেক আগেই। আসলে বিষয়টিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন দুজনে।

সূত্রের খবর, গত বছরের শেষ দিকে একটি পার্টিতে টম এবং এলসিনাকে একসঙ্গে দেখা যায়। সেই পার্টিতে নাকি এক মুহূর্তের জন্যও একে-অপরের সঙ্গ ছাড়েননি তারা। সারাক্ষণই কাছাকাছি ছিলেন। শুধু পার্টি বলে নয়, তাদের এক বন্ধু জানিয়েছেন, লন্ডনের নাইটসব্রিজের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তারা একসঙ্গে থাকছেনও।

এমনিতে সচরাচর প্রকাশ্যে আসেন না টম এবং এলসিনা। জনসমক্ষে তাদের শেষ বার দেখা গিয়েছে লন্ডনের মেফেয়ারের পার্টিতে। তারপর আর সেভাবে এক ফ্রেমে ধরা দেননি তারা। তৃতীয় স্ত্রী কেটি হোমসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেন টম।

আনন্দবাজার বলছে, অন্যদিকে স্বামী ডিমিট্রি সেটকোভের সঙ্গে ২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় দুই সন্তানের মা এলসিনার। তারপর থেকে একাই ছিলেন তিনি। টমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আপাতত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।

আরও পড়ুন:
বিমান দুর্ঘটনায় দুই মেয়েসহ হলিউড অভিনেতা নিহত
অঙ্কুশের মালাইচাকিতে চোট, আপাতত অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং নয়
গাড়ি থেকে ‘প্যারাসাইট’ সিনেমার অভিনেতা লি সান কিয়োনের মরদেহ উদ্ধার
চোখে চোট পেয়েছেন অজয়, বন্ধ শুটিং
শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন আরবাজ

মন্তব্য

বিনোদন
Mahesh Babus daughter is the victim of cybercrime

সাইবার ক্রাইমের শিকার মহেশ বাবুর মেয়ে

সাইবার ক্রাইমের শিকার মহেশ বাবুর মেয়ে তেলুগু সিনেমার সুপারস্টার মহেশ বাবু। ছবি: সংগৃহীত
মহেশ বাবুর প্রযোজনা সংস্থা জেএমবি এন্টারটেনমেন্টের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘অ্যাটেনশন! জেএমবি টিম ও মাধাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে মিস সিতারা ঘাট্টামানেনির নাম নিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে।’

সাইবার ক্রাইমের শিকার তেলুগু সিনেমার সুপারস্টার মহেশ বাবুর মেয়ে সিতারা।

অভিযোগ, তার নামে ভুয়া প্রোফাইল খুলে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে বেজায় ক্ষিপ্ত তারকা মহেশ বাবু। থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তার প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে দেয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি।

সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ২০০৫ সালে বলিউড অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরকে বিয়ে করেন মহেশ বাবু। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে তাদের প্রথম সন্তান গৌতমের জন্ম হয়। এর ছয় বছর পর, ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেয়ের জন্ম দেন নম্রতা। এখন প্রায় ১২ বছর বয়স সিতারার। বাবা-মায়ের বড় আদরের সে।

মহেশ বাবুর প্রযোজনা সংস্থা জেএমবি এন্টারটেনমেন্টের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘অ্যাটেনশন! জেএমবি টিম ও মাধাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে মিস সিতারা ঘাট্টামানেনির নাম নিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে।’

সিতারার ভুয়া প্রোফাইল থেকে নানা ধরনের বিনিয়োগ ও লেনদেন সংক্রান্ত মেসেজ করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। এর পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে নেটিজেনদের।

কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই তারকার প্রোফাইলের সত্যতা যাচাই করে নেবেন এমন কথাও লেখা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
অঙ্কুশের মালাইচাকিতে চোট, আপাতত অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং নয়
গাড়ি থেকে ‘প্যারাসাইট’ সিনেমার অভিনেতা লি সান কিয়োনের মরদেহ উদ্ধার
চোখে চোট পেয়েছেন অজয়, বন্ধ শুটিং
শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন আরবাজ
হার্ট অ্যাটাকের পর কেমন আছেন বলিউড অভিনেতা শ্রেয়স

মন্তব্য

বিনোদন
Mithun Chakraborty in hospital with stroke

স্ট্রোক করে হাসপাতালে মিঠুন চক্রবর্তী

স্ট্রোক করে হাসপাতালে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত
সূত্রের তরফে জানা গেছে, একাধিক শারীরিক জটিলতা রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। বর্ষীয়ান অভিনেতার এমআরআই করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিকের অধীনে ভর্তি আছেন।

গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শনিবার তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। সকাল দশটা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা মিঠুন। তারপরই তাকে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিনেতা মিঠুন পথিকৃৎ বসুর সিনেমা ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন কলকাতায়।

সূত্রের তরফে জানা গেছে, একাধিক শারীরিক জটিলতা রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। বর্ষীয়ান অভিনেতার এমআরআই করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিকের অধীনে ভর্তি আছেন।

কিছু কিছু সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, অভিনেতা মিঠুনের বুকেও ব্যথা আছে। এ ছাড়া শরীরের একদিক দুর্বল হয়ে পড়েছে তার। শনিবার তিনি তার নিজের গাড়ি করেই হাসপাতালে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। বর্তমানে তার নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তার কী চিকিৎসা হবে বা কী হয়েছে সেটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।

অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতায় থেকে তার আগামী সিনেমা ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন। এই সিনেমাটি জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে বানানো হচ্ছে। সিনেমাটির পরিচালনা করছেন পথিকৃৎ বসু। প্রযোজনার দায়িত্বে সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থা। এখানে মিঠুনের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেবশ্রী রায়কে দেখা যাবে।

এর আগে অভিনেতা মিঠুনকে শেষবার ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল। সুমন ঘোষ পরিচালিত সেই সিনেমাতে রহমতের চরিত্রে ধরা দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন:
গাড়ি থেকে ‘প্যারাসাইট’ সিনেমার অভিনেতা লি সান কিয়োনের মরদেহ উদ্ধার
চোখে চোট পেয়েছেন অজয়, বন্ধ শুটিং
শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন আরবাজ
হার্ট অ্যাটাকের পর কেমন আছেন বলিউড অভিনেতা শ্রেয়স
আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জর্জিয়া

মন্তব্য

বিনোদন
Esha Deols family broke up after 12 years of marriage

বিয়ের পৌনে ১২ বছর পর সংসার ভাঙল এশা দেওলের

বিয়ের পৌনে ১২ বছর পর সংসার ভাঙল এশা দেওলের বলিউড অভিনেত্রী এষা দেওল ও তার সাবেক স্বামী ভরত তখতানি। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লি টাইমসে পাঠানো বিবৃতিতে নাকি এশা ও ভরত লিখেছেন, ‘আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আর বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হয়েছি। জীবনের এই পর্যায়ে আমাদের দুই সন্তানই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভালমন্দই সবচেয়ে আগে থাকবে। এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগতই রাখতে চাইব।’

কানাঘুষো বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। রটনা ছিল, ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড় মেয়ে বলিউড অভিনেত্রী এশা দেওলের বিয়ে ভাঙছে। তাই ঘটনায় পরিণত হলো। সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে নাকি বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন এশা ও তার স্বামী ভরত তখতানি।

সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ২০১২ সালের জুন মাসে দীর্ঘদিনের প্রেমিক ভরত তখতানির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-হেমার বড় মেয়ে এশা দেওল। বিয়ের বছর পাঁচেক পর ২০১৭ সালে তাদের প্রথম সন্তান রাধ্যার জন্ম হয়। দুই বছর যেতে না যেতেই তখতানি পরিবারে আগমন ঘটে আরেক নতুন সদস্য মিরায়ার। বেশ কিছুদিন ধরে এশার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে ভারতের ছবি দেখা যাচ্ছে না। এমনকী, দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরার ছবি পোস্ট করেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হেমাকন্যা। এতেই দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন জোরালো হয়।

দিল্লি টাইমসে পাঠানো বিবৃতিতে নাকি এশা ও ভরত লিখেছেন, ‘আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আর বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হয়েছি। জীবনের এই পর্যায়ে আমাদের দুই সন্তানই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভালমন্দই সবচেয়ে আগে থাকবে। এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগতই রাখতে চাইব।’

কিন্তু কেন এই বিচ্ছেদ? শোনা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী ভরত তখতানির অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তার সঙ্গেই নাকি বেশি সময় কাটাচ্ছেন তিনি। এমনকী দুজনকে বেঙ্গালুরুর এক পেইড পার্টিতেও দেখা গিয়েছে বলে গুঞ্জন।

আরও পড়ুন:
৪৫-এ পা রাখলেন শাবনূর
মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছাড়লেন ঐশ্বরিয়া, আগুনে পড়ল ঘি
প্রতারণার মামলায় জামিন পেলেন জারিন খান
হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে জয়া বচ্চনের মা, লাগতে পারে অস্ত্রোপচার
বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যেই অভিষেকের হাত ধরে অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া

মন্তব্য

বিনোদন
Miss Japan Shino returned the crown in the love debate

প্রেম বিতর্কে মুকুট ফিরিয়ে দিলেন ‘মিস জাপান’ শিনো

প্রেম বিতর্কে মুকুট ফিরিয়ে দিলেন ‘মিস জাপান’ শিনো ক্যারোলিনা শিনো। ছবি: সিএনএন
ক্যারোলিনা শিনোর জন্ম হয়েছিল এক ইউক্রেইনীয় পরিবারে। মা পরে এক জাপানি নাগরিককে বিয়ে করায় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিনো চলে গিয়েছিলেন জাপানে। তিনিই প্রথম নাগরিক অধিকার পাওয়া একজন জাপানি হিসেবে ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।

বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম বিতর্কে মুকুট ফিরিয়ে দিলেন ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী ক্যারোলিনা শিনো।

জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় একটি ম্যাগাজিনে ২৬ বছর বয়সী শিনোর সঙ্গে একজন বিবাহিত পুরুষের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে জানায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি জানায়, দুই সপ্তাহ আগে জাপানের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখলে নেন ইউক্রেনে জন্ম নেয়া এ মডেল, কিন্তু একজন ইউক্রেনে জন্ম নেয়া এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা মডেলকে কেনো মিস জাপান নির্বাচিত করা হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

অনেকেই বলেছেন, তিনি ঐতিহ্যগত জাপানি সৌন্দর্যের আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেননি। এর মধ্যেই একটি স্থানীয় ম্যাগাজিন শুকান বুনশুন বুধবার রিপোর্ট করেছে, ক্যারোলিনা শিনো একজন বিবাহিত চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেম করছেন।

জাপান টাইমস বলছে, এটি মিস জাপান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম মুকুট ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা। আয়োজকরা জানান পদটি এক বছরের জন্য শূন্য থাকবে।

তবে মিস জাপানের আয়োজক বৃহস্পতিবার এ দাবিকে খণ্ডন করে জানিয়েছে, ক্যারোলিনা অবিবাহিত ছিলেন এবং তিনি জানতেন না ওই ব্যক্তি বিবাহিত।

ক্যারোলিনা শিনোর জন্ম হয়েছিল এক ইউক্রেইনীয় পরিবারে। মা পরে এক জাপানি নাগরিককে বিয়ে করায় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিনো চলে গিয়েছিলেন জাপানে। সেখানে নাগোয়ায় বেড়ে উঠেছেন তিনি।

শিনোই প্রথম নাগরিক অধিকার পাওয়া একজন জাপানি হিসেবে ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।

তিনি সোমবার একটি বিবৃতিতে তার অনুরাগী এবং সাধারণ জনগণের কাছেও ক্ষমা চান।

শিনো বলেন, ‘আমি যে বড় সমস্যা তৈরি করেছি এবং যারা আমাকে সমর্থন করেছিল তাদের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি, সে জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।’

আরও পড়ুন:
ভারতীয় মডেল রাখি সাওয়ান্ত গ্রেপ্তার
মডেলদের ছবি ফটোশপ করে বিতর্কে স্পেন সরকার
‘টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন জাবিবা

মন্তব্য

p
উপরে