ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘দাদাগিরি’তে সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন আলোচিত সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলির উপস্থাপনায় শোর সিজন ৯-এ হাজির হয়েছিলেন তিনি।
দস্যুমুক্ত সুন্দরবন গড়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় মোহসীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোতে। সেখানে সৌরভ গাঙ্গুলির বিনয়ী আচরণে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন এ সাংবাদিক।
শোর অভিজ্ঞতা নিয়ে মোহসীন-উল হাকিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি নিজে চিন্তা করি যে, মানুষের অনেকগুলো গুণের মধ্যে একটা গুণ হতে হয় বিনয়। আমি বিনয়ী হওয়ার চেষ্টা করি। যেমন- সৌরভ গাঙ্গুলির সামনে গিয়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে হলো। কারণ উনি এত বড় একজন তারকা খেলোয়াড়। এ রকম একটা মানুষের সঙ্গে যখন সামনাসামনি কথা হয়… আমাদের প্রফেশনাল কারণে নানাভাবে এই মাপের মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়; কিন্তু এবারের বিষয়টা একটু ভিন্ন।
‘কারণ তাদের নিমন্ত্রণে সেখানে অতিথি হয়ে আমি গিয়েছি এবং সেখানে তাদের আতিথেয়তা এবং সৌরভ গাঙ্গুলি এত বড় মানুষ এবং এত বিনয়ী। আমি এটাই শিখে এসেছি যে আমাদের আরও বিনয়ী হতে হবে।’
তিনি জানান, গত ২৯ এপ্রিল কলকাতার নিউটাউনের রাজারহাটে ডিআরআর স্টুডিওতে এই অনুষ্ঠানের শুটিং হয়েছে। পর্বটি প্রচার হবে ৮ মে, বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। এটি একটি বিশেষ পর্ব। রবীন্দ্রজয়ন্তীর বিশেষ এপিসোড।
এই পর্বে বিদেশি অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মোহসীন-উল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘আমাকে তারা এই পর্বে যুক্ত করেছে বিদেশি অতিথি হিসেবে। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অনেক আগেই, সেটা সাত থেকে আট মাস হবে, কিন্তু কোভিডের কারণে সময় মেলেনি। তাই এই দফায় তারা আবারও আমাকে ডাকে। এই শোর সিজন নাইন শেষের দিকে।
‘তারা খুব করে চাচ্ছিলেন যে এই সিজন নাইনের একটা পর্বে যেন আমি অবশ্যই থাকি। আমি যদিও সেখানে অতিথি, তবুও তাদের যে খেলাটা বা প্রতিযোগিতাটা হয়, সেখানে অংশ নিয়েছিলাম।’
অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে এ সাংবাদিক বলেন, ‘এমন জনপ্রিয় একটা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো নিঃসন্দেহ সম্মানের ব্যাপার। আমি সেখানে বাংলাদেশকেই প্রতিনিধিত্ব করেছি। আমাদের গণমাধ্যমকে প্রতিনিধিত্ব করেছি এবং আমাদের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব করেছি। এক কথায় অসাধারণ অনুভূতি।’
দাদাগিরি টিম কীভাবে তাকে খুঁজে পেয়েছে, সে বিষয়েও জানিয়েছেন মোহসীন-উল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘আমাকে তারা খুঁজে পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ফেসবুক এবং ইউটিউবে। তাদের যে রিসার্চ টিম, তাদের আমি জিজ্ঞেস করেছি, আমাকে কীভাবে খুঁজে পেলেন আপনারা। তারা আমাকে জানালেন, তাদের টিমের সিনিয়র রিসার্চার, তাদের আলোচনায় আমার প্রসঙ্গটা তুলেছিলেন যে, এ রকম বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক যিনি সুন্দরবন নিয়ে এ রকম কাজ করছেন।
‘যখন উনি বলেছেন, তখন টিমের বাকিরাও নাকি বলেছেন যে আমরাও তার কাজ দেখি, ভিডিও দেখি। এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমাকে পেয়েছে।’
মোহসীন-উল হাকিম দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করতে কাজ করেছেন। তার মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে সুন্দরবনের দুই শতাধিক জলদস্যু স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছেন।
এমন কাজের জন্য তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম; পুরস্কৃত করেছে সরকার।
‘সুন্দরবনের জলদস্যুদের জীবনে ফেরার গল্প’ নামে একটি বইও লিখেছেন মোহসীন।
গত রোববার সন্ধ্যা। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে সাতটা ছুঁইছুঁই। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, সনি স্কয়ার-চলচ্চিত্রের আলো ঝলমলে এক সন্ধ্যা। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ঘিরে জমেছে তারকামুখর আসর। অতিথিরা আসছেন একে একে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সিনেমার কলাকুশলীরা হয়ে উঠেছেন উৎসবের অংশ। লাল টুকটুকে পোশাকে অপার সৌন্দর্যে হাজির সাবিলা নূর-এই ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে তার আবির্ভাব যেন এক নতুন সূর্যোদয়।
নির্মাতা রায়হান রাফি তখন সিনেমা হলে প্রবেশ করে অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। ঠিক এমন এক মুহূর্তে শাকিব খানকে ঘিরে দর্শকের কৌতূহল যখন তুঙ্গে, নির্মাতা রাফি সাবিলা নূরকে সঙ্গে নিয়ে প্রেস টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ান। উপস্থিত সংবাদকর্মীদের দিকে এক হৃদয়গ্রাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে সাবিলা শুরু করেন তার অনুভবের গল্প।
‘এই সিনেমা আমার প্রথম বাণিজ্যিক ছবি। সেখানে নির্মাতা হিসেবে পেয়েছি রায়হান রাফিকে, আর সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি আমাদের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় তারকা, শাকিব খানকে। এটা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। শুটিংয়ের সময় এক মুহূর্তের জন্যও তিনি বুঝতে দেননি আমি নতুন, আমার প্রথম। বরং যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন স্মৃতিতে থাকবার মতো।’
তবে এই আনন্দের ভেতরেও রয়েছে একটা ক্ষতের দাগ। মুক্তির এক সপ্তাহের মাথায় ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটি পাইরেসির শিকার হয়। ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবিলা বলেন, ‘এই সময়টা আমাদের সিনেমার নবজাগরণের সময়। দেশের ভেতরে তো বটেই, বিদেশেও প্রশংসা কুড়োচ্ছে আমাদের ছবি। এমন একটা মুহূর্তে একটি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র যদি পাইরেসির শিকার হয়, তাহলে সেটা শুধু দুঃখজনক নয়, সাংস্কৃতিক অপরাধ। এই কাজ যারা করে, তারা শিল্পের শত্রু।’
কিছুটা আবেগের সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই সিনেমা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি-ভালোবাসা, শিক্ষা, আত্মবিশ্বাস। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না। তবে চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না। ভালো গল্পের সঙ্গে থাকব, সৎ কাজ করে যেতে চাই। আর বাকিটা নির্ভর করছে দর্শকের ভালোবাসার ওপর। কারণ, ‘তাণ্ডব’-এ তারা আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন, সেটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’
শাকিব খানও পরে বক্তব্যে বিস্ময় ও ক্ষোভ মিলিয়ে বলেন, ‘সেই জাতি সবচেয়ে উন্নত, যারা সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে থাকে। আমাদের সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে, আর ঠিক তখনই এর পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে পাইরেসির মাধ্যমে। ‘বরবাদ’-এর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা দেখেছি। ‘তাণ্ডব’-এর ক্ষেত্রে তো আরও আগেই ঘটেছে। তবু আমি কৃতজ্ঞ দর্শকদের কাছে- পাইরেসির পরেও তারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছেন, দেখাচ্ছেন। এটা এক প্রকার সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ। সিনেমাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
প্রদর্শনীর আসরটি রূপ নেয় এক শিল্পী-সমাবেশে। উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, এ কে আজাদ সেতু, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার, মুকিত জাকারিয়া ও সদ্য অভিষিক্ত নায়িকা সাবিলা নূর।
এ ছাড়া সন্ধ্যাকে সৌন্দর্যময় করে তুলতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, দীপা খন্দকার, তমা মির্জা, মন্দিরা চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, জেফার রহমান এবং নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
কর ফাঁকি দেওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন তারকা শিল্পীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই তালিকায় আছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর।
মোট ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে- এই মর্মে একটি নোটিশও প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তারকাদের ঠিকানায় চিঠিও প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সময়মতো কর পরিশোধ না করায় বেশ কয়েকজন তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের কর পরিশোধ করেছেন। কয়েকজন সময় নিয়েছেন। কর পরিশোধ হলেই ব্যাংক হিসাবে সব ঝামেলা মিটে যাবে।’ কর অঞ্চল-১২’র সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ মন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ২৫ জনের তালিকায় উপরোল্লেখিত নাম ছাড়াও রয়েছেন অভিনেতা আহমেদ শরীফ, শবনম পারভীন, নুসরাত ইয়াসমিন তিশাও।
২০২৪ সালে বলিউডে মুক্তি পাওয়া ‘ক্রু’ সিনেমায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু, কারিনা কাপুর ও কৃতি শ্যাননকে। বিমানবালাদের জীবনের কঠিন সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি সেসময় বেশ আলোচিত হয়েছিল। পর্দায় তিন অভিনেত্রীর উপস্থিতি ভালোই প্রশংসা কুড়িয়েছিল সিনেবোদ্ধাদের। বাংলাদেশে এমন গল্প পেলে সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয়ের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সম্প্রতি রুপালি পর্দায় পা রাখা ছোটপর্দার জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী সাবিলা নূর ও তাসনিয়া ফারিণ। সঙ্গে যুক্ত করতে চান আরেক বন্ধু অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে।
মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর ও তাসনিয়া ফারিণ- তিনজনেরই ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে টিভি নাটক দিয়ে। ভিন্ন সময়ে নাটকে কাজ শুরু করলেও বড় পর্দায় তাদের অভিষেক কাছাকাছি সময়ে। বাস্তব জীবনেও তিনজনের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অবসরে প্রায়ই একসঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা যায় তাদের। দেশের বাইরেও একসঙ্গে ঘুরতে যান। তাদের বন্ধুত্বের এই রসায়ন পর্দায়ও ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস সাবিলা ও ফারিণের।
এ প্রসঙ্গে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘বলিউডের ‘ক্রু’ সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছিল, আমরা যদি এ রকম একটা প্রজেক্ট করতে পারি, তাহলে খুব ভালো হয়। খুব মজা করে কাজ করতে পারব।’ ফারিণের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সাবিলা নূর বলেন, ‘আমাদের খুব বেশি দেখা হয়, তা নয়। কিন্তু যখনই দেখা হয়, আড্ডা দিতে দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায়। সে সময় আমরা কাজ নিয়ে ভাবিও না। আমরা নায়িকা- এই জিনিসটা আমাদের মাথায় থাকেই না।’
এই ঈদে প্রথমবার সাবিলা ও ফারিণকে পাওয়া গেছে বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায়। রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে ছিলেন সাবিলা, অন্যদিকে সঞ্জয় সমদ্দারের ‘ইনসাফ’ সিনেমায় ফারিণকে দেখা গেছে শরিফুল রাজের সঙ্গে। সিনেমার প্রমোশনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। একসঙ্গে টিভি অনুষ্ঠানে গেছেন নিজেদের সিনেমা নিয়ে কথা বলতে। সেখানেই একসঙ্গে অভিনয়ের ইচ্ছার কথা জানালেন তারা।
বলিউডের ‘অক্টোবর’ ছবিতে বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে অসাধারণ অভিনয় করে লাইমলাইটে এসেছিলেন অভিনেত্রী বনিতা সান্ধু। এবার বলিউডের আরেক অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের হয়ে কথা বলে আরও একবার খবরের শিরোনামে এলেন বনিতা।
মূলত, দীপিকার ৮ ঘণ্টা শিফটের কাজ নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী বনিতা সান্ধু। এর আগে সন্দ্বীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে দীপিকার বেরিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল- মাতৃত্বকালীন সময়ে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না দীপিকা। অন্যদিকে দীপিকার এই কথা মেনে নিতে রাজি ছিলেন না পরিচালক, ফলে তৈরি হয় মতবিরোধ এবং ফলস্বরূপ ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। তবে ব্যাপারটা এখানেই থেমে যায়নি। দীপিকার চাহিদার কথা শুনে দীপিকার পাশে এসে দাঁড়ান একাধিক পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতা অভিনেত্রী। কাজল থেকে অজয় দেবগন, রাধিকা আপ্তে থেকে দক্ষিণ সুপারস্টার রানা, সকলেই নিজেদের মন্তব্য রেখেছেন এই বিষয়টিতে। এবার প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গেল বনিতা সান্ধুকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্ক্রিনের সঙ্গে একটি আড্ডা চলাকালীন বনিতা বলেন, ‘এটি সত্যি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে এই বিষয়ে একটি শক্তিশালী ইউনিয়ন থাকে, যারা এইসব বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন। আমি সব সময় প্রত্যেকের জন্যই ১২ ঘণ্টা কাজের পক্ষে। আমরা সিনেমা বানাচ্ছি কোনো যুদ্ধ করছি না, তাই মানসিক স্বাস্থ্যকে বিসর্জন দেওয়া উচিত নয় বলেই আমি মনে করি।’
বনিতা আরও বলেন, ‘আমার যখন ক্যারিয়ার শুরু হয় তখন সত্যি এই ব্যাপারগুলো বুঝতে পারতাম না, আমার মনে হতো এটাই কাজ করার একমাত্র উপায়। ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতাম। প্রযোজকরা যেমন বলতেন তেমনি করতাম। এমনও হয়েছে যখন টানা ২৪ ঘণ্টা ঘুমাইনি আমি। কিন্তু পরবর্তীকালে আমার মনে হয় যেন এটা ঠিক নয়।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি যখন প্রযোজকদের বলেছিলাম এই ব্যাপারটি নিয়ে তখন তাদের চোখে আমি খারাপ হয়ে যাই। কিন্তু তাতে আমার কিছু এসে যায় না। যেটা ঠিক বলে মনে করেছি আমি সেটাই বলেছি। প্রত্যেকটি মানুষের বিশ্রাম এবং ঘুমের দরকার আছে। কাজের পাশাপাশি নিজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে সকলকে।’
অক্টোবর ছবি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘অক্টোবর সিনেমায় যখন অভিনয় করতাম তখন আমি পুরোপুরি ভারতে ছিলাম না। আমি কাজ করতে আসতাম আবার চলে যেতাম। তখন আমি লন্ডনে একটি কলেজে পড়াশোনা করতাম। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন আমি হয়তো বিদেশে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু আবার দেশে ফিরে এসেছি কাজের জন্য, ব্যাপারটা একেবারে সেটা নয়। আমি কখনওই দূরে যাইনি। আমি সব সময় কাজের মধ্যে ছিলাম, কিন্তু ভিন্ন দেশে।’
সবশেষে অভিনেত্রী বলেন, ‘অক্টোবর ছবির মুক্তির পর আমি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করি এবং হলিউডের এবং সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অন্তত তিনটি ছবিতে কাজ করেছি। অক্টোবর ছবি সাফল্যের পর অনেকেই আমায় বলেছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম তোমাকে ছবিতে নেব কিন্তু তুমি কোথায় ছিলে আমরা জানতাম না। ব্যাপারটা ঠিক এরকমই, আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড।’
বলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। অভিনেতা রীতেশ দেশমুখের সঙ্গে ১৩ বছরের সংসার সুখের হলেও সম্প্রতি এক বিস্ফোরক গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বলিউডপাড়ায় শোনা যাচ্ছে—রীতেশের আগে নাকি জন আব্রাহামের সঙ্গেও বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জেনেলিয়া!
এই গুঞ্জন নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী নিজেই। জানালেন, ‘ফোর্স’ ছবির (২০১১) শুটিংয়ের সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন জন আব্রাহাম। ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী সেখানে বিয়ের দৃশ্য ছিল, যা রীতিমতো প্রকৃত বিয়ের মতোই ধারণ করা হয়েছিল। কারণ, ওই দৃশ্যে সত্যিকারের ব্রাহ্মণ পুরোহিত, মন্ত্রপাঠ, মাল্যদান, মঙ্গলসূত্র পরানো এবং সাতপাক ঘোরার দৃশ্য দেখানো হয়েছিল।
এই কারণেই হয়তো অনেকে ভেবেছেন সেটি বাস্তব বিয়ে ছিল। তবে অভিনেত্রীর দাবি, ‘আমরা মোটেও বিয়ে করিনি। এর কোনো সত্যতা নেই। এটা পুরোপুরি গুজব। আমার মনে হয়, এসব তথ্য যারা ছড়িয়েছে তাদের পিআর টিমকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।’
উল্লেখ্য, রীতেশ দেশমুখ ও জেনেলিয়া ডি’সুজা বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতি। ২০১২ সালে বিয়ের পর থেকেই কাজ ও সংসারের ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে চলেছেন তারা। দুই সন্তানের এই মা-অভিনেত্রী এখনো বি-টাউনের আলোচিত মুখ।
১৯৬৫ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদের রচনায় ও মোহাম্মদ জাকারিয়ার পরিচালনায় ‘ত্রিধারা’ দিয়ে শুরু হয় দিলারা জামানের অভিনয়জীবন। আজও অভিনয়ের সঙ্গেই আছেন তিনি। এই বয়সেও শুটিং করেন। ৬০ বছরের অভিনয়জীবনে একটি স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তার। আজ জন্মদিনে জানালেন, সেই যে একটা ওল্ড হোম করার স্বপ্ন ছিল, তা আজও পূরণ হয়নি। কবে পূরণ হবে তা জানিও না।’
দিলারা জামানের অভিনয়জীবন ৬০ বছরের। গত বৃহস্পতিবার তিনি ৮৩ বছর পার করে ৮৪ শুরু করেছেন। এবারের জন্মদিনে বড় মেয়ে সঙ্গে আছে, তাই মনটা বেশ ভালো আছে বলে জানালেন। সন্ধ্যায় বললেন, ‘দুপুরে চ্যানেল আইয়ের তারকাকথন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কথা বলেছি। কেক কেটেছি।’
কথা প্রসঙ্গে দিলারা জামান বললেন, ‘জন্মদিন তো পালন করি না। মেয়েরা দেশে থাকলে উৎসাহ নিয়ে করে, আবার আমি তাদের কাছে থাকলেও করে। অভিনয় অঙ্গনে আমার সহকর্মীরাও উৎসাহ দেখায়। চ্যানেল আইয়ের সরাসরি অনুষ্ঠান তারকাকথনে প্রায়ই আসা হয়। এবারও হয়েছে। মেঘে মেঘে তো বেলা কম হলো না। ৮৪ বছরে পা দিলাম। এত দিন সুন্দরভাবে বাঁচতে পেরেছি, এখনো সুস্থ আছি—এটাই কম কী। আলহামদুলিল্লাহ। তবে আফসোস, এখনো তো কিছুই করতে পারিনি। মানুষের মনে জায়গা করে নিতে বা মানুষ যাতে সব সময় মনে রাখে, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। জানি না, কতটুকু মানুষ মনে রাখবে।’
কী করতে চেয়েছিলেন এমন প্রশ্নে জানালেন সেই ওল্ড হোম নিয়ে স্বপ্নের কথা। বললেন, ‘৩০ বছর আগে গাজীপুরের একটি ওল্ড হোমে শুটিং করতে গিয়েছিলাম। নাটকের নামটা এখন মনে করতে পারছি না। আমার সহশিল্পী আনোয়ার হোসেন ভাই। ওই নাটকেরই শুটিং করতে গিয়ে বুড়ো মানুষের অসহায়ত্ব দেখি। এমনিতেও চারপাশে বুড়ো মানুষের কষ্ট দেখি। শেষ বয়সে এসে তো তারা শিশুর মতো হয়ে যান, তখন তাদের আর সেভাবে দেখার মতো কেউ থাকে না। অথচ এই সময়টায় তারা থাকেন খুব অসহায়, কিছু বলতেও পারেন না। মা-বাবারা তখন বিষয়গুলো নিজেই উপলব্ধি করতে পারেন। বৃদ্ধ মানুষের কষ্টটা কেউ বুঝতে পারে না, চায় না। আপন যে সন্তান, সে–ও বুঝতে পারে না।’ বৃদ্ধাশ্রমের স্বপ্নটা এখনো পূরণ হয়নি, তবে রয়েছে। বললেন, ‘আমার মেয়েরা তো এখনো বলে, দেখি আমার মায়ের অপূর্ণ স্বপ্নপূরণে কিছু করতে পারি কি না। এটা যদি করতে পারতাম, তাহলে অনেক মানুষের উপকার হতো। যাদের কেউ নেই, বুড়োকালে যারা একাকী থাকেন—ও রকম মানুষের জন্য কিছু করা আরকি। অবশ্য আমার একার পক্ষে তো এটা এখন আর সম্ভবও না।’
দেশে থাকলে এখনো অভিনয় করেন। বিনোদন অঙ্গনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও থাকে তার সদর্প উপস্থিতি। অভিনয় আমৃত্যু করে যাবেন—এমন প্রশ্নে দিলারা জামানের মত, ‘আমার তেমনই চিন্তা। অভিনয় করতে করতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে চাই। যে যাই বলুক না কেন, যতই ব্যাকডেটেড বলুক না কেন, আমি আমার অভ্যাস থেকে বের হতে পারব না। যার জন্য আমেরিকা ও কানাডায় থাকা মেয়েরা আমাকে সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রাখার পরও নিজের দেশ, মাটি, অভিনয়ের টানে ফিরে এসেছি।’
নব্বইয়ের দশকে রাজত্ব করা রাভিনা ট্যান্ডনের মেয়ে রাশা থাডানিরও বলিউডে অভিষেক হয়েছে। শুধু রাশাই নন, উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তালিকায় সুহানা খান, অনন্যা পাণ্ডে থেকে শুরু করে অনেক স্টারকিডই আছেন। সেদিক থেকে যেন ব্যতিক্রম কাজলের মেয়ে।
কাজলের মেয়ে নাইসা দেবগনের চলচ্চিত্র জগতে পা রাখার পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে ফিল্মিজ্ঞানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন কাজল।
কাজলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে রাশা যেমন তার মা রাভিনার উত্তরাধিকার বহন করছে, তেমন করেই কি নাইসাও তার উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে? এরপর কাজল বলেন, ‘না, আমার মনে হয় না ও তা করবে। ও সিনেমায় আগ্রহী নয়। আমি আমার পরিবারের সব বাচ্চাকে ভালোবাসি এবং আমি চাই ওরা এমন কিছু করুক যা করতে ওদের ভালো লাগে। আমি মনে করি তাতেই ওরা সফল হবে।’
অভিনেত্রীর সন্তানরা তাঁর অভিনয় দেখে কী বলেন? এমন প্রশ্নে কাজল বলেন, ‘আমার সন্তানরা আমার ছবি পছন্দ করে না, কারণ সেগুলোতে আমাকে কাঁদতে হয়। ওঁরা পর্দায় মাকে কাঁদতে দেখতে পছন্দ করে না। নাসা এবং যুগ আমাকে কাঁদতে দেখে বেশ কষ্ট পায়। আমি ওঁদের বলেছি এটা নকল, কিন্তু ওঁরা তা বুঝতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, রাশা অজয় দেবগনের ভাগ্নে আমান দেবগনের সঙ্গে ‘আজাদ’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে ডেভিউ করেন। এই ছবিতে অজয় নিজেও অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সাফল্য না পেলেও, সিনেমায় ‘উই আম্মা’ গানে রাশার নাচ তাকে খ্যাতি এনে দেয়।
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কাজলের নতুন সিনেমা ‘মা’। বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত এই পৌরাণিক ভৌতিক নাটকে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন রণিত রায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং খেরিন শর্মা। ছবিটি ২৭ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
মন্তব্য