নতুন-পুরোনো নানা কনটেন্ট নিয়ে ঈদ আয়োজন সাজিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। এর মধ্যে ঈদের দিনই মুক্তি পেতে যাচ্ছে রায়হান রাফি পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিনেমা ফ্লোর নম্বর ৭। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্লোর নম্বর ৭-এ চিত্রনায়িকা বুবলি ও তমা মির্জার সঙ্গে দেখা যাবে নবাগত নায়ক রাজ মানিয়াকে।
এটি রাজের প্রথম অভিনয় হলেও দেশীয় বেশ কিছু ব্র্যান্ডের মডেলিং করে তিনি বেশ পরিচিত মুখ।
মুক্তি পেতে যাওয়া এই সিনেমার কথা বলতে গিয়ে বুবলি বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে চরকিতে আমার প্রথম কাজ টান। আর এই সিনেমার অডিয়েন্স আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে তা আমার জন্য লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট। চরকি সামনে আরও দারুণ কনটেন্ট দর্শকদের উপহার দিক। আপাতত আপনারা ফ্লোর নম্বর ৭ দেখে ফেলুন।’
তমা মির্জা বলেন, ‘ফ্লোর নাম্বার ৭ আমার আরেকটা প্রিয় কাজ হতে যাচ্ছে। খাঁচার ভেতর অচিন পাখির মধ্য দিয়ে দর্শক আমাকে নতুনভাবে চিনতে পেরেছিল। আর এই সিনেমাটার মধ্য দিয়ে আরেকটা পাখিকে দেখবে দর্শক।’
প্রথম সিনেমার অভিজ্ঞতা নিয়ে রাজ মানিয়া বলেন, ‘প্রথম থেকেই খুব নার্ভাস ছিলাম আমি। জীবনে প্রথম অভিনয় তাও সিনেমার জন্য। পুরো বিষয়টা আমার জন্য একটু অন্যরকম ছিল। পরিচালক রাফি ভাইয়ের ওপর ভরসা থেকেই কাজটা করা। তিনি আমার ওপর বিশ্বাস করেছেন। আর বাকিটা দর্শকের ওপর ছেড়ে দিলাম।’
পরিচালক রায়হান রাফি বলেন, ‘চরকির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সব সময় আনন্দের। ঈদ আয়োজনে এখানে আমার নির্মিত সিনেমা দর্শক দেখতে পারবেন ভেবেই ভালো লাগছে।’
এ ছাড়া এই ঈদে আগে মুক্তি পাওয়া ৭টি সিনেমা আনছে চরকি। এর মধ্যে অগ্নি, আশিকী-ট্রু লাভ, রোমিও জুলিয়েট, দেশা-দ্যা লিডার, হিরো ৪২০, অঙ্গার ও ভালোবাসা আজকাল। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে প্রতিদিন একটি করে সিনেমা মুক্তি পাবে।
এদিকে ২ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে মে মাসজুড়ে মোট ৮টি সিনেমা সাজানো চরকি সাজিয়েছে ‘সত্যজিৎ স্পেশাল’। জন্মদিনে মুক্তি পাবে হীরক রাজার দেশে। এরপর ৯ মে দর্শক দেখতে পাবেন অশনিসংকেত ও সোনার কেল্লা।
এরপর ধারাবাহিকভাবে মুক্তি পাবে পথের পাঁচালি, অপরাজিত, অভিজান, চিড়িয়াখানা ও জলসাঘর।
আরও পড়ুন:নেটফ্লিক্সের লিটল থিংস সিরিজের অভিনেত্রী ভারতের মিথিলা পালকার সূর্যবংশীয় সিনেমায় অভিনেতা জাভেদ জাফরির সঙ্গে অভিনয় করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সিয়াম আহমেদ।
হিন্দি ভাষার সিনেমাটির নাম ইন দ্য রিং। এটি পরিচালনা করবেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা অলকা রাঘুরাম। খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন ভ্যারাইটি।
ভারতের কলকাতার খিদ্দারপুরের নারী মুসলিম বক্সিং সম্প্রদায়ের ১৭ বছর বয়সী বক্সার শামাকে নিয়ে গড়ে উঠেছে গল্প। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার।
শামা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে লড়াই করার জন্য তার ডাবলের সঙ্গে জায়গা বিনিময় করেন, যখন তাকে তার আন্টিকে হত্যার অভিযোগে আটক করা হয়।
সিনেমার কাস্টিংয়ে রয়েছেন রাজিয়া শবনম। তিনি প্রথম ভারতীয় নারীদের একজন, যিনি আন্তর্জাতিক বক্সিং রেফারি এবং কোচ হয়েছেন।
পরিচালক অলকা রঘুরাম এর আগে কলকাতার মুসলিম নারী বক্সারদের নিয়ে ডকুমেন্টারি বোরকা বক্সার্স পরিচালনা করেছেন।
প্রকল্পটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক দর্পণ গ্লোবালের জন্য শ্রেয়শি সেনগুপ্ত এবং ভারতের ওরিজন গ্লোবালের জন্য সৌভিক দাশগুপ্ত প্রযোজনা করছেন, লস অ্যাঙ্গেলভিত্তিক রিক অ্যামব্রোস নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন।
রঘুরাম ভ্যারাইটিকে বলেছেন, ‘আমি এই স্ক্রিপ্টটি লিখতে শুরু করি যখন আমি ডকুমেন্টারি বোরকা বক্সার্স এর চিত্রগ্রহণ করছিলাম। গল্পের শেষ সংস্করণটি তৈরিতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগেছে।’
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতে শুরু হবে সিনেমার শুটিং। সেলস, ডিস্ট্রিবিউশন এবং কো-প্রোডাকশনে এই প্রোজেক্টের জন্য সহযোগী খুঁজতে সেনগুপ্ত বর্তমানে কান ফিল্ম মার্কেটে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল হলিউড সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। এই খবরের সত্যতা পাওয়া যায় চলতি বছরের মার্চে।
৮ মার্চ নেটফ্লিক্সের টুইটারে ঘোষণা করা হয়, তাদের আসন্ন থ্রিলার সিনেমা হার্ট অফ স্টোন-এ গ্যাল গ্যাডট এবং জেমি ডরনানের সঙ্গে অভিনয় করবেন আলিয়া।
সেই ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার জানা গেল, আলিয়া তার প্রথম হলিউড সিনেমা হার্ট অফ স্টোন-এর শুটিং করতে যাচ্ছেন।
এদিন আলিয়া ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি আমার প্রথম হলিউড সিনেমার শুটিং করতে যাচ্ছি। আবার নতুনদের মতো মনে হচ্ছে- একই রকম নার্ভাস। আমাকে শুভকামনা জানাও।’
আলিয়ার সেই পোস্টে শুভকামনা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, রণবীর সিং, অর্জুন কাপুরসহ বলিউডের সতীর্থরা।
একই ছবি ইনস্টা স্টোরিতে পোস্ট করে আলিয়া লেখেন, ‘হার্ট অফ স্টোন, এখানে আমি এসেছি।’ এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন টম হার্পার।
এদিকে ব্রহ্মাস্ত্র, রকি অওর রানি কি প্রেমকাহানি, ডার্লিংসসহ বেশ কয়েকটি সিনেমা রয়েছে আলিয়ার হাতে।
আরও পড়ুন:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘মুজিব- দ্য মেকিং অফ আ ন্যাশন’-এর ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে। সিনেমাটির ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ট্রেলার ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে।
ফ্রান্সে বিশ্বখ্যাত কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৫তম আসরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভারতীয় প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই বায়োপিকের ট্রেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর।
ট্রেলারে খণ্ড খণ্ড করে উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, পরিবার, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়কাল। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা- সবই এসেছে ট্রেলারে।
পাশাপাশি দেখা গেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের। ট্রেলার শেষ হয়েছে নুসরাত ইমরোজ তিশার কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ ভাষণ দিয়ে।
ট্রেলারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চলচ্চিত্রটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, জাতির জন্য সংগ্রাম থেকে বিজয় ও পরম আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে।
‘বঙ্গবন্ধু, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো মহান মানুষদের জীবনী একটি চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলা দুরূহ হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই সিনেমা বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে যুগে যুগে জাগ্রত রাখবে এবং মানবতার জন্য আত্মনিবেদনে প্রেরণা যোগাবে।’
অনুরাগ সিং ঠাকুর তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনচিত্র নির্মাণের এ কাজকে তাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বলে বর্ণনা করেন।
ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা, ভারতের রাষ্ট্রদূত জাভেদ আশরাফ, ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার সচিব অপূর্ব চন্দ্র, বায়োপিকের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, নির্বাহী প্রযোজক এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বঙ্গবন্ধুর চরিত্রাভিনেতা আরেফিন শুভ, বঙ্গমাতার চরিত্রাভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, চিত্রনাট্যকার অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি, বাংলাদেশ অংশের কাস্টিং পরিচালক বাহার উদ্দিন খেলনসহ দুই দেশের অভিনয় শিল্পীরা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
রোমান্টিক থ্রিলার গল্পের সিনেমা তালাশ মুক্তি পেতে যাচ্ছে জুনের ১৭ তারিখে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। সেখানেই জানা যায় সিনেমার মুক্তির তারিখ।
সিনেমা প্রথমবারের মতো জুটি হয়ে দেখা যাবে বুবলী ও নবাগত চিত্রনায়ক আদর আজাদকে। সিনেমাটি পরিটালনা করেছেন সৈকত নাসির।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আদর আজাদ বলেন, ‘দুটি গান ও ফার্স্টলুক প্রকাশের পর এবার প্রকাশ পেল সিনেমাটির ট্রেলার। অনেক আগেই সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আশা করি পর্দায় আমাদের দেখে দর্শক নিরাশ হবেন না।’
বুবলী বলেন, ‘সিনেমাটির গল্প এক কথায় চমৎকার। দর্শক ভালো গল্পের একটি সিনেমা দেখতে চান। আমি বলব তালাশ একটি ভালো গল্পের সিনেমা। আপনারা দেখলে নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারবেন।’
ক্লিওপেট্রা ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির কাহিনি পরিচালকের সঙ্গে যৌথভাবে লিখেছেন আসাদ জামান। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন আসিফ আহসান খান, মাসুম বাশার, মিলি বাশার, যোজন মাহমুদ।
প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই আদর আজাদ-বুবলী জুটি সাইফ চন্দন পরিচালিত লোকাল সিনেমায় দ্বিতীয়বারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। বর্তমানে সিনেমাটি নির্মাণাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন:জয়া আহসান অভিনীত বিউটি সার্কাস সিনেমাটি কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়াই পেয়েছে সেন্সর ছাড়পত্র। বুধবার সিনেমাটি সেন্সর পেয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন এর পরিচালক মাহমুদ দিদার।
তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি ঈদের আগে সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছিল। সিনেমাটি দেখার পর বুধবার সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে বোর্ড।’
সেন্সর পাওয়ার পর মুক্তির বিষয় চলে আসে। বিউটি সার্কাস সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে, জানতে চাইলে মাহমুদ দিদার বলেন, ‘মুক্তির বিষয়টা আগামী সপ্তাহে জানা যাবে আশা করছি।’
২০১৭ সালে শুরু হয় বিউটি সার্কাস সিনেমার শুটিং। শোনা যায়, অর্থ সংকটে সিনেমাটির কাজ মাঝখানে বন্ধ ছিল। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটিতে পরে প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
সার্কাস প্যান্ডেল ও গ্রাম্য মেলার আয়োজন করা হয়েছিল সিনেমাটি নির্মাণের সময়। অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি হাজারখানেক গ্রামবাসী কাজ করেছেন এ সিনেমায়।
সিনেমার গল্প গড়ে উঠেছে সার্কাসের মালিক ও প্রধান নারী শিল্পী বিউটি ও তার সার্কাস দলটি নিয়ে। বিউটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। তার জাদু প্রদর্শনী আর রূপে পাগল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বিউটিকে নিজের করে পাবার প্রতিযোগিতায় নামে তারা। একসময় হুমকির মুখে পড়ে বিউটির সার্কাস।
সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, তৌকির আহমেদ, গাজী রাকায়েত, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, হুমায়ূন কবীর সাধুসহ অনেকে।
অস্কার, বাফটা এবং গ্র্যামি বিজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমান তার নতুন সিনেমার নাম প্রকাশ করেছেন। না, কোনো নতুন সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন না তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো সিনেমা পরিচালনা করতে যাচ্ছেন, ভ্যারাইটিকে নিশ্চিত করেছেন সেটাই।
আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন ভ্যারাইটিতে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কনফেশনস নামের নতুন একটি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এ আর রহমান। যেটি হবে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির জন্য।
ভ্যারাইটিকে এ আর রহমান বলেছেন, ‘আমরা একটা সিনেমা করতে চাই যেটা খুবই সহজ, কিন্তু অনুভূতির দিক থেকে খুবই গভীর।’ চলচ্চিত্রটির ৬০ ভাগ চিত্রনাট্য শেষ হয়েছে বলেও জানান এ গুণী সংগীতজ্ঞ।
এ আর রহমানের প্রথম সিনেমা লে মাস্ক। যার প্রিমিয়ার হয় কান ফিল্ম মার্কেটের ‘কান এক্সআর’ প্রোগ্রামে। তবে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি এখনও।
রহমান জানান, তিনি ও তার টিম খুব খুশি যে কাজটি শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালে এর কাজ শুরু হয়েছিল। নতুন কাজটি করতে যেন বেশি সময় না লাগে, সেভাবেই কনফেশনস-এর কাজ এগিয়ে নিতে চান রহমান।
লে মাস্ক সিনেমাটির গল্প রহমানের স্ত্রী সায়রার একটি ধারণা থেকে নেয়া।
আরও পড়ুন:নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে আমেরিকান অ্যানোনিমাস কনটেন্ট এবং ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সির (সিএএ)। এ খবরটি কতটা বড় বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাই ব্যাখ্যা করেছেন চলচ্চিত্রকার ওয়াহিদ ইবনে রেজা।
টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স, ইউনিভার্সাল পিকচার্স, মার্ভেল স্টুডিওস, ডিসি এন্টারটেইনমেন্ট, সনি পিকচার্সের সিনেমায় কাজ করা ওয়াহিদ ইবনে রেজা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন সে ব্যাখ্যা।
খবরটির তাৎপর্য তুলে ধরে রেজা লেখেন, ‘পশ্চিমা দেশে আপনি যদি ক্রিয়েটিভ লাইনে উচ্চ পর্যায়ে কাজ পেতে চান তাহলে আপনার একজন এজেন্ট বা ম্যানেজার লাগবে। তাদের কাজই হচ্ছে আপনার জন্য কাজ খুঁজে আনা। কারণ আপনার ফি এর ১০-১৫% তারা পাবে। আপনি যত কাজ পাবেন তাদের লাভ তত। হলিউডে কোনো বড় কাজ এজেন্ট বা ম্যানেজার ছাড়া হয় না। কেউ কথাই বলবে না আপনার সঙ্গে।
‘তো এই এজেন্সিগুলোর মধ্যে সিএএ হচ্ছে সবচেয়ে বড় এজেন্সিগুলোর মধ্যে একটা। এরা এতই বড় যে সরাসরি আপনি এদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। মানে, তারা তখনই আপনার কাছে আসবে যখন তাদের কোনো বর্তমান ক্লায়েন্ট আপনাকে তাদের কাছে রেফার করে। নুহাশ হুমায়ূনকে যিনি রিপ্রেজেন্ট করছেন, তিনি সরাসরি কাকে রিপ্রেজেন্ট করে জানেন? অরিজিনাল স্পাইডার-ম্যান ট্রিলজি, ডক্টর স্ট্রেঞ্জ মাল্টিভার্স-এর নির্দেশক স্যাম রাইমিকে! তার মানে এই মুহূর্তে স্যাম রাইমির যেই রিসোর্স, আমাদের নুহাশের একই রিসোর্স। ব্যাপারটা কি কল্পনা করতে পারছেন? ব্যাপারটা কেউ ভেরিফাই করতে চাইলে আইএমডিবি প্রো অ্যাকাউন্টে দেখে নিতে পারেন।
রেজা আরও লেখেন, ‘এই অভাবনীয় রিসোর্সের সদয় ব্যবহার যে এখনই শুরু হয়ে গেছে তার প্রমাণটা কি জানেন? অ্যানোনিমাস কনটেন্ট, যারা কিনা মি. রোবট, ট্রু ডিটেকটিভ-এর মতো সিরিয়ালের পেছনের প্রোডাকশন কোম্পানি, তারা নুহাশকে সাইন করেছে। এর মানে কী? তারা নুহাশের নেক্সট প্রজেক্ট প্রডিউস করতে চাচ্ছে। কেন করতে চাচ্ছে তারা? কারণ তারা দেখেছে, নুহাশ বাংলাদেশে বসে একটি হাই কনসেপ্টের সিনেমা বানিয়েছে, যা বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখে, পাশাপাশি আর্টিস্টিক ভ্যালু ক্যারি করে। আজকে কোরিয়ান ফিল্মমেকাররা, মেক্সিকান ফিল্মমেকাররা যা করছে, তা আগামীতে নুহাশ করতে পারবে, সেটা ধারণা করেই এত বড় প্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটা যে কী বিশাল একটা ব্যাপার, আমি ভাষায় বোঝাতে পারছি না।’
নুহাশ পরিচালিত মশারী সিনেমাটি সাউথ বাই সাউথ ওয়েস্ট চলচ্চিত্র উৎসব এবং আটলান্টা চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হওয়া নিয়ে রেজা লেখেন, ‘পৃথিবীতে ৭০০০ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আছে, যারা রেজিস্টার্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এর মধ্যে মাত্র ৬৩টি ফেস্টিভ্যাল, মানে মাত্র ০.৯ শতাংশ হচ্ছে অস্কার কোয়ালিফায়িং। অস্কার কোয়ালিফায়িং ফেস্টিভ্যাল মানে কী? মানে, এই ফেস্টিভ্যালে যদি কোনো ফিল্ম কম্পিটিশনে যেতে, শুধু অংশগ্রহণ কিন্তু নয়, শুধুমাত্র যদি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়, তবে সেই ফিল্মটি অটোমেটিক্যালি অস্কারের দৌড়ে চলে আসবে। তার মানে ধরে নেয়া হবে যে এই বছর সারা পৃথিবীতে যতগুলো শর্ট ফিল্ম হয়েছে, তাদের মধ্যে এই ফিল্মগুলো শ্রেষ্ঠ। এরপর এখন থেকে আস্তে আস্তে শর্টলিস্ট হতে হতে অস্কারের নমিনেশন আসে।
‘এখন এ রকম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ হয় কী করে একটা ফিল্ম? সাধারণত এ রকম বড় ফেস্টিভ্যালে গড়ে ৩০০০ করে শর্টফিল্ম জমা পড়ে। সেখান থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি মিলিয়ে হয়তো ১০টা ফিল্মকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেয়া হয়। তার মানে মাত্র ০.৩৩ শতাংশ ফিল্ম এই সম্মান পায়। এখন একই সঙ্গে অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়ে, সিলেক্ট হয়ে পুরস্কার জেতার চান্স তাহলে গাণিতিকভাবে দাঁড়ায় ০.৯% x ০.৩৩% = .০০২৯৭%। এই জন্য এই অস্বাভাবিক বাজি যারা জিতে নেয়, তাদেরকে বলা হয় বেস্ট অফ দ্য বেস্ট।’
সব শেষে নুহাশকে ধন্যবাদ দিয়েছে ওয়াহিদ ইবনে রেজা। অনেক আগ্রহ নিয়ে তিনি নুহাশের পরবর্তী জাদু দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন শুভকামনা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য