ছোটবেলার সব স্মৃতিই আনন্দের হয় না, কিছু স্মৃতি হয় ভয়াবহ। মেয়েশিশুদের বেলায় যৌন হেনস্তার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তেমন একটি নিগ্রহের স্মৃতির কথা জানালেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
কুইন-এর নায়িকা জানান, তিনি তখন অনেক ছোট। পাড়ার এক ছেলে নানা অজুহাতে তাকে স্পর্শ করত। তখন সেগুলো না বুঝলেও এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা অকপটে জানান, তাকে সেই ছেলেটি ডেকে নিয়ে যেত নিজের ঘরে। তার পর তাকে নগ্ন করে শরীর দেখত ছেলেটি।
তখন সেগুলোর মর্ম বুঝতে পারেননি অভিনেত্রী। ছোট কঙ্গনার মতো আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে একই কাজ করত সেই পাড়ার ছেলে। বড় হওয়ার পর ধীরে ধীরে সব স্পষ্ট হয় কঙ্গনার কাছে।
সম্প্রতি ‘লক আপ’ নামের রিয়েলিটি শোতে গিয়ে এ ভয়াবহ স্মৃতির কথা জানান কঙ্গনা।
রজনীশ রাজি ঘাই পরিচালিত ধাকার সিনেমায় শিগগিরই দেখা যাবে কঙ্গনাকে। সেখানে তাকে দেখা যাবে দুর্দান্ত অ্যাকশন লুকে। সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২০ মে। তার অভিনীত তেজস, ইমারজেন্সি সিনেমাগুলো আছে মুক্তির অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন:কান চলচ্চিত্র উৎসবে ১৯ মে উদ্বোধন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন’-এর ট্রেইলার। এটি উদ্বোধন করতে ওই উৎসবে গিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দেশে ফিরে বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সেখানে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন-এর ট্রেইলার উদ্বোধন হয়েছে এবং এটি উৎসবে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। চলচ্চিত্র উৎসবের নগরী কানের প্রধান প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, আত্মত্যাগ এবং একটি জাতির রূপকার হিসেবে তার যে ত্যাগ, সংগ্রাম, অর্জন- সেগুলো তুলে আনা হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়ে নানা আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং আরও বিশ্বনেতাদের জীবন ও কর্মকে আড়াই-তিন ঘণ্টায় তুলে আনা কঠিন। তবু এই চলচ্চিত্রে সেটি তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আর পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ঠিকই বলেছেন, দেড় মিনিটের ট্রেইলার দেখে একটা চলচ্চিত্রের ওপর মন্তব্য করা যায় না। সেজন্য পুরো সিনেমাটা দেখতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই চলচ্চিত্র একটি ডকুমেন্টারি হিসেবেও কাজ করবে।
‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি যে জাতির প্রশ্নে, বাঙালির প্রশ্নে অবিচল ছিলেন সেই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমিও অধীর আগ্রহে চলচ্চিত্রটি দেখার অপেক্ষা করছি।’
আগামী বছর থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের একটি স্টল দেয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশ ও প্রচার উপলক্ষে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম বড় ও মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবে রয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
মুজিব: দ্য মেকিং অফ এ নেশন সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তা নিয়েই কথা বলেছেন নিউ ইয়র্কভিত্তিক বিনোদন ম্যাগাজিন ভ্যারাইটির সঙ্গে।
তিশা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কথা সবাই জানেন, কিন্তু ফজিলাতুন্নেসার কথা অনেকেই জানেন না। প্রবাদ আছে প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে একজন নারী থাকেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বঙ্গবন্ধু যখন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলে ছিলেন তখন ফজিলাতুন্নেসা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন, পরিবারের দেখাশোনা করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি একজন শক্তিশালী নারী।’
তিশা আরও বলেন, ‘তিনি অসাধারণ সব কাজ করেছেন এবং আমি মনে করি এই সিনেমার মাধ্যমে মানুষ ফজিলাতুন্নেসা এবং তার কাজ ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
বাংলাদেশের সিনেমার অগ্রযাত্রা নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে, কারণ আমাদের অনেক তরুণ পরিচালক আছেন যারা বিশেষ কিছু করার চেষ্টা করছেন।’
অভিনয়ের পাশাপাশি নো ল্যান্ডস ম্যান সিনেমা দিয়ে প্রযোজকের খাতাতেও নাম লিখিয়েছেন তিশা। যে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিশা ভ্যারাইটিকে জানিয়েছেন, আসন্ন আরও একটি সিনেমার প্রযোজনা করছেন তিনি। যার নাম না বললেও তিশার কাছে প্রজেক্টটি ‘গভীরভাবে ব্যক্তিগত’ (“a deeply personal project”)। এটিও পরিচালনা করবেন ফারুকী।
এ ছাড়া কলকাতার একটি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তার পরবর্তী অভিনয়ের আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিশা।
১৯ মে কান উৎসবে উন্মোচন করা হয় মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন-এর ট্রেইলার। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এবং ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এনএফডিসি) যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন:গত বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসব অর্থাৎ ৭৪তম আসরের কথা মনে থাকতে পারে অনেকের। কারণ উৎসবে রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমাটি অফিশিয়াল সিলেকশন পাওয়ার কারণে উৎসব ও সিনেমাটি নিয়ে চারদিকে ছিল তুমুল আলোচনা।
বাংলাদেশের সিনেমা ইতিহাসে সেটিই ছিল কানে দেশের সিনেমার প্রথম অফিশিয়াল সিলেকশন। পাশাপাশি উৎসবটির ‘ডিসিশন মেকার’ হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন দেশের চলচ্চিত্রকর্মী তারেক আহমেদ।
৭৪-এ এত কিছু হয়ে গেল, ৭৫-এ কি কিছুই নেই? আছে, এ বছরেও কানে মর্যাদার স্থানে আছে বাংলাদেশ। সেটা কীভাবে?
দেশের চলচ্চিত্র গবেষক ও সমালোচক বিধান রিবেরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ নামটি আছে কানের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। বিধান তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে নিজের পাশাপাশি দেশকেও নিয়ে গেছেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের মঞ্চে।
বিধান কানের ৭৫তম আসরে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকসের (ফিপ্রেসি) বিচারক হিসেবে কাজ করছেন। মূল প্রতিযোগিতা, আঁ সতেঁ রিগা ও প্যারালাল সেকশন (ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইট ও ক্রিটিকস উইক) এই তিনটি শাখায় পুরস্কার দেয় ফিপ্রেসি। সেই বিভাগেরই জুরি তিনি।
জুরি হিসেবে বাংলাদেশের এ চলচ্চিত্র গবেষক-সমালোচক উৎসবের তৃতীয় দিন অফিশিয়ালি হেঁটেছেন কানের লাল গালিচায়। যা দেশের জন্য অনন্য অর্জন।
বিধান রিবেরুর মতে, ‘এটা কানেরও ইতিহাস এবং আমার বা আমাদের জন্যও ইতিহাস।’
মঙ্গলবার বিকেলে অনলাইনে বিধান রিবেরুর সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি বলেন, ‘কানের লাল গালিচায় শুধু মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরিরাই হাঁটতেন এতদিন। কিন্তু এবারই প্রথম তারা প্যারালাল বিভাগের বিচারকদের লাল গালিচায় হাঁটতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেই সুযোগে আমি ও আমরা হেঁটেছি। এটা অনেক ভালো লাগার, সম্মানের এবং ভাগ্যেরও।’
লাল গালিচায় হেঁটে ১৯ মে ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন বিধান। লিখেছিলেন, ‘নামটা ভাঙাচোরা করে উচ্চারণ করেছে, ফরাসি জিহ্বায় যতটুকু আসে। আমি তো পেছনে ঐশ্বরিয়ার পোশাক দেখে ভাবছিলাম এত বড় কলার সামলাচ্ছেন কী করে! যাক, কানের লাল গালিচা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। (বাংলাদেশ থেকে এই রেড কার্পেটে হেঁটে বাংলাদেশকেই বারবার মনে হয়েছে, কারণ আমার নামের সঙ্গে আমার দেশের নামও উচ্চারিত হয়েছে) আজ একই প্রেক্ষাগৃহে জুলিয়া রবার্টসও ছবি দেখবেন। তারার মেলায় নিজেকে কৃষ্ণগহ্বর মনে হচ্ছে।’
খুবই ব্যস্ত সময় কাটছে বিধানের। সিনেমা দেখা আর সিনেমা দেখা, এই তার ব্যস্ততার অন্যতম প্রধান কারণ। সিনেমাই দেখছিলেন, এর মধ্যে এক ঘণ্টার বিরতি পেয়েই কথা বলেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, ‘জুরি হিসেবে তো সিনেমা দেখছিই, দর্শক হিসেবেও আরও অনেক সিনেমা দেখার চেষ্টা করছি। জুরি হিসেবে যে সিনেমাগুলো দেখছি, সে সিনেমাগুলোর প্রদর্শনী হচ্ছে একেকটি একেক জায়গায়। একটি প্রদর্শনীর স্পট থেকে অন্য প্রদর্শনীর স্পটে যেতে সময় লাগছে কোনোটাতে ১৩ মিনিট, কোনোটাতে ১৬ মিনিট। অনেকে তো দৌড়াচ্ছে।’
জুরি হওয়ায় বিধানদের কাছে আছে প্রায়োরিটি পাস। যেটি দেখিয়ে প্রতিযোগিতায় থাকা সিনেমাগুলো দেখতে হচ্ছে তাদের। সাধারণ দর্শকরাও দেখতে পারছেন সিনেমাগুলো, তবে টিকিট কেটে। এ পাসের কারণে বিধানরা থিয়েটারে আগে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন, বসতে পারছেন যেকোনো সিটে।
বিধান জানান, প্রতিদিন গড়ে চারটি করে সিনেমা দেখতে হচ্ছে তার। ১৭টি সিনেমা তার দেখতে হবে জুরি হয়ে। জুরি হিসেবে সিনেমা দেখা ছাড়াও ৪০টি সিনেমা দেখতে চান তিনি।
বিধান বলেন, ‘কানে তো প্রায় সারা রাতই সিনেমা প্রদর্শিত হয়। সাগরপাড়েও রাতে সিনেমা দেখার সুযোগ আছে। আমি রাত ৮-৯টার মধ্যে যতটুকু পারি সিনেমা দেখে ট্রেন ধরে ঘরে ফিরি।’
সিনেমা দেখেই সময়টা কাটছে বিধানের। তাই আড্ডা দেয়ার তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। বলেন, ‘পরিচিত হওয়ার সুযোগ হচ্ছে। এই যেমন ভ্যারাইটির এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হলো। ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে বা বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন, তাদের সঙ্গে বসে আড্ডা দেয়ার সুযোগ তেমন পাচ্ছি না।’
বিধান জানান, কানে যারা এসেছেন, সবারই কিছু না কিছু কাজ রয়েছেই। কেউ প্রযোজকদের সঙ্গে মিটিং করছেন, কেউ ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে মিটিং করছেন।
বিধান যে বিভাগের জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, সেই বিভাগটি খুবই বিচিত্র। তিনি বলেন, ‘আমি যাদের সিনেমা দেখছি সেখানে তরুণদের সিনেমা বেশি। অন্যভাবে বলা যায়, এ বিভাগে সেই সিনেমাগুলোই এসেছে, যেগুলোর বিষয় বেশ বিচিত্র। এ বিভাগে ফর্মুলা সিনেমা একেবারেই থাকে না। যেমন একটি সিনেমা দেখলাম, যেখানে ব্রেন ক্যানসারের অপারেশন দেখান হলো। মাথার মধ্যে অপারেশন হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা ঢুকিয়ে দেখা হচ্ছে, এটাই সিনেমা। এ বিভাগের সিনেমাগুলো সব রকম নিয়ম ভাঙা সিনেমা। তাই মজাটাও অনেক।’
২৮ মে পর্যন্ত চলবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তাই সে পর্যন্ত কানেই থাকছেন বিধান। এর পরপরই দেশে ফিরবেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের মঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা চলচ্চিত্র গবেষক ও সমালোচক বিধান রিবেরু।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা সামান্থা রুথ প্রভু ও বিজয় দেবেরাকোন্ডার আসন্ন তেলেগু সিনেমা কুশির শুটিংয়ের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় আহতের খবরটির কোনো সত্যতা নেই।
সিনেমাটির প্রযোজকের বিবৃতির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমন কিছু খবর এসেছে যে কুশি শুটিংয়ের সময় বিজয় ও সামান্থা আহত হয়েছেন। এই খবরের কোনো সত্যতা নেই। কাশ্মীরে ৩০ দিনের শুটিং সফলভাবে শেষ করে পুরো দল গতকাল হায়দরাবাদে ফিরেছে। এই ধরনের খবর বিশ্বাস করবেন না।’
এদিকে এক টুইটে এই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক রমেশ বালা।
Fake news alert :"There are few reports that #VijayDeverakonda and #Samantha were injured while shooting for #Kushi movie.There is no truth in this news.
The entire team returned to Hyd yesterday after successfully completing 30 days of shooting in Kashmir.Dont believe such news" pic.twitter.com/rqlkuHmW9H— Ramesh Bala (@rameshlaus) May 24, 2022
চলতি মাসের মাঝামাঝিতে প্রকাশ করা হয় সিনেমাটির ফার্স্টলুক। সেটি টুইটারে পোস্ট করে সামান্থা লেখেন, ‘এই ক্রিসমাস-নতুন বছর। আনন্দ, হাসি, সুখ এবং ভালোবাসার বিস্ফোরণ। একটি দুর্দান্ত পারিবারিক অভিজ্ঞতা।’
কুশি সিনেমাটি তেলেগু, তামিল, কন্নড় ও মালয়ালাম ভাষায় ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন:‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ এর ধারাবাহিকতায় টম ক্রুজের অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘মিশন: ইম্পসিবল- ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’-এর ট্রেইলার প্রকাশ পেয়েছে।
‘ডেড রেকনিং’ জনপ্রিয় এ স্পাই থ্রিলার সিরিজের সপ্তম কিস্তি যেখানে আইএমএফ এজেন্ট ইথান হান্টের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রুজ।
‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির বেশ কয়েকজন পরিচিত অভিনেতাও রয়েছেন সবশেষ এ পর্বটিতে। ক্রুজের সঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে ভিং রেইমস, সাইমন পেগ, রেবেকা ফার্গুসন ও এর আগের পর্ব ফলআউটের তারকা ভেনেসা কার্বিকেও।
এ পর্বে ফিরছেন হান্টের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বি ইউজিন কাট্রিজ। ১৯৯৬ সালে সিরিজের প্রথম পর্বের পর এ চরিত্রে আবারও দেখা যাবে হেনরি চেয়ার্নিকে।
২ মিনিটের ট্রেইলারে দেখা যাচ্ছে কাট্রিজ হান্টকে বলছেন, ‘তথাকথিত বৃহত্তর ভালোর জন্য তোমার লড়াইয়ের দিন শেষ। সত্যকে নিয়ন্ত্রণ করার এটাই আমাদের সুযোগ। তুমি এমন একটি ধারণাকে রক্ষার জন্য লড়াই করছ যার অস্তিত্বই নেই।’
‘ডেড রেকনিং’ লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়েরি। যিনি এই সিরিজে এর আগে ২০১৫ সালে ‘রোগ নেশন’ এবং ২০১৮ সালে ‘ফলআউট’ পরিচালনা করেছিলেন। এটি মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই। ২০২৪ সালে ‘ডেড রেকনিং: পার্ট টু’ আসবে।
দেশের তুমুল জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা। চরিত্রটি নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা এমআরনাইন। এতে র-এর এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমের।
কিন্তু কাজটি আর তার করা হচ্ছে না। শিডিউল সমস্যায় সিনেমাটি থেকে সরে আসতে হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী।
সোমবার রাতে মিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত মাসের শেষ দিকে যখন এমআরনাইন সিনেমার কাজের কথা বলা হলো, তখন আমি আর সময় দিতে পারিনি।’
মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ উপন্যাসে সুলতা নামের র-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করার কথা ছিল মিমের।
মিমের জায়গায় কে অভিনয় করবেন, সেটি জানা জায়নি। সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া এ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে না। অন্যদিকে মিমও জানেন না বিষয়টি।
সিনেমার অভিনয়শিল্পীর তালিকায় পরিবর্তন আসছে আরও। এমআরনাইন সিনেমার ঘোষণার সময় বিদেশি আরও অনেক অভিনয়শিল্পীর নাম শোনা গিয়েছিল। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডাটাবেজেও (আইএমডিবি) ছিল দেশি-বিদেশি অভিনয়শিল্পীদের লম্বা তালিকা।
সেসবের কিছুই এখন আর নেই। আইএমডিবিতে এমআরনাইন-এর পেজে ঢুকলে অভিনেতা জেটি তোমাঙ্গি ও মাসুদ রানার চরিত্রাভিনেতা এবিএম সুমন ছাড়া নেই কারও নাম।
চলতি মাসের মাঝামাছি সময় থেকে শুরু হয়েছে এমআরনাইন সিনেমার কাজ। সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা ১৯ মে তাদের ফেসবুক পোস্টে জানায়, শুটিংয়ের জন্য এ বি এম সুমন লাস ভেগাস পৌঁছেছেন।
অভিনেতা এ বি এম সুমনের ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখা যায়, ২১ মে এমআরনাইন সিনেমার পরিচালক আসিফ আকবরের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছেন সুমন।
ভারতের প্রভাবশালী প্রযোজক, পরিচালক করন জোহরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধার্মা প্রডাকশন। প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত যুগ যুগ জিও সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। রোববার প্রকাশ পেয়েছে এর ট্রেইলার।
এটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে শোরগোল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিশাল এ সিং নামের এক প্রযোজক ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের দাবি, ধার্মা প্রডাকশন চিত্রনাট্য চুরি করে নির্মাণ করেছে মুক্তিপ্রতীক্ষিত সিনেমাটি।
বিশাল অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে তাদের সংস্থার পক্ষ থেকে নথিভুক্ত করা একটি চিত্রনাট্যের নাম বদলে যুগ যুগ জিও সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে।
টুইট বার্তায়, বিশাল বলেছেন, তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্ক্রিন রাইটিং অ্যাসোসিয়েশনে ‘বানি রানি’ নামের চিত্রনাট্যটি নিবন্ধন করিয়েছিলেন। তার এক মাস পর তিনি ধার্মা প্রডাকশনকে সিনেমাটি সহপ্রযোজনার প্রস্তাব দেন। ইতিবাচক সাড়াও ফেলেছিলেন তিনি।
২০২০-এর ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্মা প্রডাকশনে যে ই-মেলটি পাঠিয়েছিলেন তার একটি স্ক্রিনশট যুক্ত করে লিখেছেন, ‘এবার মামলা দায়ের করব।’ এটি বিশাল জানিয়েছেন অন্য একটি টুইট বার্তায়।
এ সিনেমার মাধ্যমে অনেক দিন পর বড় পর্দায় ফিরছেন রণবীর কাপুরের মা অভিনেত্রী নিতু কাপুর। সিনেমায় আরও আছেন বরুন ধাওয়ান, কিয়ারা আদভানি ও অনিল কাপুর। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২৪ জুন। এটি পরিচালনা করেছে রাজ মেহতা।
নবদম্পতি বরুন-কিয়ারা দ্রুতই বিচ্ছেদ চান এবং সে কথা পরিবারের থেকে লুকিয়ে রাখতে চান। বরুনের বাবা ও মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর ও নিতু কাপুর। সেখানেও আছে টুইস্ট। কারণ তারাও বিচ্ছেদ চান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য