ঈদ আর বৈশাখ দেশের বাইরে আর কখনই না- এমনটাই জানালেন জয়া আহসান। এর পেছনে রয়েছে জয়ার অশ্রুসিক্ত অভিজ্ঞতা। একবার কলকাতায় তার ঈদ কাটাতে হয়েছিল। ঈদের দিন তার মেন্যুতে ছিল মিষ্টি পোলাও, মাটন আর বাসি পরেজ।
হয়তো মায়ের হাতের খাবারের কথা মনে পড়ছিল অভিনেত্রীর। সেদিন কাঁদতে হয়েছিল জয়ার।
ঈদ কোথায় করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার রাতে এসব কথা জানান জয়া আহসান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদ আর পয়লা বৈশাখ অতি অবশ্যই বাংলাদেশে। আর কোনো কথা হবে না।’
জয়াকে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলো করেন, তারা সব সময় জয়ার আপডেট পান। অভিনেত্রী কখন কোথায় আছেন, কখন শুটিং করছেন, কখন জিম করছেন, ছাদবাগানে চাষাবাদ করছেন কখন, সবই তার ভক্তদের জানান জয়া।
যা সবাই নেট দুনিয়ায় দেখেন, এর বাইরেও জয়ার সাধারণ একটি জীবন আছে। তিনি নাকি খুব অলস প্রকৃতির। তার ভাষ্যে, ‘পায়ের নিচে সরষে দিয়ে ঘুরে বেড়াই আমি। কলকাতা গেলে এয়ারপোর্ট থেকে নেমে সরাসরি আমি কাজে চলে যাই। দম ফেলবার সময় থাকে না যেন।’
কাজে ফাঁক পেলে আলসেমি করেন জয়া। বাড়িতে যারা রয়েছেন, মা, ভাইবোন, তাদের সঙ্গে সময় কাটান। সেটাই তার জীবনীশক্তি নতুন নতুন কাজ করার।
অনেকগুলো সিনেমার কাজে ব্যস্ত জয়া। তার অভিনীত কলকাতার বেশকিছু সিনেমা আছে মুক্তির অপেক্ষায়। বাংলাদেশে সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও ব্যস্ত জয়া। রইদ নামের একটি সিনেমার প্রযোজক তিনি।
সিনেমাটির কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে না জানিয়ে জয়া বলেন, ‘পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন সিনেমাটিতে একটি সিজন ধরতে চান। আমরা পুরো বিষয়টা তার ওপরই ছেড়ে দিয়েছি। তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
করোনার সময় অনেকটা সময় বিরতিতে ছিল পুরো পৃথিবী। ধারণা করা হচ্ছিল, এ বিরতিতে ভালো কিছু গল্প বা চিত্রনাট্য তৈরি হবে। জয়ার মতে কিছু জায়গায় এমন হয়েছে।
নিজের প্রযোজিত এবং অভিনীত ছবির নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার উদাহরণ দিয়ে জয়া বলেন, ‘কিছু জায়গায় আমি এমনটা দেখেছি। আমরা পিপলু আর খানের পরিচালনায় একটি সিনেমা নির্মাণ করেছি। কিছু সিনেমা আছে যেটা সেই সময়েই করতে হয়।’
ভিন্ন গল্প ও ভিন্ন রকম কাজের ক্ষেত্র কিছুটা ভাগ হয়ে গেছে বলে মনে করেন জয়া। পড় পর্দার সিনেমার পাশাপাশি এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিচিত্র রকমের গল্পের প্রাধান্য বেশি। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে পরিচালকরাও ওটিটিতে ঝুঁকেছেন বেশি। নতুন কিছুকে বরণ করেই নিতে চান এ অভিনেত্রী।
তবে জয়াকে সহসাই দেখা যাচ্ছে না ওটিটিতে। তিনি বলেন, ‘অনেক প্রস্তাবই আসে আমার কাছে, কিন্তু এখনই পাতে তুলবার মতো কোনো কিছু পাইনি।’
সম্প্রতি ভারতের ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে হ্যাটট্রিক করেছেন জয়া। পরপর তিনবার তিনি পেলেন এ পুরস্কার। এগুলোকে বাড়তি পাওয়া মনে করেন জয়া।
বাসায় নাকি অ্যাওয়ার্ডগুলো চোখের সামনে রাখেন না জয়া, তার লজ্জা লাগে, মনে হয় এগুলোর যোগ্য তিনি নন। ভালো লাগে তখনই, যখন অভিনেত্রীর মা তার আঁচল দিয়ে পুরস্কারগুলো পরিষ্কার করেন। জয়া বলেন, ‘আমি সারা জীবন শিক্ষার্থী থাকতে চাই, শিখতে চাই, শিক্ষক হতে চাই না।’
কলকাতা-বাংলাদেশে অভিনয়, পুরস্কার, প্রযোজনার মতো কত কত কঠিন কাজ করছেন জয়া। একদিকে যখন সংস্কৃতির চর্চা করছেন ভালো সময় ও সমাজের জন্য, তখন অন্যদিকে দেশে নানা রকম সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, অনৈতিকতার ঘটনা দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এসব ঘটনা দেখে বা পড়ে নিজের পরিশ্রমকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন জয়া? বলেন, ‘একটি দেশের পরিচয় সে দেশের সংস্কৃতি কেমন। কিছু ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই ব্যর্থ। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শিল্প এবং সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে, পরিচর্যা করতে হবে। শিল্পী একা সব সময় সবকিছু করতে পারেন না, একা যুদ্ধ করে গোটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারেন না। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে, আমাদের যোদ্ধা হতে হবে, সেখানে আমাদের সহযোদ্ধা চাই।’
ইরান-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ফেরেশতে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। বাংলা ভাষায় নির্মিত হলেও ফেরেশতে একটি ইরানি সিনেমা।
এ সিনেমা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অনেক কথাই বলেছেন জয়া আহসান। তবে খুব গুরুত্ব দিয়ে যেটা তিনি বলেছেন, সেটা হলো, ‘এ সিনেমাটা করতে গিয়ে যেটা মনে হয়েছে, আমরা তো ফেস্টিভ্যালে বা পশ্চিমা দেশগুলোতে যখন বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই, তখন নেগেটিভ (নেতিবাচক) দিকগুলো বা দুর্দশা-হতাশা গল্পগুলো তুলে ধরি।
‘কিন্তু ফেরেশতে সিনেমার একটি বড় বিষয় হলো, সিনেমাটি আন্ডার প্রিভিলেজড (পিছিয়ে পড়া) লোকদের গল্প হলেও হতাশার গল্প না। আমার মনে হয়েছে পরিচালক কোনো ইস্যুভিত্তিক সিনেমা বানাচ্ছেন না। যেটা আমার কাছে শক্তিশালী মনে হয় এবং এটা উল্লেখ করার মতো।’
আরও পড়ুন:বলিউড তারকা মালাইকা অরোরার সঙ্গে ১৭ বছরের দাম্পত্যের অবসান হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে। তারপরই জর্জিয়া আন্দ্রিয়ানির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বলিউডের প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা আরবাজ খান। প্রায় চার বছর একসঙ্গে ছিলেন তারা। এর মাঝেই আচমকা প্রেম ভাঙে আরবাজের। যদিও এই প্রসঙ্গে কখনও প্রকাশ্যে কথা বলেননি আরবাজ। এবার সেই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন জর্জিয়া। জানালেন তাদের বিচ্ছেদের কথা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আরবাজ ও তার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন জর্জিয়া।
জর্জিয়ার মতে, তারা একে অন্যের থেকে অনেকটাই আলাদা ছিলেন, আর এত বৈপরীত্যের কারণেই তারা আলাদা হয়েছেন।
ভবিষ্যতকে দুজনে দুভাবে দেখতেন, এমনকি জীবনে আগামীতে কী করতে চান, ভবিষ্যতের পরিকল্পনাসহ কিছুই মিলত না তাদের। আর এত অমিলের জন্যই আরবাজ এবং জর্জিয়া মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেন যে তারা আলাদা হয়ে যাবেন। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন জর্জিয়া।
জর্জিয়া তাদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমি একটু খামখেয়ালি, ইচ্ছে হলেই ঘুরতে বেরিয়ে যাই। আমি ভীষণ স্বাধীনচেতা, যদি মনে করি কোথাও যাব, তো আমি গিয়েই ছাড়ি। ও যখন সেই একই জিনিস চাইত না তখন সেটা আমার খারাপ লাগত। আরবাজ ঘরে বসে সিনেমা, ডকুমেন্টরি দেখতে পছন্দ করে। আমি আবার একদমই ঘরে বসে থাকতে ভালোবাসি না। আমি অনেক আলাদা।’
জর্জিয়ার কথায়, ‘আমার কাছে সম্পর্ক মানে দুজনের পছন্দ-অপছন্দ মিলবে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কোনো পছন্দই মিলত না। আর সেই জন্যই আমাদের সম্পর্কটা টিকল না।’
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে যতই বিচ্ছেদ হোক না কেন তারা এখনও ভীষণ ভালো বন্ধু একে অন্যের। বিচ্ছেদের পর যেমন তিক্ততা চলে আসে সেটা তাদের মধ্যে আসেনি বলেই জানান জর্জিয়া।
জর্জিয়ার কথায়, তারা এখনও একে অন্যের সঙ্গে মজা করেন, একে অন্যের জোকস শুনে হাসেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘আমি এখনও ওকে পছন্দ করি। আমাদের যোগাযোগও আছে।’
আরও পড়ুন:হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জয়া বচ্চনের মা ও অমিতাভ বচ্চনের শাশুড়ি ইন্দিরা ভাদুড়ি।
বুধবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ইন্দিরা ভাদুড়িকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ইন্দিরা ভাদুড়ি।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ইন্দিরা ভাদুড়ির বয়স এখন প্রায় ৯৩ বছর। হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শীঘ্রই তার অস্ত্রোপচারও করার কথা রয়েছে। তার পেসমেকার সার্জারি হবে বলে খবর। সাধারণত হার্টের, হৃদস্পন্দনের সমস্যা থাকলে পেসমেকার বসানোর প্রয়োজন পড়ে। জয়া বচ্চনের মা ইন্দিরা ভাদুড়িরও এই ধরনেরই কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও তার অস্ত্রোপচার ঠিক কবে রয়েছে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে নানান কারণে খবরে উঠে এসেছে বচ্চন পরিবার। সম্প্রতি জয়ার পরিবারের সঙ্গে তার বউমা ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। তবে আবার সেই গুঞ্জন উড়িয়ে অমিতাভের নাতি অগস্ত্য নন্দার ছবি ‘দ্য আর্চিস’-এর প্রিমিয়ারে হাজির ছিল গোটা বচ্চন পরিবার। ছিলেন ঐশ্বর্য রায় বচ্চনও।
বেশ কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে নাকি বচ্চন পরিবারের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এমনও খবর প্রকাশ করেছে, ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদ সময়ের ব্যাপারমাত্র। এই বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যে অভিষেকের হাত ধরে ‘দ্য আর্চিজ’ সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির হলেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন।
গোটা বচ্চন পরিবারের সঙ্গে হাসিমুখে দেখা মিলল ঐশ্বরিয়াকে। অভিষেকের একমাত্র ভাগ্নে অগস্ত্য নন্দাকে স্টার হওয়ার টিপসও দিলেন ঐশ্বরিয়া।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ‘দ্য আর্চিজ’ সিনেমার প্রিমিয়ারে কালো রঙের ওয়েস্টার্ন আউটফিটে দ্যুতি ছড়ালেন ঐশ্বরিয়া, পাশে কালো ব্লেজারে ঝলমলে অভিষেক। আরাধ্যাও পৌঁছেছিল পিসতুতো দাদার ছবি দেখতে। নাতির ডেবিউ সিনেমা নিয়ে উচ্ছ্বাস অমিতাভের চোখে-মুখে। পাপারাজ্জিদের দেখে এদিনও মেজাজ হারালেন জয়া। তিনি অবশ্য পরিবারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কালো পোশাক পরেননি, অফ হোয়াইট আর সোনালি কাফতানে দেখা মিলল জয়ার। অগস্ত্যর দিদি নভ্যার দেখা মিলল লাল গাউনে। পৌঁছেছিলেন বচ্চন কন্যা শ্বেতা এবং তার স্বামী নিখিল নন্দাও।
বেশ কিছুদিন আগে ৫০ বছরে পা দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। তবে তার জন্মদিনে বচ্চন পরিবারের কাউকেই শুভেচ্ছা জানতে দেখা যায়নি। শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন অভিষেক।
অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ঐশ্বরিয়া পারিবারিক ছবি থেকে শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দাকে বাদ দিয়ে ছবি পোস্ট করেন। এমনকি আরাধ্যার ১৩তম জন্মদিনেও বচ্চন বাড়ির কাউকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায়নি। পোস্ট করেননি আরাধ্যার দাদা অমিতাভ বচ্চনও। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি মণীশ মালহোত্রার দীপাবলির পার্টিতেও অভিষেককে ছাড়া একাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। তারও আগে প্যারিস ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে হাঁটেন ঐশ্বরিয়া। আবার সেই একই শোয়ের র্যাম্পে হাঁটেন শ্বেতা বচ্চন নন্দার মেয়ে নব্যা নভেলিও। হাজির ছিলেন শ্বেতা। তবে তাদের ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দেখা যায়নি। এমনকি শ্বেতা সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেও ঐশ্বরিয়াকে ট্যাগ করেননি।
সবশেষ মুম্বাইয়ে একটি ব্র্যান্ডের অনুষ্ঠানে দেখা যায় অভিষেককে। সেখানে এই প্রথম অভিষেকের আঙুলে দেখা গেল না তাদের বিয়ের আংটি। এমনই একের পর ঘটনাতেই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বচ্চন পরিবারের সম্পর্কে ভাঙন ধরার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘সিআইডি’র অভিনেতা দীনেশ ফাডনিশের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
মুম্বাইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে সোমবার রাত ১২টা ৮ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ‘সিআইডি’র অভিনয়শিল্পী দয়ানন্দ শেঠি।
তিনি বলেন, ‘দীনেশ রাত ১২টা ৮ মিনিটের দিকে মারা গেছে। ওর একাধিক কমপ্লিকেশন দেখা দিয়েছিল। ভেন্টিলেটর থেকেও বের করে আনা হয় ওকে। এরপরই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় মারা যায় দীনেশ।’
মঙ্গলবার সকালে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকদিন আগেই খবর আসে যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন দীনেশ ফাডনিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল রোববার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরে দয়ানন্দ জানান, যে খবর রটেছে সেটা ভুল। আসলে দীনেশ দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার লিভার খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
৮০-৯০ দশকের ছেলেমেয়েদের কাছে ‘সিআইডি’ আজও একটা নস্টালজিয়া। নানা ধরনের কেস, সেগুলো সলভ করা, রোমহর্ষক নানা ঘটনায় সাজানো এই ধারাবাহিকটি অনেকেরই বেশ পছন্দের ছিল। ধারাবাহিক জনপ্রিয় হতেই, জনপ্রিয় হয় এই চরিত্রগুলোও। আর তাদেরই অন্যতম ছিলেন দীনেশ ফাডনিশ। অর্থাৎ যাকে সবাই ‘ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিকস’ তথা ‘ফ্রেডি’ বলেই চিনত।
১৯৯৮ সালে প্রথমবার সম্প্রচারিত হয় ‘সিআইডি’। কুড়ি বছর ধরে এই ধারাবাহিকটি চলেছিল। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতেন দীনেশ। এ ছাড়া তাকে তারক মেহতা কা ‘উল্টা চশমা’ ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছিল। কেবল ছোট পর্দায় নয়, বড় পর্দাতেও কাজ করেছেন দীনেশ। তাকে ‘সুপার ৩০’, ‘সারফারোশ’ ইত্যাদি সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:জাঁকজমক নয়, ঘরোয়া আয়োজনের মাধ্যমে সোমবার বিয়ের পর্ব সারেন পরমব্রত-পিয়া। বন্ধু পরমব্রতকে দেখে টালিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও নিয়ে ফেললেন বিয়ের শপথ।
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ জানান, পরমব্রত এভাবে আচমকা বিয়ে করে নেয়ায় তিনি দারুণ খুশি। রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিকও নাকি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না। এভাবেই হঠাৎ করে রুদ্রনীল বিয়ে করে ফেলতে চান। কিন্তু বললেই তো হল না। সামনে লোকসভা নির্বাচন। এরপরই তারকার বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
রুদ্রনীল জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে তার বিয়ে করার প্ল্যান রয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলছে, কিন্তু এবার অভিনেতা রুদ্রনীল শপথ নিয়েছেন, ২০২৪ সালেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন। কিন্তু পাত্রী কে? কাউকে কথা দিয়ে রেখেছেন? নাকি খুঁজছেন? সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাননি রুদ্রনীল।
এর আগে বন্ধু পরমব্রতকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে রুদ্রনীল বলেন, ‘ও যাকেই বিয়ে করুক না কেন, নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের কথা ভেবে করেছে। পরমের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হয়ে উঠুক এটাই প্রার্থনা করব। আমার তরফ থেকে শুভেচ্ছা রইল।’
কিডনিতে স্টোন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন পিয়া চক্রবর্তী। সোমবার মধ্যরাতে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। মঙ্গলবার সফল অস্ত্রোপচারের পর এখন সুস্থ আছেন পিয়া।
গত ২৭ নভেম্বর সবাইকে অবাক করে দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সারেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে একদম ‘ক্লোজড ডোর’ রিসেপশনে হাজির হয়েছিলেন পরমব্রতর প্রিয়জনরা। সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরে বসেছিলেন সেলিব্রেশন। প্যাস্টেল বেনারসিতে সেজে ঝলমল করছিলেন পিয়া। কিন্তু আচমকাই অসুস্থবোধ করেন তিনি। মাঝরাতে কোমর-পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বিয়ের পরদিন দুপুরেই ঢাকুরিয়া আমরিতে ভর্তি হন পিয়া। পরীক্ষার পর স্পষ্টই জানা যায়, তার কিডনিতে দিনকয়েক আগে যে স্টোন ধরা পড়েছিল তার জেরেই বেহাল দশা তার। ওইদিনই অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ অস্ত্রোপচার শেষ হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে পুরো প্রক্রিয়া। পিয়া এখন একদম স্থিতিশীল রয়েছেন, তবে হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন তা স্পষ্ট নয়।
২৪ ঘণ্টা পিয়াকে পর্যবেক্ষণে রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। কবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের যোধপুর পার্কের বাড়িতে ফিরবেন পিয়া, সেটাই দেখার। তবে অসুস্থ স্ত্রীকে সারাক্ষণ আগলে রাখছেন পরমব্রত।
বেশ কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে নাকি বচ্চন পরিবারের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এবার বচ্চন বাড়ির দীপাবলি উদযাপনে যোগ দেননি তিনি। ওইদিনই তিনি মেয়েকে নিয়ে শহর ছাড়েন। আর তখন থেকেই ফাটলের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
এই গুঞ্জন উসকে দিয়েছে আরও একটি ঘটনা। ইদানিং শ্বশুরবাড়ির থেকে বাপের বাড়িতেই বেশি সময় কাটাচ্ছেন ঐশ্বরিয়া। তবে সমস্যাটা ঠিক কী নিয়ে তা স্পষ্ট নয়।
বচ্চন পরিবারের সমস্যা, কোনো জটিলতা কোনোদিনই সেভাবে প্রকাশ্যে আসতে দেয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রেও তাই সবাই চুপ। তবে আপাতত মা বৃন্দা রায়ের কাছেই রয়েছেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। সঙ্গে রয়েছে তার মেয়ে আরাধ্যাও।
ঐশ্বরিয়া তার মায়ের কাছে গিয়েছিলেন প্রয়াত বাবা কৃষ্ণরাজ রায়ের জন্মদিন পালন করতে। সেই সেলিব্রেশনেও ঐশ্বরিয়া আর আরাধ্যাকেই দেখা গিয়েছে। ছিলেন না অভিষেক। আর তারপর থেকে মায়ের কাছেই রয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে ৫০ বছরে পা দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। তবে তার জন্মদিনে বচ্চন পরিবারের কাউকেই শুভেচ্ছা জানতে দেখা যায়নি। শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন অভিষেক।
অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ঐশ্বরিয়া পারিবারিক ছবি থেকে শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দাকে বাদ দিয়ে ছবি পোস্ট করেন। এমনকি আরাধ্যার ১৩তম জন্মদিনেও বচ্চন বাড়ির কাউকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায়নি। পোস্ট করেননি আরাধ্যার দাদা অমিতাভ বচ্চনও। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি মণীশ মালহোত্রার দীপাবলির পার্টিতেও অভিষেককে ছাড়া একাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। তারও আগে প্যারিস ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে হাঁটেন ঐশ্বরিয়া। আবার সেই একই শোয়ের র্যাম্পে হাঁটেন শ্বেতা বচ্চন নন্দার মেয়ে নব্যা নভেলিও। হাজির ছিলেন শ্বেতা। তবে তাদের ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দেখা যায়নি। এমনকি শ্বেতা সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেও ঐশ্বরিয়াকে ট্যাগ করেননি।
এমনই একের পর ঘটনাতেই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বচ্চন পরিবারের সম্পর্কে ভাঙন ধরার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য