ঈদ আর বৈশাখ দেশের বাইরে আর কখনই না- এমনটাই জানালেন জয়া আহসান। এর পেছনে রয়েছে জয়ার অশ্রুসিক্ত অভিজ্ঞতা। একবার কলকাতায় তার ঈদ কাটাতে হয়েছিল। ঈদের দিন তার মেন্যুতে ছিল মিষ্টি পোলাও, মাটন আর বাসি পরেজ।
হয়তো মায়ের হাতের খাবারের কথা মনে পড়ছিল অভিনেত্রীর। সেদিন কাঁদতে হয়েছিল জয়ার।
ঈদ কোথায় করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার রাতে এসব কথা জানান জয়া আহসান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদ আর পয়লা বৈশাখ অতি অবশ্যই বাংলাদেশে। আর কোনো কথা হবে না।’
জয়াকে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলো করেন, তারা সব সময় জয়ার আপডেট পান। অভিনেত্রী কখন কোথায় আছেন, কখন শুটিং করছেন, কখন জিম করছেন, ছাদবাগানে চাষাবাদ করছেন কখন, সবই তার ভক্তদের জানান জয়া।
যা সবাই নেট দুনিয়ায় দেখেন, এর বাইরেও জয়ার সাধারণ একটি জীবন আছে। তিনি নাকি খুব অলস প্রকৃতির। তার ভাষ্যে, ‘পায়ের নিচে সরষে দিয়ে ঘুরে বেড়াই আমি। কলকাতা গেলে এয়ারপোর্ট থেকে নেমে সরাসরি আমি কাজে চলে যাই। দম ফেলবার সময় থাকে না যেন।’
কাজে ফাঁক পেলে আলসেমি করেন জয়া। বাড়িতে যারা রয়েছেন, মা, ভাইবোন, তাদের সঙ্গে সময় কাটান। সেটাই তার জীবনীশক্তি নতুন নতুন কাজ করার।
অনেকগুলো সিনেমার কাজে ব্যস্ত জয়া। তার অভিনীত কলকাতার বেশকিছু সিনেমা আছে মুক্তির অপেক্ষায়। বাংলাদেশে সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও ব্যস্ত জয়া। রইদ নামের একটি সিনেমার প্রযোজক তিনি।
সিনেমাটির কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে না জানিয়ে জয়া বলেন, ‘পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন সিনেমাটিতে একটি সিজন ধরতে চান। আমরা পুরো বিষয়টা তার ওপরই ছেড়ে দিয়েছি। তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
করোনার সময় অনেকটা সময় বিরতিতে ছিল পুরো পৃথিবী। ধারণা করা হচ্ছিল, এ বিরতিতে ভালো কিছু গল্প বা চিত্রনাট্য তৈরি হবে। জয়ার মতে কিছু জায়গায় এমন হয়েছে।
নিজের প্রযোজিত এবং অভিনীত ছবির নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার উদাহরণ দিয়ে জয়া বলেন, ‘কিছু জায়গায় আমি এমনটা দেখেছি। আমরা পিপলু আর খানের পরিচালনায় একটি সিনেমা নির্মাণ করেছি। কিছু সিনেমা আছে যেটা সেই সময়েই করতে হয়।’
ভিন্ন গল্প ও ভিন্ন রকম কাজের ক্ষেত্র কিছুটা ভাগ হয়ে গেছে বলে মনে করেন জয়া। পড় পর্দার সিনেমার পাশাপাশি এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিচিত্র রকমের গল্পের প্রাধান্য বেশি। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে পরিচালকরাও ওটিটিতে ঝুঁকেছেন বেশি। নতুন কিছুকে বরণ করেই নিতে চান এ অভিনেত্রী।
তবে জয়াকে সহসাই দেখা যাচ্ছে না ওটিটিতে। তিনি বলেন, ‘অনেক প্রস্তাবই আসে আমার কাছে, কিন্তু এখনই পাতে তুলবার মতো কোনো কিছু পাইনি।’
সম্প্রতি ভারতের ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে হ্যাটট্রিক করেছেন জয়া। পরপর তিনবার তিনি পেলেন এ পুরস্কার। এগুলোকে বাড়তি পাওয়া মনে করেন জয়া।
বাসায় নাকি অ্যাওয়ার্ডগুলো চোখের সামনে রাখেন না জয়া, তার লজ্জা লাগে, মনে হয় এগুলোর যোগ্য তিনি নন। ভালো লাগে তখনই, যখন অভিনেত্রীর মা তার আঁচল দিয়ে পুরস্কারগুলো পরিষ্কার করেন। জয়া বলেন, ‘আমি সারা জীবন শিক্ষার্থী থাকতে চাই, শিখতে চাই, শিক্ষক হতে চাই না।’
কলকাতা-বাংলাদেশে অভিনয়, পুরস্কার, প্রযোজনার মতো কত কত কঠিন কাজ করছেন জয়া। একদিকে যখন সংস্কৃতির চর্চা করছেন ভালো সময় ও সমাজের জন্য, তখন অন্যদিকে দেশে নানা রকম সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, অনৈতিকতার ঘটনা দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এসব ঘটনা দেখে বা পড়ে নিজের পরিশ্রমকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন জয়া? বলেন, ‘একটি দেশের পরিচয় সে দেশের সংস্কৃতি কেমন। কিছু ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই ব্যর্থ। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শিল্প এবং সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে, পরিচর্যা করতে হবে। শিল্পী একা সব সময় সবকিছু করতে পারেন না, একা যুদ্ধ করে গোটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারেন না। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে, আমাদের যোদ্ধা হতে হবে, সেখানে আমাদের সহযোদ্ধা চাই।’
ইরান-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ফেরেশতে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। বাংলা ভাষায় নির্মিত হলেও ফেরেশতে একটি ইরানি সিনেমা।
এ সিনেমা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অনেক কথাই বলেছেন জয়া আহসান। তবে খুব গুরুত্ব দিয়ে যেটা তিনি বলেছেন, সেটা হলো, ‘এ সিনেমাটা করতে গিয়ে যেটা মনে হয়েছে, আমরা তো ফেস্টিভ্যালে বা পশ্চিমা দেশগুলোতে যখন বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই, তখন নেগেটিভ (নেতিবাচক) দিকগুলো বা দুর্দশা-হতাশা গল্পগুলো তুলে ধরি।
‘কিন্তু ফেরেশতে সিনেমার একটি বড় বিষয় হলো, সিনেমাটি আন্ডার প্রিভিলেজড (পিছিয়ে পড়া) লোকদের গল্প হলেও হতাশার গল্প না। আমার মনে হয়েছে পরিচালক কোনো ইস্যুভিত্তিক সিনেমা বানাচ্ছেন না। যেটা আমার কাছে শক্তিশালী মনে হয় এবং এটা উল্লেখ করার মতো।’
আরও পড়ুন:সম্পর্ক বহুমুখী। প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে ভাঙা-গড়ার গল্প। জীবনে চলার পথে একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সেসব সম্পর্ক রক্তের নয়। তেমনই এক সম্পর্কে জড়িয়েছেন ‘জয়া ও শারমিন’। যদিও জয়া জানেন, সব প্রতিশ্রুতি আসলে মিথ্যা। শেষ পর্যন্ত নাকি কেউ পাশে থাকে না। অভিনেত্রী জয়া আহসান ও তার গৃহকর্ম সহায়িকা শারমিন- দুই নারীর সমীকরণই যেন পর্দায় তুলে ধরবেন। এই ছবিতে প্রথমবার প্রযোজকের ভূমিকায় দেখা যাবে জয়াকে। ছবিতে দুজন মুখ্য চরিত্র জয়া এবং তার গৃহকর্ম সহায়িকা শারমিন।
কোভিড মহামারির সময় লকডাউনে আটকে থাকা দুই নারীর সম্পর্কের গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। সেই সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৬ মে। এই ছবিতেই তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে দুই নারী একে অপরের সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ভাগাভাগি করে নেয় একে অপরের যাপন। বাস্তব জীবনেও নাকি জয়া এমনই। জয়া বলেন, ‘আমরা এই কোভিডের সময় এই ছবিটার শুটিং করি। যখন সকলে বাড়ি থেকে প্রায় অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। তখনও অল্প ইউনিট নিয়ে ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। কিন্তু ছবিটা বেশ বড়। দুজন আলাদা সামাজিক অবস্থানে বেড়ে ওঠা দুই নারীর বন্ধুত্বের গল্প।’
এরই মধ্যে ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং মহসিনা আক্তারকে। কোভিড মহামারির সময় তাদের জীবনের কিছু দৃশ্য উঠে এসেছে ট্রেলারে। শুরুর দিকে আনন্দ-আড্ডা, রান্না দিয়ে দুজনকে দারুণ সময় পার করতে দেখা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের জীবনে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং বাইরের দুনিয়া থেকে আসা দুঃসংবাদগুলো তাদের জীবনে নিঃশব্দে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা ও ভয় ঢুকিয়ে দেয়।
সিনেমার পরিচালক পিপলু আর খান জানিয়েছেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সারা হয়েছিল ‘জয়া আর শারমিন’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ। সীমিত লোকবল নিয়ে মহামারির সময়ে শুটিং করা হয়েছিল সিনেমাটির। পিপলু বলেন, ‘মহামারির সময় একটি বাড়িতে আটকে পড়ে জয়া ও শারমিন নিজেদের মধ্যে তৈরি করে নেয় ছোট্ট এক জগৎ। সেই আবদ্ধ জগতে তারা নিজেদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করেন। তবে বাইরের কঠিন বাস্তবতায় সেই সম্পর্কে ফাটলও ধরতে শুরু করে। বন্ধুত্ব, ভয়, সাহস আর হারানোর অনুভূতির মিশেলে গড়ে উঠেছে সিনেমার আখ্যান।’
একাকীত্ব কীভাবে দুই নারীর সম্পর্কে ভরসা ও নির্ভরতার জন্ম দেয় সেই গল্প সিনেমায় বলা হয়েছে জানিয়েছেন পিপলু। সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘দুজন নারীর অচেনা ভুবনের সিনেমা। আমাদের অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনুক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন। অদ্ভুত এক সময়ে শুট করা ছোট্ট একটি সিনেমা, তবে দর্শকের অনুভূতিতে নাড়া দেবে বলে আশা করি।’
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের। এ সময় এসেও টেলিভিশন নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
ওটিটিতেও তাকে দেখা গেছে ভিন্ন এক রূপে। তার অভিনয় মুন্সিয়ানার প্রমাণ তিনি এখানে আরও তীব্রভাবে দিয়েছেন।
আর এমন সময় তাকে ঘিরে চুক্তি ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)। খবর ইউএনবির
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৪টি নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। ৫০ লাখ টাকার এ চুক্তিতে অগ্রিম ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন এই তারকা, তবে নাটক শেষ করেছেন মাত্র ৯টি। পরে আলফা আই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা পারেনি।
স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় সবার প্রত্যাশা অপূর্ব কী বললেন, তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন না।
সংবাদমাধ্যমে তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি জানে। তারা যা বলার বলবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা কথাবার্তা এ মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তারাই বলবেন।’
অপূর্বের এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে পোস্টে অপূর্ব প্রসঙ্গে লেখেন।
তার কিছু অংশ হলো, ‘কাউকে ছোট করে, অসম্মানিত করে কেউ কখনই বড় হতেই পারে না কোনোদিন। ফেইসবুকে প্রকাশ্যে তো অবশ্যই নয়। আর ফেইসবুক কখনই আদালত না যে এখানেই সবকথা বলতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কথা। প্রহেলিকার মতো বলতেই চাই, চোখে যা দেখা যায় তা আসলে দেখা যায় না।’
আরও লেখেন, ‘আর ইন্ড্রাস্ট্রি কখনোই একা একা এগোয় না। সব্বাইকে নিয়েই সামনে এগোয়। আর অপূর্বর ১৬ থেকে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার টানা ধরে রাখাও এমনি এমনি হয়নি। পাশাপাশি এও বলতে চাই, আমার খারাপ সময়ে বা দুঃসময়ে কে আমার পাশে থাকল না, তা আমি মাথায় রাখি না কখনই। বরং আমার প্রিয়জনদের জন্যে শুভ কামনা আমার মন থেকে সবসময় আসে।’
অভিনেতা খালেদ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘অপূর্ব ভাইকে ভালোবাসি। অপূর্ব ভাই সুপারস্টার ছিলেন, সুপারস্টার আছেন এবং সুপারস্টার থাকবেন। সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে রাজার মতো ফিরবেন প্রিয় অপূর্ব ভাই।’
পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন লেখেন, ‘অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সত্যি বলতে, অপূর্বকে আমরা খুব ভালো চিনি। এই কাজ ওকে দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই অভিযোগটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিশ্বাস্য! অপূর্ব, তুমি একা নও। আমরা তোমার পাশে আছি।’
আরও পড়ুন:বসন্ত পঞ্চমীর আগেই বসন্তের হাওয়া হলিউড তারকা টম ক্রুজের জীবনে। ফের প্রেমে পড়েছেন তিনি। প্রেমের দরজায় কড়া নেড়েছেন রাশিয়ান নারী এলসিনা খায়রোভা। ৬১ বছরের টম ক্রুজের থেকে তার নতুন প্রেমিকা প্রায় ২৫ বছরের ছোট। বছর ৩৬-এর খায়রোভার প্রেমে মজেছেন টম, তবে তাদের প্রেমের খবর এখন প্রকাশ্যে এলেও তারা একে-অপরকে মন দিয়েছেন নাকি অনেক আগেই। আসলে বিষয়টিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন দুজনে।
সূত্রের খবর, গত বছরের শেষ দিকে একটি পার্টিতে টম এবং এলসিনাকে একসঙ্গে দেখা যায়। সেই পার্টিতে নাকি এক মুহূর্তের জন্যও একে-অপরের সঙ্গ ছাড়েননি তারা। সারাক্ষণই কাছাকাছি ছিলেন। শুধু পার্টি বলে নয়, তাদের এক বন্ধু জানিয়েছেন, লন্ডনের নাইটসব্রিজের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তারা একসঙ্গে থাকছেনও।
এমনিতে সচরাচর প্রকাশ্যে আসেন না টম এবং এলসিনা। জনসমক্ষে তাদের শেষ বার দেখা গিয়েছে লন্ডনের মেফেয়ারের পার্টিতে। তারপর আর সেভাবে এক ফ্রেমে ধরা দেননি তারা। তৃতীয় স্ত্রী কেটি হোমসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেন টম।
আনন্দবাজার বলছে, অন্যদিকে স্বামী ডিমিট্রি সেটকোভের সঙ্গে ২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় দুই সন্তানের মা এলসিনার। তারপর থেকে একাই ছিলেন তিনি। টমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আপাতত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।
সাইবার ক্রাইমের শিকার তেলুগু সিনেমার সুপারস্টার মহেশ বাবুর মেয়ে সিতারা।
অভিযোগ, তার নামে ভুয়া প্রোফাইল খুলে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে বেজায় ক্ষিপ্ত তারকা মহেশ বাবু। থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তার প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে দেয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ২০০৫ সালে বলিউড অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরকে বিয়ে করেন মহেশ বাবু। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে তাদের প্রথম সন্তান গৌতমের জন্ম হয়। এর ছয় বছর পর, ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেয়ের জন্ম দেন নম্রতা। এখন প্রায় ১২ বছর বয়স সিতারার। বাবা-মায়ের বড় আদরের সে।
মহেশ বাবুর প্রযোজনা সংস্থা জেএমবি এন্টারটেনমেন্টের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘অ্যাটেনশন! জেএমবি টিম ও মাধাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে মিস সিতারা ঘাট্টামানেনির নাম নিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে।’
সিতারার ভুয়া প্রোফাইল থেকে নানা ধরনের বিনিয়োগ ও লেনদেন সংক্রান্ত মেসেজ করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। এর পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে নেটিজেনদের।
কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই তারকার প্রোফাইলের সত্যতা যাচাই করে নেবেন এমন কথাও লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শনিবার তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। সকাল দশটা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা মিঠুন। তারপরই তাকে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিনেতা মিঠুন পথিকৃৎ বসুর সিনেমা ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন কলকাতায়।
সূত্রের তরফে জানা গেছে, একাধিক শারীরিক জটিলতা রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। বর্ষীয়ান অভিনেতার এমআরআই করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিকের অধীনে ভর্তি আছেন।
কিছু কিছু সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, অভিনেতা মিঠুনের বুকেও ব্যথা আছে। এ ছাড়া শরীরের একদিক দুর্বল হয়ে পড়েছে তার। শনিবার তিনি তার নিজের গাড়ি করেই হাসপাতালে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। বর্তমানে তার নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তার কী চিকিৎসা হবে বা কী হয়েছে সেটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতায় থেকে তার আগামী সিনেমা ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন। এই সিনেমাটি জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে বানানো হচ্ছে। সিনেমাটির পরিচালনা করছেন পথিকৃৎ বসু। প্রযোজনার দায়িত্বে সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থা। এখানে মিঠুনের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেবশ্রী রায়কে দেখা যাবে।
এর আগে অভিনেতা মিঠুনকে শেষবার ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল। সুমন ঘোষ পরিচালিত সেই সিনেমাতে রহমতের চরিত্রে ধরা দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন:কানাঘুষো বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। রটনা ছিল, ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড় মেয়ে বলিউড অভিনেত্রী এশা দেওলের বিয়ে ভাঙছে। তাই ঘটনায় পরিণত হলো। সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে নাকি বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন এশা ও তার স্বামী ভরত তখতানি।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ২০১২ সালের জুন মাসে দীর্ঘদিনের প্রেমিক ভরত তখতানির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-হেমার বড় মেয়ে এশা দেওল। বিয়ের বছর পাঁচেক পর ২০১৭ সালে তাদের প্রথম সন্তান রাধ্যার জন্ম হয়। দুই বছর যেতে না যেতেই তখতানি পরিবারে আগমন ঘটে আরেক নতুন সদস্য মিরায়ার। বেশ কিছুদিন ধরে এশার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে ভারতের ছবি দেখা যাচ্ছে না। এমনকী, দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরার ছবি পোস্ট করেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হেমাকন্যা। এতেই দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন জোরালো হয়।
দিল্লি টাইমসে পাঠানো বিবৃতিতে নাকি এশা ও ভরত লিখেছেন, ‘আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আর বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হয়েছি। জীবনের এই পর্যায়ে আমাদের দুই সন্তানই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভালমন্দই সবচেয়ে আগে থাকবে। এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগতই রাখতে চাইব।’
কিন্তু কেন এই বিচ্ছেদ? শোনা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী ভরত তখতানির অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তার সঙ্গেই নাকি বেশি সময় কাটাচ্ছেন তিনি। এমনকী দুজনকে বেঙ্গালুরুর এক পেইড পার্টিতেও দেখা গিয়েছে বলে গুঞ্জন।
বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম বিতর্কে মুকুট ফিরিয়ে দিলেন ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী ক্যারোলিনা শিনো।
জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় একটি ম্যাগাজিনে ২৬ বছর বয়সী শিনোর সঙ্গে একজন বিবাহিত পুরুষের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে জানায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানায়, দুই সপ্তাহ আগে জাপানের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখলে নেন ইউক্রেনে জন্ম নেয়া এ মডেল, কিন্তু একজন ইউক্রেনে জন্ম নেয়া এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা মডেলকে কেনো মিস জাপান নির্বাচিত করা হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
অনেকেই বলেছেন, তিনি ঐতিহ্যগত জাপানি সৌন্দর্যের আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেননি। এর মধ্যেই একটি স্থানীয় ম্যাগাজিন শুকান বুনশুন বুধবার রিপোর্ট করেছে, ক্যারোলিনা শিনো একজন বিবাহিত চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেম করছেন।
জাপান টাইমস বলছে, এটি মিস জাপান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম মুকুট ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা। আয়োজকরা জানান পদটি এক বছরের জন্য শূন্য থাকবে।
তবে মিস জাপানের আয়োজক বৃহস্পতিবার এ দাবিকে খণ্ডন করে জানিয়েছে, ক্যারোলিনা অবিবাহিত ছিলেন এবং তিনি জানতেন না ওই ব্যক্তি বিবাহিত।
ক্যারোলিনা শিনোর জন্ম হয়েছিল এক ইউক্রেইনীয় পরিবারে। মা পরে এক জাপানি নাগরিককে বিয়ে করায় মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিনো চলে গিয়েছিলেন জাপানে। সেখানে নাগোয়ায় বেড়ে উঠেছেন তিনি।
শিনোই প্রথম নাগরিক অধিকার পাওয়া একজন জাপানি হিসেবে ‘মিস জাপান’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
তিনি সোমবার একটি বিবৃতিতে তার অনুরাগী এবং সাধারণ জনগণের কাছেও ক্ষমা চান।
শিনো বলেন, ‘আমি যে বড় সমস্যা তৈরি করেছি এবং যারা আমাকে সমর্থন করেছিল তাদের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি, সে জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য