দেশের অভিনয় জগতে অন্যতম ভরসার নাম চঞ্চল চৌধুরী। নাটক, সিনেমা বা ওয়েব কনটেন্টের ভিন্ন রকম চরিত্র হলেই চঞ্চলের কথা ভাবেন পরিচালক-প্রযোজকরা। চঞ্চলের করা চরিত্রগুলো তারই প্রমাণ দেয়।
এমন একজন অভিনেতার সন্তান অভিনয় করতে চাইলে হয়তো অনেকেই কাজে নেবেন, কিন্তু চঞ্চল তা চান না। তিনি মনে করেন, চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে বলেই যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই খুব সহজে অভিনেতা হয়ে যাবে, ব্যাপারটা এ রকম নয়।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর একমাত্র ছেলেসন্তান শুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই বাবা-ছেলেকে দেখা যায় একসঙ্গে।
শুদ্ধর অভিনয়ে অভিষেক হয়েছে সম্প্রতি। নাটকে অভিনয় করতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিল সে।
শুটিংয়ে শুদ্ধ ও তার সহশিল্পীদের একটি ছবি পোস্ট করে চঞ্চল কিছু কথা লিখেছেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।
চঞ্চল লেখেন, ‘শুদ্ধর জাস্ট প্রথম টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো। ব্যাপারটা আহামরি কিছু না। গিয়েছিল পুবাইলে এবারের ঈদের নাটকের শুটিং দেখতে। সঙ্গে ওর মাও ছিল।’
শুদ্ধ শুটিংয়ে অংশ করা একদমই অপরিকল্পিত বলে জানান চঞ্চল। ছোট চার-পাঁচটি সংলাপের ছোট্ট একটা সিকোয়েন্স করেছে সে। দৃশ্যটিতে শুদ্ধর সহশিল্পী দিব্য-সৌম্য।
চঞ্চল আরও লেখেন, ‘শুদ্ধর যথেষ্ট ইচ্ছা আছে অভিনয়ের। শুধু ইচ্ছায় তো আর কাজ হবে না। আগে তো শুটিং দেখতে হবে, এরপর অভিনয়টা শিখতে হবে, তারপর তো অভিনয়।’
চঞ্চল খুব জোর দিয়ে লেখেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে বলেই যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই খুব সহজে অভিনেতা হয়ে যাবে, ব্যাপারটা এ রকম নয়। তবে ওর দেখাটা শুরু হলো।’
শুদ্ধর বয়স এখন ১২ বছর, বাংলা মাধ্যমে ক্লাস সিক্সে পড়ে। যদি শুদ্ধর যোগ্যতা ও নিয়তি তাকে ক্যামেরার সামনে নিয়ে আসে, তখন হয়তো এই ছবিগুলোই ইতিহাস হয়ে যাবে বলে মনে করেন চঞ্চল।
শুদ্ধকে সবাই আশীর্বাদ করলেই খুশি চঞ্চল। শুদ্ধ যে নাটকটিতে অভিনয় করেছে তার সুশীল ফেমেলি; লিখেছেন বৃন্দাবন দাস, পরিচালক দীপু হাজরা। নাটকটি প্রচার হবে গাজী টিভিতে।
আরও পড়ুন:তারকা মডেল-অভিনেত্রী মেহজাবীনের পক্ষ থেকে ভক্ত-দর্শকদের জন্য সুখবর! জানিয়েছেন, এবারের ঈদে তাকে চ্যানেল আইতে একটি নাটকে অভিনয়ে দেখা যাবে। নাটকের নাম ‘তিথিডোর’। নাটকটি রচনা করেছেন জাহান সুলতানা এবং পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ।
দুই বছর ধরে টিভি নাটকে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেহজাবিন। এক প্রকার ঘোষণা দিয়েই এই লাক্সকন্যা বলেছিলেন, ‘টিভি নাটকের গল্প ও চরিত্র প্রায় একই ধরনের। এ কারণে টিভি নাটকে কাজ করতে এক ধরনের একঘেয়েমি চলে এসেছে। বরং এখন ওটিটিতে ভালো ভালো কন্টেন্ট ও ব্যতিক্রমী চরিত্র থাকছে। সেগুলোতে কাজ করার যেমন অবাধ সুযোগ থাকছে, তেমনি এসব চরিত্রে কাজ করতেও ভালো লাগছে। দর্শকও এসব সিরিজগুলো বেশ সানন্দে উপভোগ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ওটিটিতে কাজ করছি বলে টিভি নাটকে কাজ করব না, এমন নয়। ছোটপর্দাই আমাকে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমাকে মেহজাবীন বানিয়েছে। ভালো কিছু ও মনের মতো কোনো গল্প, চরিত্র ও নির্মাতা পেলে অবশ্যই কাজ করব।’
অবশেষে ঈদের নাটকে অভিনয় করা প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, ‘তিথিডোর নাটকটি মূলত একটি চরিত্রকে ঘিরে। আত্মহত্যার প্রবণতায় ভুগছেন এমন একজন মানুষ নিশাতকে ঘিরেই এই নাটকের গল্প। গল্পটা এ সময়ের জন্য উপযোগী একটি গল্প।
‘দেখা যায় যে আমাদের সমাজে এমন অনেক মেয়েই আছে দেখতে বেশ হাসি-খুশি। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে যে কী এক যন্ত্রণায় সময় পার করছে তা বাইরে থেকে কেউই অনুধাবন করতে পারবে না।
‘আমার কাছে মনে হয়েছে এ ধরনের গল্প এই সময়েই বলা উচিত। আমি নাটক এখন খুবই কম করি। কিন্তু তারপরও এ ধরনের গল্প সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য শিল্পী হিসেবে আমার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এ নাটকে অভিনয় করা।’
আরও পড়ুন:ঈদুল আজহায় আসছে তরুণ নির্মাতা জারসন বমের নাটক ‘তবুও জীবন’।
মিনারা ফিল্মের প্রযোজনায় নাটকে অভিনয় করেছেন আরশ খান, তাসনুভা তিশা, সিয়াম নাসির, শামিম আহমেদসহ আরও অনেকে।
মিনারা ফিল্ম ইউটিউব চ্যানেলে কোরবানি ঈদে নাটকটি মুক্তি পাবে।
নাটকের কাহিনী সম্পর্কে জারসন বলেন, ‘ভিন্ন ধারার গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ফিকশনের মধ্যে রাখার চেষ্টা করেছি সিরিয়াস, ফান লাভ রোমান্টিক। ‘প্রেম, পালিয়ে বিয়ে। এরপর চিলেকোঠা সংসার। তারপর বাস্তবতার কিছু চিত্র ধরা হয়েছে।’
এ পরিচালক আরও বলেন, ‘প্রথমেই বলব আরশের কথা। আরশ আমার ভাই ও বন্ধু। আমার প্রথম নাটকও আরশের সঙ্গেই। আর আরশের মাধ্যমেই এই দ্বিতীয় কাজটা করা।
‘শুটিংয়ে আরশ তিনবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অতিরিক্ত গরম আর ঘুম কম—সবকিছু মিলিয়ে অসুস্থ অবস্থায় তার জায়গা থেকে পরিশ্রম করে গিয়েছে। আর তিনি সুন্দর মনের মানুষ।’
তিনি বলেন, ‘আর তাসনুভা তিশা আপুর সঙ্গে এটা ছিল আমার প্রথম কাজ। আমার মনে হয়নি তার সঙ্গে প্রথম কাজ। কাজের প্রতি তার ভালোবাসা এবং পরিশ্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে।
‘একটা ভালো গল্প ডিরেক্টর একা কখনও ফুটিয়ে তুলতে পারে না যদি তার টিমের লোকজন, আর্টিস্টদের সাপোর্ট থাকে।’
সামনে আরও কী কী কাজ আসবে, এমন প্রশ্নের জবাবে জারসন বলেন, ‘মাত্র একটা শেষ করলাম। এখন পোস্ট প্রোডাকশনে সময় দেব। নাটক রেডি করব।
‘প্রডিউসারের কাছে জমা দেব, রিলিজ হবে। তারপর প্ল্যান করতে চাই পরবর্তী কাজের। প্রি-প্রোডাকশন আর পোস্ট প্রোডাকশনে ফাঁকিবাজি করতে চাই না।’
আরও পড়ুন:ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত ‘রূপান্তর’ নাটকের তিনিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ এ মামলাটি করেছেন।
ইউটিউব চ্যানেল একান্ন মিডিয়া থেকে নাটকটি সরিয়ে ফেলার পর এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তার মতে, দর্শকরা নাটকটির কনসেপ্ট হয়ত বোঝেননি।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই দেখছি, আসলে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকরা নানান স্ট্যাটাস ও মন্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এ নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা জোভানকে অনলাইনে তুলোধুনা করছে নেটিজেনরা।
‘এছাড়া জোভান ও সামিরা খান মাহি দুজনের ফেসবুক পেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে। জোভানের ১৯ লাখের পেজ ও মাহির ২৪ লাখের লাইক-ফলো করা পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনায় পড়ে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
জোভান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে! নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয়, তারা না দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!’
সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না। বলেন, ‘যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।’
নেটিজেনদের কিংবা নিজের অনুসারীদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে এটা নিয়ে জোভান দুঃখও প্রকাশ করেছেন।
জোভান ছাড়াও ‘রূপান্তর’ নাটকে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক প্রমূখ।
নাট্যজন ইশরাত নিশাতের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার নামে মর্যাদাপূর্ণ নাট্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় ২০২১ সালে। চলতি বছর থেকে ৯টি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে জুড়ি বোর্ডের ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ পেয়েছে নতুন নাট্যদল এক্টোম্যানিয়ার প্রথম প্রযোজনা ‘হ্যামলেট মেশিন’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে শুক্রবার সন্ধ্যায় নাট্যকর্মীদের উপস্থিতিতে জুড়ি বোর্ডের ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ দলের সদস্যদের হাতে তুলে দেন নাট্যব্যক্তিত্ব সারা যাকের।
জার্মান নাট্যকার হাইন্যার ম্যুলারের লেখা নাটকটির নির্দেশনা দেন নওরীন সাজ্জাদ।
বিশেষ স্বীকৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি অতুলনীয়। এই আবেগ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
‘প্রথম প্রযোজনায় এই প্রাপ্তি আমাদের আনন্দিত করছে; উৎসাহিত করছে দারুণভাবে।’
ঢাকার মঞ্চে ২০২৩ সালে এসেছে ৭৫টি নতুন নাটক। এর মধ্যে ৩৩টি নাটক দেখে জুড়ি বোর্ড নির্বাচিতদের পুরস্কৃত করে।
নাট্যদল এক্টোম্যানিয়ার মুখ্য সম্পাদক তালহা জুবায়ের বলেন, ‘এই অর্জন আমাদের পুরো দলের। ঢাকার মঞ্চে নতুন হিসেবে এই অর্জন আমাদের উৎসাহ, সাহসের সঙ্গে দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও নতুন কিছু সৃজনের।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী থিয়েটারের যে অর্জন, সে বিবেচনায় নাট্যকর্মীদের প্রাপ্তি বা মূল্যায়নে এ রকম পুরস্কার দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
মঞ্চ নাটকের অবদানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পদক দেয়া হলেও সামগ্রিকভাবে কোনো পুরস্কারের প্রচলন ছিল না। বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই দেশের বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব ও গুণিজনদের সম্পৃক্ত করে একটি বাস্তবায়ন কমিটি এ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নামী নাট্যব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ। এর কো-চেয়ারপারসন হিসেবে রয়েছেন অভিনেত্রী সারা যাকের।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার প্রদর্শনী হবে ঢাকা পদাতিকের ৩৮তম প্রযোজনা ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’।
একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির ২৯তম প্রদর্শনী হবে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী মাস্টার দা সূর্যসেনের প্রহসনমূলক বিচার ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে নাটকটি মঞ্চে আনে ঢাকা পদাতিক।
‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ নাটকের রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দেন নাট্যজন মাসুম আজিজ। তার মৃত্যুর পর নব নির্দেশনার কাজটি করেন অভিনেতা নাদের চৌধুরী।
এ বিষয়ে নাদের চৌধুরী বলেন, “‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ঐতিহাসিক একটি নাটক। এর রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রয়াত মাসুম আজিজ ভাই, তবে পরবর্তী সময়ে এই নাটকের কিছু কিছু জায়গায় প্রয়োজন সাপেক্ষে অলংকরণ করে আমি নব নির্দেশনার কাজটি করেছি।
“মাস্টার দা সূর্যসেন এই নাটকের প্রধান চরিত্র, যেটি আমি রূপায়ন করেছি। ঐতিহাসিক নাটকটি আমাদের এখনকার জেনারেশনের দেখা উচিত।’’
ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা নাটকটির চরিত্র। এতে মোট ৪০টি চরিত্র রয়েছে।
চরিত্রগুলো হলো সূর্য সেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, অম্বিকা রায়, নির্মল সেন, ব্রিটিশ উকিল ও বাঙালি উকিল প্রভৃতি।
এসব চরিত্র রূপায়ন করছেন নাদের চৌধুরী, মাহবুবা হক কুমকুম, মিলটন আহমেদ, হাসনা হেনা শিল্পী, মাহাবুবুর রহমান টনি, সাবিহা জামান, শ্যামল হাসান, কাজী আমিনুর, আক্তার হোসেনসহ অনেকে।
২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়।
আরও পড়ুন:নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার লোক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির উদ্যোগে দেশব্যাপী চিরায়ত বাংলা নাটক মঞ্চায়ন কর্মসূচি উদযাপন করছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) থিয়েটার ক্লাব।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আইইউবি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো মনসুর বয়াতি রচিত পালা নাটক ‘দেওয়ানা মদিনা’।
নাটকটির নির্দেশনায় মো. শামীম সাগর এবং সহ-নির্দেশনায় ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় ৬৪টি জেলা ও ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। দেওয়ানা মদিনা এই কর্মসুচির তৃতীয় এবং আইইউবি থিয়েটারের ২১তম প্রযোজনা।
দর্শক সারিতে উপস্থিত থেকে নাটকটি উপভোগ করেন আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপ-পরিচালক আলী আহমেদ মুকুল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবির, আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক মমতাজ পারভীন এবং আইইউবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মনসুর বয়াতি রচিত ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটি মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকা হিসেবে সমাদৃত। বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান সোনাফরের পুত্র আলাল ও দুলালের বিচিত্র জীবনকাহিনী এবং দুলাল ও গৃহস্থ মদিনার প্রেমকাহিনী এই পালার বিষয়বস্তু।
নাটকটিতে অভিনয় করেন আইইউবির নাট্যকর্মী শিক্ষার্থী আনিকা বুশরা শশী, মো. বাসিতুল্লাহ খান, মো. তৌহিদুল ইসলাম অঙ্কুর, সানজিদা আক্তার মীম, আশরাফুল করিম চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মাহিন সিয়াম, মুবাল্লিক হোক মৃধা (আবিদ), সৌহার্দ্য পাল, সামিয়া রেজা মাইশা, আনিকা ফাইরোজ, মো. সৌমিক উদ্দিন মাহি, মোছা. সাদিয়া আফরিন অর্না, মুবাশশির আল জামী সিয়াম প্রমুখ।
সংগীত সহযোগিতায় ছিল ভিনস ব্যান্ড, জাহিদ হাসান, স্লাঘা অধিকারী, শরীফ মোহাম্মদ শাহজালাল পরান, এস এম শাকিল আমিন এবং আইইউবি মিউজিক ক্লাব।
ছোটপর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য পুরোপুরি খোলাসা হয়নি। অভিনেত্রীর স্বজনদের বরাতে পুলিশ যদিও জানিয়েছে যে আত্মহত্যা করেছেন হিমু। তবে কয়েকটি অমীমাংসিত প্রশ্নের কারণে ঘটনাটি নিয়ে ‘কিন্তু’ থেকে যাচ্ছে।
হিমুর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যান তার কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফি ও অভিনেত্রীর মেকআপ আর্টিস্ট মিহির। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করার পর হিমুর মোবাইল ফোনটি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন প্রেমিক রাফি।
পুলিশ তাকে খুঁজছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) উত্তরার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা।
এদিকে জিয়াউদ্দিন রাফির সঙ্গে সম্প্রতি হিমুর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল বলে পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানিয়েছেন ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম।
তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে হুমায়রা হিমুর সঙ্গে রাফির ঝগড়া চলছিল৷ হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে এলেও মৃত্যুর খবর শুনে তিনি পালিয়ে গেছেন।
আরেকটি সংবাদমাধ্যমের খবর, হিমুর ওই প্রেমিক নিজেও বিবাহিত। আলাদা সংসার রয়েছে তার।
উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিনের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, অভিনেত্রী হিমু ছিলেন ব্রোকেন ফ্যামিলির। তিনি তার এক পালিত ভাইকে (মিহির) নিয়ে উত্তরার ফ্ল্যাটে থাকতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য, ‘বিবাহিত ওই যুবকের (রাফি) সঙ্গে অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলেটি তার ফ্ল্যাটে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। মাঝে মাঝে তিনি হিমুর সঙ্গে থাকতেনও।’
তিনি বলেন, ‘আজ বিকেল ৩টার দিকে হিমুর বাসায় এসেছিলেন রাফি। পরে তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। হিমুর পালিত ভাই মিহির তখন ওয়াশরুমে ছিলেন। হিমু রুমে একাই ছিলেন। এরপর মিহির বের হয়ে দেখেন হিমু ফ্যানের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ঝুলছেন। রাফি ও মিহির তখন হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
যদিও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে হিমু আত্মহত্যা করেছেন বলেই উঠে এসেছে। আর তা সত্যি হয়ে থাকলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে- এই আত্মহননের নেপথ্যে কে বা কারা দায়ী? কারণটাই বা কী? রাফি বিবাহিত এবং তার সংসার থাকার পরও হিমুর পরিবারের সঙ্গে তার বিয়ের কথা চলে কীভাবে? বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই কি নিভে গেল আরেকটি সুন্দর জীবনের প্রদীপ?
উত্তর মেলেনি এসব প্রশ্নের। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে- আত্মহত্যা কি সত্যিই জীবনের জটিল হিসাবের জট মেলাতে পারে?
আরও পড়ুন:
মন্তব্য