চিত্রকলায় নিমগ্ন শিল্পী হাশেম খান। ৬৬ বছর ধরে রং-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি।
দীর্ঘ এ সময়ে দেশ অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি জাতীয় চিত্রশালা। এ নিয়ে নিজের ৮১তম জন্মদিনে আক্ষেপ করেছেন শিল্পী।
ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হাতে লেখা চিঠিতে চিত্রকলায় অনেক শূন্যতার কথা তুলে ধরেছেন হাশেম খান। তিনি লেখেন, ‘আজ ৩ বৈশাখ ১৪২১॥ ৮০ পেরিয়ে ৮১তে পা দিলাম। পূর্ণ উদ্যমে এখনও ছবি আকঁতে পারছি।
‘এটাই আনন্দ…কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতীয় চিত্রশালা আজও হয়নি। জাতীয় জাদুঘরে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান ও অন্যান্য শিল্পীদের ছবি, বহু মূল্যবান সম্পদ উপযুক্ত পরিকল্পনা ও অর্থাভাবে দিনে দিনে নষ্ট হচ্ছে; ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।’
হাশেম খান লেখেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগ্রহ করা শিল্পকর্মগুলোর অবস্থা কী, তা জানি না। ৬৬ বছর ধরে নিজের আঁকা কয়েক হাজার চিত্রকলার দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝেই উদাস হয়ে যাই—এগুলোর কী হবে?
‘নিজের কৃত শিল্পকর্ম দিয়ে একটি জাদুঘর হতে পারে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এগিয়ে যেতে যা কাজে লাগবে। কিন্তু কীভাবে? শুদ্ধ শিক্ষা, শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার পথ সুগম হোক। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
১৯৪২ সালের ১৬ এপ্রিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সেকদী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শিল্পী হাশেম খান। তৎকালীন কুমিল্লা জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ খান ও গৃহবধূ নূরেন্নেসা খানমের ১৪ সন্তানের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খ্যাতিমান এ শিল্পী ১৯৬৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় শিক্ষকতা করেছেন। তার অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে শিল্পচর্চায় সুনাম অর্জন করেছেন।
নাটোরে বিদেশী মদ ও ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কসিম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা এবং একই উপজেলার পারচোকা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে আমিন উদ্দিন।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের চোকপোষ্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহি বাসে তল্লাসী চালানো হয়। তল্লাসীকালে ৪০ বোতল বিদেশী মদসহ বাসযাত্রী সোহেল রানা এবং ২০০পিচ ইয়াবাসহ আমিনকে আটক করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রাঙামাটির কাপ্তাই লেক হতে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট দিয়ে ৩ ফুট করে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারনে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাত ৩ টা হতে চন্দ্রঘোনা - রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে নদীর দুই পাশে যাত্রী সাধারণ চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী( যান্ত্রিক) রনেল চাকমা বুধবার( ১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬ টি গেইট ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারনে বুধবার দিবাগত রাত ৩ টা হতে এই নৌ রুটে ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বুধবার(১০ সেপ্টেম্বর) সকালে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটের গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুই পাশে কিছু যানবাহন অপেক্ষা করছে পারাপারের জন্য।
এসময় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে কথা হয়
চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবুর সাথে।
তিনি বলেন, এই নৌ - রুটে প্রাকৃতিক কারনে প্রায়শ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সেতু নির্মান হলে জনদূর্ভোগ কমবে।
ফেরি ঘাটে কথা হয়, মোটরসাইকেল আরোহী মো: শহীদুল ইসলাম, মো: সরফুল আলম এবং সুকুমার বড়ুয়ার সাথে৷ তাঁরা বলেন ওপারে যাবার জন্য এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমাদের কষ্টের শেষ নেই। এখানে সেতু হলে আমাদের দু:খ লাগব হবে।
এসময় কথা হয় বাস চালক মো: শুক্কুর, রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া হতে আসা ব্যবসায়ী পুলক চৌধুরী, সিএনজি চালক মো: আরিফ, বিপণন কর্মী মো: নুরনবী এবং যাত্রী মো: ওমর ফারুকের সাথে। তাঁরা বলেন, সকালে এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পীল ওয়ে ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রচুর জোয়ার থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ফেরির ইনচার্জ মো: শাহজাহান এবং ফেরির চালক মো: সিরাজ এর সাথে। তাঁরা বলেন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে পানি ছাড়ার ফলে নদীতে অনেক স্রোত। তাই বুধবার দিবাগত রাত ৩ টা হতে আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্রোত কমলে আমরা ফেরির চালার চেষ্টা করবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
ডাকসুতে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পদ আছে ২৮টি। এর মধ্যে সদস্যপদ রয়েছে ১৩টি।
বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সম্পাদকীয় পদগুলোতে যারা জয়ী হলেন–
সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে— আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে— এস এম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে— মুহা মহিউদ্দীন খান, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক— ফাতেমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক— ইকবাল হায়দার, কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক— উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক— জসীমউদ্দিন খান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক— মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র), গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক— সানজিদা আহমেদ তন্বি (স্বতন্ত্র), ক্রীড়া সম্পাদক— আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক— আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক— যুবাইর বিন নেছারী (স্বতন্ত্র), ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক— মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক— এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. জাকারিয়া জয়ী হয়েছেন।
খাগড়াছড়ির তিন সড়কে আজ বুধবার আধা বেলা সড়ক অবরোধ চলছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি-ঢাকা, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার মানিকছড়ির তবলা পাড়ায় অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী আত্মরক্ষা কমিটি; এই তিনটি পাহাড়ি সংগঠন এই অবরোধের ডাক দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বপন চাকমার পাঠানো বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অবরোধের কারণে তিন সড়কে দুরপাল্লার সব যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, অবরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, রাস্তায় দুই একটা আগুন দেওয়া ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সর্তক স্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে মানিকছড়ির তবলা পাড়ায় সন্দেহভাজন কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রামবাসী আটক করে। তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে প্রতিরোধের মুখে পড়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তখন লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভূমিধ্স জয় হয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের। নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দীন খান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
ফলাফলে দেখা যায়, ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট।
জিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আবু বাকের মজুমদার ২ হাজার ১৩১ ভোট, আশিকুর ৫২৬ ভোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের আল সাদী ভূঁইয়া ৪৬ ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
সোমবার বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সারারাত ধরে ভোটগণনা চলে। রাতেই বিভিন্ন হল থেকে ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করে। এর মধ্যেই কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা।
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে প্রত্যাবর্তন সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট বাতিল করে। ফলে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাবৃন্দ বর্তমানে টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানিয়েছে, দলের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলের নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এছাড়া যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং টিম ম্যানেজার আমের খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে দলের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যান। আবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়ার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। গত সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য