করোনা মহামারির কারণে গেল দুই বছর নববর্ষে তেমন আয়োজন না হলেও এবার বাংলা নতুন বছর ১৪২৯ বরণ করতে নানা আয়োজনে মেতেছে বাঙালি।
বর্ষবরণের উৎসবে সবার মাঝে ফিরেছে প্রাণের উচ্ছ্বাস। বৈশাখী সাজে সেজেছে তরুণ-তরুণীরা। পিছিয়ে নেই শিশু-বয়স্করাও। পুরোনো গ্লানি পেছনে ফেলে নতুনের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রত্যাশা সবার।
করোনাপূর্ব সময়ের মতো নতুন বর্ষকে বরণ করে নিয়েছে চট্টগ্রামবাসী। চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি সিরিষ তলায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশগ্রহণ করে সংগীত ভবন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, অদিতি সংগীত নিকেতন, সৃজামি, রাগেশ্রীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। চট্টগ্রামের নববর্ষ উদযাপন পরিষদ আয়োজিত এ অনুষ্ঠান চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
পুরোনো জরাকে মুছে দিয়ে নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে সবার আহবান, ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো..’ এ ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় তুলে ধরা হয়েছে দেশীয় ও আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে।
তিন কন্যা ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে এসেছেন খুলশীর দেলোয়ার হোসেন ও জাহানারা পারভীন দম্পতি। জাহানারা পারভীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পবিত্র রমজান হলেও দুই বছর পর বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে এসেছি। বরাবরের মতোই নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে পুরোনো জরাজীর্ণ ও সংকীর্ণতা মুছে মঙ্গলময় হোক নতুন বর্ষ।’
কাজীর দেউড়ি এলাকার ইকবাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তো ভেবেছি রমজানে মানুষজন খুব একটা আসবে না। এখানে এসে দেখি পরিস্থিতি ভিন্ন। আমার তো মনে হয় আমার মতো অধিকাংশই এখানে রোজা রেখে বর্ষবরণের উৎসবে এসেছেন। এভাবেই ছড়িয়ে পড়ুক অসাম্প্রদায়িকতা। নতুন বছর শুভ হোক, শুভ নববর্ষ।’
‘শিল্পের প্রয়োজন, বিবেকের জন্য, জীবনের জন্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হয়েছে বর্ষবরণের প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টায় নগরীর বাদশা মিয়া রোডস্থ চারুকলা ক্যাম্পাস থেকে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বের হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কমার দে, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরীসহ চবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শোভাযাত্রায় লোকজ পাখি ও ঘোড়ার দুটি মোটিফ (ডামি) ছিল। এর বাইরে চারুকলার শিক্ষার্থীরা বাহারি রঙের মুখোশ ও সরা নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের বাইরেও সাবেক শিক্ষার্থীসহ ছিলেন বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
ঢোল-বাদ্যের তালে তালে শোভাযাত্রাটি চারুকলা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে নগরীর কাজীর দেউড়ি ঘুরে বেলা ১১টায় চারুকলা ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐক্যকে আরও সুসংহত করার প্রত্যাশা নিয়ে খুলনায় উদযাপিত হয়েছে পয়লা বৈশাখ। এ উপলক্ষে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক থেকে বৃহস্পতিবার সকালে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ছাড়াও শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মাহাবুব হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা শিশু একাডেমিসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পয়লা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে।
কুমিল্লায় এবার পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু একটি টেপা পুতুল। মঙ্গল শোভাযাত্রায় টেপা পুতুলটিকে ঘিরে সড়কের দুই পাশে থাকা মানুষের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। টেপা পুতুলটির উচ্চতা ১৪ ফুট, প্রস্থে ৬ ফুট।
এটি তৈরি করেন কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুলের শিক্ষক সামিউল ইসলাম জাহেদ। তিনি বলেন, ‘পুতুলটিকে আমি আনন্দের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছি। কারণ, দেখলে মনে হবে পুতুলটি নাচ করছে। গত দুই বছর করোনার মহামারির কারণে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। এ বছর করোনামুক্ত। তাই আমাদের আনন্দ লাগছে। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ এই টেপা পুতুল।’
পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নার্গিস আক্তার বলেন, ‘টেপা পুতুলটি একটি চঞ্চল চপলা কিশোরীর মতো। এই ফাগুনে ধান ক্ষেতের আল ধরে মাথায় বেণি ঝুলিয়ে নাচতে নাচতে বাড়ি ফেরা কোনো কিশোরীর মতোই লাগছে এটি।’
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষক সামিউলের তৈরি টেপা পুতুলটি খুবই ভালো লেগেছে। তার পুতুলটির বার্তা আনন্দ। আমরা আসলেই এ বছর আনন্দ করতে পারছি।’
উত্তরের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রামে গ্রামে বয়োজ্যেষ্ঠদের পাশাপাশি শিশুরাও মজেছে বর্ষবরণের আমেজে। নতুন পোশাকে সেজেছে শিশুরা। চুরি, আলতা, টিপ আর বাঙালি ভাজে শাড়ি পড়ে নতুন বছরকে বরণ করেছে তারাও।
সদরের আকচা ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাটিতে করে শিশুদের কেউ বনভোজনের খাবার উপকরণ, কেউ আবার মশলা নিয়ে যাচ্ছে নদীর ধারে।
জিজ্ঞেস করলে ৯ বছরের শিশু প্রতিভা রানী বলে, নদীর ধারে বৈশাখ উপলক্ষে মেলা বসেছে। সেখানেই ডালের তৈরি বরা ভেজে বোনভোজন করবে তারা। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এলেই তারা এমন আনন্দে মেতে ওঠে। এ সময় মেলায় অতিথিদের আপ্যায়ন করে বকশিসও নেয় তারা।
সে বকশিসের টাকায় নাগরদোলা, দোলনা, ঘোরায় চড়াসহ চুরি ফিতা কিনে মেলা থেকে। এমনটি জানি শিশু দিয়া মনি বলেন, ‘আজ আমার খুব আনন্দ লাগছে।’
অভিভাবক নিরঞ্জণা দেবি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ আমাদের কাছে নতুন দিনের নতুন আমেজ। আমরা গ্রামের যারা অভিভাবক আছি, তারা সবাই শিশুদের সাজিয়ে দেই। নতুন বছর তাদের যেন আনন্দে কাটে, বিপদ যেন তাদের ছুঁতে না পারে।’
এছাড়াও আজকের দিনে এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হালখাতা, মাছধরা, রঙ মাখাসহ নানা রকম আয়োজন দেখা গেছে বৈশাখ ঘিরে। এর আগে সকলে সুখ ও মঙ্গল কামনায় মঙ্গল শোভাযাত্রাও করেছে জেলাবাসী।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে রাজশাহী শহরেও। বর্ষবরণে দেখা গেছে বিভিন্ন কর্মসূচি।
নগরীর ঘোষপাড়ায় পদ্মাপাড়ের বটতলায় নতুন বছরের নতুন সূর্যকে বরণের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। গানে, নাচে পুরো আয়োজন ছিল প্রাণবন্ত।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঘোষপাড়া পদ্মা মন্দিরের পাশে বটতলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণে মেতে ওঠেন তারা। পরে মহানগরীর আলুপট্টি মোড় থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। যেখানে যোগ দেন নানা সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে রাজশাহী কলেজ। শোভাযাত্রাটি রবীন্দ্রনাথ ভবন থেকে বের হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। এ ছাড়া বেলা ১১টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রা করেন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ নিয়ে বড় কোনো আয়োজন ছিল না। প্রতি বছর রাবির মঙ্গল শোভাযাত্রা ব্যাপক আলোচিত হলেও এবারে ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি। চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণে মেতেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীও। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো..’ গানে গানে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে বিসিক।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নাটোরে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের মহারাজা জগদীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গজল এলাকার অর্ধবঙ্গেশ্বরী রাণী ভবানী রাজবাড়ি চত্বরের মুক্তমঞ্চে গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। পরে মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ ছাড়া সেখানে আয়োজন করা হয় গ্রামীণ মেলা।
শোভাযাত্রায় নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
আরও পড়ুন:ঘরে পোষ মানানো কিংবা অনাহূত যে ধরনের বিড়ালই হোক, আজ তাদের একটু আলাদা রকমের যত্নআত্তি নিন। একটু বিশেষ খেয়াল রাখুন ওদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে। কারণ আজ ৮ আগস্ট, আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস।
গ্রহের যেসব প্রাণী দীর্ঘকাল ধরে মানুষের নিবিড় সান্নিধ্য পেয়ে আসছে, তাদের একেবারেই সামনের সারিতে আছে বিড়াল। তুলতুলে, অনুসন্ধিৎসু, আদুরে আর মুডি এই প্রাণীকে ভালোবাসেন না এমন মানুষ আছে খুবই কম।
আজকের দিনে বিড়ালকে বাড়তি খুশি করতে চাইলে এখনই ছুটতে পারেন পেট শপে। বিদ্যুৎ সংকটে রাত ৮টায় দোকান বন্ধ হওয়ার আগেই কিনে আনতে পারেন তুলতুলে বিছানা বা দারুণ কোনো খেলনা। সঙ্গে বিড়ালের পছন্দের খাবার।
ধারণা করা হয়, বিশ্বে নানা প্রজাতির প্রায় ৫০ লাখ বিড়াল আছে। মাংসাশী এই তুলতুলে প্রাণীকে ভালোবেসে ঘরে জায়গা দিয়েছে সারা দুনিয়ার মানুষ, যদিও এগুলোর আদি বাস আফ্রিকায়।
বিড়াল সম্পর্কে প্রথম ঐতিহাসিক রেকর্ড প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার সংস্কৃতিতে পাওয়া যায়। মিসরীয়রা বিড়ালকে দেবতা মানত, পূজা করত।
মাফডেট নামে এক বিড়াল দেবতাকে সে সময়কার মিসরীয়রা সাপ, বিচ্ছু এবং খারাপ কিছুর বিরুদ্ধে রক্ষক হিসেবে মনে করত।
মিসরীয় রাজবংশের পতন হলেও বিড়াল ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিশ্বব্যাপী। গ্রিক এবং রোমানরা কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা পেতে পুষত বিড়াল। প্রাচ্যে মূলত ধনী ব্যক্তিরা বাড়িতে বিড়াল রাখতেন।
মধ্যযুগে বিড়াল নিয়ে নানা কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে। ১৩৪৮ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া ব্ল্যাক ডেথের বাহক হিসেবে বিবেচনা করা হতো বিড়ালকে। এ কারণেই সেই যুগে বিড়াল হত্যা অনেক বেড়ে যায়। তবে ১৬০০ দশকের পর বদলাতে থাকে দৃষ্টিভঙ্গি।
আমেরিকায় পোকামাকড় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঔপনিবেশিক জাহাজে বিড়ালের দেখা মিলত। আধুনিক সমাজে এখন বিড়াল পোষা রীতিমতো শখে পরিণত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার নামে একটি সংগঠন ২০০২ সাল থেকে আগস্টের প্রথম সোমবার অর্থাৎ আজকের দিনটিতে বিড়ালদের ছুটিও ঘোষণা করেছে।
আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবসে তাই বিড়াল বাড়তি আদরযত্ন চাইতেই পারে। তবে বছরের বাকি দিনও যে ওদের নয়, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আপনি না চাইলেও পোষা বিড়াল ঠিকই জানে কোন কৌশলে আপনার মনোযোগ কেড়ে নিতে হয়।
আরও পড়ুন:সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকার পুলিশ লাইনসের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া অনেককে কবর দেয়া হয়েছিল। এতদিন অরক্ষিত অবস্থায় পড়েছিল গণকবরটি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ।
‘স্মৃতি ৭১’ নামের এ স্মৃতিস্তম্ভটি রোববার উদ্বোধন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। জেলা পুলিশের উদ্যোগে এটি স্থাপন করা হয়।
এর নকশা করেছেন স্থপতি রাজন দাশ। তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে এ বাংলার মৃত্যুপরবর্তী যে লৌকিকতা চর্চিত হয়ে আসছে, অর্থাৎ মাটির মানুষ মাটিতেই ফিরে যাবে, মাটিতেই রচিত হবে তার কবর, গোর বা সমাধি; সেই সমাধি বা কবরের একটি লোকস্থাপত্যধারা লক্ষ করা যায়। এই গণকবরের ওপর নির্মিত স্থাপত্যধারাটি সেই ধারাতেই অনুপ্রাণিত।’
এসপি ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘দেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।’
বীর মুক্তিযােদ্ধা ও স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে সিলেটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ বীর মুক্তিযােদ্ধাসহ অসংখ্য মানুষকে গণকবর দেয়া হয় এখানে।
রিকাবীবাজারের পাশের মুন্সিপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার বীর মুক্তিযােদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যা করে ফেলে রাখে। তাদের মরদেহ এনে স্বজন ও পরিচিতজনরা পুলিশ লাইনসের ভেতর একটি ডোবায় গণকবর দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পরই গণকবরটি চিহ্নিত করা হয়। কতজনকে এখানে কবর দেয়া হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান কোথাও সংরক্ষিত নেই।
তবে কবর দেয়া আট শহীদের নাম-তথ্য জানিয়েছেন এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা। তারা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক আবদুল লতিফ, হাবিলদার আবদুর রাজ্জাক, কনস্টেবল মােক্তার আলী, শহর আলী, আবদুস ছালাম, মাে. হানিফ ব্যাপারী, মনিরুজ্জামান ও পরিতােষ কুমার। তারা কোন থানায় ছিলেন তা জানা যায়নি।
এসব পুলিশ সদস্য ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল জিন্দাবাজার এলাকার তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংকে (বর্তমানে সােনালী ব্যাংক) দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্যাংকের টাকা লুটের উদ্দেশ্যে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করে। দুদিন পর তাদের পুলিশ লাইনসে কবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:সোনালী ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২১ সালের বার্ষিক হিসাব বিবরণী ও লভ্যাংশের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারধারীদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে ১ শতাংশ নগদ ও ৯ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১০ পয়সা নগদ দেয়া হবে এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ৯টি দেয়া হবে বোনাস শেয়ার।
এই কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সোনালী ইনভেস্টমেন্ট এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর আতাউর রহমান প্রধান, সোনালী ইনভেস্টমেন্টের পরিচালক ও সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুরশেদুল কবীর, জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ চন্দ্র দাস, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শিহাব উদ্দিন আহমদ এবং সোনালী ইনভেস্টমেন্টের সিইও শওকত জাহান খান।
এ ছাড়া ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, মো. মজিবর রহমান, সঞ্চিয়া বিনতে আলী ও মো. কামরুজ্জামান খান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পর্যটনশিল্পের বিকাশ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে ঢাকা ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে চান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সিঙ্গাপুরের মেরিনা স্যান্ডস্ বে হোটেলে চার দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড সিটিজ সামিট’-এ অংশ নিচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের জাতীয় উন্নয়নমন্ত্রী ও সামাজিক সেবা সমন্বয়করণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডেসমন্ড লির সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র তাপস। সেখানেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা ও শহর ব্যবস্থাপনায় টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে ঢাকার উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় উল্লেখ করে সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী ডেসমন্ড লি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল ও আধুনিক নগরী হিসেবে ঢাকা গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী।’
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামষ্টিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন তিনি।
বৈঠকে পর্যটনশিল্পের বিকাশ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে ঢাকা ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে অভিমত দেন দুই নেতা। ঢাকা-সিঙ্গাপুর বাণিজ্য বাড়াতেও তারা আলোচনা করেন।
মেয়র তাপস পরে জাপানের ফুকুওকা শহরের মেয়র সোইচিরো তাকাসিমার সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে দুই মেয়র নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাপ করেন। ফুকুওকার মেয়র বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনের পাশাপাশি উপজাতসমূহের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তুলে ধরেন। পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়াতে ফুকুওকার মেয়রকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান মেয়র তাপস।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম ও মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩১ জুলাই সিঙ্গাপুরের মেরিনা স্যান্ডস্ বে হোটেলে চার দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড সিটিজ সামিট-২০২২ শুরু হয়েছে। সামিটে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ৬০ দেশের মেয়ররা অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে প্রকাশিতব্য দৈনিক বাংলা পত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের যৌথ কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে সোমবার দুপুরে ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়।
ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা সম্পাদক এবং দৈনিক বাংলা লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, প্রকাশক শাহনুল হাসান খান, দৈনিক বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু এবং নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম রুবেল বক্তব্য রাখেন।
দুই প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের উদ্দেশে মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অনলাইন নিউজপোর্টাল হিসেবে নিউজবাংলা ইতোমধ্যে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দৈনিক বাংলা পত্রিকাও দেশের সাংবাদিকতাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে। তিনি দায়িত্বশীল ও সাহসী সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন এবং এটির বিকাশে বিনিয়োগকারী হিসেবে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘নিউজবাংলা আজকে একটা ভালো জায়গায় গিয়েছে। দৈনিক বাংলার কুঁড়ি এসেছে মাত্র, ফুল এখনও ফোটেনি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এটার পেছনে লেগে আছি। ইনশাআল্লাহ আমরা বড় আকারে এগিয়ে যাব।’
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘আগস্ট মাস শোকের মাস। এ জন্য আমরা এই ভবন উদ্বোধনের জন্য মিলাদের আয়োজন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দুই বছর ধরে আমরা নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলা নিয়ে কাজ করছি। নিউজবাংলা ইতোমধ্যে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। অনেকে নিউজবাংলাকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছে।
‘আমাদের টিম প্রতিষ্ঠার পেছনে অনেক শ্রম ব্যয় হয়েছে। অনেকে অনেক কিছুতে বায়াসড হয়ে যায়। আমরা কোনো কিছুতেই ইন্টারফেয়ার করি না। যেটা সঠিক নিউজ মনে হবে, সেটা আপনারা করবেন। আমরা এভাবেই কাজ করতে উৎসাহ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘পত্রিকাটা আপনাদের, আপনাদেরই চালাতে হবে। সুনামটা ধরে রাখতে হবে। দৈনিক বাংলার একটা নস্টালজিক ব্যাপার আছে, সেটা মানুষের কাছে যাতে নিয়ে যেতে পারি, এটা আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে।’
প্রকাশক শাহনুল হাসান খান বলেন, ‘শোককে শক্তিতে রূপান্তরের প্রত্যয় নিয়ে আমরা শুরু করছি। এখানে দুটো প্রতিষ্ঠান নয়, প্রতিষ্ঠান একটাই। প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে দৈনিক বাংলা, অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে নিউজবাংলা, যেটা অলরেডি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড। নিউজবাংলা তার কর্মকাণ্ডে মার্কেটে সুনাম প্রতিষ্ঠা করেছে। যেটার জন্য আমরা গর্বিত। আশা করি সামনে আরও ভালো হবে।’
নিউজবাংলার নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম রুবেল বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে, বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে দৈনিক বাংলা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেই রকম একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থাকতে পারার যে গৌরব, তা আমরা প্রত্যেকে অনুভব করি। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত এই গৌরব নিবিড়ভাবে অনুভব করতে পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সারা বাংলাদেশে যে মর্যাদা নিয়ে ছিল, সেই মর্যাদার জায়গায় আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘পৌনে দুই বছর ধরে নিউজবাংলা সংবাদ পরিবেশন করছে। এক দিনের জন্যও আমাদের উদ্যোক্তারা সম্পাদকীয় নীতিমালায় কোনো হস্তক্ষেপ করেননি। তারা চেয়েছেন স্বাধীন একটি সম্পাদকীয় নীতিমালা এবং পেশাজীবী সাংবাদিকদের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান।’
দৈনিক বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু বলেন, ‘দুই প্রতিষ্ঠানের একই মালিক, একই সম্পাদক- আমরা একসঙ্গে কাজ করব। সেই কাজের শপথ, প্রত্যাশা আজ থেকে শুরু হলো।’
মিলাদ মাহফিলে স্ট্র্যাটেজিক হোল্ডিংসের সিইও-১ এহসানুল কবির, সিইও-২ শরিফুল ইসলাম, চিফ মার্কেটিং অফিসার রিয়াদুজ্জামান হৃদয়, নিউজবাংলার বার্তা বিভাগের প্রধান সঞ্জয় দে, প্রধান বার্তা সম্পাদক ওয়াসেক বিল্লাহসহ নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড (এলএএফএল) সম্প্রতি টেকসই অর্থনীতি নিয়ে কর্মশালা করেছে।
রাজধানীর গুলশানে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য ‘টেকসই আর্থিক এবং পরিবেশগত এবং সামাজিক কারণে পরিশ্রম’ বিষয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের পরিচালক খোন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত।
মঙ্গলবার এলএএফএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় এলএএফএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান্তি কুমার সাহা, হেড অব বিজনেস শাহানুর রশীদ, সিএফও উইশবা উইকারামারাচ্চি এবং অন্যান্য সিনিয়র ও জুনিয়র এক্সিকিউটিভরা অংশ নেন।
‘ইমাজিং স্ট্রংগার টু রিডিউস সাইবার রিস্ক ইন দ্যা এজ অফ ফোর্থ আইআর’ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ‘সাইবার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সামিট ২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি বনানীর একটি হোটেলে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
সামিটে সাইবার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সম্পর্কিত আটটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশ এবং বিদেশের সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা।
ইনফরমেশন সিস্টেম সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএসএ) দিনব্যাপী এই সামিটের আয়োজন করে।
প্রায় ১০০ প্রফেশনাল সামিটে অংশ নিয়ে সাইবার সিকিউরিটির বেশ কিছু দিক তুলে ধরেন।
সামিটে অংশ নেয়ার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এসব প্রফেশনালদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক অ্যাওয়ারন্যাস এবং সাইবার রেসিলেন্স সংক্রান্ত জ্ঞানের পরিধি বাড়বে বলে জানায় আয়োজক আইএসএসএ।
উদ্বোধনে সামিটের আয়োজক আইএসএসএ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট মারুফ আহমেদ বাংলাদেশে সাইবার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতায় সাইবার সিকিউরিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশ্বব্যাপী সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস এবং সাইবার রেসিলেন্স সংক্রান্ত জ্ঞান প্রতিমুহূর্তে আপডেট হচ্ছে। এই আপডেট জ্ঞান ও তথ্য আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে আইএসএসএ এই সামিট আয়োজন করেছে।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার মো. আবদুল হালিম, অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)-এর চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হুসাইনসহ অনেক।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য